কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীরোত্তম বলেছেন, “দেশের সকল রাজনৈতিক দলকে নিয়ে নির্বাচন হলে কৃষক শ্রমিক জনতালীগ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। কিন্তু যদি দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষকে বাদ দিয়ে শুধু বিএনপি, এনসিপি, জামায়াত নির্বাচন করে, তাহলে ২০ শতাংশ মানুষও ভোট দিতে যাবে না। সে ভোটে আমরাও অংশ নেবো না।” বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে টাঙ্গাইল শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে কাদেরিয়া বাহিনীর উদ্যোগে আয়োজিত টাঙ্গাইল হানাদার মুক্ত দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। “শেখ হাসিনার অন্যায় আওয়ামী লীগের অন্যায় নয়” — কাদের সিদ্দিকী বঙ্গবীর বলেন, “প্রধান উপদেষ্টাকে আমি চিনতে পারিনি। আমার আগে আপনাকে চিনেছে শেখ হাসিনা, চিনেছে দেশের মানুষ। শেখ হাসিনার অন্যায় বঙ্গবন্ধুর অন্যায় নয়, আওয়ামী লীগের অন্যায়ও নয়। মুক্তিযুদ্ধের অন্যায়ও নয়।” তিনি আরও বলেন, “এই আওয়ামী লীগকে জন্ম দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শামসুল হক। শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ জন্ম দেননি। তাকে রাজনৈতিকভাবে সমর্থন করি না, কারণ তিনি মনে করেন দেশটা তার বাবার—আর আমি মনে করি বঙ্গবন্ধু দেশের সেবক, আমিও দেশের সেবক, আমরা সবাই আল্লাহর গোলাম।” “আওয়ামী লীগের বিচার কেউ করতে পারবে না” কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন, “শেখ হাসিনার বিচার করতে চাইলে করুন, কিন্তু আওয়ামী লীগের বিচার করতে পারবেন না। আইয়ুব খান পারেনি, ইয়াহিয়া খান পারেনি—আপনারাও পারবেন না। আওয়ামী লীগের যারা দোষ করেছে তাদের বিচার হোক, কিন্তু সবাই তো দোষ করেনি।” বঙ্গবন্ধু ও জিয়ার প্রসঙ্গ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি তুলে ধরে তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যুদ্ধ করেছি, জিয়াউর রহমানও ছিলেন। দু’জনকেই বীরোত্তম খেতাব দিয়েছিল বঙ্গবন্ধু সরকার। এখানে ভিন্নতা নেই; ভিন্নতা সৃষ্টি করেই আমরা স্বাধীনতা–বিরোধী জামায়াতকে শক্তিশালী করেছি।” জামায়াত প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “স্বাধীনতা যুদ্ধে জামায়াত যে ধর্ষণ, হত্যা, নির্যাতন করেছে—বাংলাদেশের মা–বোনের সম্মান ধ্বংস করেছে—তারা ক্ষমা না চাইলে দেশে কথা বলার সুযোগ পেত না। বঙ্গবন্ধুর মানবিকতার কারণেই তারা বেঁচে যেতে পেরেছে।” টাঙ্গাইল হানাদার মুক্ত দিবস: ইতিহাস, স্মৃতি ও মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা ১৯৭১ সালের ১১ ডিসেম্বর টাঙ্গাইল পাক হানাদার মুক্ত হয়—এই ঐতিহাসিক দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে প্রতিবছরের মতো এবারও কাদেরিয়া বাহিনী আলোচনা সভা আয়োজন করে। এতে মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধের স্মৃতি, তখনকার পরিস্থিতি এবং স্বাধীনতার মূল্যায়ন তুলে ধরেন। সভায় মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বঙ্গবীর বলেন, “বাংলাদেশ আজ যেকোনো সংকটেও টিকে আছে মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগের কারণেই। দেশের সংকট মোকাবিলায় নতুন প্রজন্মকেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করতে হবে।” সভায় বক্তারা কাদের সিদ্দিকী বীরোত্তমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন— সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, টাঙ্গাইল জেলা মুজিব বাহিনীর প্রধান আলমগীর খান মেনু, কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান খোকা বীরপ্রতিক, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার ফজলুল হক বীরপ্রতিক, আবুল কালাম আজাদ বীরবিক্রম, কাদেরিয়া বাহিনীর কোম্পানি কমান্ডার কাজী হুমায়ুন বাঙ্গাল, দেলদুয়ার উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান, দেলদুয়ার ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তহের বাবলু প্রমুখ। সভা শেষে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে বিশেষ দোয়া ও এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু টাঙ্গাইল জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির আয়োজনে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্ত কামনায় বলেছেন,“বেশ কিছু দিন ধরে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন। তার জন্য দেশের মানুষ নামাজ পড়ে, রোজা রেখে দোয়া করছেন। মানুষের স্বার্থেই তার সুস্থতা অত্যন্ত প্রয়োজন।” তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়ার অসুস্থতার খবর দেশে-বিদেশে কোটি মানুষের মনে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। অনেকেই তার সুস্থতার জন্য কিডনিসহ বিভিন্ন অঙ্গ দান করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। “এশিয়া মহাদেশে এমন আর কোনো নেত্রী নেই যার সুস্থতার জন্য এত বিশাল সংখ্যক মানুষ দোয়া করছেন।” তার মতে, বেগম খালেদা জিয়া শুধু একজন রাজনৈতিক নেত্রী নন, বরং বাংলাদেশের গণতন্ত্রের প্রতীক। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি প্রাঙ্গণে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় আয়োজিত দোয়া মাহফিল ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, টাঙ্গাইল সদরকে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজমুক্ত একটি শান্তিপূর্ণ এলাকায় পরিণত করতে আগামী নির্বাচনে জনগণের ভোটই হবে তার শক্তি। তিনি কর্মী–সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, “বর্তমান কঠিন পরিস্থিতিতে নেতাকর্মীদের ধৈর্য, শৃঙ্খলা, ঐক্য ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে মাঠে থাকতে হবে। আমরা যেমন দেশনেত্রীর মুক্তি ও সুস্থতার জন্য দোয়া করছি, তেমনি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামেও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।” সভায় সভাপতিত্ব করেন সকাল-সন্ধ্যা পরিবহনের চেয়ারম্যান সৈয়দ জাদিদুল হক জাদিদ।অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন—টাঙ্গাইল বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির কার্যকরী সভাপতি খন্দকার নাজিম উদ্দিন আহমেদ,সাবেক সভাপতি খঃ ইকবাল হোসেন,মিনিবাস মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি খঃ আতিকুজ্জামান টুটুল,জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু,সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী শফিকুর রহমান লিটন,সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও মালিক সমিতির সদস্য শফিকুর রহমান খান শফিক,জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র মমিনুল হক খান নিকছন,জেলা যুবদলের আহ্বায়ক খঃ রাশেদুল আলম,মালিক সমিতির সদস্য বাসুদেব,জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম লাবু প্রমুখ। সভায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আশু আরোগ্য কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মালিক–শ্রমিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ এতে অংশ নেন।
টাঙ্গাইলে নবাগত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকারের সাথে জেলার কর্মরত সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার দুপুরে টাঙ্গাইল পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এ সভায় প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার শতাধিক সাংবাদিক অংশ নেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকার। বক্তব্য রাখেন টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক কাজী জাকেরুল মওলা, সাবেক সভাপতি আতাউর রহমান আজাদসহ সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মো. আরিফুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক শামীম আল মামুন প্রমুখ। মতবিনিময় সভায় পুলিশ সুপার বলেন, “টাঙ্গাইলের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা, মাদক নিয়ন্ত্রণ, সন্ত্রাস দমন এবং জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আমার প্রধান লক্ষ্য। সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ। আপনাদের ইতিবাচক সহযোগিতা ও গঠনমূলক সমালোচনা আমাদের কাজে দিক নির্দেশনা দেবে।” তিনি আরও বলেন, টাঙ্গাইলকে একটি নিরাপদ ও অপরাধমুক্ত জেলা হিসেবে গড়ে তুলতে পুলিশ বাহিনী সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব নিয়ে কাজ করবে। এ সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ অভিযান ও আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর কথাও উল্লেখ করেন তিনি। সভায় সাংবাদিকরা নবাগত পুলিশ সুপারকে স্বাগত জানিয়ে জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন এবং গণমাধ্যমের জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরির আহ্বান জানান।
টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলা পরিষদ চত্বরে শিশুদের বিনোদনের জন্য নির্মিত উপজেলা পরিষদ শিশু পার্কের উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে এ পার্কের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. আকলিমা বেগম। ফিতা কেটে উদ্বোধনের মাধ্যমে শিশুদের জন্য আনন্দ ও বিনোদনের নতুন এই কেন্দ্রটি উন্মুক্ত করা হয়। উদ্বোধনী আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ নেয়ামত উল্ল্যা, বাসাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দিন, উপজেলা প্রকৌশলী কাজী ফাত্তাউর রহমান, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আঞ্জুমান আরা বেগম বীথি, উপজেলা কৃষি অফিসার শাহজাহান আলী, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা হাসিবুল ইসলাম, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার আল আমিন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামসহ উপজেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইউএনও আকলিমা বেগম বলেন, “শিশুরা আমাদের ভবিষ্যৎ। তাদের জন্য নিরাপদ, পরিচ্ছন্ন ও মানসম্মত বিনোদন কেন্দ্র তৈরি করা ছিল সময়ের দাবি। শিশু পার্কটি শুধু বিনোদন নয়, সুস্থ-সবল মানস গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।” শিশুদের খেলাধুলা ও আনন্দের জন্য নির্মিত এ পার্কটিতে বিভিন্ন রাইড, দোলনা, স্লাইড, বসার ব্যবস্থা ও সবুজ পরিবেশ রাখা হয়েছে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত পার্কটি শিশুদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। স্থানীয় অভিভাবক ও উপস্থিত অতিথিরা শিশুদের জন্য এমন উদ্যোগ গ্রহণ করায় উপজেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান।
সাজিদ পিয়াল:সরকারি সা'দত কলেজে অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষকে বিদায় সংবর্ধনা এবং বিএনসিসি কর্তৃক গার্ড অব অনার প্রদান। টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী সরকারি সা'দত কলেজ শিক্ষক পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত এক আনুষ্ঠানিক ও সুশৃঙ্খল পরিবেশে কলেজের সম্মানিত অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ মনিরুজ্জামান মিয়া এবং উপাধ্যক্ষ প্রফেসর সুব্রত কুমার সাহা স্যারের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে বিএনসিসি প্লাটুনের ক্যাডেটরা দুই গুণী শিক্ষকের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ–এর মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন উইং–এর পরিচালক প্রফেসর কাজী মোঃ আবু কাইয়ুম। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে দীর্ঘদিন ধরে অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ দু'জনই অসাধারণ দায়িত্বশীলতা, সৎ নেতৃত্ব ও আন্তরিকতার পরিচয় দিয়েছেন। তাঁদের বিদায় কলেজের জন্য এক গভীর শূন্যতার সৃষ্টি করবে, তবে তাঁদের রেখে যাওয়া শিক্ষা ও আদর্শ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের পথপ্রদর্শক হয়ে থাকবে। শিক্ষক পরিষদের নেতৃবৃন্দ, কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা–কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। আবেগঘন এই বিদায় অনুষ্ঠানে প্রফেসর মোঃ মনিরুজ্জামান মিয়া ও প্রফেসর সুব্রত কুমার সাহা কলেজের প্রতি নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেন এবং সকলের কাছে দোয়া ও শুভকামনা কামনা করেন। অনুষ্ঠানের শেষে অতিথিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে স্মারক উপহার প্রদান এবং মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে বিদায় সংবর্ধনা শেষ হয়।
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে, প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে পোস্টাল ভোট নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আশু সুস্থতা কামনায় পর্তুগাল বিএনপির উদ্যোগে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার স্থানীয় সময় লিসবনের একটি হল রুমে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পর্তুগাল বিএনপির আহবায়ক আবু ইউসুফ তালুকদার। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সদস্য সচিব ছায়েফ আহমেদ সুইট। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খোকন বলেন— “জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস বাংলাদেশের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই দিনের প্রকৃত তাৎপর্য আমাদের নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে। আজ আমাদের প্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতায় আমরা গভীর উদ্বিগ্ন। মহান আল্লাহ যেন তাঁকে দ্রুত সুস্থতা দান করেন।” তিনি পর্তুগাল বিএনপির সফল আয়োজনের প্রশংসা করে আরও জানান, দলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের কাজ শেষ হয়েছে এবং খুব শিগগিরই তা ঘোষণা করা হবে। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে অসাংগঠনিক কার্যক্রম করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও তিনি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন। সভাপতির বক্তব্যে আহবায়ক আবু ইউসুফ তালুকদার বলেন— “পর্তুগালে বসবাসরত যোগ্য ও সক্রিয় নেতাকর্মীদের নিয়েই পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হবে। পদ-পদবীর লোভে যারা অসাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হবেন, তাদের বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” সদস্য সচিব ছায়েফ আহমেদ সুইট প্রবাসীদের পোস্টাল ভোট দেওয়ার সকল নিয়ম-কানুন বিস্তারিত ব্যাখ্যা করে বলেন— “দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক নিয়মে পোস্টাল ভোট দিলে দেশ ও গণতন্ত্র শক্তিশালী হবে।” তিনি ৫ আগস্ট বেগম জিয়ার সাথে ফিরোজায় সাক্ষাতের সময় পর্তুগাল বিএনপি ও প্রবাসীদের বিষয়ে যেসব আলোচনা হয়েছিল—সেগুলোর কথাও তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন— যুগ্ম আহবায়ক শামসুজ্জামান জামান, মিজানুর রহমান শাহ জামাল, এম কে নাসির, সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদ আহমেদ ফাহিম, পর্তুগাল বিএনপির সদস্য বদরুল আলম, শাহাব উদ্দীন, রুবেল চৌধুরী, জুবেল আহমদ, জায়েদ আহমদ, বেজা বিএনপির সভাপতি মইনুল ইসলাম, সান্তারাইম বিএনপির আহবায়ক সোহেল চৌধুরী, আলগ্রাভ বিএনপি নেতা এম তাহের, সেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল আজীম চৌধুরী গিলমান, বিএনপি নেতা আলী আকবর জুয়েল, কাজী জুয়েল, শাহান উমর, সোহেল মিয়া, জাসাস সদস্য সচিব কাজী মইনুর, যুবদল নেতা মাজেদ আহমদ সামী, এস এম কাওসার আলম, মর্তুজ আলী, যুবনেতা আব্দুল ওয়াদুদ মোহন প্রমুখ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন— আব্দুল আজিজ, মহদ আজাদ, মন্জুর এলাহী, মাহাদী মুন্না, আব্দুল ওয়াদুদ অনিক, দেলোয়ার খান, আরাফাত, আদনান ওলি, নাইম, তারেক, শুভ, ইকবাল, রাফিউজ্জামান খান, সায়েম তালুকদার, মসতফা কামাল, আলমগির হোসেন, মোহাম্মদ সৈইকত, আহমদ লিমন, রিয়াদ আহমদ, রাশেদ মাহমুদ, আবু নাইম, পাপ্পু হাসান, রাহিদ মিয়া, এস কে মুহিব, সামাদ রাজিবসহ আরও অনেকে। এছাড়া ভেজা বিএনপি থেকে উপস্থিত ছিলেন—আবু বকর, শফিক মিয়া, জদর আলী, আতিকুর রহমান, মাহবুব আলম, আলাল আহমদ, জামিল আহমেদ, শাওন মিয়া, শামসুল হক। আল্গ্রাভ বিএনপি থেকে উপস্থিত ছিলেন—আবু সাইদ, মো. নুরুজ্জামান, মো. তাহির হোসেন, মো. দেলওয়ার হোসাইন, মো. ইমরান প্রমুখ। আলোচনা শেষে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি, দীর্ঘায়ু, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর আত্মার মাগফিরাত, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ সম্পন্নতা এবং দেশের সার্বিক শান্তি, উন্নয়ন ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন লিসবন বায়তুল মোকাররম মসজিদের খতিব মাওলানা কায়েস আহমেদ আব্দুল্লাহ।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান ও নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী বরকত উল্লাহ বুলু। এইসময় রোগমুক্তির জন্য মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মোনাজাত করেন চৌমুহনী কাচারি বাড়ি জামে মসজিদের খতিব মাওলানা কবির আহমেদ। এই সময় তিনি জাতির ক্লান্তি লগ্নে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিভিন্ন কর্মকান্ড সামনে এনে আল্লাহর কাছে তার রোগ মুক্তি হয়ে জাতির নেতৃত্বে আবার এসে সুন্দর বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার জন্য দোয়া করেন। আজ দুপুরে বেগমগঞ্জের সেন্টাল কমিউনিটি সেন্টার এ দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন বেগমগঞ্জ ১৬ইউনিয়ন ও চৌমুহনী পৌরসভার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। এইসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নোয়াখালী জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য শামীমা বরকত লাকী। চৌমুহনী পৌরসভা বিএনপির আহবায়ক জহির উদ্দিন হারুন এর সভাপতিত্বে ও যুবদলের আহবায়ক রুস্তম আলী সঞ্চালনায় দোয়া মাহফিলে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেগমগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কামাখ্যা চন্দ্র দাস, বেগমগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ মাহফুজুল হক আবেদ, যুগ্ম-আহবায়ক নাজমুল গনি চৌধুরী (মান্না), যুগ্ম আহবায়ক মীর জুমলা (মিঠু)। চৌমুহনী পৌরসভা বিএনপি সদস্য সচিব মোঃ মহসিন আলম, যুগ্ম-আহবায়ক ইসমাইল হোসেন দুলাল। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বেগমগঞ্জ উপজেলা ওলামা দলের আহ্বায়ক কাজী মাওলানা আবদুল আলী ও সদস্য সচিব মাকসুদুর রহমান। বেগমগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল আমিন, সেচ্চাসেবক দলের আহ্বায়ক সুমন এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বেগমগঞ্জ উপজেলা, চৌমুহনী পৌরসভার বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ
মাগুরা-১ আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আলহাজ্ব আব্দুল মতিনের নেতৃত্বে বিশাল গণমিছিল ও নির্বাচনী জনসভা ২৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বিকালে শ্রীপুর মিনি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাদ আছর উক্ত স্টেডিয়ামে জনসভা শেষে সুশৃঙ্খল বিশাল গণমিছিল শ্রীপুর ও খামারপাড়ার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শ্রীপুর মিনি স্টেডিয়ামে এসে মাগরিবের নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে জামায়াত নেতা আব্দুল মতিন নেতাকর্মীদের নিয়ে এলাকার বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরার সদস্য, যশোর–কুষ্টিয়া অঞ্চলের টিম সদস্য এবং মাগুরা-১ আসনের জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আলহাজ্ব আব্দুল মতিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরার অন্যতম সদস্য ও সাবেক ছাত্রনেতা সহকারী অধ্যাপক মাওলানা এম বি বাকের, জেলা জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর সহকারী অধ্যাপক মাওলানা সাইদ আহমেদ বাচ্চু। উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর সহকারী অধ্যাপক মাওলানা ফখরুদ্দিন মিজানের সভাপতিত্বে ও উপজেলা সেক্রেটারী মোল্লা মিজানুর রহমান সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাবেক নেতা মোঃ আনিস উদ্দিন, মাগুরা জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি আমিন উদ্দিন আশিকসহ অন্যরা। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা মাহবুবুর রহমান, জেলা জামায়াতে ইসলামীর যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক মাওলানা রবিউল ইসলাম, জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সভাপতি মোঃ ইব্রাহিম বিশ্বাস, মাগুরা সদর উপজেলা জামায়াতের আমীর সহকারী অধ্যাপক ফারুক হুসাইন, মাগুরা পৌর আমীর সহকারী অধ্যাপক আশরাফুল আলম, শ্রীপুর উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর কাজী আব্দুল আউয়াল সবুর,সাবেক উপজেলা সেক্রেটারী মাওলানা মোঃ আমিরুল ইসলাম,সদর ইউনিয়ন আমীর মাওলানা মোঃ ইনছান আলীসহজেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ। বক্তারা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের পক্ষে জনগণের সমর্থন অর্জনে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-১ (ধর্মপাশা,মধ্যনগর,তাহিরপুর ও জামালগঞ্জ)আসনের বিএনপির মনোনীত ধানের শীষের মনোনীত প্রার্থী আলহাজ¦ আনিসুল হকের সমর্থনে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় উপজেলা সদরে মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ধর্মপাশা উপজেলা বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের আয়োজনে ধর্মপাশা বাজারে ধানের শীষের পক্ষে বিশাল ঐক্যবদ্ধ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য, সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মোতালেব খানের সভাপতিত্বে ও ধর্মপাশা উপজেলা বিএনপির আহবায়ক লিয়াকত আলীর নেতৃত্বে বিশাল মিছিল পরবর্তী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ধর্মপাশা উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান আহবায়ক কমিটির সদস্য কাজী মাজহারুল হক, উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি ডাঃ নুরুল আমীন, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির ১নং যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল হক,উপজেলা বিএনপির ২য় যুগ্ম আহবায়ক এস এম রহমত, উপজেলা বিএনপির ৪র্থ যুগ্ম আহবায়ক জুলফিকার আলী ভূট্রো, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট সাইফুল ইসলাম চৌধুরী কামাল, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন মন্টু, মামুনুর রশীদ শান্ত, আফজাল হোসেন স্বপন, মাহবুবুল আলম হাদিস, উপজেলা বিএনপির সাবেক ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ফারুক আহমেদ, ধর্মপাশা উপজেলা যুবদলের আহবায়ক শওগত আলী ব্যাপারী,উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল হেকিম, যুগ্ম আহবায়ক মেহেদী হাসান উজ্জ্বল,যুগ্ম আহবায়ক সাইনুর হক, যুগ্ম আহবায়ক ইকবাল হোসেন, যুগ্ম আহবায়ক শাহ আলম প্রিন্স, যুগ্ম আহবায়ক শওকত আলী, উপজেলা যুবদলের সদস্য চন্দন খাঁন, নাজমুল হোসেন সোহেল, রুকন উদ্দিন ব্যাপারী, ইমরান আহমেদ লিটন, হুমায়ুন আহমেদ মারুফ, ধর্মপাশা উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি ফারক আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক কবির মজুমদার মিলন,ধর্মপাশা উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আবু তাহের,সাধারন সম্পাদক আবুল কাশেম,উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক নুরুল আমিন নুরু,সদস্য সচিব তোফায়েল আহমেদ সোহাগ, ধর্মপাশা উপজেলা মৎস্যজীবী দলের আহবায়ক মিশর আহমেদ, সদস্য সচিব রোমান আহমেদ, ধর্মপাশা উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এম হাবিবুল্লাহ,যুগ্ম আহবায়ক রোমান আহমেদ, তানভীর হাসান রাজ, উপজেলা ছাত্রদল নেতা তানভীর আহমেদ, গালিব আহমেদ চৌধুরী, ধর্মপাশা সরকারি ছাত্রদলের সদস্য সচিব আনসারুল হক, যুগ্ম আহবায়ক রাহাত তালুকদার, ইকবাল আহমেদ, আরিয়ান আহমেদ মেহেদী, বাদশাগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি সামিউল হক সৌরভ, সিনিয়র সহ-সভাপতি সানি আহমেদ বাদল, ধর্মপাশা উপজেলা নবীন দলের আহবায়ক জুয়েল রানা, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক হিরা মিয়া প্রমূখ। নেতৃবৃন্দরা বলেছেন,আমরা সবাই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি দল বিএনপিসহ সহযোগি সংগঠনের বিভিন্নস্তরের কর্মী। আমরা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক ঘোষিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়ন ও ধানের শীষের পক্ষে জনমত গঠনের লক্ষ্যে এই আসনে ধানের শীষের প্রার্থী আনিসুল হকের পক্ষের সমর্থনে আমরা সর্বস্তরের জনসাধারনকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। তারা বলেন আনিসুল হক একজন শিক্ষিত ন¤্র ভদ্র সামাজিক মানুষ তিনি ফেব্রæয়ারীর নির্বাচনে বিজয়ী হলে এই আসনের চারটি উপজেলার হিন্দু,মুসলিম ,বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান সকল ধর্মের মানুষের মৌলিক অধিতকার শিক্ষা,স্বাস্থ্য,বাসস্থান ও যোগাযোগ ব্যবস্থার বৈøপ্লবিক পরিবর্তন সাধন হবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বিগত ১৬/১৭টি বছর যারা এই আসনে প্রতিনিধিত্ব করেছেন তারা জনগনের ভাগে্যঁও পরিবর্তে নিজেরা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনেছেন। কাজেই যোগ্য এবং সৎ নেতৃত্বে বা জনপ্রতিনিধি ছাড়া হাওরের এই আসনের মানুষের ভাগ্যেও পরিবর্তন কথনো সম্ভব না। তাই আগামীতে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে আনিসুল হকের কোন বিকল্প নেই। এজন্য এই আসনের চারটি উপজেলার ভোটারগণ নির্বাচনে আনিসুল হককে বিপুল ভোটে জয়লাভ করাতে বদ্ধ পরিকর।
মোস্তফা মাসুদ: বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাতক্ষীরা–৩ (আশাশুনি–কালীগঞ্জ) আসনের ধানের শীষের প্রার্থী সাবেক এমপি কাজী আলাউদ্দিন বলেছেন, আশাশুনি–কালীগঞ্জে সন্ত্রাস, দখলবাজি ও চাঁদাবাজির কোনো স্থান হবে না। জনগণের অধিকার, সম্পদ ও সম্মান রক্ষায় আমি সব সময় দৃঢ় অবস্থানে ছিলাম, আগামীতেও থাকব। চম্পাফুল ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের নিয়ে আয়োজিত নির্বাচনী উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।কাজী আলাউদ্দিন আরও বলেন, সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের নিরাপত্তা, ধর্মীয় স্বাধীনতা ও পূজা–পার্বণে নির্বিঘ্ন পরিবেশ নিশ্চিত করা আমি অতীতেও করেছি, ভবিষ্যতেও এটিই হবে আমার প্রথম দায়িত্ব। এ সময় তিনি বলেন, আমি এই দূর্গত থালনায় একটি সাইক্লোন সেল্টার করে দিয়েছি, নির্বাচিত হলে আরও ২টি সাইক্লোন সেল্টার করার ব্যবস্থা করবো, শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করব।তিনি দাবি করেন, তার তৎকালীন নির্বাচনী এলাকার ১৭টি ইউনিয়নের প্রতিটি মন্দিরে তিনি নিয়মিত অনুদান দিয়েছেন এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় সর্বোচ্চ ভূমিকা রেখেছেন। দখল ও চাঁদাবাজি রোধে অতীতের মতো ভবিষ্যতেও কঠোর অবস্থানে থাকার ঘোষণা দেন তিনি। পাশাপাশি ধানের শীষে ভোট দিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান।উঠান বৈঠক শেষে কাজী আলাউদ্দিনের একক প্রচেষ্টায় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দকৃত অর্থ চম্পাফুল ইউনিয়নের থালনা মন্দির কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এসময় তিনি বিএনপির চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন। সভায় ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি কৃষ্ণপদ সেনের সভাপতিত্বে এবং কালিগঞ্জ উপজেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক মো. রোকনুজ্জামানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সদস্য শেখ হেদায়েতুল ইসলাম, কালিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব শেখ শফিকুল ইসলাম (বাবু), সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আকতারুজ্জামান (বাপ্পী), চম্পাফুল ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আবুল কালাম গাজী প্রমুখ।এতে জেলা উপজেলা, ও ইউনিয়ন বিএনপির বিভিন্ন নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে দোয়া মাহফিল টাঙ্গাইলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল কোর্ট মসজিদে জেলা বিএনপির উদ্যোগে এ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। দোয়া মাহফিলে অংশ নেয় কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল, সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুর রহমান সানু, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক কাজী শফিকুর রহমান লিটন, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রৌফ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক তারিকুল ইসলাম ঝলক, সদস্য সচিব সালেহ মোহাম্মদ সাফি ইথেন, জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব এমএ বাতেন, সদর উপজেলা শ্রমিকদলের সভাপতি আমিনুর রহমান সুমন প্রমুখ। এ সময় বিএনপির অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। তারেক রহমান ১৯৬৫ সালের এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন।
উচ্চ আদালতের জামিনে মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকী রোববার (১৬ নভেম্বর) ঢাকার শাহবাগ থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজিরা দিয়েছেন। ৮৬ বছর বয়সী লতিফ সিদ্দিকী এদিন ছোটভাই কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আব্দুল কাদের সিদ্দিকীকে সঙ্গে নিয়ে আদালতে হাজির হন। তার আইনজীবী রেজাউল করিম হিরণ আদালতে আবেদন করে বলেন, ‘বয়স ও স্বাস্থ্যগত কারণে হাজিরা আইনজীবীর মাধ্যমে দেওয়ার অনুমতি প্রার্থনা করছি।’ আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন। ফলে লতিফ সিদ্দিকীকে আর সশরীরে হাজিরা দিতে হবে না। হাজিরা শেষে ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে তারা আদালত প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন। মামলাটি ২৮ আগস্ট ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে মুক্তিযুদ্ধ ও সংবিধান বিষয়ক এক আলোচনা সভায় ‘মব’ হামলার ঘটনায় দায়ের হয়। ওই দিন লতিফ সিদ্দিকী, সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম পান্নাসহ ১৬ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়। পরদিন শাহবাগ থানায় তাদের বিরুদ্ধে ‘দেশকে অস্থিতিশীল করা ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়। প্রসঙ্গত, ৬ নভেম্বর হাই কোর্ট লতিফ সিদ্দিকী ও মঞ্জুরুল পান্নাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেয়। এরপর জামিনের নথি পৌঁছানোর পর ১২ নভেম্বর কেরাণীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান। মামলায় আরও গ্রেপ্তার হয়েছেন সাবেক সচিব ভূঁইয়া সফিকুল ইসলাম ও আবু আলম শহীদ খান। অন্যান্য অভিযুক্তরা হলেন মো. আব্দুল্লাহ আল আমিন, শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন, মঞ্জুরুল আলম, কাজী এ টি এম আনিসুর রহমান বুলবুল, গোলাম মোস্তফা, মো. মহিউল ইসলাম, মো. জাকির হোসেন, মো. তৌছিফুল বারী খান, মো. আমির হোসেন সুমন, মো. আল আমিন, মো. নাজমুল আহসান, সৈয়দ শাহেদ হাসান, মো. শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, দেওয়ান মোহম্মদ আলী ও মো. আব্দুল্লাহীল কাইয়ুম।
টাঙ্গাইলের গোপালপুরে নির্বাচন অফিসে হামলা ভাঙচুরের ঘটনায় পৌর বিএনপির সভাপতি-সম্পাদকসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়েছে। সোমবার বিকালে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা করেন। মামলায় উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী লিয়াকত আলী, পৌর বিএনপির সভাপতি খালিদ হাসান উত্থান, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. লিটন, যুগ্ম সম্পাদক মহির উদ্দিন ও যুবদল নেতা কামরুল ইসলাম, পৌর ছাত্রদলের সভাপতি মো. তুহিনসহ অজ্ঞাত আরও ১২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর আগে সোমবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে হামলা করা হয়। এ ঘটনায় কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এছাড়াও নির্বাচন অফিস এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। মামলায় উল্লেখ করা হয়, সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় খালিদ হাসান উত্থান ও কাজী লিয়াকত আলীর নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান। তাদের কী সেবা দিতে হবে জানতে চাইলে বিএনপির নেতাকর্মীরা কর্মকর্তাদের বলেন- তোরা আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতেছিস। এ সময় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। এর প্রতিবাদ করলে নির্বাচন কর্মকর্তার ওপর হামলা ও ভাঙচুর চালায়। কয়েকজন ভিডিও ধারণ করতে গেলে তাদের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এতে অন্তত ৮০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম, সহকারী উপজেলা নির্বাচন অফিসার আবু রায়হান, ডাটা এট্রি অপারেটর আমজাদ হোসেনসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। ঘটনার পর টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান, জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা তাজুল ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ডাটা এন্ট্রি অপারেটর আমজাদ হোসেন বলেন, আমরা শুধু ফিরাতে গিয়েছিলাম। কাউকে কোনো কিছু বলিনি। আওয়ামী লীগের ট্যাগ দিয়ে আমাদের বেদম মারধর করা হয়েছে। যেখানে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়নি, তার আগেই নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। আমরা এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করি। মামলার বাদী গোপালপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কাজে আসেন। সোমবার এসেই তারা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ আওয়ামী লীগের ট্যাগ দেওয়া শুরু করেন। আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমাদের অফিসে নিরাপত্তা জোরদার করার দাবি করছি। জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. তাজুল ইসলাম বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। বিষয়টি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি। তাদের কাছে জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় নিরাপত্তার জোরদারের দাবি করেছি। এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের শাস্তি দাবি করছি। এছাড়াও জাতীয় নির্বাচনের আগে এমন হামলা হবে তা আমরা কখনও কল্পনাও করিনি। এ বিষয়ে গোপালপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মামুন ভূঞা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সরকারি কর্মচারীদের ওপর হামলার ঘটনাটি ন্যক্কারজনক। তাদের কোনো ভুল থাকলে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসককে অবগত করতে পারত। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মোস্তফা মাসুদ: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে ধানের শীষের গণজাগরণ সৃষ্টি ও জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের বিপক্ষে জনমত গঠনের লক্ষ্যে আগামী ২ নভেম্বর রোববার অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের সমাবেশ ও মিছিল সফল করার প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।বিকাল ৪টায় কালিগঞ্জের ভদ্রখালী বিএনপি অফিসে এ প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কালিগঞ্জ উপজেলা জাসাসের আহ্বায়ক মোঃ মুরশিদ আলী।সভা পরিচালনা করেন কালিগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী শরিফুল ইসলাম।সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কালিগঞ্জ উপজেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মোঃ রোকনুজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব মোঃ আরিফুর রহমান ছোটন, যুগ্ম আহ্বায়ক শরিফুল হালদার, উপজেলা জাসাসের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শাহাজান আলী, কালিগঞ্জ সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব ওমর ফারুকসহ ১২ ইউনিয়নের কৃষকদল, জাসাস ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতৃবৃন্দ। সভায় বক্তারা বলেন,“ধানের শীষ আজ জনগণের মুক্তির প্রতীক।জাতীয় নির্বাচনের নামে ভোটবিহীন নাটক ঠেকাতে এখনই ঐক্যবদ্ধ গণজাগরণ গড়ে তুলতে হবে। জনগণই বিএনপির শক্তি, আর সেই শক্তিতেই আসন্ন আন্দোলন সফল হবে।”নেতৃবৃন্দ আগামী ২ নভেম্বরের কালিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সমাবেশ ও মিছিল সফল করার জন্য সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
মোস্তফা মাসুদ: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও দেশনায়ক তারেক রহমান কর্তৃক ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মাঠে নেমেছেন দলের নিবেদিতপ্রাণ নেতা ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য,সাবেক সংসদ সদস্য কাজী আলাউদ্দিন ।শনিবার (১ নভেম্বর) বিকেলে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা ইউনিয়নের বিভিন্ন দোকান ও বাজারে তিনি লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় তিনি ব্যবসায়ী, শ্রমজীবী ও সাধারণ মানুষের হাতে হাতে ৩১ দফার লিফলেট তুলে দেন এবং তাদের সামনে রাষ্ট্র পুনর্গঠনের অঙ্গীকার ব্যাখ্যা করেন। কাজী আলাউদ্দিন বলেন,“দেশনায়ক তারেক রহমানের ৩১ দফা কেবল একটি রাজনৈতিক অঙ্গীকার নয়, এটি হলো ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনের রূপরেখা। এই দফাগুলো বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশে গণতন্ত্র, জবাবদিহিতা, ন্যায়বিচার ও জনগণের প্রকৃত অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। তিনি আরও বলেন,“আজ দেশ দুঃশাসন, দারিদ্র্য, মিথ্যা মামলা ও ভয়-ভীতি নির্ভর রাজনীতির অন্ধকারে। আমরা জনগণের শক্তিতে সেই অন্ধকার ভেদ করে আলোর পথে এগিয়ে যাব। লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন কালিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শেখ এবাদুল ইসলাম,কুশুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপি'র সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো: হাসানুর রহমান,মথুরেশপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নাজমুল ইসলাম বাবু, কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আল-মাহমুদ ছোট্টু ও সাধারণ সম্পাদক আফজাল গাজী, মৌতলা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলমগীর হোসেন ও সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান আকুল, কালিগঞ্জ উপজেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক মোঃ রোকনুজ্জামান, ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেদোয়ান ফেরদৌস রনি, দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জুলফিকার আলি ও সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান পাড়,রতনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান,কালিগঞ্জ উপজেলা জাসাসের আহ্বায়ক মুরশিদ আলী, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী শরিফুল ইসলাম, এবং ছাত্রদলের জাকির হোসেন প্রমুখ। স্থানীয় জনতার সঙ্গে কুশল বিনিময় কালে কাজী আলাউদ্দিন বলেন,এই রাষ্ট্র মেরামতের আন্দোলন কোনো দলের নয়—এটি জনগণের মুক্তির আন্দোলন। মিথ্যা মামলা, দুর্নীতি ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জনগণই হবে আগামী পরিবর্তনের মূল শক্তি। জাতীয় রাজনীতিতে নতুন আলো ছড়ানোর প্রত্যয়ে বিএনপির এই গণসংযোগ কর্মসূচি নলতা থেকে ছড়িয়ে পড়ছে পুরো কালিগঞ্জে।
হকার্স সমবায় সমিতি লিঃ " পক্ষ থেকে ৬ অক্টোবর বিকালে বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আরিফুর রহমান কতৃক সমিতির সচিব আবুল খায়ের রাসেল ও সমিতির পিয়ন মমিন উল্যাহ সুমনকে মারধর ও সমিতির অফিসের আলমারি ডয়ার তল্লাশী করে এবং তান্ডবের প্রমাণ মুছে দিতে সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক খুলে নিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে সমিতির পরিচালকবৃন্দ এ সময় সাংবাদিকদের সামনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হকার্স সমবায় সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান হাজী মোঃ ইউছুপ। তিনি অভিযোগ করে বলেন, সমিতি প্রতি বছর চৌমুহনী পৌরসভাকে প্রায় ২ লাখ ৩৪ হাজার টাকা হোল্ডিং ট্যাক্স প্রদান করে। অথচ পৌর প্রশাসক মার্কেটের রাস্তায় পৌরসভার লাইটগুলো বন্ধ করে দিয়েছেন, সুইপারদের প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। ফলে মার্কেটে ছয় মাস ধরে ময়লা-আবর্জনা স্তুপ হয়ে আছে,যা ব্যবসায়ীদের জন্য ভোগান্তি তৈরি করছে। তিনি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন,আমরা সংবাদপত্রের মাধ্যমে জাতির বিবেক সাংবাদিক সমাজের কাছে আবেদন জানাচ্ছি,আমাদের সমিতিকে বাঁচান। দ্রুত সময়ের মধ্যে মার্কেটের ময়লা-আবর্জনা অপসারণের জন্য ব্যবস্থা নিন। তিনি আরও বলেন,মার্কেটের সামনে ইউ-টার্ন দেওয়ার কারণে বড় গাড়িগুলো মালামাল আনতে পারছে না। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে এই ইউ-টার্নটি অপসারণের দাবি জানাই। তিনি দুঃখের সঙ্গে আরও বলেন, মার্কেটের পানের আড়তের দক্ষিণ পাশে থাকা টয়লেটটি পরিত্যক্ত ঘোষণার পর এখন উত্তর পাশে নতুন টয়লেট নির্মাণের দাবি জানিয়েছি। এটি ব্যবসায়ীদের প্রাণের দাবি। তিনি বলেন,সমিতির নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত ডাস্টবিন ভেঙে দেওয়া হয়, দুই সদস্যের দোকানের সিঁড়িও ভেঙে ফেলা হয়। এমনকি অস্থায়ী খুঁটি ভেঙে সমিতির উন্নয়ন কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে। আমাদের নিজস্ব জায়গায় জোরপূর্বক বাথরুম নির্মাণের অপচেষ্টা চলছে। সমিতির অনুমোদিত ময়লা পরিস্কারের বক্স ও ব্যবসায়ীদের ৩০টি ভ্যান গাড়িও নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন,হাইকোর্ট ও জজকোর্ট কর্তৃক নিষেধাজ্ঞার সাইনবোর্ড পর্যন্ত ভেঙে ফেলা হয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে নির্বাহী কর্মকর্তা নিজ মুখে হাইকোর্টকে ‘হইরা কোর্ট’ বলে অবমাননাকর মন্তব্য করেন এবং অকথ্য ভাষায় সমিতির পরিচালকদের গালিগালাজ করেন। পরিচালনা পরিষদের ২৫জন সদস্যের উপস্থিতে এই সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মার্কেটের ব্যবসায়ী সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল মালেক। কোষাধ্যক্ষ ইসমাইল হোসেন দুলাল মার্কেটের সদস্য কাজী মোহাম্মদ আলী সহ আরো অনেকে। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী জেলা ও উপজেলা পযার্য়ের প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সাংবাদিকবৃ
মোস্তফা মাসুদ: উৎসবের আমেজে কালিগঞ্জের আট ইউনিয়নে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক বেছে নিতে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র ওয়ার্ড কাউন্সিলররা। রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টা থেকে বিরতিহীনভাবে বেলা ৩টা পর্যন্ত উপজেলার আট ইউনিয়নের প্রত্যেকটিতে একটি করে কেন্দ্রে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিটি ইউনিয়নের ৯ ওয়ার্ডের প্রত্যেকটিতে ৫১ জন করে মোট ওয়ার্ড কাউন্সিলর ছিল ৪৫৯। একাধিক প্যানেল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্য থেকে নেতৃত্ব নির্বাচনে ভোটাররা ছিল বেশ সচেতন। প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণাও ছিল চোখে পড়ার মতো। এ ছাড়াও সাধারণ মানুষের মাঝেও এ নির্বাচন নিয়ে ছিল বেশ কৌতুহল। বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র থেকে জানা গেছে, উপজেলার ১নং কৃষ্ণনগর ইউনিয়নে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন আল মাহমুদ ছট্টু, সাধারণ সম্পাদক আফজাল মোড়ল এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মাহামুদুল হাসান। ২নং বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে সভাপতি আলিম আর রাজি তাপস, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ মোস্তফা এবং সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মহিউদ্দীন। ৪ নং দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নে সভাপতি জুলফিকার আলী, সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান পাড় এবং সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজুর রহমান। ৫নং কুশুলিয়া ইউনিয়নে সভাপতি মোঃ হাসানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক কাজী তৌহিদ হাসান এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ হাসান সরদার। ৯ নং মথুরেশপুর ইউনিয়নে সভাপতি শেখ নাজমুল ইসলাম বাবু, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হেমায়েত আলী বাবু এবং সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বুলু। ১০ নং ধলবাড়িয়া ইউনিয়নে সভাপতি শেখ গোলাম মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক এবং সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম। ১১ নং রতনপুর ইউনিয়নেসভাপতি মোঃ শিহাব উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান আকাশ এবং সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ আব্দুল কাদের। ১২ নং মৌতলা ইউনিয়নে সভাপতি শেখ আলমগীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল কবীর এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আকুল হোসেন নির্বাচিত হয়েছেন। বিএনপির সাতক্ষীরা-৪ এর সাংগঠনিক টীমের নেতৃবৃন্দ উপজেলার ৮ ইউনিয়নের নির্বাচনী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সাতক্ষীরা জেলা সভাপতি এইচএম রহমাতুল্লাহ পলাশ ও সাধারণ সম্পাদক আবু জাহিদ ডাবলুসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেন। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন সম্পন্নের জন্য অব্যাহত প্রচেষ্টা চালান তারা।
ঘাগড়া কলেজ মিলনায়তনে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের রাঙ্গামাটি সদরস্থ কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নে অবস্থিত ঘাগড়া কলেজে'র আয়োজনে নবীন বরণ ও সংস্কৃতি অনুষ্ঠান -২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে চায়না চাকমা অধ্যক্ষ অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) ঘাগড়া কলেজ, কাউখালী, রাঙ্গামাটি জেলা এর সভাপতিত্বেঃ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিঃ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কাজী আতিকুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, কাউখালী, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ালীন খালেক,সহকারী কমিশনার ভুমি, কাউখালী, রাঙ্গামাটি জেলা। এসময় সকল শিক্ষার্থী এবং অভিভাবক সহ অত্র কলেজের শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন
সিলেটের সীমান্তবর্তী উপজেলা জকিগঞ্জের গণিপুরে আল হাবিব লতিফিয়া কমপ্লেক্স-এর চতুর্থ তলার নির্মাণ কাজ সমাপ্তির পর আনুষ্ঠানিকভাবে মাদরাসা কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। একই দিন সেখানে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়। আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা হিউম্যান কনসার্ন ইন্টারন্যাশনাল (এইচসিআই)-এর অর্থায়নে এবং বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সুশীলন-এর বাস্তবায়নে পরিচালিত এ প্রকল্প থেকে প্রায় ৩৫০ জন শিক্ষার্থী আধুনিক ও মানসম্মত মাদরাসা শিক্ষা লাভের সুযোগ পাবেন। মেডিক্যাল ক্যাম্পে প্রায় ২০০জনের বেশি মানুষ বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ গ্রহণ করেন। এ সময় শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ, স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা সেবা প্রদান করেন। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় আল হাবিব লতিফিয়া কমপ্লেক্স-এর মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সুশীলন কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে ভবনের চতুর্থ তলা মাদরাসা কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর শেষে উদ্বোধন ঘোষণা করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সুশীলন লিমিটেড-এর উপ পরিচালক মোস্তফা বকলুজ্জামান, মনিটরিং অফিসার কাজী ফয়সাল কবির এবং প্রজেক্ট কো অর্ডিনেটর মো. আরিফ হোসেন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন আল হাবিব লতিফিয়া কমপ্লেক্স-এর চেয়ারম্যান মোস্তফা আল হাসান, চিকিৎসা প্রদান করেন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. হুয়ায়ন রশিদ, গাইনী বিশেষজ্ঞ ডা. ফারহানা আক্তার, শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. তৌহিদ চৌধুরী। বক্তারা বলেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে এ ধরনের উদ্যোগ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং ভবিষ্যতে স্থানীয় জনগণের কল্যাণে টেকসই দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। চিকিৎসা নিতে আসা এক কিশোরী জানান, কিছু গোপনীয় সমস্যায় কয়েক মাস ভুগছিলাম, কিন্তু ব্যয়বহুল হওয়ায় চিকিৎসা নিতে পারিনি। এখান থেকে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ পেয়েছি। এজন্য কৃতজ্ঞতা জানাই। আল হাবিব লতিফিয়া কমপ্লেক্স-এর চেয়ারম্যান মোস্তফা হাসান চৌধুরী গিলমান বলেন, এই অবদান আমাদের প্রতিষ্ঠানের জন্য ঐতিহাসিক। সুশীলন ও এইসসিআই'র মহৎ সহযোগিতার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ এবং ভবিষ্যতেও তাদের পাশে চাই। সুশীলনের উপ পরিচালক মোস্তফা বকলুজ্জামান বলেন, সুশীলন সবসময় সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করে আসছে। আমরা শুধু অবকাঠামো নয়, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে কাজ করছি এবং ভবিষ্যতেও এই অঞ্চলে কাজ করার জন্য আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
২৮ বর্ডারগার্ড ব্যাটালিয়ান(বিজিবি)”র সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার পেকপাড়া বিওপি কর্তৃক বাংলাবাজার ইউনিয়নের মোকামছড়া নামকস্থানে টহলরত অবস্থায় একদল সংঘবদ্ধা চোরাকারবারীচক্র সীমান্ত অতিক্রম করে ভারত থেকে অবৈধভাবে একটি গরুুর চালান বাংলাদেশে নিয়ে আসার সময় সীমান্ত বাহিনী বিজিবি”র সদস্যরা ধাওয়া করলে তাদের উপর ইট পাটকেল,বাঁশের লাঠি,হাসুয়া ও চাকু দিয়ে হামলা চালায়। এতে সীমান্ত বাহিনী বিজিবি”র সদস্যরা আহত হন। ঘটনাটি ঘটেছিল চলতি বছরের গত ২২ মার্চ বিকেলে। এই ঘটনায় গত ২৪ মার্চ বিজিবি” বাদি হয়ে স্থানীয় দোয়ারাবাজার থানায় হামলাকারী ৮জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করা হয়। যার মামলা নং- ২৪/৭২। এই হামলার ঘটনায় গত ১২ আগষ্ট স্থানীয় বিজিবি”র সহায়তায় দোয়ারাবাজার থানা পুলিশ ৫ ও ৭ নম্বর আসাসমীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন। গ্রেফতারকৃতরা হলেন দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের পেকপাড়া গ্রামের সমশের আলীর ছেলে চোরাকারবারী খোকন মিয়া(৩২),একই গ্রামের লিচু মিয়ার ছেলে সিরাজ মিয়া(২৭) । অপরদিকে ২৮ বর্ডারগার্ড ব্যাটালিয়ান(বিজিবি)”র সীমান্তবর্তী তাহিরপুর উপজেলার লাউরগড় বিওপি কর্তৃক লাউরগড় এলাকায় একটি চিহিৃত সংঘবদ্ধ চোরাকারবারীচক্র সীমান্ত অতিক্রম করে অবৈধপস্থায় ভারত থেকে অবৈধ ভারতীয় পণ্য বাংলাদেশে নিয়ে আসার সময় লাউরগড় বিওপি”র কমান্ডারসহ টহলদলের সদস্যরা চ্যালেঞ্জ করলে চোরাকারবারীচক্র বিজিবি”র সদস্যদের উপর অতর্কিতে হামলা চালিয়ে তাদের আহত করেন। ঘটনাটি ঘটেছিল গত ৬ ই আগষ্ট বিকেলে। এই হামলায় বিজিবি”র সদস্যরা আহত হন এবং একটি স্প্রীডবোড ক্ষতিসাধিত হয়। এই ঘটনায় বিজিবি”র পক্ষ থেকে হামলার সাথে জড়িত ৪জন চোরাকারবারীকে আসামী করে তাহিরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। যার মামলা নং -০৬,তারিখ-০৬/০৮/২০২৫ইং। এই হামলার ঘটনায় গত ১২ই আগষ্ট স্থানীয় বিজিবি”র সহায়তা তাহিরপুর থানা পুলিশ মামলার ২ নং,৩নং ও ৪নং আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন। গ্রেফতারকৃতরা হলেন তাহিরপুর উপজেলার লাউরগড় গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিনের ছেলে চোরাকারবারী মোঃ আলী(২৫),সাহিদাবাদ গ্রামের মৃত আবু বক্করের ছেলে মোঃ আজবিরুল ইসলাম(২৫) ও লাউরগড় গ্রামের মোস্ত মিয়ার ছেলে মোঃ কাজী মিয়া(৩০)। এ ব্যাপারে ২৮ বর্ডারগার্ড ব্যাটালিয়ান(বিজিবি)”র সুনামগঞ্জ অঞ্চলের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল একেএম জাকারিয়া কাদির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,পাশর্^বর্তী ভারতের সাথে সুনামগঞ্জে কয়েকটি উপজেলায় ৯০ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকা রয়েছে এবং এই ৯০ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকা ১৯টি বিওপির সদস্যরা সার্বক্ষনিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে থাকেন। কিন্ত বর্তমানে চোরাকারবারীচক্রের সদস্যরা আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের উপর হামলা একটি নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাড়িঁয়েছে। তারপরেও আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা কঠোর অবস্থানের কারণে চোরাকারবারীদের অপতৎপরা রোধে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের কঠোর অবস্থানের জন্য তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদান নিশ্চিত করায় চোরাকারবারীদের মনোবল ভেঙ্গে পড়েছে। এইসব হামলাকারীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার কারণে আইন শৃংখলা বাহিনীর উপর হামলার ঘটনা অনেকাংশে কমে আসছে বলে মনে করেন তিনি।
তিনি ছিলেন মানবজাতির আদর্শ। তিনি অত্যন্ত উদার ও বিনয়ী ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক এবং একজন সাহসী যোদ্ধা। এছাড়াও তিনি একজন দক্ষ প্রশাসক, একজন দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক এবং একজন সফল প্রচারক ছিলেন। তিনিই উত্তম চরিত্র ও উদারতার একমাত্র উৎস। তিনি সকলের আদর্শহীন এবং প্রিয় ব্যক্তিত্ব। যার প্রেমে, দুনিয়া মাতাল। তিনি আমার আদর্শ, তিনি আমার নেতা। তিনি আমার নবী, আমাদের নবী এবং সকলের নবী। তিনি হলেন হযরত মুহাম্মদ (সা.) তিনি সর্বোত্তম আদর্শ। সমস্ত মানবজাতির জন্য করুণা। অন্ধকারে নিমজ্জিত বিশ্বের মানুষের জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে। তার অসাধারণ চরিত্র, মাধুর্য এবং অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব সবাইকে অবাক করেছে। মুমিনের চঞ্চল হৃদয় তাকে এক নজর দেখার জন্য আকুল হয়ে থাকে। কবি কাজী নজরুল বলেছেন: “বিচ্ছেদের রাত ছিল একাকার কান্নার ভোর; আমার মনে শান্তি নেই, আমি কাঁদছি। হে মদিনাবাসীর প্রেমিক, আমার হাত ধর।" তার নিষ্কলুষ চরিত্রের স্বীকৃতি দিয়ে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, "তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।" (সূরা আল-আহজাব, আয়াত 21)। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে আজ কিছু লোক সেই নবীর সম্মানকে অবমাননা করছে। হৃদয় ভেঙ্গে যায়। আমাদের ক্ষমা করুন, হে নবী! তিনি তার অবিস্মরণীয় ক্ষমা, উদারতা, সততা, নম্রতা প্রভৃতির বিরল মুগ্ধতা দিয়ে বর্বর আরব জাতির আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এজন্য তারা তাকে ‘আল-আমিন’ উপাধিতে ভূষিত করেন। তারা সর্বসম্মতিক্রমে স্বীকার করেছিল যে তিনি নম্র এবং গুণী ছিলেন। টাকা দিয়ে নয়, ভালো ব্যবহার দিয়ে তিনি বিশ্ববাসীকে জয় করেছেন। আল্লাহ তাঁর গুণাবলী সম্পর্কে কুরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই তুমি মহৎ চরিত্রের অধিকারী।’ (সূরা আল কালাম, আয়াত ৪)। তিনি কখনো মানুষকে তুচ্ছ করেননি। আত্মসম্মানবোধে তিনি কাউকে তুচ্ছ মনে করেননি। তিনি বিশ্বের হৃদয়ে উচ্চতর চরিত্রের একটি অনুপম মানদণ্ড স্থাপন করেছেন। নম্রতা তার চরিত্রে সর্বদা উপস্থিত ছিল। পৃথিবীর মানবতার কল্যাণে তাকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল শ্রেষ্ঠ আদর্শের বাস্তবায়নকারী ও প্রশিক্ষক হিসেবে। এ প্রসঙ্গে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমাকে আমার উত্তম চরিত্র পূর্ণ করার জন্য প্রেরিত করা হয়েছে।’ (মুসনাদে আহমদ, মিশকাত) ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন বিনয়ী এবং আচার-আচরণে অত্যন্ত বিনয়ী। দুর্বল ব্যক্তিকে কড়া কথায় আঘাত করবেন না। তিনি কোন মানুষকে তার সাধ্যের বাইরে অসাধ্য সাধন করতে বাধ্য করেননি। গরিব-অসহায় মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করতেন। তিনি লোকদেরকে তাদের আচরণে অপ্রয়োজনীয় রাগ ও রাগ থেকে সর্বদা বিরত থাকার উপদেশ দিতেন এবং মানুষকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন, “যে বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাকে উঁচু করে দেন এবং যে অহংকারী হয়, আল্লাহ তাকে লাঞ্ছিত করেন।” (মিশকাত) কাফেররাও তার কাছ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে সদয় ও নম্র আচরণ পেয়েছিল। তার অনুসারীরা তাকে উচ্চ সম্মানের সাথে ধরেছিল কারণ তিনি খুব নমনীয় এবং নম্র ছিলেন। হজরত আয়েশা (রা.) তার ভদ্র আচার-আচরণ সম্পর্কে বলেন, ‘নবী (সা.) রূঢ় বক্তা ছিলেন না, প্রয়োজনের সময়ও তিনি কঠোর ভাষা ব্যবহার করতেন না। প্রতিহিংসা তার সাথে ছিল না মোটেও। মন্দের বিনিময়ে ভালোই করেছেন। সব ক্ষেত্রেই তিনি ক্ষমা পছন্দ করতেন। তিনি লোকদেরকে উপদেশ দিয়েছিলেন, “আল্লাহর ইবাদত কর, করুণাময় প্রভু, ক্ষুধার্তকে খাবার দাও, সালাম দাও এবং এসব কাজের মাধ্যমে জান্নাতে প্রবেশ কর। তিনি উত্তর দিলেন, "ক্ষুধার্তকে খাওয়ানো এবং অপরিচিত সকলকে সালাম করা।" (বুখারী ও মুসলিম)। মহানবী (সা.)-এর মর্যাদাকে সম্মান করা মুসলমানদের ধর্মীয় কর্তব্য এবং প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানের মৌলিক অংশ।
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”
মাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৩৩৪তম পর্বে নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে নিয়ামত কমে যাবে কি না, সে বিষয়ে ঢাকা থেকে চিঠির মাধ্যমে জানতে চেয়েছেন একজন দর্শক। অনুলিখন করেছেন জান্নাত আরা পাপিয়া। প্রশ্ন : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে? উত্তর : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা কুফরি। এটা বড় কুফরি না, ছোট কুফরি। যদি আল্লাহর বান্দারা আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করে থাকেন, তাহলে তাঁরা কুফরি কাজ করে থাকলেন। এ জন্য আল্লাহ কোরআনে স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘তোমরা আমার শুকরিয়া আদায় করো, আমার সঙ্গে কুফরি করো না।’ আল্লাহ যে নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন, আল্লাহর নিয়ামত লাভ করে সুন্দর জীবনযাপন করা, এটা যদি কেউ আল্লাহর কাছে সত্যিকার অর্থে তুলে ধরতে না পারে, তাহলে সে ব্যক্তি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া করলেন না, কুফরি করলেন। এই জন্য আল্লাহ সুরা দোহার শেষ আয়াতে বলেছেন, ‘তুমি তোমার রবের নিয়ামত প্রকাশ করো। কারণ, তোমার কাছে যখন নিয়ামত আসছে, তখন আল্লাহ পছন্দ করেন যে তুমি আল্লাহর এই নিয়ামতের বিষয়টি তুলে ধরবে।’ আল্লাহর কাছে বলবে, আল্লাহ আমাকে এই নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন। আল্লাহ নিয়ামতকে বান্দার কাছে তুলে ধরার জন্য বলেছেন, বহিঃপ্রকাশ করার জন্য বলেছেন। বহিঃপ্রকাশ দুই ধরনের হতে পারে। একটি হলো নিয়ামতের ব্যবহারের মাধ্যমে বহিঃপ্রকাশ করা। দ্বিতীয়ত, নিয়ামতের বিষয়টি হলো মানুষের কাছে নিয়ামত তুলে ধরবে। যাতে করে আল্লাহর প্রশংসা প্রকাশ পায়। নিয়ামতের শুকরিয়া যদি কেউ আদায় না করেন, তাহলে কুফরি হবে। আল্লাহ বলেছেন, যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করে থাক, তাহলে আমি আরো বৃদ্ধি করে দেব। বান্দারা যখন নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করবে, তখন আল্লাহ আরো নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করে দেন। আর যদি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা হয়, তাহলে আল্লাহ নিয়ামত কমিয়ে দেবেন এবং সেইসঙ্গে আরেকটি কঠিন বাণী আল্লাহ বলেছেন, ‘জেনে রাখো আল্লাহর কঠিন আজাবও তোমাদের জন্য অবধারিত থাকবে।’ নিয়ামতের শুকরিয়া শুধু মুখে আদায় করা যথেষ্ট নয়। কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর শুকরিয়া আমলের মাধ্যমে আদায় করো।’ সুতরাং বান্দারা শুকরিয়া আদায় করবে। শুকরিয়ার অনেকগুলো দিক রয়েছে, তার মধ্যে আমলের মাধ্যমে শুকরিয়া আদায় করা হলো শুকরিয়ার সর্বোচ্চ স্তর।
তিনি ছিলেন মানবজাতির আদর্শ। তিনি অত্যন্ত উদার ও বিনয়ী ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক এবং একজন সাহসী যোদ্ধা। এছাড়াও তিনি একজন দক্ষ প্রশাসক, একজন দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক এবং একজন সফল প্রচারক ছিলেন। তিনিই উত্তম চরিত্র ও উদারতার একমাত্র উৎস। তিনি সকলের আদর্শহীন এবং প্রিয় ব্যক্তিত্ব। যার প্রেমে, দুনিয়া মাতাল। তিনি আমার আদর্শ, তিনি আমার নেতা। তিনি আমার নবী, আমাদের নবী এবং সকলের নবী। তিনি হলেন হযরত মুহাম্মদ (সা.) তিনি সর্বোত্তম আদর্শ। সমস্ত মানবজাতির জন্য করুণা। অন্ধকারে নিমজ্জিত বিশ্বের মানুষের জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে। তার অসাধারণ চরিত্র, মাধুর্য এবং অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব সবাইকে অবাক করেছে। মুমিনের চঞ্চল হৃদয় তাকে এক নজর দেখার জন্য আকুল হয়ে থাকে। কবি কাজী নজরুল বলেছেন: “বিচ্ছেদের রাত ছিল একাকার কান্নার ভোর; আমার মনে শান্তি নেই, আমি কাঁদছি। হে মদিনাবাসীর প্রেমিক, আমার হাত ধর।" তার নিষ্কলুষ চরিত্রের স্বীকৃতি দিয়ে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, "তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।" (সূরা আল-আহজাব, আয়াত 21)। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে আজ কিছু লোক সেই নবীর সম্মানকে অবমাননা করছে। হৃদয় ভেঙ্গে যায়। আমাদের ক্ষমা করুন, হে নবী! তিনি তার অবিস্মরণীয় ক্ষমা, উদারতা, সততা, নম্রতা প্রভৃতির বিরল মুগ্ধতা দিয়ে বর্বর আরব জাতির আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এজন্য তারা তাকে ‘আল-আমিন’ উপাধিতে ভূষিত করেন। তারা সর্বসম্মতিক্রমে স্বীকার করেছিল যে তিনি নম্র এবং গুণী ছিলেন। টাকা দিয়ে নয়, ভালো ব্যবহার দিয়ে তিনি বিশ্ববাসীকে জয় করেছেন। আল্লাহ তাঁর গুণাবলী সম্পর্কে কুরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই তুমি মহৎ চরিত্রের অধিকারী।’ (সূরা আল কালাম, আয়াত ৪)। তিনি কখনো মানুষকে তুচ্ছ করেননি। আত্মসম্মানবোধে তিনি কাউকে তুচ্ছ মনে করেননি। তিনি বিশ্বের হৃদয়ে উচ্চতর চরিত্রের একটি অনুপম মানদণ্ড স্থাপন করেছেন। নম্রতা তার চরিত্রে সর্বদা উপস্থিত ছিল। পৃথিবীর মানবতার কল্যাণে তাকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল শ্রেষ্ঠ আদর্শের বাস্তবায়নকারী ও প্রশিক্ষক হিসেবে। এ প্রসঙ্গে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমাকে আমার উত্তম চরিত্র পূর্ণ করার জন্য প্রেরিত করা হয়েছে।’ (মুসনাদে আহমদ, মিশকাত) ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন বিনয়ী এবং আচার-আচরণে অত্যন্ত বিনয়ী। দুর্বল ব্যক্তিকে কড়া কথায় আঘাত করবেন না। তিনি কোন মানুষকে তার সাধ্যের বাইরে অসাধ্য সাধন করতে বাধ্য করেননি। গরিব-অসহায় মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করতেন। তিনি লোকদেরকে তাদের আচরণে অপ্রয়োজনীয় রাগ ও রাগ থেকে সর্বদা বিরত থাকার উপদেশ দিতেন এবং মানুষকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন, “যে বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাকে উঁচু করে দেন এবং যে অহংকারী হয়, আল্লাহ তাকে লাঞ্ছিত করেন।” (মিশকাত) কাফেররাও তার কাছ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে সদয় ও নম্র আচরণ পেয়েছিল। তার অনুসারীরা তাকে উচ্চ সম্মানের সাথে ধরেছিল কারণ তিনি খুব নমনীয় এবং নম্র ছিলেন। হজরত আয়েশা (রা.) তার ভদ্র আচার-আচরণ সম্পর্কে বলেন, ‘নবী (সা.) রূঢ় বক্তা ছিলেন না, প্রয়োজনের সময়ও তিনি কঠোর ভাষা ব্যবহার করতেন না। প্রতিহিংসা তার সাথে ছিল না মোটেও। মন্দের বিনিময়ে ভালোই করেছেন। সব ক্ষেত্রেই তিনি ক্ষমা পছন্দ করতেন। তিনি লোকদেরকে উপদেশ দিয়েছিলেন, “আল্লাহর ইবাদত কর, করুণাময় প্রভু, ক্ষুধার্তকে খাবার দাও, সালাম দাও এবং এসব কাজের মাধ্যমে জান্নাতে প্রবেশ কর। তিনি উত্তর দিলেন, "ক্ষুধার্তকে খাওয়ানো এবং অপরিচিত সকলকে সালাম করা।" (বুখারী ও মুসলিম)। মহানবী (সা.)-এর মর্যাদাকে সম্মান করা মুসলমানদের ধর্মীয় কর্তব্য এবং প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানের মৌলিক অংশ।
নামাজ, রোজা, জাকাত, হজ, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৯২৯তম পর্বে ই-মেইলের মাধ্যমে কানিজ নাহার দিপা জানতে চেয়েছেন, মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? অনুলিখন করেছেন মোহাম্মদ সাইফ আহমেদ। প্রশ্ন : মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? উত্তর : না দোয়ার জন্য আলাদা কোনো মাহফিল নেই। এটা আসবে কেন? আমরা একটা জায়গা থেকে বাঁচার জন্য আরেকটি কাজ করছি। কিন্তু সেই কাজটি ভুল করে আরও বড় ভুলের সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। আমাদের সমাজে একটি প্রথা একেবারে ছেয়ে গেছে। যেমন—একজন মারা গেলে তার জন্য মিলাদ-মাহফিল করা কিংবা কূলখানি করা। কিন্তু এগুলো সবই বেদআতি কাজ। এগুলো সঠিক কাজ নয়। অনেকে মনে করছে, দোয়া-মাহফিল করা যেতে পারে। কিন্তু সেটা একদমই নয়। এসব ইসলামে অনুমোদন দেয়নি। এইগুলো পুরোটাই বেদআত। মানুষ চাইলে যে কোনো সময় কিংবা যে কোনো জায়গা থেকে দোয়া করতে পারবেন। দোয়ার সঙ্গে মাহফিল কিংবা আলাদা কোনো ধরনের অনুষ্ঠান ঘোষণা করা জায়েজ নেই। আশা করি, আপনি বুঝতে পেরেছেন।
র্তমান প্রযুক্তি বিশ্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) নিয়ে নতুন প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ওপেনএআই-এর চ্যাটজিপিটি ও চীনের ডিপসিকের মধ্যে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুধু প্রযুক্তিগত দক্ষতার নয়, বরং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। চ্যাটজিপিটি দীর্ঘদিন ধরে ব্লগ লেখা, গবেষণা, প্রোগ্রামিংসহ নানান কাজে অপরিহার্য টুল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি চীনের তৈরি ডিপসিক এআই জগতে নতুন আলোড়ন তুলেছে। তারা দাবি করছে, তুলনামূলক কম চিপ ব্যবহার করেই অত্যাধুনিক এআই সেবা দেওয়া সম্ভব, যেখানে ওপেনএআই-এর বিশাল মডেলগুলোর জন্য ১৬,০০০ বা তারও বেশি চিপ প্রয়োজন হয়, সেখানে মাত্র ২০০০ চিপ দিয়ে ডিপসিক কার্যকরভাবে কাজ করতে সক্ষম। দুই প্ল্যাটফর্মের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রয়েছে। ✅ চ্যাটজিপিটি: বিস্তৃত বিশ্লেষণ ও গভীর গবেষণা উপস্থাপন করতে পারে, যা একাডেমিক ও জটিল সমস্যার সমাধানে সহায়ক। ✅ ডিপসিক: দ্রুত এবং সংক্ষিপ্ত উত্তর দিতে পারে, যা তাৎক্ষণিক ফলাফল প্রত্যাশী ব্যবহারকারীদের জন্য উপযোগী। লেখালেখির ক্ষেত্রে চ্যাটজিপিটি কেবল ধারণা ও প্লটের কাঠামো গড়ে তোলে, যেখানে ডিপসিক প্রায় পুরো গল্প তৈরি করে দিতে পারে। একইভাবে, কোডিংয়ের ক্ষেত্রেও ডিপসিক কিছু ক্ষেত্রে দ্রুত সমাধান দিতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। ডিপসিকের বিরুদ্ধে ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা সংরক্ষণ ও তথ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অস্ট্রেলিয়াসহ কয়েকটি দেশের সরকার ইতোমধ্যেই ডিপসিকের ডেটা নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ওপেনএআই নিজেও অতীতে অনুমতি ছাড়া মানুষের লেখা ডেটা প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহারের অভিযোগের মুখে পড়েছিল, যা এখন ডিপসিকের বিরুদ্ধে উঠছে। ডিপসিকের সাফল্যের ফলে এআই চিপের বাজারেও বড় প্রভাব পড়েছে। এনভিডিয়া, যারা উন্নত চিপ তৈরিতে বিশ্বব্যাপী অগ্রগণ্য, তাদের শেয়ারের মূল্য একদিনে প্রায় ১৭% কমে গেছে। কারণ, কম শক্তিশালী হার্ডওয়্যারেও কার্যকর এআই সম্ভব হলে উচ্চমূল্যের উন্নত চিপের বাজার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে প্রযুক্তিগত প্রতিযোগিতা নতুন কিছু নয়, তবে ডিপসিকের উদ্ভাবন নতুন মাত্রা যোগ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই চীনে উন্নত চিপ রপ্তানির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, কম খরচে ভালো এআই তৈরি হলে মার্কিন প্রযুক্তি খাতেরও লাভ হতে পারে। এই প্রতিযোগিতা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভবিষ্যৎকে আরও উন্নত ও বহুমাত্রিক করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যেখানে দ্রুত এবং সাশ্রয়ী সমাধান দরকার, সেখানে হয়তো ডিপসিক এগিয়ে থাকবে, আর যেখানে গবেষণা ও জটিল বিশ্লেষণের প্রয়োজন, সেখানে চ্যাটজিপিটির মতো বৃহৎ মডেলগুলো প্রাধান্য পাবে। শেষ পর্যন্ত, এই প্রতিযোগিতাই হয়তো এআই প্রযুক্তিকে আরও দক্ষ, নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী করবে।