মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ১৪৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে টাঙ্গাইলে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে টাঙ্গাইলের সন্তোষে মওলানা ভাসানীর ঐতিহাসিক দরবার হলে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। মওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও মওলানা ভাসানীর রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। পরে তাঁর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন, শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে সংগ্রাম এবং সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় অবদানের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রচার সম্পাদক ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, “মওলানা ভাসানী ছিলেন আপসহীন রাজনীতির প্রতীক। তিনি আজীবন মজলুম মানুষের পক্ষে কথা বলেছেন এবং অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে গেছেন। তাঁর আদর্শ আজও আমাদের রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক।” তিনি আরও বলেন, “বর্তমান সময়ে মওলানা ভাসানীর ন্যায় সাহসী ও জনবান্ধব নেতৃত্বের প্রয়োজনীয়তা আরও বেড়েছে। তাঁর দেখানো পথে দেশ ও জনগণের কল্যাণে রাজনীতি করতে হবে।” মওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা প্রফেসর এ. কে. এম. মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং ফাউন্ডেশনের মহাসচিব মাহমুদুল হক সানুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুর রহমান শফিক, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজগর আলীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, মওলানা ভাসানীর আদর্শ ও দর্শন নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে নিয়মিত গবেষণা, আলোচনা সভা ও স্মরণ কর্মসূচি জোরদার করা প্রয়োজন। অনুষ্ঠানে বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী, মওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশনের সদস্য, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
টাঙ্গাইল জেলা নূরানী শিক্ষক ফাউন্ডেশনের আয়োজনে সিরাজগঞ্জ জেলায় নূরানী স্কলারশীপ বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে কড্ডার মোড়ের তাহফিজুল কোরআন শিক্ষা একাডেমী ও মহিলা মাদরাসা কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর, বেলকুচি, সিরাজগঞ্জ সদর ও কামারখন্দ উপজেলা থেকে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নেয়। পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি শেখ মাহদী হাসান শিবলী, মহাসচিব মাওলানা নুরুল ইসলাম এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মুফতি রবিউল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন ঘাটাইল উপজেলা জিম্মাদার মাওলানা জুবায়ের, সিরাজগঞ্জ জেলা জিম্মাদার আলহাজ্ব শরিফুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ সদর জিম্মাদার হাফেজ আবুহানিফ, গোপালপুর জয়নগর মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা আব্দুল্লাহ, হাফেজ মাওলানা মোজাম্মেল হক এবং মুফতি ফয়সাল আহমেদসহ স্থানীয় মাদরাসা শিক্ষকেরা। ফাউন্ডেশন সূত্র জানায়, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, জামালপুর ও ময়মনসিংহ—চার জেলার মোট ২৫টি উপজেলায় ধারাবাহিকভাবে এই বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ বছর প্রায় আট হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। ফাউন্ডেশনের সভাপতি শেখ মাহদী হাসান শিবলী জানান, ২০১৭ সাল থেকে তারা বৃত্তি পরীক্ষা আয়োজন করে আসছেন। উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার হিসেবে বাইসাইকেল, শিক্ষা উপকরণ ও সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হবে। পাশাপাশি শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদেরও সম্মাননা দেওয়া হবে বলে তিনি জানান
সাজিদ পিয়াল: হুগড়া ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত। টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ১০ নং হুগড়া ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে আজ বাদ আছর বাংলাদেশের সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত রোগমুক্তি ও পূর্ণ সুস্থতা কামনায় এক বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। দোয়া মাহফিলকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীদের মধ্যে ছিল প্রাণচাঞ্চল্য, আবেগ ও গভীর শ্রদ্ধার পরিবেশ। হুগড়া ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আয়োজিত এ দোয়া মাহফিলে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন ইউনিট কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনায় অংশ নেন। স্থানীয় সাধারণ মানুষসহ রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে সক্রিয় কর্মীরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে দোয়া মাহফিলে শরিক হয়ে দেশনেত্রীর সুস্থতার প্রতি তাদের ভালোবাসা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। দোয়া মাহফিলে সংক্ষিপ্ত আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। বক্তারা বলেন,“দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশের গণতন্ত্রের জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন। তিনি শুধু বিএনপির নেতৃত্বই নন; বাংলাদেশের রাজনীতিতে সাহস, ত্যাগ ও দেশপ্রেমের এক উজ্জ্বল প্রতীক। তাঁর সুস্থতা জাতির জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন।”নেতারা আরও বলেন,আমরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি—তিনি যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে আবারও নেতৃত্ব দিতে পারেন।”অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত ও খতম অনুষ্ঠিত হয়। পরে মোনাজাতে দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি, দীর্ঘায়ু, সুস্বাস্থ্য, এবং বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য দোয়া করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন স্থানীয় মসজিদের সম্মানিত ইমাম।দোয়া মাহফিল শেষে হুগড়া ইউনিয়ন বিএনপির নেতারা বলেন,“দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার সুস্থতা মানেই দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নতুন উদ্দীপনা।” তারা আরও বলেন,“যতদিন তিনি সুস্থ না হচ্ছেন, ততদিন আমরা নিয়মিত দোয়া–মোনাজাত অব্যাহত রাখব।” এই দোয়া মাহফিলটি হুগড়া ইউনিয়নে শুধু রাজনৈতিক অনুষ্ঠানই নয়, বরং দেশনেত্রীর প্রতি মানুষের ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও শুভকামনার এক প্রতিফলন হয়ে ওঠে। পুরো এলাকাজুড়ে ছিল শান্ত, গম্ভীর ও আবেগঘন পরিবেশ।
বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি, সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনায় টাঙ্গাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে খতমে কুরআন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে এ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন— কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ফরহাদ ইকবাল, শহর বিএনপির সভাপতি মেহেদী হাসান আলীম, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার রাশেদুল আলম রাশেদ, জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আল আমিন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাইদুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ মামুন, এছাড়াও জেলা ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি ফাতেমা রহমান বীথিসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতাকর্মীরা। দোয়া মাহফিল শেষে ৫০ জন মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মাঝে পবিত্র কোরআন শরিফ বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আল আমিন বলেন, “আপোষহীন নেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। তার সুস্থতা কামনায় আমরা কোরআন খতম, দোয়া মাহফিল এবং কোরআন শরিফ বিতরণের আয়োজন করেছি। আমরা আশা করি, আল্লাহর অশেষ রহমতে তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে আবারও দেশের মানুষের সেবা করার সুযোগ পাবেন।”
দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি কামনায় ইউকে জিয়া পরিষদের উদ্বেগে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত। ••••••••••••••••• বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল/ বিএনপির চেয়ারপার্সন ও তিনবারের নির্বাচিত সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী, মাদার অফ ডেমোক্রেসি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনায় জিয়া পরিষদ যুক্তরাজ্যের উদ্যোগে এক মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এর আয়োজন করা হয়, ১লা ডিসেম্বর ২০২৫, সমবার লন্ডন সময় বিকাল ৫ টায় ও বাংলাদেশ সময় রাত ১১ টায় জুম লিংকে ও 172 Cranbrook road ilford IG1 4LX । সভাপতিত্ব করেন ,বাংলাদেশ থেকে জুম লিংকের মাধ্যমে প্রফেসর ড. সাইফুল আলম চৌধুরী। দোয়া পরিচালনা করেন : কেন্দ্রীয় জিয়া পরিষদের সদস্য, ও সর্ব ইউরোপের সমন্বয়ক,কবি-কাওসার হোসাইন ,পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত-এর মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু করা হয়। জুম লিংকের এর মাধ্যমে ,বিভিন্ন দেশ থেকে অংশ গ্রহণ করেছেন ,সৌদি আরব ,দুবাই , ইউকে ,ইতালি স্পেন ,সুইডেন ,নেদারল্যান্ড,বাংলাদেশ সহ- আরো অন্যান্য দেশের নেতৃবৃন্দ , এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, এম এ জলিল খান ,আন্তর্জাতিক সম্পাদক জিয়া পরিষদ কেন্দ্রীয় নিবার্হী কমিটি , জনাব মঞ্জুর হাসান পল্টু সাধারণ সম্পাদক ইউকে জিয়া পরিষদ। এ ছাড়াও উপস্থপিত ছিলেন ইউকে জিয়া পরিষদের সহ- -সভাপতি ,মোল্লা ফিরোজ, রানা সাগর, ব্যারিস্টার রেজাউল করিম, মনোয়ার হোসেন ক্লার্ক ,আবুবক্কর পটুয়াখালী মো: ইয়াকুব মিয়া, সভাপতি গাজীপুর জেলা জিয়া পরিষদ,জয় ইসলাম ,, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাহবুবুর রহমান, নুর রহমান, মুহিবুর রহমান , শেখ এমদাদুর রহমান অপু,, মনোয়ার হুসেন কাজল, মো: রাইভেন, মান্নান খান , সাব্বীর চৌধুরী, শেখ ফকরুল ইসলাম, রিপন মজুমদার, শাহরিয়ার ,সাবেক ছাত্রনেতা এম আর পিতম প্রমুখ । দোয়া মাহফিলে বিশেষ মোনাজাত ও দোয়া করেন,আহসান উদ্দিন মানিক হাই,সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়া পরিষদ ইউকে । যুগ্ম সম্পাদক সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। এ সময় বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি প্রাণ ও প্রানভিক্ষা চেয়ে ,মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে বিশেষ দোয়া করা হয়। উপস্থিত সবাই মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে প্রার্থনা করেন মেডাম মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে ও গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন। মহান আল্লাহ যেন সেই গনতন্ত্রের প্রথম সূর্যোদয় ,নেক হায়াতের মধ্য দিয়েদেখে যেতে পারেন ।
টাঙ্গাইলের কেন্দ্রীয় গোরস্থান মাদ্রাসা মাঠে বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা কামনায় খতমে কোরআন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (৩০ নভেম্বর) বিকালে টাঙ্গাইল শহর বিএনপির উদ্যোগে এ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে টাঙ্গাইল শহর বিএনপির সভাপতি মেহেদী হাসান আলীমের সভাপতিত্বে গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রৌফ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম ঝলকসহ দলীয় নেতাকর্মীরা। দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় গোরস্থান মসজিদের ইমাম হাফেজ আশরাফুজ্জামান কাশেমী। অনুষ্ঠানে মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার সাধারণ মানুষ অংশ নেন। দলে নেতাকর্মীরা এ সময় বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য ও দেশের কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করেন।
সাজিদ পিয়াল: টাঙ্গাইলে মাওলানা মোহাম্মদ আলী কলেজে নবীনবরণ উৎসব অনুষ্ঠিত। টাঙ্গাইল সদরের ১৩ নভেম্বর ২০২৫ ইং তারিখে সকাল থেকেই ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি মাওলানা মোহাম্মদ আলী কলেজে বা এমএম আলী কলেজে বৃহস্পতিবার উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষের নবীনবরণ অনুষ্ঠান। নতুন শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানাতে সকাল থেকেই কলেজ প্রাঙ্গণে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়ে। অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সংগীত পরিবেশন শেষে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও গীতিনাট্যের মাধ্যমে উদ্বোধন হয় নবীনবরণ অনুষ্ঠান। পরে কলেজের অধ্যক্ষ (অধ্যক্ষের নাম, জানা থাকলে) নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, “শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য শুধুমাত্র ভালো ফল অর্জন নয়, বরং একজন সৎ, মানবিক ও দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠা।” অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলেজের শিক্ষক পরিষদের সভাপতি, সহকারী অধ্যাপকবৃন্দ, বিভিন্ন বিভাগের প্রধান ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। সিনিয়র শিক্ষার্থীরা নবীনদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় এবং কলেজের ঐতিহ্য, নিয়মনীতি ও কার্যক্রম সম্পর্কে ধারণা প্রদান করে। বক্তারা নবীন শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ক্লাসে অংশগ্রহণ, শৃঙ্খলা বজায় রাখা ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানান। পাশাপাশি তারা শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানবিকতা, সহনশীলতা ও দেশপ্রেমের চেতনা জাগিয়ে তোলার আহ্বানও জানান। অনুষ্ঠানে নবীন শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, সংগীত, নৃত্য ও কবিতা পাঠ অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় দর্শকসারি মুখরিত হয়ে ওঠে। দিনব্যাপী এই আয়োজনকে কেন্দ্র করে কলেজ ক্যাম্পাসে এক আনন্দঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। নবীন শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে ক্যাম্পাসে প্রাণ ফিরে আসে। অনুষ্ঠান শেষে সবার মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
জামালপুর ইউনিয়নে ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার।উঠান বৈঠক জন স্রোতে পরিণত। কালিগঞ্জ গাজীপুর। বিশেষ প্রতিনিধি ঃ মোহাম্মদ শামীম শাহরিয়ার। কালিগঞ্জ উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের খান বাড়িতে শুক্রবার বিকাল ৩টায় বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্যোগে এক উঠান বৈঠকের আয়োজন করা হয়। মোঃ রাফিক মোড়লের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামালপুর কলেজ শাখার সাবেক ভিপি ও তৃণমূলের জনপ্রিয় নেতা আলহাজ্ব মনিরুজ্জামান খান লাভলু। শুরু থেকেই এলাকাবাসীর ব্যাপক আগ্রহে বৈঠকটি জনসমুদ্রে পরিণত হয়। নারী-পুরুষ, কৃষক-শ্রমিকসহ সুশীল সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপচে পড়া ভিড়ে খান বাড়ির উঠানটি যেন ছোট হয়ে যায়। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে বৈঠকের কার্যক্রম শুরু হয় এক মনোরম ও সুশৃঙ্খল পরিবেশে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনাব মনিরুজ্জামান খান লাভলু বলেন, “আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষের বিজয় এখন শুধু সময়ের ব্যাপার।” তিনি কালিগঞ্জের মাটি ও মানুষের নেতা, জননেতা এ.কে.এম ফজলুল হক মিলনের পক্ষ থেকে উপস্থিত সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও সালাম পৌঁছে দেন। তিনি আরও বলেন, “দীর্ঘ ১৭ বছর পর আপনারা আপনাদের মূল্যবান ভোট ধানের শীষ মার্কায় প্রদান করবেন। কারণ একটি সুন্দর, শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে ধানের শীষের কোনো বিকল্প নেই।” তিনি সকল নেতাকর্মী ও জনসাধারণকে আহ্বান জানান—কালিগঞ্জের উন্নয়ন ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে জননেতা ফজলুল হক মিলনের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জামালপুর ইউনিয়ন বিএনপি, কালিগঞ্জ উপজেলা বিএনপি, স্বেচ্ছাসেবক দল ও যুবদলের নেতৃবৃন্দ। এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জনাব হারুনুর রশিদ দেওয়ান, জনাব জাহাঙ্গীর কবির, সালাউদ্দিন খান টিপু, ইকবাল হোসেন সরকার, জহির মোড়ল, এবং জেড করিম খান জুবায়েরসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। উঠান বৈঠকের এ মহাসমাবেশ প্রমাণ করেছে—জামালপুর ইউনিয়নে ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে, বিজয় এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা।
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ভুঞাপুর উপজেলা শাখার উদ্যোগে নবগঠিত কমিটির পরিচিতি ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার (২৭ অক্টোবর ২০২৫) সকাল ১০টায় উপজেলার দেওয়ান বাড়ি বাহাতুন্নেসা হাফিজা মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। তেলাওয়াত করেন হাফেজ ক্বারী মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক। উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ভুঞাপুর উপজেলা শাখার সভাপতি হাফেজ মাওলানা মাহ্ফুজুর রহমান (দা.বা.)। সভায় প্রধান আলোচ্য বিষয় ছিল— সমাজে ইসলামী শাসনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে করণীয়, আহলে হক উলামায়ে কেরামদের ঐক্য সুদৃঢ় করা এবং সংগঠনের সাংগঠনিক কাঠামোকে আরও সুসংগঠিত করার দিকনির্দেশনা। বক্তারা বলেন, বর্তমান সময়ে ইসলামবিরোধী বিভিন্ন ষড়যন্ত্র ও আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন “ইসকন”-এর আত্মঘাতী কর্মকাণ্ড থেকে মুসলিম সমাজকে রক্ষা করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। তারা আরও বলেন, আলেম ওলামাদের হক কথা বলার ক্ষেত্রে বা মসজিদের খেদমতে কোনো সমস্যার সম্মুখীন হলে হেফাজতে ইসলাম ভুঞাপুর উপজেলা শাখা যেন পাশে দাঁড়াতে পারে। সভায় বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি হাফেজ মাওলানা মুফতি শহিদুল ইসলাম ভূঞাপুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি মুনজুরুল হাসান, সহ-আইনবিষয়ক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা সালিম আহমাদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি মুফতি আল আমিন কাসেমী, সহ-সভাপতি হাফেজ মাওলানা শফিউর রহমান, সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুস সালাম, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মোল্লা হযরত আলী, মুফতি আবু ইউসুফ, সহ-সভাপতি হাফেজ মাওলানা আব্দুল কাদের, মাওলানা মাহদী হাসান শিবলী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আব্দুল্লাহ আল হুসাইন, সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মুফতি সোহাইল হাসান এবং সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি সাব্বির আহমাদ প্রমুখ। সর্বশেষে নবগঠিত কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষণা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মুফতি শহীদুল্লাহ্ আন্দিপুরী (দা.বা.)। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন সভাপতি হাফেজ মাওলানা মাহ্ফুজুর রহমান (দা.বা.)।
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে ঘুমের মধ্যে এক মাদরাসা ছাত্রকে বিভৎসভাবে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক অভিযুক্ত ছাত্রকে আটক করা হয়েছে। সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খোরশেদ আলম। এর আগে, রোববার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার সোনাইমুড়ী পৌরসভার ৬নম্বর ওয়ার্ডের বাটরা আল মাদরাসাতুল ইসলামিয়া মাখফুনুল উলুম মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত মো.নাজিম উদ্দিন (১৩) উপজেলার চাষীরহাট ইউনিয়নের জাহানাবাদ গ্রামের ওবায়েদ উল্ল্যার ছেলে। অপরদিকে, আটক আবু ছায়েদ (১৬) ময়মনসিংহ জেলার টেঙ্গাপাড়া গ্রামের রুস্তম আলীর ছেলে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বাটরা আল মাদরাসাতুল ইসলামিয়া মাখফুনুল উলুম মাদরাসার আবাসিক বিভাগে থেকে নাজিম ২২ পারা ও ছায়েদ ২৩ পারা পবিত্র কোরআন হেফজ সম্পন্ন করে। গত ১০-১৫ দিন আগে টুপি পরা নিয়ে নাজিম ও আবু ছায়েদের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে মাদরাসার এক শিক্ষক বিষয়টি জানতে পেরে তাদের মধ্যে মিটমাট করে দেয়। কিন্ত এ ঘটনার জের ধরে নাজিমের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে সোনাইমুড়ী বাজার থেকে ৩শত টাকা দিয়ে একটি ধারালো ছুরি কিনে নিয়ে আসে ছায়েদ। প্রতিদিনের ন্যায় রোববার রাতে মাদরাসার আবাসিক কক্ষে ঘুমিয়ে যায় ১৪জন ছাত্র ও একজন শিক্ষক। রাত আড়াইটার দিকে অন্য ছাত্রদের অগোচরে ছায়েদ ঘুম থেকে উঠে ঘুমের মধ্যে নাজিমকে জবাই করে দেয়। ওই সময় নাজিমের গলার গোঙরানির আওয়াজ শুনে একই কক্ষে থাকা ছাত্র-শিক্ষক ঘুম থেকে জেগে উঠে এ ঘটনা দেখতে পায়। সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খোরশেদ আলম বলেন, খবর পেয়ে ভোররাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। অভিযুক্ত ছাত্রকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে এবং হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি জব্দ করা হয়। টুপি পরা নিয়ে দুই ছাত্রের মধ্যে বিরোধের সূত্র ধরে এ হত্যাকান্ড ঘটে। লাশের সুরতহাল শেষে মরদেহ উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।
আগামী সংসদ নির্বাচনের আগেই খুনি শেখ হাসিনার বিচার নি:শেষ করতে হবে এবং আওয়ামীলীগ ফ্যাসিস্টদের আইনের আওতায় এনে তাদের বিচার সম্পন্ন করে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নোয়াখালী জেলা শাখার সেক্রেটারি ও নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী মাওলানা বোরহান উদ্দিন। শুক্রবার বিকেলে বেগমগঞ্জ উপজেলার ১০নং নরোত্তমপুর ইউনিয়নের পন্ডিত বাজারে ইউনিয়ন জামায়াতে সহ-সভাপতি আবদুল আহাদের সঞ্চালনায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নরোত্তমপুর ইউনিয়নের সভাপতি হাসান পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে ইউনিয়ন কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এইসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক নাসিমুল গনি চৌধুরী মহল, বেগমগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আবু জায়েদ, সেক্রেটারি মাওলানা আবদুর রহিম, উপজেলা সূরা ও কর্ম পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান। এইসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ইউনিয়ন সেক্রেটারি মনির হোসেন মনির, সাবেক ওয়ার্ড শ্রমিক কল্যান সভাপতি মোহাম্মদ খলিল সহ ইউনিয়ন ওয়ার্ড জামায়াতের কর্মীবৃন্দ সহ আরো অনেকে। সম্মেলনে বক্তব্যে তারা বলেন, আগামীতে কোরআন ও ইসলামের আলোকে রাষ্ট্র পরিচালনা করা হবে ইনশাআল্লাহ। ইসলাম ও কোরআন এর আলোকে পরিচালনা হলে দেশে থাকবেনা কোন ফ্যাসিবাদী, জুলুমবাদী৷ দল। এইছাড়া অতি দ্রুত পি আর পদ্ধতিতে নির্বাচন দেওয়ার আহবান জানান
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে আব্দুর রহমান খান ছাত্র কাফেলার উদ্যোগে বার্ষিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা-২০২৫ এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সকালে বিশিষ্ট শিল্পপতি ও শিক্ষানুরাগী মোঃ নুরুজ্জামান খান রানা'র সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং ঘাগড়া পোড়াবাড়ীয়া আব্দুর রহমান খান ইসলামিয়া মাদরাসার মুহতামিম মুফতি মোস্তাফিজুর রহমান (চরবহুলী) সভাপতিত্বে মাদ্রাসার প্রাঙ্গণে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। মোট ৭টি বিষয়ে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানটি স্পন্সর করছেন "পিবাড়ীয়া গ্রুপ "। এ প্রতিযোগিতায় শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। গ্রুপভিত্তিক বিচারক হিসেবে ছিলেন মাদ্রাসার সকল শিক্ষকগণ। এছাড়াও অভিভাবক সম্মেলন ও বদরী কাফেলার পুনর্মিলনী আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী অভিভাবকবৃন্দ এবং মাদরাসা-মসজিদ পরিচালনা কমিটির দায়িত্বশীলগণ আন্তরিক অভিমত ও মূল্যবান পরামর্শ প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতি মুফতি মোস্তাফিজুর রহমান (চরবহুলী) বলেন, এই প্রতিযোগিতা মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের জ্ঞান, চিন্তাশক্তি এবং সৃজনশীলতা প্রকাশের সুযোগ পায়। তিনি উক্ত মাদরাসার শিক্ষা কার্যক্রম, অবকাঠামো উন্নয়ন, কমিটির দায়িত্ব, ছাত্রদের পড়ালেখা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বিষয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ঈমানদীপ্ত দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। শেষে পুরস্কার বিতরণ পর্বে বিজয়ী শিক্ষার্থীর হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। এদিকে কেন্দ্রীয় বেফাক পরীক্ষায় কৃতিত্ব উক্ত মাদরাসার তিনজন মেধাবী ছাত্র বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় সম্মিলিত মেধা তালিকায় স্থান অর্জন করায় এই কৃতিত্বকে সম্মান জানাতে মাদরাসার পক্ষ থেকে যথাক্রমে নগদ ১০,০০০/- ও ৫,০০০/- টাকা এবং বোর্ডের পক্ষ থেকে এককালীন বৃত্তি প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে বিচারকমণ্ডলী, মাদরাসার শিক্ষকমন্ডলী, মাদ্রাসা–মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্যবৃন্দ, সুধীজনসহ মুসল্লিরা উপস্থিত ছিলেন
মাওলানা মুমতাযুল করীম [বাবা হুযুর] আমার জানা মতে ১৯৪২ সালের ২৭ ডিসেম্বর কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ থানার ডুলিপাড়া গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সাদাসিধে আল্লাহওয়ালা এবং দরবেশ সিফাতের মানুষ ছিলেন। দ্বীনের প্রতি তার দরদ অপরিসীম। বাংলাদেশের প্রায় সকল মাদরাসার বার্ষিক মাহফিলে এবং বড় বড় ইসলামী সম্মেলনে তিনি আলোচনার জন্য আমন্ত্রিত হতেন। ধর্মপ্রাণ মানুষ তার সারগর্ভ আলোচনা শোনার জন্য আগ্রহভরে অপেক্ষা করতেন। তাঁর আলোচনা ছিল সংক্ষিপ্ত এবং ব্যাপক অর্থবোধক। মাওলানা মুমতাযুল করীম (বাবা হুযুর) নিজ এলাকার বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান 'বটোগ্রাম হামীদিয়া মাদরাসা'য় শিক্ষা-জীবন শুরু করেন অতঃপর ফেনী শর্শদী মাদরাসায় কিছুদিন পড়াশোনা করে দেশের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, উম্মুল মাদারিস দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসায় ভর্তি হন। হাটহাজারী মাদরাসায় কয়েক বছর লেখাপড়া করার পর জামি'আ ইসলামিয়া পটিয়া মাদরাসা থেকে কৃতিত্বের সাথে দাওরায়ে হাদীস (মাস্টার্স) সমাপ্ত করেন। দাওরায়ে হাদীস সমাপ্ত করে উচ্চ শিক্ষা লাভের উদ্দেশ্যে ১৯৬৩ ঈ. সালে পাকিস্তান গমন করেন। পাকিস্তানের বিখ্যাত মাদরাসা 'জামিয়া আশরাফিয়া লাহোর' থেকে তাফসীর এবং আদব (আরবী সাহিত্য) বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রী গ্রহণ করেন। দেশে ফিরে এসে সর্বপ্রথম ময়মনসিংহের 'কাতলাসেন কাদেরীয়া কামিল মাদরাসা'য় মুহাদ্দিস হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। তবে বেশিদিন সেখানে ছিলেন না। একই বছর ১৯৬৫ ঈ. সনে বরিশালের ঐতিহ্যবাহী চরমোনাই মাদরাসায় মুহাদ্দিস হিসেবে যোগ দেন এবং সেখানে মুসলিম শরীফের দারস প্রদান করেন। পরবর্তীতে ঢাকা আশরাফুল উলূম বড়কাটারা মাদরাসায় সাত বছর মুহাদ্দিস হিসেবে খেদমত করে চট্টগ্রামের আল-জামি'আতুল ইসলামীয়া পটিয়া মাদরাসায় শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। পটিয়া মাদরাসায় তিনি টানা সাত বছর কৃতিত্বের সাথে পাঠদান করেন। ১৯৮৪ ঈ. সালে দেশের ঐতিহ্যবাহী দ্বীনী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারীতে শিক্ষক হিসেবে তিনি যোগদান করেন। হাটহাজারী মাদরাসায় অত্যন্ত সুনাম ও সুখ্যাতির সঙ্গে শিক্ষকতার দায়িত্ব পালন করেন। হাটহাজারী মাদরাসায় অধ্যাপনাকালে শিক্ষক হিসেবে শিক্ষার্থীদের মাঝে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেন। বাবা হুযুর নামে পরিচিত হওয়া ও বাবা হুযুর নামের উৎপত্তি: তিনি বাবা হুযুর নামে পরিচিত। বাবা নামে তাঁকে সবাই ডাকে। তবে এই নামের উৎপত্তি কোথায়, কীভাবে তিনি 'বাবা হুযুর' নামে প্রসিদ্ধ হলেন—অনেকেরই অজানা। ১৯৮৫ ঈ. সন। হুযুরের নিকট আমাদের দারছে নিযামীর আরবী সাহিত্য ও শে'র এর কিতাব—'নাফহাতুল আরব' ও 'ক্বাসীদাহ বুরদাহ' পড়ার সুযোগ হয়েছিল। মাওলানা মাহমুদ বাঁশখালী (যিনি সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেছেন), মাওলানা আতাউল্লাহ (বর্তমান মুহতামিম: হেমায়েতুল ইসলাম কৈগ্রাম, পটিয়া, চট্টগ্রাম), মাওলানা মুহাম্মদ গড়দুয়ারী (বর্তমান শিক্ষক: দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসা), মাওলানা মুহাম্মদ আলী চারিয়া এবং আমি লেখক এক জামাতের ছাত্র। বাবা হুযুরের সাথে আমাদের সম্পর্ক ছিল গভীর। ছাত্র ও শিক্ষকের সম্পর্ক। বাপ-বেটার সম্পর্ক। আমাদের 'ক্বাসীদাহ বুরদাহ' দারছ দেয়ার সময় তিনি এক ছাত্রকে বেত্রাঘাত করলে এক পর্যায় ঐ ছাত্র 'ও বাবা, ও বাবা' করে চিৎকার করতে থাকে। তখন বাবা হুযুর বেত্রাঘাত না করে হাসতে থাকেন এবং পকেট থেকে কিছু টাকা বের করে ঐ ছাত্রকে হাদিয়া দেন। সেদিন থেকে যখন তিনি কোনো ছাত্রকে বেত্রাঘাত করতেন ছাত্ররা 'বাবা' বলে ডাক দিলে তিনি আর মারতেন না। এভাবে শুরু হয়ে গেল বাবা ডাকা-ডাকি। বাবা হুযুর নামের প্রসিদ্ধ হওয়ার আরো কাহিনী আছে— হাটহাজারী মাদরাসার বড় মসজিদে ফজরের নামাযের পর শাইখুল ইসলাম আল্লামা আহমদ শফী রাহ. জামি'আর ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সময় জরুরী কথাবার্তা বলতেন এবং গুরুত্বপূর্ণ নাসিহা পেশ করতেন। অনেকসময় নাসিহা শুরু করার পূর্বে চট্টগ্রামের ভাষায় বলতেন—'ওয়া! মৌলভী মুমতায আছোনি?' তিনি জানতেন আর কেউ না থাকলেও বাবা হুযুর প্রথম কাতারে আছেন। উত্তরে বাবা হুযুর বলতেন—'লাব্বাইক, আছি হুযুর'। প্রায় সময় এরকম দৃশ্য আমরা দেখতে পেতাম। একদিনের ঘটনা—ফজরের নামাযের পর অন্যান্য দিনের ন্যায় শাইখুল ইসলাম আল্লামা আহমদ শফী রাহ. বলে উঠলেন— 'বাবা হুযুর আছোনি?' উস্তাযের মুখে বাবা ডাকা শুনে পকেট থেকে ৫০০ টাকার দুটি নোট বের করে উস্তাদের হাতে তুলে দিলেন বাবা হুযুর। তখন শাইখুল ইসলাম আল্লামা আহমদ শফী রাহ. মজা করে পুনরায় বাবা হুযুর বলে ডাক দিলে বাবা হুযুর আরও দুটি ৫০০ টাকার নোট হুযুরের হাতে দিয়ে বলতে লাগলেন—'আজকে আর বাবা ডাকবেন না, পকেটে আর টাকা নেই'। মসজিদে উপস্থিত ছাত্র ও মুসল্লিদের মধ্যে ছাত্র ওস্তাদের এই দৃশ্য দেখে আনন্দের বন্যা বয়ে গেল। মূলত ওদিন থেকেই বাবা হুযুর নামটি সব ছাত্রদের মুখে মুখে হয়ে গেল। বাবা ডেকে আমরা তাঁর কাছ থেকে কত টাকা ছিনিয়ে নিয়েছি তার কোনো হিসেব নেই। এ ঘটনার পর থেকে তিনি বেত্রাঘাত ছাড়াও বাবা ডাকলে খুশী হতেন এবং কিছু টাকা হাদিয়া দিতেন। যেহেতু হাটহাজারী মাদরাসার ছাত্র দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন তাই তিনি দেশব্যাপী ‘বাবা হুযুর’ নামে পরিচিতি লাভ করেন। একজন শিক্ষকের জন্য এর চেয়ে পরম পাওয়া আর কী আছে! ১৯৮৪ ঈ. সাল থেকে টানা ৩৫ বছর (২০১৯ ঈ.পর্যন্ত) তিনি হাটহাজারী মাদরাসায় শিক্ষকতা করেছেন। হাটহাজারী মাদরাসার শিক্ষক থাকাকালীন ঢাকা, কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন মাদরাসায় খন্ডকালীন শিক্ষক ছিলেন এবং 'বুখারী শরীফ' সহ বিভিন্ন হাদীসের কিতাবের দারছ প্রদান করেছেন। জীবনের শেষ পর্যায়ে এসে তিনি দারছ প্রদান থেকে অনেকটা অক্ষম হয়ে পড়েন এবং এক পর্যায়ে হাটহাজারী মাদরাসা ছেড়ে ঢাকা নিজ বাসভবনে অবস্থান করতে থাকেন। কিন্তু হাটহাজারী মাদরাসায় শিক্ষকদের তালিকায় তাঁর নাম অন্তর্ভুক্ত ছিল এবং তাঁর নির্ধারিত বেতন-ভাতা যথারীতি অব্যাহত ছিল। চরমোনাই মাদরাসায় শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের কিছুদিনের মধ্যেই চরমোনাই পীর মরহুম মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ ইসহাক রাহ. মাওলানা মুমতাজুল কারিমকে অত্যাধিক স্নেহ ও ভালোবাসার পাত্রে পরিণত করে মেয়ে সাইয়্যিদা হূরুন্নিছা বেগমকে তার সথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করেন। দীর্ঘ ৩০ বছর সংসার জীবন শেষে বাবা হুযুরের প্রিয়তমা স্ত্রী (মাওলানা মাহমুদুল হাসান মুমতাযীর মুহতারামা মা) ১৯৯৫ ঈ.তে ইন্তিকাল করেন। অতপর ১৯৯৬ ঈ.তে বাবা হুযুর দ্বিতীয় বিয়ে করেন। সদা সুন্নতের ওপর অটল, বিশিষ্ট বুযুর্গের আমল-আখলাকের কথা সর্বজনবিদিত। অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী অবস্থায়ও কেউ তাকে দেখতে গেলে হাদিয়া দেওয়ার কথা ভুলতেন না। গত ২৯.১১.'২১ঈ. তারিখে আমি অধম তাঁর সাথে সাক্ষাত ও দু'আ নেয়ার জন্য তার ঢাকাস্ত বাসায় গেলে মুমূর্ষু অবস্থায়ও তিনি আমার হাতের মুঠোয় পাঁচশত টাকার কচকচে একটি নোট গুঁজে দেন। তার দেয়া হাদিয়ার টাকা আজও আমি আলমিরাতে সংরক্ষণ করে রেখেছি। তিনি সুন্নতের খেলাফ কোনো কিছু দেখলে খুব রেগে যেতেন। সুন্নাহর উপর আমল করা তার স্বভাবে পরিণত হয়েছিল। দুনিয়ার বুকে আমরা অনেক দরবেশ-বুযুর্গ, পীর-মাশাইখ ও জ্ঞানী-গুণীর দেখা পাই। কিন্তু কথা ও কাজে মিল রেখে জীবন পরিচালনা করেছেন এমন ব্যক্তি পাওয়া সত্যিই দূর্লভ। মাওলানা মুমতাযুল করীম বাবা হুযুর ছিলেন সম্পুর্ণ এর বিপরীত। ইসলামের প্রচার-প্রসার, কুরআনের তাফসীর, ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদসহ নানা দ্বীনী কাজে তিনি দেশের আনাচে-কানাচে চষে বেড়িয়েছেন। অংশ নিয়েছেন সভা-সমিতি, ওয়ায মাহফিল, জনসভা ও ইসলামী সম্মেলনে। একাধিক দেশও ভ্রমণ করেছেন। তন্মধ্যে তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, আমেরিকা, লন্ডন, থাইল্যান্ড, চীন, হংকং, কুয়েত, কাতার, বাহারাইন, সৌদি আরব, পাকিস্তান, ভারত ও মায়ানমার অন্যতম। শেষ জীবনে শারিরীকভাবে অসুস্থ হলেও উম্মাহর চিন্তায় সদা ব্যাকুল ছিলেন তিনি। উম্মাহর কল্যাণে তিনি অনেক কাজ করেছেন। শুধু হাদীসের খিদমাত ও ওয়ায মাহফিল নয়, লেখালেখির ময়দানেও মাওলানা মুমতাযুল কারীম বাবা হুযুর রাহ.র অবদান রয়েছে। সুলুক ও তাসাউ্উফের মেহনতও তিনি করেছেন। তিনি সর্বপ্রথম হাকীমুল ইসলাম মাওলানা কারী তায়্যিব রাহ.র নিকট বাই'আত গ্ৰহণ করেন। পরবর্তীতে পীরে কামেল মাওলানা মুহাম্মাদ কামরুজ্জামান এলাহাবাদী (বখশিবাজারী) তাকে চিঠির মাধ্যমে চার তরিকায় খেলাফত প্রদান এবং বায়াত করার অনুমতি দেন। এছাড়া দারুল মা‘আরিফ চট্টগ্রামের তদানীন্তন শায়খুল হাদীস হযরত মাওলানা ইহসানুল হক রাহ. তাকে লিখিতভাবে খেলাফত প্রদান করেন এবং খানকায়ে এহসানিয়া প্রতিষ্ঠার অনুমতি দেন। ২০১৭ সালে মাহবুবুল উলামা হযরত মাওলানা পীর জুলফিকার আহমদ নকশবন্দী মুজাদ্দেদীও তাকে খেলাফত প্রদান করেন। তার রচিত গ্রন্থাবলীর অন্যতম হলো— • বোখারি শরিফের উর্দূ ব্যাখ্যাগ্রন্থ হাবিবুল বারী শরহিল বোখারি, • আরবী কাওয়াইদে ফিকহিল হানাফি • তারিখুত তাফসির, • কোরআন-হাদিসের অমূল্য রত্ন, • পরকালে মুক্তি কিসে? (অনুবাদ), • উলুমুল কুরআন, • এসো কোরআনের অর্থ শিখি, • আকিদায়ে খতমে নবুওয়ত, • রায়বেন্ডের দশদিন (অনুবাদ) ও • আল্লাহকে পাওয়ার রাস্তা। এছাড়া বিভিন্ন মাসিক পত্রিকা, স্মরণিকা ও স্মারকগ্রন্থে তার অনেক লেখা প্রকাশ হয়েছে। মাওলানা মুমতাযুল কারীম বাবা হুযুরের উস্তাযদের অন্যতম হলেন— শায়খুত তাফসীর ওয়াল ফুনুন আল্লামা ইদরীস কান্ধলভী রাহি., শাইখুল হাদীস আল্লামা মুহাম্মদ সরফরায খান সফদর রাহ., উস্তাযুল-কুল শাইখুল মাশায়েখ আল্লামা রাসূল খান রাহ. ও শাইখুল ফালসাফা মাওলানা গোলাম গাওছ হাজারভী রাহ., বাংলাদেশের মীর সাহেব হুযুরখ্যাত শাইখুল উলূম ওয়াল ফুনূন, রঈসুল মুহাদ্দিসিন আল্লামা আমীর হুসাইন রাহ., শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী রাহ., আল্লামা আনওয়ারুল আযীম রাহ., শাইখুল হাদীস মাওলানা নূরুল ইসলাম শর্শদীর হুযুর রাহ.। বাবা হুযুর বাংলদেশের সদর সাহেব হুযুরখ্যাত মুজাহিদে আযম আল্লামা শামছুল হক ফরিদপুরী রাহ. এর সান্নিধ্যও পেয়েছেন। ১৯৬৭ ঈ.র দিকে তিনি গওহরডাঙ্গা মাদরাসায় গেলে সদর সাহেব হুযুর তাকে সাথে করে নিয়ে পুরো মাদরাসা ঘুরিয়ে দেখান এবং ছাত্রদের দরস দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। বাংলাদেশের বড় বড় আলেমদের সান্নিধ্য তিনি পেয়েছেন। তিনি যাদের সান্নিধ্য পেয়েছেন তাদের অন্যতম হলেন— মুফতীয়ে আযম মুফতী ফয়যুল্লাহ রাহ. ও পটিয়া মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা মুফতী আযীযুল হক রাহ.। তিনি সারাজীবন দ্বীনের আলো, হাদীসের বাণী, সুন্নতের দাওয়াত ও কুরআনের আওয়াজকে বুলন্দ করার মিশন নিয়ে কাজ করেছেন। স্বপ্ন দেখেছেন নিজ হাতে গড়া ছাত্রদের নিয়ে, তারা যেন প্রকৃত আলিম ও দ্বীনের দা'ঈ হয়ে ইসলামের প্রচার-প্রসারে আত্মনিয়োগ করতে পারেন। হাটহাজারী মাদরাসায় আমার শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ হওয়ার ব্যপারে যাদের পরামর্শ ও অবদান রয়েছে মাওলানা মুমতাযুল কারীম বাবা হুযুরও তাদের একজন। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী এক অসাধারণ ব্যক্তিত্ব ছিলেন তিনি। সাদাসিধে যিন্দেগি ও সততার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তিনি। সত্য-সুন্দরের পথে, আল্লাহ নির্দেশিত ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লামের প্রদর্শিত জীবনের পথে জীবনের লক্ষ্য স্থির করেছিলেন।পার্থিব কোনো লোভ-লালসা তাকে কখনো বিন্দুমাত্র স্পর্শ করতে পারেনি, তার স্বচ্ছতা ও সততার বিষয়টি শত্রু-মিত্র, পক্ষ-বিপক্ষ নির্বিশেষে সর্বমহলে প্রশংসিত। সততার এই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত সবার জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে। রাব্বে কাইনাতের দরবারে আমাদের বিনীত প্রার্থনা—মহান আল্লাহ তা'আলা তার জীবনের খাত্বা-কসূর ক্ষমা করে তাকে যেন জান্নাতের আ'লা মাকাম দান করেন! আমীন ! বাবা হুযুরের সাথে আমার সম্পর্ক ছিল সুগভীর। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা, বহির্বিশ্বের সিঙ্গাপুর থাইল্যান্ড সহ বিভিন্ন রাষ্ট্রে বাবা হুযুরের সফরসঙ্গী হওয়ার সুযোগ হয়েছে আমার। তার সাথে রয়েছে অনেক স্মৃতি; কিছু স্মৃতি মজার, কিছু স্মৃতি শিক্ষার। এসব লিখতে গেলে একটি ভলিয়ম হয়ে যাবে। তবে এতটুকু আজকের এই সংক্ষিপ্ত লেখায় বলা যায়— সফরে-হযরে দেশে-বিদেশে বাবা হুযুরের কোনোদিন তাহাজ্জুদ ক্বাযা হয়েছে বলে অন্তত আমার জানা নেই। বাসে-বিমানে-রেলে পাঁচ ওয়াক্ত নামায প্রথম ওয়াক্তে তিনি আদায় করতে ভুলে যাননি কখনো। আজ ২৮ মার্চ ২০২৩ ঈ. হাটহাজারী মাদরাসার মাঠে হাজার হাজার মুসল্লিদের উপস্থিতিতে এবং মারহূমের সাহেবযাদা মাওলানা মাহমুদুল হাসান মুমতাযীর ইমামতিতে তাঁর নামাযে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। জানাযা শেষে মারহূমের দু' সহকর্মী হযরত মাওলানা শামছুল আলম (মুহাদ্দিস: হাটহাজারী মাদরাসা) ও মাওলানা হারূন যফর রাহ. (মুহাদ্দিস: হাটহাজারী মাদরাসা) এর পাশে বাবা হুযুরকে সমাহিত করা হয়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল বিরাশি বছর। — আশরাফ আলী নিজামপুরী (বারাকাল্লাহু ফি হায়াতীহি)
তিনি ছিলেন মানবজাতির আদর্শ। তিনি অত্যন্ত উদার ও বিনয়ী ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক এবং একজন সাহসী যোদ্ধা। এছাড়াও তিনি একজন দক্ষ প্রশাসক, একজন দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক এবং একজন সফল প্রচারক ছিলেন। তিনিই উত্তম চরিত্র ও উদারতার একমাত্র উৎস। তিনি সকলের আদর্শহীন এবং প্রিয় ব্যক্তিত্ব। যার প্রেমে, দুনিয়া মাতাল। তিনি আমার আদর্শ, তিনি আমার নেতা। তিনি আমার নবী, আমাদের নবী এবং সকলের নবী। তিনি হলেন হযরত মুহাম্মদ (সা.) তিনি সর্বোত্তম আদর্শ। সমস্ত মানবজাতির জন্য করুণা। অন্ধকারে নিমজ্জিত বিশ্বের মানুষের জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে। তার অসাধারণ চরিত্র, মাধুর্য এবং অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব সবাইকে অবাক করেছে। মুমিনের চঞ্চল হৃদয় তাকে এক নজর দেখার জন্য আকুল হয়ে থাকে। কবি কাজী নজরুল বলেছেন: “বিচ্ছেদের রাত ছিল একাকার কান্নার ভোর; আমার মনে শান্তি নেই, আমি কাঁদছি। হে মদিনাবাসীর প্রেমিক, আমার হাত ধর।" তার নিষ্কলুষ চরিত্রের স্বীকৃতি দিয়ে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, "তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।" (সূরা আল-আহজাব, আয়াত 21)। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে আজ কিছু লোক সেই নবীর সম্মানকে অবমাননা করছে। হৃদয় ভেঙ্গে যায়। আমাদের ক্ষমা করুন, হে নবী! তিনি তার অবিস্মরণীয় ক্ষমা, উদারতা, সততা, নম্রতা প্রভৃতির বিরল মুগ্ধতা দিয়ে বর্বর আরব জাতির আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এজন্য তারা তাকে ‘আল-আমিন’ উপাধিতে ভূষিত করেন। তারা সর্বসম্মতিক্রমে স্বীকার করেছিল যে তিনি নম্র এবং গুণী ছিলেন। টাকা দিয়ে নয়, ভালো ব্যবহার দিয়ে তিনি বিশ্ববাসীকে জয় করেছেন। আল্লাহ তাঁর গুণাবলী সম্পর্কে কুরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই তুমি মহৎ চরিত্রের অধিকারী।’ (সূরা আল কালাম, আয়াত ৪)। তিনি কখনো মানুষকে তুচ্ছ করেননি। আত্মসম্মানবোধে তিনি কাউকে তুচ্ছ মনে করেননি। তিনি বিশ্বের হৃদয়ে উচ্চতর চরিত্রের একটি অনুপম মানদণ্ড স্থাপন করেছেন। নম্রতা তার চরিত্রে সর্বদা উপস্থিত ছিল। পৃথিবীর মানবতার কল্যাণে তাকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল শ্রেষ্ঠ আদর্শের বাস্তবায়নকারী ও প্রশিক্ষক হিসেবে। এ প্রসঙ্গে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমাকে আমার উত্তম চরিত্র পূর্ণ করার জন্য প্রেরিত করা হয়েছে।’ (মুসনাদে আহমদ, মিশকাত) ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন বিনয়ী এবং আচার-আচরণে অত্যন্ত বিনয়ী। দুর্বল ব্যক্তিকে কড়া কথায় আঘাত করবেন না। তিনি কোন মানুষকে তার সাধ্যের বাইরে অসাধ্য সাধন করতে বাধ্য করেননি। গরিব-অসহায় মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করতেন। তিনি লোকদেরকে তাদের আচরণে অপ্রয়োজনীয় রাগ ও রাগ থেকে সর্বদা বিরত থাকার উপদেশ দিতেন এবং মানুষকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন, “যে বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাকে উঁচু করে দেন এবং যে অহংকারী হয়, আল্লাহ তাকে লাঞ্ছিত করেন।” (মিশকাত) কাফেররাও তার কাছ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে সদয় ও নম্র আচরণ পেয়েছিল। তার অনুসারীরা তাকে উচ্চ সম্মানের সাথে ধরেছিল কারণ তিনি খুব নমনীয় এবং নম্র ছিলেন। হজরত আয়েশা (রা.) তার ভদ্র আচার-আচরণ সম্পর্কে বলেন, ‘নবী (সা.) রূঢ় বক্তা ছিলেন না, প্রয়োজনের সময়ও তিনি কঠোর ভাষা ব্যবহার করতেন না। প্রতিহিংসা তার সাথে ছিল না মোটেও। মন্দের বিনিময়ে ভালোই করেছেন। সব ক্ষেত্রেই তিনি ক্ষমা পছন্দ করতেন। তিনি লোকদেরকে উপদেশ দিয়েছিলেন, “আল্লাহর ইবাদত কর, করুণাময় প্রভু, ক্ষুধার্তকে খাবার দাও, সালাম দাও এবং এসব কাজের মাধ্যমে জান্নাতে প্রবেশ কর। তিনি উত্তর দিলেন, "ক্ষুধার্তকে খাওয়ানো এবং অপরিচিত সকলকে সালাম করা।" (বুখারী ও মুসলিম)। মহানবী (সা.)-এর মর্যাদাকে সম্মান করা মুসলমানদের ধর্মীয় কর্তব্য এবং প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানের মৌলিক অংশ।
মাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৩৩৪তম পর্বে নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে নিয়ামত কমে যাবে কি না, সে বিষয়ে ঢাকা থেকে চিঠির মাধ্যমে জানতে চেয়েছেন একজন দর্শক। অনুলিখন করেছেন জান্নাত আরা পাপিয়া। প্রশ্ন : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে? উত্তর : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা কুফরি। এটা বড় কুফরি না, ছোট কুফরি। যদি আল্লাহর বান্দারা আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করে থাকেন, তাহলে তাঁরা কুফরি কাজ করে থাকলেন। এ জন্য আল্লাহ কোরআনে স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘তোমরা আমার শুকরিয়া আদায় করো, আমার সঙ্গে কুফরি করো না।’ আল্লাহ যে নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন, আল্লাহর নিয়ামত লাভ করে সুন্দর জীবনযাপন করা, এটা যদি কেউ আল্লাহর কাছে সত্যিকার অর্থে তুলে ধরতে না পারে, তাহলে সে ব্যক্তি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া করলেন না, কুফরি করলেন। এই জন্য আল্লাহ সুরা দোহার শেষ আয়াতে বলেছেন, ‘তুমি তোমার রবের নিয়ামত প্রকাশ করো। কারণ, তোমার কাছে যখন নিয়ামত আসছে, তখন আল্লাহ পছন্দ করেন যে তুমি আল্লাহর এই নিয়ামতের বিষয়টি তুলে ধরবে।’ আল্লাহর কাছে বলবে, আল্লাহ আমাকে এই নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন। আল্লাহ নিয়ামতকে বান্দার কাছে তুলে ধরার জন্য বলেছেন, বহিঃপ্রকাশ করার জন্য বলেছেন। বহিঃপ্রকাশ দুই ধরনের হতে পারে। একটি হলো নিয়ামতের ব্যবহারের মাধ্যমে বহিঃপ্রকাশ করা। দ্বিতীয়ত, নিয়ামতের বিষয়টি হলো মানুষের কাছে নিয়ামত তুলে ধরবে। যাতে করে আল্লাহর প্রশংসা প্রকাশ পায়। নিয়ামতের শুকরিয়া যদি কেউ আদায় না করেন, তাহলে কুফরি হবে। আল্লাহ বলেছেন, যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করে থাক, তাহলে আমি আরো বৃদ্ধি করে দেব। বান্দারা যখন নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করবে, তখন আল্লাহ আরো নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করে দেন। আর যদি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা হয়, তাহলে আল্লাহ নিয়ামত কমিয়ে দেবেন এবং সেইসঙ্গে আরেকটি কঠিন বাণী আল্লাহ বলেছেন, ‘জেনে রাখো আল্লাহর কঠিন আজাবও তোমাদের জন্য অবধারিত থাকবে।’ নিয়ামতের শুকরিয়া শুধু মুখে আদায় করা যথেষ্ট নয়। কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর শুকরিয়া আমলের মাধ্যমে আদায় করো।’ সুতরাং বান্দারা শুকরিয়া আদায় করবে। শুকরিয়ার অনেকগুলো দিক রয়েছে, তার মধ্যে আমলের মাধ্যমে শুকরিয়া আদায় করা হলো শুকরিয়ার সর্বোচ্চ স্তর।
প্রায় এক যুগ পর মানবতা বিরোধী অপরাধে ফাঁসির আদেশ পাওয়া জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম সুপ্রিম কোর্টের সর্বোচ্চ আপিল বেঞ্চ থেকে সম্পূর্ণ খালাস পেয়েছেন। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চ সর্বসম্মতভাবে এই রায় প্রদান করেন। আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, আজহারুল ইসলাম বিচার নয় বরং বিচারের নামে অবিচারের শিকার হয়েছেন। মামলার শুনানিতে উঠে আসে মিথ্যা সাক্ষ্য, এবং এমনকি ৬ কিলোমিটার দূর থেকে অপরাধ দেখার মতো অবিশ্বাস্য ঘটনা। ফৌজদারি আইনের প্রক্রিয়া ভেঙে যেভাবে তাকে সাজা দেওয়া হয়েছিল, সেটিকে রায়টি ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার জন্য একটি নজিরবিহীন ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করে। জামায়াতে ইসলামী এই রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেছে, “কোরআনে বলা হয়েছে সত্যের বিজয় হবেই।” তারা এটিকে সত্য ও ন্যায়ের বিজয় হিসেবে দেখছে। আইনজীবী শিশির মনির বলেন, “সত্যেরই জয় হয়েছে।”
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”
মাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৩৩৪তম পর্বে নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে নিয়ামত কমে যাবে কি না, সে বিষয়ে ঢাকা থেকে চিঠির মাধ্যমে জানতে চেয়েছেন একজন দর্শক। অনুলিখন করেছেন জান্নাত আরা পাপিয়া। প্রশ্ন : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে? উত্তর : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা কুফরি। এটা বড় কুফরি না, ছোট কুফরি। যদি আল্লাহর বান্দারা আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করে থাকেন, তাহলে তাঁরা কুফরি কাজ করে থাকলেন। এ জন্য আল্লাহ কোরআনে স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘তোমরা আমার শুকরিয়া আদায় করো, আমার সঙ্গে কুফরি করো না।’ আল্লাহ যে নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন, আল্লাহর নিয়ামত লাভ করে সুন্দর জীবনযাপন করা, এটা যদি কেউ আল্লাহর কাছে সত্যিকার অর্থে তুলে ধরতে না পারে, তাহলে সে ব্যক্তি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া করলেন না, কুফরি করলেন। এই জন্য আল্লাহ সুরা দোহার শেষ আয়াতে বলেছেন, ‘তুমি তোমার রবের নিয়ামত প্রকাশ করো। কারণ, তোমার কাছে যখন নিয়ামত আসছে, তখন আল্লাহ পছন্দ করেন যে তুমি আল্লাহর এই নিয়ামতের বিষয়টি তুলে ধরবে।’ আল্লাহর কাছে বলবে, আল্লাহ আমাকে এই নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন। আল্লাহ নিয়ামতকে বান্দার কাছে তুলে ধরার জন্য বলেছেন, বহিঃপ্রকাশ করার জন্য বলেছেন। বহিঃপ্রকাশ দুই ধরনের হতে পারে। একটি হলো নিয়ামতের ব্যবহারের মাধ্যমে বহিঃপ্রকাশ করা। দ্বিতীয়ত, নিয়ামতের বিষয়টি হলো মানুষের কাছে নিয়ামত তুলে ধরবে। যাতে করে আল্লাহর প্রশংসা প্রকাশ পায়। নিয়ামতের শুকরিয়া যদি কেউ আদায় না করেন, তাহলে কুফরি হবে। আল্লাহ বলেছেন, যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করে থাক, তাহলে আমি আরো বৃদ্ধি করে দেব। বান্দারা যখন নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করবে, তখন আল্লাহ আরো নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করে দেন। আর যদি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা হয়, তাহলে আল্লাহ নিয়ামত কমিয়ে দেবেন এবং সেইসঙ্গে আরেকটি কঠিন বাণী আল্লাহ বলেছেন, ‘জেনে রাখো আল্লাহর কঠিন আজাবও তোমাদের জন্য অবধারিত থাকবে।’ নিয়ামতের শুকরিয়া শুধু মুখে আদায় করা যথেষ্ট নয়। কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর শুকরিয়া আমলের মাধ্যমে আদায় করো।’ সুতরাং বান্দারা শুকরিয়া আদায় করবে। শুকরিয়ার অনেকগুলো দিক রয়েছে, তার মধ্যে আমলের মাধ্যমে শুকরিয়া আদায় করা হলো শুকরিয়ার সর্বোচ্চ স্তর।
তিনি ছিলেন মানবজাতির আদর্শ। তিনি অত্যন্ত উদার ও বিনয়ী ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক এবং একজন সাহসী যোদ্ধা। এছাড়াও তিনি একজন দক্ষ প্রশাসক, একজন দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক এবং একজন সফল প্রচারক ছিলেন। তিনিই উত্তম চরিত্র ও উদারতার একমাত্র উৎস। তিনি সকলের আদর্শহীন এবং প্রিয় ব্যক্তিত্ব। যার প্রেমে, দুনিয়া মাতাল। তিনি আমার আদর্শ, তিনি আমার নেতা। তিনি আমার নবী, আমাদের নবী এবং সকলের নবী। তিনি হলেন হযরত মুহাম্মদ (সা.) তিনি সর্বোত্তম আদর্শ। সমস্ত মানবজাতির জন্য করুণা। অন্ধকারে নিমজ্জিত বিশ্বের মানুষের জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে। তার অসাধারণ চরিত্র, মাধুর্য এবং অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব সবাইকে অবাক করেছে। মুমিনের চঞ্চল হৃদয় তাকে এক নজর দেখার জন্য আকুল হয়ে থাকে। কবি কাজী নজরুল বলেছেন: “বিচ্ছেদের রাত ছিল একাকার কান্নার ভোর; আমার মনে শান্তি নেই, আমি কাঁদছি। হে মদিনাবাসীর প্রেমিক, আমার হাত ধর।" তার নিষ্কলুষ চরিত্রের স্বীকৃতি দিয়ে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, "তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।" (সূরা আল-আহজাব, আয়াত 21)। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে আজ কিছু লোক সেই নবীর সম্মানকে অবমাননা করছে। হৃদয় ভেঙ্গে যায়। আমাদের ক্ষমা করুন, হে নবী! তিনি তার অবিস্মরণীয় ক্ষমা, উদারতা, সততা, নম্রতা প্রভৃতির বিরল মুগ্ধতা দিয়ে বর্বর আরব জাতির আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এজন্য তারা তাকে ‘আল-আমিন’ উপাধিতে ভূষিত করেন। তারা সর্বসম্মতিক্রমে স্বীকার করেছিল যে তিনি নম্র এবং গুণী ছিলেন। টাকা দিয়ে নয়, ভালো ব্যবহার দিয়ে তিনি বিশ্ববাসীকে জয় করেছেন। আল্লাহ তাঁর গুণাবলী সম্পর্কে কুরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই তুমি মহৎ চরিত্রের অধিকারী।’ (সূরা আল কালাম, আয়াত ৪)। তিনি কখনো মানুষকে তুচ্ছ করেননি। আত্মসম্মানবোধে তিনি কাউকে তুচ্ছ মনে করেননি। তিনি বিশ্বের হৃদয়ে উচ্চতর চরিত্রের একটি অনুপম মানদণ্ড স্থাপন করেছেন। নম্রতা তার চরিত্রে সর্বদা উপস্থিত ছিল। পৃথিবীর মানবতার কল্যাণে তাকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল শ্রেষ্ঠ আদর্শের বাস্তবায়নকারী ও প্রশিক্ষক হিসেবে। এ প্রসঙ্গে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমাকে আমার উত্তম চরিত্র পূর্ণ করার জন্য প্রেরিত করা হয়েছে।’ (মুসনাদে আহমদ, মিশকাত) ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন বিনয়ী এবং আচার-আচরণে অত্যন্ত বিনয়ী। দুর্বল ব্যক্তিকে কড়া কথায় আঘাত করবেন না। তিনি কোন মানুষকে তার সাধ্যের বাইরে অসাধ্য সাধন করতে বাধ্য করেননি। গরিব-অসহায় মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করতেন। তিনি লোকদেরকে তাদের আচরণে অপ্রয়োজনীয় রাগ ও রাগ থেকে সর্বদা বিরত থাকার উপদেশ দিতেন এবং মানুষকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন, “যে বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাকে উঁচু করে দেন এবং যে অহংকারী হয়, আল্লাহ তাকে লাঞ্ছিত করেন।” (মিশকাত) কাফেররাও তার কাছ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে সদয় ও নম্র আচরণ পেয়েছিল। তার অনুসারীরা তাকে উচ্চ সম্মানের সাথে ধরেছিল কারণ তিনি খুব নমনীয় এবং নম্র ছিলেন। হজরত আয়েশা (রা.) তার ভদ্র আচার-আচরণ সম্পর্কে বলেন, ‘নবী (সা.) রূঢ় বক্তা ছিলেন না, প্রয়োজনের সময়ও তিনি কঠোর ভাষা ব্যবহার করতেন না। প্রতিহিংসা তার সাথে ছিল না মোটেও। মন্দের বিনিময়ে ভালোই করেছেন। সব ক্ষেত্রেই তিনি ক্ষমা পছন্দ করতেন। তিনি লোকদেরকে উপদেশ দিয়েছিলেন, “আল্লাহর ইবাদত কর, করুণাময় প্রভু, ক্ষুধার্তকে খাবার দাও, সালাম দাও এবং এসব কাজের মাধ্যমে জান্নাতে প্রবেশ কর। তিনি উত্তর দিলেন, "ক্ষুধার্তকে খাওয়ানো এবং অপরিচিত সকলকে সালাম করা।" (বুখারী ও মুসলিম)। মহানবী (সা.)-এর মর্যাদাকে সম্মান করা মুসলমানদের ধর্মীয় কর্তব্য এবং প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানের মৌলিক অংশ।
নামাজ, রোজা, জাকাত, হজ, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৯২৯তম পর্বে ই-মেইলের মাধ্যমে কানিজ নাহার দিপা জানতে চেয়েছেন, মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? অনুলিখন করেছেন মোহাম্মদ সাইফ আহমেদ। প্রশ্ন : মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? উত্তর : না দোয়ার জন্য আলাদা কোনো মাহফিল নেই। এটা আসবে কেন? আমরা একটা জায়গা থেকে বাঁচার জন্য আরেকটি কাজ করছি। কিন্তু সেই কাজটি ভুল করে আরও বড় ভুলের সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। আমাদের সমাজে একটি প্রথা একেবারে ছেয়ে গেছে। যেমন—একজন মারা গেলে তার জন্য মিলাদ-মাহফিল করা কিংবা কূলখানি করা। কিন্তু এগুলো সবই বেদআতি কাজ। এগুলো সঠিক কাজ নয়। অনেকে মনে করছে, দোয়া-মাহফিল করা যেতে পারে। কিন্তু সেটা একদমই নয়। এসব ইসলামে অনুমোদন দেয়নি। এইগুলো পুরোটাই বেদআত। মানুষ চাইলে যে কোনো সময় কিংবা যে কোনো জায়গা থেকে দোয়া করতে পারবেন। দোয়ার সঙ্গে মাহফিল কিংবা আলাদা কোনো ধরনের অনুষ্ঠান ঘোষণা করা জায়েজ নেই। আশা করি, আপনি বুঝতে পেরেছেন।
র্তমান প্রযুক্তি বিশ্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) নিয়ে নতুন প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ওপেনএআই-এর চ্যাটজিপিটি ও চীনের ডিপসিকের মধ্যে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুধু প্রযুক্তিগত দক্ষতার নয়, বরং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। চ্যাটজিপিটি দীর্ঘদিন ধরে ব্লগ লেখা, গবেষণা, প্রোগ্রামিংসহ নানান কাজে অপরিহার্য টুল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি চীনের তৈরি ডিপসিক এআই জগতে নতুন আলোড়ন তুলেছে। তারা দাবি করছে, তুলনামূলক কম চিপ ব্যবহার করেই অত্যাধুনিক এআই সেবা দেওয়া সম্ভব, যেখানে ওপেনএআই-এর বিশাল মডেলগুলোর জন্য ১৬,০০০ বা তারও বেশি চিপ প্রয়োজন হয়, সেখানে মাত্র ২০০০ চিপ দিয়ে ডিপসিক কার্যকরভাবে কাজ করতে সক্ষম। দুই প্ল্যাটফর্মের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রয়েছে। ✅ চ্যাটজিপিটি: বিস্তৃত বিশ্লেষণ ও গভীর গবেষণা উপস্থাপন করতে পারে, যা একাডেমিক ও জটিল সমস্যার সমাধানে সহায়ক। ✅ ডিপসিক: দ্রুত এবং সংক্ষিপ্ত উত্তর দিতে পারে, যা তাৎক্ষণিক ফলাফল প্রত্যাশী ব্যবহারকারীদের জন্য উপযোগী। লেখালেখির ক্ষেত্রে চ্যাটজিপিটি কেবল ধারণা ও প্লটের কাঠামো গড়ে তোলে, যেখানে ডিপসিক প্রায় পুরো গল্প তৈরি করে দিতে পারে। একইভাবে, কোডিংয়ের ক্ষেত্রেও ডিপসিক কিছু ক্ষেত্রে দ্রুত সমাধান দিতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। ডিপসিকের বিরুদ্ধে ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা সংরক্ষণ ও তথ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অস্ট্রেলিয়াসহ কয়েকটি দেশের সরকার ইতোমধ্যেই ডিপসিকের ডেটা নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ওপেনএআই নিজেও অতীতে অনুমতি ছাড়া মানুষের লেখা ডেটা প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহারের অভিযোগের মুখে পড়েছিল, যা এখন ডিপসিকের বিরুদ্ধে উঠছে। ডিপসিকের সাফল্যের ফলে এআই চিপের বাজারেও বড় প্রভাব পড়েছে। এনভিডিয়া, যারা উন্নত চিপ তৈরিতে বিশ্বব্যাপী অগ্রগণ্য, তাদের শেয়ারের মূল্য একদিনে প্রায় ১৭% কমে গেছে। কারণ, কম শক্তিশালী হার্ডওয়্যারেও কার্যকর এআই সম্ভব হলে উচ্চমূল্যের উন্নত চিপের বাজার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে প্রযুক্তিগত প্রতিযোগিতা নতুন কিছু নয়, তবে ডিপসিকের উদ্ভাবন নতুন মাত্রা যোগ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই চীনে উন্নত চিপ রপ্তানির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, কম খরচে ভালো এআই তৈরি হলে মার্কিন প্রযুক্তি খাতেরও লাভ হতে পারে। এই প্রতিযোগিতা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভবিষ্যৎকে আরও উন্নত ও বহুমাত্রিক করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যেখানে দ্রুত এবং সাশ্রয়ী সমাধান দরকার, সেখানে হয়তো ডিপসিক এগিয়ে থাকবে, আর যেখানে গবেষণা ও জটিল বিশ্লেষণের প্রয়োজন, সেখানে চ্যাটজিপিটির মতো বৃহৎ মডেলগুলো প্রাধান্য পাবে। শেষ পর্যন্ত, এই প্রতিযোগিতাই হয়তো এআই প্রযুক্তিকে আরও দক্ষ, নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী করবে।