Search : সাংবাদিক সম্মেলন

জাতীয়
বেগমগঞ্জে ইউএনও কতৃক সমিতির সচিবকে নির্যাতন ও মার্কেট পরিচালনায় অসহযোগিতার প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন

হকার্স সমবায় সমিতি লিঃ " পক্ষ থেকে ৬ অক্টোবর বিকালে বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আরিফুর রহমান  কতৃক সমিতির সচিব আবুল খায়ের রাসেল ও সমিতির পিয়ন মমিন উল্যাহ সুমনকে মারধর ও সমিতির অফিসের আলমারি ডয়ার তল্লাশী করে এবং তান্ডবের প্রমাণ মুছে দিতে সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক খুলে নিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে সমিতির পরিচালকবৃন্দ  এ সময় সাংবাদিকদের সামনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হকার্স সমবায় সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান হাজী মোঃ ইউছুপ। তিনি অভিযোগ করে বলেন, সমিতি প্রতি বছর চৌমুহনী পৌরসভাকে প্রায় ২ লাখ ৩৪ হাজার টাকা হোল্ডিং ট্যাক্স প্রদান করে। অথচ পৌর প্রশাসক মার্কেটের রাস্তায় পৌরসভার লাইটগুলো বন্ধ করে দিয়েছেন, সুইপারদের প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। ফলে মার্কেটে ছয় মাস ধরে ময়লা-আবর্জনা স্তুপ হয়ে আছে,যা ব্যবসায়ীদের জন্য ভোগান্তি তৈরি করছে। তিনি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন,আমরা সংবাদপত্রের মাধ্যমে জাতির বিবেক সাংবাদিক সমাজের কাছে আবেদন জানাচ্ছি,আমাদের সমিতিকে বাঁচান। দ্রুত সময়ের মধ্যে মার্কেটের ময়লা-আবর্জনা অপসারণের জন্য ব্যবস্থা নিন। তিনি আরও বলেন,মার্কেটের সামনে ইউ-টার্ন দেওয়ার কারণে বড় গাড়িগুলো মালামাল আনতে পারছে না। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে এই ইউ-টার্নটি অপসারণের দাবি জানাই। তিনি দুঃখের সঙ্গে আরও বলেন, মার্কেটের পানের আড়তের দক্ষিণ পাশে থাকা টয়লেটটি পরিত্যক্ত ঘোষণার পর এখন উত্তর পাশে নতুন টয়লেট নির্মাণের দাবি জানিয়েছি। এটি ব্যবসায়ীদের প্রাণের দাবি। তিনি বলেন,সমিতির নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত ডাস্টবিন ভেঙে দেওয়া হয়, দুই সদস্যের দোকানের সিঁড়িও ভেঙে ফেলা হয়। এমনকি অস্থায়ী খুঁটি ভেঙে সমিতির উন্নয়ন কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে। আমাদের নিজস্ব জায়গায় জোরপূর্বক বাথরুম নির্মাণের অপচেষ্টা চলছে। সমিতির অনুমোদিত ময়লা পরিস্কারের বক্স ও ব্যবসায়ীদের ৩০টি ভ্যান গাড়িও নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন,হাইকোর্ট ও জজকোর্ট কর্তৃক নিষেধাজ্ঞার সাইনবোর্ড পর্যন্ত ভেঙে ফেলা হয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে নির্বাহী কর্মকর্তা নিজ মুখে হাইকোর্টকে ‘হইরা কোর্ট’ বলে অবমাননাকর মন্তব্য করেন এবং অকথ্য ভাষায় সমিতির পরিচালকদের গালিগালাজ করেন। পরিচালনা পরিষদের ২৫জন সদস্যের উপস্থিতে এই সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মার্কেটের ব্যবসায়ী সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল মালেক। কোষাধ্যক্ষ ইসমাইল হোসেন দুলাল মার্কেটের সদস্য কাজী মোহাম্মদ আলী সহ আরো অনেকে। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী জেলা ও উপজেলা পযার্য়ের প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সাংবাদিকবৃ

মুক্তধ্বনি ডেক্স অক্টোবর ৮, ২০২৫ 0
আইন-অপরাধ
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ৩০ লক্ষ টাকা যৌতুক না দেওয়ায় স্বামী ও তার পরিবারের ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল শহরের শাকিন রেজিস্ট্রি পাড়ার একটি ভাড়া বাসায় আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগ তুলে ধরেন। তিনি জানান, চলতি বছরের গত ১৩ জুলাই রাতে কালিহাতী উপজেলার ভবানীপুর গ্রামে স্বামীর বাড়িতে স্বামী শওকত হোসেন তালুকদার ওরফে ঠান্ডু, ভাসুর মমিন তালুকদার ও জা আকলিমা মিলে তাকে ঘরে আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। একপর্যায়ে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তার কাছ থেকে জোরপূর্বক তিনটি নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়া হয় এবং এমএসডব্লিউ ৩৭৮২৩৩৬ ও ৩৭৮২৩৩৭ নম্বরের দুটি ব্ল্যাংক চেক আত্মসাৎ করা হয়। যা ভয়ংকর প্রতারণা ও জবরদস্তির ঘটনা। পরে খবর পেয়ে কালিহাতী থানা পুলিশ গিয়ে তাকে স্বামীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে। পরদিন ১৪ জুলাই তিনি কালিহাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন এবং দুই দিন সেখানে চিকিৎসা নেন। নির্যাতনের পর তিনি তার মা’র সহায়তায় টাঙ্গাইল শহরের একটি ভাড়া বাসায় আশ্রয় নেন। ফারহানার পৈতৃক বাড়ি কালিহাতী উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের কাছিনা লখাই গ্রামে। তার বাবা আবুল কালাম আজাদ একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা। ঘটনার পর টাঙ্গাইলে কোটে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩) এর ১১(গ)/৩০ ধারা এবং ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৩৮৬ (চাঁদাবাজি), ৩৭৯ (চুরি), ৩২৩ (আঘাত) ও ৫০৬ (হুমকি) ধারায় নথিভুক্ত হয়। এসময় সাংবাদিক সম্মেলনে কান্নাজড়িত কণ্ঠে ফারহানা আরও বলেন, “আমি শুধু একজন স্ত্রী নই, একজন মানুষ। অথচ আমাকে বারবার টাকার কাছে বিক্রি করে দিতে চেয়েছে ওরা। আমি ন্যায়বিচার চাই। আমি চাই না, আর কোনো নারী আমার মতো পরিস্থিতির শিকার হোক।” তিনি আরও বলেন, “তদন্ত যেন দ্রুত ও সঠিকভাবে হয় এবং অপরাধীদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা হোক, যেন তারা আর কোনো নারীর জীবন নষ্ট করতে না পারে। এই সমাজ বদলাতে হবে। যৌতুক নামের সামাজিক বিষ থেকে মুক্তি চাই।” তার বক্তব্যে উঠে আসে, এই ঘটনা নিছক পারিবারিক কলহ নয়, বরং নারীর অধিকার, নিরাপত্তা ও মানবাধিকারের ওপর সরাসরি আঘাত। যৌতুকবিরোধী আইন ও মানবাধিকার সনদের বাস্তবায়নের দাবি জানান তিনি। একই সঙ্গে প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান, যেন দ্রুত বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হয় এবং এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করা যায়।  

মুক্তধ্বনি ডেক্স আগস্ট ২২, ২০২৫ 0
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ৩০ লক্ষ টাকা যৌতুক না দেওয়ায় স্বামী ও তার পরিবারের ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ
আইন-অপরাধ
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ৩০ লক্ষ টাকা যৌতুক না দেওয়ায় স্বামী ও তার পরিবারের ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল শহরের শাকিন রেজিস্ট্রি পাড়ার একটি ভাড়া বাসায় আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগ তুলে ধরেন। তিনি জানান, চলতি বছরের গত ১৩ জুলাই রাতে কালিহাতী উপজেলার ভবানীপুর গ্রামে স্বামীর বাড়িতে স্বামী শওকত হোসেন তালুকদার ওরফে ঠান্ডু, ভাসুর মমিন তালুকদার ও জা আকলিমা মিলে তাকে ঘরে আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। একপর্যায়ে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তার কাছ থেকে জোরপূর্বক তিনটি নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়া হয় এবং এমএসডব্লিউ ৩৭৮২৩৩৬ ও ৩৭৮২৩৩৭ নম্বরের দুটি ব্ল্যাংক চেক আত্মসাৎ করা হয়। যা ভয়ংকর প্রতারণা ও জবরদস্তির ঘটনা। পরে খবর পেয়ে কালিহাতী থানা পুলিশ গিয়ে তাকে স্বামীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে। পরদিন ১৪ জুলাই তিনি কালিহাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন এবং দুই দিন সেখানে চিকিৎসা নেন। নির্যাতনের পর তিনি তার মা’র সহায়তায় টাঙ্গাইল শহরের একটি ভাড়া বাসায় আশ্রয় নেন। ফারহানার পৈতৃক বাড়ি কালিহাতী উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের কাছিনা লখাই গ্রামে। তার বাবা আবুল কালাম আজাদ একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা। ঘটনার পর টাঙ্গাইলে কোটে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩) এর ১১(গ)/৩০ ধারা এবং ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৩৮৬ (চাঁদাবাজি), ৩৭৯ (চুরি), ৩২৩ (আঘাত) ও ৫০৬ (হুমকি) ধারায় নথিভুক্ত হয়। এসময় সাংবাদিক সম্মেলনে কান্নাজড়িত কণ্ঠে ফারহানা আরও বলেন, “আমি শুধু একজন স্ত্রী নই, একজন মানুষ। অথচ আমাকে বারবার টাকার কাছে বিক্রি করে দিতে চেয়েছে ওরা। আমি ন্যায়বিচার চাই। আমি চাই না, আর কোনো নারী আমার মতো পরিস্থিতির শিকার হোক।” তিনি আরও বলেন, “তদন্ত যেন দ্রুত ও সঠিকভাবে হয় এবং অপরাধীদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা হোক, যেন তারা আর কোনো নারীর জীবন নষ্ট করতে না পারে। এই সমাজ বদলাতে হবে। যৌতুক নামের সামাজিক বিষ থেকে মুক্তি চাই।” তার বক্তব্যে উঠে আসে, এই ঘটনা নিছক পারিবারিক কলহ নয়, বরং নারীর অধিকার, নিরাপত্তা ও মানবাধিকারের ওপর সরাসরি আঘাত। যৌতুকবিরোধী আইন ও মানবাধিকার সনদের বাস্তবায়নের দাবি জানান তিনি। একই সঙ্গে প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান, যেন দ্রুত বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হয় এবং এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করা যায়।  

মুক্তধ্বনি ডেক্স আগস্ট ১, ২০২৫ 0
সর্বাধিক পঠিত
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির ঢাকা বিভাগীয় ব্যুরো চীফ হলেন সাংবাদিক মোঃ মনিরুজ্জামান।

দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”

শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে?

মাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দ‍র্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৩৩৪তম পর্বে নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে নিয়ামত কমে যাবে কি না, সে বিষয়ে ঢাকা থেকে চিঠির মাধ্যমে জানতে চেয়েছেন একজন দর্শক। অনুলিখন করেছেন জান্নাত আরা পাপিয়া। প্রশ্ন : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে? উত্তর : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা কুফরি। এটা বড় কুফরি না, ছোট কুফরি। যদি আল্লাহর বান্দারা আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করে থাকেন, তাহলে তাঁরা কুফরি কাজ করে থাকলেন। এ জন্য আল্লাহ কোরআনে স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘তোমরা আমার শুকরিয়া আদায় করো, আমার সঙ্গে কুফরি করো না।’ আল্লাহ যে নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন, আল্লাহর নিয়ামত লাভ করে সুন্দর জীবনযাপন করা, এটা যদি কেউ আল্লাহর কাছে সত্যিকার অর্থে তুলে ধরতে না পারে, তাহলে সে ব্যক্তি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া করলেন না, কুফরি করলেন। এই জন্য আল্লাহ সুরা দোহার শেষ আয়াতে বলেছেন, ‘তুমি তোমার রবের নিয়ামত প্রকাশ করো। কারণ, তোমার কাছে যখন নিয়ামত আসছে, তখন আল্লাহ পছন্দ করেন যে তুমি আল্লাহর এই নিয়ামতের বিষয়টি তুলে ধরবে।’ আল্লাহর কাছে বলবে, আল্লাহ আমাকে এই নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন। আল্লাহ নিয়ামতকে বান্দার কাছে তুলে ধরার জন্য বলেছেন, বহিঃপ্রকাশ করার জন্য বলেছেন। বহিঃপ্রকাশ দুই ধরনের হতে পারে। একটি হলো নিয়ামতের ব্যবহারের মাধ্যমে বহিঃপ্রকাশ করা। দ্বিতীয়ত, নিয়ামতের বিষয়টি হলো মানুষের কাছে নিয়ামত তুলে ধরবে। যাতে করে আল্লাহর প্রশংসা প্রকাশ পায়। নিয়ামতের শুকরিয়া যদি কেউ আদায় না করেন, তাহলে কুফরি হবে। আল্লাহ বলেছেন, যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করে থাক, তাহলে আমি আরো বৃদ্ধি করে দেব। বান্দারা যখন নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করবে, তখন আল্লাহ আরো নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করে দেন। আর যদি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা হয়, তাহলে আল্লাহ নিয়ামত কমিয়ে দেবেন এবং সেইসঙ্গে আরেকটি কঠিন বাণী আল্লাহ বলেছেন, ‘জেনে রাখো আল্লাহর কঠিন আজাবও তোমাদের জন্য অবধারিত থাকবে।’ নিয়ামতের শুকরিয়া শুধু মুখে আদায় করা যথেষ্ট নয়। কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর শুকরিয়া আমলের মাধ্যমে আদায় করো।’ সুতরাং বান্দারা শুকরিয়া আদায় করবে। শুকরিয়ার অনেকগুলো দিক রয়েছে, তার মধ্যে আমলের মাধ্যমে শুকরিয়া আদায় করা হলো শুকরিয়ার সর্বোচ্চ স্তর।

নবী মুহাম্মদ (সাঃ) - নিষ্পাপ চরিত্রের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ

তিনি ছিলেন মানবজাতির আদর্শ। তিনি অত্যন্ত উদার ও বিনয়ী ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক এবং একজন সাহসী যোদ্ধা। এছাড়াও তিনি একজন দক্ষ প্রশাসক, একজন দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক এবং একজন সফল প্রচারক ছিলেন। তিনিই উত্তম চরিত্র ও উদারতার একমাত্র উৎস। তিনি সকলের আদর্শহীন এবং প্রিয় ব্যক্তিত্ব। যার প্রেমে, দুনিয়া মাতাল। তিনি আমার আদর্শ, তিনি আমার নেতা। তিনি আমার নবী, আমাদের নবী এবং সকলের নবী। তিনি হলেন হযরত মুহাম্মদ (সা.) তিনি সর্বোত্তম আদর্শ। সমস্ত মানবজাতির জন্য করুণা। অন্ধকারে নিমজ্জিত বিশ্বের মানুষের জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে। তার অসাধারণ চরিত্র, মাধুর্য এবং অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব সবাইকে অবাক করেছে। মুমিনের চঞ্চল হৃদয় তাকে এক নজর দেখার জন্য আকুল হয়ে থাকে। কবি কাজী নজরুল বলেছেন: “বিচ্ছেদের রাত ছিল একাকার কান্নার ভোর; আমার মনে শান্তি নেই, আমি কাঁদছি। হে মদিনাবাসীর প্রেমিক, আমার হাত ধর।" তার নিষ্কলুষ চরিত্রের স্বীকৃতি দিয়ে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, "তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।" (সূরা আল-আহজাব, আয়াত 21)। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে আজ কিছু লোক সেই নবীর সম্মানকে অবমাননা করছে। হৃদয় ভেঙ্গে যায়। আমাদের ক্ষমা করুন, হে নবী! তিনি তার অবিস্মরণীয় ক্ষমা, উদারতা, সততা, নম্রতা প্রভৃতির বিরল মুগ্ধতা দিয়ে বর্বর আরব জাতির আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এজন্য তারা তাকে ‘আল-আমিন’ উপাধিতে ভূষিত করেন। তারা সর্বসম্মতিক্রমে স্বীকার করেছিল যে তিনি নম্র এবং গুণী ছিলেন। টাকা দিয়ে নয়, ভালো ব্যবহার দিয়ে তিনি বিশ্ববাসীকে জয় করেছেন। আল্লাহ তাঁর গুণাবলী সম্পর্কে কুরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই তুমি মহৎ চরিত্রের অধিকারী।’ (সূরা আল কালাম, আয়াত ৪)। তিনি কখনো মানুষকে তুচ্ছ করেননি। আত্মসম্মানবোধে তিনি কাউকে তুচ্ছ মনে করেননি। তিনি বিশ্বের হৃদয়ে উচ্চতর চরিত্রের একটি অনুপম মানদণ্ড স্থাপন করেছেন। নম্রতা তার চরিত্রে সর্বদা উপস্থিত ছিল। পৃথিবীর মানবতার কল্যাণে তাকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল শ্রেষ্ঠ আদর্শের বাস্তবায়নকারী ও প্রশিক্ষক হিসেবে। এ প্রসঙ্গে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমাকে আমার উত্তম চরিত্র পূর্ণ করার জন্য প্রেরিত করা হয়েছে।’ (মুসনাদে আহমদ, মিশকাত) ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন বিনয়ী এবং আচার-আচরণে অত্যন্ত বিনয়ী। দুর্বল ব্যক্তিকে কড়া কথায় আঘাত করবেন না। তিনি কোন মানুষকে তার সাধ্যের বাইরে অসাধ্য সাধন করতে বাধ্য করেননি। গরিব-অসহায় মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করতেন। তিনি লোকদেরকে তাদের আচরণে অপ্রয়োজনীয় রাগ ও রাগ থেকে সর্বদা বিরত থাকার উপদেশ দিতেন এবং মানুষকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন, “যে বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাকে উঁচু করে দেন এবং যে অহংকারী হয়, আল্লাহ তাকে লাঞ্ছিত করেন।” (মিশকাত) কাফেররাও তার কাছ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে সদয় ও নম্র আচরণ পেয়েছিল। তার অনুসারীরা তাকে উচ্চ সম্মানের সাথে ধরেছিল কারণ তিনি খুব নমনীয় এবং নম্র ছিলেন। হজরত আয়েশা (রা.) তার ভদ্র আচার-আচরণ সম্পর্কে বলেন, ‘নবী (সা.) রূঢ় বক্তা ছিলেন না, প্রয়োজনের সময়ও তিনি কঠোর ভাষা ব্যবহার করতেন না। প্রতিহিংসা তার সাথে ছিল না মোটেও। মন্দের বিনিময়ে ভালোই করেছেন। সব ক্ষেত্রেই তিনি ক্ষমা পছন্দ করতেন। তিনি লোকদেরকে উপদেশ দিয়েছিলেন, “আল্লাহর ইবাদত কর, করুণাময় প্রভু, ক্ষুধার্তকে খাবার দাও, সালাম দাও এবং এসব কাজের মাধ্যমে জান্নাতে প্রবেশ কর। তিনি উত্তর দিলেন, "ক্ষুধার্তকে খাওয়ানো এবং অপরিচিত সকলকে সালাম করা।" (বুখারী ও মুসলিম)। মহানবী (সা.)-এর মর্যাদাকে সম্মান করা মুসলমানদের ধর্মীয় কর্তব্য এবং প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানের মৌলিক অংশ।

মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি?

নামাজ, রোজা, জাকাত, হজ, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৯২৯তম পর্বে ই-মেইলের মাধ্যমে কানিজ নাহার দিপা জানতে চেয়েছেন, মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? অনুলিখন করেছেন মোহাম্মদ সাইফ আহমেদ। প্রশ্ন : মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? উত্তর : না দোয়ার জন্য আলাদা কোনো মাহফিল নেই। এটা আসবে কেন? আমরা একটা জায়গা থেকে বাঁচার জন্য আরেকটি কাজ করছি। কিন্তু সেই কাজটি ভুল করে আরও বড় ভুলের সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। আমাদের সমাজে একটি প্রথা একেবারে ছেয়ে গেছে। যেমন—একজন মারা গেলে তার জন্য মিলাদ-মাহফিল করা কিংবা কূলখানি করা। কিন্তু এগুলো সবই বেদআতি কাজ। এগুলো সঠিক কাজ নয়। অনেকে মনে করছে, দোয়া-মাহফিল করা যেতে পারে। কিন্তু সেটা একদমই নয়। এসব ইসলামে অনুমোদন দেয়নি। এইগুলো পুরোটাই বেদআত। মানুষ চাইলে যে কোনো সময় কিংবা যে কোনো জায়গা থেকে দোয়া করতে পারবেন। দোয়ার সঙ্গে মাহফিল কিংবা আলাদা কোনো ধরনের অনুষ্ঠান ঘোষণা করা জায়েজ নেই। আশা করি, আপনি বুঝতে পেরেছেন।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রতিযোগিতা: চ্যাটজিপিটি বনাম ডিপসিক?

র্তমান প্রযুক্তি বিশ্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) নিয়ে নতুন প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ওপেনএআই-এর চ্যাটজিপিটি ও চীনের ডিপসিকের মধ্যে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুধু প্রযুক্তিগত দক্ষতার নয়, বরং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। চ্যাটজিপিটি দীর্ঘদিন ধরে ব্লগ লেখা, গবেষণা, প্রোগ্রামিংসহ নানান কাজে অপরিহার্য টুল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি চীনের তৈরি ডিপসিক এআই জগতে নতুন আলোড়ন তুলেছে। তারা দাবি করছে, তুলনামূলক কম চিপ ব্যবহার করেই অত্যাধুনিক এআই সেবা দেওয়া সম্ভব, যেখানে ওপেনএআই-এর বিশাল মডেলগুলোর জন্য ১৬,০০০ বা তারও বেশি চিপ প্রয়োজন হয়, সেখানে মাত্র ২০০০ চিপ দিয়ে ডিপসিক কার্যকরভাবে কাজ করতে সক্ষম। দুই প্ল্যাটফর্মের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রয়েছে। ✅ চ্যাটজিপিটি: বিস্তৃত বিশ্লেষণ ও গভীর গবেষণা উপস্থাপন করতে পারে, যা একাডেমিক ও জটিল সমস্যার সমাধানে সহায়ক। ✅ ডিপসিক: দ্রুত এবং সংক্ষিপ্ত উত্তর দিতে পারে, যা তাৎক্ষণিক ফলাফল প্রত্যাশী ব্যবহারকারীদের জন্য উপযোগী। লেখালেখির ক্ষেত্রে চ্যাটজিপিটি কেবল ধারণা ও প্লটের কাঠামো গড়ে তোলে, যেখানে ডিপসিক প্রায় পুরো গল্প তৈরি করে দিতে পারে। একইভাবে, কোডিংয়ের ক্ষেত্রেও ডিপসিক কিছু ক্ষেত্রে দ্রুত সমাধান দিতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। ডিপসিকের বিরুদ্ধে ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা সংরক্ষণ ও তথ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অস্ট্রেলিয়াসহ কয়েকটি দেশের সরকার ইতোমধ্যেই ডিপসিকের ডেটা নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ওপেনএআই নিজেও অতীতে অনুমতি ছাড়া মানুষের লেখা ডেটা প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহারের অভিযোগের মুখে পড়েছিল, যা এখন ডিপসিকের বিরুদ্ধে উঠছে। ডিপসিকের সাফল্যের ফলে এআই চিপের বাজারেও বড় প্রভাব পড়েছে। এনভিডিয়া, যারা উন্নত চিপ তৈরিতে বিশ্বব্যাপী অগ্রগণ্য, তাদের শেয়ারের মূল্য একদিনে প্রায় ১৭% কমে গেছে। কারণ, কম শক্তিশালী হার্ডওয়্যারেও কার্যকর এআই সম্ভব হলে উচ্চমূল্যের উন্নত চিপের বাজার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে প্রযুক্তিগত প্রতিযোগিতা নতুন কিছু নয়, তবে ডিপসিকের উদ্ভাবন নতুন মাত্রা যোগ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই চীনে উন্নত চিপ রপ্তানির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, কম খরচে ভালো এআই তৈরি হলে মার্কিন প্রযুক্তি খাতেরও লাভ হতে পারে। এই প্রতিযোগিতা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভবিষ্যৎকে আরও উন্নত ও বহুমাত্রিক করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যেখানে দ্রুত এবং সাশ্রয়ী সমাধান দরকার, সেখানে হয়তো ডিপসিক এগিয়ে থাকবে, আর যেখানে গবেষণা ও জটিল বিশ্লেষণের প্রয়োজন, সেখানে চ্যাটজিপিটির মতো বৃহৎ মডেলগুলো প্রাধান্য পাবে। শেষ পর্যন্ত, এই প্রতিযোগিতাই হয়তো এআই প্রযুক্তিকে আরও দক্ষ, নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী করবে।

শীর্ষ সপ্তাহ

টাঙ্গাইলের কাকুয়া ইউনিয়নে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল
সারা দেশ

টাঙ্গাইলের কাকুয়া ইউনিয়নে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল

ডিসেম্বর ৯, ২০২৫ 0

ভোট জরিপ

আমাদের নতুন ওয়েবসাইট আপনাদের কাছে কেমন লাগছে