টাঙ্গাইলে পোষা প্রাণীসহ বিড়াল, ইঁদুর, শেয়াল ও কুকুরের কামড়ে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এসব রোগীর জন্য র্যাবিস টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক হলেও সরকারি হাসপাতালে প্রায় সারা বছরই টিকার সংকট বিরাজ করছে। এর ফলে রোগীদের বাইরে থেকে টিকা কিনতে বাধ্য হতে হচ্ছে। যাদের আর্থিক সামর্থ্য নেই, তারা টিকা না পেয়ে গুরুতর ঝুঁকিতে দিন কাটাচ্ছেন। ২৫০ শয্যার টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে প্রতি মাসেই দেখা যায় জলাতঙ্ক রোগের র্যাবিস টিকা সংকট। শুধু র্যাবিস নয়, প্রায় এক বছর ধরে সরকারিভাবে আরআইজি (ইমিউনোগ্লোবুলিন) টিকার সরবরাহ সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। এতে নিম্নবিত্ত রোগীদের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন ২৫০ থেকে ৩০০ রোগী টিকা নিতে আসেন। কিন্তু সরকারি সরবরাহ কম থাকায় অনেক রোগী টিকা না পেয়ে বিপাকে পড়েন। বাধ্য হয়ে বাইরে থেকে অতিরিক্ত দামে টিকা কিনতে হচ্ছে তাদের। রোগীর স্বজনরা জানান, প্রতিটি ‘প্রাতটি’ ভ্যাকসিন (চার ডোজ) ৪৭০–৫০০ টাকায় কিনে নার্সদের দিতে হয়। র্যাবিস টিকার প্রতিটি ডোজে খরচ হয় ১২০–১২৫ টাকা। তিন ডোজ নিতে একজন রোগীর ৩৬০–৩৭৫ টাকা লাগে। ওজনভেদে এক থেকে তিনটি আরআইজি টিকা প্রয়োজন হয়, যেখানে খরচ দাঁড়ায় ৮২০ টাকা থেকে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত। সরকারিভাবে টিকার সরবরাহ বন্ধ থাকলেও ফার্মেসিগুলোতে পর্যাপ্ত টিকা মজুদ রয়েছে। তবে সেখানেও সংকট দেখিয়ে দ্বিগুণ দাম আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। অনেক রোগী র্যাবিস টিকা সংকট সম্পর্কে জানেন না; হাসপাতালে এসে যখন টিকা কিনে আনতে বলা হয়, তখন বিপাকে পড়েন। হাসপাতালের নার্স ও ওয়ার্ড বয়রা জানান, বাইরে থেকে আনতে হয় বিষয়টি রোগীদের আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়—না জানালে পরে তর্কাতর্কির সৃষ্টি হয়। হাসপাতালের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা এ বিষয়ে মন্তব্য করতে না চাইলেও জানিয়েছেন, “চাহিদা বেশি, সরবরাহ কম।” বরাদ্দ পেলেও দুই দিনেই তা শেষ হয়ে যায়। প্রতি মাসে মাত্র ৩০০–৪০০ র্যাবিস ভ্যাকসিন আসে, যা চাহিদার তুলনায় অতি অপ্রতুল। এই চিত্র শুধু জেলা হাসপাতালেই নয়—জেলার ১২টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও একই অবস্থা। উপজেলা পর্যায়ে কোনো র্যাবিস কিংবা আরআইজি টিকা মজুদ নেই। দীর্ঘদিন ধরেই সেখানে প্রাণীর কামড়ে আক্রান্তদের টিকা সেবা বন্ধ রয়েছে। ফলে, জেলার নিম্নবিত্ত মানুষের জন্য জলাতঙ্ক প্রতিরোধ এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকারি টিকার ঘাটতি না কাটলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে বলে আশঙ্কা স্বাস্থ্যসেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।
টাঙ্গাইলের সখীপুরে জিহাদ (১০) নামে এক স্কুলছাত্রের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার বেতুয়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে চরম শোক ও হতবাকের সৃষ্টি করেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জিহাদ ওই এলাকার প্রবাসী আনিস মিয়ার একমাত্র ছেলে। সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। পরিবারের দাবি, তুচ্ছ একটি বিষয় নিয়ে মায়ের বকুনি খেয়ে অভিমানে সে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। নিহতের চাচাত ভাই জনি জানান, সন্ধ্যায় একই বয়সী চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে জিহাদের ঝগড়া হয়। এ ঘটনায় মা তাকে বকাঝকা করেন। পরে অভিমান করে জিহাদ নিজের ঘরে চলে যায়। দীর্ঘ সময় কোনো সাড়া-শব্দ না পেয়ে বাড়ির লোকজন ঘরে প্রবেশ করলে তাকে ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। দ্রুত উদ্ধার করে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আবু বকর সিদ্দিক বলেন, “শিশুটিকে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছিল। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে জানানো হয়েছে।” সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম ভূঁঞা জানান, মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। হঠাৎ এ মৃত্যুতে জিহাদের পরিবারে শোকের মাতম নেমে এসেছে। এলাকাবাসীও এমন মর্মান্তিক ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
টাঙ্গাইলে দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে বাসাইলে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেছেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। রোববার (৩০ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত টানা দুই ঘণ্টা তারা এই কর্মসূচিতে অংশ নেন। দীর্ঘদিন ধরে বেতন বৈষম্য দূরীকরণ ও দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে আসলেও কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় তারা বাধ্য হয়ে এই কর্মসূচি পালন করতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে স্বাস্থ্য খাতে তাদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান থাকা সত্ত্বেও এখনো তারা প্রাপ্য গ্রেড ও সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। বিভিন্ন দফতরে দাবি জানানো হলেও বাস্তবায়নের কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। এ অবস্থায় দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজকের এই কর্মবিরতি পালন করা হয়েছে। কর্মবিরতির ফলে হাসপাতালের নিয়মিত সেবা আংশিকভাবে বিঘ্নিত হলেও জরুরি বিভাগ স্বাভাবিক ছিল বলে জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তারা বলেন, রোগীদের ভোগান্তি কমিয়ে আনতে জরুরি সেবা ছাড়া অন্যান্য কার্যক্রম সীমিত ছিল। কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা সতর্ক করে বলেন, দ্রুত দাবি পূরণের সিদ্ধান্ত না হলে তারা কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবেন। তাদের দাবি—দশম গ্রেড বাস্তবায়ন, বেতন বৈষম্য দূরীকরণ এবং পদোন্নতির কাঠামোতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা। সরকারের প্রতি দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান তারা। এদিকে স্থানীয়রা জানান, স্বাস্থ্য সেবায় মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাদের দাবি বাস্তবসম্মত উল্লেখ করে সাধারণ মানুষও দ্রুত সমস্যার সমাধান চেয়েছেন। দশম গ্রেড বাস্তবায়নসহ যৌক্তিক দাবি পূরণে সংশ্লিষ্ট দফতর দ্রুত উদ্যোগ নেবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন কর্মবিরতিতে অংশ নেওয়া স্বাস্থ্যকর্মীরা।
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা তাদের ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন। রবিবার (৩০ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টার এই কর্মবিরতির মধ্য দিয়ে আন্দোলন শুরু হয়। স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে তারা ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছেন, তবে এখন পর্যন্ত যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এই কারণে তারা তৎক্ষণাৎ দাবি মেনে নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি জোরালো আহ্বান জানিয়েছেন। ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, আগামী ৩ ডিসেম্বর সকাল ৮টা থেকে ১২টা পর্যন্ত অর্ধদিবস এবং ৪ ডিসেম্বর পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে। আন্দোলনকারীরা সতর্ক করেছেন যে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাদের দাবি মেনে না নিলে আরও কঠোর কর্মসূচির অংশ হিসেবে লাগাতার শাটডাউন অনুষ্ঠিত হতে পারে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্ট ১০ম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। তবে রোগীরা যাতে কোনো ভোগান্তিতে না পড়েন, সেদিকে খেয়াল রেখে জরুরি সেবা চালু রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, স্বাস্থ্যসেবা ও কর্মীদের অধিকার নিশ্চিত করা দুটিই গুরুত্বপূর্ণ। তাই তারা আশা করছেন, কর্তৃপক্ষ তাদের দাবির প্রতি দৃষ্টি দেবেন এবং দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
সারাদেশে ন্যায় নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবীতে কর্মবিরতি পালন করা হয়েছে। রবিবার সকাল ০৯টা হতে ১১টা পর্যন্ত (২ ঘণ্টা) কর্মবিরতি পালন করছে বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও নোয়াখালী মেডিকেল কলেজের টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। বাংলাদেশ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্ট দশম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদ পক্ষে এই কর্মবিরতি পালন করা হয়। কর্মবিরতি কারণে উপজেলা চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের ব্যাপক ভীড় ও উত্তেজনা দেখা যায়। সঠিক সময় চিকিৎসা না পাওয়া অনেকে ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এছাড়াও আজকের কর্মবিরতির পূর্বের কোন নির্দেশনা না থাকায় ভোগান্তির শিকার হয়েছে অনেকে। কর্মবিরতি নিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা দশম গ্রেড বাস্তবায়ন করে তাদের মানবেতর জীবন থেকে মুক্তি দিয়ে সচ্ছল জীবন যাপন করার সুযোগ পাওয়ার জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সমাবেশে নোয়াখালীর নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন টেকনোলজিস্ট নুরুল করিম নোমান, ফার্মাসিস্ট আনোয়ার হোসেন। টেকনোলজিস্ট শফিউল্ল্যাহ রাসেল সহ আরো অনেকেই। পরে তাদের দাবী নিয়ে পুনরায় স্মারকলিপি দেন বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ হাসান খায়ের চৌধুরী কাছে। তিনি তাদের দাবীর সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে সবরকম সহায়তায় করার আশ্বাস দেন এবং স্মারকলিপি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট পৌঁছানোর ব্যবস্থা করেন।
টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে মনোনয়নকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ। টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এর জের ধরে শুক্রবার বিকেলে পৌর এলাকা সংলগ্ন কুটিলপাড়া বাজারে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ৭ জন আহত হয়েছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। ঘটনাস্থল ও স্থানীয়দের বরাতে জানা যায়, একটি প্রভাবশালী পক্ষের সমর্থকরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাওয়ার সময় প্রতিপক্ষের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার তৈরি হয়। এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। উভয়পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও লাঠিসোটা নিয়ে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া চলে প্রায় ১৫ মিনিট। সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে তিনজনকে দেলদুয়ার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করে। দেলদুয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, “মনোনয়নকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মাঝে ভুল বোঝাবুঝি থেকে সংঘর্ষ হয়েছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।” স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নির্বাচনী উত্তাপ বাড়ার ফলে এলাকায় উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ বজায় রাখতে প্রশাসনের তৎপরতা প্রয়োজন বলে তারা মন্তব্য করেছেন।
সখীপুরে চলন্ত অটোর চাকা খুলে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, ড্রাইভারসহ নারী যাত্রী গুরুতর আহত টাঙ্গাইলের সখীপুরে চলন্ত অটোরিকশার সামনের চাকা হঠাৎ খুলে গিয়ে গাড়িটি উল্টে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে অটোচালক ও এক নারী যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে নলুয়া–বহুরিয়া সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অটোরিকশাটি নলুয়া বাজার থেকে বহুরিয়ার দিকে যাচ্ছিল। পথে হঠাৎ সামনের একটি চাকা খুলে গেলে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারায় এবং সঙ্গে সঙ্গে উল্টে পড়ে। এতে অটোচালকসহ নারী যাত্রী রাস্তার ওপর ছিটকে পড়লে তারা গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা দ্রুত এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। দুর্ঘটনার পর কিছু সময়ের জন্য ওই সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হলেও পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে। স্থানীয়দের ধারণা, অটোরিকশার যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছে এবং যান্ত্রিক ত্রুটি পরীক্ষা-নিরীক্ষায় পরিবহন মালিকদের আরও সতর্ক হওয়ার দাবি উঠেছে।
মোস্তফা মাসুদ: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে ডুবে সুস্মিতা দেবনাথ (৭) ও রিয়া দাশ (৭) নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বেলা ২ টার দিকে উপজেলার মৌতলা ইউনিয়নের নামাজগড় গ্রামে। নিহত রিয়া দাশ নামাজগড় গ্রামের প্রয়াত উত্তম দাশের মেয়ে এবং সুস্মিতা দেবনাথ একই এলাকার রাম প্রসাদ দেবনাথের মেয়ে। তারা নামাজগড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। নিহত রিয়া দাশের কাকাতো ভাই সুদর্শন দাশ ও দীপঙ্কর দাশ জানান, তাদের বৌদি ভারতী দাশ দুপুরে রিয়া ও সুস্মিতাকে নিয়ে প্রতিবেশী আনন্দ চক্রবর্তীর পুকুরে গোসলের উদ্দেশ্যে বের হন। তিনি শিশু দু’টিকে পুকুরপাড়ে রেখে বাড়িতে কাপড় আনতে যান। কিছুক্ষণ পর সেখানে ফিরে এসে রিয়া ও সুস্মিতাকে দেখতে না পেয়ে পুকুরে নেমে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে স্থানীয়দের সহায়তায় পুকুর থেকে দুই শিশুর নিথর দেহ উদ্ধার করে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দু’জনকেই মৃত ঘোষণা করেন। কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। তাদের মরদেহ সমাধি দেয়ার অনুমতি প্রদান করা হয়েছে।
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে পারিবারিক কলহের জেরে ছেলের লাঠির আঘাতে বাবা নিহত হয়েছেন। শনিবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের হামকুড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম আরশেদ শেখ, তিনি ওই গ্রামেরই বাসিন্দা। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আরশেদ আলীর সঙ্গে ছেলে আসলাম শেখের প্রতিনিয়ত ঝগড়া লেগেই থাকতো। পারিবারিক কলহের জের ধরেই শনিবার বাবা ও ছেলের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ছেলে আসলাম শেখ বাঁশের লাঠি দিয়ে আরশেদ শেখের মাথায় আঘাত করে। এতে তার মাথা ফেটে গিয়ে গুরুতর আহত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। ঘটনার পরপরই আসলাম বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে ঘাটাইল থানার ওসি গোলাম মুক্তার আশরাফ উদ্দিন জানান, আসলামকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় মুন্না দেওয়ান (১৭) নামের এক কিশোর খুন হয়েছেন। মুন্না মির্জাপুর উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের হাসু দেওয়ানের ছেলে। হামলার ঘটনা রবিবার (১৬ নভেম্বর) রাতে ঘটলেও মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) রাতে ঢাকার একটি হাসপাতালে মুন্না মারা যান। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) রাতেই দেলদুয়ার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। জানা যায়, রোববার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যা দেলদুয়ার উপজেলার ফাজিলহাটী ইউনিয়নের কুমারজানী গ্রামে আজিজুল মেম্বারের বাড়ীতে ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। পার্শ্ববর্তী মির্জাপুর উপজেলার পাইকপাড়া গ্রাম থেকে কয়েকজন কিশোর ওই ওয়াজ মাহফিলে আসেন। ওয়াজ মাহফিল থেকে ফেরার পথে শাহদারীপাড়া মাদরাসার পেছনে পৌছলে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা দলবদ্ধ কয়েকজন কিশোর তাদের উপর হামলা চালিয়ে প্রথমে মারধর করে মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে আটকে রাখে। পরে হামলাকারীরা তাদের উদ্দেশ্য করে বলে “তোদের গ্রামে খবর দে, সাহস থাকলে ছাড়িয়ে নিয়ে যাক”। মোবাইলে এমন ম্যাসেস পেয়ে পাইকপাড়া গ্রামের মুন্নাসহ আরও কয়েকজন কিশোর ছোট ভাইদের ছাড়িয়ে নিতে মোটরসাইকেল যোগে ঘটনাস্থলে পৌছালে তারা হামলার শিকার হন। হামলায় মুন্না ও অপর কিশোর জিয়ন গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধার করে প্রথমে মির্জাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স জামুর্কীতে নেয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্যে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। পরে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে মুন্নাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে রেফার্ড করা হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজে অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেয়া হয় মুন্নাকে। পরে মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) রাতে চিকিৎসারত অবস্থায় মুন্না মারা যান। এ বিষয়ে দেলদুয়ার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোহেব খান বলেন, রোববার (১৬ নভেম্বর) ফাজিলহাটী ইউনিয়নের শাহদারীপাড়ায় মারামারির ঘটনায় আহত মুন্না নামের কিশোর মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) রাতে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ঢাকা–টাঙ্গাইল মহাসড়কে বাসে অগ্নিসংযোগে দগ্ধ সেই তরুণীর মৃত্যু ঢাকা–টাঙ্গাইল মহাসড়কে চলন্ত অবস্থায় যাত্রীবাহী বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন থাকা তরুণী মীম (২২) ছয় দিন পর মৃত্যুবরণ করেছেন। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ঘটনাটি ঘটে ১২ নভেম্বর দিবাগত রাত একটার দিকে টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার বাঐখোলা এলাকায়। যাত্রীবাহী একটি বাস চলন্ত অবস্থায় হঠাৎ অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা আগুন লাগিয়ে দেয়। ঘটনাৎক্ষণাৎ পুলিশ জানায়—এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। তবে পরবর্তীতে জানা যায়, মীম নামে এক তরুণী গুরুতর দগ্ধ হয়েছেন। বাসাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালালউদ্দিন জানান, ঘটনার পরপরই বাসের সব যাত্রী বিভিন্ন দিকে চলে যাওয়ায় তারা প্রথমে আহত হওয়ার কথা জানতে পারেননি। দুই দিন পর স্থানীয় সূত্রে জানতে পারেন মীম নামে এক নারীর দগ্ধ হওয়ার ঘটনা। প্রথমে তিনি পাবনার বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ঢাকায় জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ১৩ নভেম্বর গোড়াই হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইসমাইল হোসেন বাদী হয়ে অগ্নিসন্ত্রাসের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। নিহত মীমের স্বামী মোহাম্মদ আলী জানান, তারা ঢাকার তুরাগ এলাকায় বসবাস করতেন। মীমের দাদার মৃত্যু সংবাদ পেয়ে সেদিন রাতে পাবনার বেড়া উপজেলার পথে রওনা হন। টাঙ্গাইলের বাসাইল এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎ বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এতে তিনিও সামান্য দগ্ধ হন, তবে মীমের শ্বাসনালি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রথমে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়, পরে ঢাকায় এনে তাঁর উন্নত চিকিৎসা চলছিল। অগ্নিসংযোগের ঘটনার কারণ, পরিকল্পনা ও দায়ীদের শনাক্তে পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে।-টাঙ্গাইল মহাসড়কে চলন্ত অবস্থায় যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় দগ্ধ এক তরুণী ছয় দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা গেছেন। তাঁর নাম মীম (২২)। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ১২ নভেম্বর দিবাগত রাত একটার দিকে ঢাকা–টাঙ্গাইল মহাসড়কের বাঐখোলা এলাকায় চলন্ত অবস্থায় যাত্রীবাহী ওই বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার রাতে টাঙ্গাইলের বাসাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালালউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার পর তাঁরা জানতেন না কেউ আহত হয়েছেন। ঘটনার পরপর সব যাত্রী চলে যান। দুই দিন পর জানতে পারেন মীম নামের একজন আহত হয়েছেন। তিনি পাবনার বেড়া উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রথমে চিকিৎসা নেন। পরে ঢাকায় জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা নেন। আগুনের ঘটনায় ১৩ নভেম্বর গোড়াই হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইসমাইল হোসেন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। নিহত মীমের স্বামী মোহাম্মদ আলী জানান, তাঁরা ঢাকার তুরাগ এলাকায় থাকেন। মীমের দাদার মৃত্যুর খবর পেয়ে ১২ নভেম্বর রাতে তাঁরা পাবনার বেড়া উপজেলায় যাচ্ছিলেন। তাঁদের বাস টাঙ্গাইলের বাসাইল এলাকায় আসার পর বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। আগুনে তিনি সামান্য দগ্ধ হলেও মীমের শ্বাসনালি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রথমে বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মীমকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে চলন্ত অবস্থায় যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় দগ্ধ এক তরুণী ছয় দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা গেছেন। তাঁর নাম মীম (২২)। মঙ্গলবার(১৮ নভেম্বর )সকাল ১০টার দিকে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। গত ১২ নভেম্বর দিবাগত রাত একটার দিকে ঢাকা–টাঙ্গাইল মহাসড়কের বাঐখোলা এলাকায় চলন্ত অবস্থায় যাত্রীবাহী ওই বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। তখন পুলিশ জানিয়েছিল, এ ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। নিহত মীমের স্বামী মোহাম্মদ আলী জানান, তাঁরা ঢাকার তুরাগ এলাকায় থাকেন। মীমের দাদার মৃত্যুর খবর পেয়ে ১২ নভেম্বর রাতে তাঁরা পাবনার বেড়া উপজেলায় যাচ্ছিলেন। তাঁদের বাস টাঙ্গাইলের বাসাইল এলাকায় আসার পর বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। আগুনে তিনি সামান্য দগ্ধ হলেও মীমের শ্বাসনালি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রথমে বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মীমকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার(১৮ নভেম্বর) রাতে টাঙ্গাইলের বাসাইল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি) জালালউদ্দিন জানান, ঘটনার পর তাঁরা জানতেন না কেউ আহত হয়েছেন। ঘটনার পরপর সব যাত্রী চলে যান। দুই দিন পর জানতে পারেন মীম নামের একজন আহত হয়েছেন। তিনি পাবনার বেড়া উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রথমে চিকিৎসা নেন। পরে ঢাকায় জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা নেন। আগুনের ঘটনায় ১৩ নভেম্বর গোড়াই হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইসমাইল হোসেন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মারুফা লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেলের মর্গে পাঠান। বিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনেরা মৃতদেহ গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে নিয়ে যান। মীমের বাড়ি পাবনার বেড়া উপজেলার চর প্যাচাকোলা গ্রামে। মীমের চাচা সাইদুল ইসলাম বলেন, গত তিন মাস আগে মীমের বিয়ে হয়। তিনি রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে ডিপ্লোমা কোর্স করছিলেন।
পিতা হত্যার বিচার চেয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরে অবশেষে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করলেন চার কন্যা। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সকালে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মৃত আব্দুল আজিজের মেয়ে আনিকা। টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের মাইস্তা নয়াপাড়া গ্রামের আনিকা লিখিত বক্তব্যে জানান, তাদের পিতাকে হত্যার নেপথ্যে কাজ করেছেন তাদের চাচাতো ভাই রুবেল, উজ্জল ও তাদের চাচা কাজিম উদ্দিন। তাদের কারসাজিতে সেচ স্কীম বেদখলের উদ্দেশ্যে এই হত্যার ঘটনাটি ঘটায়। এ ঘটনায় কালিহাতী থানায় মামলা করা হয়েছে। লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন, গত (১২ জানুয়ারী) দিবাগত রাত ১১ টার দিকে মাইস্তা নয়াপাড়া গ্রামে আমাদের সেচ প্রকল্পের পাশে আবাদী জমিতে আমাদের পিতা আব্দুল আজিজকে হত্যার উদ্দেশ্যে মামলার বিবাদীরা বেপরোয়াভাবে মারপিট করে রক্তাক্ত করে। পরে তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় ফেলে রেখে যায়। পরদিন সকাল ৮টার দিকে বিবাদীরা মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে কিনা দেখার জন্য এবং পুণরায় হত্যার উদ্দেশ্যে পিতাকে মারতে থাকে। এ সময়ে আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দেখতে পাই বিবাদী আসাদুল, রাজু, দুলালসহ অজ্ঞাতনামা ৬/৭ জন দৌড়ে পালিয়ে যায়। আমাদের পিতা আব্দুল আজিজকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি উজ্জল, আসাদুল ও রাজুর নাম বলেন। এ সময় বাবাকে দ্রুত কালিহাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। পরে সেখান থেকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করে। এরপর সেখানেও চিকিৎসার উন্নতি না হলে ঢাকা মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়। আমাদের চাচাতো ভাই রুবেল চালাকি ও চতুরতার আশ্রয় নিলে তার বন্ধু ও বাহামভুক্ত পুলিশের সহযোগিতায় নিউরোসায়েন্স এর স্টোক ইউনিটে ভর্তি করে। সেখা বাবার মৃত্যু হলে চাচাতো ভাই রুবেল মোটা অংকের অর্থ দিয়ে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট তৈরী করে। আমরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা হতে কোন সক্রিয় ভূমিকা না পেয়ে অসহায় বোধ করছি। এ অবস্থায় কালিহাতী থানায় মামলা হলে বিবাদী পক্ষের কারসাজিতে থানা কর্তৃপক্ষ আমাদের কোনরূপ সহযোগিতা করে নাই। আমরা আসামীদের বিচার দাবি করছি। সেই সাথে নিজেরা জীবনের নিরাপত্তা হীনতায় আছি।
টাঙ্গাইলের সখিপুরে সিগার্ল রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা ভিলেজ, কামালিয়াচালা থেকে কর্মরত ওয়েল্ডিং কর্মী সনজিৎ মোহন্তের (৫২) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার বেলা ১১টার দিকে মৃত অবস্থায় তাঁকে সখিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে জরুরি বিভাগের ডাক্তার তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। জরুরি বিভাগের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মোস্তফা কামাল জানান, হাসপাতালে আনার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। পরে লা*শটি সখিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানার তিন বছরের শিশু কন্যা ধর্ষণ মামলার অভিযুক্ত শিশু রায়হান (১৫) গ্রেফতার হয়েছে। র্যাব-৪, সিপিসি-১, পাইকপাড়া, মিরপুর ঢাকা ক্যাম্পের সহযোগিতায় র্যাব-১৪, সিপিসি-৩, টাঙ্গাইল ক্যাম্প ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন দক্ষিণ মানিকদী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করে। সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে র্যাব-১৪, সিপিসি-৩, টাঙ্গাইল ক্যাম্প হতে দেয় প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২০ অক্টোবর বিকেলে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার তিন বছরের শিশু কন্যাকে বাড়ির পাশে প্রতিবেশী শিশু রায়হান (১৫) ধর্ষণ করে। র্ধষনের সময় শিশুর চিৎকারে তার মা এগিয়ে আসলে ধর্ষক রায়হান পালিয়ে যায়। পরে শিশুটিকে প্রথমে মির্জাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে ঢাকা শিশু হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। ধর্ষিত শিশুর মা গত ১১ নভেম্বর বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। র্যাব-৪, সিপিসি-১, পাইকপাড়া, মিরপুর ঢাকা ক্যাম্পের সহযোগিতায় র্যাব-১৪, সিপিসি-৩, টাঙ্গাইল ক্যাম্প ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন দক্ষিণ মানিকদী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আইনের সাথে সংঘাতে জড়িত শিশু রায়হান (১৫)কে গ্রেফতার করে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য গ্রেফতারকৃতকে টাঙ্গাইল মির্জাপুর থানার তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
মোস্তফা মাসুদ: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে দশম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্র। রবিবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নারায়নপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে দুটি মোটর সাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহত শিক্ষার্থীর নাম ফাইমুন রাজিব তূর্য (১৬)। সে উপজেলার ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের নারায়নপুর গ্রামের পুলিশ সদস্য মৃত রবিউল ইসলামের পুত্র এবং মোজাহার মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র ছিলেন। এই শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে পরিবার, সহপাঠী ও এলাকাবাসীর মাঝে নেমে এসেছে গভীর শোক।একই ঘটনায় আহত হয়েছে অপর মোটরসাইকেল আরোহী সিয়াম হোসেন, পশ্চিম নারায়নপুর গ্রামের জাহিদ হোসেনের ছেলে। বর্তমানে তিনি কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। স্থানীয়দের মাধ্যমে জানা যায়, সন্ধ্যার কিছুক্ষণ আগে দুটি মোটরসাইকেল দ্রুত গতিতে বিপরীত দিক থেকে আসার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের সঙ্গে সঙ্গে তূর্য গুরুতরভাবে আহত হলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় মানুষ, শিক্ষক ও সহপাঠীরা হাসপাতালে ভিড় করেন এবং তূর্যের অকাল মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন। তার মৃত্যুতে বিদ্যালয় ও এলাকায় নেমে এসেছে মাতম। কালিগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং দুর্ঘটনার কারণ উদঘাটনে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে।
সাজিদ পিয়াল: মধুপুরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহীর প্রাণহানি টাঙ্গাইল, ১৬ নভেম্বর, ২০২৫ টাঙ্গাইলের মধুপুরে শনিবার সন্ধ্যায় বাসচাপায় মো. জিহাদ (২২) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। স্থানীয়রা জানান, মধুপুর পৌর এলাকার একটি ব্যস্ত সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।স্থানীয়দের বর্ণনা অনুযায়ী, মো. জিহাদ মোটরসাইকেলে যাচ্ছিলেন, তখন একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাকে চাপা দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে মধুপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মধুপুর থানা পুলিশ বাসটি জব্দ করেছে এবং দুর্ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, বাসচালকের দায়িত্বহীনতার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা অনুযায়ী, জিহাদ মোটরসাইকেল নিয়ে যাচ্ছিলেন। ঠিক সেই সময় একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তার ওপর চাপা দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে মধুপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মধুপুর থানার পুলিশ বাসটি জব্দ করে এবং দুর্ঘটনার বিষয়ে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বাসচালকের দায়িত্বহীনতার কারণে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রাস্তায় যানবাহনের দ্রুতগতি ও অযত্নসহ চালনার কারণে এলাকায় দুর্ঘটনার ঘটনা ক্রমেই বাড়ছে। এই ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশকে আরও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
মধুপুরে বাসচাপায় দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী নিহত, আহত ১ সাজিদ পিয়াল: টাঙ্গাইলের মধুপুরে যাত্রীবাহী বাসের চাপায় দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী জাহিদ হাসান (১৬) নিহত হয়েছেন। শনিবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল–জামালপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের গোলাবাড়ী ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনায় আরেকজন গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা জানান, ঢাকা–ধনবাড়ীগামী বিনিময় পরিবহনের একটি বাস দ্রুতগতিতে এসে সামনে থাকা মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেল আরোহী ভাইঘাট উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র জাহিদ ঘটনাস্থলেই মারা যায়। তার সঙ্গে থাকা সঙ্গী গুরুতর আহত হয়ে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। নিহত জাহিদ গোলাবাড়ী ইউনিয়নের বাসুদেববাড়ী গ্রামের জাকের হোসেনের ছেলে। পরিবার জানান, অসুস্থ বাবাকে দেখতে এসে বাড়ি ফেরার পথে সে দুর্ঘটনার শিকার হয়। জাহিদের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই আশপাশের গ্রাম থেকে কয়েকশ মানুষ মহাসড়কে জড়িয়ে পড়ে। তারা টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে টাঙ্গাইল–জামালপুর মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে উত্তেজিত জনতা ধনবাড়ী থেকে ঢাকাগামী বিনিময় পরিবহনের আরেকটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা মিলে পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। খবর পেয়ে মধুপুর থানা পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মধুপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইমরানুল কবীর বলেন, “নিহত জাহিদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘাতক বাসটি দুর্ঘটনার পর পালিয়ে গেছে। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।” স্থানীয়দের অভিযোগ, মহাসড়কটিতে দ্রুতগতির যানবাহনের নিয়ন্ত্রণহীন চলাচল ও নজরদারির অভাবে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। একদিনের ব্যবধানে দ্বিতীয় মৃত্যুর ঘটনায় এলাকাবাসী অধিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন।
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের রামপুর ও মুছাপুর ইউনিয়নের মধ্যে মধ্যরাতে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৮জন আহত হয়েছে। শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম। এর আগে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের বাঞ্চারাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা মো.আরাফাত (২৫), মো.আশ্রাফ (১৮) মো.সিয়াম (২১), মো.ইমন (২০), মো.সাকিব (২০), মুন্না (১৮), মো.রাহাত (১৮), আরমান (২৩, সোহাগ (৩০) নুরউদ্দিন (৩৩) ও রামপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা জিহাদ (২৬), নভেল (২১), শাওন (২২), রাশেদ (২৭)। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের বাঞ্চারাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বীর মুক্তিযোদ্ধা হামিদুল হক স্বরণে দিবারাত্রি ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করে স্থানীয় বাঞ্চারাম স্পোর্টস সোসাইটি। এ টুর্নামেন্টে অংশ গ্রহণ করে পাশের মুছাপুর ইউনিয়নের মদিনা বাজার উদীয়মান তরুণ সংঘ। খেলার শুরুতেই মদিনা বাজার উদীয়মান তরুণ সংঘের সমর্থকরা খেলার রেফারি রাশেদকে বিতর্কিত দাবি করে প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন। খেলার একপর্যায়ে মাঠে একটি থ্রো ফাউল নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। ওই সময় দর্শক সারি থেকে মদিনা বাজার উদীয়মান সংঘ টিমের একজন সমর্থক মাঠে নেমে প্রতিবাদ করলে রেফারি রাশেদ তাকে চড় মারেন। এনিয়ে রামপুর ইউনিয়নের অল স্টার টিম ও মুছাপুর ইউনিয়নের মদিনা বাজার উদীয়মান তরুণ সংঘের লোকজনের মধ্যে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং সংঘর্ষে জড়িতে পড়ে। এতে মুছাপুরের ১০জন ও রামপুর ইউনিয়নের ৮জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে ২জন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ৪জন ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুই ইউনিয়নের লোকজনই পাল্টাপাল্টি মামলা দায়েরের প্রস্ততি নিচ্ছেন। কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম আরও বলেন, বিষয়টি শুনেছি, ফুটবল খেলা নিয়ে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে
মধুপুরে বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে পড়ে শিশু নিহত টাঙ্গাইলের মধুপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহী একটি বাস পুকুরে পড়ে এক শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১৪ নভেম্বর ২০২৫) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মধুপুর উপজেলার ঢাকা-টাঙ্গাইল আঞ্চলিক সড়কের আউনিন্দা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মধুপুরগামী একটি বাস হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক থেকে ছিটকে পাশের পুকুরে পড়ে যায়। এ সময় বাসে থাকা যাত্রীদের মধ্যে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু হলে আশপাশের মানুষ দ্রুত এগিয়ে এসে উদ্ধার কাজে অংশ নেয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরাও ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাত্রীদের উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে ৮ বছর বয়সী এক শিশুকে গুরুতর অবস্থায় মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।টাঙ্গাইলের মধুপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহী বাস পুকুরে পড়ে যাওয়ার সময় মায়ের কোল থেকে পানিতে ডুবে বোরহান (২) নামের শিশুর মৃত্যু হয়েছে। একই ঘটনায় আরও তিন শিশুসহ আহত বেশ কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে টাঙ্গাইল- জামালপুর সড়কের মধুপুর উপজেলার নেকীবাড়ী এলাকাতে এমন ঘটনা ঘটে। মধুপুর থানার ওসি জানান, বাসটি অতিরিক্ত গতিতে চলছিল বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। বাসটি উদ্ধার করা হয়েছে এবং বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। নিহত শিশুর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
০২নভেম্বর ২০২৫ তারিখ সকালে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার কাইতকাই গ্রামে ঘটে এই হৃদয়বিদারক ঘটনা। নিহত তোহা স্থানীয় মুক্তার আলী ও রুমি আক্তার দম্পতির কন্যা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মুক্তার আলী প্রায় এক বছর ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় ছিলেন। পরিবার থেকে তাঁকে চিকিৎসার জন্য নানা জায়গায় নেওয়া হলেও খুব একটা উন্নতি হয়নি। ঘটনার রাতে হঠাৎ তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। নিঃশব্দ ঘরের মধ্যে ঘুমন্ত মেয়ের গায়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে ছুরি দিয়ে দুই জায়গায় আঘাত করেন। একটি বুকে, আরেকটি পেটে। মুহূর্তেই রক্তে ভেসে যায় ছোট্ট তোহার দেহ। তার ক্ষতবিক্ষত শরীর থেকে বেরিয়ে আসে নাড়িভুঁড়ি। এক বিভীষিকাময় দৃশ্য যা দেখে মূর্ছা যান মা রুমি আক্তার। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে শিশুটিকে উদ্ধার করে ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন, কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, তোহা আর বেঁচে নেই। এদিকে শান্ত গ্রামের মানুষ এখনো বিশ্বাস করতে পারছে না, একজন বাবা এমন নিষ্ঠুর হতে পারে! তোহার নিথর দেহ ঘিরে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মা রুমি আক্তার, আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীরা। কেউ বলছেন, তোহার মুখের হাসিটা যেন এখনো চোখে ভাসে। কেউ আবার নিঃশব্দে তাকিয়ে আছে আকাশের দিকে যেন প্রশ্ন ছুঁড়ে দিচ্ছে। একজন পিতা কীভাবে নিজের সন্তানের ঘাতক হতে পারে? ঘটনার পরই ঘাতক বাবা মুক্তার আলী পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘাটাইল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং পলাতক বাবাকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান শুরু করেছে। ঘাটাইল থানার তদন্ত অফিসার সজল খান বলেন, ঘটনাটি সত্যিই হৃদয়বিদারক। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মুক্তার আলী মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় শিশুটিকে হত্যা করেছে। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে।
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”
মাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৩৩৪তম পর্বে নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে নিয়ামত কমে যাবে কি না, সে বিষয়ে ঢাকা থেকে চিঠির মাধ্যমে জানতে চেয়েছেন একজন দর্শক। অনুলিখন করেছেন জান্নাত আরা পাপিয়া। প্রশ্ন : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে? উত্তর : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা কুফরি। এটা বড় কুফরি না, ছোট কুফরি। যদি আল্লাহর বান্দারা আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করে থাকেন, তাহলে তাঁরা কুফরি কাজ করে থাকলেন। এ জন্য আল্লাহ কোরআনে স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘তোমরা আমার শুকরিয়া আদায় করো, আমার সঙ্গে কুফরি করো না।’ আল্লাহ যে নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন, আল্লাহর নিয়ামত লাভ করে সুন্দর জীবনযাপন করা, এটা যদি কেউ আল্লাহর কাছে সত্যিকার অর্থে তুলে ধরতে না পারে, তাহলে সে ব্যক্তি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া করলেন না, কুফরি করলেন। এই জন্য আল্লাহ সুরা দোহার শেষ আয়াতে বলেছেন, ‘তুমি তোমার রবের নিয়ামত প্রকাশ করো। কারণ, তোমার কাছে যখন নিয়ামত আসছে, তখন আল্লাহ পছন্দ করেন যে তুমি আল্লাহর এই নিয়ামতের বিষয়টি তুলে ধরবে।’ আল্লাহর কাছে বলবে, আল্লাহ আমাকে এই নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন। আল্লাহ নিয়ামতকে বান্দার কাছে তুলে ধরার জন্য বলেছেন, বহিঃপ্রকাশ করার জন্য বলেছেন। বহিঃপ্রকাশ দুই ধরনের হতে পারে। একটি হলো নিয়ামতের ব্যবহারের মাধ্যমে বহিঃপ্রকাশ করা। দ্বিতীয়ত, নিয়ামতের বিষয়টি হলো মানুষের কাছে নিয়ামত তুলে ধরবে। যাতে করে আল্লাহর প্রশংসা প্রকাশ পায়। নিয়ামতের শুকরিয়া যদি কেউ আদায় না করেন, তাহলে কুফরি হবে। আল্লাহ বলেছেন, যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করে থাক, তাহলে আমি আরো বৃদ্ধি করে দেব। বান্দারা যখন নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করবে, তখন আল্লাহ আরো নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করে দেন। আর যদি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা হয়, তাহলে আল্লাহ নিয়ামত কমিয়ে দেবেন এবং সেইসঙ্গে আরেকটি কঠিন বাণী আল্লাহ বলেছেন, ‘জেনে রাখো আল্লাহর কঠিন আজাবও তোমাদের জন্য অবধারিত থাকবে।’ নিয়ামতের শুকরিয়া শুধু মুখে আদায় করা যথেষ্ট নয়। কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর শুকরিয়া আমলের মাধ্যমে আদায় করো।’ সুতরাং বান্দারা শুকরিয়া আদায় করবে। শুকরিয়ার অনেকগুলো দিক রয়েছে, তার মধ্যে আমলের মাধ্যমে শুকরিয়া আদায় করা হলো শুকরিয়ার সর্বোচ্চ স্তর।
তিনি ছিলেন মানবজাতির আদর্শ। তিনি অত্যন্ত উদার ও বিনয়ী ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক এবং একজন সাহসী যোদ্ধা। এছাড়াও তিনি একজন দক্ষ প্রশাসক, একজন দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক এবং একজন সফল প্রচারক ছিলেন। তিনিই উত্তম চরিত্র ও উদারতার একমাত্র উৎস। তিনি সকলের আদর্শহীন এবং প্রিয় ব্যক্তিত্ব। যার প্রেমে, দুনিয়া মাতাল। তিনি আমার আদর্শ, তিনি আমার নেতা। তিনি আমার নবী, আমাদের নবী এবং সকলের নবী। তিনি হলেন হযরত মুহাম্মদ (সা.) তিনি সর্বোত্তম আদর্শ। সমস্ত মানবজাতির জন্য করুণা। অন্ধকারে নিমজ্জিত বিশ্বের মানুষের জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে। তার অসাধারণ চরিত্র, মাধুর্য এবং অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব সবাইকে অবাক করেছে। মুমিনের চঞ্চল হৃদয় তাকে এক নজর দেখার জন্য আকুল হয়ে থাকে। কবি কাজী নজরুল বলেছেন: “বিচ্ছেদের রাত ছিল একাকার কান্নার ভোর; আমার মনে শান্তি নেই, আমি কাঁদছি। হে মদিনাবাসীর প্রেমিক, আমার হাত ধর।" তার নিষ্কলুষ চরিত্রের স্বীকৃতি দিয়ে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, "তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।" (সূরা আল-আহজাব, আয়াত 21)। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে আজ কিছু লোক সেই নবীর সম্মানকে অবমাননা করছে। হৃদয় ভেঙ্গে যায়। আমাদের ক্ষমা করুন, হে নবী! তিনি তার অবিস্মরণীয় ক্ষমা, উদারতা, সততা, নম্রতা প্রভৃতির বিরল মুগ্ধতা দিয়ে বর্বর আরব জাতির আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এজন্য তারা তাকে ‘আল-আমিন’ উপাধিতে ভূষিত করেন। তারা সর্বসম্মতিক্রমে স্বীকার করেছিল যে তিনি নম্র এবং গুণী ছিলেন। টাকা দিয়ে নয়, ভালো ব্যবহার দিয়ে তিনি বিশ্ববাসীকে জয় করেছেন। আল্লাহ তাঁর গুণাবলী সম্পর্কে কুরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই তুমি মহৎ চরিত্রের অধিকারী।’ (সূরা আল কালাম, আয়াত ৪)। তিনি কখনো মানুষকে তুচ্ছ করেননি। আত্মসম্মানবোধে তিনি কাউকে তুচ্ছ মনে করেননি। তিনি বিশ্বের হৃদয়ে উচ্চতর চরিত্রের একটি অনুপম মানদণ্ড স্থাপন করেছেন। নম্রতা তার চরিত্রে সর্বদা উপস্থিত ছিল। পৃথিবীর মানবতার কল্যাণে তাকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল শ্রেষ্ঠ আদর্শের বাস্তবায়নকারী ও প্রশিক্ষক হিসেবে। এ প্রসঙ্গে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমাকে আমার উত্তম চরিত্র পূর্ণ করার জন্য প্রেরিত করা হয়েছে।’ (মুসনাদে আহমদ, মিশকাত) ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন বিনয়ী এবং আচার-আচরণে অত্যন্ত বিনয়ী। দুর্বল ব্যক্তিকে কড়া কথায় আঘাত করবেন না। তিনি কোন মানুষকে তার সাধ্যের বাইরে অসাধ্য সাধন করতে বাধ্য করেননি। গরিব-অসহায় মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করতেন। তিনি লোকদেরকে তাদের আচরণে অপ্রয়োজনীয় রাগ ও রাগ থেকে সর্বদা বিরত থাকার উপদেশ দিতেন এবং মানুষকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন, “যে বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাকে উঁচু করে দেন এবং যে অহংকারী হয়, আল্লাহ তাকে লাঞ্ছিত করেন।” (মিশকাত) কাফেররাও তার কাছ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে সদয় ও নম্র আচরণ পেয়েছিল। তার অনুসারীরা তাকে উচ্চ সম্মানের সাথে ধরেছিল কারণ তিনি খুব নমনীয় এবং নম্র ছিলেন। হজরত আয়েশা (রা.) তার ভদ্র আচার-আচরণ সম্পর্কে বলেন, ‘নবী (সা.) রূঢ় বক্তা ছিলেন না, প্রয়োজনের সময়ও তিনি কঠোর ভাষা ব্যবহার করতেন না। প্রতিহিংসা তার সাথে ছিল না মোটেও। মন্দের বিনিময়ে ভালোই করেছেন। সব ক্ষেত্রেই তিনি ক্ষমা পছন্দ করতেন। তিনি লোকদেরকে উপদেশ দিয়েছিলেন, “আল্লাহর ইবাদত কর, করুণাময় প্রভু, ক্ষুধার্তকে খাবার দাও, সালাম দাও এবং এসব কাজের মাধ্যমে জান্নাতে প্রবেশ কর। তিনি উত্তর দিলেন, "ক্ষুধার্তকে খাওয়ানো এবং অপরিচিত সকলকে সালাম করা।" (বুখারী ও মুসলিম)। মহানবী (সা.)-এর মর্যাদাকে সম্মান করা মুসলমানদের ধর্মীয় কর্তব্য এবং প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানের মৌলিক অংশ।
নামাজ, রোজা, জাকাত, হজ, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৯২৯তম পর্বে ই-মেইলের মাধ্যমে কানিজ নাহার দিপা জানতে চেয়েছেন, মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? অনুলিখন করেছেন মোহাম্মদ সাইফ আহমেদ। প্রশ্ন : মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? উত্তর : না দোয়ার জন্য আলাদা কোনো মাহফিল নেই। এটা আসবে কেন? আমরা একটা জায়গা থেকে বাঁচার জন্য আরেকটি কাজ করছি। কিন্তু সেই কাজটি ভুল করে আরও বড় ভুলের সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। আমাদের সমাজে একটি প্রথা একেবারে ছেয়ে গেছে। যেমন—একজন মারা গেলে তার জন্য মিলাদ-মাহফিল করা কিংবা কূলখানি করা। কিন্তু এগুলো সবই বেদআতি কাজ। এগুলো সঠিক কাজ নয়। অনেকে মনে করছে, দোয়া-মাহফিল করা যেতে পারে। কিন্তু সেটা একদমই নয়। এসব ইসলামে অনুমোদন দেয়নি। এইগুলো পুরোটাই বেদআত। মানুষ চাইলে যে কোনো সময় কিংবা যে কোনো জায়গা থেকে দোয়া করতে পারবেন। দোয়ার সঙ্গে মাহফিল কিংবা আলাদা কোনো ধরনের অনুষ্ঠান ঘোষণা করা জায়েজ নেই। আশা করি, আপনি বুঝতে পেরেছেন।
র্তমান প্রযুক্তি বিশ্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) নিয়ে নতুন প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ওপেনএআই-এর চ্যাটজিপিটি ও চীনের ডিপসিকের মধ্যে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুধু প্রযুক্তিগত দক্ষতার নয়, বরং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। চ্যাটজিপিটি দীর্ঘদিন ধরে ব্লগ লেখা, গবেষণা, প্রোগ্রামিংসহ নানান কাজে অপরিহার্য টুল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি চীনের তৈরি ডিপসিক এআই জগতে নতুন আলোড়ন তুলেছে। তারা দাবি করছে, তুলনামূলক কম চিপ ব্যবহার করেই অত্যাধুনিক এআই সেবা দেওয়া সম্ভব, যেখানে ওপেনএআই-এর বিশাল মডেলগুলোর জন্য ১৬,০০০ বা তারও বেশি চিপ প্রয়োজন হয়, সেখানে মাত্র ২০০০ চিপ দিয়ে ডিপসিক কার্যকরভাবে কাজ করতে সক্ষম। দুই প্ল্যাটফর্মের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রয়েছে। ✅ চ্যাটজিপিটি: বিস্তৃত বিশ্লেষণ ও গভীর গবেষণা উপস্থাপন করতে পারে, যা একাডেমিক ও জটিল সমস্যার সমাধানে সহায়ক। ✅ ডিপসিক: দ্রুত এবং সংক্ষিপ্ত উত্তর দিতে পারে, যা তাৎক্ষণিক ফলাফল প্রত্যাশী ব্যবহারকারীদের জন্য উপযোগী। লেখালেখির ক্ষেত্রে চ্যাটজিপিটি কেবল ধারণা ও প্লটের কাঠামো গড়ে তোলে, যেখানে ডিপসিক প্রায় পুরো গল্প তৈরি করে দিতে পারে। একইভাবে, কোডিংয়ের ক্ষেত্রেও ডিপসিক কিছু ক্ষেত্রে দ্রুত সমাধান দিতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। ডিপসিকের বিরুদ্ধে ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা সংরক্ষণ ও তথ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অস্ট্রেলিয়াসহ কয়েকটি দেশের সরকার ইতোমধ্যেই ডিপসিকের ডেটা নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ওপেনএআই নিজেও অতীতে অনুমতি ছাড়া মানুষের লেখা ডেটা প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহারের অভিযোগের মুখে পড়েছিল, যা এখন ডিপসিকের বিরুদ্ধে উঠছে। ডিপসিকের সাফল্যের ফলে এআই চিপের বাজারেও বড় প্রভাব পড়েছে। এনভিডিয়া, যারা উন্নত চিপ তৈরিতে বিশ্বব্যাপী অগ্রগণ্য, তাদের শেয়ারের মূল্য একদিনে প্রায় ১৭% কমে গেছে। কারণ, কম শক্তিশালী হার্ডওয়্যারেও কার্যকর এআই সম্ভব হলে উচ্চমূল্যের উন্নত চিপের বাজার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে প্রযুক্তিগত প্রতিযোগিতা নতুন কিছু নয়, তবে ডিপসিকের উদ্ভাবন নতুন মাত্রা যোগ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই চীনে উন্নত চিপ রপ্তানির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, কম খরচে ভালো এআই তৈরি হলে মার্কিন প্রযুক্তি খাতেরও লাভ হতে পারে। এই প্রতিযোগিতা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভবিষ্যৎকে আরও উন্নত ও বহুমাত্রিক করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যেখানে দ্রুত এবং সাশ্রয়ী সমাধান দরকার, সেখানে হয়তো ডিপসিক এগিয়ে থাকবে, আর যেখানে গবেষণা ও জটিল বিশ্লেষণের প্রয়োজন, সেখানে চ্যাটজিপিটির মতো বৃহৎ মডেলগুলো প্রাধান্য পাবে। শেষ পর্যন্ত, এই প্রতিযোগিতাই হয়তো এআই প্রযুক্তিকে আরও দক্ষ, নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী করবে।