রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডের একটি বহুতল ভবনে বোরকা পরে বাসায় প্রবেশ করে মা–মেয়েকে হত্যা করে পালিয়ে গেছে নতুন নিয়োগ পাওয়া গৃহকর্মী। সোমবার সকাল ৭টা ৫০ মিনিট থেকে ৯টা ৩৬ মিনিটের মধ্যে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত দুইজন হলেন লায়লা আফরোজ (৪৮) ও তার মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজ (১৫)। পুলিশ জানায়, চারদিন আগে গৃহকর্মী হিসেবে ‘আয়েশা’ নামে পরিচয় দিয়ে ওই বাসায় কাজ নেয় মেয়েটি। ঘটনার দিন বোরকা পরে বাসায় ঢুকে মা–মেয়েকে হত্যার পর নাফিসার স্কুলড্রেস ও মুখে মাস্ক পরে বেরিয়ে যায় সে। সিসিটিভিতে ধরা পড়েছে তার প্রবেশ ও বের হওয়ার দৃশ্য।নাফিসার বাবা এম জেড আজিজুল ইসলাম, উত্তরা সানবীমস স্কুলের পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষক,সকাল ৭টার দিকে বাসা থেকে বের হন। প্রায় দুই ঘণ্টা পর তিনি ফিরে এসে স্ত্রী ও মেয়েকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান। সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লায়লা আফরোজের মৃতদেহ উদ্ধার করে, আর নাফিসাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।ভবনের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়সকাল ৭:৫১ মিনিট: বোরকা পরা গৃহকর্মী আয়েশা বাসায় প্রবেশ করে।সকাল ৯:৩৬ মিনিট: স্কুল ইউনিফর্ম পরে বেরিয়ে আসে।ভবনের সামনে থেকে রিকশায় ওঠে এবং দ্রুত এলাকা ত্যাগ করে।তল্লাশিতে বাথরুম থেকে একটি সুইচ গিয়ার চাকু ও একটি ফল কাটার ছুরি উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, এসব দিয়েই মা–মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। ডাইনিং রুমে থাকা ইন্টারকমের তার খুলে যাওয়ার চিহ্ন পাওয়া গেছে,মনে হচ্ছে নাফিসা কাউকে ফোন করতে গিয়ে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে ছুরিকাঘাতে নিহত হয়।বাসার ভেতরে রক্তের দাগ, ধস্তাধস্তির চিহ্ন, তছনছ করা আলমারি ও ব্যাগ পাওয়া গেছে। নিহত লায়লা আফরোজের মোবাইল ফোনও নেই। শিক্ষক আজিজুল ইসলাম জানান, চার দিন আগে কাজের খোঁজে একটি মেয়ে গেটে আসে। দারোয়ান খালেক তাকে বাসায় পাঠান। মেয়েটি নিজেকে ‘আয়েশা’ বলে পরিচয় দেয় এবং জানায় তার গ্রামের বাড়ি রংপুর, বাবা–মা আগুনে পুড়ে মারা গেছেন, আর সে জেনেভা ক্যাম্পে চাচা–চাচির সঙ্গে থাকে। তার শরীরেও পোড়ার দাগ দেখা যায়।ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) ইবনে মিজান বলেন ,দুজনের শরীরে একাধিক ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। বাসায় ধস্তাধস্তির আলামত রয়েছে। হত্যাকারী ঘটনাস্থলে বাথরুমে ফ্রেশ হয়েছে,এমন ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।’’গৃহকর্মীর পরিচয় ও পলায়নের পথ চিহ্নিত করতে কাজ চলছে। দারোয়ান মালেককে জিজ্ঞাসাবাদে রাখা হয়েছে
**নিখোঁজের চার দিন পর তুরাগ নদীতে ধনবাড়ীর যুবক মমিনের লাশ উদ্ধার। ঢাকার দিয়াবাড়িতে রাজনৈতিক মিছিলে অংশ নেওয়ার পর নিখোঁজ হওয়া টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীর যুবক মমিন খান (২৮)—এর লাশ চার দিন পর তুরাগ নদী থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তুরাগ থানা–সংলগ্ন নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। মরদেহটি শনাক্ত করার পর এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। পরিবারের সদস্যরা জানান, গত ৩০ নভেম্বর বিকেলে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে মিছিলে অংশ নেন মমিন। মিছিল শেষে তিনি স্ত্রীকে ফোন করে জানান, অল্প সময়ের মধ্যেই বাসায় ফিরবেন। এরপর সন্ধ্যা থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। রাতভর খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো খোঁজ না পেয়ে পরদিন স্থানীয় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ী উপজেলার বাসিন্দা মমিন ঢাকায় থেকে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিতেন।ব্যক্তিজীবনে তিনি বিবাহিত এবং এক সন্তানের জনক। তার মৃত্যুর খবরে পরিবার ও প্রতিবেশীদের মধ্যে শোক ও হতবাক অবস্থা দেখা গেছে।বুধবার সকালে কয়েকজন জেলে তুরাগ নদীতে একটি লাশ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেন। পরে তুরাগ থানা–পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।পুলিশ জানায়, মরদেহটি কয়েক দিন পানিতে থাকার কারণে ফুলে গেছে। পরিচয় শনাক্তের পরই পরিবারকে খবর দেওয়া হয়।“এটা নিছক নিখোঁজ নয়—পরিকল্পিত হত্যা” : পরিবারের অভিযোগ।নিহত মমিনের স্ত্রী, মা ও স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন,“এটি কোনো সাধারণ দুর্ঘটনা বা নিখোঁজের ঘটনা নয়—এটি পরিকল্পিত হত্যা। মিছিলে অংশ নেওয়ার পরই তাকে টার্গেট করা হয়।”তারা আরও বলেন, ঘটনার সঠিক তদন্ত এবং দায়ীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনেই মৃত্যুর রহস্য উন্মোচিত হবে : পুলিশ।তুরাগ থানার এক তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, “মরদেহে আঘাতের কোনো সুস্পষ্ট চিহ্ন না থাকলেও এটি হত্যাকাণ্ড কি না, তা ময়নাতদন্ত শেষে নিশ্চিত হওয়া যাবে।”তিনি আরও বলেন, নিখোঁজ হওয়া, পরিবারের অভিযোগ এবং অন্যান্য সব দিক বিবেচনায় তদন্ত চলছে। মমিনের মৃত্যুতে তার নিজ এলাকা ধনবাড়ীতে শোকের পাশাপাশি ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে নিখোঁজ ও লাশ উদ্ধারের মতো ঘটনা বেড়ে গেছে।একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “মানুষ এভাবে নিখোঁজ হবে, তারপর নদীতে লাশ পাওয়া যাবে—এটা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। আমরা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাই।”পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের । স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, তারা পরিবারকে সহযোগিতা করছেন এবং ঘটনাটি গভীরভাবে তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। তাদের দাবি—যে কোনো পরিস্থিতিতেই হত্যার মূলহোতা বা সংশ্লিষ্টদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
ময়মনসিংহের ত্রিশালে বন্ধুকে হত্যার পর কুড়াল হাতে থানায় যুবক। ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার নাজরুল একাডেমি মাঠে বন্ধুকে কুপিয়ে হত্যার পর কুড়াল হাতে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন এক যুবক। বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত তরুণের নাম মুনতাসির ফাহিম (২২)। তিনি মালয়েশিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন এবং চার মাস আগে দেশে ফিরেছিলেন। তাঁর বাড়ি চিকনা মনোহর গ্রামে। হত্যার পর রাতেই ত্রিশাল থানায় এসে “আমি বন্ধুকে মেরেছি”—এ কথা স্বীকার করে আত্মসমর্পণ করেন তার বন্ধু আহিদুল ইসলাম আনিক (২২)। তিনি একই এলাকার বাসিন্দা এবং ফাহিমের খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, ব্যক্তিগত বিরোধের জেরে আনিক ফাহিমকে নাজরুল একাডেমি মাঠের পাশের নির্জন স্থানে নিয়ে ধারালো কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবার অভিযোগ করেছে—এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। ডেকে নিয়ে গিয়ে ফাঁদ পেতে ফাহিমকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি তাদের। ঘটনার পর পুরো এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বন্ধু দ্বারা এভাবে হত্যার ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
টাঙ্গাইলে চোর সন্দেহে পরকীয়া প্রেমিককে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২। টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে চোর সন্দেহে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহতের নাম হাসমত উল্লাহ হাসু। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন— রাশেদুল ইসলাম (৩৬), গ্রামনাহালি, মহেড়া ইউনিয়ন, মির্জাপুর। ইয়ামিন ইসলাম (৩২), একই গ্রামের বাসিন্দা পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, প্রবাসী রাশেদুল ইসলামের স্ত্রী নিশি বেগমের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পরিচয়ের মাধ্যমে জামালপুরের বকশীগঞ্জের হাসমত উল্লাহর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। হাসু টাঙ্গাইল সদরের আইএফআইসি ব্যাংকে কর্মরত ছিলেন। রাশেদুল দেশে ফেরার পরও হাসু নিশির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। পরে স্বামী–স্ত্রী মিলে হাসুকে দেখা করতে আসতে বলেন। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে নিশির সঙ্গে দেখা করতে গেলে রাশেদুল, ইয়ামিন ও মেহেদী হাসু কে চোর সন্দেহে মারধর করে গুরুতর আহত করেন। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করে। রাত ২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহতের ভাই রহমত উল্লাহ ছয়জনকে আসামি করে মির্জাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে রাশেদুল ও ইয়ামিনকে গ্রেপ্তার করে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক জাবেদ পারভেজ বলেন, “দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।” মির্জাপুর থানার ওসি মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম জানান, “পরকীয়া সম্পর্কের জের ধরে হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে। গ্রেপ্তারদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।”
টাঙ্গাইলে বাবা হত্যার বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলনে চার কন্যা টাঙ্গাইলে নিজ বাবার হত্যার সুষ্ঠু বিচার ও মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নিহতের চার কন্যা। বুধবার দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে তারা হত্যাকাণ্ডের সম্পূর্ণ বিবরণ তুলে ধরে অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানানবাবা হত্যার বিচার চেয়ে দ্বারেদ্বারে ঘুরে অবশেষে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেল করলেন চার কন্যা। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সকালে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে বাবা হত্যার বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মৃত আঃ আজিজের চার কন্যার এক কন্যা আনিকা। টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার নারান্দিয়ার মাইস্তানয়া পাড়া গ্রামের আনিকা তিনি লিখিত বক্তব্যে জানান যে, তাদের বাবা হত্যার নেপথ্যে কাজ করেছেন তাদের চাচাতো ভাই রুবেল, উজ্জল ও তাদের চাচা কাজিম উদ্দিন। তাহাদের কার সাজিতে সেচ স্কীম বেদখলের উদ্দেশ্যে এই ঘটনাটি ঘটায়। ধনবাড়ীতে গাছ কেটে জমি দখলের চেষ্টা প্রতিপক্ষরা টেলিভিশন রিপোর্টাস ইউনিটি নর্থ টাঙ্গাইল এর কমিটি গঠন তিনি লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন, “বিগত ১২ জানুয়ারী ২০২৫ দিবাগত রাতে আনুমানিক ১১ ঘটিকায় মাইস্তানয়া পাড়া গ্রামে আমাদের সেচ প্রকল্পের পাশে আবাদী জমিতে আমাদের পিতা আঃ আজিজকে হত্যার উদ্দেশ্যে বিবাদীগন বেপরোয়া ভাবে মাইরপিট, নিলাফোলা রক্তাক্ত জখম করে মুমূর্ষু অবস্থায় ফেলে রেখে যায়। পরদিন সকাল আনুমানিক ৮ ঘটিকার দিকে বিবাদীগন মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে কিনা দেখার জন্য এবং পুনরায় হত্যার উদ্দেশ্যে পিতাকে মারতে থাকে। উক্ত সময়ে আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে দেখতে পাই বিবাদী আসাদুল, রাজু, দুলাল সহ অজ্ঞাতনামা ৬/৭ জন দৌড়ে পালিয়ে যায়। আমাদের বাবা আঃ আজিজকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি উজ্জল, আসাদুল ও রাজু নাম বলে যান। বাবাকে তাৎক্ষনিক স্থানীয় চিকিৎসাকেন্দ্রে নেওয়ার পর টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। বাবা হত্যার বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলনে চার কন্যা এরপর সেখানেও চিকিৎসার উন্নতি না হলে ঢাকা মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়। আমাদের চাচাতো ভাই রুবেল চালাকি ও চতুরতার আশ্রয় নিলে তাহার বন্ধু ও বাহাম ভুক্ত পুলিশের সহযোগিতায় নিউরোসায়েন্স এরস্টোক ইউনিটে ভর্তি করে। উক্ত চিকিৎসালয়ে বাবা মৃত্যুবরণ করলে চাচাতো ভাই রুবেল মোটা অংকের অর্থ দিয়ে ময়না তদন্তের রিপোর্ট তৈরীকরে। আমরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা হতে কোন সক্রিয় ভূমিকা না পেয়ে অতিশয় অসহায় বোধ করছি। কালিহাতী থানায় মামলা হলে বিবাদী পক্ষের কারসাজিতে থানা কর্তৃপক্ষ আমাদের কোনরূপ সহযোগিতা করেনাই। আমরা আসামীদের বিচার চেয়ে আমরা জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় আছি। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহতের বড় মেয়ে। তিনি অভিযোগ করেন, পরিকল্পিতভাবে তাদের বাবাকে হত্যা করা হলেও মূলহোতারা এখনও আইনের আওতার বাইরে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, “আমাদের বাবাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু মামলার তদন্ত অগ্রগতি চোখে পড়ার মতো নয়। আমরা চার বোন বিচার না পাওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরব না।” এ সময় অন্যান্য কন্যারা কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, হত্যার পর থেকে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। পরিবারের ওপর চাপ ও হুমকির কথাও তুলে ধরেন তারা। ন্যায়বিচারের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন নিহতের সন্তানরা। সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে একটি প্রভাবশালী মহল তৎপর। তারা তদন্ত সংস্থাকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার পর তাকে বাংলাদেশে প্রত্যর্পণের বিষয়ে নতুন বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তবে আল-জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভারতের জিন্দাল গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক অধ্যাপক শ্রীরাধা দত্ত স্পষ্টভাবে বলেছেন, ভারত কোনো পরিস্থিতিতেই শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে না। দত্ত আল-জাজিরাকে বলেন, “কোনো অবস্থাতেই ভারত তাকে হস্তান্তর করবে না। গত দেড় বছরে ভারত–বাংলাদেশ সম্পর্ক মোটেও ভালো ছিল না, বেশ কয়েকবার টানাপড়েনও দেখা গেছে।” আল-জাজিরাকে দত্ত জানান, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কঠোর রায় আসা খুবই প্রত্যাশিত ছিল। তার ভাষায়, “দেশের পরিস্থিতি দেখে সবাইই অনুমান করেছিল তার বিরুদ্ধে কঠোর বিচার আসছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোও বলছে, ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম বাংলাদেশের আইনি কাঠামো অনুযায়ী হয়েছে।” দত্ত দাবি করেন, নিরস্ত্র ছাত্রদের বিরুদ্ধে সহিংসতা এবং গুলি করার নির্দেশ নিয়ে কারও সন্দেহ নেই। তিনি বলেন, “নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের ওপর অপরাধ হয়েছে—এ বিষয়ে কারও সন্দেহ নেই। এমনকি প্রধানমন্ত্রী সরাসরি গুলি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন—এ ধরনের প্রমাণও রয়েছে।” অধ্যাপক দত্তের মতে, আওয়ামী লীগ এখন পাল্টা বিবরণ তৈরির চেষ্টা করবে। তবে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের বড় অংশ বিশ্বাস করে, শেখ হাসিনা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন।” জুলাই–আগস্ট আন্দোলনের সময় সংঘটিত হত্যাকাণ্ড, উস্কানি, ষড়যন্ত্র ও নির্দেশ—এই অভিযোগগুলোকে ভিত্তি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছে বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে। রায়ের পর থেকেই ভারত তাকে বাংলাদেশে ফেরত দেবে কি না, সেই প্রশ্ন জোরালো হয়ে ওঠে। আল-জাজিরার সাক্ষাৎকারে শ্রীরাধা দত্তের মন্তব্যে সেই বিতর্কে আরও স্পষ্টতা আসে।
২০২৪ সালের উত্তাল জুলাই—সেই সময়কার ছাত্র আন্দোলনে দেশজুড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে বহু মানুষের মৃত্যু ও পঙ্গুত্বের ঘটনার বিচার এখন শেষ প্রান্তে। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা মামলার প্রথম রায়ের কাউন্টডাউন চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। প্রায় ৪০০ দিনের টানা শুনানি, সাক্ষ্য, প্রমাণ উপস্থাপন আর আইনি প্রক্রিয়া শেষে আগামীকাল দেওয়া হবে রায়। মামলার কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। ইন্টারপোল জানিয়েছে, দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের বিরুদ্ধে নতুন করে কনভিকশন ওয়ারেন্ট ও রেড নোটিসের আবেদন পাঠানো হবে। পাঁচটি অভিযোগের সারসংক্ষেপ ১. উসকানিমূলক মন্তব্য ও রাষ্ট্রীয় দমন অভিযান ১৪ জুলাই গণভবনে শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্যের পর আন্দোলন আরও বিস্তৃত হয়। অভিযোগে বলা হয়েছে, সেই বক্তব্যের পর উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা দেশজুড়ে আন্দোলনকারীদের ওপর দমন-পীড়ন চালায়। ২. হেলিকপ্টার ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করা হয়েছে, আন্দোলন দমনে হেলিকপ্টার, ড্রোন এবং প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা। সেই নির্দেশ বাস্তবায়নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও তৎকালীন আইজিপি বিশেষ নির্দেশনা দেন। তদন্ত সংস্থা হেলিকপ্টার থেকে র্যাবের গুলিবর্ষণের প্রমাণ আদালতে জমা দিয়েছে। ৩. রংপুরে শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ড ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যার ঘটনাটিও এই মামলার অংশ। অভিযোগে বলা হয়েছে, এটি ছিল সরকারের দমননীতির ধারাবাহিকতা। ঘটনার পর এটিকে ভিন্ন খাতে নিতে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধেই মামলা দেওয়া হয়। ৪. পুরান ঢাকার চাঁখারপুলে ছয়জনকে গুলি করে হত্যা ৫ আগস্ট চাঁখারপুল এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে ছয়জন নিহত হয়। ট্রাইব্যুনালের নথিতে বলা হয়েছে, এটি ছিল সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে পরিচালিত এক অভিযান। ৫. আশুলিয়ায় ছয়জনকে হত্যা ও লাশ পুড়িয়ে ফেলা সবচেয়ে নৃশংস অভিযোগ—আশুলিয়ায় ছয়জনকে গুলি করে হত্যা, পাঁচজনের লাশ পুড়িয়ে ফেলা এবং আহত একজনকে জীবিত অবস্থায় আগুনে নিক্ষেপের ঘটনা। আদালতে এই ঘটনাকে জুলাইয়ের সহিংসতার সবচেয়ে ভয়াবহ উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। মামলায় মোট ৫৪ জন সাক্ষী জবানবন্দি দিয়েছেন। উপস্থাপন করা হয়েছে অডিও-ভিডিও ফুটেজ, গণমাধ্যমের প্রতিবেদন, জব্দ করা গুলি ও ফরেনসিক রিপোর্ট। রায়ের অপেক্ষায় এখন পুরো দেশ—কী সিদ্ধান্ত আসে, সেটিই নির্ধারণ করবে মামলার পরবর্তী গতি।
২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর ঢাকার পল্টনে সংঘটিত লগি-বৈঠার তাণ্ডব ও হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে এবং দোষীদের বিচারের দাবিতে টাঙ্গাইলের গোপালপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি। বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলা থানা চত্বরে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা আমির অধ্যক্ষ মো. হাবিবুর রহমান তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের জামায়াত মনোনীত জাতীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মাওলানা হুমায়ুন কবির। সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা ইদ্রিস হোসেন, সাবেক ছাত্রনেতা রাফিউল আলম রুমু, উপজেলা অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আব্দুল মান্নান এবং উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক উবাইদুল্লাহ। ফরহাদ হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি উপজেলা বাজার ও প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে শেষ হয়। বক্তারা বলেন, “২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের পল্টন হত্যাযজ্ঞ বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কলঙ্কিত অধ্যায়। আমরা সেই নারকীয় হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার চাই এবং দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।” সমাবেশে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের জামায়াতে ইসলামি ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের অসংখ্য নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার রতনপুর পূর্ব পাড়া এলাকায় গতরাতে বাড়ির উঠান থেকে মেহেদী হাসান (২০) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে সখীপুর থানা পুলিশ ।নিহত মেহেদী ওই এলাকার বারেক মিয়ার ছেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাতের কোনো এক সময় মেহেদী হাসানের মরদেহ বাড়ির উঠানে পড়ে থাকতে দেখা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। এলাকাবাসীর ধারণা, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হতে পারে। তবে পুলিশ জানায়, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে এবং পরবর্তীতে কঠিন আইনগত আইন ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চোর ধরতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে নিহত ইমন মিয়া (২২) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা মামলার এজাহারনামীয় দুই আসামিকে খাগড়াছড়ি জেলা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নারায়ণগঞ্জ। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর ২০২৫) সকালে পিবিআই নারায়ণগঞ্জ জেলার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মোঃ রিয়াজ উদ্দিন রনির নেতৃত্বে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার ইসলামপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামি আল মাহাবুব (৩৭) ও তার পিতা দিল মোহাম্মদ (৬৫)-কে গ্রেফতার করা হয়। পিবিআই জানায়, গত ৫ অক্টোবর রাতে আড়াইহাজার উপজেলার মারুয়াদী এলাকায় অটোরিকশা চুরির অভিযোগে একজনকে আটক করলে আসামিরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে ইমন মিয়া গুরুতর আহত হন এবং পরে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। গ্রেফতারকৃত দুই আসামি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। বুধবার (২২ অক্টোবর) তাদের আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত চার দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পলাতক আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পিবিআই নারায়ণগঞ্জ জেলা কর্তৃপক্ষ জানায়, “ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন ও বাকি আসামীদের গ্রেফতারে পিবিআই-এর তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
ইসকন নিষিদ্ধের দাবি এবং তরুণ আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার প্রতিবাদে আগামী শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগর। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগরের সভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব। বৈঠকে হেফাজত নেতারা বলেন, দেশের কিছু পরাজিত শক্তি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের একটি অংশকে ব্যবহার করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার পাঁয়তারা করছে। এরই অংশ হিসেবে ইসকন দেশকে অস্থিতিশীল করতে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তারা ইসকন নিষিদ্ধ করার দাবি জানান এবং দেশবাসীকে সাম্প্রদায়িক উস্কানিতে পা না দিয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে ও গলাকেটে হত্যা করা হয়। হেফাজত নেতারা এই হত্যাকাণ্ডকে “গৃহযুদ্ধ বাধানোর অপপ্রয়াস” হিসেবে উল্লেখ করেন। তারা বলেন, এই ঘটনা দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্ট করার ষড়যন্ত্রের অংশ। সোমবার (২৫ নভেম্বর) ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। পরদিন (২৬ নভেম্বর) তাকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে বহনকারী প্রিজন ভ্যান আটকে দেয় তার অনুসারীরা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের একপর্যায়ে তরুণ আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ নিহত হন। হেফাজতে ইসলাম নেতারা শুক্রবার বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে বিক্ষোভ সমাবেশে অংশগ্রহণের জন্য দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়েছেন। তারা আরও বলেন, পতিত ফ্যাসিবাদী শক্তির ষড়যন্ত্র থেকে দেশ রক্ষায় সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”
মাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৩৩৪তম পর্বে নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে নিয়ামত কমে যাবে কি না, সে বিষয়ে ঢাকা থেকে চিঠির মাধ্যমে জানতে চেয়েছেন একজন দর্শক। অনুলিখন করেছেন জান্নাত আরা পাপিয়া। প্রশ্ন : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে? উত্তর : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা কুফরি। এটা বড় কুফরি না, ছোট কুফরি। যদি আল্লাহর বান্দারা আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করে থাকেন, তাহলে তাঁরা কুফরি কাজ করে থাকলেন। এ জন্য আল্লাহ কোরআনে স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘তোমরা আমার শুকরিয়া আদায় করো, আমার সঙ্গে কুফরি করো না।’ আল্লাহ যে নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন, আল্লাহর নিয়ামত লাভ করে সুন্দর জীবনযাপন করা, এটা যদি কেউ আল্লাহর কাছে সত্যিকার অর্থে তুলে ধরতে না পারে, তাহলে সে ব্যক্তি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া করলেন না, কুফরি করলেন। এই জন্য আল্লাহ সুরা দোহার শেষ আয়াতে বলেছেন, ‘তুমি তোমার রবের নিয়ামত প্রকাশ করো। কারণ, তোমার কাছে যখন নিয়ামত আসছে, তখন আল্লাহ পছন্দ করেন যে তুমি আল্লাহর এই নিয়ামতের বিষয়টি তুলে ধরবে।’ আল্লাহর কাছে বলবে, আল্লাহ আমাকে এই নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন। আল্লাহ নিয়ামতকে বান্দার কাছে তুলে ধরার জন্য বলেছেন, বহিঃপ্রকাশ করার জন্য বলেছেন। বহিঃপ্রকাশ দুই ধরনের হতে পারে। একটি হলো নিয়ামতের ব্যবহারের মাধ্যমে বহিঃপ্রকাশ করা। দ্বিতীয়ত, নিয়ামতের বিষয়টি হলো মানুষের কাছে নিয়ামত তুলে ধরবে। যাতে করে আল্লাহর প্রশংসা প্রকাশ পায়। নিয়ামতের শুকরিয়া যদি কেউ আদায় না করেন, তাহলে কুফরি হবে। আল্লাহ বলেছেন, যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করে থাক, তাহলে আমি আরো বৃদ্ধি করে দেব। বান্দারা যখন নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করবে, তখন আল্লাহ আরো নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করে দেন। আর যদি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা হয়, তাহলে আল্লাহ নিয়ামত কমিয়ে দেবেন এবং সেইসঙ্গে আরেকটি কঠিন বাণী আল্লাহ বলেছেন, ‘জেনে রাখো আল্লাহর কঠিন আজাবও তোমাদের জন্য অবধারিত থাকবে।’ নিয়ামতের শুকরিয়া শুধু মুখে আদায় করা যথেষ্ট নয়। কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর শুকরিয়া আমলের মাধ্যমে আদায় করো।’ সুতরাং বান্দারা শুকরিয়া আদায় করবে। শুকরিয়ার অনেকগুলো দিক রয়েছে, তার মধ্যে আমলের মাধ্যমে শুকরিয়া আদায় করা হলো শুকরিয়ার সর্বোচ্চ স্তর।
তিনি ছিলেন মানবজাতির আদর্শ। তিনি অত্যন্ত উদার ও বিনয়ী ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক এবং একজন সাহসী যোদ্ধা। এছাড়াও তিনি একজন দক্ষ প্রশাসক, একজন দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক এবং একজন সফল প্রচারক ছিলেন। তিনিই উত্তম চরিত্র ও উদারতার একমাত্র উৎস। তিনি সকলের আদর্শহীন এবং প্রিয় ব্যক্তিত্ব। যার প্রেমে, দুনিয়া মাতাল। তিনি আমার আদর্শ, তিনি আমার নেতা। তিনি আমার নবী, আমাদের নবী এবং সকলের নবী। তিনি হলেন হযরত মুহাম্মদ (সা.) তিনি সর্বোত্তম আদর্শ। সমস্ত মানবজাতির জন্য করুণা। অন্ধকারে নিমজ্জিত বিশ্বের মানুষের জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে। তার অসাধারণ চরিত্র, মাধুর্য এবং অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব সবাইকে অবাক করেছে। মুমিনের চঞ্চল হৃদয় তাকে এক নজর দেখার জন্য আকুল হয়ে থাকে। কবি কাজী নজরুল বলেছেন: “বিচ্ছেদের রাত ছিল একাকার কান্নার ভোর; আমার মনে শান্তি নেই, আমি কাঁদছি। হে মদিনাবাসীর প্রেমিক, আমার হাত ধর।" তার নিষ্কলুষ চরিত্রের স্বীকৃতি দিয়ে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, "তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।" (সূরা আল-আহজাব, আয়াত 21)। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে আজ কিছু লোক সেই নবীর সম্মানকে অবমাননা করছে। হৃদয় ভেঙ্গে যায়। আমাদের ক্ষমা করুন, হে নবী! তিনি তার অবিস্মরণীয় ক্ষমা, উদারতা, সততা, নম্রতা প্রভৃতির বিরল মুগ্ধতা দিয়ে বর্বর আরব জাতির আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এজন্য তারা তাকে ‘আল-আমিন’ উপাধিতে ভূষিত করেন। তারা সর্বসম্মতিক্রমে স্বীকার করেছিল যে তিনি নম্র এবং গুণী ছিলেন। টাকা দিয়ে নয়, ভালো ব্যবহার দিয়ে তিনি বিশ্ববাসীকে জয় করেছেন। আল্লাহ তাঁর গুণাবলী সম্পর্কে কুরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই তুমি মহৎ চরিত্রের অধিকারী।’ (সূরা আল কালাম, আয়াত ৪)। তিনি কখনো মানুষকে তুচ্ছ করেননি। আত্মসম্মানবোধে তিনি কাউকে তুচ্ছ মনে করেননি। তিনি বিশ্বের হৃদয়ে উচ্চতর চরিত্রের একটি অনুপম মানদণ্ড স্থাপন করেছেন। নম্রতা তার চরিত্রে সর্বদা উপস্থিত ছিল। পৃথিবীর মানবতার কল্যাণে তাকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল শ্রেষ্ঠ আদর্শের বাস্তবায়নকারী ও প্রশিক্ষক হিসেবে। এ প্রসঙ্গে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমাকে আমার উত্তম চরিত্র পূর্ণ করার জন্য প্রেরিত করা হয়েছে।’ (মুসনাদে আহমদ, মিশকাত) ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন বিনয়ী এবং আচার-আচরণে অত্যন্ত বিনয়ী। দুর্বল ব্যক্তিকে কড়া কথায় আঘাত করবেন না। তিনি কোন মানুষকে তার সাধ্যের বাইরে অসাধ্য সাধন করতে বাধ্য করেননি। গরিব-অসহায় মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করতেন। তিনি লোকদেরকে তাদের আচরণে অপ্রয়োজনীয় রাগ ও রাগ থেকে সর্বদা বিরত থাকার উপদেশ দিতেন এবং মানুষকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন, “যে বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাকে উঁচু করে দেন এবং যে অহংকারী হয়, আল্লাহ তাকে লাঞ্ছিত করেন।” (মিশকাত) কাফেররাও তার কাছ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে সদয় ও নম্র আচরণ পেয়েছিল। তার অনুসারীরা তাকে উচ্চ সম্মানের সাথে ধরেছিল কারণ তিনি খুব নমনীয় এবং নম্র ছিলেন। হজরত আয়েশা (রা.) তার ভদ্র আচার-আচরণ সম্পর্কে বলেন, ‘নবী (সা.) রূঢ় বক্তা ছিলেন না, প্রয়োজনের সময়ও তিনি কঠোর ভাষা ব্যবহার করতেন না। প্রতিহিংসা তার সাথে ছিল না মোটেও। মন্দের বিনিময়ে ভালোই করেছেন। সব ক্ষেত্রেই তিনি ক্ষমা পছন্দ করতেন। তিনি লোকদেরকে উপদেশ দিয়েছিলেন, “আল্লাহর ইবাদত কর, করুণাময় প্রভু, ক্ষুধার্তকে খাবার দাও, সালাম দাও এবং এসব কাজের মাধ্যমে জান্নাতে প্রবেশ কর। তিনি উত্তর দিলেন, "ক্ষুধার্তকে খাওয়ানো এবং অপরিচিত সকলকে সালাম করা।" (বুখারী ও মুসলিম)। মহানবী (সা.)-এর মর্যাদাকে সম্মান করা মুসলমানদের ধর্মীয় কর্তব্য এবং প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানের মৌলিক অংশ।
নামাজ, রোজা, জাকাত, হজ, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৯২৯তম পর্বে ই-মেইলের মাধ্যমে কানিজ নাহার দিপা জানতে চেয়েছেন, মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? অনুলিখন করেছেন মোহাম্মদ সাইফ আহমেদ। প্রশ্ন : মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? উত্তর : না দোয়ার জন্য আলাদা কোনো মাহফিল নেই। এটা আসবে কেন? আমরা একটা জায়গা থেকে বাঁচার জন্য আরেকটি কাজ করছি। কিন্তু সেই কাজটি ভুল করে আরও বড় ভুলের সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। আমাদের সমাজে একটি প্রথা একেবারে ছেয়ে গেছে। যেমন—একজন মারা গেলে তার জন্য মিলাদ-মাহফিল করা কিংবা কূলখানি করা। কিন্তু এগুলো সবই বেদআতি কাজ। এগুলো সঠিক কাজ নয়। অনেকে মনে করছে, দোয়া-মাহফিল করা যেতে পারে। কিন্তু সেটা একদমই নয়। এসব ইসলামে অনুমোদন দেয়নি। এইগুলো পুরোটাই বেদআত। মানুষ চাইলে যে কোনো সময় কিংবা যে কোনো জায়গা থেকে দোয়া করতে পারবেন। দোয়ার সঙ্গে মাহফিল কিংবা আলাদা কোনো ধরনের অনুষ্ঠান ঘোষণা করা জায়েজ নেই। আশা করি, আপনি বুঝতে পেরেছেন।
র্তমান প্রযুক্তি বিশ্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) নিয়ে নতুন প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ওপেনএআই-এর চ্যাটজিপিটি ও চীনের ডিপসিকের মধ্যে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুধু প্রযুক্তিগত দক্ষতার নয়, বরং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। চ্যাটজিপিটি দীর্ঘদিন ধরে ব্লগ লেখা, গবেষণা, প্রোগ্রামিংসহ নানান কাজে অপরিহার্য টুল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি চীনের তৈরি ডিপসিক এআই জগতে নতুন আলোড়ন তুলেছে। তারা দাবি করছে, তুলনামূলক কম চিপ ব্যবহার করেই অত্যাধুনিক এআই সেবা দেওয়া সম্ভব, যেখানে ওপেনএআই-এর বিশাল মডেলগুলোর জন্য ১৬,০০০ বা তারও বেশি চিপ প্রয়োজন হয়, সেখানে মাত্র ২০০০ চিপ দিয়ে ডিপসিক কার্যকরভাবে কাজ করতে সক্ষম। দুই প্ল্যাটফর্মের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রয়েছে। ✅ চ্যাটজিপিটি: বিস্তৃত বিশ্লেষণ ও গভীর গবেষণা উপস্থাপন করতে পারে, যা একাডেমিক ও জটিল সমস্যার সমাধানে সহায়ক। ✅ ডিপসিক: দ্রুত এবং সংক্ষিপ্ত উত্তর দিতে পারে, যা তাৎক্ষণিক ফলাফল প্রত্যাশী ব্যবহারকারীদের জন্য উপযোগী। লেখালেখির ক্ষেত্রে চ্যাটজিপিটি কেবল ধারণা ও প্লটের কাঠামো গড়ে তোলে, যেখানে ডিপসিক প্রায় পুরো গল্প তৈরি করে দিতে পারে। একইভাবে, কোডিংয়ের ক্ষেত্রেও ডিপসিক কিছু ক্ষেত্রে দ্রুত সমাধান দিতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। ডিপসিকের বিরুদ্ধে ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা সংরক্ষণ ও তথ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অস্ট্রেলিয়াসহ কয়েকটি দেশের সরকার ইতোমধ্যেই ডিপসিকের ডেটা নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ওপেনএআই নিজেও অতীতে অনুমতি ছাড়া মানুষের লেখা ডেটা প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহারের অভিযোগের মুখে পড়েছিল, যা এখন ডিপসিকের বিরুদ্ধে উঠছে। ডিপসিকের সাফল্যের ফলে এআই চিপের বাজারেও বড় প্রভাব পড়েছে। এনভিডিয়া, যারা উন্নত চিপ তৈরিতে বিশ্বব্যাপী অগ্রগণ্য, তাদের শেয়ারের মূল্য একদিনে প্রায় ১৭% কমে গেছে। কারণ, কম শক্তিশালী হার্ডওয়্যারেও কার্যকর এআই সম্ভব হলে উচ্চমূল্যের উন্নত চিপের বাজার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে প্রযুক্তিগত প্রতিযোগিতা নতুন কিছু নয়, তবে ডিপসিকের উদ্ভাবন নতুন মাত্রা যোগ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই চীনে উন্নত চিপ রপ্তানির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, কম খরচে ভালো এআই তৈরি হলে মার্কিন প্রযুক্তি খাতেরও লাভ হতে পারে। এই প্রতিযোগিতা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভবিষ্যৎকে আরও উন্নত ও বহুমাত্রিক করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যেখানে দ্রুত এবং সাশ্রয়ী সমাধান দরকার, সেখানে হয়তো ডিপসিক এগিয়ে থাকবে, আর যেখানে গবেষণা ও জটিল বিশ্লেষণের প্রয়োজন, সেখানে চ্যাটজিপিটির মতো বৃহৎ মডেলগুলো প্রাধান্য পাবে। শেষ পর্যন্ত, এই প্রতিযোগিতাই হয়তো এআই প্রযুক্তিকে আরও দক্ষ, নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী করবে।