দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”
বাংলাদেশের বৃহৎ এনজিও সংস্থা "আশা"এর উদ্যোগে হয়ে গেল ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন যেখানে ফ্রিতে চিকিৎসা দেওয়া হয় এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবী এবং কর্মজীবী মানুষের মধ্যে। ২৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার সোনামুই গ্রামে সকাল থেকে এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন করা হয় আশায় এনজিও হেমনগর শাখার উদ্যোগে এটি বাস্তবায়িত করা হয়। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যকর্মী এবং মেডিকেল অফিসারসহ অন্যান্য সেবিকারা। আশা এনজিও কর্তৃক ক্যাম্পেইনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন "আশা" হেমনগর ব্রাঞ্চের পক্ষথেকে আশা এনজিওর এই ক্যাম্পেইনে গ্রামের সকল পেশাজীবীর মানুষেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্যাম্পেইনটিতে অংশগ্রহণ করেন এবং তারই মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সঠিক ভাবে নিরূপণ করতে সহযোগিতা করেন। আশা এনজিওর মাধ্যমে ক্যাম্পেইন করে মানুষের জন্য সময় উপযোগী এবং প্রয়োজনীয় একটি বিষয় হয়ে দাঁড়াবে যেটি গ্রামের মানুষের মধ্যে সচেতনতা এবং স্বাস্থ্য সঠিকভাবে পর্যালোচনা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই উদ্যোগে এলাকাবাসী অত্যন্ত প্রাণবন্ত ভাবে উৎফুল্ল প্রকাশ করেছে। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিকবৃন্দ এবং সাধারণ মানুষ। এবং তাদের ক্যাম্পেইন ডাক্তার সঠিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেছে। আশা এনজিও আগামী দিনগুলোর জন্য এইরকম ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ধাপ হিসাবে গণ্য হবে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদল সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লা পাড়া ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে সদর উপজেলার স্থানীয় বেতগঞ্জ বাজাএই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আবুল কাশেম দুলু সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এডভোকেট দীপংঙ্কর বনিক সুজিতের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক মনাজ্জির হোসেন। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সুহেল মিয়া, শাহজাহান মিয়া, এডভোকেট আব্দুল আহাদ জুয়েল, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মুজাব্বির হোসেন অপু, ইমরান হোসেন শ্যামল, বিপ্লব খান, মো:শামিম আহমদ, সেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক সাদিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতাউর চৌধুরী শাহীন প্রমুখ। এ ছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার আলম, লিয়াকত আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতহাব চৌধুরী হাসান, শাখাওয়াত হোসেন পলাশ, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইমন আহমেদ, ফয়সাল আহমেদ, মিছবাহ হোসেন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মহিম উদ্দিন, জেলা যুবদলের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মঈনুদ্দিন আহমেদ রিপন,সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আব্দুল কাইয়ুম সৌরভ, বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম, ময়না মিয়া,স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রুজেল আহমেদ, আবুল হাসনাত, জেলা ছাত্রদল নেতা ইয়াহিয়া হাসান প্রমুখ। এ সময় সদর উপজেলা ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন,বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের দুঃসময়ে যারা রাজপথে নির্যাতিত ও নিপিিতড় হয়েছেন, তাদের যথাযথ মূল্যায়নের ভিত্তিতেই ভবিষ্যতের ইউনিয়ন কমিটি গঠন করতে হবে। আওয়ামী লীগ ঘেঁষা বা ফ্যাসিস্টদের সাথে সম্পৃক্ত কোনো ব্যক্তিকে কমিটিতে রাখা যাবে না বলেও তারা দাবি জানান। দুর্দিনে যারা আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন তাদেরকে কমিটিতে মুল্যায়ন করা হবে। তারা বলেন,সুনামগঞ্জে জাতীয়তাবাদি শক্তির প্রাণপূরুষ এবং বিগত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে জেল জুলুম,হুলিয়া মাথায় নিয়ে এই সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা কেবল জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বর্তূমান জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৪(সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুলের নেতৃত্বে আমরা রাজপথে ছিলাম এবং আগামী নির্বাচনে এই আসনে জনপ্রিয় ধানের শীষের প্রার্থী একমাত্র নুরুল ইসলাম নুরুলকে বিএনপির প্রার্থী করতে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া,ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিকট তৃণমূলের নেতৃবৃন্দরা জোর দাবী জানান।
(২২ অক্টোবর) সকালে টাঙ্গাইল পৌর এলাকার পার্ক বাজার সংলগ্ন গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানটি পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল। তিনি তার বিশেষ মনিটরিং টিম নিয়ে দোকানে থাকা দইয়ের উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ না থাকা, বেশ কিছু পরিমাণ পচে যাওয়া দই দোকানে সংরক্ষণ করা এবং মিষ্টান্ন তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল পাওয়ার দায়ে টাঙ্গাইলের গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে, আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবেন। অভিযানে পৌর স্যানেটারি ইন্সপেক্টর ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ প্রসঙ্গে গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী স্বপ্নন কুমার ঘোষ জানান, সাধারণত তিনি খুচরা ভাবে দধি বিক্রি করে থাকেন। ফলে তৈরিকৃত দধিতে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ দেওয়া সম্ভব হয় না। তবে এখন থেকে দেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, উদ্ধারকৃত পচে যাওয়া দধিগুলো ফেলে দেওয়ার জন্য রাখা হয়েছিল। এছাড়া যে মিষ্টি তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল হাওয়া গেছে, সেটি বর্তমানে মিষ্টি তৈরীর কাজে ব্যাবহার করা হচ্ছে না। আমরা সবসময় চেষ্টাকরি গ্রাহককে সর্বোচ্চ মানের দধি ও মিষ্টান্ন সরবরাহ করার।
“মিস এন্ড মিসেস এলিগেন্স বাংলাদেশ সিজন ওয়ান”–এ প্রথম রানার্সআপ আদ্রিজা আফরিন সিনথিয়া দেশের আয়োজিত বর্ণাঢ্য প্রতিযোগিতা “মিস এন্ড মিসেস এলিগেন্স বাংলাদেশ সিজন ওয়ান”-এ প্রথম রানার্সআপের মুকুট জয় করলেন তরুণ ফ্যাশন মডেল আদ্রিজা আফরিন সিনথিয়া। ফ্যাশন জগতে ইতিমধ্যেই তিনি নিজেকে প্রমাণ করেছেন বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে কাজ করে। শুধু মডেলিং নয়, সিনথিয়া অভিনয়ের ক্ষেত্রেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন বুকে লালন করছেন। ইতোমধ্যে তিনি সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত সাদেক সিদ্দিকীর পরিচালনায় “দেনা পাওনা” সিনেমায় অভিনয় করছেন। রানার্সআপের মুকুট মাথায় পরার পর আবেগে আপ্লুত সিনথিয়া জানান—ঢালিউড কুইন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস আমাকে মুকুট পড়িয়ে দিয়েছেন এই আনন্দ আমি বুঝাতে পারবো না। “এই সাফল্য আমার জন্য অনেক বড় অর্জন। তবে আমি শুধু এখানেই থেমে থাকতে চাই না। আমি চাই নিজেকে মিডিয়া অঙ্গনে আরও দূর, বহুদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে। দেশবাসীর কাছে আমি দোয়া চাই।” আজকের এই অর্জন আমি আবার মা বাবা পরিবার এবং আমাকে যারা সাপোর্ট করেছেন তাদেরকে উৎসর্গ করতে চাই। বহু বাধা ও প্রতিকূলতা পেরিয়ে আজকের এই অবস্থানে পৌঁছেছেন সিনথিয়া। তাঁর অদম্য চেষ্টা, আত্মবিশ্বাস আর স্বপ্নই তাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ফ্যাশন থেকে চলচ্চিত্র—সব জায়গাতেই আলো ছড়ানোর ইচ্ছে তার। বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে সিনথিয়া এখন এক অনুপ্রেরণার নাম। তাঁর কথায়— “এই মুকুট আমার স্বপ্নযাত্রার প্রথম ধাপ মাত্র। সামনে আরও অনেক পথ, আরও অনেক লড়াই।”
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে পারিবারিক কলহের জেরে ছেলের লাঠির আঘাতে বাবা নিহত হয়েছেন। শনিবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের হামকুড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম আরশেদ শেখ, তিনি ওই গ্রামেরই বাসিন্দা। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আরশেদ আলীর সঙ্গে ছেলে আসলাম শেখের প্রতিনিয়ত ঝগড়া লেগেই থাকতো। পারিবারিক কলহের জের ধরেই শনিবার বাবা ও ছেলের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ছেলে আসলাম শেখ বাঁশের লাঠি দিয়ে আরশেদ শেখের মাথায় আঘাত করে। এতে তার মাথা ফেটে গিয়ে গুরুতর আহত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। ঘটনার পরপরই আসলাম বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে ঘাটাইল থানার ওসি গোলাম মুক্তার আশরাফ উদ্দিন জানান, আসলামকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সাজিদ পিয়াল:ব্যাটারিচালিত রিকশার দখলে টাঙ্গাইল পৌর সড়ক, চরম ভোগান্তিতে নগরবাসী। টাঙ্গাইল শহরের সড়কগুলোতে ব্যাটারিচালিত রিকশার নিয়ন্ত্রণহীন চলাচল এখন চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। শহরের প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে উপ-সড়ক—সবখানেই দিনের বেশিরভাগ সময়জুড়ে এসব রিকশার দাপট দেখা যায়। যত্রতত্র দাঁড়ানো, নিয়ম না মেনে রাস্তা দখল করে চলা, ফুটপাত দখল করে রাখা—সব মিলিয়ে যেন এক অনিয়ন্ত্রিত রিকশা নগরীতে রূপ নিয়েছে টাঙ্গাইল পৌর এলাকা। এতে নাজেহাল হয়ে পড়েছেন অফিসগামী মানুষ, স্কুল–কলেজের শিক্ষার্থী, পথচারী ও জরুরি সেবার যানবাহন চলাচলকারীরা। শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকাসহ শহীদ জগৎজ্যোতি সড়ক, নিরালা মোড়, আদালত চত্বর, আকুর টাকুর পাড়া, পুরাতন বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশন এলাকা—প্রায় সব সড়কেই ব্যাটারিচালিত রিকশার ভিড় প্রতিনিয়ত বাড়ছে। সংকীর্ণ সড়কের দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা রিকশা ও মাঝ রাস্তায় যাত্রী ওঠানামার কারণে সামান্য যানজটই মুহূর্তে দীর্ঘ লাইনে পরিণত হচ্ছে। অনেক সময় দেখা যায়, অ্যাম্বুলেন্স ও অগ্নিনির্বাপন বাহিনীর গাড়িও রিকশার ভিড়ে আটকে যাচ্ছে। এতে রোগী পরিবহনে দেরি এবং প্রয়োজনীয় সময়ে জরুরি কাজে যেতে বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে এসব সেবা। স্থানীয়দের অভিযোগ, এসব রিকশার অধিকাংশই কোনো ধরনের নিবন্ধন বা অনুমোদন ছাড়াই চলছে। চালকদের অনেকেই ন্যূনতম ট্রাফিক নিয়ম জানেন না, সড়ক ব্যবহারের প্রাথমিক ধারণাও নেই। ফলে তারা ইচ্ছেমতো সড়কের মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকে বা হঠাৎ করে ঘুরে যায়, যা দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলছে। এ ছাড়া বেশির ভাগ ব্যাটারিচালিত রিকশায় নেই হেডলাইট, ব্যাকলাইট বা সাইড সিগন্যাল। সন্ধ্যার পর অন্ধকার রাস্তায় এসব রিকশার বেপরোয়া চলাচলে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। অনেক রিকশায় অতিরিক্ত যাত্রী তোলা ও বেপরোয়া গতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় আশঙ্কা আরও বাড়ছে। পথচারীরা জানায়, শহরের বেশির ভাগ ফুটপাত রিকশা রাখার স্থানে পরিণত হয়েছে। ফলে মানুষকে বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমে হাঁটতে হচ্ছে। এতে pedestrian safety মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এক পথচারী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “রাস্তা দিয়ে হাঁটা এখন দুঃস্বপ্ন। যে দিকে তাকাই কেবল রিকশা আর রিকশা। ট্রাফিক পুলিশও খুব একটা ব্যবস্থা নিতে পারে না।” টাঙ্গাইল পৌরসভার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ব্যাটারিচালিত রিকশার সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য তারা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। শিগগিরই এসব যানবাহনের জন্য প্রয়োজনীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়া, স্টিকার ব্যবস্থা, নির্দিষ্ট রুট ও স্টপেজ চিহ্নিতকরণ এবং চালকদের জন্য সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে। এক কর্মকর্তা বলেন, “ব্যাটারিচালিত রিকশা নিষিদ্ধ নয়, তবে এগুলোকে নিয়ন্ত্রণে আনা অত্যন্ত জরুরি। নীতিমালা তৈরি হলে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরবে।” সাধারণ মানুষের দাবি—রিকশার জন্য আলাদা স্টপেজ নির্ধারণ, অনিয়ন্ত্রিত রিকশা চলাচলের বিরুদ্ধে অভিযান, ফুটপাত দখলমুক্ত করা এবং চালকদের নিয়ম মানার বিষয়ে কড়া নজরদারি নিশ্চিত করতে হবে। নগরবাসী মনে করেন, যথাযথ তদারকি ও নিয়মতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে পারলে ব্যাটারিচালিত রিকশার কারণে সৃষ্ট যানজট, বিশৃঙ্খলা ও ভোগান্তি অনেকটাই কমে যাবে এবং টাঙ্গাইল শহরও ফিরে পাবে স্বস্তির ধারা।
রাজধানীসহ সারাদেশে শক্তিশালী ভূমিকম্প: বহু ভবনে ফাটল, হতাহতের খবর স্টাফ রিপোর্টার: এস কে শিপন আজ শুক্রবার ২১ নভেম্বর সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল। আকস্মিক এই ভূমিকম্পে সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে বাসা, অফিস ও দোকানপাট ছেড়ে দৌড়ে রাস্তায় নেমে আসেন। ছুটির দিন হওয়ায় রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে মানুষের ভিড় চোখে পড়ে। ভূমিকম্পের পর রাজধানীর নানা এলাকায় ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর মিলেছে। পুরান ঢাকার বংশালে একটি ভবনের রেলিং ভেঙে নিচে পড়ে তিনজন পথচারীর মৃত্যু হয়। ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছে ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়ও ভূমিকম্পের উল্লেখযোগ্য প্রভাব দেখা গেছে। মোকাররম ভবনের দেয়ালে বড় ধরনের ফাটল দেখা দেয়। পাশাপাশি শেখ মুজিব হলের পুরাতন ভবনের তৃতীয় তলায়ও ফাটল সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে সংশ্লিষ্ট ভবনগুলো খালি করে জরুরি পরিদর্শন শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। অন্যদিকে টঙ্গী রেল স্টেশন এলাকায় একটি ভবন হেলে পড়ায় স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ সম্ভাব্য ঝুঁকি এড়াতে ঐ অংশে কার্যক্রম সীমিত করে নিরাপত্তা পরীক্ষা শুরু করেছে। এছাড়া রাজধানীর স্বামীবাগের ৫২/A নম্বর বাড়ির পেছনের একটি ভবন হেলে পড়তে শুরু করেছে, যা আশপাশের বাসিন্দাদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে। একইসঙ্গে নিউমার্কেটের সামনে একটি ভবন হেলে পড়ার ঘটনাও নিশ্চিত হয়েছে। পুলিশ ও সিটি করপোরেশন ভবন দুটি ঘিরে নিরাপত্তা বলয় তৈরি করে দিয়েছে। গণপরিবহন খাত থেকেও উদ্বেগজনক খবর পাওয়া গেছে। রাজধানীর একটি ফ্লাইওভারের পাশের রেলিং ভেঙে পড়ে, যদিও এতে কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে দুশ্চিন্তা বাড়ছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকেও ভবন ফাটল, দেয়াল ধসে পড়া এবং আহত হওয়ার খবর আসতে শুরু করেছে। এখনো পর্যন্ত সারাদেশের ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ হিসাব পাওয়া যায়নি। তবে ফায়ার সার্ভিস, সিভিল ডিফেন্স, পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন উদ্ধার ও নিরাপত্তা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। সরকারি সংস্থাগুলো সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে। ভূমিকম্পের পর রাজধানীর বহু মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে দীর্ঘসময় রাস্তায় অবস্থান করেন। সর্বত্র আতঙ্ক ও ছোটাছুটির দৃশ্য দেখা যায়।