দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”
তিনি ছিলেন মানবজাতির আদর্শ। তিনি অত্যন্ত উদার ও বিনয়ী ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক এবং একজন সাহসী যোদ্ধা। এছাড়াও তিনি একজন দক্ষ প্রশাসক, একজন দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক এবং একজন সফল প্রচারক ছিলেন। তিনিই উত্তম চরিত্র ও উদারতার একমাত্র উৎস। তিনি সকলের আদর্শহীন এবং প্রিয় ব্যক্তিত্ব। যার প্রেমে, দুনিয়া মাতাল। তিনি আমার আদর্শ, তিনি আমার নেতা। তিনি আমার নবী, আমাদের নবী এবং সকলের নবী। তিনি হলেন হযরত মুহাম্মদ (সা.) তিনি সর্বোত্তম আদর্শ। সমস্ত মানবজাতির জন্য করুণা। অন্ধকারে নিমজ্জিত বিশ্বের মানুষের জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে। তার অসাধারণ চরিত্র, মাধুর্য এবং অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব সবাইকে অবাক করেছে। মুমিনের চঞ্চল হৃদয় তাকে এক নজর দেখার জন্য আকুল হয়ে থাকে। কবি কাজী নজরুল বলেছেন: “বিচ্ছেদের রাত ছিল একাকার কান্নার ভোর; আমার মনে শান্তি নেই, আমি কাঁদছি। হে মদিনাবাসীর প্রেমিক, আমার হাত ধর।" তার নিষ্কলুষ চরিত্রের স্বীকৃতি দিয়ে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, "তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।" (সূরা আল-আহজাব, আয়াত 21)। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে আজ কিছু লোক সেই নবীর সম্মানকে অবমাননা করছে। হৃদয় ভেঙ্গে যায়। আমাদের ক্ষমা করুন, হে নবী! তিনি তার অবিস্মরণীয় ক্ষমা, উদারতা, সততা, নম্রতা প্রভৃতির বিরল মুগ্ধতা দিয়ে বর্বর আরব জাতির আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এজন্য তারা তাকে ‘আল-আমিন’ উপাধিতে ভূষিত করেন। তারা সর্বসম্মতিক্রমে স্বীকার করেছিল যে তিনি নম্র এবং গুণী ছিলেন। টাকা দিয়ে নয়, ভালো ব্যবহার দিয়ে তিনি বিশ্ববাসীকে জয় করেছেন। আল্লাহ তাঁর গুণাবলী সম্পর্কে কুরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই তুমি মহৎ চরিত্রের অধিকারী।’ (সূরা আল কালাম, আয়াত ৪)। তিনি কখনো মানুষকে তুচ্ছ করেননি। আত্মসম্মানবোধে তিনি কাউকে তুচ্ছ মনে করেননি। তিনি বিশ্বের হৃদয়ে উচ্চতর চরিত্রের একটি অনুপম মানদণ্ড স্থাপন করেছেন। নম্রতা তার চরিত্রে সর্বদা উপস্থিত ছিল। পৃথিবীর মানবতার কল্যাণে তাকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল শ্রেষ্ঠ আদর্শের বাস্তবায়নকারী ও প্রশিক্ষক হিসেবে। এ প্রসঙ্গে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমাকে আমার উত্তম চরিত্র পূর্ণ করার জন্য প্রেরিত করা হয়েছে।’ (মুসনাদে আহমদ, মিশকাত) ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন বিনয়ী এবং আচার-আচরণে অত্যন্ত বিনয়ী। দুর্বল ব্যক্তিকে কড়া কথায় আঘাত করবেন না। তিনি কোন মানুষকে তার সাধ্যের বাইরে অসাধ্য সাধন করতে বাধ্য করেননি। গরিব-অসহায় মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করতেন। তিনি লোকদেরকে তাদের আচরণে অপ্রয়োজনীয় রাগ ও রাগ থেকে সর্বদা বিরত থাকার উপদেশ দিতেন এবং মানুষকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন, “যে বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাকে উঁচু করে দেন এবং যে অহংকারী হয়, আল্লাহ তাকে লাঞ্ছিত করেন।” (মিশকাত) কাফেররাও তার কাছ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে সদয় ও নম্র আচরণ পেয়েছিল। তার অনুসারীরা তাকে উচ্চ সম্মানের সাথে ধরেছিল কারণ তিনি খুব নমনীয় এবং নম্র ছিলেন। হজরত আয়েশা (রা.) তার ভদ্র আচার-আচরণ সম্পর্কে বলেন, ‘নবী (সা.) রূঢ় বক্তা ছিলেন না, প্রয়োজনের সময়ও তিনি কঠোর ভাষা ব্যবহার করতেন না। প্রতিহিংসা তার সাথে ছিল না মোটেও। মন্দের বিনিময়ে ভালোই করেছেন। সব ক্ষেত্রেই তিনি ক্ষমা পছন্দ করতেন। তিনি লোকদেরকে উপদেশ দিয়েছিলেন, “আল্লাহর ইবাদত কর, করুণাময় প্রভু, ক্ষুধার্তকে খাবার দাও, সালাম দাও এবং এসব কাজের মাধ্যমে জান্নাতে প্রবেশ কর। তিনি উত্তর দিলেন, "ক্ষুধার্তকে খাওয়ানো এবং অপরিচিত সকলকে সালাম করা।" (বুখারী ও মুসলিম)। মহানবী (সা.)-এর মর্যাদাকে সম্মান করা মুসলমানদের ধর্মীয় কর্তব্য এবং প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানের মৌলিক অংশ।
মাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৩৩৪তম পর্বে নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে নিয়ামত কমে যাবে কি না, সে বিষয়ে ঢাকা থেকে চিঠির মাধ্যমে জানতে চেয়েছেন একজন দর্শক। অনুলিখন করেছেন জান্নাত আরা পাপিয়া। প্রশ্ন : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে? উত্তর : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা কুফরি। এটা বড় কুফরি না, ছোট কুফরি। যদি আল্লাহর বান্দারা আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করে থাকেন, তাহলে তাঁরা কুফরি কাজ করে থাকলেন। এ জন্য আল্লাহ কোরআনে স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘তোমরা আমার শুকরিয়া আদায় করো, আমার সঙ্গে কুফরি করো না।’ আল্লাহ যে নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন, আল্লাহর নিয়ামত লাভ করে সুন্দর জীবনযাপন করা, এটা যদি কেউ আল্লাহর কাছে সত্যিকার অর্থে তুলে ধরতে না পারে, তাহলে সে ব্যক্তি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া করলেন না, কুফরি করলেন। এই জন্য আল্লাহ সুরা দোহার শেষ আয়াতে বলেছেন, ‘তুমি তোমার রবের নিয়ামত প্রকাশ করো। কারণ, তোমার কাছে যখন নিয়ামত আসছে, তখন আল্লাহ পছন্দ করেন যে তুমি আল্লাহর এই নিয়ামতের বিষয়টি তুলে ধরবে।’ আল্লাহর কাছে বলবে, আল্লাহ আমাকে এই নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন। আল্লাহ নিয়ামতকে বান্দার কাছে তুলে ধরার জন্য বলেছেন, বহিঃপ্রকাশ করার জন্য বলেছেন। বহিঃপ্রকাশ দুই ধরনের হতে পারে। একটি হলো নিয়ামতের ব্যবহারের মাধ্যমে বহিঃপ্রকাশ করা। দ্বিতীয়ত, নিয়ামতের বিষয়টি হলো মানুষের কাছে নিয়ামত তুলে ধরবে। যাতে করে আল্লাহর প্রশংসা প্রকাশ পায়। নিয়ামতের শুকরিয়া যদি কেউ আদায় না করেন, তাহলে কুফরি হবে। আল্লাহ বলেছেন, যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করে থাক, তাহলে আমি আরো বৃদ্ধি করে দেব। বান্দারা যখন নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করবে, তখন আল্লাহ আরো নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করে দেন। আর যদি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা হয়, তাহলে আল্লাহ নিয়ামত কমিয়ে দেবেন এবং সেইসঙ্গে আরেকটি কঠিন বাণী আল্লাহ বলেছেন, ‘জেনে রাখো আল্লাহর কঠিন আজাবও তোমাদের জন্য অবধারিত থাকবে।’ নিয়ামতের শুকরিয়া শুধু মুখে আদায় করা যথেষ্ট নয়। কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর শুকরিয়া আমলের মাধ্যমে আদায় করো।’ সুতরাং বান্দারা শুকরিয়া আদায় করবে। শুকরিয়ার অনেকগুলো দিক রয়েছে, তার মধ্যে আমলের মাধ্যমে শুকরিয়া আদায় করা হলো শুকরিয়ার সর্বোচ্চ স্তর।
নামাজ, রোজা, জাকাত, হজ, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৯২৯তম পর্বে ই-মেইলের মাধ্যমে কানিজ নাহার দিপা জানতে চেয়েছেন, মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? অনুলিখন করেছেন মোহাম্মদ সাইফ আহমেদ। প্রশ্ন : মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? উত্তর : না দোয়ার জন্য আলাদা কোনো মাহফিল নেই। এটা আসবে কেন? আমরা একটা জায়গা থেকে বাঁচার জন্য আরেকটি কাজ করছি। কিন্তু সেই কাজটি ভুল করে আরও বড় ভুলের সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। আমাদের সমাজে একটি প্রথা একেবারে ছেয়ে গেছে। যেমন—একজন মারা গেলে তার জন্য মিলাদ-মাহফিল করা কিংবা কূলখানি করা। কিন্তু এগুলো সবই বেদআতি কাজ। এগুলো সঠিক কাজ নয়। অনেকে মনে করছে, দোয়া-মাহফিল করা যেতে পারে। কিন্তু সেটা একদমই নয়। এসব ইসলামে অনুমোদন দেয়নি। এইগুলো পুরোটাই বেদআত। মানুষ চাইলে যে কোনো সময় কিংবা যে কোনো জায়গা থেকে দোয়া করতে পারবেন। দোয়ার সঙ্গে মাহফিল কিংবা আলাদা কোনো ধরনের অনুষ্ঠান ঘোষণা করা জায়েজ নেই। আশা করি, আপনি বুঝতে পেরেছেন।
র্তমান প্রযুক্তি বিশ্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) নিয়ে নতুন প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ওপেনএআই-এর চ্যাটজিপিটি ও চীনের ডিপসিকের মধ্যে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুধু প্রযুক্তিগত দক্ষতার নয়, বরং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। চ্যাটজিপিটি দীর্ঘদিন ধরে ব্লগ লেখা, গবেষণা, প্রোগ্রামিংসহ নানান কাজে অপরিহার্য টুল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি চীনের তৈরি ডিপসিক এআই জগতে নতুন আলোড়ন তুলেছে। তারা দাবি করছে, তুলনামূলক কম চিপ ব্যবহার করেই অত্যাধুনিক এআই সেবা দেওয়া সম্ভব, যেখানে ওপেনএআই-এর বিশাল মডেলগুলোর জন্য ১৬,০০০ বা তারও বেশি চিপ প্রয়োজন হয়, সেখানে মাত্র ২০০০ চিপ দিয়ে ডিপসিক কার্যকরভাবে কাজ করতে সক্ষম। দুই প্ল্যাটফর্মের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রয়েছে। ✅ চ্যাটজিপিটি: বিস্তৃত বিশ্লেষণ ও গভীর গবেষণা উপস্থাপন করতে পারে, যা একাডেমিক ও জটিল সমস্যার সমাধানে সহায়ক। ✅ ডিপসিক: দ্রুত এবং সংক্ষিপ্ত উত্তর দিতে পারে, যা তাৎক্ষণিক ফলাফল প্রত্যাশী ব্যবহারকারীদের জন্য উপযোগী। লেখালেখির ক্ষেত্রে চ্যাটজিপিটি কেবল ধারণা ও প্লটের কাঠামো গড়ে তোলে, যেখানে ডিপসিক প্রায় পুরো গল্প তৈরি করে দিতে পারে। একইভাবে, কোডিংয়ের ক্ষেত্রেও ডিপসিক কিছু ক্ষেত্রে দ্রুত সমাধান দিতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। ডিপসিকের বিরুদ্ধে ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা সংরক্ষণ ও তথ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অস্ট্রেলিয়াসহ কয়েকটি দেশের সরকার ইতোমধ্যেই ডিপসিকের ডেটা নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ওপেনএআই নিজেও অতীতে অনুমতি ছাড়া মানুষের লেখা ডেটা প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহারের অভিযোগের মুখে পড়েছিল, যা এখন ডিপসিকের বিরুদ্ধে উঠছে। ডিপসিকের সাফল্যের ফলে এআই চিপের বাজারেও বড় প্রভাব পড়েছে। এনভিডিয়া, যারা উন্নত চিপ তৈরিতে বিশ্বব্যাপী অগ্রগণ্য, তাদের শেয়ারের মূল্য একদিনে প্রায় ১৭% কমে গেছে। কারণ, কম শক্তিশালী হার্ডওয়্যারেও কার্যকর এআই সম্ভব হলে উচ্চমূল্যের উন্নত চিপের বাজার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে প্রযুক্তিগত প্রতিযোগিতা নতুন কিছু নয়, তবে ডিপসিকের উদ্ভাবন নতুন মাত্রা যোগ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই চীনে উন্নত চিপ রপ্তানির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, কম খরচে ভালো এআই তৈরি হলে মার্কিন প্রযুক্তি খাতেরও লাভ হতে পারে। এই প্রতিযোগিতা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভবিষ্যৎকে আরও উন্নত ও বহুমাত্রিক করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যেখানে দ্রুত এবং সাশ্রয়ী সমাধান দরকার, সেখানে হয়তো ডিপসিক এগিয়ে থাকবে, আর যেখানে গবেষণা ও জটিল বিশ্লেষণের প্রয়োজন, সেখানে চ্যাটজিপিটির মতো বৃহৎ মডেলগুলো প্রাধান্য পাবে। শেষ পর্যন্ত, এই প্রতিযোগিতাই হয়তো এআই প্রযুক্তিকে আরও দক্ষ, নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী করবে।
র্যাবের অভিযানে টাঙ্গাইল সদর থানায় দায়ের করা পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলার প্রধান আসামি হাবিবুর রহমান (৩২)-কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ঘারিন্দা বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করে সিপিসি-৩, র্যাব-১৪, টাঙ্গাইল ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) র্যাব-১৪, সিপিসি-৩, টাঙ্গাইল ক্যাম্প থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে—বাদী একজন বিধবা নারী। গত ২০২৪ সালের ৫ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইল জেলার ইসলামী শরিয়া অনুযায়ী অভিযুক্ত হাবিবুর রহমানের সঙ্গে তার বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিবাহের পর সংসার করার একপর্যায়ে ভিকটিম জানতে পারেন, অভিযুক্ত তার পূর্বের স্ত্রী ও দুই সন্তানের বিষয়টি গোপন রেখে তাকে বিবাহ করেছেন। বিবাহের কিছুদিন পর অভিযুক্ত হাবিবুর রহমান কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে সৌদি আরব যান। পরবর্তীতে দেশে ফিরে ব্যবসা করার কথা বলে ভিকটিমের পিতার কাছে পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। যৌতুক দিতে অস্বীকৃতি জানালে ভিকটিমকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। এ ঘটনায় ভিকটিম তার স্বামী হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে যৌতুক নিরোধ আইনে একটি মামলা এবং টাকা ধার নিয়ে আত্মসাৎ করার অভিযোগে আরও একটি মামলা দায়ের করেন। এসব মামলা প্রত্যাহার না করলে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে ঘনিষ্ঠ অবস্থার আপত্তিকর স্থিরচিত্র ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিতে থাকেন অভিযুক্ত। অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, গত ১২ নভেম্বর দুপুরে অভিযুক্ত হাবিবুর রহমান তার ব্যবহৃত ইমু আইডি থেকে ভিকটিমের ইমু নম্বরে আপত্তিকর ভিডিও পাঠান এবং ভিকটিমের বসবাসরত গোলড়া এলাকার প্রতিটি ঘরে ঘরে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। এতে ভিকটিম চরম মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। পরবর্তীতে ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে বিজ্ঞ আদালতে নালিশি মামলা দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে গত ১৭ নভেম্বর টাঙ্গাইল সদর থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা রুজু করা হয়। মামলা দায়েরের পর থেকেই সিপিসি-৩, র্যাব-১৪, টাঙ্গাইল ক্যাম্প ছায়াতদন্ত শুরু করে এবং অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের জন্য তৎপরতা চালায়। এরই ধারাবাহিকতায় অভিযুক্তের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে শনিবার বিকেলে ঘারিন্দা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে পর্নোগ্রাফি মামলার প্রধান আসামি হাবিবুর রহমান (৩২)-কে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় র্যাব। গ্রেপ্তারকৃত আসামির বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু’র নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যবহৃত ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টারসহ বিভিন্ন সামগ্রী অপসারণ করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের জারি করা নির্দেশনা ও নির্বাচনী আচরণবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করে শৃঙ্খলাপূর্ণ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে নিজেই উপস্থিত থেকে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে এসব ব্যানার ও ফেস্টুন অপসারণ করেন সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। এ সময় টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, মোড় ও জনবহুল এলাকায় টাঙানো ব্যানার, ফেস্টুন এবং দেয়ালে লাগানো পোস্টার নামিয়ে ফেলা হয়। পুরো কার্যক্রমটি সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করা হয়। সুলতান সালাউদ্দিন টুকু এ সময় বলেন, “নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা মেনে চলা আমাদের সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক দায়িত্ব। আমরা চাই একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। সে লক্ষ্যেই আমরা স্বপ্রণোদিত হয়ে প্রচারণার সামগ্রী অপসারণ করছি।” তিনি আরও বলেন, “বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে এবং সব সময় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমরা আশা করি, সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে শালীন রাজনৈতিক সংস্কৃতি বজায় রাখবে।” এ কর্মসূচিতে বিএনপি ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দারাও এ উদ্যোগকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন এবং শৃঙ্খলাপূর্ণ নির্বাচনী পরিবেশ বজায় রাখতে প্রশাসনের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের বাইরে নির্বাচনী পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন অপসারণ বাধ্যতামূলক।
টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে উপজেলা প্রশাসনের তৎপরতায় নবম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রীর বাল্য বিয়ে বন্ধ হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের নলুয়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় প্রশাসনের উপস্থিতি ও তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের ফলে বাল্য বিয়ে বন্ধ হওয়ায় এলাকাজুড়ে স্বস্তি ফিরে এসেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নলুয়া গ্রামের ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরীকে একই গ্রামের আবু সামা মিয়ার ১৭ বছর বয়সী ছেলে জিসান মিয়ার সঙ্গে জোরপূর্বক বিয়ে দেয়ার প্রস্তুতি চলছিল। বিষয়টি গোপন থাকলেও খবর পায় উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়। খবর পেয়ে সুপারভাইজার মেহেদি হাসানের নেতৃত্বে কয়েকজন স্টাফ শিশু কন্যার বাড়িতে গিয়ে বাল্য বিয়ে বন্ধের চেষ্টা করেন। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি বাল্য বিয়ে বন্ধে বাধা দেন এবং কর্মকর্তা–কর্মচারীদের সঙ্গে অসদাচরণ করেন। স্থানীয়রা জানান, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুর রহমান মাস্টার, সহ-সভাপতি মফিজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন ও সহ-সাধারণ সম্পাদক মোসলেম মিয়া সহ কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তির সহযোগিতায় বাল্য বিয়ের আয়োজন চলছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের টিম ফিরে এসে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেন। পরে রাতেই ইউএনও জোহরা সুলতানা যূথী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাইমিনুল ইসলামসহ প্রশাসনের একটি টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তাদের উপস্থিতিতে বিয়ে অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং মেয়েটির মাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় ইউএনও বলেন,“উপজেলায় কোথায় বাল্য বিয়ে হচ্ছে এমন খবর পেলেই সঙ্গে সঙ্গে অভিযানে নামবে প্রশাসন। বাল্য বিয়ে রোধে জড়িত যেই হোক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” অভিযান শেষে প্রশাসনের কর্মকর্তারা স্থানীয়দের সচেতন করেন এবং মেয়ের পরিবারকে আইনগত ঝুঁকি সম্পর্কে অবহিত করেন। অন্যদিকে, সামাজিকভাবে এই ঘটনায় ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে প্রশাসনের ভূমিকার প্রশংসা করলেও বাল্য বিয়েতে জড়িত প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।