সারা দেশ

টাঙ্গাইল পৌর এলাকার প্রায় সর্বত্রই ময়লার ভাগারে পরিণত

reporter-icon
নাদিম তালুকদার: স্টাফ রিপোর্টার ( মুক্তধ্বনি )
নভেম্বর ২১, ২০২৫ | 0
টাঙ্গাইল পৌরসভা আধুনিক হলেও ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধ নিয়ে প্রবেশ করতে হয় জেলা শহরে। ১৩৮ বছরের পুরানো এই পৌরসভায় এখন পর্যন্ত গড়ে উঠেনি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। শহরে প্রবেশের তিনটি পথেই রাস্তার পাশে ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। ময়লার দুর্গন্ধে নাক চেপে শহরে ঢুকতে হয়। এই দুর্গন্ধ দিয়েই যেন স্বাগত জানানো হয় শহরবাসী ও শহরে আগত অতিথিদের। পৌর শহরের বেবিস্ট্যান্ড এলাকা ও টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কের রাবনা বাইপাসের পাশেই ফেলা হচ্ছে শহরের সকল ময়লা আবর্জনা। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন ৬টি উপজেলার লোকজনসহ জেলা থেকে ঢাকামুখি ও বিভিন্ন জেলায় মানুষ চলাচল করে। এছাড়াও ময়লার ভাগারের পাশেই রয়েছে অসংখ্য বাড়িঘর। শহরের ময়লা আবর্জনা অন্যত্র ফেলার জন্য বার বার পৌর কর্তৃপক্ষকে জানানোর পরও কোন ব্যবস্থা নিয়ে হচ্ছে না তারা। পৌরসভা সূত্র জানা যায়, বিগত ১৮৮৭ সালের (১ জুলাই) টাঙ্গাইল পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। ২৯ দশমিক ৪৩ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এ পৌরসভা। বিগত ২০২২ সালের আদম শুমারীর তথ্যতে বলা হয়েছে টাঙ্গাইল পৌর শহরে ২ লাখ ৯২ হাজার ৫৯২ জন লোকের বসবাস। ১৩৮ বছরের পুরনো এই পৌরসভায় আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা তো দূরের কথা, আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট ভাগাড় নির্মাণ হয়নি আজও। শহরের সব আবর্জনা ফেলা হচ্ছে শহরে প্রবেশের বিভিন্ন সড়কের পাশে। বিগত ৯/১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে শহরের আবর্জনা ফেলা হচ্ছে উত্তর দিক দিয়ে শহরের প্রবেশমুখে রাবনা এলাকার টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কের পাশে। আর দক্ষিণ অংশের ময়লা ফেলা হচ্ছে শহরের আরেক প্রবেশমুখ কাগমারি বেবিস্ট্যান্ড এলাকায়। এছাড়াও শহরের আশেকপুর এলাকায় দীর্ঘদিন ময়লা আবর্জনা ফেলা হলেও লোকজনদের চাপের মুখে তা বন্ধ রয়েছে। শুধু ময়লাই নয় মৃত জীবজন্তু, গরু-ছাগল, কুকুরও এই ময়লা আবর্জনার সঙ্গে ফেলা হচ্ছে। এতে করে দুর্গন্ধে ওই এলাকায় দাঁড়ানো যায় না। বাসাবাড়িতে বসবাস করাও কঠিন হয়ে পড়েছে। এদিকে, প্রায়ই আবর্জনায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তখন ধোঁয়া ও গন্ধে আশপাশের ঘরবাড়ি ও দোকানদারদের পোহাতে হয় চরম কষ্ট। একই চিত্র দেখা যায় বেবিস্ট্যান্ড এলাকায়। সেখানে আবর্জনার ভাগাড় অতিক্রম করে দক্ষিণাংশের মানুষকে মূল শহরে ঢুকতে হয়। বেবিস্ট্যান্ড এলাকায় ময়লা আবর্জনার ভাগাড় পেরিয়েই যাতায়াত করতে হয় মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং এমএম আলী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের। স্থানীয়বাসিন্দা শাহিনা বেগম বলেন, এই ময়লার গন্ধে আমাদের পরিবারের শিশু ও বৃদ্ধা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ময়লার গন্ধে বসবাস করাই আমাদের দায় হয়ে গেছে। মাসুদ মিয়া বলেন, এই ময়লার গন্ধে আমার বাড়িতে কোন ভাড়াটিয়া পাই না। দুগন্ধে নিজেরাও থাকতে পারি না। নিজের বাড়ি ফেলে যেতে পারি না, তাই কষ্ট হলেও বসবাস করছি। শিক্ষার্থী কফিল ইসলাম বলেন, এখান থেকে প্রতিদিন আমি কলেজ বাসে উঠি। ময়লার দুগন্ধে দুই মিনিটও দাড়িয়ে থাকতে পারি না। আমার দাবি পৌরসভা খুব দ্রুত এই ময়লা অন্যত্র সরিয়ে নিবে। পরিবেশবিদ সোমনাথ লাহিরী বলেন, খোলা জায়গায় ময়লা ফেলা পরিবেশ আইন অনুযায়ি আইন পরিপন্থি কাজ। টাঙ্গাইল পৌরসভার যে পরিমান ময়লা খোলা জায়গায় ফেলা হচ্ছে এতে প্রচুর পরিমান মিথেন গ্যাস তৈরি হচ্ছে। যা মানব দেহের জন্য খুবই বিপদজনক। যে কোন সময় মানুষ মেরে ফেলতে পারে এই গ্যাস। এ বিষয়ে আমাদের পক্ষ থেকে বার বার পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে নোটিশ করলেও তার স্বদোত্তর পাইনি। এ বিষয়ে টাঙ্গাইল পৌর কর্তৃপক্ষ সাংবাদিকদের জানান, পৌরসভার পক্ষকে থেকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ময়লা ফেলার জন্য পৌরসভাকে নির্ধারিত জায়গা দেয়ার জন্য প্রস্তাব রেখেছি। আমরা নতুন জায়গা পেলে সেখানে ময়লা রি-সাইকেল করতে পারবো। এতে আমাদের পৌরসভার পরিবেশ সুন্দর হবে।
সর্বাধিক পঠিত
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির ঢাকা বিভাগীয় ব্যুরো চীফ হলেন সাংবাদিক মোঃ মনিরুজ্জামান।

দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”

বাংলাদেশের বৃহত্তম এনজিও সংস্থা"আশা"উদ্যোগে গোপালপুরে সোনামুই গ্রামে হয়ে গেল মেডিকেল ফ্রি ক্যাম্পিং

বাংলাদেশের বৃহৎ এনজিও সংস্থা "আশা"এর উদ্যোগে হয়ে গেল ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন যেখানে ফ্রিতে চিকিৎসা দেওয়া হয় এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবী এবং কর্মজীবী মানুষের মধ্যে। ২৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার সোনামুই গ্রামে সকাল থেকে এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন করা হয় আশায় এনজিও হেমনগর শাখার উদ্যোগে এটি বাস্তবায়িত করা হয়। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যকর্মী এবং মেডিকেল অফিসারসহ অন্যান্য সেবিকারা। আশা এনজিও কর্তৃক ক্যাম্পেইনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন "আশা" হেমনগর ব্রাঞ্চের পক্ষথেকে আশা এনজিওর এই ক্যাম্পেইনে গ্রামের সকল পেশাজীবীর মানুষেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্যাম্পেইনটিতে অংশগ্রহণ করেন এবং তারই মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সঠিক ভাবে নিরূপণ করতে সহযোগিতা করেন। আশা এনজিওর মাধ্যমে ক্যাম্পেইন করে মানুষের জন্য সময় উপযোগী এবং প্রয়োজনীয় একটি বিষয় হয়ে দাঁড়াবে যেটি গ্রামের মানুষের মধ্যে সচেতনতা এবং স্বাস্থ্য সঠিকভাবে পর্যালোচনা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই উদ্যোগে এলাকাবাসী অত্যন্ত প্রাণবন্ত ভাবে উৎফুল্ল প্রকাশ করেছে। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিকবৃন্দ এবং সাধারণ মানুষ। এবং তাদের ক্যাম্পেইন ডাক্তার সঠিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেছে। আশা এনজিও আগামী দিনগুলোর জন্য এইরকম ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ধাপ হিসাবে গণ্য হবে।

সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লা পাড়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকদল শাখার উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদল সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লা পাড়া ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার  বিকালে সদর উপজেলার স্থানীয় বেতগঞ্জ বাজাএই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আবুল কাশেম দুলু সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এডভোকেট দীপংঙ্কর বনিক সুজিতের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক মনাজ্জির হোসেন। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সুহেল মিয়া, শাহজাহান মিয়া, এডভোকেট আব্দুল আহাদ জুয়েল, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মুজাব্বির হোসেন অপু, ইমরান হোসেন শ্যামল, বিপ্লব খান, মো:শামিম আহমদ, সেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক সাদিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতাউর চৌধুরী শাহীন প্রমুখ।  এ ছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার আলম, লিয়াকত আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতহাব চৌধুরী হাসান, শাখাওয়াত হোসেন পলাশ, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক  ইমন আহমেদ, ফয়সাল আহমেদ, মিছবাহ হোসেন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মহিম উদ্দিন, জেলা যুবদলের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মঈনুদ্দিন আহমেদ রিপন,সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আব্দুল কাইয়ুম সৌরভ,  বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম, ময়না মিয়া,স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রুজেল আহমেদ, আবুল হাসনাত, জেলা ছাত্রদল নেতা ইয়াহিয়া হাসান প্রমুখ। এ সময় সদর উপজেলা ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।  বক্তারা বলেন,বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের দুঃসময়ে যারা রাজপথে নির্যাতিত ও নিপিিতড় হয়েছেন, তাদের যথাযথ মূল্যায়নের ভিত্তিতেই ভবিষ্যতের ইউনিয়ন কমিটি গঠন করতে হবে। আওয়ামী লীগ ঘেঁষা বা ফ্যাসিস্টদের সাথে সম্পৃক্ত কোনো ব্যক্তিকে কমিটিতে রাখা যাবে না বলেও তারা দাবি জানান। দুর্দিনে যারা আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন তাদেরকে কমিটিতে মুল্যায়ন করা হবে। তারা বলেন,সুনামগঞ্জে জাতীয়তাবাদি শক্তির প্রাণপূরুষ এবং বিগত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে জেল জুলুম,হুলিয়া মাথায় নিয়ে এই সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা কেবল জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বর্তূমান জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৪(সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুলের নেতৃত্বে আমরা রাজপথে ছিলাম এবং আগামী নির্বাচনে এই আসনে জনপ্রিয় ধানের শীষের প্রার্থী একমাত্র নুরুল ইসলাম নুরুলকে বিএনপির প্রার্থী করতে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া,ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিকট তৃণমূলের নেতৃবৃন্দরা জোর দাবী জানান।

টাঙ্গাইল শহরের গৌরঘোষ দধি ভাণ্ডারে ভ্রাম্যমান আদালতের জরিমানা

(২২ অক্টোবর) সকালে টাঙ্গাইল পৌর এলাকার পার্ক বাজার সংলগ্ন গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানটি পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল। তিনি তার বিশেষ মনিটরিং টিম নিয়ে দোকানে থাকা দইয়ের উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ না থাকা, বেশ কিছু পরিমাণ পচে যাওয়া দই দোকানে সংরক্ষণ করা এবং মিষ্টান্ন তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল পাওয়ার দায়ে টাঙ্গাইলের গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে, আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবেন। অভিযানে পৌর স্যানেটারি ইন্সপেক্টর ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ প্রসঙ্গে গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী স্বপ্নন কুমার ঘোষ জানান, সাধারণত তিনি খুচরা ভাবে দধি বিক্রি করে থাকেন। ফলে তৈরিকৃত দধিতে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ দেওয়া সম্ভব হয় না। তবে এখন থেকে দেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, উদ্ধারকৃত পচে যাওয়া দধিগুলো ফেলে দেওয়ার জন্য রাখা হয়েছিল। এছাড়া যে মিষ্টি তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল হাওয়া গেছে, সেটি বর্তমানে মিষ্টি তৈরীর কাজে ব্যাবহার করা হচ্ছে না। আমরা সবসময় চেষ্টাকরি গ্রাহককে সর্বোচ্চ মানের দধি ও মিষ্টান্ন সরবরাহ করার।

মিস এন্ড মিসেস এলিগেন্স বাংলাদেশ সিজন ওয়ান”–এ প্রথম রানার্সআপ আদ্রিজা আফরিন সিনথিয়া

“মিস এন্ড মিসেস এলিগেন্স বাংলাদেশ সিজন ওয়ান”–এ প্রথম রানার্সআপ আদ্রিজা আফরিন সিনথিয়া দেশের আয়োজিত বর্ণাঢ্য প্রতিযোগিতা “মিস এন্ড মিসেস এলিগেন্স বাংলাদেশ সিজন ওয়ান”-এ প্রথম রানার্সআপের মুকুট জয় করলেন তরুণ ফ্যাশন মডেল আদ্রিজা আফরিন সিনথিয়া। ফ্যাশন জগতে ইতিমধ্যেই তিনি নিজেকে প্রমাণ করেছেন বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে কাজ করে। শুধু মডেলিং নয়, সিনথিয়া অভিনয়ের ক্ষেত্রেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন বুকে লালন করছেন। ইতোমধ্যে তিনি সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত সাদেক সিদ্দিকীর পরিচালনায় “দেনা পাওনা” সিনেমায় অভিনয় করছেন। রানার্সআপের মুকুট মাথায় পরার পর আবেগে আপ্লুত সিনথিয়া জানান—ঢালিউড কুইন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস আমাকে মুকুট পড়িয়ে দিয়েছেন এই আনন্দ আমি বুঝাতে পারবো না। “এই সাফল্য আমার জন্য অনেক বড় অর্জন। তবে আমি শুধু এখানেই থেমে থাকতে চাই না। আমি চাই নিজেকে মিডিয়া অঙ্গনে আরও দূর, বহুদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে। দেশবাসীর কাছে আমি দোয়া চাই।” আজকের এই অর্জন আমি আবার মা বাবা পরিবার এবং আমাকে যারা সাপোর্ট করেছেন তাদেরকে উৎসর্গ করতে চাই। বহু বাধা ও প্রতিকূলতা পেরিয়ে আজকের এই অবস্থানে পৌঁছেছেন সিনথিয়া। তাঁর অদম্য চেষ্টা, আত্মবিশ্বাস আর স্বপ্নই তাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ফ্যাশন থেকে চলচ্চিত্র—সব জায়গাতেই আলো ছড়ানোর ইচ্ছে তার। বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে সিনথিয়া এখন এক অনুপ্রেরণার নাম। তাঁর কথায়— “এই মুকুট আমার স্বপ্নযাত্রার প্রথম ধাপ মাত্র। সামনে আরও অনেক পথ, আরও অনেক লড়াই।”

সারা দেশ

আরও পড়ুন
টাঙ্গাইল পৌর শহরের ব্যস্ততম বটতলা–বেবিস্ট্যান্ড সড়কে অবশেষে পূর্ণাঙ্গ কারপেটিং কাজ শুরু হয়েছে।

টাঙ্গাইল পৌর শহরের ব্যস্ততম বটতলা–বেবিস্ট্যান্ড সড়কে অবশেষে পূর্ণাঙ্গ কারপেটিং কাজ শুরু হয়েছে। বহুদিন ধরে খোঁড়াখুঁড়ি, গর্ত আর বারবারের অস্থায়ী মেরামতের কারণে এই সড়ককে শহরের ‘সবচেয়ে ভোগান্তিপূর্ণ’ রুটগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হতো। এবার স্থায়ীভাবে কারপেটিং করার উদ্যোগ নেওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে স্বস্তি দেখা দিয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, এই সড়কে সর্বশেষ বড় ধরনের উন্নয়ন কাজ হয়েছিল ২০২০ সালে। এরপর থেকে বিভিন্ন সময়ে সড়কের অংশবিশেষ ভেঙে গেলে সাময়িকভাবে প্যাচওয়ার্ক, ইট-ঢালাই অথবা সরু অংশ কার্পেট বসিয়ে মেরামত করা হতো। কিন্তু এসব কাজ ছিল তড়িঘড়ি করা ও অস্থায়ী। কয়েক মাসের মধ্যে আবার একই জায়গায় গর্ত তৈরি হয়ে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হতো। বর্ষা মৌসুমে পানি জমে সড়কটি আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠত। এ অবস্থায় পৌরসভা এবার সম্পূর্ণ সড়কজুড়ে মানসম্মত বিটুমিন দিয়ে কারপেটিংয়ের কাজ শুরু করেছে। কাজ শুরুর পর থেকেই ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী এবং সাধারণ পথচারীরা আশা করছেন—দীর্ঘদিনের ঝামেলা অবশেষে কাটবে। পার্ক বাজার এলাকার ব্যবসায়ী শাহরিয়ার ইসলাম সাদ বলেন, “প্রতি বছরই সামান্য মেরামত করত, কিন্তু দুই-তিন মাস যেত না আবার একই অবস্থা। এবার পুরো রাস্তা কারপেটিং করলে সমস্যা কমবে আশা করি এবং আমরা যারা ব্যবসায়ী আছি তাদের পণ্য পরিবহনে সুবিধা হবে"। পৌরসভার সংশ্লিষ্ট প্রকৌশল বিভাগ জানিয়েছে, আগের মেরামতগুলো ছিল জরুরি ও স্বল্পমেয়াদি ব্যবস্থা। এবার পরিকল্পিতভাবে পুরো সড়কের ভিত্তি পরীক্ষা করে টেকসই কারপেটিং করা হচ্ছে। পাশাপাশি ড্রেনেজ ব্যবস্থার কিছু জায়গা পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় সংশোধনও করা হবে বলে জানানো হয়। সড়কটির কাজ দ্রুত শেষ হলে বটতলা থেকে বেবিস্ট্যান্ড পর্যন্ত যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হবে এবং শহরের সেই অংশে দীর্ঘমেয়াদে আর মেরামতের প্রয়োজন হবে না বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

নভেম্বর ২২, ২০২৫ 0

টাঙ্গাইল পৌর এলাকার প্রায় সর্বত্রই ময়লার ভাগারে পরিণত

রাজধানীসহ সারাদেশে শক্তিশালী ভূমিকম্প, ভবনে ফাটল, নিহত ৩

টাঙ্গাইল সদর থানার এএসআই মো: বিপুল হাসান জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার নির্বাচিত

মধুপুরে দরিদ্রদের মাঝে শুকনা খাদ্যসামগ্রী বিতরণ

টাঙ্গাইলের মধুপুরে অসহায় হত দরিদ্র পরিবারের মাঝে তেল,চিনি,চাল, ডাল, লবণ ও মসলা মোট ১৫ কেজি করে জনপ্রতি বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার(২০নভেম্বর) সকালে মধুপুর উপজেলা পরিষদ কার্যালয় থেকে এ খাবার বিতরণ করা হয়। বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন-মধুপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মির্জা জুবায়ের হোসেন ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার রাজীব আল-রানা। এসময় মধুপুর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কর্মকর্তা ইমরান হোসেন, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা সুমি, হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান ও আইসিটি কর্মকর্তা আবরারুল হক শিমুলসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। মধুপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার রাজীব আল-রানা জানান, দুর্যোগকালীন ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলার দুস্থ ২শ৬২ জন মানুষের মাঝে এ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

নভেম্বর ২১, ২০২৫ 0

ধনবাড়ীতে অপরাধ নির্মূলে প্রশাসনের বিশেষ তৎপরতা

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির মাভাবিপ্রবি শাখার উদ্যোগে “নবীন উৎসব ও ক্যারিয়ার গাইডলাইন” শীর্ষক বিশেষ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

টাঙ্গাইলে কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সদস্য মোহাম্মদ আলীর ব"হি"ষ্কা"রে"র দাবিতে বি"ক্ষো"ভ মিছিল

টাঙ্গাইল সদরে প্রান্তিক কৃষাণীদের মাঝে সবজির বীজ বিতরণ

টাঙ্গাইল সদরে প্রান্তিক কৃষাণীদের মাঝে সবজির বীজ বিতরণ টাঙ্গাইল সদর উপজেলার প্রান্তিক কৃষাণীদের উৎপাদন বৃদ্ধি ও আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করতে শীতকালীন সবজির উন্নতমানের বীজ বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে সদর উপজেলার নগরজলফৈ এলাকায় ব্রাকের আঞ্চলিক কার্যালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব বীজ বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাকের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী [নাম], উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা [নাম], স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধি এবং নারী উন্নয়ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, সরকার ও উন্নয়ন সংস্থার যৌথ উদ্যোগে প্রান্তিক কৃষাণীদের সহযোগিতা বৃদ্ধি পেলে গ্রামীণ অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হবে। তিনি আরও বলেন, “নারী কৃষকেরা দেশের খাদ্য নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। তাদের হাতে উন্নত জাতের বীজ পৌঁছে দিলে উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে, পাশাপাশি পারিবারিক পুষ্টি ও আয়ের পথও উন্মুক্ত হবে।” ব্রাক কর্মকর্তারা জানান, কৃষাণীরা যেন ঘরে বসেই শাকসবজি উৎপাদন করে নিজেদের চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি উদ্বৃত্ত সবজি বাজারে বিক্রি করতে পারেন—এ লক্ষ্যেই এই বীজ বিতরণ করা হচ্ছে। বীজের পাশাপাশি কৃষাণীদের মাঠ পর্যায়ে প্রযুক্তিগত সহায়তা ও পরামর্শ দেওয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে বলে তারা জানান। অনুষ্ঠান শেষে প্রায় প্রান্তিক কৃষাণীর হাতে লাউ, মিষ্টিকুমড়া, শশা, করলা, লালশাক, পালংশাকসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজির উচ্চফলনশীল জাতের বীজ প্যাকেট তুলে দেওয়া হয়। বীজ পেয়ে কৃষাণীরা সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, বর্তমান সময়ে উৎপাদন ব্যয় বাড়ায় তারা নানা সমস্যার মুখে পড়েছেন। এ ধরনের সহায়তা তাদের উৎপাদন বাড়াতে অনুপ্রাণিত করবে এবং সংসারের আর্থিক সঙ্কট কিছুটা লাঘব করবে। অনুষ্ঠানটি স্থানীয় কৃষাণীদের মাঝে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি করে এবং নারী কৃষকদের স্বনির্ভরতার পথে আরও একধাপ এগিয়ে নিল বলে আয়োজকরা মন্তব্য করেন।

নভেম্বর ২১, ২০২৫ 0

কালিহাতীতে সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতার নামে মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

টাঙ্গাইলে তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে দোয়া মাহফিল

টাঙ্গাইল-২ এ শাকিল উজ্জামানের গণসংযোগ

0 মন্তব্য