রাজধানীর পল্লবী থানার মিল্লাত ক্যাম্প মানেই মাদকের ওপেন আস্তানা। ওই এলাকার সামাজিক চালচিত্র এখন অনেকটা পাল্টে গেছে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ইস্যুতে বড় চ্যালেঞ্জে রয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এলাকায় খুন, ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি, অপহরণ বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে মাদক-বাণিজ্য। হাত বাড়ালেই মিলছে সব ধরনের মাদক। দেশের বিভিন্ন সীমান্ত পাড়ি দিয়ে জেলা হয়ে রাজধানীতে ঢুকছে মাদকের বড় বড় চালান। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হিমশিম খাচ্ছে মাদকের আগ্রাসন রুখতে। কিছু অসাধু রাজনৈতিক নেতা ও প্রশাসনের সদস্যদের ম্যানেজ করে মাদক কারবারিরা মাদক মারণনেশা পৌঁছে দিচ্ছে রাজধানীর সর্বত্র।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ঢাকায় বস্তিকেন্দ্রিক মাদক স্পট ও বিক্রেতার সংখ্যা বেশি। মিরপুর-১১ মিল্লাত ক্যাম্প বিহারি বস্তি এলাকা হচ্ছে রাজধানীর মাদকের আস্তানা। সাম্প্রতিক সময়ে এসব এলাকা থেকে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথবাহিনীর অভিযানে শতাধিক মাদক বিক্রেতা গ্রেপ্তার হয়েছে, তবু থেমে নেই মাদকের রমরমা বিকিকিনি।
সরেজমিনে মিরপুর-১১ মিল্লাত ক্যাম্পের বিহারী বস্তির কয়েকটি মাদক স্পটে গিয়ে জানা যায়, যারা নিয়মিত মাদকসেবী তারা ফোন করলেই মাদক দিয়ে যায়। এ মাদক বিক্রির কৌশল হিসেবে ফোনে ব্যবহার হয় সাংকেতিক ভাষা। এসব স্পটগুলোয় শুধু এলাকার আশপাশের লোকজনই কাস্টমার নয়, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মাদকাসক্ত ক্রেতারা এসে মাদক ক্রয় করতে দেখা গেছে। মাদকদ্রব্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাহিদা গাঁজা, ইয়াবা, হিরোইনের। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তথ্যে জানা গেছে, গত ৮ বছরে দেশে অন্তত ৩০ লাখ মাদকসেবী বেড়েছে। সব মিলিয়ে বর্তমানে দেশে মাদকসেবীর সংখ্যা প্রায় ১ কোটির বেশি। মাদকসেবীদের বেশিরভাগ তরুণ-তরুণী।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও কোস্টগার্ডের তথ্যমতে, ঢাকায় সংঘটিত অধিকাংশ অপরাধের পেছনে রয়েছে মাদক। মাদক সরবরাহে বাহক হিসেবে এখন নারীদের ব্যবহার করা হচ্ছে। স্কুল পড়ুয়া কিশোরী থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া অনেক তরুণী মাদকের বাহক হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছেন।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, অপরাধ বিশেষজ্ঞ, মাদক বিক্রেতা, পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাংলাদেশে প্রতিবেশী মিয়ানমার থেকে ইয়াবা এবং ভারত থেকে আসে ফেনসিডিল। আর দেশে এখন ইয়াবার ব্যাপক বিস্তার। গণঅভ্যুত্থানকালে পুলিশের ভূমিকার কারণে দেশব্যাপী থানাগুলো জনতার রোষানলের শিকার হয়। এরপর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর কার্যক্রমে কিছুটা ভাটা পড়ে। এ পরিস্থিতিতে মাদক কারবার অনেকটাই নির্বিঘ্ন হয়ে পড়েছে।
গতকাল বিকেলে রাজধানীর মিল্লাত ক্যাম্প এলাকার এক মাদক কারবারী পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে জানান, মিল্লাত ক্যাম্প এলাকায় গাজা এবং হিরোইনের অনেক চাহিদা। নিয়মিত কাস্টমাররা ফোন করলেই জায়গা মতো পৌঁছে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, প্রতিটি এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে একেকজন ডিলার। একজন ডিলারদের অধীনে থাকে ১৫ থেকে ২০ জন করে বিক্রেতা। এ বিক্রেতারাই ক্রেতার কাছে পৌঁছে দেওয়ার কাজটি করে।
সরেজমিনে মিল্লাত ক্যাম্প এলাকায় দেখা গেছে, সেখানে অনেকটা প্রকাশ্যেই রাস্তায় দাঁড়িয়ে বিক্রি হচ্ছে গাঁজা, ইয়াবা; এমনকি হেরোইন পর্যন্ত। মাদক বিক্রির জন্য ক্রেতার অপেক্ষা করছেন মাদক কারবারিরা। আর ক্রেতারাও প্রকাশ্যে তাদের কাছে কিনছেন মাদক। বেশিরভাগ ক্রেতাই সিএনজি এবং রিক্সা চালক, বাসের হেলাপারসহ নিম্নআয়ের মানুষ। পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় চা-দোকানদার বলেন, এই তো সামনেই থানা, তাদের সামনেই প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি করছে। ক্যাম্পের অনেকে মাদক ব্যবসা করেন। এটা প্রশাসনের জন্য অজানা কাহিনী নয়।
সূত্র আরো জানায়, পল্লবী থানার প্রায়ই অপরাধপ্রবণ এলাকা হিসেবে আগে থেকেই পরিচিত। উর্দুভাষী অনেকেই মাদক কারবারি। মিল্লাত ক্যাম্পের মাদক কারবারি গ্রুপগুলো হলো ভয়াবহ সিন্ডিকেট খুব শক্তিশালী। অভিযোগ রয়েছে, রাজনৈতিক প্রভাবশালী নেতাদের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একশ্রেণির অসাধু সদস্য মাদক পাচার ও কারবারের সঙ্গে সম্পৃক্ত। সমাজের প্রভাবশালী এবং শীর্ষ সন্ত্রাসীরা তাদের মাদক সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করে। তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে পারে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাহলে আইনের শাসন এবং মানবাধিকার অবশিষ্ট আছে কি না? এ নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেন।
প্রতিবেদকের বক্তব্যঃ ’অপরাধ বিশেষজ্ঞ ড. তৌহিদুল হক বলেন, ‘জুলাই-আগস্টে যে বিপ্লব হয়েছে, সেই বিপ্লবে বিপরীত ভূমিকার কারণে পুলিশের মনোবল ভেঙেছে এবং তাদের নৈতিক অবস্থার অবনতি ঘটেছে। অপরাধ ঘটলে পুলিশের যত দ্রুত রেসপন্স করার কথা, সেরকমটা তারা করছেন না। পুলিশের এ পরিস্থিতির সুযোগটা অপরাধীরা কাজে লাগাচ্ছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে যৌথবাহিনীর অভিযান পরিচালনা করতে হবে। এছাড়া স্থানীয় লোকজন নিয়ে সামাজিকভাবে অপরাধীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদল সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লা পাড়া ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে সদর উপজেলার স্থানীয় বেতগঞ্জ বাজাএই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আবুল কাশেম দুলু সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এডভোকেট দীপংঙ্কর বনিক সুজিতের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক মনাজ্জির হোসেন। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সুহেল মিয়া, শাহজাহান মিয়া, এডভোকেট আব্দুল আহাদ জুয়েল, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মুজাব্বির হোসেন অপু, ইমরান হোসেন শ্যামল, বিপ্লব খান, মো:শামিম আহমদ, সেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক সাদিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতাউর চৌধুরী শাহীন প্রমুখ। এ ছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার আলম, লিয়াকত আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতহাব চৌধুরী হাসান, শাখাওয়াত হোসেন পলাশ, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইমন আহমেদ, ফয়সাল আহমেদ, মিছবাহ হোসেন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মহিম উদ্দিন, জেলা যুবদলের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মঈনুদ্দিন আহমেদ রিপন,সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আব্দুল কাইয়ুম সৌরভ, বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম, ময়না মিয়া,স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রুজেল আহমেদ, আবুল হাসনাত, জেলা ছাত্রদল নেতা ইয়াহিয়া হাসান প্রমুখ। এ সময় সদর উপজেলা ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন,বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের দুঃসময়ে যারা রাজপথে নির্যাতিত ও নিপিিতড় হয়েছেন, তাদের যথাযথ মূল্যায়নের ভিত্তিতেই ভবিষ্যতের ইউনিয়ন কমিটি গঠন করতে হবে। আওয়ামী লীগ ঘেঁষা বা ফ্যাসিস্টদের সাথে সম্পৃক্ত কোনো ব্যক্তিকে কমিটিতে রাখা যাবে না বলেও তারা দাবি জানান। দুর্দিনে যারা আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন তাদেরকে কমিটিতে মুল্যায়ন করা হবে। তারা বলেন,সুনামগঞ্জে জাতীয়তাবাদি শক্তির প্রাণপূরুষ এবং বিগত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে জেল জুলুম,হুলিয়া মাথায় নিয়ে এই সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা কেবল জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বর্তূমান জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৪(সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুলের নেতৃত্বে আমরা রাজপথে ছিলাম এবং আগামী নির্বাচনে এই আসনে জনপ্রিয় ধানের শীষের প্রার্থী একমাত্র নুরুল ইসলাম নুরুলকে বিএনপির প্রার্থী করতে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া,ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিকট তৃণমূলের নেতৃবৃন্দরা জোর দাবী জানান।
সুনামগঞ্জে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর কোন সুযোগ নেই। অবাধ,সুষ্ঠ সুন্দর ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে সরকারের পাশাপাশি সকল বাহিনী ইতিমধ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছে। আজ শুক্রবার দুপুরে সুনামগঞ্জের সীমান্তবর্তী তাহিরপুর উপজেলার লাউরেরঘর এলাকায় শ্রী শ্রী অদ্বৈত মহাপ্রভুর মন্দির কমপ্লেক্স ভবণ নির্মাণ কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে এসব কথা বলেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে সরকার নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে এবং নির্বাচন কমিশন সেই অনুযায়ী কাজ করবে। সেই সাথে ইতিমধ্যে পুলিশের ট্রেনিং, সেনাবাহিনীর কতজন লোক থাকবে সেই কাজও শুরু হয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা নির্ধারিত তারিখে এই সরকার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও উৎস উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে জাতীয় নির্বাচন সম্পূর্ণ করতে পারবে সেই প্রস্তুুতি সরকারের আছে। এবং নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে আমরা আমাদের পুরোনো ঠিকানায় চলে যাবো। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক ডাঃ মোহাম্মদ ইলিয়াছ মিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসেন, তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান মানিক ,শ্রী শ্রী অদ্বৈত ধাম পরিচালনা কমিটির সাধারন সম্পাদক অদ্বৈত রায় ও সুরঞ্জিত চৌধুরী টপ্পা প্রমুখ।
“মিস এন্ড মিসেস এলিগেন্স বাংলাদেশ সিজন ওয়ান”–এ প্রথম রানার্সআপ আদ্রিজা আফরিন সিনথিয়া দেশের আয়োজিত বর্ণাঢ্য প্রতিযোগিতা “মিস এন্ড মিসেস এলিগেন্স বাংলাদেশ সিজন ওয়ান”-এ প্রথম রানার্সআপের মুকুট জয় করলেন তরুণ ফ্যাশন মডেল আদ্রিজা আফরিন সিনথিয়া। ফ্যাশন জগতে ইতিমধ্যেই তিনি নিজেকে প্রমাণ করেছেন বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে কাজ করে। শুধু মডেলিং নয়, সিনথিয়া অভিনয়ের ক্ষেত্রেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন বুকে লালন করছেন। ইতোমধ্যে তিনি সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত সাদেক সিদ্দিকীর পরিচালনায় “দেনা পাওনা” সিনেমায় অভিনয় করছেন। রানার্সআপের মুকুট মাথায় পরার পর আবেগে আপ্লুত সিনথিয়া জানান—ঢালিউড কুইন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস আমাকে মুকুট পড়িয়ে দিয়েছেন এই আনন্দ আমি বুঝাতে পারবো না। “এই সাফল্য আমার জন্য অনেক বড় অর্জন। তবে আমি শুধু এখানেই থেমে থাকতে চাই না। আমি চাই নিজেকে মিডিয়া অঙ্গনে আরও দূর, বহুদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে। দেশবাসীর কাছে আমি দোয়া চাই।” আজকের এই অর্জন আমি আবার মা বাবা পরিবার এবং আমাকে যারা সাপোর্ট করেছেন তাদেরকে উৎসর্গ করতে চাই। বহু বাধা ও প্রতিকূলতা পেরিয়ে আজকের এই অবস্থানে পৌঁছেছেন সিনথিয়া। তাঁর অদম্য চেষ্টা, আত্মবিশ্বাস আর স্বপ্নই তাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ফ্যাশন থেকে চলচ্চিত্র—সব জায়গাতেই আলো ছড়ানোর ইচ্ছে তার। বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে সিনথিয়া এখন এক অনুপ্রেরণার নাম। তাঁর কথায়— “এই মুকুট আমার স্বপ্নযাত্রার প্রথম ধাপ মাত্র। সামনে আরও অনেক পথ, আরও অনেক লড়াই।”
স্বামীর অতিরিক্ত লোভের কারনে আত্মহত্যার পথ বেচে নিল চট্টগ্রামের মেয়ে আবিদা তাসমিন ঘটনাটি ঘটে জিইসির মোর প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে ইসমাইল টাওয়ারের (২য়) তলায় তথ্য সুত্রে জানাযায় গত ১৬/০৯/২০১৯ সালে সাইফুদ্দিন মাহমুদ মারুফ (৩৮) এর সাথে আবিদা তাসমিন (৩২) এর সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের পরবর্তী কিছু বছর তাদের দাম্পত্য জীবন স্বভাবিক ছিল। কিন্তু ইসমাইল টাওয়ারের ফ্ল্যাট টি ছিল আবিদা তাসমিন (৩২) এর নামে। উক্ত ফ্ল্যাটটি তাহার স্বামির নামে লিখে দেওয়ার জন্য তাসমিনকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে চাপ প্রয়োগ করে। কিন্তু তাসমিন উক্ত ফ্লাটটি স্বামীর নামে লিখে না দেওয়ায় গত ২ বছর যাবৎ তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি ও পারিবারিক কলহে লিপ্ত হইয়া তাসমিনকে মারধর ও মানসিক অত্যাচার করতে লাগলো। তার স্বমীর এসব কর্মকান্ডে তাসমিন মানসিক ভাবে প্রচন্ড বিপর্যস্ত এবং নিরাপত্তাহীনতায় দিনযাপন করিছিল। এই বিষয়ে বিভিন্ন সময় তাসমিনকে হুমকি ও দিত। ০২/১০/২০২৫ ইং তারিখআনুমানিক ০৭:০০ ঘটিকার সময় আবিদা তাসমিন (৩২) তাহার স্বামী সাইফুদ্দিন মাহমুদ মারুফ এর সঙ্গে প্রতিবেশীর ফ্ল্যাটে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়। কিছুক্ষণ পর অর্থাৎ ০২/১০/২০২৫ ইং তারিখ অনুমানিক সন্ধ্যা ০৭:৩০ হতে অনুমান ০৭:৪০ মিনিটের মধ্যে হঠাৎ বিল্ডিং এর নীচ থেকে লোকজনের চিৎকারের আওয়াজ শুনতে পাই। শোরগোলের আওয়াজ শুনে প্রতিবেশীরা বিল্ডিং এর নীচে গিয়ে দেখতে পাই আবিদা তাসমিন (৩২) রক্তাক্ত অবস্থায় বিল্ডিং এর মূল গেইটের সামনে রাস্তায় পরে আছে। তথ্য সুত্রে জনা যায় তাসমিন ৯ তলা ভবনের ছাদের উপর থেকে আত্মহত্যার জন্য লাফ দিয়ে নীচে পড়ে যায়। তৎক্ষণাৎ তাহার স্বামী সাইফুদ্দিন মাহমুদ মারুফ ও স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তাসমিনকে প্রথমে চট্টগ্রাম চকবাজার থানাধীন মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ও পরবর্তীতে পার্কভিও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পার্কভিও হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার তাসনিমের অবস্থা আশংকা জনক দেখে দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। ০২/১০/২০২৫ ইং তারিখ আনুমানিক ০৯:০০ ঘটিকার সময় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার আবিদা তাসমিন (৩২) কে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ০২/১০/২০২৫ ইং তারিখ ১০ ঘটিকার সময় মৃত ঘোষনা করেন। ডাক্তার আবিদা তাসমিন (৩২) এর মৃত্যুর কারণ Brought in Dead/Fall from height বলে উল্লেখ করেন। উক্ত ঘটনা নিয়েঐ এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করলে চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নির্দেশে চকবাজার থানার একটি চৌকশ টিমের সহায়তায় ঘাতক স্বামী মারুফকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। তাই এলাকার জনগণের একটাই দাবি আর কত মেয়ে স্বামীর লোভের কারণে তার পথ বেছে নেবে তাই দ্রুত এই লোভী নরঘাতক পাষন্ড স্বামীকে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করার প্রশাসনের কাছে করার জন্য অনুরোধ জানান।
রাজশাহীর পবা উপজেলার বড়গাছি কুঠিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে সরকারি অনুদানের অর্থ নিয়ে চাঁদাবাজির জেরে হামলা ও ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে। এতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। বিদ্যালয়ের এড হক কমিটির সভাপতি খালেদ হোসেন সোহন জানান, বিদ্যালয় উন্নয়নের জন্য সম্প্রতি সরকার থেকে একটি বিশেষ বরাদ্দ আসে। ওই বরাদ্দের টাকায় স্থানীয় কিছু চিহ্নিত দুষ্কৃতিকারী চাঁদা দাবি কর।। কিন্তু কমিটি তাদের দাবিতে সাড়া না দিলে ক্ষুব্ধ হয়ে যায় ওই দুষ্কৃতিকারীরা। এর জের ধরে গত বুধবার ( ৮ অক্টোবর) ১১ টায় বিদ্যালয় চলাকালীন অবস্থায় একদল দুর্বৃত্ত মব তৈরি করে বিদ্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এ সময় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা আতঙ্কে দৌড়াদৌড়ি শুরু করেন। স্কুলের জানালা-দরজা ও আসবাবপত্র ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। তারা আরও জানান, বিদ্যালয়ে হামলা দেখে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে দুষ্কৃতিকারীরা পালিয়ে যায়। ঘটনার পর এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হয় উত্তেজনা ও থমথমে পরিবেশ। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুনন্দ কুমার পাল বলেন, বিদ্যালয়ের কাজ হচ্ছে এটা নিয়ে ঝামেলা হয় এবং বিদ্যালয়ে হামলা চালায়। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে আপাতত স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে। এদিকে, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হামলার ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। পবা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জানান, এ বিষয়ে আমার জানা নেই। লিখিত অভিযোগ পেলে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা দ্রুত বিদ্যালয় পুনরায় চালু করার দাবি জানিয়েছেন এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছেন।
ময়মনসিংহ জেলার সীমান্তবর্তী ধোবাউড়া থানার পুলিশের অভিযানে ১৩০ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট সহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। আজ ০৪ অক্টোবর শনিবার রাত ০০.২৫ ঘটিকার সময় থানাধীন ঘোষগাঁও ইউনিয়নের পান্ডাপাড়া সাকিনস্থ ঈদগাহ মাঠের উত্তর পাশে ধোবাউড়া থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ১৩০ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট সহ এরশাদুল হক (৪৪) নামের ০১ জন মাদক ব্যবসায়ী আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃত মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ধোবাউড়া থানার মামলা নং-০২, তাং-০৪/১০/২০২৫, ধারা- ৩৬(১) সারণির ১০(ক) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮; রুজু করা হয়েছে
ময়মনসিংহ সিপিএসসি, র্যাব-১৪, কর্তৃক ৩০ কেজি অবৈধ মাদক দ্রব্য গাঁজা সহ ০১জন মাদক কারবরিকে গ্রেফতার করা হয়। ময়মনসিংহ সিপিএসসি, র্যাব-১৪, ময়মনসিংহ কোম্পানির আভিযানিক দল আজ ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রি. ভোর অনুমান ০৫:৩০ ঘটিকার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মময়মনসিংহ জেলার ভালুকা মডেল থানাধীন ভালুকা পৌরসভার ০৩ নং ওয়ার্ড এর কলেজ উত্তর রোডস্থ খালি জায়গায় দাড়িয়ে থাকা একটি সাদা রঙের নোয়া গাড়ি দেখতে পেয়ে চালকের আসনে বসা ব্যক্তিকে গাড়িতে কি আছে জিজ্ঞাসা করলে ইতস্থত বোধ করে। তার কথাবার্তা সন্দেহ জনক মনে হলে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে নেশাজাতীয় অবৈধ মাদক দ্রব্য গাঁজা থাকার কথা স্বীকার করে। উপস্থিত সাক্ষীদের উপস্থিতিতে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ৩০ কেজি গাঁজা, বহনে ব্যবহৃত ০১টি NOAH গাড়ী জব্দ করা হয়। উদ্ধারকৃত অবৈধ মাদক দ্রব্য গাঁজা এর বাজার মূল্যে আনুমানিক ৬,০০০০০/-টাকা। ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা মডেল থানায় আইনানুগ ব্যবস্হা গ্রহণের লক্ষ্যে আসামি ও উদ্ধারকৃত আলামত সহ হস্তান্তর করা হয়েছে