ধামইরহাটে সাঁওতাল বিদ্রোহের ১৭০তম বর্ষপূর্তি উদযাপন

নওগাঁর ধামইরহাটে সাঁওতাল সম্প্রদায় নেচে-গেয়ে, তীর-ধনুক ও ঢাক-ঢোল বাজিয়ে পূজা-অর্চনার মাধ্যমে সাঁওতাল বিদ্রোহের (হুল) ১৭০তম বার্ষিকী পালন করেছে।
সোমবার (৩০ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় বেনিদুয়ার আশ্রয়ন প্রকল্প এলাকায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন জাতিস্বত্বা মুক্তিসংগ্রাম পরিষদের সভাপতি ও সান্তাল বাইসির চেয়ারপার্সন এসসি আলবার্ট সরেন। সভাপতিত্ব করেন হুল দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক মেরি মুরমু।
সকাল থেকেই নারী-পুরুষেরা ঐতিহ্যবাহী পোশাকে সজ্জিত হয়ে ঢাক-ঢোল বাজিয়ে আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশ নেন। পরে আদিবাসী নারী মঞ্চের আয়োজনে ও ডাসকো ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় তীরনিক্ষেপ প্রতিযোগিতা ও পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। শেষে জগদল আদিবাসী স্কুল ও কলেজ প্রাঙ্গণে এক আলোচনা সভা হয়।
বাংলাদেশ রিলেটেড নিউজ
সভায় বক্তারা বলেন, ১৮৫৫ সালের সাঁওতাল বিদ্রোহ ছিল ইংরেজ ও জমিদারি শাসনের বিরুদ্ধে আদিবাসীদের ঐতিহাসিক প্রতিবাদ। নেতৃত্ব দেন সিধু, কানু, চাঁদ ও ভৈরব মুরমু। তাঁদের বীরত্ব আজও স্মরণীয়।
প্রধান অতিথি ডা. ফয়জুল হাকিম বলেন, “বাংলাদেশে আদিবাসীদের অধিকার হরণ করা হয়েছে। তাঁদের ‘ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী’ নয়, ‘আদিবাসী’ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে এবং শিল্প-সংস্কৃতি পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ধামইরহাট ইউপি চেয়ারম্যান এটিএম বদিউল আলম, এ্যাডভোকেট প্রমিলা টুডু, হেক্স ইপারের রুকুনুল ইসলাম, ডাসকোর মদন দাস, শিক্ষক সুদর্শন মালো, অধ্যক্ষ ইলিয়াস আলমসহ অনেকেই।
সন্ধ্যায় নজিপুর কুকমু মিউজিক ব্যান্ড ও স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে হুল দিবসের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
মু্ক্তধ্বনি অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন