সারা দেশ

সুনামগঞ্জে ভারতীয় গরু নিলাম কার্যক্রম স্থগিত জিম্মাদার নাটক মঞ্চস্থ করতে গিয়ে ফেঁসে যাচ্ছেন এডিএম রেজাউল করিম

reporter-icon
কুলেন্দু শেখর দাস: সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
আগস্ট ২৭, ২০২৫ | 0

আটক করার দীর্ঘ ৪ মাসের ব্যবধানে নিলাম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে আগ্রহী প্রায় ৭০ জন দরদাতাদের কাছ থেকে জামানত হিসেবে ১০ লাখ টাকার পে-অর্ডার গ্রহন করার পরও জব্দকৃত বিভিন্ন আকৃতি ও রঙ্গের ভারতীয় ৯০টি ডেকা ষাড় গরুর নিলাম সংক্রান্ত কার্যক্রম স্থগিত করেছেন সনামগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। 

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টার পর চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালতের এজলাস কক্ষে সুনামগঞ্জ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের নিলাম সংক্রান্ত কমিটির আহবায়ক ও বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাং হেলাল উদ্দিন,জনাকীর্ণ আদালতে এই নিলাম কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেন।

 বিজ্ঞ আদালতের দুইজন বিচারক একত্রে এজলাসে বসে ঘোষণা করেছেন, সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার মামলা নং ০২ (জিআর ১২৬/২০২৫) তাং ৪/৫/২০২৫ইং এর মাধ্যমে জিম্মাদারদের কাছে যে ৯০টি গরু জিম্মায় দেয়া হয়েছিল তারা আজকে আদালতে এতদিন গরুগুলোর ভরন পোষন বাবত ১৯ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে বলে আদালতের কাছে দাবী করেছেন। অন্যদিকে আজকে আদালতের সামনে যে ৯০টি গরু উপস্থাপন করা হয়েছে সেগুলো বিস্তারিত পর্যবেক্ষণ করে আমরা দেখেছি পূর্বের জব্দকৃত গরুগুলোর সাথে আকারে প্রকারে আজকের আনীত গরুগুলোর কোন মিল নেই। এছাড়া সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজ ও তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে আদালতের নিলাম কমিটির কাছে প্রতীয়মান হয়েছে যে, ৯০টি গরু উপস্থাপন করতে গিয়ে জাল জালিয়াতির আশ্রয় গ্রহন করা হয়েছে। এসব কারণে বিজিবিসহ সংশ্লিষ্ট সকল এজেন্সীর মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে আমরা নিলাম কার্যক্রম আপাতত স্থগিত ঘোষণা করলাম।

জানা যায়,সুনামগঞ্জের সাংবাদিকদের কাছ থেকে সংবাদ প্রাপ্ত হয়ে গত ৩০ এপ্রিল ২৮ বর্ডারগার্ড ব্যাটালিয়ান(বিজিবি)”র সদস্যরা দোয়ারাবাজার থেকে একটি স্ট্রীলবডি ইজ্ঞিন চালিত নৌকায় করে সুরমা নদী দিয়ে পাচারকালে ইঞ্জিননৌকাসহ যে ৯০টি ভারতীয় গরু আটক করেছিল সেই গরুগুলো তৎকালীন চোরাচালান বিরোধী টাস্কফোর্সের সভাপতি ও জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ৫জন চোরাকারবারীর কাছে জিম্মা দেন সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) এর আওতাভূক্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। ঐ জিম্মাদানের ঘটনাটিকে জিম্মা নাটক বলে এই প্রক্রিয়াকে বেআইনী ঘোষণা করে সিলেটের বিভাগীয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কার্যক্রমে লিখিত বক্তব্য দিয়ে সম্পৃক্ত হন সুনামগঞ্জের সচেতন ৮/১০ জন সাংবাদিক। এদিকে ২৬ আগস্ট বিকাল সাড়ে ৪ টায় চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর কার্যালয়স্থিত নিলাম কমিটির আহবায়কের এজলাস কক্ষে প্রকাশ্য নিলামে বিক্রয় করা হবে ৯০টি গরু। আগ্রহী ক্রেতাগনকে যথাসময়ে উপস্থিত থেকে ৯০টি ডেকা ষাড় গরু ক্রয়ের জন্য ১০ লক্ষ টাকা জামানত হিসেবে সংশ্লিষ্ট আদালতের নেজারত বিভাগের রুপালী ব্যাংক শাখার অনুকূলে ১৯৩৩০২৪০০০০২৩ নং হিসেবে পে-অর্ডারের মাধ্যমে টাকা জমা দিতে বলা হয়। গত ১০/০৮/২০২৫ইং তারিখে ৩৮২ নং স্মারকে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ও সিজেএম কোর্টের নিলাম সংক্রান্ত কমিটির আহবায়ক মুহাং হেলাল উদ্দিন উক্ত নিলাম বিজ্ঞপ্তি প্রদানের মাধ্যমে বিজ্ঞ আদালতের আদেশ জারী করলে একাধিক আগ্রহীরা নিলামে অংশগ্রহন করেন। কিন্ত কাস্টমস ও বিজিবি কর্তৃপক্ষের মতে এই নিলাম এখতিয়ার বহির্ভূত। কাস্টমসকে উপেক্ষা করে আদালত একতরফাভাবে নিলাম করতে পারেনা বলে যে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল শেষ পর্যন্ত সেটিই বাস্তবায়িত হলো।  

এর আগে সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সদস্য ও দৈনিক খবরপত্র প্রতিনিধি হোসাইন মাহমুদ শাহীনসহ ৮জন সাংবাদিক বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) পর্যন্ত তদন্ত কমিটির আহবায়ক কাস্টমস,এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট সিলেট এর কমিশনার রেজভী আহাম্মেদ এবং একই বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলা বিভাগীয় কর্মকর্তা ও তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব সহকারী কমিশনার গৌরব মহাজনের কাছে সুনামগঞ্জে ৯০টি ভারতীয় গরু অদৃশ্য হওয়ার ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রেজাউল করিমকে দায়ী করে তদন্ত কমিটির কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। গত ১২মে কাস্টমস,এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট সিলেট এর ০৮.০১.৬০০০.০১৭.৩৪.০০৩.০৭ (অংশ-১)/২৪৬৮ নং স্মারকাদেশ মোতাবেক জনৈক আব্দুল আলী নামের এক ব্যক্তির দায়েরকৃত অভিযোগের ভিত্তিতে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে ৪ সদস্য বিশিষ্ট উক্ত তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।  

দায়েরকৃত অভিযোগে সাংবাদিকরা বলেন,গত ৩০ এপ্রিল আমরা সুনামগঞ্জ শহরে কর্মরত প্রায় ২০ জন সাংবাদিক ঘটনার সময় জেলার আব্দুজ জহুর সেতুতে অবস্থান করে,নদীপথে ৯০টি ভারতীয় চোরাই গরু পাচার করা হইতেছে দেখে স্বউদ্যোগী হয়ে বিজিবি সুনামগঞ্জকে একের পর এক মোবাইল কল করত: সংবাদ দেই। আমাদের মোবাইল ফোনের সংবাদে বিজিবি সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের অচিন্তপুর গ্রামের সামনে সুরমা নদীতে নৌকাসহ ৯০টি গরু আটক করে ব্যাটালিয়নের হেডকোয়ার্টারে আটককৃত নৌকাসহ ৯০টি গরু নিয়ে যায়। আটককৃত গরুগুলোর ব্যাপারে সদর উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ অমিত সাহা,এগুলো ভারতের মেঘালয় এলাকার গরু বলে লিখিত মতামত ব্যক্ত করেন।

এরপর আমরা সাংবাদিকরা সুনামগঞ্জ বিজিবির মল্লিকপুরস্থ হেডকোয়ার্টারে সরজমিনে গিয়ে আটককৃত গরুগুলোর ভিডিও ধারন করি। এসময় সাংবাদিকদের সামনে  উপস্থিত কাস্টমস কর্মকর্তা  মোঃ জালাল উদ্দিন ,স্টমস আইন ২০২৩ ও বিধি অনুযায়ী গরুগুলো নিলাম দেওয়ার জন্য বলার পরও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুনামগঞ্জ (এডিএম) মোহাম্মদ রেজাউল করিমের দোহাই দিয়ে ৫ জন ব্যবসায়ী বিজিবির মল্লিকপুরস্থ হেডকোয়ার্টারে অনধিকার প্রবেশ করে সাংবাদিকদের সাথে বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হয়। পরবর্তীতে আমরা জানতে পারি অনধিকার প্রবেশকারী ঐ ৫জন লোক ভারতীয় গরুর চোরাকারবারী। এডিএম মোহাম্মদ রেজাউল করিম,ক্ষমতার অপব্যবহার ও প্রচলিত কাস্টমস আইনকে উপেক্ষা করে ঐ ৫ জন লোকের কাছে একে অপরের যোগসাজশে তার পছন্দের ব্যক্তি হিসেবে আটককৃত ভারতীয় গরুগুলো নির্বাহী ম্যাজিট্টেট মেহেদী হাসান হৃদয় কে প্রেরণ করে উপস্থিত সকল সংস্থার উপর চাপ সৃষ্টি করে গরুগুলো তাদের জিম্মায় দিতে বিজিবিকে বাধ্য করেছেন। ঐদিন তিনি জেলা সদরে ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসকের ও চোরাচালান বিরোধী টাস্কফোর্সের সভাপতিরও দায়িত্বে ছিলেন। জিম্মা গ্রহনকারীরা ঐ গরুগুলো এডিএম রেজাউল করিমের আশ্রয় প্রশ্রয়ে ও পরোক্ষ সহযোগীতায় কালোবাজারে বিক্রয় করেছে মর্মে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। 

সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় তদন্তাধীন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আল আমিন সরজমিনে গিয়ে ৯০টি ভারতীয় গরু জিম্মাদারদের কাছে না পেয়ে গত ১০ জুন বিজ্ঞ আদালতকে লিখিতভাবে অবগত করেন। পরবর্তীতে ভারতীয় গরু পাচারের বিষয়টি ধামাচাপা দিতে এডিএম মোহাম্মদ রেজাউল করিম কথিত ৫ জিম্মাদারকে যেকোন মূল্যে ৯০টি গরু তাদের হেফাজতে পুনরায় সংগ্রহের নির্দেশ দিলে উক্ত জিম্মাদাররা দেশী বিদেশী আরো ৯০টি গরু সংগ্রহ করে। কিন্তু পরবর্তীতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা,বিজিবি,কাস্টমস এর কর্মকর্তা ও সাংবাদিকরা জিম্মাদারদের জিম্মায় নেয়া পূর্বের গরুর মধ্যে মাত্র ১৪টি ভারতীয় গরুর কোনরকম মিল পেলেও বাকী গরুগুলো পূর্বের আটককৃত ও জিম্মায় দেয়া গরুর সাথে মিলেনা বলে জানিয়েছেন এবং মতামত ব্যক্ত করেছেন। সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার এসআই বর্তমান তদন্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন,বিজিবির উপস্থাপন মতে ৯০টি গরুর মধ্যে পূর্বের গরুর সাথে মাত্র ১৪টি গরুর মিল পাওয়া গেছে মর্মে গত ২৮ জুলাই বিজ্ঞ আদালতে আমি একটি প্রতিবেদন দাখিল করেছি।  

ভারতীয় গরু পাচারে সহায়তার অভিযোগটি ধামাচাপা দিতে এবং বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন মামলাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে জাল জালিয়াতির আশ্রয় গ্রহন করা হচ্ছে বলেও দুদকের কর্মকর্তারা অনুসন্ধানে জানতে পেরেছেন। গত ২৯ জুলাই কাস্টমস বরাবরে সাংবাদিকদের নাম ঠিকানা উল্লেখসহ  সাংবাদিক হোসাইন মাহমুদ শাহীন একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। সদাশয় সরকারের ৭০ লক্ষ টাকা রাজস্বের ক্ষতিসাধন এবং কাস্টমস আইন অমান্য করে জিম্মদার নাটকের মাধ্যমে ভারতীয় গরু পাচারে সহায়তার সুনির্দিষ্ট অভিযোগে এডিএম রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন অভিযোগকারী সাংবাদিকবৃন্দ। জানা যায়,এডিএম রেজাউল করিম ২০২৩ সালের ৮ ফেব্রæয়ারি সুনামগঞ্জে এডিসি হিসেবে যোগদান করেন। এরপর থেকে আওয়ামীলীগের মন্ত্রী,এমপি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে তার ব্যক্তিগত দহরম মহরম গড়ে উঠে। স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালকের দায়িত্বে থেকে হাঠবাজারের গরু বিক্রেতাদের সাথে গড়ে উঠে তার অন্যরকম সম্পর্ক। 

‎সুনামগঞ্জ-২৮ বিজিবির অধিনায়ক লে.কর্নেল জাকারিয়া কাদির বলেন, ৯০টি গরু টাস্কফোর্স কমান্ডার জেলা প্রশাসনের নির্দেশে ৫ জনকে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। পরে পুলিশ সরেজমিন তদন্ত করে জানতে পেরেছে আমাদের আটককৃত গরুগুলো জিম্মাদারদের কাছে নেই। 

সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ওই ঘটনার টাস্কফোর্স কমান্ডার মেহেদি হাসান হৃদয় ইতিপূর্বে সাংবাদিকদের বলেন,আমি বিজিবিকে নিয়মিত মামলা করার নির্দেশ দিয়ে গরুগুলো ৫ জনের জিম্মায় দিয়েছিলাম। এগুলো রাখার এখতিয়ার আমাদের নেই। এ বিষয়ে আদালতই সিদ্ধান্ত নিবেন। সুনামগঞ্জ জেলা সদরে শত শত গরু বিক্রেতা ও খামারী থাকার পরও দোয়ারাবাজারের সীমান্ত হাটের ব্যবসায়ীদের কাছে কার নির্দেশে জিম্মায় দিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। জেলা প্রশাসনের কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন,যে ম্যাজিস্ট্রেট গরুগুলো জিম্মায় দিয়েছেন এবং যে কর্মচারী কথিত জিম্মানামায় স্বাক্ষর করেছেন তাদের উভয়কেই বিজিবির হেডকোয়ার্টারে প্রেরণ করেছেন এডিএম রেজাউল করিম। সুতরাং জিম্মা নাটকের মাধ্যমে ভারতীয় গরু আড়াল করার ঘটনার দায় তিনি কোনভাবেই এড়িয়ে যেতে পারেননা।  

কিন্ত অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রেজাউল করিম বরাবরই বলে এসেছেন,এটা কোর্টের বিষয় কোর্ট দেখবে। তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন।

কাস্টমস,এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট কার্যালয়ের সুনামগঞ্জ জেলা কর্মকর্তা ও তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব সহকারী কমিশনার গৌরব মহাজন ও বড়ছড়া কাস্টমস এর গোডাউন কর্মকর্তা মোঃ জালাল উদ্দিন বলেন,আমরা বারবার বলে আসছি ভারতীয় গরু নিলামের এখতিয়ার শুধুমাত্র কাস্টমস আইনে কাস্টমস কর্তৃপক্ষসহ চোরাচালান বিরোধী টাস্কফোর্সের হাতেই ন্যস্ত রয়েছে। আমরা বিধি মোতাবেক জেলা প্রশাসন,বিজিবি,ডিজিএফআই ও এনএসআই প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে প্রকাশ্য দিবালোকে নিলাম করার আইনগত অধিকার রাখি। ৩০ এপ্রিলের জব্দকৃত গরুগুলো ঐসময়ই নিলাম করার কথা। কিন্তু জেলা প্রশাসন কাস্টমস আইন ও বিধিবিধান অনুসরণ না করায় ৪ মাস পরে নিলাম দেওয়ার কথা উঠেছে। 

তাছাড়া পূর্বের ৯০টি ভারতীয় গরুর মধ্যে বর্তমানে আছে ১৪টি। বাকি ৭৬টি ভেজাল গরু সংগ্রহ করে জাল জালিয়াতির আশ্রয় যারা গ্রহন করেছে তাদেরকে চিহ্নিত করার দায়িত্ব সুনামগঞ্জবাসীকে নিতে হবে বলে আমরা মনে করি। এখন প্রশ্ন হচ্ছে পূর্বের জব্দকৃত ৯০ টি ভারতীয় গরুর মধ্যে যেখানে পুলিশের তদন্ত রিপোর্ট মতে ৭৬টি গরু এখনও বাস্তবে নেই সেই ৭৬টি গরুর দায়িত্ব কে নেবে ? এবং ৩০ এপ্রিলের পর ১লা মে সুনামগঞ্জ ২৮ বিজিবির হেডকোয়ার্টারে আমাদের নির্ধারিত ৭০ লক্ষ টাকা নিলামের সরকারী রাজস্ব মূল্য কে দেবে ? এরজন্য যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে আদৌ কোন ব্যবস্থা নেয়া হবে কি ? এছাড়া বিজিবি হেডকোয়ার্টারে হাতের নাগালের মধ্যে পেয়েও যেসব চোরাকারবারীদের আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি এমনকি আসামী করা হয়নি মামলার এজাহারে সেই ৫ জিম্মাদারের কবল থেকে ৭৬টি গরু উদ্ধারের কোনরকম প্রচেষ্টা কি আদৌ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নেবে সেই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সচেতন নাগরিকদের মধ্যে। 

মঙ্গলবার বিজ্ঞ আদালতের সামনে উপস্থিত আইনজীবী,সাংবাদিক,আইনজীবী সহকারী,নিলামে অংশ নেয়া দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত ব্যবসায়ীরা একবাক্যে বলেন,আজ আমরা যে গরুগুলো দেখলাম তার মধ্যে একটি গরু ও পূর্বের জব্দকৃত মোটাতাজা ভারতীয় গরু নয়। এগুলোর সবকটিই হচ্ছে স্থানীয় জাতের গরু। এর মধ্যে ৭৬টিই হচ্ছে ছোট বকনা বাছুর। বিষয়টি শেষ পর্যন্ত কোনদিকে মোড় নেয় সেদিকে দৃষ্টি এখন সকলের।

সর্বাধিক পঠিত
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির ঢাকা বিভাগীয় ব্যুরো চীফ হলেন সাংবাদিক মোঃ মনিরুজ্জামান।

দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”

শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে?

মাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দ‍র্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৩৩৪তম পর্বে নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে নিয়ামত কমে যাবে কি না, সে বিষয়ে ঢাকা থেকে চিঠির মাধ্যমে জানতে চেয়েছেন একজন দর্শক। অনুলিখন করেছেন জান্নাত আরা পাপিয়া। প্রশ্ন : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে? উত্তর : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা কুফরি। এটা বড় কুফরি না, ছোট কুফরি। যদি আল্লাহর বান্দারা আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করে থাকেন, তাহলে তাঁরা কুফরি কাজ করে থাকলেন। এ জন্য আল্লাহ কোরআনে স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘তোমরা আমার শুকরিয়া আদায় করো, আমার সঙ্গে কুফরি করো না।’ আল্লাহ যে নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন, আল্লাহর নিয়ামত লাভ করে সুন্দর জীবনযাপন করা, এটা যদি কেউ আল্লাহর কাছে সত্যিকার অর্থে তুলে ধরতে না পারে, তাহলে সে ব্যক্তি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া করলেন না, কুফরি করলেন। এই জন্য আল্লাহ সুরা দোহার শেষ আয়াতে বলেছেন, ‘তুমি তোমার রবের নিয়ামত প্রকাশ করো। কারণ, তোমার কাছে যখন নিয়ামত আসছে, তখন আল্লাহ পছন্দ করেন যে তুমি আল্লাহর এই নিয়ামতের বিষয়টি তুলে ধরবে।’ আল্লাহর কাছে বলবে, আল্লাহ আমাকে এই নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন। আল্লাহ নিয়ামতকে বান্দার কাছে তুলে ধরার জন্য বলেছেন, বহিঃপ্রকাশ করার জন্য বলেছেন। বহিঃপ্রকাশ দুই ধরনের হতে পারে। একটি হলো নিয়ামতের ব্যবহারের মাধ্যমে বহিঃপ্রকাশ করা। দ্বিতীয়ত, নিয়ামতের বিষয়টি হলো মানুষের কাছে নিয়ামত তুলে ধরবে। যাতে করে আল্লাহর প্রশংসা প্রকাশ পায়। নিয়ামতের শুকরিয়া যদি কেউ আদায় না করেন, তাহলে কুফরি হবে। আল্লাহ বলেছেন, যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করে থাক, তাহলে আমি আরো বৃদ্ধি করে দেব। বান্দারা যখন নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করবে, তখন আল্লাহ আরো নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করে দেন। আর যদি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা হয়, তাহলে আল্লাহ নিয়ামত কমিয়ে দেবেন এবং সেইসঙ্গে আরেকটি কঠিন বাণী আল্লাহ বলেছেন, ‘জেনে রাখো আল্লাহর কঠিন আজাবও তোমাদের জন্য অবধারিত থাকবে।’ নিয়ামতের শুকরিয়া শুধু মুখে আদায় করা যথেষ্ট নয়। কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর শুকরিয়া আমলের মাধ্যমে আদায় করো।’ সুতরাং বান্দারা শুকরিয়া আদায় করবে। শুকরিয়ার অনেকগুলো দিক রয়েছে, তার মধ্যে আমলের মাধ্যমে শুকরিয়া আদায় করা হলো শুকরিয়ার সর্বোচ্চ স্তর।

নবী মুহাম্মদ (সাঃ) - নিষ্পাপ চরিত্রের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ

তিনি ছিলেন মানবজাতির আদর্শ। তিনি অত্যন্ত উদার ও বিনয়ী ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক এবং একজন সাহসী যোদ্ধা। এছাড়াও তিনি একজন দক্ষ প্রশাসক, একজন দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক এবং একজন সফল প্রচারক ছিলেন। তিনিই উত্তম চরিত্র ও উদারতার একমাত্র উৎস। তিনি সকলের আদর্শহীন এবং প্রিয় ব্যক্তিত্ব। যার প্রেমে, দুনিয়া মাতাল। তিনি আমার আদর্শ, তিনি আমার নেতা। তিনি আমার নবী, আমাদের নবী এবং সকলের নবী। তিনি হলেন হযরত মুহাম্মদ (সা.) তিনি সর্বোত্তম আদর্শ। সমস্ত মানবজাতির জন্য করুণা। অন্ধকারে নিমজ্জিত বিশ্বের মানুষের জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে। তার অসাধারণ চরিত্র, মাধুর্য এবং অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব সবাইকে অবাক করেছে। মুমিনের চঞ্চল হৃদয় তাকে এক নজর দেখার জন্য আকুল হয়ে থাকে। কবি কাজী নজরুল বলেছেন: “বিচ্ছেদের রাত ছিল একাকার কান্নার ভোর; আমার মনে শান্তি নেই, আমি কাঁদছি। হে মদিনাবাসীর প্রেমিক, আমার হাত ধর।" তার নিষ্কলুষ চরিত্রের স্বীকৃতি দিয়ে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, "তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।" (সূরা আল-আহজাব, আয়াত 21)। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে আজ কিছু লোক সেই নবীর সম্মানকে অবমাননা করছে। হৃদয় ভেঙ্গে যায়। আমাদের ক্ষমা করুন, হে নবী! তিনি তার অবিস্মরণীয় ক্ষমা, উদারতা, সততা, নম্রতা প্রভৃতির বিরল মুগ্ধতা দিয়ে বর্বর আরব জাতির আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এজন্য তারা তাকে ‘আল-আমিন’ উপাধিতে ভূষিত করেন। তারা সর্বসম্মতিক্রমে স্বীকার করেছিল যে তিনি নম্র এবং গুণী ছিলেন। টাকা দিয়ে নয়, ভালো ব্যবহার দিয়ে তিনি বিশ্ববাসীকে জয় করেছেন। আল্লাহ তাঁর গুণাবলী সম্পর্কে কুরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই তুমি মহৎ চরিত্রের অধিকারী।’ (সূরা আল কালাম, আয়াত ৪)। তিনি কখনো মানুষকে তুচ্ছ করেননি। আত্মসম্মানবোধে তিনি কাউকে তুচ্ছ মনে করেননি। তিনি বিশ্বের হৃদয়ে উচ্চতর চরিত্রের একটি অনুপম মানদণ্ড স্থাপন করেছেন। নম্রতা তার চরিত্রে সর্বদা উপস্থিত ছিল। পৃথিবীর মানবতার কল্যাণে তাকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল শ্রেষ্ঠ আদর্শের বাস্তবায়নকারী ও প্রশিক্ষক হিসেবে। এ প্রসঙ্গে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমাকে আমার উত্তম চরিত্র পূর্ণ করার জন্য প্রেরিত করা হয়েছে।’ (মুসনাদে আহমদ, মিশকাত) ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন বিনয়ী এবং আচার-আচরণে অত্যন্ত বিনয়ী। দুর্বল ব্যক্তিকে কড়া কথায় আঘাত করবেন না। তিনি কোন মানুষকে তার সাধ্যের বাইরে অসাধ্য সাধন করতে বাধ্য করেননি। গরিব-অসহায় মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করতেন। তিনি লোকদেরকে তাদের আচরণে অপ্রয়োজনীয় রাগ ও রাগ থেকে সর্বদা বিরত থাকার উপদেশ দিতেন এবং মানুষকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন, “যে বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাকে উঁচু করে দেন এবং যে অহংকারী হয়, আল্লাহ তাকে লাঞ্ছিত করেন।” (মিশকাত) কাফেররাও তার কাছ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে সদয় ও নম্র আচরণ পেয়েছিল। তার অনুসারীরা তাকে উচ্চ সম্মানের সাথে ধরেছিল কারণ তিনি খুব নমনীয় এবং নম্র ছিলেন। হজরত আয়েশা (রা.) তার ভদ্র আচার-আচরণ সম্পর্কে বলেন, ‘নবী (সা.) রূঢ় বক্তা ছিলেন না, প্রয়োজনের সময়ও তিনি কঠোর ভাষা ব্যবহার করতেন না। প্রতিহিংসা তার সাথে ছিল না মোটেও। মন্দের বিনিময়ে ভালোই করেছেন। সব ক্ষেত্রেই তিনি ক্ষমা পছন্দ করতেন। তিনি লোকদেরকে উপদেশ দিয়েছিলেন, “আল্লাহর ইবাদত কর, করুণাময় প্রভু, ক্ষুধার্তকে খাবার দাও, সালাম দাও এবং এসব কাজের মাধ্যমে জান্নাতে প্রবেশ কর। তিনি উত্তর দিলেন, "ক্ষুধার্তকে খাওয়ানো এবং অপরিচিত সকলকে সালাম করা।" (বুখারী ও মুসলিম)। মহানবী (সা.)-এর মর্যাদাকে সম্মান করা মুসলমানদের ধর্মীয় কর্তব্য এবং প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানের মৌলিক অংশ।

মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি?

নামাজ, রোজা, জাকাত, হজ, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৯২৯তম পর্বে ই-মেইলের মাধ্যমে কানিজ নাহার দিপা জানতে চেয়েছেন, মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? অনুলিখন করেছেন মোহাম্মদ সাইফ আহমেদ। প্রশ্ন : মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? উত্তর : না দোয়ার জন্য আলাদা কোনো মাহফিল নেই। এটা আসবে কেন? আমরা একটা জায়গা থেকে বাঁচার জন্য আরেকটি কাজ করছি। কিন্তু সেই কাজটি ভুল করে আরও বড় ভুলের সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। আমাদের সমাজে একটি প্রথা একেবারে ছেয়ে গেছে। যেমন—একজন মারা গেলে তার জন্য মিলাদ-মাহফিল করা কিংবা কূলখানি করা। কিন্তু এগুলো সবই বেদআতি কাজ। এগুলো সঠিক কাজ নয়। অনেকে মনে করছে, দোয়া-মাহফিল করা যেতে পারে। কিন্তু সেটা একদমই নয়। এসব ইসলামে অনুমোদন দেয়নি। এইগুলো পুরোটাই বেদআত। মানুষ চাইলে যে কোনো সময় কিংবা যে কোনো জায়গা থেকে দোয়া করতে পারবেন। দোয়ার সঙ্গে মাহফিল কিংবা আলাদা কোনো ধরনের অনুষ্ঠান ঘোষণা করা জায়েজ নেই। আশা করি, আপনি বুঝতে পেরেছেন।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রতিযোগিতা: চ্যাটজিপিটি বনাম ডিপসিক?

র্তমান প্রযুক্তি বিশ্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) নিয়ে নতুন প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ওপেনএআই-এর চ্যাটজিপিটি ও চীনের ডিপসিকের মধ্যে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুধু প্রযুক্তিগত দক্ষতার নয়, বরং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। চ্যাটজিপিটি দীর্ঘদিন ধরে ব্লগ লেখা, গবেষণা, প্রোগ্রামিংসহ নানান কাজে অপরিহার্য টুল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি চীনের তৈরি ডিপসিক এআই জগতে নতুন আলোড়ন তুলেছে। তারা দাবি করছে, তুলনামূলক কম চিপ ব্যবহার করেই অত্যাধুনিক এআই সেবা দেওয়া সম্ভব, যেখানে ওপেনএআই-এর বিশাল মডেলগুলোর জন্য ১৬,০০০ বা তারও বেশি চিপ প্রয়োজন হয়, সেখানে মাত্র ২০০০ চিপ দিয়ে ডিপসিক কার্যকরভাবে কাজ করতে সক্ষম। দুই প্ল্যাটফর্মের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রয়েছে। ✅ চ্যাটজিপিটি: বিস্তৃত বিশ্লেষণ ও গভীর গবেষণা উপস্থাপন করতে পারে, যা একাডেমিক ও জটিল সমস্যার সমাধানে সহায়ক। ✅ ডিপসিক: দ্রুত এবং সংক্ষিপ্ত উত্তর দিতে পারে, যা তাৎক্ষণিক ফলাফল প্রত্যাশী ব্যবহারকারীদের জন্য উপযোগী। লেখালেখির ক্ষেত্রে চ্যাটজিপিটি কেবল ধারণা ও প্লটের কাঠামো গড়ে তোলে, যেখানে ডিপসিক প্রায় পুরো গল্প তৈরি করে দিতে পারে। একইভাবে, কোডিংয়ের ক্ষেত্রেও ডিপসিক কিছু ক্ষেত্রে দ্রুত সমাধান দিতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। ডিপসিকের বিরুদ্ধে ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা সংরক্ষণ ও তথ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অস্ট্রেলিয়াসহ কয়েকটি দেশের সরকার ইতোমধ্যেই ডিপসিকের ডেটা নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ওপেনএআই নিজেও অতীতে অনুমতি ছাড়া মানুষের লেখা ডেটা প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহারের অভিযোগের মুখে পড়েছিল, যা এখন ডিপসিকের বিরুদ্ধে উঠছে। ডিপসিকের সাফল্যের ফলে এআই চিপের বাজারেও বড় প্রভাব পড়েছে। এনভিডিয়া, যারা উন্নত চিপ তৈরিতে বিশ্বব্যাপী অগ্রগণ্য, তাদের শেয়ারের মূল্য একদিনে প্রায় ১৭% কমে গেছে। কারণ, কম শক্তিশালী হার্ডওয়্যারেও কার্যকর এআই সম্ভব হলে উচ্চমূল্যের উন্নত চিপের বাজার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে প্রযুক্তিগত প্রতিযোগিতা নতুন কিছু নয়, তবে ডিপসিকের উদ্ভাবন নতুন মাত্রা যোগ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই চীনে উন্নত চিপ রপ্তানির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, কম খরচে ভালো এআই তৈরি হলে মার্কিন প্রযুক্তি খাতেরও লাভ হতে পারে। এই প্রতিযোগিতা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভবিষ্যৎকে আরও উন্নত ও বহুমাত্রিক করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যেখানে দ্রুত এবং সাশ্রয়ী সমাধান দরকার, সেখানে হয়তো ডিপসিক এগিয়ে থাকবে, আর যেখানে গবেষণা ও জটিল বিশ্লেষণের প্রয়োজন, সেখানে চ্যাটজিপিটির মতো বৃহৎ মডেলগুলো প্রাধান্য পাবে। শেষ পর্যন্ত, এই প্রতিযোগিতাই হয়তো এআই প্রযুক্তিকে আরও দক্ষ, নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী করবে।

সারা দেশ

আরও পড়ুন
নেত্রকোনা দুর্গাপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত

সারাদেশের ন্যায় নেত্রকোনার দুর্গাপুরে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়েছে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সর্বস্তরের অংশগ্রহনে এ দিবস পালিত হয়। এ উপলক্ষে পৌরসভা এলাকার বিরিশিরিতে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পন, বৃক্ষরোপন ও শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। পরবর্তিতে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফরোজা আফসানা এর সভাপতিত্বে, একাডেমিক সুপারভাইজার মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন এর সঞ্চালনায় অন্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব হোসেন তালুকদার ও আবুল আজিজ, উপজেলা বিএনপি‘র সাবেক সভাপতি ইমাম হাসান আবুচান, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এডভোকেট এম এ জিন্নাহ, সাবেক অধ্যক্ষ শহীদুল্লাহ খান, ডিএসকে‘র নির্বাহী পরিচালক ডা. দিবালোক সিংহ, অফিসার ইনচার্জ কামরুল ইসলাম, প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ, বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সাখাওয়াত হোসেন সজিব, বিকাশ সরকার প্রমুখ। এছাড়া শহীদ বুদ্ধিজীবীদের সন্তান, শহীদ পরিবারের সন্তানগণ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, উপজেলায় কর্মরত অফিসার্সবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ সহ সুশীল সমাজের ব্যক্তিগণ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে হানাদার পাকিস্তানী বাহিনী এ দেশীয় দোসর আল-বদর, আল সামস্ এর সাহায্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ও বিভিন্ন স্থান থেকে শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, সংস্কৃতি কর্মীসহ বিভিন্ন পেশার বরেণ্য ব্যক্তিদের অপহরণ করে। বাংলাদেশকে মেধাশুন্য করে দিতে নিদারুণ যন্ত্রণা দিয়ে তাদের হত্যা করা হয়। এমন ন্যাক্কার ঘটনার পরে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এই দিনকে “শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস” ঘোষণা করেন। এই দিনের তাৎপর্য নতুন প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে দিতে সকলকে আহবান জানানো হয়।

ডিসেম্বর ১৫, ২০২৫ 0

নেত্রকোনা দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা সীমান্তে বিজিবির টহল জোরদার

বিএনপি সংসদে গেলে ইসলামবিরোধী কোন আইন পাস হবে না : ব্যারিস্টার কায়সার কামাল

টাঙ্গাইলে র‌্যাবের অভিযানে পর্নোগ্রাফি মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

টাঙ্গাইলে র‌্যাবের অভিযানে পর্নোগ্রাফি মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে দুই আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে দুই আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায় পৃথক অভিযানে আওয়ামী লীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার ভাওড়া ইউনিয়নের কামারপাড়া ও চামুটিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—ভাওড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য চামুটিয়া গ্রামের ফরহাদ হোসেন (৫৩) এবং ভাওড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য শশধর পট্রি গ্রামের লতিফুর রহমান (৪৩)। পুলিশ জানায়, গত ৪ আগস্ট ঢাকা–টাঙ্গাইল মহাসড়কসংলগ্ন গোড়াই হাইওয়ে থানার সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র–জনতার আন্দোলন চলাকালে পুলিশের ছররা গুলিতে গুরুতর আহত হন গোড়াই ইউনিয়নের লালবাড়ি গ্রামের হিমেল। ওই ঘটনায় হিমেলের দুই চোখ স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে তিনি দৃষ্টিশক্তি হারান। ঘটনার পর থেকেই এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার জেরে ভুক্তভোগী হিমেলের মা নাছিমা বেগম টাঙ্গাইল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মির্জাপুর আমলি আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় পুলিশ সদস্য, সাংবাদিক, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীসহ ১০০ জনের নাম উল্লেখ করা হয় এবং অজ্ঞাতনামা ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করা হয়। মির্জাপুর থানার পুলিশ জানায়, মামলার তদন্তের অংশ হিসেবে অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে শনাক্ত হওয়ায় ফরহাদ হোসেন ও লতিফুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার আলামত, সাক্ষ্য ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্টতার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে পুলিশ দাবি করেছে। মির্জাপুর থানার উপ-পরিদর্শক হাফিজুর রহমান জানান, মামলার তদন্তের স্বার্থে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে ঘটনার সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “মামলার তদন্ত চলমান রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামিকে রোববার (১৪ ডিসেম্বর) টাঙ্গাইল আদালতে হাজির করা হবে। তদন্তের প্রয়োজনে ভবিষ্যতে আরও গ্রেপ্তার হতে পারে।” স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তারের খবরে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ ন্যায়বিচারের প্রত্যাশা ব্যক্ত করলেও আবার কেউ বিষয়টি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করছেন। তবে পুলিশ জানিয়েছে, আইন অনুযায়ী তদন্ত কার্যক্রম চলবে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ডিসেম্বর ১৪, ২০২৫ 0
সেতু নয় ভোগান্তি: টাঙ্গাইলের সখীপুরে কোটি টাকার ব্রিজের কাজ থেমে আছে পাঁচ বছর

সেতু নয় ভোগান্তি: টাঙ্গাইলের সখীপুরে কোটি টাকার ব্রিজের কাজ থেমে আছে পাঁচ বছর

টাঙ্গাইলে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর ১৪৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা

টাঙ্গাইলে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর ১৪৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা

টাঙ্গাইল-৫ আসনে বিএনপি প্রার্থী সুলতান সালাউদ্দিন টুকু’র নির্বাচনী ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণ

টাঙ্গাইল-৫ আসনে বিএনপি প্রার্থী সুলতান সালাউদ্দিন টুকু’র নির্বাচনী ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণ

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বাসের চাপায় তরুণের মর্মান্তিক মৃত্যু

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বাসের চাপায় তরুণের মর্মান্তিক মৃত্যু টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বাসের চাপায় শাফিউল মুজনবীন দীপ্ত (২৫) নামে এক তরুণ নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (রাত ১টার দিকে) ঢাকা–টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর বাইপাস বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রাতের ওই সময়ে দীপ্ত একটি গাড়ি থেকে নেমে রাস্তার পাশে দাঁড়ান। কিছু বুঝে ওঠার আগেই পাশ দিয়ে আসা আরেকটি বাস হঠাৎ সামনে চলে আসে। এ সময় দুই গাড়ির মাঝখানে চাপা পড়ে গুরুতর আহত হন তিনি। স্থানীয়রা দ্রুত তাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে এলেও ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।নিহত দীপ্ত মির্জাপুর শহীদ ভবানী প্রসাদ সাহা সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের সদ্য স্নাতক। তিনি ওই কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. শহীদুল্লাহর একমাত্র পুত্র। পরিবারের সঙ্গে তিনি মির্জাপুর পৌরসভার বাইমহাটি কবরস্থান এলাকায় বসবাস করতেন। পড়াশোনা শেষ করে সম্প্রতি দেশের একটি খ্যাতনামা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে দিনাজপুর অঞ্চলে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন তিনি।পরিবারের সদস্যরা জানান, কর্মস্থল দিনাজপুর থেকে বৃহস্পতিবার মির্জাপুরে ফিরছিলেন দীপ্ত। দুর্ঘটনার কিছুক্ষণ আগেও তিনি মোবাইল ফোনে পরিবারের সঙ্গে কথা বলে মির্জাপুরের কাছাকাছি পৌঁছানোর কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেই ফেরাই যে হবে তার শেষ ফেরা—তা কেউ কল্পনাও করতে পারেনি।শুক্রবার বাদ জুমা মির্জাপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে সামাজিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এ সময় শিক্ষক, সাংবাদিক, সহপাঠীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।দীপ্তর অকাল মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শিক্ষক সমাজ, স্থানীয় সাংবাদিক ও শুভানুধ্যায়ীরা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫ 0
টাঙ্গাইলের  মির্জাপুরে বাস থেকে নামতেই অজ্ঞাত যানচাপা: সিঙ্গার কর্মকর্তা দীপ্ত নিহত

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বাস থেকে নামতেই অজ্ঞাত যানচাপা: সিঙ্গার কর্মকর্তা দীপ্ত নিহত

সোনামুই উত্তরপাড়ায় নবনির্মিত জামে মসজিদের উদ্বোধন, প্রধান অতিথি এডভোকেট সালাম পিন্টু।

টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে ইউএনও’র হস্তক্ষেপে নবম শ্রেণীর ছাত্রীর বাল্য বিয়ে বন্ধ

টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে ইউএনও’র হস্তক্ষেপে নবম শ্রেণীর ছাত্রীর বাল্য বিয়ে বন্ধ

0 মন্তব্য