ঢাকা, শনিবার, নভেম্বর ৯, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দরসে হাদিসের ইতিহাস ২

মুফতি আহমাদ আলী

প্রকাশিত: ১৪ মার্চ, ২০২৩, ০৩:১৯ এএম

HTML tutorial
দরসে হাদিসের ইতিহাস ২
HTML tutorial

এরপর এই সুফফা নামক মাদ্রাসার আদলে বিশ্বের আনাচে কানাচে অনেক ইসলামী শিক্ষা কেন্দ্র তথা মাদ্রাসা গড়ে ওঠে। এসব মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষা ছিল দরসে হাদিস বা হাদিস পাঠদান। ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থা কায়েম থাকাকালীন এইসব মাদ্রাসা সরকারের তত্ত্বাবধানে অথবা সহায়তায় পরিচালিত হতো। আবার বড় বড় হাদিস বিশারদ ও ইমামদের তত্ত্বাবধানেও বহু মাদ্রাসা কায়েম হওয়ার কথা ইতিহাস থেকে জানা যায়। যেমন-সুলতান মাহমুদ গজনবির মাদ্রাসা, নিজামুল মুলুক তুশির মাদ্রাসা, সুলতান সিকান্দার লূদীর মাদ্রাসা, সুলতান মোহাম্মদ আদিল শাহ এর মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা লাভ করে। যেসব অঞ্চলে ইসলামী শাসনব্যবস্থা অনুপস্থিত ছিল সেখানেই সাধারণ মুসলমানদের সহায়তায় বিজ্ঞ আলেমগণ হাদিসের শিক্ষা সম্প্রসারণকল্পে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করতেন। এসব মাদ্রাসা সরকারের কোন সহায়তা না নিয়ে মুসলিম জনতার সহায়তায় পরিচালিত হতো। এগুলোকেই কওমি মাদ্রাসা তথা জাতির সহায়তায় পরিচালিত মাদ্রাসার নামে প্রসিদ্ধ লাভ করতো। বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ আবুল কাশেম ফেরেশতা বলেন সপ্তম শতাব্দীতে বাংলাদেশের প্রসিদ্ধ শহর রংপুরে ফাতেহ বাঙ্গাল বখতিয়ার খিলজী হাদিস চর্চার উদ্দেশ্যে একটি বড় কওমি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। যুগে যুগে দরসে হাদিসের ধারাবাহিকতা অব্যাহত ছিল এবং এখনো আছে ভবিষ্যতেও থাকবে, ইনশাআল্লাহ। বাদশাহ আওরঙ্গজেব আলমগীর বিভিন্ন স্থানে বহু মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। ফিরিঙ্গি মহলের মাদ্রাসায় নিজামিয়া মাদ্রাসা সিলসিলা সবিশেষ উল্লেখযোগ্য এরপর হযরত শাহ অলিউল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভী রাহিমাহুল্লাহ এর পিতা হযরত আব্দুর রহিম দেহলবী মাদ্রাসায়ে রহিমিয়া প্রতিষ্ঠা করেন।           

লেখা চলবে ---

HTML tutorial
HTML tutorial