১।আপনার চেহারা অবশ্যই কিবলামূখী হওয়া চাই।
২।আপনার দাঁড়ানো একেবারে সোজা হওয়া উচিত। দাঁড়ানো অবস্থায় দৃষ্টি থাকবে সেজদার স্থানে, গর্দান নীচু করে থুতনি বুকের সাথে লাগিয়ে দাঁড়ানো মাকরুহ।বিনা করনে বুক নীচু করে বাঁকা হয়ে দাঁড়ানো জায়েজ নাই বরং এমন সোজা হয়ে দাঁড়াতে হবে যেন দৃষ্টি পড়ে সেজদার জায়গায়।
৩।দাঁড়ানোর সময় পায়ের আঙুল সমূহ থাকবে কিবলামূখী হয়ে এবং উভয় পা থাকবে সোজা কিবলামূখী, পা ডানে বামে আড়াআড়ি বা বাঁকা করে রাখবে না।এভাবে রাখা সুন্নতের খেলাফ।
৪।উভয় পায়ের মাঝখানে অন্ততঃ চার আঙুল পরিমান ফাঁকা রাখা দরকার।
৫। নামাজ যদি জামাতে পড়া হয় তাহলে কাতার সম্পূর্ণ সোজা করতে হবে। কাতার সোজা করার উত্তম পন্থা এই যে প্রত্যেক ব্যক্তি উভয় পায়ের গোড়ালির শেষ প্রান্ত সোজা করে কাতার বা কাতারের জন্য নির্ধারিত দাগের শেষ প্রান্তে স্থাপন করবে।
৬।জামাতের নামাজ পড়ার জন্য দাঁড়ানের সময় এ কথাটিও খেয়াল রাখা দরকার, ডানে বামে দন্ডায়মান ব্যক্তির বাহু এবং কাঁধের সাথে আপনার বাহু ও কাঁধ যেন বরাবর মিলে থাকে এবং উভয়ের কাঁধের মাঝে কোন ফাঁক না থাকে।
৭।পায়জামা, লুঙ্গী পায়ের গিরা অর্থাৎ টাখনুর নিচে ঝুলিয়ে পরা সর্বাবস্থায় হারাম।আর নামাজ পড়ার সময় তো উহা আরো বেশি দোষনীয়।কাজেই এ দিকে কড়া দৃষ্টি রাখতে হবে যেন পায়জামা লুঙ্গি টাখনুর উপরে থাকে।
৮।পরনের জামার হাতের আস্তিন পুরাপুরিভাবে ছেড়ে দিয়ে রাখতে হবে।যেন হাতের কব্জি ব্যতিরেকে গোটা হাত ঢেকে থাকে। শুধু কব্জি সহ হাতের তালু পিঠ এবং আঙুল আস্তিনের বাহিরে খোলা থাকবে। অনেকেই আস্তিন জড়িয়ে নামাজ পড়ে, ইহা জায়েয নেই।
৯।যে সমস্ত কাপড় পরিধান করে অপরের সামনে দাঁড়াতে লজ্জা বোধ হয় সে সমস্ত কাপড় পরিধান করে নামাজে দাঁড়ানো মাকরূহ।