দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”
বাংলাদেশের বৃহৎ এনজিও সংস্থা "আশা"এর উদ্যোগে হয়ে গেল ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন যেখানে ফ্রিতে চিকিৎসা দেওয়া হয় এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবী এবং কর্মজীবী মানুষের মধ্যে। ২৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার সোনামুই গ্রামে সকাল থেকে এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন করা হয় আশায় এনজিও হেমনগর শাখার উদ্যোগে এটি বাস্তবায়িত করা হয়। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যকর্মী এবং মেডিকেল অফিসারসহ অন্যান্য সেবিকারা। আশা এনজিও কর্তৃক ক্যাম্পেইনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন "আশা" হেমনগর ব্রাঞ্চের পক্ষথেকে আশা এনজিওর এই ক্যাম্পেইনে গ্রামের সকল পেশাজীবীর মানুষেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্যাম্পেইনটিতে অংশগ্রহণ করেন এবং তারই মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সঠিক ভাবে নিরূপণ করতে সহযোগিতা করেন। আশা এনজিওর মাধ্যমে ক্যাম্পেইন করে মানুষের জন্য সময় উপযোগী এবং প্রয়োজনীয় একটি বিষয় হয়ে দাঁড়াবে যেটি গ্রামের মানুষের মধ্যে সচেতনতা এবং স্বাস্থ্য সঠিকভাবে পর্যালোচনা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই উদ্যোগে এলাকাবাসী অত্যন্ত প্রাণবন্ত ভাবে উৎফুল্ল প্রকাশ করেছে। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিকবৃন্দ এবং সাধারণ মানুষ। এবং তাদের ক্যাম্পেইন ডাক্তার সঠিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেছে। আশা এনজিও আগামী দিনগুলোর জন্য এইরকম ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ধাপ হিসাবে গণ্য হবে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদল সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লা পাড়া ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে সদর উপজেলার স্থানীয় বেতগঞ্জ বাজাএই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আবুল কাশেম দুলু সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এডভোকেট দীপংঙ্কর বনিক সুজিতের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক মনাজ্জির হোসেন। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সুহেল মিয়া, শাহজাহান মিয়া, এডভোকেট আব্দুল আহাদ জুয়েল, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মুজাব্বির হোসেন অপু, ইমরান হোসেন শ্যামল, বিপ্লব খান, মো:শামিম আহমদ, সেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক সাদিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতাউর চৌধুরী শাহীন প্রমুখ। এ ছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার আলম, লিয়াকত আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতহাব চৌধুরী হাসান, শাখাওয়াত হোসেন পলাশ, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইমন আহমেদ, ফয়সাল আহমেদ, মিছবাহ হোসেন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মহিম উদ্দিন, জেলা যুবদলের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মঈনুদ্দিন আহমেদ রিপন,সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আব্দুল কাইয়ুম সৌরভ, বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম, ময়না মিয়া,স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রুজেল আহমেদ, আবুল হাসনাত, জেলা ছাত্রদল নেতা ইয়াহিয়া হাসান প্রমুখ। এ সময় সদর উপজেলা ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন,বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের দুঃসময়ে যারা রাজপথে নির্যাতিত ও নিপিিতড় হয়েছেন, তাদের যথাযথ মূল্যায়নের ভিত্তিতেই ভবিষ্যতের ইউনিয়ন কমিটি গঠন করতে হবে। আওয়ামী লীগ ঘেঁষা বা ফ্যাসিস্টদের সাথে সম্পৃক্ত কোনো ব্যক্তিকে কমিটিতে রাখা যাবে না বলেও তারা দাবি জানান। দুর্দিনে যারা আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন তাদেরকে কমিটিতে মুল্যায়ন করা হবে। তারা বলেন,সুনামগঞ্জে জাতীয়তাবাদি শক্তির প্রাণপূরুষ এবং বিগত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে জেল জুলুম,হুলিয়া মাথায় নিয়ে এই সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা কেবল জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বর্তূমান জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৪(সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুলের নেতৃত্বে আমরা রাজপথে ছিলাম এবং আগামী নির্বাচনে এই আসনে জনপ্রিয় ধানের শীষের প্রার্থী একমাত্র নুরুল ইসলাম নুরুলকে বিএনপির প্রার্থী করতে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া,ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিকট তৃণমূলের নেতৃবৃন্দরা জোর দাবী জানান।
তিনি ছিলেন মানবজাতির আদর্শ। তিনি অত্যন্ত উদার ও বিনয়ী ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক এবং একজন সাহসী যোদ্ধা। এছাড়াও তিনি একজন দক্ষ প্রশাসক, একজন দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক এবং একজন সফল প্রচারক ছিলেন। তিনিই উত্তম চরিত্র ও উদারতার একমাত্র উৎস। তিনি সকলের আদর্শহীন এবং প্রিয় ব্যক্তিত্ব। যার প্রেমে, দুনিয়া মাতাল। তিনি আমার আদর্শ, তিনি আমার নেতা। তিনি আমার নবী, আমাদের নবী এবং সকলের নবী। তিনি হলেন হযরত মুহাম্মদ (সা.) তিনি সর্বোত্তম আদর্শ। সমস্ত মানবজাতির জন্য করুণা। অন্ধকারে নিমজ্জিত বিশ্বের মানুষের জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে। তার অসাধারণ চরিত্র, মাধুর্য এবং অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব সবাইকে অবাক করেছে। মুমিনের চঞ্চল হৃদয় তাকে এক নজর দেখার জন্য আকুল হয়ে থাকে। কবি কাজী নজরুল বলেছেন: “বিচ্ছেদের রাত ছিল একাকার কান্নার ভোর; আমার মনে শান্তি নেই, আমি কাঁদছি। হে মদিনাবাসীর প্রেমিক, আমার হাত ধর।" তার নিষ্কলুষ চরিত্রের স্বীকৃতি দিয়ে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, "তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।" (সূরা আল-আহজাব, আয়াত 21)। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে আজ কিছু লোক সেই নবীর সম্মানকে অবমাননা করছে। হৃদয় ভেঙ্গে যায়। আমাদের ক্ষমা করুন, হে নবী! তিনি তার অবিস্মরণীয় ক্ষমা, উদারতা, সততা, নম্রতা প্রভৃতির বিরল মুগ্ধতা দিয়ে বর্বর আরব জাতির আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এজন্য তারা তাকে ‘আল-আমিন’ উপাধিতে ভূষিত করেন। তারা সর্বসম্মতিক্রমে স্বীকার করেছিল যে তিনি নম্র এবং গুণী ছিলেন। টাকা দিয়ে নয়, ভালো ব্যবহার দিয়ে তিনি বিশ্ববাসীকে জয় করেছেন। আল্লাহ তাঁর গুণাবলী সম্পর্কে কুরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই তুমি মহৎ চরিত্রের অধিকারী।’ (সূরা আল কালাম, আয়াত ৪)। তিনি কখনো মানুষকে তুচ্ছ করেননি। আত্মসম্মানবোধে তিনি কাউকে তুচ্ছ মনে করেননি। তিনি বিশ্বের হৃদয়ে উচ্চতর চরিত্রের একটি অনুপম মানদণ্ড স্থাপন করেছেন। নম্রতা তার চরিত্রে সর্বদা উপস্থিত ছিল। পৃথিবীর মানবতার কল্যাণে তাকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল শ্রেষ্ঠ আদর্শের বাস্তবায়নকারী ও প্রশিক্ষক হিসেবে। এ প্রসঙ্গে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমাকে আমার উত্তম চরিত্র পূর্ণ করার জন্য প্রেরিত করা হয়েছে।’ (মুসনাদে আহমদ, মিশকাত) ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন বিনয়ী এবং আচার-আচরণে অত্যন্ত বিনয়ী। দুর্বল ব্যক্তিকে কড়া কথায় আঘাত করবেন না। তিনি কোন মানুষকে তার সাধ্যের বাইরে অসাধ্য সাধন করতে বাধ্য করেননি। গরিব-অসহায় মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করতেন। তিনি লোকদেরকে তাদের আচরণে অপ্রয়োজনীয় রাগ ও রাগ থেকে সর্বদা বিরত থাকার উপদেশ দিতেন এবং মানুষকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন, “যে বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাকে উঁচু করে দেন এবং যে অহংকারী হয়, আল্লাহ তাকে লাঞ্ছিত করেন।” (মিশকাত) কাফেররাও তার কাছ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে সদয় ও নম্র আচরণ পেয়েছিল। তার অনুসারীরা তাকে উচ্চ সম্মানের সাথে ধরেছিল কারণ তিনি খুব নমনীয় এবং নম্র ছিলেন। হজরত আয়েশা (রা.) তার ভদ্র আচার-আচরণ সম্পর্কে বলেন, ‘নবী (সা.) রূঢ় বক্তা ছিলেন না, প্রয়োজনের সময়ও তিনি কঠোর ভাষা ব্যবহার করতেন না। প্রতিহিংসা তার সাথে ছিল না মোটেও। মন্দের বিনিময়ে ভালোই করেছেন। সব ক্ষেত্রেই তিনি ক্ষমা পছন্দ করতেন। তিনি লোকদেরকে উপদেশ দিয়েছিলেন, “আল্লাহর ইবাদত কর, করুণাময় প্রভু, ক্ষুধার্তকে খাবার দাও, সালাম দাও এবং এসব কাজের মাধ্যমে জান্নাতে প্রবেশ কর। তিনি উত্তর দিলেন, "ক্ষুধার্তকে খাওয়ানো এবং অপরিচিত সকলকে সালাম করা।" (বুখারী ও মুসলিম)। মহানবী (সা.)-এর মর্যাদাকে সম্মান করা মুসলমানদের ধর্মীয় কর্তব্য এবং প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানের মৌলিক অংশ।
মাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৩৩৪তম পর্বে নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে নিয়ামত কমে যাবে কি না, সে বিষয়ে ঢাকা থেকে চিঠির মাধ্যমে জানতে চেয়েছেন একজন দর্শক। অনুলিখন করেছেন জান্নাত আরা পাপিয়া। প্রশ্ন : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে? উত্তর : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা কুফরি। এটা বড় কুফরি না, ছোট কুফরি। যদি আল্লাহর বান্দারা আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করে থাকেন, তাহলে তাঁরা কুফরি কাজ করে থাকলেন। এ জন্য আল্লাহ কোরআনে স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘তোমরা আমার শুকরিয়া আদায় করো, আমার সঙ্গে কুফরি করো না।’ আল্লাহ যে নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন, আল্লাহর নিয়ামত লাভ করে সুন্দর জীবনযাপন করা, এটা যদি কেউ আল্লাহর কাছে সত্যিকার অর্থে তুলে ধরতে না পারে, তাহলে সে ব্যক্তি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া করলেন না, কুফরি করলেন। এই জন্য আল্লাহ সুরা দোহার শেষ আয়াতে বলেছেন, ‘তুমি তোমার রবের নিয়ামত প্রকাশ করো। কারণ, তোমার কাছে যখন নিয়ামত আসছে, তখন আল্লাহ পছন্দ করেন যে তুমি আল্লাহর এই নিয়ামতের বিষয়টি তুলে ধরবে।’ আল্লাহর কাছে বলবে, আল্লাহ আমাকে এই নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন। আল্লাহ নিয়ামতকে বান্দার কাছে তুলে ধরার জন্য বলেছেন, বহিঃপ্রকাশ করার জন্য বলেছেন। বহিঃপ্রকাশ দুই ধরনের হতে পারে। একটি হলো নিয়ামতের ব্যবহারের মাধ্যমে বহিঃপ্রকাশ করা। দ্বিতীয়ত, নিয়ামতের বিষয়টি হলো মানুষের কাছে নিয়ামত তুলে ধরবে। যাতে করে আল্লাহর প্রশংসা প্রকাশ পায়। নিয়ামতের শুকরিয়া যদি কেউ আদায় না করেন, তাহলে কুফরি হবে। আল্লাহ বলেছেন, যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করে থাক, তাহলে আমি আরো বৃদ্ধি করে দেব। বান্দারা যখন নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করবে, তখন আল্লাহ আরো নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করে দেন। আর যদি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা হয়, তাহলে আল্লাহ নিয়ামত কমিয়ে দেবেন এবং সেইসঙ্গে আরেকটি কঠিন বাণী আল্লাহ বলেছেন, ‘জেনে রাখো আল্লাহর কঠিন আজাবও তোমাদের জন্য অবধারিত থাকবে।’ নিয়ামতের শুকরিয়া শুধু মুখে আদায় করা যথেষ্ট নয়। কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর শুকরিয়া আমলের মাধ্যমে আদায় করো।’ সুতরাং বান্দারা শুকরিয়া আদায় করবে। শুকরিয়ার অনেকগুলো দিক রয়েছে, তার মধ্যে আমলের মাধ্যমে শুকরিয়া আদায় করা হলো শুকরিয়ার সর্বোচ্চ স্তর।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কাকুয়া ইউনিয়নে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে কাকুয়া হাই স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত এই মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন কাকুয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহাদত হোসেন সাহা। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল সদর আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এবং কেন্দ্রীয় বিএনপি’র প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। অনুষ্ঠানে জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজগর আলী, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক খন্দকার রাশেদুল আলম রাশেদ, সদর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-সচিব এডভোকেট আজিমুদ্দিন বিপ্লব, জেলা মহিলা দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মমতাজ করিম, কাকুয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান খাদেমুল ইসলাম এবং কাকুয়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে স্থানীয় বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী অংশগ্রহণ করেন। উপস্থিতরা সকলেই দেশরত্ন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করেন। অনুষ্ঠানে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, দেশে গণতন্ত্রের সুরক্ষা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। তারা আশা প্রকাশ করেন, বিএনপির নেত্রী দ্রুত সুস্থ হয়ে দেশের মানুষের জন্য আবারও সক্রিয় ভূমিকা পালন করবেন। মাহফিলের শেষে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালিত হয়, যেখানে উপস্থিত সকল নেতা-কর্মী দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করেন।
সাজিদ পিয়াল: টাঙ্গাইল জেলার সকল থানার অফিসার ইনচার্জদের (ওসি) বদলিজনিত বিদায় সংবর্ধনা। অত্যন্ত আন্তরিক ও মর্যাদাপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা পুলিশ, টাঙ্গাইল-এর আয়োজনে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের প্রশাসনিক ও পুলিশ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন টাঙ্গাইল জেলার পুলিশ সুপার জনাব মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার। অনুষ্ঠানে তিনি বিদায়ী অফিসার ইনচার্জদের দীর্ঘদিনের নিষ্ঠাপূর্ণ দায়িত্বপালনের প্রশংসা করেন এবং তাঁদের প্রতিটি থানায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ, জনসেবা, মানবিক আচরণ ও পেশাদারিত্বের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। বিদায়ী ওসিদের স্মৃতিচারণে বক্তারা বলেন, তাঁরা দায়িত্ব পালনকালে চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতেও ধৈর্য, দক্ষতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছেন। নানা গুরুত্বপূর্ণ অভিযান, অপরাধ দমন, অপরাধ তদন্তসহ থানা পরিচালনার ক্ষেত্রে তাঁদের অবদান জেলার পুলিশ প্রশাসনকে আরও শক্তিশালী করেছে। এসময় পুলিশ সুপার তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন— “জেলার সকল থানার অফিসার ইনচার্জগণ দায়িত্ব পালনকালে পেশাদারিত্ব, দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেছেন। প্রতিটি থানায় তাঁদের নেতৃত্বে জননিরাপত্তা রক্ষা ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা সহজ হয়েছে। তাঁদের ভবিষ্যৎ জীবন ও কর্মজীবনের সফলতা কামনা করছি।” অনুষ্ঠানে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বিদায়ী কর্মকর্তাদের হাতে সম্মাননা স্মারক ক্রেস্ট তুলে দেন পুলিশ সুপার। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, একজন ওসির ভূমিকা শুধু প্রশাসনিক দায়িত্বে সীমাবদ্ধ নয়; বরং একজন নেতৃত্বদাতা হিসেবে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। পরবর্তীতে টাঙ্গাইল জেলার সকল থানা’র নবাগত অফিসার ইনচার্জদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানান পুলিশ সুপার জনাব শামসুল আলম সরকার। তিনি নবাগতদের উদ্দেশে বলেন, দায়িত্ব পালনকালে সততা, মানবিকতা, সেবা ও শৃঙ্খলার মূলনীতি বজায় রেখে জনগণের আস্থা অর্জন করাই হবে তাঁদের প্রধান লক্ষ্য। সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তা, থানার প্রতিনিধিসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে বিদায়ী অফিসারদের বিদায় ও নবাগত ওসিদের জন্য শুভকামনা জানিয়ে আয়োজনের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
টাঙ্গাইলে নিত্যপণ্যের বাজারে আবারও অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজের দাম হঠাৎ বেড়ে গেলেও কমেছে সবজি, ডাল ও ডিমের দাম। চাল, আটা, চিনি ও মুরগির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। অন্যদিকে দেশীয় মাছের দাম বেড়ে গিয়ে সাধারণ ক্রেতাদের ওপর নতুন চাপ সৃষ্টি করেছে। শনিবার (৬ নভেম্বর) টাঙ্গাইলের পার্ক বাজার, সিটি বাজার, ছয়আনি বাজার, আমিন বাজার ও সন্তোষ বাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। সরকারি ঘোষণা ছাড়া প্রতিলিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৯ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ৫ লিটারের বোতলের দাম বেড়েছে ৪৩ টাকা এবং ২ লিটারের দাম বেড়েছে ১৮ টাকা। এখন দুই লিটারের বোতল বা ক্যান বিক্রি হচ্ছে ৩৭৫–৩৯৬ টাকায়। হঠাৎ এই মূল্যবৃদ্ধিতে সাধারণ ক্রেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। পেঁয়াজের বাজারেও উত্তাপ বেড়েছে। আমদানি না হওয়া এবং সরবরাহ সংকটকে কারণ দেখিয়ে ব্যবসায়ীরা পুরোনো পেঁয়াজের দাম কেজিতে ২০–৩০ টাকা বাড়িয়েছেন। বর্তমানে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০–১৪০ টাকায়। স্থানীয় পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা জানান,“এই মুহূর্তে বাজারে নতুন পাতাসহ পেঁয়াজ আসতে শুরু করেছে, তবে সরবরাহ খুবই কম। সরবরাহ বাড়লে দাম কমে যাবে।” বর্তমানে পাতাসহ নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি ৭০–৮০ টাকায়।অন্যদিকে, বাজারে শীতের সবজির সরবরাহ বাড়তে শুরু করায় বেশ কয়েকটি সবজির দাম কমেছে। গত সপ্তাহের তুলনায় বেগুন, শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি ও টমেটোর দামে উল্লেখযোগ্য পতন দেখা গেছে। লম্বা বেগুন: ৮০–১০০ টাকা থেকে কমে ৭০–৮০ টাকা,গোল বেগুন: ১২০ টাকা থেকে কমে ৮০–৯০ টাকা,সবুজ শিম: ৮০ টাকা থেকে কমে ৫৫–৬০ টাকা,রঙিন শিম: ১০০–১২০ টাকা থেকে কমে ৭০–৮০ টাকা,ফুলকপি (মাঝারি): ৫০–৬০ টাকা থেকে কমে ৪০–৪৫ টাকা,বাঁধাকপি: ৪০–৫০ টাকা থেকে কমে ৩০–৩৫ টাকা,টমেটো: ১২০–১৪০ টাকা থেকে কমে ৮০–১০০ টাকা,ডিমের দাম কমায় সাধারণ ক্রেতাদের স্বস্তি ফিরে এসেছে,ব্রয়লার মুরগি (কেজি): ১৫০–১৭০ টাকা বাজারে দেশীয় মাছের সরবরাহ বাড়লেও দাম কমেনি; বরং বেশকিছু মাছের দাম বেড়েছে। রুই, কাতলা, তেলাপিয়া, পাঙ্গাসসহ বেশিরভাগ মাছই ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। স্থানীয় ক্রেতাদের অভিযোগ—মুসলিম শীত মৌসুম শুরুর আগে থেকেই মাছের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো হচ্ছে। ক্রেতাদের অভিযোগ,তেল ও পেঁয়াজের দাম বাড়ায় তাদের বাজার খরচ বেড়েছে।সরকারিভাবে মূল্যতালিকা কঠোরভাবে কার্যকর না হওয়ায় অনেক দোকানে এক দোকানের সঙ্গে আরেক দোকানের দাম মিলছে না। সবজি ও ডিমের দাম কমায় কিছুটা স্বস্তি মিললেও মাছ–তেল–পেঁয়াজের বাজার তাদের চাপে ফেলছে অনেকেই মনে করছেন, বাজারে মনিটরিং জোরদার করা না হলে আগামী সপ্তাহে আরও কিছু নিত্যপণ্যের দাম বাড়তে পারে।