অনলাইন-বিকাশ প্রতারক চক্রের সক্রিয় এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) নোয়াখালী।
গ্রেপ্তার মো.শাহআলম (২৯) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার গজারিয়া গ্রামের উত্তর পাড়া মিয়া বাড়ির এরশাদ মিয়ার ছেলে।
সোমবার (১০ নভেম্বর) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নোয়াখালীর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান ।
এর আগে, গতকাল রবিবার বিকেলে বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী বাজারের করিমপুর রোড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পিবিআই জানায়, ২০২৩ সালে আসামি ভিকটিমের কাছে ফেইসবুক আইডি'র লিংক পাঠিয়ে ২শত টাকা চেয়ে পার্টটাইম কাজ করা যাবে বলে সম্মত করে টেলিগ্রাম আইডিতে যুক্ত করে। প্রথমে বিকাশ নাম্বারের মাধ্যমে ২০০ টাকার বিনিময়ে প্রথমবারে ২৬০ টাকার অনলাইন প্রোডাক্ট কিনলে লভ্যাংশসহ ৩৭০ বাদীকে বিকাশে ফেরত পাঠায়। এরই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন তারিখ ও সময় লেনদেন ও প্রোডাক্ট কেনাকাটা হয়।
ভুক্তভোগী অতিরিক্ত লাভের আশায় লোভে পড়ে সর্বশেষ ২০২৩ সালের ২১জুন সর্বশেষ ১৩ লাখ ৩৮ হাজার ৬৮৮ টাকা আসামির বিকাশ ও বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে পাঠায়। পরে বাদীকে টাকা বা প্রোডাক্ট ফেরত দেয়ার জন্য বার বার বা অনুরোধ করলে আসামি বিভিন্ন কৌশলে টাকা আটকে গেছে বলে কালক্ষেপণ করতে থাকে।
পরবর্তীতে সিটি ব্যাংক ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার আরশাদ আলী'র নামীয় একাউন্টে আরও ৩ লক্ষ টাকা জমা দিলে বাদীকে লভ্যাংশসহ সব টাকা একসাথে ফেরত পাঠাবে বললে ভিকটিমের সন্দেহ হয়। পরবর্তীতে বাদী সুধারাম মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
নোয়াখালীর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান আরও বলেন, আসামি উচ্চতর শিক্ষা অর্জনের জন্য চায়নার চংচিং ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি থেকে ইলেকট্রিক এন্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে সিজিপিএ ২.৭৩ পেয়ে স্নাতক কোর্স সম্পন্ন করেন। কোভিড-১৯ মহামারীর সময় তিনি দেশে চলে আসেন। কিছুদিন বেকার থাকার পর বেকার অবস্থায় অনলাইনে বিভিন্ন প্রতারণমুলক বিজ্ঞাপন দেখে তা থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রতারণার সাথে জড়িত হয়ে যান।
তারপর বিভিন্ন এ্যাপস দিয়ে মানুষকে পার্ট টাইম জব দেওয়ার কথা বলে উক্ত আসামি ও তাহার বড় ভাই নুর আলম অনলাইনে প্রতারণা করে টাকা নিত। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে প্রতারক চক্রের অন্যতম সক্রিয় সদস্য শাহআলমকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”
বাংলাদেশের বৃহৎ এনজিও সংস্থা "আশা"এর উদ্যোগে হয়ে গেল ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন যেখানে ফ্রিতে চিকিৎসা দেওয়া হয় এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবী এবং কর্মজীবী মানুষের মধ্যে। ২৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার সোনামুই গ্রামে সকাল থেকে এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন করা হয় আশায় এনজিও হেমনগর শাখার উদ্যোগে এটি বাস্তবায়িত করা হয়। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যকর্মী এবং মেডিকেল অফিসারসহ অন্যান্য সেবিকারা। আশা এনজিও কর্তৃক ক্যাম্পেইনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন "আশা" হেমনগর ব্রাঞ্চের পক্ষথেকে আশা এনজিওর এই ক্যাম্পেইনে গ্রামের সকল পেশাজীবীর মানুষেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্যাম্পেইনটিতে অংশগ্রহণ করেন এবং তারই মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সঠিক ভাবে নিরূপণ করতে সহযোগিতা করেন। আশা এনজিওর মাধ্যমে ক্যাম্পেইন করে মানুষের জন্য সময় উপযোগী এবং প্রয়োজনীয় একটি বিষয় হয়ে দাঁড়াবে যেটি গ্রামের মানুষের মধ্যে সচেতনতা এবং স্বাস্থ্য সঠিকভাবে পর্যালোচনা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই উদ্যোগে এলাকাবাসী অত্যন্ত প্রাণবন্ত ভাবে উৎফুল্ল প্রকাশ করেছে। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিকবৃন্দ এবং সাধারণ মানুষ। এবং তাদের ক্যাম্পেইন ডাক্তার সঠিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেছে। আশা এনজিও আগামী দিনগুলোর জন্য এইরকম ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ধাপ হিসাবে গণ্য হবে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদল সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লা পাড়া ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে সদর উপজেলার স্থানীয় বেতগঞ্জ বাজাএই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আবুল কাশেম দুলু সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এডভোকেট দীপংঙ্কর বনিক সুজিতের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক মনাজ্জির হোসেন। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সুহেল মিয়া, শাহজাহান মিয়া, এডভোকেট আব্দুল আহাদ জুয়েল, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মুজাব্বির হোসেন অপু, ইমরান হোসেন শ্যামল, বিপ্লব খান, মো:শামিম আহমদ, সেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক সাদিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতাউর চৌধুরী শাহীন প্রমুখ। এ ছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার আলম, লিয়াকত আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতহাব চৌধুরী হাসান, শাখাওয়াত হোসেন পলাশ, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইমন আহমেদ, ফয়সাল আহমেদ, মিছবাহ হোসেন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মহিম উদ্দিন, জেলা যুবদলের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মঈনুদ্দিন আহমেদ রিপন,সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আব্দুল কাইয়ুম সৌরভ, বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম, ময়না মিয়া,স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রুজেল আহমেদ, আবুল হাসনাত, জেলা ছাত্রদল নেতা ইয়াহিয়া হাসান প্রমুখ। এ সময় সদর উপজেলা ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন,বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের দুঃসময়ে যারা রাজপথে নির্যাতিত ও নিপিিতড় হয়েছেন, তাদের যথাযথ মূল্যায়নের ভিত্তিতেই ভবিষ্যতের ইউনিয়ন কমিটি গঠন করতে হবে। আওয়ামী লীগ ঘেঁষা বা ফ্যাসিস্টদের সাথে সম্পৃক্ত কোনো ব্যক্তিকে কমিটিতে রাখা যাবে না বলেও তারা দাবি জানান। দুর্দিনে যারা আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন তাদেরকে কমিটিতে মুল্যায়ন করা হবে। তারা বলেন,সুনামগঞ্জে জাতীয়তাবাদি শক্তির প্রাণপূরুষ এবং বিগত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে জেল জুলুম,হুলিয়া মাথায় নিয়ে এই সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা কেবল জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বর্তূমান জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৪(সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুলের নেতৃত্বে আমরা রাজপথে ছিলাম এবং আগামী নির্বাচনে এই আসনে জনপ্রিয় ধানের শীষের প্রার্থী একমাত্র নুরুল ইসলাম নুরুলকে বিএনপির প্রার্থী করতে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া,ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিকট তৃণমূলের নেতৃবৃন্দরা জোর দাবী জানান।
টাংগাইলের সখিপুরে বিভিন্ন কসমেটিক এবং নিত্য প্রয়োজনীয় প্রসাধনীর দোকানগুলোতে এক যোগে অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। ০৬ নভেম্বর ২০২৫ তারিখ সখিপুর উপজেলার সখিপুর বাজারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, টাঙ্গাইল কর্তৃক পরিচালিত এক অভিযানে অবৈধ ও নিষিদ্ধ প্রসাধন সামগ্রী বিক্রয়ের অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুযায়ী এক প্রতিষ্ঠানকে ১,০০,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং বিপুল সংখ্যক নকল প্রসাধন সামগ্রী জব্দ ও ধ্বংস করা হয়েছে। তাঁরা নিয়মিত ভাবে মনিটরিং করবে ।জনস্বার্থে সমগ্র জেলায় এ অভিযান অব্যাহত থাকবে ।
(২২ অক্টোবর) সকালে টাঙ্গাইল পৌর এলাকার পার্ক বাজার সংলগ্ন গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানটি পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল। তিনি তার বিশেষ মনিটরিং টিম নিয়ে দোকানে থাকা দইয়ের উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ না থাকা, বেশ কিছু পরিমাণ পচে যাওয়া দই দোকানে সংরক্ষণ করা এবং মিষ্টান্ন তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল পাওয়ার দায়ে টাঙ্গাইলের গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে, আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবেন। অভিযানে পৌর স্যানেটারি ইন্সপেক্টর ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ প্রসঙ্গে গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী স্বপ্নন কুমার ঘোষ জানান, সাধারণত তিনি খুচরা ভাবে দধি বিক্রি করে থাকেন। ফলে তৈরিকৃত দধিতে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ দেওয়া সম্ভব হয় না। তবে এখন থেকে দেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, উদ্ধারকৃত পচে যাওয়া দধিগুলো ফেলে দেওয়ার জন্য রাখা হয়েছিল। এছাড়া যে মিষ্টি তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল হাওয়া গেছে, সেটি বর্তমানে মিষ্টি তৈরীর কাজে ব্যাবহার করা হচ্ছে না। আমরা সবসময় চেষ্টাকরি গ্রাহককে সর্বোচ্চ মানের দধি ও মিষ্টান্ন সরবরাহ করার।
অনলাইন-বিকাশ প্রতারক চক্রের সক্রিয় এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) নোয়াখালী। গ্রেপ্তার মো.শাহআলম (২৯) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার গজারিয়া গ্রামের উত্তর পাড়া মিয়া বাড়ির এরশাদ মিয়ার ছেলে। সোমবার (১০ নভেম্বর) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নোয়াখালীর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান । এর আগে, গতকাল রবিবার বিকেলে বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী বাজারের করিমপুর রোড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পিবিআই জানায়, ২০২৩ সালে আসামি ভিকটিমের কাছে ফেইসবুক আইডি'র লিংক পাঠিয়ে ২শত টাকা চেয়ে পার্টটাইম কাজ করা যাবে বলে সম্মত করে টেলিগ্রাম আইডিতে যুক্ত করে। প্রথমে বিকাশ নাম্বারের মাধ্যমে ২০০ টাকার বিনিময়ে প্রথমবারে ২৬০ টাকার অনলাইন প্রোডাক্ট কিনলে লভ্যাংশসহ ৩৭০ বাদীকে বিকাশে ফেরত পাঠায়। এরই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন তারিখ ও সময় লেনদেন ও প্রোডাক্ট কেনাকাটা হয়। ভুক্তভোগী অতিরিক্ত লাভের আশায় লোভে পড়ে সর্বশেষ ২০২৩ সালের ২১জুন সর্বশেষ ১৩ লাখ ৩৮ হাজার ৬৮৮ টাকা আসামির বিকাশ ও বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে পাঠায়। পরে বাদীকে টাকা বা প্রোডাক্ট ফেরত দেয়ার জন্য বার বার বা অনুরোধ করলে আসামি বিভিন্ন কৌশলে টাকা আটকে গেছে বলে কালক্ষেপণ করতে থাকে। পরবর্তীতে সিটি ব্যাংক ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার আরশাদ আলী'র নামীয় একাউন্টে আরও ৩ লক্ষ টাকা জমা দিলে বাদীকে লভ্যাংশসহ সব টাকা একসাথে ফেরত পাঠাবে বললে ভিকটিমের সন্দেহ হয়। পরবর্তীতে বাদী সুধারাম মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। নোয়াখালীর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান আরও বলেন, আসামি উচ্চতর শিক্ষা অর্জনের জন্য চায়নার চংচিং ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি থেকে ইলেকট্রিক এন্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে সিজিপিএ ২.৭৩ পেয়ে স্নাতক কোর্স সম্পন্ন করেন। কোভিড-১৯ মহামারীর সময় তিনি দেশে চলে আসেন। কিছুদিন বেকার থাকার পর বেকার অবস্থায় অনলাইনে বিভিন্ন প্রতারণমুলক বিজ্ঞাপন দেখে তা থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রতারণার সাথে জড়িত হয়ে যান। তারপর বিভিন্ন এ্যাপস দিয়ে মানুষকে পার্ট টাইম জব দেওয়ার কথা বলে উক্ত আসামি ও তাহার বড় ভাই নুর আলম অনলাইনে প্রতারণা করে টাকা নিত। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে প্রতারক চক্রের অন্যতম সক্রিয় সদস্য শাহআলমকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়
০৩/১১/২০২৫ তারিখ সন্ধ্যা ৬টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব লাবিবুজ্জামান মুস্তাবীন ও নুসরাত জাহান কর্তৃক পরিচালিত এক অভিযানে "মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮" এর আওতায় ০৭ জন মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। টাঙ্গাইল সদর থানাধীন কান্দাপাড়া পতিতালয় ও হরিজন পল্লী সংলগ্ন এলাকায় পরিচালিত উক্ত অভিযানে সেনাবাহিনী, থানা পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, টাঙ্গাইল এর সমন্বয়ে ৪০ সদস্যের একটি টিম অংশ নেয়। জনস্বার্থে সমগ্র জেলায় এ অভিযান অব্যাহত রয়েছে । পতিতালয় ও মুচিপট্টিতে বিপুল মাদকদ্রব্য জব্দ, ৭ জন মাদক কারবাড়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ টাঙ্গাইলের কান্দাপাড়া পতিতালয় ও মুচিপট্টি এলাকায় মাদকবিরোধী যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ চোলাই মদ তৈরির উপকরণ, হেরোইনসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য জব্দ এবং সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।অভিযানে অংশ নেন টাঙ্গাইল সদর আর্মি ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন নাজমুস সাকিবের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি দল এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. সাইফুর রহমানসহ অধিদপ্তরের অন্যান্য সদস্যরা। অভিযানের সেনাবাহিনী, পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যদের তিন দলে বিভক্ত করা হয়। একটি দল কান্দাপাড়া পতিতালয়ে এবং দুটি দল মুচিপট্টির বিভিন্ন বাড়িতে অভিযান চালায়। মুচিপট্টির একটি বাড়ির আঙিনার মাটির নিচের সুরঙ্গ থেকে প্রায় ৩,০০০ লিটার চোলাই মদ তৈরির উপকরণ (ওয়াশ) উদ্ধার ও ধ্বংস করা হয়। এছাড়া ১০ লিটার চোলাই মদ এবং পাঁচ পুরিয়া হেরোইন জব্দ করা হয়। অভিযানে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় সাতজনকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাদণ্ড প্রদান করেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন— রফিকুল ইসলাম (৩ মাস), আমিনুল ইসলাম (৭ দিন),উত্তম রবিদাস (৬ দিন),শামিম (৭ দিন),শাকিব ইসলাম (৭ দিন),সাব্বির (৭ দিন)। এছাড়া বাড়ির মালিক লাসিয়া রবিদাসের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ এর ২০(গ) ধারায় টাঙ্গাইল সদর থানায় নিয়মিত মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লাবিবুজ্জামান মোস্তাবিন এবং পরিদর্শক মো. সাইফুর রহমান বলেন, “টাঙ্গাইলকে মাদকমুক্ত করার লক্ষ্যে এ ধরনের অভিযান নিয়মিতভাবে পরিচালনা করা হবে।
টাঙ্গাইলের সদর উপজেলার করটিয়া নামদার কুমিল্লি গ্রামে প্রেমের অভিযোগে কারাগারে থাকা যুবকের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে গ্রামবাসী। রোববার (২৬ অক্টোবর ২০২৫) করটিয়া ইউনিয়নের নামদার কুমিল্লি বাজারে এলাকাবাসীর উদ্যোগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এই মানববন্ধনে অংশ নেয় এলাকার শত শত মানুষ যেটি একটি অন্যরকম আলোড়নায় সৃষ্টি হয় এবং প্রশাসনকে উল্লেখ করে বলা হয় যে সোহাগের নামে যে মিথ্যা এবং অন্যায় ভাবে তাকে কারাগারে নির্যাতন করা হচ্ছে এর বিরুদ্ধে এলাকাবাসী সোচ্চার এবং তাকে ছেড়ে দেওয়া না হলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ার এলাকাবাসীর। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন গ্রামের হিতৈষী ব্যক্তিবর্গ হাফিজ উদ্দিন ভুইয়া, খলিলুর রহমান, আশরাফ আলী মিঞা,ফরিদ মিঞা ,মজিবর রহমান মিঞা, আবুল কালাম আজাদ, মো. জাহিদ মিয়া ও ফরিদ মিয়া প্রমুখ। নামদার কুমল্লী গ্রামের মো. সহিদুল ইসলামের ছেলে মো. সোহাগ মিয়া (২৩) দীর্ঘদিন ধরে একই গ্রামের মো. লোমান মিয়ার মেয়ে নাফিছা আক্তার লুবনার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িত ছিলেন। এই সম্পর্কের সূত্র ধরে লুবনা গত দুই বছরে একাধিকবার সোহাগের বাড়িতে গিয়েছিলেন। প্রতিবারই স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা মেয়েটিকে বুঝিয়ে তার বাবার বাড়িতে পৌঁছে দেন। সম্প্রতি লুবনা আবারও প্রেমিক সোহাগের কাছে চলে এলে ক্ষিপ্ত হয়ে তার পিতা লোমান মিয়া সোহাগের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অপহরণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর—নারী ও শিশু ১৫৭/২৫। বর্তমানে ওই মামলায় সোহাগ চার মাস ধরে টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে বন্দি আছেন। বক্তারা অভিযোগ করেন, মেয়ের পিতা প্রভাবশালী হওয়ায় তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রেমের সম্পর্ককে ‘অপহরণ’ আখ্যা দিয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। তারা অবিলম্বে সোহাগের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন এবং মুক্তি না পেলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন। মানববন্ধনে সোহাগের বাবা সহিদুল ইসলাম ও মা সুর্যভানু কান্নাজড়িত কণ্ঠে ছেলের মুক্তির আবেদন জানান। মানববন্ধন শেষে নামদার কুমিল্লি বাজার থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।