ঢাকার ঐতিহাসিক সমাবেশে পাকিস্তানের খ্যাতনামা আলেমরা কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে একক অবস্থান তুলে ধরেছেন। বক্তারা বলেন, “আমরা ভূগোলভিত্তিকভাবে আলাদা হলেও আমাদের কালেমার বন্ধন একই। পাকিস্তানে যেমন ব্রিটিশদের বিতাড়িত করে কাদিয়ানীদের মোকাবিলা করা হয়েছে, তেমনি বাংলাদেশও এই ফিতনা থেকে রক্ষা পাবে—ইনশাআল্লাহ।”
পাকিস্তানি আলেমরা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, এই সংগ্রাম শুধু সমাবেশে বসে বক্তৃতা দেওয়ার নয়, বরং সময় এসেছে এসব আলেমকে বাংলাদেশের সংসদে বসে খতমে নবুয়তের মামলা লড়ার মতো শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করার। তারা ঐতিহাসিক উদাহরণ টেনে বলেন, “মুফতি মাহমুদ, গুলাম গোস হাজদারভী, আল্লামা আজম তারিক—এরা সংসদে বসে নবুয়ত-সংক্রান্ত ফিতনার বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। আজ সেই দায়িত্ব বয়ে নিচ্ছেন মওলানা ফজলুর রহমান। বাংলাদেশেও এমন নেতৃত্ব দরকার।”
বক্তারা ঘোষণা করেন,
“আজ আপনারা মাঠে আছেন, কাল ইনশাআল্লাহ সংসদেও থাকবেন। খতমে নবুয়তের নিরাপত্তা পাহারা আপনাদের হাতেই হবে।”
তারা আরও স্পষ্ট করে বলেন,
“খতমে নবুয়ত মানে শুধু এ বিশ্বাস নয় যে হুজুর (সা.) শেষ নবী। বরং এর অর্থ হলো—তার পরে কেউ নবুয়ত দাবি করলে সে মিথ্যাবাদী, কাজ্জাব, দাজ্জাল, কাফের এবং মুরতাদ। আর যে তাকে মানে সেও কাফের, সেও মুরতাদ।”
পাকিস্তানের জাকির আলেমরা অঙ্গীকার করেন,
“খতমে নবুয়তের আকিদা রক্ষায় আমাদের মাথা কেটে গেলেও আমরা পিছু হটবো না। জামীতে উলেমায়ে ইসলাম পাকিস্তান এই লড়াই চালিয়ে যাবে কেয়ামত পর্যন্ত।”
সমাবেশ জুড়ে বক্তাদের কথায় ছিল দৃঢ় প্রতিশ্রুতি এবং মুসলিম উম্মাহকে এক আকিদার পতাকায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান।
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”
বাংলাদেশের বৃহৎ এনজিও সংস্থা "আশা"এর উদ্যোগে হয়ে গেল ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন যেখানে ফ্রিতে চিকিৎসা দেওয়া হয় এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবী এবং কর্মজীবী মানুষের মধ্যে। ২৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার সোনামুই গ্রামে সকাল থেকে এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন করা হয় আশায় এনজিও হেমনগর শাখার উদ্যোগে এটি বাস্তবায়িত করা হয়। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যকর্মী এবং মেডিকেল অফিসারসহ অন্যান্য সেবিকারা। আশা এনজিও কর্তৃক ক্যাম্পেইনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন "আশা" হেমনগর ব্রাঞ্চের পক্ষথেকে আশা এনজিওর এই ক্যাম্পেইনে গ্রামের সকল পেশাজীবীর মানুষেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্যাম্পেইনটিতে অংশগ্রহণ করেন এবং তারই মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সঠিক ভাবে নিরূপণ করতে সহযোগিতা করেন। আশা এনজিওর মাধ্যমে ক্যাম্পেইন করে মানুষের জন্য সময় উপযোগী এবং প্রয়োজনীয় একটি বিষয় হয়ে দাঁড়াবে যেটি গ্রামের মানুষের মধ্যে সচেতনতা এবং স্বাস্থ্য সঠিকভাবে পর্যালোচনা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই উদ্যোগে এলাকাবাসী অত্যন্ত প্রাণবন্ত ভাবে উৎফুল্ল প্রকাশ করেছে। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিকবৃন্দ এবং সাধারণ মানুষ। এবং তাদের ক্যাম্পেইন ডাক্তার সঠিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেছে। আশা এনজিও আগামী দিনগুলোর জন্য এইরকম ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ধাপ হিসাবে গণ্য হবে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদল সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লা পাড়া ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে সদর উপজেলার স্থানীয় বেতগঞ্জ বাজাএই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আবুল কাশেম দুলু সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এডভোকেট দীপংঙ্কর বনিক সুজিতের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক মনাজ্জির হোসেন। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সুহেল মিয়া, শাহজাহান মিয়া, এডভোকেট আব্দুল আহাদ জুয়েল, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মুজাব্বির হোসেন অপু, ইমরান হোসেন শ্যামল, বিপ্লব খান, মো:শামিম আহমদ, সেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক সাদিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতাউর চৌধুরী শাহীন প্রমুখ। এ ছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার আলম, লিয়াকত আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতহাব চৌধুরী হাসান, শাখাওয়াত হোসেন পলাশ, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইমন আহমেদ, ফয়সাল আহমেদ, মিছবাহ হোসেন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মহিম উদ্দিন, জেলা যুবদলের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মঈনুদ্দিন আহমেদ রিপন,সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আব্দুল কাইয়ুম সৌরভ, বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম, ময়না মিয়া,স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রুজেল আহমেদ, আবুল হাসনাত, জেলা ছাত্রদল নেতা ইয়াহিয়া হাসান প্রমুখ। এ সময় সদর উপজেলা ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন,বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের দুঃসময়ে যারা রাজপথে নির্যাতিত ও নিপিিতড় হয়েছেন, তাদের যথাযথ মূল্যায়নের ভিত্তিতেই ভবিষ্যতের ইউনিয়ন কমিটি গঠন করতে হবে। আওয়ামী লীগ ঘেঁষা বা ফ্যাসিস্টদের সাথে সম্পৃক্ত কোনো ব্যক্তিকে কমিটিতে রাখা যাবে না বলেও তারা দাবি জানান। দুর্দিনে যারা আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন তাদেরকে কমিটিতে মুল্যায়ন করা হবে। তারা বলেন,সুনামগঞ্জে জাতীয়তাবাদি শক্তির প্রাণপূরুষ এবং বিগত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে জেল জুলুম,হুলিয়া মাথায় নিয়ে এই সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা কেবল জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বর্তূমান জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৪(সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুলের নেতৃত্বে আমরা রাজপথে ছিলাম এবং আগামী নির্বাচনে এই আসনে জনপ্রিয় ধানের শীষের প্রার্থী একমাত্র নুরুল ইসলাম নুরুলকে বিএনপির প্রার্থী করতে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া,ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিকট তৃণমূলের নেতৃবৃন্দরা জোর দাবী জানান।
(২২ অক্টোবর) সকালে টাঙ্গাইল পৌর এলাকার পার্ক বাজার সংলগ্ন গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানটি পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল। তিনি তার বিশেষ মনিটরিং টিম নিয়ে দোকানে থাকা দইয়ের উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ না থাকা, বেশ কিছু পরিমাণ পচে যাওয়া দই দোকানে সংরক্ষণ করা এবং মিষ্টান্ন তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল পাওয়ার দায়ে টাঙ্গাইলের গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে, আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবেন। অভিযানে পৌর স্যানেটারি ইন্সপেক্টর ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ প্রসঙ্গে গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী স্বপ্নন কুমার ঘোষ জানান, সাধারণত তিনি খুচরা ভাবে দধি বিক্রি করে থাকেন। ফলে তৈরিকৃত দধিতে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ দেওয়া সম্ভব হয় না। তবে এখন থেকে দেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, উদ্ধারকৃত পচে যাওয়া দধিগুলো ফেলে দেওয়ার জন্য রাখা হয়েছিল। এছাড়া যে মিষ্টি তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল হাওয়া গেছে, সেটি বর্তমানে মিষ্টি তৈরীর কাজে ব্যাবহার করা হচ্ছে না। আমরা সবসময় চেষ্টাকরি গ্রাহককে সর্বোচ্চ মানের দধি ও মিষ্টান্ন সরবরাহ করার।
“মিস এন্ড মিসেস এলিগেন্স বাংলাদেশ সিজন ওয়ান”–এ প্রথম রানার্সআপ আদ্রিজা আফরিন সিনথিয়া দেশের আয়োজিত বর্ণাঢ্য প্রতিযোগিতা “মিস এন্ড মিসেস এলিগেন্স বাংলাদেশ সিজন ওয়ান”-এ প্রথম রানার্সআপের মুকুট জয় করলেন তরুণ ফ্যাশন মডেল আদ্রিজা আফরিন সিনথিয়া। ফ্যাশন জগতে ইতিমধ্যেই তিনি নিজেকে প্রমাণ করেছেন বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে কাজ করে। শুধু মডেলিং নয়, সিনথিয়া অভিনয়ের ক্ষেত্রেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন বুকে লালন করছেন। ইতোমধ্যে তিনি সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত সাদেক সিদ্দিকীর পরিচালনায় “দেনা পাওনা” সিনেমায় অভিনয় করছেন। রানার্সআপের মুকুট মাথায় পরার পর আবেগে আপ্লুত সিনথিয়া জানান—ঢালিউড কুইন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস আমাকে মুকুট পড়িয়ে দিয়েছেন এই আনন্দ আমি বুঝাতে পারবো না। “এই সাফল্য আমার জন্য অনেক বড় অর্জন। তবে আমি শুধু এখানেই থেমে থাকতে চাই না। আমি চাই নিজেকে মিডিয়া অঙ্গনে আরও দূর, বহুদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে। দেশবাসীর কাছে আমি দোয়া চাই।” আজকের এই অর্জন আমি আবার মা বাবা পরিবার এবং আমাকে যারা সাপোর্ট করেছেন তাদেরকে উৎসর্গ করতে চাই। বহু বাধা ও প্রতিকূলতা পেরিয়ে আজকের এই অবস্থানে পৌঁছেছেন সিনথিয়া। তাঁর অদম্য চেষ্টা, আত্মবিশ্বাস আর স্বপ্নই তাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ফ্যাশন থেকে চলচ্চিত্র—সব জায়গাতেই আলো ছড়ানোর ইচ্ছে তার। বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে সিনথিয়া এখন এক অনুপ্রেরণার নাম। তাঁর কথায়— “এই মুকুট আমার স্বপ্নযাত্রার প্রথম ধাপ মাত্র। সামনে আরও অনেক পথ, আরও অনেক লড়াই।”
ঢাকার ঐতিহাসিক সমাবেশে পাকিস্তানের খ্যাতনামা আলেমরা কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে একক অবস্থান তুলে ধরেছেন। বক্তারা বলেন, “আমরা ভূগোলভিত্তিকভাবে আলাদা হলেও আমাদের কালেমার বন্ধন একই। পাকিস্তানে যেমন ব্রিটিশদের বিতাড়িত করে কাদিয়ানীদের মোকাবিলা করা হয়েছে, তেমনি বাংলাদেশও এই ফিতনা থেকে রক্ষা পাবে—ইনশাআল্লাহ।” পাকিস্তানি আলেমরা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, এই সংগ্রাম শুধু সমাবেশে বসে বক্তৃতা দেওয়ার নয়, বরং সময় এসেছে এসব আলেমকে বাংলাদেশের সংসদে বসে খতমে নবুয়তের মামলা লড়ার মতো শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করার। তারা ঐতিহাসিক উদাহরণ টেনে বলেন, “মুফতি মাহমুদ, গুলাম গোস হাজদারভী, আল্লামা আজম তারিক—এরা সংসদে বসে নবুয়ত-সংক্রান্ত ফিতনার বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। আজ সেই দায়িত্ব বয়ে নিচ্ছেন মওলানা ফজলুর রহমান। বাংলাদেশেও এমন নেতৃত্ব দরকার।” বক্তারা ঘোষণা করেন, “আজ আপনারা মাঠে আছেন, কাল ইনশাআল্লাহ সংসদেও থাকবেন। খতমে নবুয়তের নিরাপত্তা পাহারা আপনাদের হাতেই হবে।” তারা আরও স্পষ্ট করে বলেন, “খতমে নবুয়ত মানে শুধু এ বিশ্বাস নয় যে হুজুর (সা.) শেষ নবী। বরং এর অর্থ হলো—তার পরে কেউ নবুয়ত দাবি করলে সে মিথ্যাবাদী, কাজ্জাব, দাজ্জাল, কাফের এবং মুরতাদ। আর যে তাকে মানে সেও কাফের, সেও মুরতাদ।” পাকিস্তানের জাকির আলেমরা অঙ্গীকার করেন, “খতমে নবুয়তের আকিদা রক্ষায় আমাদের মাথা কেটে গেলেও আমরা পিছু হটবো না। জামীতে উলেমায়ে ইসলাম পাকিস্তান এই লড়াই চালিয়ে যাবে কেয়ামত পর্যন্ত।” সমাবেশ জুড়ে বক্তাদের কথায় ছিল দৃঢ় প্রতিশ্রুতি এবং মুসলিম উম্মাহকে এক আকিদার পতাকায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান।
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলন কয়েক ঘণ্টা আগে আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়েছে। সকাল ৯টায় শুরু হওয়া সম্মেলনটিতে লাখো মানুষের অংশগ্রহণে পুরো উদ্যানে জনসমুদ্রের মতো দৃশ্য তৈরি হয়। ভোর থেকে দেশের নানা প্রান্ত থেকে মানুষের ঢল নেমে আসে, যা সমাবেশ শেষ হওয়া পর্যন্ত ভরদুপুরেও অব্যাহত ছিল। সম্মিলিত খতমে নবুওয়ত পরিষদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ মহাসম্মেলনে আলেম-ওলামা, মাদরাসা শিক্ষার্থী, বিভিন্ন পেশার মানুষ এবং ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ব্যাপক অংশগ্রহণ ছিল। আয়োজকরা জানিয়েছেন, শান্তিপূর্ণভাবে সব আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে। সম্মেলনে কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা ও খতমে নবুওয়তের আকিদা রক্ষার দাবিই ছিল প্রধান বিষয়। দিনব্যাপী বিভিন্ন দেশ থেকে আগত শীর্ষ আলেমরা বক্তৃতায় এই দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন। বিদেশি অতিথিদের মধ্যে ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ, পাকিস্তানের বিন্নুরি টাউন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, মিসরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। বাংলাদেশ থেকে শীর্ষ আলেমরা বক্তব্য দেন এবং সম্মেলনকে সফল করতে সার্বিক সহযোগিতা করেন। সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন সম্মিলিত খতমে নবুওয়ত পরিষদের আহ্বায়ক আল্লামা আবদুল হামিদ মধুপুর পীর। দোয়া ও শান্তির আহ্বানের মধ্য দিয়ে মহাসম্মেলন আনুষ্ঠানিকভাবে সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়। আয়োজক কমিটি জানিয়েছে—লাখো মানুষের উপস্থিতি, শৃঙ্খলাবদ্ধ আয়োজন এবং বৈশ্বিক আলেমসমাজের অংশগ্রহণ এ সম্মেলনকে একটি স্মরণীয় ঐতিহাসিক অনুষ্টানে পরিণত করেছে।
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে আব্দুর রহমান খান ছাত্র কাফেলার উদ্যোগে বার্ষিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা-২০২৫ এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সকালে বিশিষ্ট শিল্পপতি ও শিক্ষানুরাগী মোঃ নুরুজ্জামান খান রানা'র সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং ঘাগড়া পোড়াবাড়ীয়া আব্দুর রহমান খান ইসলামিয়া মাদরাসার মুহতামিম মুফতি মোস্তাফিজুর রহমান (চরবহুলী) সভাপতিত্বে মাদ্রাসার প্রাঙ্গণে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। মোট ৭টি বিষয়ে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানটি স্পন্সর করছেন "পিবাড়ীয়া গ্রুপ "। এ প্রতিযোগিতায় শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। গ্রুপভিত্তিক বিচারক হিসেবে ছিলেন মাদ্রাসার সকল শিক্ষকগণ। এছাড়াও অভিভাবক সম্মেলন ও বদরী কাফেলার পুনর্মিলনী আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী অভিভাবকবৃন্দ এবং মাদরাসা-মসজিদ পরিচালনা কমিটির দায়িত্বশীলগণ আন্তরিক অভিমত ও মূল্যবান পরামর্শ প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতি মুফতি মোস্তাফিজুর রহমান (চরবহুলী) বলেন, এই প্রতিযোগিতা মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের জ্ঞান, চিন্তাশক্তি এবং সৃজনশীলতা প্রকাশের সুযোগ পায়। তিনি উক্ত মাদরাসার শিক্ষা কার্যক্রম, অবকাঠামো উন্নয়ন, কমিটির দায়িত্ব, ছাত্রদের পড়ালেখা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বিষয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ঈমানদীপ্ত দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। শেষে পুরস্কার বিতরণ পর্বে বিজয়ী শিক্ষার্থীর হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। এদিকে কেন্দ্রীয় বেফাক পরীক্ষায় কৃতিত্ব উক্ত মাদরাসার তিনজন মেধাবী ছাত্র বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় সম্মিলিত মেধা তালিকায় স্থান অর্জন করায় এই কৃতিত্বকে সম্মান জানাতে মাদরাসার পক্ষ থেকে যথাক্রমে নগদ ১০,০০০/- ও ৫,০০০/- টাকা এবং বোর্ডের পক্ষ থেকে এককালীন বৃত্তি প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে বিচারকমণ্ডলী, মাদরাসার শিক্ষকমন্ডলী, মাদ্রাসা–মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্যবৃন্দ, সুধীজনসহ মুসল্লিরা উপস্থিত ছিলেন