২০১৩ সালের ৫ ও ৬ মে রাজধানীর মতিঝিল শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে গণহত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদ, সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদসহ ৫০ জনের বেশি ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কাছে এই অভিযোগ দায়ের করেন হেফাজতে ইসলামের নেতা জুনায়েদ আল হাবিব।
হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক বলেন, “২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরের সেই মর্মান্তিক ঘটনা বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অভিশপ্ত অধ্যায়। সেদিন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছিল। আমি নিজে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে এই হত্যাকাণ্ড প্রত্যক্ষ করেছি।”
তিনি আরো উল্লেখ করেন, “শহীদদের স্বজনরা আজও ন্যায়বিচারের অপেক্ষায় আছে। অনেক পরিবার তাদের প্রিয়জনদের লাশ পর্যন্ত খুঁজে পায়নি। আমরা আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ন্যায়বিচার চাইতে এসেছি।”
২০১৩ সালের ৫ মে রাজধানীর শাপলা চত্বরে হাজার হাজার হেফাজতকর্মী জড়ো হয়েছিলেন। সেদিন গভীর রাতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে ব্যাপক অভিযান চালানো হয়। অভিযোগে বলা হয়, এই অভিযানে গণহত্যা চালানো হয় এবং বহু মানুষ নিহত হন।
হেফাজতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই ঘটনার বিচারের জন্য অপেক্ষা করেছেন। এখন এই ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং অভিযুক্ত অন্যান্যদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়েছে।
এই অভিযোগ দায়েরের মাধ্যমে ২০১৩ সালের ওই ঘটনার ন্যায়বিচারের দাবি নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে। সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।