রহস্যজনক মৃত্যুর বিচারের দাবীতে, দুর্গাপুরে মানববন্ধন নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার বারমারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চন্দন দাস (রাখাল) (৫৭) ময়মনসিংহের সিবিএমসি হাসপাতালে পাঁচদিন নিবিড় পর্যবেক্ষনে থেকে মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা ০৭ ঘটিকায় মৃত্যুবরণ করেন। স্যারকে ময়মনসিংহে নেয়ার সময় তার বাম হাতে ও গলায় বিভিন্ন কাটা চিহ্ন থাকায় এই মৃত্যু রহস্যজনক দাবী করে, এলাকাবাসী ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আয়োজনে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে সীমান্তবর্তী বারোমারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ কর্মসুচী অনুষ্ঠিত হয়। চন্দন কুমার দাস পৌরশহরের ৪নং ওয়ার্ডের আমলাপাড়া এলাকার মৃত চন্দ্র শেখর দাসের বড় ছেলে। ওই স্কুলের শিক্ষক ও স্থানীয়রা জানান, গত শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সকাল ১০ ঘটিকার সময় প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী শেলী রানী দাস স্কুলের এক শিক্ষক কে মুঠোফোনে বলেন, তাঁর স্বামী অসুস্থ্য দ্রুত তাঁর বাসায় চলে আসতে। পরবর্তিতে ওই শিক্ষক হেড স্যার অসুস্থ্য বলে তার অন্যান্য শিক্ষকদের নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বাসায় যান, হেড স্যারের স্ত্রী তাদের স্যার কে দেখতে বারণ করেন এবং তাড়াাতাড়ি ডাক্তার কে খবর দিতে বলেন। পরে এলাকাবাসী এবং ওই সহকারী শিক্ষকগণ স্যারকে হাসপাতালে নিতে চাইলে তার স্ত্রী হাসপাতালে না নিয়ে বাড়িতেই ডাক্তার আনতে বলেন। পরবর্তিতে এ বিষয়টি কারো কারো সন্দেহ হলে, একপ্রকার জোর করেই কয়েকজন ঘরে প্রবেশ করে দেখতে পান, স্যারের শরীর প্রায় ঠান্ডা হয়ে আসছে। ওনার হাতে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে কাঁটাচিহ্ন রয়েছে এবং রক্ত ঝড়ছে। পরে দ্রুত অটোরিক্সাযোগে তাকে দুর্গাপুর সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে, রোগীর অবস্থার অবনতি দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য রোগীকে দ্রুত ময়মনসিংহে নেয়ার পরমর্শ দেন। পরবর্তিতে রোগীর স্বজনরা দুপুর ১২ঘটিকার দিকে এ¤ু^লেন্সের মাধ্যমে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহে নিয়ে কমিউনিটি বেসড মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। প্রায় ৫দিন নিবিড় পর্যবেক্ষনে থেকেও তাঁকে বাঁচাতে পারেননি চিকিৎসকগন। একাধিক এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে প্রচন্ড বাগ-বিতন্ডতা শুনতে পাই এবং কিছু জিনিষপত্র ভাংচুরেরও শব্দ পেয়েছি। তবে মাঝে মধ্যেই তার স্ত্রীর এমন আচরণ আমরা লক্ষ করি। যার কারনে আমরা ওইদিন রাতে ওই বাড়িতে কেউই যাইনি। পরদিন সকালে বিস্তারিত জানতে পারি। প্রধান শিক্ষকের সহকর্মী মোজাম্মেল মাস্টার বলেন, চন্দন স্যারকে তার বাসা থেকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে নেয়ার পর দেখতে পাই তার গলায় এবং বাম হাতে কাটা চিহ্ন রয়েছে এবং কাটার ক্ষতস্থান দিয়ে তখনো রক্ত ঝরছিলো, সেইসাথে মুখ দিয়ে গন্ধযুক্ত লালা বেরোচ্ছো। তিনি আরও বলেন, প্রধান শিক্ষককে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন সহ চেতনানাশক কোন কিছু খাওয়ানো হয়ে থাকতে পারে। আমাদের স্যারকে হয়তো অজ্ঞান করার পর, নির্যাতনও করা হয়েছে। স্যারের মৃত্যু রহস্যজনক, আমরা শিক্ষক সমাজ, এলাকাবসী ও স্কুলের শিক্ষার্থীদের একটাই দাবী তদন্ত সাপেক্ষে এর দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি। ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমরা এই মৃত্যু মেনে নিতে পারছিনা। গভীর উদ্বেগ প্রকাশ সহ ন্যায় বিচারের দাবীতে বারোমারী এলাকায় আমরা মানবন্ধন শুরু করেছি। এই মৃত্যু রহস্যজনক। প্রশাসন অনতিবিলম্বে যদি দোষিদের গ্রেফতার না করে, তাহলে পুরো উপজেলায় হরতাল দিবো। দুর্গাপুরের প্রানপ্রিয় প্রধান শিক্ষকের নির্যাতনে জড়িত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে, তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা অচিরেই নিতে হবে। উপজেলা বিএনপি‘র সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন মুকুল বলেন, চন্দন দাস আমার প্রতিবেশি, তার ছোট ভাই টুকন চন্দ্র দাস গত ছয় মাস আগে আকষ্মিক মৃত্যুবরণ করেন। বিবাহিত জীবনে চন্দন দাসের কোন সন্তানাদি না থাকায়, একমাত্র ছোট ভাইয়ের মেয়ে টুম্পা দাস কে নিজের মেয়ের মতো লালন পালন করতেন। এটি দেখেই তার স্ত্রী শেলী দাস, ঈর্ষান্বিত হয়ে প্রায়ই ওই শিক্ষকের সাথে ঝগড়া বিবাদ করে সংসারে অশান্তি লাগিয়ে রাখতেন। আমরা এই মৃত্যুর বিচার চাই। উল্লেখ্য : গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রাখাল স্যার স্কুলে ক্লাশ নিয়েছেন। স্যারের এই হঠাৎ মৃত্যু আমরা মেনে নিতে পারছিনা। প্রাণপ্রিয় প্রধান শিক্ষক রাখাল স্যারের মরদেহ এক নজর দেখার জন্য, পৌরশহরের প্রেসক্লাব মোড়ে গতকাল রাত থেকে আজকে বিকাল পর্যন্ত শত শত মানুষ দাঁড়িয়ে রয়েছে। এছাড়া রাখাল স্যারের মৃত্যুর তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবীতে উপজেলার বিভিন্ন স্কুলে মানববন্ধন চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন ওই স্কুলের সহকারি শিক্ষক সাইদ হাসান।
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”
বাংলাদেশের বৃহৎ এনজিও সংস্থা "আশা"এর উদ্যোগে হয়ে গেল ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন যেখানে ফ্রিতে চিকিৎসা দেওয়া হয় এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবী এবং কর্মজীবী মানুষের মধ্যে। ২৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার সোনামুই গ্রামে সকাল থেকে এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন করা হয় আশায় এনজিও হেমনগর শাখার উদ্যোগে এটি বাস্তবায়িত করা হয়। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যকর্মী এবং মেডিকেল অফিসারসহ অন্যান্য সেবিকারা। আশা এনজিও কর্তৃক ক্যাম্পেইনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন "আশা" হেমনগর ব্রাঞ্চের পক্ষথেকে আশা এনজিওর এই ক্যাম্পেইনে গ্রামের সকল পেশাজীবীর মানুষেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্যাম্পেইনটিতে অংশগ্রহণ করেন এবং তারই মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সঠিক ভাবে নিরূপণ করতে সহযোগিতা করেন। আশা এনজিওর মাধ্যমে ক্যাম্পেইন করে মানুষের জন্য সময় উপযোগী এবং প্রয়োজনীয় একটি বিষয় হয়ে দাঁড়াবে যেটি গ্রামের মানুষের মধ্যে সচেতনতা এবং স্বাস্থ্য সঠিকভাবে পর্যালোচনা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই উদ্যোগে এলাকাবাসী অত্যন্ত প্রাণবন্ত ভাবে উৎফুল্ল প্রকাশ করেছে। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিকবৃন্দ এবং সাধারণ মানুষ। এবং তাদের ক্যাম্পেইন ডাক্তার সঠিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেছে। আশা এনজিও আগামী দিনগুলোর জন্য এইরকম ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ধাপ হিসাবে গণ্য হবে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদল সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লা পাড়া ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে সদর উপজেলার স্থানীয় বেতগঞ্জ বাজাএই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আবুল কাশেম দুলু সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এডভোকেট দীপংঙ্কর বনিক সুজিতের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক মনাজ্জির হোসেন। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সুহেল মিয়া, শাহজাহান মিয়া, এডভোকেট আব্দুল আহাদ জুয়েল, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মুজাব্বির হোসেন অপু, ইমরান হোসেন শ্যামল, বিপ্লব খান, মো:শামিম আহমদ, সেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক সাদিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতাউর চৌধুরী শাহীন প্রমুখ। এ ছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার আলম, লিয়াকত আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতহাব চৌধুরী হাসান, শাখাওয়াত হোসেন পলাশ, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইমন আহমেদ, ফয়সাল আহমেদ, মিছবাহ হোসেন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মহিম উদ্দিন, জেলা যুবদলের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মঈনুদ্দিন আহমেদ রিপন,সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আব্দুল কাইয়ুম সৌরভ, বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম, ময়না মিয়া,স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রুজেল আহমেদ, আবুল হাসনাত, জেলা ছাত্রদল নেতা ইয়াহিয়া হাসান প্রমুখ। এ সময় সদর উপজেলা ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন,বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের দুঃসময়ে যারা রাজপথে নির্যাতিত ও নিপিিতড় হয়েছেন, তাদের যথাযথ মূল্যায়নের ভিত্তিতেই ভবিষ্যতের ইউনিয়ন কমিটি গঠন করতে হবে। আওয়ামী লীগ ঘেঁষা বা ফ্যাসিস্টদের সাথে সম্পৃক্ত কোনো ব্যক্তিকে কমিটিতে রাখা যাবে না বলেও তারা দাবি জানান। দুর্দিনে যারা আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন তাদেরকে কমিটিতে মুল্যায়ন করা হবে। তারা বলেন,সুনামগঞ্জে জাতীয়তাবাদি শক্তির প্রাণপূরুষ এবং বিগত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে জেল জুলুম,হুলিয়া মাথায় নিয়ে এই সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা কেবল জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বর্তূমান জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৪(সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুলের নেতৃত্বে আমরা রাজপথে ছিলাম এবং আগামী নির্বাচনে এই আসনে জনপ্রিয় ধানের শীষের প্রার্থী একমাত্র নুরুল ইসলাম নুরুলকে বিএনপির প্রার্থী করতে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া,ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিকট তৃণমূলের নেতৃবৃন্দরা জোর দাবী জানান।
(২২ অক্টোবর) সকালে টাঙ্গাইল পৌর এলাকার পার্ক বাজার সংলগ্ন গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানটি পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল। তিনি তার বিশেষ মনিটরিং টিম নিয়ে দোকানে থাকা দইয়ের উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ না থাকা, বেশ কিছু পরিমাণ পচে যাওয়া দই দোকানে সংরক্ষণ করা এবং মিষ্টান্ন তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল পাওয়ার দায়ে টাঙ্গাইলের গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে, আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবেন। অভিযানে পৌর স্যানেটারি ইন্সপেক্টর ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ প্রসঙ্গে গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী স্বপ্নন কুমার ঘোষ জানান, সাধারণত তিনি খুচরা ভাবে দধি বিক্রি করে থাকেন। ফলে তৈরিকৃত দধিতে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ দেওয়া সম্ভব হয় না। তবে এখন থেকে দেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, উদ্ধারকৃত পচে যাওয়া দধিগুলো ফেলে দেওয়ার জন্য রাখা হয়েছিল। এছাড়া যে মিষ্টি তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল হাওয়া গেছে, সেটি বর্তমানে মিষ্টি তৈরীর কাজে ব্যাবহার করা হচ্ছে না। আমরা সবসময় চেষ্টাকরি গ্রাহককে সর্বোচ্চ মানের দধি ও মিষ্টান্ন সরবরাহ করার।
সাজিদ পিয়াল: গোপালপুর উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে ২৭/১০/২০২৬ইং তারিখে গোপালপুর উপজেলা ও পৌর মৎস্যজীবী দল এর উদ্যোগে বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশ নায়ক তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়ন উপলক্ষে লিফলেট বিতরণের প্রস্তুতি মিটিংয়ের আয়োজন করা হয়। উক্ত মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন মোঃ শফিকুল ইসলাম সভাপতি গোপালপুর উপজেলা মৎস্যজীবী দল সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাজিম তালুকদার মোঃ দোলয়ার হোসেন সহ সভাপতি গোপালপুর উপজেলা মৎস্যজীবী দল যুগ্ম সম্পাদক রেজাউল করিম মোঃমারুফ হোসেন সাধারণ সম্পাদক পৌর মৎস্যজীবী দল আরো উপস্থিত ছিলেন গোপালপুর উপজেলার সকল ইউনিয়ন ওয়ার্ড মৎস্যজীবীদলের নেতৃবৃন্দ।
সাজিদ পিয়াল: দেলদুয়ারে নদীর তীর থেকে অবৈধ মাটি উত্তোলন রোধে মোবাইল কোর্ট অভিযান ধানকী মহেড়া ও বারপাখিয়ায় অভিযান, ভেকু সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা দেলদুয়ার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫: দেলদুয়ার উপজেলাধীন ডুবাইল ইউনিয়নের ধানকী মহেড়া এবং এলাসিন ইউনিয়নের বারপাখিয়া এলাকায় নদীর তীর থেকে ভেকু ব্যবহার করে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন বন্ধে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানের সময় ঘটনাস্থলে একটি ভেকু উদ্ধার করা হয়। মালিকানা প্রমাণ করতে না পারায় উক্ত ভেকুটি সাময়িকভাবে কাজের অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জোহরা সুলতানা যূথী এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোহাইমিনুল ইসলাম। এছাড়াও অভিযান চলাকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় ও উপজেলা ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং দেলদুয়ার থানার পুলিশ সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেনআজ ২৫ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে দেলদুয়ার উপজেলাধীন "ডুবাইল" ইউনিয়নের ধানকী মহেড়া নামক স্থানে নদীর পাড় হতে ভেকু দ্বারা অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন বন্ধে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে ঘটনাস্থলে একটি ভেকু পাওয়া যায় এবং মালিকানা দাবি না করায় উক্ত ভেকুটি সাময়িকভাবে কাজের অযোগ্য করে দেয়া হয়। পরবর্তীতে "এলাসিন" ইউনিয়নের বারপাখিয়া নামক স্থানেও এ অভিযান অব্যাহত থাকে। অভিযান পরিচালনা করেন দেলদুয়ার উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব জোহরা সুলতানা যূথী ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) জনাব মোঃ মোহাইমিনুল ইসলাম। এছাড়া উক্ত অভিযানে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় ও উপজেলা ভূমি অফিসের কর্মচারীসহ দেলদুয়ার থানার পুলিশ সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা প্রশাসন এই ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখার মাধ্যমে নদী সংরক্ষণ এবং মাটি সংক্রান্ত আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মগড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এম আনিসুর রহমান উত্তমের স্ত্রী লিলি আক্তার (৪০) হত্যা মামলার এক আসামী গ্রেফতার হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীর নাম লেবু মিয়া (৩৫)। সে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার পৌলি দক্ষিনপাড়া গ্রামের সোনা মিয়ার ছেলে। বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) বিকেলে টাঙ্গাইল পৌর শহরের আনসার ক্যাম্প সড়কে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব।গ্রেফতারকৃত লেবু মিয়া টাঙ্গাইলের পল্লী বিদ্যুতের ঠিকাদার মোস্তাক আহমেদ রানা হত্যা মামলারও আসামী। শুক্রবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে সিপিসি-৩ র্যাব-১৪ টাঙ্গাইল ক্যাম্প হতে দেয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, গত (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মগড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এম আনিসুর রহমান উত্তমের স্ত্রী লিলি আক্তারকে (৪০) কুইজবাড়ি গ্রামে নিজেদের বিস্কুট ফ্যাক্টরির সামনে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর আঘাত করে পালিয়ে যায়। এছাড়া গত (২৬ মে) টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বেলটিয়া বাড়ি মোড়ে পল্লী বিদ্যুতের ঠিকাদার মোস্তাক আহমেদ রানা কুপিয়ে আহত করে অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা। পরে সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। দুটি ঘটনায় টাঙ্গাইল সদর থানায় দুটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলা দায়েরের পর ছায়া তদন্ত শুরু করে সিপিসি-৩ র্যাব-১৪ টাঙ্গাইল ক্যাম্প। তদন্তে দুটি হত্যাকান্ডের ঘটনায় লেবু মিয়াকে সন্দিগ্ধ করা হয়। বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) বিকেলে টাঙ্গাইল পৌর শহরের আনসার ক্যাম্প সড়কে অভিযান পরিচালনা করে আসামী লেবু মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টাঙ্গাইল জেলার সদর থানার তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
টাঙ্গাইলের সখিপুরে সিগার্ল রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা ভিলেজ, কামালিয়াচালা থেকে কর্মরত ওয়েল্ডিং কর্মী সনজিৎ মোহন্তের (৫২) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার বেলা ১১টার দিকে মৃত অবস্থায় তাঁকে সখিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে জরুরি বিভাগের ডাক্তার তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। জরুরি বিভাগের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মোস্তফা কামাল জানান, হাসপাতালে আনার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। পরে লা*শটি সখিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।