Search : কালিহাতী

"কালিহাতীতে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনে দাবিতে মশাল মিছিল" - পর্তুগাল বিএনপির আহব্বায়কের তীব্র নিন্দা
রাজনীতি
"কালিহাতীতে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনে দাবিতে মশাল মিছিল" - পর্তুগাল বিএনপির আহব্বায়কের তীব্র নিন্দা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে বিএনপির মনোনয়ন বিতর্কের মধ্যে দিয়ে গত ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ ইং তারিখে কালিহাতীতে অবরোধ ও মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই কর্মসূচি নির্দেশ প্রদান করেন এ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী ও বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটো। তারা বিএনপির মনোনীত প্রার্থী লুৎফর রহমান মতিনের মনোনয়ন বাতিল চেয়ে টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়ক অবরোধ করেন। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন পর্তুগাল বিএনপির আহ্বায়ক ও টাঙ্গাইল জেলা জাতীয়তাবাদী ফোরাম (ইউকের) সভাপতি আবু ইউসুফ তালুকদার। তার ফেসবুক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, “আমি নিজেও এ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলাম। আমরা সকল মনোনয়ন প্রত্যাশী বেনজির আহমেদ টিটো ব্যতীত সকলেই লুৎফর রহমান মতিনকে সমর্থন করেছি। বেনজির আহমেদ টিটো যে মশাল মিছিল করেছেন তা দল এবং সাধারণ জনতার কাছে তার নিজ ইমেজকে ক্ষুণ্ণ করেছেন। এছাড়াও এই মহাসড়কের অবরোধের কারণে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ করলে দলীয় হাই কমান্ডের কাছে তার বহিষ্কারের দাবি জানাতে পারেন কালিহাতীর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।” এ বিষয়ে আবু ইউসুফ তালুকদার মুক্তধ্বনি ডটকমকে জানান, "সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও স্থানীয় নেতাদের মাধ্যমে তিনি এই খবর পেয়ে নিন্দা জানিয়েছেন। তবে, ইউসুফ তালুকদারের ভিডিও বার্তার কমেন্ট সেকশনে টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব এম. এ. বাতেন বিভিন্ন মন্তব্যের মাধ্যমে ইউসুফ তালুকদারকে হেয়-প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছেন।" বিগত ১৭ বছরের রাজনৈতিক স্মৃতিচারণ করে ইউসুফ তালুকদার উল্লেখ করেন, “স্বৈরাচার আমলে দেশে আসতে পারিনি। দেশের বাইরে থেকে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় থাকার কারণে আমার পরিবারের ওপর নানা অত্যাচার চালানো হয় এবং ভাইয়েরা রাজনৈতিক মিথ্যা মামলার শিকার হয়ে বার বার কারাবরণ করেছে।”

নাদিম তালুকদার ডিসেম্বর ১১, ২০২৫ 0
টাঙ্গাইল বধ্যভূমি
জাতীয়
১১ ডিসেম্বর : টাঙ্গাইল হানাদার মুক্ত দিবস আজ

১১ ডিসেম্বর: টাঙ্গাইল পাক হানাদারমুক্ত দিবস আজ ১১ ডিসেম্বর—টাঙ্গাইলবাসীর গৌরবোজ্জ্বল ও ঐতিহাসিক একটি দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর কবল থেকে টাঙ্গাইলকে সম্পূর্ণভাবে মুক্ত করে স্বাধীন বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা উত্তোলন করেন। এই দিনে টাঙ্গাইল জেলায় নতুন করে সূচনা হয় স্বাধীনতার, মুক্তির, বিজয়ের মহামন্ত্রে উজ্জ্বল এক প্রত্যয়ের। স্থানীয়ভাবে জানা যায়, শত্রুমুক্তির আগের রাতটি ছিল টাঙ্গাইলের ইতিহাসে সবচেয়ে উত্তেজনাপূর্ণ রাত। সারারাত মুক্তিযোদ্ধাদের সাহসী ও ধারাবাহিক আক্রমণে পাক হানাদার বাহিনী দিশেহারা হয়ে পড়ে। টানা গোলাগুলিতে শহর ও শহরতলির মানুষজন কাটায় এক নিদ্রাহীন রাত। অবশেষে ১১ ডিসেম্বরের সকালটি নিয়ে আসে কাঙ্ক্ষিত সেই বিজয়ের বারতা। ধ্বংসস্তূপ, রক্তের দাগ, অশ্রুভেজা বিদায়ের মাঝেও হাজারো মানুষ রাস্তায় নেমে আসে—উল্লাসে, আবেগে ও স্বাধীনতার গর্বে উদ্বেল হয়ে। মুক্তিযুদ্ধে টাঙ্গাইলের ভূমিকা ছিল অনন্য। সাহস, সংগঠন, পরিকল্পনা ও বীরত্বে এ অঞ্চলটি গড়ে তোলে এক বিশেষ দৃষ্টান্ত। বীর মুক্তিযোদ্ধা কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে গঠিত ‘কাদেরিয়া বাহিনী’ সেসময় শত্রুর বিরুদ্ধে অসাধারণ প্রতিরোধ গড়ে তোলে। তাদের বীরত্বগাঁথা শুধু দেশের সীমানায় আটকে থাকেনি—পৌঁছে যায় সারা বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের কাছে। ইতিহাসবিদরা বলেন, টাঙ্গাইলের এই প্রতিরোধ না হলে উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে মুক্তিযুদ্ধের অগ্রযাত্রা এতটা দ্রুত সফল হতো না। ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের পরপরই টাঙ্গাইলে গঠন করা হয় স্বাধীন বাংলা গণমুক্তি পরিষদ। ২৬ মার্চ টাঙ্গাইল থানায় উত্তোলন করা হয় স্বাধীন বাংলার পতাকা—যা মুক্তিযুদ্ধের প্রারম্ভিক দিনে এ জেলার অগ্রণী ভূমিকার প্রতীক। ৮ ডিসেম্বর মিত্রবাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বয়ে টাঙ্গাইল আক্রমণের পরিকল্পনা করা হয়। পরে কালিহাতীর পুংলি এলাকায় মিত্রবাহিনীর সঙ্গে তীব্র সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে পাক সেনারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে তারা প্রাণভয়ে সারারাত ধরে টাঙ্গাইল ছেড়ে ঢাকার দিকে পালাতে থাকে। ১০ ডিসেম্বর রাতে কমান্ডার আব্দুর রাজ্জাক টাঙ্গাইলে প্রবেশ করেন। পরদিন ১১ ডিসেম্বর সকালে কমান্ডার বায়োজিদ, খন্দকার আনোয়ার এবং পরে ব্রিগেডিয়ার ফজলুর রহমান টাঙ্গাইলে পৌঁছান। শহরের সার্কিট হাউজে অবস্থানরত পাকিস্তানি খান সেনারা বীর মুক্তিযোদ্ধা কাদের সিদ্দিকীর কাছে আত্মসমর্পণ করে। আনুষ্ঠানিকভাবেই টাঙ্গাইল হয় শত্রুমুক্ত। এই দিনটি তাই শুধু একটি জেলার নয়—বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অনবদ্য গৌরবের দিন। আজ টাঙ্গাইলবাসী স্মরণ করছে সেই বীরদের, যারা জীবন বাজি রেখে স্বাধীনতার পতাকাকে সমুন্নত করেছিলেন।

নাদিম তালুকদার ডিসেম্বর ১১, ২০২৫ 0
টাঙ্গাইলের পাঁচটি আসনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে দ্বন্দ্ব
রাজনীতি
টাঙ্গাইলের পাঁচটি আসনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে দ্বন্দ্ব

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে টাঙ্গাইল জেলাজুড়ে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল চরম আকার ধারণ করেছে। জেলার ৮টি আসনের মধ্যে অন্তত পাঁচটিতে মনোনয়নকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব, ক্ষোভ ও বিভক্তি প্রকাশ্য রূপ নেয়ায় রাজনৈতিক অঙ্গনে সৃষ্টি হয়েছে উত্তেজনা। প্রায় প্রতিদিনই এসব আসনে মিছিল, মানববন্ধন, সড়ক অবরোধ, মৌন মিছিলসহ নানা কর্মসূচি চলছে। একাধিক স্থানে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়াও ঘটছে। অবস্থান বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে—বিএনপির এই অভ্যন্তরীণ সংকটের সুযোগ নিতে ইতোমধ্যে মাঠে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন অন্যান্য দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। জানা গেছে, টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর–ধনবাড়ী), টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল), টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী), টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) ও টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল–সখীপুর) আসনে মনোনয়ন ঘোষণার পর থেকেই তীব্র প্রতিযোগিতা ও মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। মনোনয়ন বঞ্চিতরা দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র অবস্থান নিয়ে মাঠে নেমেছেন এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের মনোযোগ আকর্ষণে নানা কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর মনোনয়নকে কেন্দ্রেও জমেছে ক্ষোভ। তার বিপক্ষে মনোনয়ন প্রত্যাশী ফরহাদ ইকবালের সমর্থকেরা মশাল মিছিল, মৌন মিছিলসহ নানা কর্মসূচি করছেন। টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসনেও মনোনীত প্রার্থী রবিউল আওয়াল লাভলুকে ঘিরে নেতাকর্মীদের একাংশের মধ্যে দৃশ্যমান অসন্তোষ বিরাজ করছে। দেলদুয়ারে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহতও হয়েছেন। টাঙ্গাইল-১: ফকির মাহবুব আনাম স্বপন বনাম অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী। এই আসনে কোন্দল দিনদিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। মনোনীত প্রার্থী ফকির মাহবুব আনাম স্বপন ও মনোনয়ন প্রত্যাশী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ইতোমধ্যে বেসরকারি হাসপাতাল, দোকানপাট ভাঙচুরসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।স্থানীয়রা জানান, দু’গ্রুপের প্রতিনিয়ত অবস্থান—এলাকাজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। বিএনপির এই বিভক্ত পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছেন জামায়াতের প্রার্থী অধ্যক্ষ মোন্তাজ আলী। টাঙ্গাইল-৩: নাসির বনাম আজাদ, উত্তেজনায় ঘাটাইল। ঘাটাইলে নতুন মুখ অ্যাডভোকেট এসএম ওবায়দুল হক নাসির মনোনয়ন পেলেও সাবেক প্রতিমন্ত্রী লুৎফর রহমান খান আজাদ তার ছেলে-মেয়ে, অনুসারীদের নিয়ে শোডাউনে ব্যস্ত। মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা, মানববন্ধনসহ নানা ধরনের কর্মসূচির কারণে ঘাটাইল এলাকায় তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। দুই পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিতে কুণ্ঠাবোধ করছেন না। এদিকে জামায়াতের প্রার্থী হুসনি মোবারক বাবুল নীরবে-নিভৃতে মাঠ গরম রাখছেন। টাঙ্গাইল-৪: দীর্ঘদিনের বিভক্তি, যুক্ত হলো নতুন অধ্যায়। কালিহাতীতে দীর্ঘদিনের বিএনপির বিভক্তি আরও জটিল আকার ধারণ করেছে। মনোনীত প্রার্থী লুৎফর রহমান মতিন সক্রিয়ভাবে মাঠে থাকলেও, বেনজির আহমেদ টিটো মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে শক্ত অবস্থান বজায় রেখেছেন। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রতিনিয়ত মিটিং-মিছিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই আসনে আরও জটিলতা তৈরি হয়েছে সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর সম্ভাব্য প্রার্থিতাকে ঘিরে। তার অনুসারীরা তাকে স্বাগত জানিয়ে যে শোডাউন করেছেন, তা রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এদিকে জামায়াত, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ এবং সারওয়ার সিরাজ শুক্লার সম্ভাব্য প্রার্থিতাও এই আসনকে বহুমাত্রিক প্রতিযোগিতার কেন্দ্রস্থলে পরিণত করেছে। টাঙ্গাইল-৭: আজাদ সিদ্দিকী বনাম সাইদ সোহরাব—মির্জাপুরে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা। মির্জাপুরে বিএনপির মনোনয়ন পাওয়া সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী পুরোদমে প্রচারণায় নেমেছেন। অন্যদিকে মনোনয়ন প্রত্যাশী কেন্দ্রীয় নেতা সাইদুর রহমান সাইদ সোহরাব প্রকাশ্যেই মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবি তুলে সভা-সমাবেশ করছেন। এই আসনে কয়েকটি ইসলামী দলের প্রার্থীও সক্রিয় হওয়ায় প্রতিযোগিতা আরও তীব্র হবে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। টাঙ্গাইল-৮: বাসাইল–সখীপুরে দুই প্রার্থীর শক্ত অবস্থান। বিএনপির মনোনয়ন পাওয়া ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান মাঠে প্রচারণা জোরদার করলেও তার প্রতিদ্বন্দ্বী মনোনয়ন প্রত্যাশী সালাউদ্দিন আলমগীর রাসেল মাঠে ব্যাপক তৎপরতা বজায় রেখেছেন। রাসেলের তহবিল থেকে বিভিন্ন সামাজিক কাজে অনুদান, রাস্তাঘাট মেরামতসহ জনসম্পৃক্ত কার্যক্রম তাকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে এসেছে। এ আসনে কাদের সিদ্দিকীর সম্ভাব্য প্রার্থিতা এবং জামায়াতের সক্রিয়তা নির্বাচনকে আরও জটিল করবে। স্থানীয় পর্যবেক্ষকরা বলছেন,“মনোনয়ন নিয়ে এমন বিভক্তি থাকলে বিএনপির ভোটব্যাংক ছিন্নভিন্ন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে স্বতন্ত্র ও প্রতিদ্বন্দ্বী দলের প্রার্থীরা বাড়তি সুবিধা পেতে পারেন।”অন্যদিকে, তৃণমূল বিএনপি নেতাদের দাবি—“কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত দ্রুত ও দৃঢ়ভাবে কার্যকর না হলে প্রার্থী–বিরোধিতা বিএনপির নিজস্ব শক্তিকেই দুর্বল করে দেবে।” জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন বলেন—“বিএনপি বড় দল। একাধিক প্রার্থী থাকাই স্বাভাবিক, তবে বিশৃঙ্খলা কাম্য নয়। অনুপ্রবেশকারীদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে সবাইকে একমঞ্চে আসতে হবে।”

নাদিম তালুকদার ডিসেম্বর ১০, ২০২৫ 0
আইন-অপরাধ
টাঙ্গাইল র‌্যাব ১৪ দফায় দফায় অভিযানে উদ্ধার করা হইছে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে টাঙ্গাইল র‌্যাব ক্যাম্পে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সিপিসি-৩, র‌্যাব-১৪ এর কোম্পানী কমান্ডার মেজর কাওছার বাঁধন জানান, সিপিসি-৩, র‌্যাব-১৪, টাঙ্গাইল ক্যাম্পের তথ্যপ্রযুক্তি এবং গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে মাদক কারবারীরা টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর থানাধীন অরণখোলা এলাকায় বিপুল পরিমাণে অবৈধ মাদক দ্রব্য গাঁজা নিজেদের হেফাজতে রেখে কেনাবেচা করছে। উক্ত সংবাদের সত্যতা যাচাই এবং অবৈধ মাদকদ্রব্য উদ্ধারের লক্ষ্যে মঙ্গলব্রা (৯ ডিসেম্বর) ভোর রাতে র‌্যাব-১৪, সিপিসি-৩, টাঙ্গাইলের একটি চৌকস আভিধানিক দল উক্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে।টাঙ্গাইলে র‍্যাব-১৪ এর সাম্প্রতিক অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে এবং একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সর্বশেষ অভিযানে মধুপুর উপজেলা থেকে ১২৭ কেজি গাঁজাসহ একজনকে গ্রেফতার করা হয়। ৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোরে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার ভুটিয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে ১২৭ কেজি ২০০ গ্রাম গাঁজাসহ মোঃ নজরুল ইসলাম (৩৪) নামের এক মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়। ১ ডিসেম্বর, ২০২৫ তারিখে মির্জাপুর ও টাঙ্গাইল সদর উপজেলা থেকে পৃথক অভিযানে ৫ হাজার ২৮ পিস ইয়াবা এবং ৬৬ বোতল ফেনসিডিলসহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। গ্রেফতারকৃতরা হলেন মো. আকরাম হোসেন (৪০) ও মো. জুয়েল খান (৩৮)। ১৬ নভেম্বর, ২০২৫ তারিখে কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে ৪৬০ গ্রাম হেরোইনসহ মোঃ তোহর আলী (৬০) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে র‍্যাব।র‍্যাব-১৪-এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর কাওসার বাঁধন এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন এবং মাদকবিরোধী এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান।

কৌশিক সাজ্জিদ পিয়াল ডিসেম্বর ৯, ২০২৫ 0
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিক গ্রেফতার–মারধরের অভিযোগ, সাংবাদিক সমাজে তীব্র ক্ষোভ
সারা দেশ
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিক গ্রেফতার–মারধরের অভিযোগ, সাংবাদিক সমাজে তীব্র ক্ষোভ

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে সংবাদ প্রকাশের জেরে এক সাংবাদিককে মধ্যরাতে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে মারধর ও মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) রাত আনুমানিক ২টার দিকে উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের নারান্দিয়া গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে দৈনিক নিরপেক্ষ পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি ও কালিহাতী প্রেসক্লাবের সদস্য জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেফতার করা হয়। রোববার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় টাঙ্গাইলের স্থানীয় সাংবাদিক মহলে তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। তারা দ্রুত ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২০ আগস্ট কালিহাতীতে শওকত তালুকদার নামে এক ব্যক্তি তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ৩০ লাখ টাকা প্রতারণার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন। ওই সংবাদ সম্মেলনের খবর সংগ্রহ ও প্রকাশ করেন সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম। সংবাদ প্রকাশের পর থেকেই শওকত তালুকদারের স্ত্রী সাংবাদিক জাহাঙ্গীরের প্রতি ক্ষুব্ধ হন এবং বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি দেওয়া শুরু করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। পরবর্তীতে,১৭ নভেম্বর শওকত তালুকদারের স্ত্রী বাদী হয়ে জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেন। স্থানীয় সাংবাদিকদের দাবি—এটি পুরোপুরি হয়রানিমূলক ও সংবাদ প্রকাশের প্রতিশোধ নিতে করা মিথ্যা মামলা। পরিবারের অভিযোগ, শনিবার গভীর রাতে হঠাৎ কয়েকজন পুলিশ সদস্য বাড়িতে ঢুকে কোনো ধরনের ওয়ারেন্ট বা কারণ ব্যাখ্যা ছাড়াই জাহাঙ্গীরকে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যায়। গ্রেফতারের সময় তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয় বলেও পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন। জাহাঙ্গীরের বৃদ্ধ মা বলেন, “রাতের অন্ধকারে এত পুলিশ কেন আসলো বুঝিনি। ছেলে‌কে ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় মারধরও করেছে। আমরা কিছু বলার সুযোগও পাইনি।” কালিহাতী প্রেসক্লাব, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবসহ জেলার বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন ঘটনাটির নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে। কালিহাতী প্রেসক্লাবের সভাপতি বলেন,“একজন সাংবাদিককে মধ্যরাতে এভাবে তুলে নেওয়ান্যক্কারজনক। এটি স্পষ্টভাবে গণমাধ্যমকে ভয় দেখানো ও স্বাধীন সাংবাদিকতার ওপর আঘাত। আমরা দ্রুত তদন্ত এবং জাহাঙ্গীরের মুক্তি চাই।” পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী নারী প্রথমে টাঙ্গাইল আদালতে মামলা করেন। আদালতের নির্দেশনার পর টাঙ্গাইল সদর থানা পুলিশ মামলাটি এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করে।সদর থানার এক কর্মকর্তা বলেন,“আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী গ্রেফতার করা হয়েছে। মারধরের অভিযোগ সত্য নয়।” ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ব্যাপক আলোচনা তৈরি হয়েছে। অনেকে প্রশ্ন তুলছেন—মামলা তদন্তের আগেই কেন রাতের আঁধারে সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হলো? এটি কি সাংবাদিকদের ভয় দেখানোর চেষ্টামানবাধিকার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরাও দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি করেছেন।

নাদিম তালুকদার ডিসেম্বর ৮, ২০২৫ 0
সারা দেশ
কালিহাতীতে খেজুরের রস খেতে গিয়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কিশোর নিহত

কালিহাতীতে খেজুরের রস খেতে গিয়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কিশোর নিহত টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে খেজুরের রস খেতে গিয়ে ফেরার পথে ভয়াবহ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় তাওহীদ (১৫) নামে এক কিশোর নিহত হয়েছে। রবিবার ভোরে উপজেলার নাগবাড়ী ইউনিয়নের পাকুটিয়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত তাওহীদ স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল বলে জানা গেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শীতের সকালে খেজুরের রস খেতে তাওহীদ ও তার দুই বন্ধু মোটরসাইকেলযোগে ধানগড়া এলাকায় যায়। তারা রস খেয়ে বাড়ির পথে ফিরছিল। পাকুটিয়া বেইলি ব্রিজে উঠতেই হঠাৎ মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সোজা ব্রিজের লোহার রেলিংয়ে গিয়ে ধাক্কা খায়। ধাক্কা এতটাই শক্ত ছিল যে মোটরসাইকেলটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং তাওহীদ ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায়। দুর্ঘটনায় তার সঙ্গে থাকা দুই কিশোর—জিহাদ ও হাসান—গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা দ্রুত তাদের উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। আহতদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুর্ঘটনাকবলিত মোটরসাইকেলটি জব্দ করে। কালিহাতী থানার ওসি জানান, অতিরিক্ত গতির কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় আইনগত প্রক্রিয়া শেষে নিহতের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। স্থানীয়রা জানান, শীতকালে ধানগড়া ও আশপাশের এলাকায় খেজুরের রস খেতে ভোরে ভোরে কিশোর-যুবকদের ভিড় থাকে। কিন্তু রাস্তার বিভিন্ন স্থানে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণ না থাকা ও ব্রিজে বাম্পার বা সতর্কতা ব্যবস্থা না থাকায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। হঠাৎ ফুলেলের কিশোরের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পরিবারের সদস্যরা তাওহীদের অসময়ে মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না। তারা ব্রিজে যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।

কৌশিক সাজ্জিদ পিয়াল ডিসেম্বর ৭, ২০২৫ 0
টাঙ্গাইলে আমনে উৎপাদন বেড়েছে ২–৪ মণ, কৃষক এখন ন্যায্যমূল্যের অপেক্ষায়
সারা দেশ
টাঙ্গাইলে আমনে উৎপাদন বেড়েছে ২–৪ মণ, কৃষক এখন ন্যায্যমূল্যের অপেক্ষায়

ভালো বীজ, আধুনিক কৃষিযন্ত্রের ব্যবহার এবং অনুকূল আবহাওয়ার ফলে টাঙ্গাইলে রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। বিঘাপ্রতি ২ থেকে ৪ মণ পর্যন্ত উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার কৃষকদের মুখে ফুটে উঠেছে আনন্দের হাসি। পরিবার থেকে পাড়া—গ্রামজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে এ খুশির বার্তা। তবে তারা বাজারে আমন ধানের ন্যায্যমূল্য প্রত্যাশা করছেন। অগ্রহায়নের শুরু থেকেই টাঙ্গাইলের বিভিন্ন উপজেলায় কৃষকরা রোপা আমন কেটে ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ইতোমধ্যে জেলায় লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে প্রায় ৬৩ শতাংশ ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে। মাঠে চলছে ধান কাটা, মাড়াই ও শুকানোর ব্যস্ততা—কিষাণী থেকে কৃষক সবাই এখন সময় দিচ্ছেন নতুন ধান ওঠানোর কাজে। টাঙ্গাইল জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, চলতি মৌসুমে ১২টি উপজেলায় রোপা আমন আবাদে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল এক লাখ দুই হাজার হেক্টর। সরকারি প্রণোদনা, উন্নতমানের বীজ সরবরাহ ও কৃষকদের আগ্রহের কারণে এ সংখ্যা ছাড়িয়ে আবাদ হয়েছে এক লাখ চার হাজার ৫৮৩ হেক্টরে।উপজেলা ভিত্তিক আবাদ: সদর: লক্ষ্যমাত্রা ৫,৪০০ হেক্টর; আবাদ ৫,৪০৫ হেক্টর বাসাইল: ৩৯০ হেক্টর; আবাদ ৩৯২,কালিহাতী: ৮,০৩০ হেক্টর; আবাদ ৮,৪৬৫,ঘাটাইল: ১৮,০৪০ হেক্টর; আবাদ ১৯,৪৯০,নাগরপুর: ২,৫১০ হেক্টর; আবাদ ৩,২০১,মির্জাপুর: ৪,৮৫০ হেক্টর; আবাদ ৪,৮৪৮,মধুপুর: ১৩,০০০ হেক্টর; আবাদ ১৩,০০২,ভূঞাপুর: ৬,২৩‍০ হেক্টর; আবাদ ৬,১০৫,গোপালপুর: ১২,৯০০ হেক্টর; আবাদ ১৩,০০০,সখীপুর: ১৭,২৬০ হেক্টর; আবাদ ১৭,২৬৫,দেলদুয়ার: ৩,৪৩০ হেক্টর; আবাদ ৩,৪৬০,ধনবাড়ী: লক্ষ্যমাত্রা ৯,৯৬০ হেক্টর; আবাদ ৯,৯৫০। কালিহাতীর সহদেবপুর ইউনিয়নের দিগর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, মাঠজুড়ে ধান কাটার উৎসব। আধুনিক কম্বাইন হারভেস্টার ব্যবহার করে কৃষকরা ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে ভালো খড় পাওয়ার জন্য এখনো ৮০–৮৫ শতাংশ কৃষক হাতে ধান কেটে মেশিনে মাড়াই করছেন। উঠানে উঠানে নতুন ধানের স্তুপ জমতে শুরু করেছে; কিষাণীরা ব্যস্ত দম ফেলার ফুরসত নেই। কৃষকদের ভাষ্য, গত বছর বিঘাপ্রতি ১৪–১৬ মণ ধান পেলেও এবার পাওয়া যাচ্ছে ১৮–২০ মণ। ভালো বীজ, জমি প্রস্তুত থেকে মাড়াই পর্যন্ত আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার—সব মিলিয়ে ফলন বেড়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাবও ছিল। ঝড়-বৃষ্টি ও বাতাসে অনেক ধান জমিতে লুটিয়ে পড়ে—এর ফলে কিছু চিটা ধান দেখা গেছে। এরপরও বিঘাপ্রতি অতিরিক্ত ২–৪ মণ ধান পেয়ে কৃষকরা সন্তুষ্ট। কৃষকদের আশা, বাজারে আমন ধানের দাম ভালো থাকলে তারা এবার লাভবান হবেন। অন্যথায় উৎপাদনপ্রবণতা কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে টাঙ্গাইল জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ আশেক পারভেজ জানান,“ফিল্ড লেভেলে কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, রোগবালাই নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা এবং বীজ ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তনের ফলে এ বছর রোপা আমন আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে এবং ফলন হয়েছে আশানুরূপ। ইতোমধ্যে উৎপাদিত ধানের প্রায় ৬৩ শতাংশ কাটা শেষ হয়েছে। ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যেই পুরো জেলায় ধান কাটার কাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।”তিনি আরও জানান, "এ বছর জেলায় হাইব্রিড ও উফশী জাতের পাশাপাশি কিছু এলাকায় স্থানীয় জাতের ধানও চাষ হয়েছে। রোগবালাই তুলনামূলক কম থাকায় সব জাতেই ভালো ফলন এসেছে।"

মুক্তধ্বনি ডেক্স ডিসেম্বর ১২, ২০২৫ 0
টাঙ্গাইলের বন বিপর্যয়: অনুমোদনহীন স’মিলেই হারিয়ে যাচ্ছে প্রাকৃতিক শালবন
সারা দেশ
টাঙ্গাইলের বন বিপর্যয়: অনুমোদনহীন স’মিলেই হারিয়ে যাচ্ছে প্রাকৃতিক শালবন

টাঙ্গাইলে প্রায় ১ লাখ ২২ হাজার ৮৭৬ একর বনভূমি রয়েছে—যা দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শাল-গজারি বন হিসেবে পরিচিত। মধুপুর, ঘাটাইল, সখীপুর, কালিহাতী ও মির্জাপুর জুড়ে বিস্তৃত এই বনাঞ্চল দেশের পরিবেশগত ভারসাম্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বনকে ঘিরেই জেলার বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে ৫৩৯টি করাতকল—যার মধ্যে মাত্র ১৬৩টি বৈধ। বাকি ৩৭৬টি অবৈধ করাতকলে প্রতিদিন চলছে নির্বিচারে গাছ কাটা ও কাঠ পাচার। সরেজমিনে মধুপুর, ধলাপাড়া, বাঁশতৈল, অরণখোলা থেকে শুরু করে দোখলা ও বহেড়াতলী পর্যন্ত ঘুরে দেখা যায়—কোথাও সামাজিক বনের পাশে,কোথাও সংরক্ষিত বনের গা ঘেঁষে,আবার কোথাও বনের ভেতরেই উঠে গেছে করাতকল।অনেক ক্ষেত্রে এসব মিল রেঞ্জ ও বিট অফিসের ঠিক পাশেই, যেন প্রশাসন ও বনবিভাগকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়া হয়েছে—এখানে ‘সবই সম্ভব’। বন আইনে বনাঞ্চল থেকে ১০ কিলোমিটারের মধ্যে করাতকল স্থাপন নিষিদ্ধ। কিন্তু বাস্তবে ঠিক উল্টো চিত্র— সংরক্ষিত বনের শাল, গজারি, পাইকর, কাঁকরাসহ মূল্যবান গাছ কেটে আনা হচ্ছে,অবৈধ স’মিলে এনে দ্রুত চিরাই করলেই হয়ে যাচ্ছে “বৈধ কাঠ”।স্থানীয় বাজারে তা দেদারসে বিক্রি হচ্ছে কোনো বাধা ছাড়াই। মধুপুরে ৪৫,৫০০ একর বনভূমির মধ্যে প্রায় ৩৫,০০০ একর ইতোমধ্যেই বৃক্ষশূন্য। বনে এখন গাছের জায়গা দখল করেছে—আনারস,কলা, ড্রাগন,পেঁপে ও অন্যান্য বাণিজ্যিক ফসল।বাকি ১০ হাজার একর বনও মারাত্মকভাবে ক্ষয়িষ্ণু বলে জানায় স্থানীয় সূত্র। ঘাটাইলে ৯০টি করাতকল, যার মধ্যে ৪৫টি অবৈধ,মধুপুরে ৯০টির মধ্যে ৭৩টিই লাইসেন্সবিহীন, সখীপুরে শতাধিক মিল—লাইসেন্স মাত্র ১২টি।কালিহাতী ও মির্জাপুরেও একই অবস্থা—অধিকাংশ মিলই চালু বছরের পর বছর। অবৈধ করাতকলের মালিক, শ্রমিক ও কাঠ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে উঠে এসেছে ভয়াবহ চিত্র—এক মিল মালিক ইদ্রিস আলী বলেন,“মিলের কোনো কাগজ নেই। বন বিভাগের লোকজন এলে চা-খরচ দিয়ে বিদায় করি।”অন্য মালিক জানান,“বন কর্মকর্তাদের মাসিক চাঁদা দেই। জেলা থেকে অভিযান এলে আগেই জানিয়ে দেয়।”কাঠ ব্যবসায়ী মাসুদ রানার ভাষ্যে, “বন অফিসাররা নিজেরাই টাকা নেন। তাই মিল মালিকদের কোনো ভয় থাকে না।”শ্রমিক বাবুল হোসেন জানান,“বিট অফিসার টাকা খেয়েও হয়রানি করে।”এই অভিযোগগুলো স্থানীয়দের মধ্যে বহুদিনের, কিন্তু এখন তা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। নিয়মভঙ্গ করে—স্কুল,মসজিদ, বাজার ও আবাসিক এলাকার পাশে উঠেছে বিপুলসংখ্যক করাতকল। ভোর থেকে রাত পর্যন্ত কাঠ কাটার শব্দে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ব্যাহত হচ্ছে, স্থানীয়দের জীবন হয়ে পড়েছে দুর্বিষহ। টাঙ্গাইল বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন বলেন—জেলায় ৫৩৯টি স’মিল,১৬৩টি বৈধ, ৩৭৬টি অবৈধ।সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হাতে অবৈধ করাতকলের তালিকা দেয়া হয়েছে।প্রতি মাসে অভিযান পরিচালিত হয়।গত মাসে ৭টি অভিযান, এ মাসে ১টি অভিযান হয়েছে।যৌথবাহিনী ও প্রশাসনের মাধ্যমে উচ্ছেদ অব্যাহত রয়েছে। পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)-এর বিভাগীয় সমন্বয়কারী গৌতম চন্দ্র চন্দ বলেন— “করাতকল বিধিমালা ২০১২ স্পষ্ট—বনের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে মিল স্থাপন নিষিদ্ধ। টাঙ্গাইলের বেশিরভাগ করাতকলই আইন ভঙ্গ করছে। অবিলম্বে উচ্ছেদ না করলে বন ও জীববৈচিত্র পুরোপুরি শেষ হয়ে যাবে।”তিনি আরও বলেন—“বন ধ্বংস হলে বন্যা, খরা, খরা-উত্তর অগ্নিকাণ্ড, নদীভাঙনসহ ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয় ঘটবে।” স্থানীয়দের দাবি—অবৈধ করাতকলের অস্তিত্ব, বনের ভেতর কৃষি জমি তৈরি,মাসোহারা বাণিজ্য। এসব রোধে শুধু মাসিক “দেখানো অভিযান” যথেষ্ট নয়। যতদিন পর্যন্ত অসাধু বন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তি এবং করাতকল মালিকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নেয়া হবে—ততদিন টাঙ্গাইলের বন রক্ষা করা অসম্ভব।

নাদিম তালুকদার ডিসেম্বর ৪, ২০২৫ 0
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলায়: উন্নয়ন, শৃঙ্খলা ও মানবিক সেবায় নতুন গতি এনেছেন ইউএনও খায়রুল ইসলাম
সারা দেশ
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলায়: উন্নয়ন, শৃঙ্খলা ও মানবিক সেবায় নতুন গতি এনেছেন ইউএনও খায়রুল ইসলাম

টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার সার্বিক উন্নয়ন, শৃঙ্খলা ও মানবিক সেবায় নতুন মাত্রা যোগ করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খায়রুল ইসলাম। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই মাঠপর্যায়ে তার সক্রিয়তা, দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং মানবিক উদ্যোগ সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করেছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অর্থাভাবে পড়াশোনা বন্ধ হওয়ার মুখে থাকা শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানো তার অন্যতম মানবিক কর্মকাণ্ড। ইউএনও খায়রুল ইসলামের আর্থিক সহায়তা ও উৎসাহে অনেক শিক্ষার্থী তাদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারছেন। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অভিভাবকরা জানান, তার সহযোগিতা না থাকলে অনেকের শিক্ষাজীবন থেমে যেত। এতে পুরো এলাকায় তৈরি হয়েছে স্বস্তি ও আশার বাতাবরণ। কালিহাতী উপজেলা পরিষদ চত্বরে স্থাপন করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন লাইট, সেলফি কর্নার “আমাদের ভালবাসা কালিহাতী” এবং বিভিন্ন জনবান্ধব সুবিধা। বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ফুটপাত দখলমুক্ত করে লাগানো হয়েছে সৌন্দর্যবর্ধক ফুলের গাছ। পৌর এলাকায় নতুন সড়ক বাতি স্থাপনের ফলে বেড়েছে রাতের নিরাপত্তা। জলাবদ্ধতা নিরসনে ইউএনও’র কার্যকরী উদ্যোগ এলাকার মানুষের জন্য উল্লেখযোগ্য সুবিধা নিয়ে এসেছে। চুরি-ছিনতাই রোধে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া পাবলিক টয়লেট নির্মাণ, অবৈধ বালু উত্তোলন প্রতিরোধে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা এবং বিভিন্ন নির্মাণকাজ সরেজমিনে তদারকি—সব মিলিয়ে প্রশাসনিক তৎপরতায় ইউএনও খায়রুল ইসলাম ইতোমধ্যেই নজর কাড়েছেন। এলাকাবাসী জানান, যে কোনো সমস্যা জানামাত্রই ইউএনও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিচ্ছেন—রাস্তার সমস্যা, জনদুর্ভোগ বা অবৈধ কার্যক্রম, সব ক্ষেত্রে তার উপস্থিতি দ্রুত সমাধান নিয়ে এসেছে। এলাকাবাসীর কাছে তার কাছে সমস্যা জানালে সমাধান নিশ্চিত হওয়াটাই সবচেয়ে বড় স্বস্তি। মানবিকতা, কর্মদক্ষতা ও দায়িত্ববোধের কারণে ইউএনও খায়রুল ইসলাম ইতোমধ্যেই একজন কর্মবীর ইউএনও এবং প্রশাসক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। স্থানীয়রা মনে করছেন, তার ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে কালিহাতীর উন্নয়নচিত্র আরও এগিয়ে যাবে সামনের দিনে। উপজেলার সার্বিক উন্নয়ন, শৃঙ্খলা, জনসেবা ও মানবিক কার্যক্রমকে গতিশীল করতে ইউএনও খায়রুল ইসলামের উদ্যোগ এখন এলাকায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। তার দায়িত্বশীলতা, দ্রুত পদক্ষেপ ও জনবান্ধব মনোভাব সাধারণ মানুষের প্রত্যাশায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

নাদিম তালুকদার ডিসেম্বর ৩, ২০২৫ 0
আধুনিক ফিল্টারেশন প্রযুক্তির শোধনাগার চালু—দূষণমুক্ত পানি পাবেন টাঙ্গাইলের কালিহাতী পৌরসভার জনগণ
সারা দেশ
আধুনিক ফিল্টারেশন প্রযুক্তির শোধনাগার চালু—দূষণমুক্ত পানি পাবেন টাঙ্গাইলের কালিহাতী পৌরসভার জনগণ

টাঙ্গাইলের কালিহাতী পৌরবাসীর জন্য নিরাপদ পানি সরবরাহে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক স্থাপিত হয়েছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর (DPHE) বাস্তবায়িত ‘৩২টি পৌরসভার পানি সরবরাহ ও মানববর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ এনভায়রনমেন্টাল স্যানিটেশন প্রকল্প’–এর আওতায় কালিহাতী পৌরসভায় নির্মিত ২০০ ঘনমিটার/ঘণ্টা ক্ষমতা সম্পন্ন আধুনিক ভূগর্ভস্থ পানি শোধনাগার ও পাইপড ওয়াটার সাপ্লাই সিস্টেমের উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় নবনির্মিত এই ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের উদ্বোধন করেন কালিহাতী পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. খায়রুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, টাঙ্গাইলের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাইসুল ইসলামসহ প্রশাসনের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো কালিহাতী পৌরসভায় আধুনিক ও প্রযুক্তিনির্ভর পানি শোধন ব্যবস্থা যুক্ত হলো, যা নিরাপদ পানি সরবরাহে নতুন যুগের সূচনা করবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী গাজিউর রহমান, পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মোশাররফ হোসেন, পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা শিব প্রসাদ সূত্রধর, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও পৌর পরিষদের সহায়তা কমিটির ওয়ার্ড সদস্য কুলসুম সোলায়মান, কালিহাতী থানার ওসি তদন্ত আব্দুস ছালাম, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ও ওয়ার্ড সদস্য আশরাফ আলীসহ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ও পৌরসভার কর্মকর্তারা। উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, নতুন এই শোধনাগার প্রতিদিন উল্লেখযোগ্য পরিমাণ নিরাপদ পানি প্রক্রিয়াজাত করতে সক্ষম হবে। ধাপে ধাপে পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে সংযোগ লাইন স্থাপন করে পানি সরবরাহ করা হবে। উন্নতমানের ফিল্টারেশন, গুণগতমান পরীক্ষণ এবং ডিজিটাল মনিটরিং ব্যবস্থার মাধ্যমে পানির নিরাপত্তা আরও নিশ্চিত হবে। দীর্ঘদিন ধরে পৌর এলাকার একটি বড় অংশ নিরাপদ পানির সংকটে ভুগছিল। অনেক এলাকার টিউবওয়েলের পানিতে অতিরিক্ত আয়রন, দুর্গন্ধ ও ব্যাকটেরিয়া থাকায় তা ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছিল। নতুন ট্রিটমেন্ট প্লান্ট চালুর ফলে এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। নিরাপদ পানি ব্যবস্থাপনায় এই প্রকল্প ভবিষ্যতে পানি দূষণজনিত রোগ প্রতিরোধ ও জনস্বাস্থ্যের মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে জানান প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। পানি শোধনাগার নিয়ে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, টাঙ্গাইলের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাইসুল ইসলাম বলেন, “কালিহাতী পৌরসভায় স্থাপিত এই ট্রিটমেন্ট প্লান্টটি সত্যিকারের একটি জনগুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রতিটি ধাপে পানির গুণগতমান নিয়ন্ত্রণে রাখা হবে। যাতে পৌরবাসী নিরাপদ, স্বাস্থ্যসম্মত ও বিশুদ্ধ পানি পান করতে পারে।” উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. খায়রুল ইসলাম বলেন, “পৌরবাসীকে নিরাপদ পানি পৌঁছে দেওয়া সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। এই ট্রিটমেন্ট প্লান্ট চালুর মাধ্যমে কালিহাতী পৌরসভা সেই লক্ষ্যে বড় একটি পদক্ষেপ নিল। আমরা সেবার মান বজায় রেখে ধীরে ধীরে পুরো পৌর এলাকায় নিরাপদ পানির আওতা নিশ্চিত করব।” পৌরসভার জনপ্রতিনিধি, কর্মকর্তাবৃন্দ ও সাধারণ মানুষ এই প্রকল্পকে এলাকার উন্নয়ন ও জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন।

নাদিম তালুকদার ডিসেম্বর ৩, ২০২৫ 0
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে প্রতারণা: আদম ব্যবসায়ী আশিক কারাগারে
সারা দেশ
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে প্রতারণা: আদম ব্যবসায়ী আশিক কারাগারে

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে প্রতারণার মামলায় আশিক (৩২) নামে এক আদম ব্যবসায়ীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আশিক কালিহাতী উপজেলার সহদেবপুর ইউনিয়নের দ্বিমুখা গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে। সোমবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কালিহাতী আমলী আদালতের বিচারক তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। মামলা সূত্রে জানা যায়, ঘাটাইল উপজেলার গৌরাঙ্গী গ্রামের মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে ২০২৪ সালের ৭ নভেম্বর আশিক, তার স্ত্রী সুমি আক্তার ও শ্বশুর সোহরাব আলীর নামে প্রতারণার মামলা করেন। অভিযুক্ত আশিক ওমানে অবস্থান করে স্ত্রী ও শ্বশুরের মাধ্যমে পাঁচ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকায় ওমানের বিজনেস ভিসা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। নারান্দিয়া ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট শাখার মাধ্যমে আশিকের স্ত্রী ও শ্বশুর বাদীর কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করেন। বাদী মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, “আশিক ওমানে থাকা অবস্থায় ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকায় বিজনেস ভিসা দেওয়ার চুক্তি করেন। তার স্ত্রী ও শ্বশুরের মাধ্যমে আমি নগদ ৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা প্রদান করি। কিন্তু নির্ধারিত সময়েও ভিসা না দিয়ে আশিক তালবাহানা শুরু করে। টাকা ফেরত চাইতে গেলে আমাকে মামলার ভয়ভীতি দেখানো হয়।” তিনি আরও বলেন, “স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে বিষয়টি আপোষ-মীমাংসার চেষ্টা হলেও আশিক কোনোভাবে সমাধানে আসেনি; বরং হুমকি-ধামকি দিতে থাকে। বাধ্য হয়ে আমি আদালতে মামলা দায়ের করি।” মামলার পর আশিক আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। তবে আদালত তা খারিজ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এদিকে আশিকের প্রতারণার শিকার আরও কয়েকজন ভুক্তভোগী সাংবাদিকদের জানান, আশিক তাদের ওমানে নিয়ে সাপ্লাই কোম্পানিতে বিক্রি করে দেয়। ঘাটাইলের মাহবুব আলম, মকবুল হোসেন, উজ্জ্বল হোসেন এবং কালিহাতীর সাব্বির হোসেন বলেন, “আশিকের প্রতারণায় আমরা সর্বস্ব হারিয়ে আজ নিঃস্ব। তার কঠোর শাস্তি চাই।” ওমান থেকে ভুক্তভোগী পারভেজ হোসেন জানান, “৫ লাখ ২০ হাজার টাকায় ভালো কাজের কথা বলে আমাকে ওমানে এনে সাপ্লাই কোম্পানিতে বিক্রি করে দেয় আশিক। পরে নিজে বাংলাদেশে পালিয়ে যায়। আমি এখন প্রচণ্ড কষ্টে আছি। দেশে ফেরার মতো সামর্থ্যও নেই। আশিকের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।” প্রতারণার ঘটনায় এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যেও তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। আশিকের বিরুদ্ধে আরও বিদেশগমন সংক্রান্ত প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে বলেও জানা গেছে।

নাদিম তালুকদার ডিসেম্বর ৩, ২০২৫ 0
সারা দেশ
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দোকানদার গফুর আলীর মর্মান্তিক মৃত্যু। দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার ক্ষতি। টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে গফুর আলী (৬০) নামে এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর করুণ মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার বল্লা ইউনিয়নের কাগুজিপাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত গফুর আলী কোকডহরা ইউনিয়নের দত্তগ্রাম এলাকার বাসিন্দা এবং হবিবুর রহমানের ছেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মতোই গফুর আলী তার তেলের দোকানে কাজ করছিলেন। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে হঠাৎ দোকানের ভেতর থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ভয়াবহ রূপ নেয়। আগুনের তীব্রতায় দোকানের ভেতর আটকা পড়ে যান গফুর আলী। স্থানীয়রা মরিয়া হয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালালেও আগুনের দাপটে কাছে যাওয়া সম্ভব হয়নি। প্রত্যক্ষদর্শী বাজার ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম বলেন, “আমরা প্রথমে ধোঁয়া দেখতে পাই। দ্রুত দৌড়ে গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি। কিন্তু আগুন এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে যে গফুর ভাই বের হতে পারেননি। চোখের সামনে মানুষের মৃত্যু দেখতে হল, কিছুই করতে পারলাম না।” বাজার কমিটির সভাপতি মো. ফজলু তালুকদার জানান, “আগুন লাগার পর মুহূর্তেই দোকানটি জ্বলতে থাকে। আমরা চিৎকার করে সবাইকে খবর দেই। কিন্তু গফুর ভাই আটকা পড়ে ছিলেন। ফায়ার সার্ভিস এসে ১০ মিনিট চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তখনো সব শেষ।” খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কালিহাতী ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট। স্টেশন কর্মকর্তা রাসেল মিয়া জানান, “দোকানের ভেতরে আটকে পড়েই গফুর আলী দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে অন্য কোনো দোকানের ক্ষতি হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত।” ফায়ার সার্ভিসের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, আগুনে গফুর আলীর দোকানের দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার মালামাল সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। দোকানটি সম্পূর্ণ ছাই হয়ে গেছে বলে স্থানীয়রা নিশ্চিত করেছেন। হঠাৎ এ মৃত্যুর ঘটনায় কাগুজিপাড়া বাজার ও আশপাশের এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। দীর্ঘদিন ধরে বাজারে ব্যবসা করে আসা গফুর আলী সকলের কাছে একজন সৎ ও পরিশ্রমী মানুষ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তার মৃত্যুতে সহকর্মী ব্যবসায়ীরা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। স্থানীয়দের দাবি, বাজারে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকায় এমন দুর্ঘটনা বড় আকার ধারণ করেছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের মর্মান্তিক ঘটনা এড়াতে বাজারগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার দাবি জানানো হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য থানায় পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

কৌশিক সাজ্জিদ পিয়াল ডিসেম্বর ২, ২০২৫ 0
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী লুৎফর রহমান মতিনের নির্দেশে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় গোহালিয়া বাড়ী ইউনিয়নে বিশেষ দোয়া মাহফিল
সারা দেশ
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী লুৎফর রহমান মতিনের নির্দেশে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় গোহালিয়া বাড়ী ইউনিয়নে বিশেষ দোয়া মাহফিল

বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনায় টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী)আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী লুৎফর রহমান মতিনের নির্দেশে বিভিন্ন স্থানে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এরই অংশ হিসেবে গোহালিয়া বাড়ী ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দের উদ্যোগে বল্লভবাড়ী হাফেজিয়া মাদ্রাসা এবং লালভানু তালুকদার লিল্লাহ বোর্ডিং-এ দোয়া মাহফিল ও এতিম শিশুদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়। রবিবার দুপুরে অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিলে স্থানীয় আলেম-ওলামা, মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। দোয়া মাহফিলে বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা, দেশের শান্তি-সমৃদ্ধি এবং জনগণের কল্যাণ কামনা করা হয়। গোহালিয়া বাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃবৃন্দ বলেন, “ম্যাডামের সুস্থতা আমাদের জন্য আশার আলো।তার সুস্বাস্থ্য কামনায় সাধারণ মানুষ ও স্বতঃস্ফূর্তভাবে দোয়া মাহফিলে অংশ নিয়েছে"। এসময় উপস্থিত এতিম শিশুদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয় এবং তারা বেগম খালেদা জিয়ার জন্য বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেয়। অনুষ্ঠানে স্থানীয় বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

নাদিম তালুকদার ডিসেম্বর ২, ২০২৫ 0
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে র‍্যাবের বিশেষ অভিযানে ইয়াবাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার
সারা দেশ
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে র‍্যাবের বিশেষ অভিযানে ইয়াবাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে র‍্যাব-১৪, সিপিসি-৩ টাঙ্গাইল ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল বিশেষ অভিযানে ৩ হাজার ৯৪৩ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় মোঃ শামসুল আলম (৫০) নামের এক মাদক কারবারিকে আটক করা হয়েছে। র‍্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (২৯ নভেম্বর ২০২৫) সকাল আনুমানিক ৭টার দিকে কালিহাতি থানাধীন ঢাকা–সিরাজগঞ্জ মহাসড়কের পাশ দিয়ে ভূঞাপুরগামী পাকা রাস্তার মোড়ে তল্লাশী অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে একটি সিএনজি থেকে নেমে পালানোর চেষ্টা করলে সন্দেহভাজন শামসুল আলমকে র‍্যাব সদস্যরা আটক করেন। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বিশেষ কৌশলে ইয়াবা ট্যাবলেট খেয়ে পেটে লুকিয়ে রাখার বিষয়টি স্বীকার করেন। এরপর তাকে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরীক্ষার জন্য নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তার পাকস্থলীতে মাদক থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে তার কাছ থেকে মোট ৩ হাজার ৯৪৩ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, একটি মোবাইল ফোন এবং মাদক বিক্রয়ের নগদ ৩ হাজার ১৭০ টাকা উদ্ধার করে জব্দ করা হয়। জব্দ করা ইয়াবার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। গ্রেফতার হওয়া শামসুল আলমের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে আলামতসহ কালিহাতি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

নাদিম তালুকদার নভেম্বর ৩০, ২০২৫ 0
কালিহাতীতে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় গণদোয়া
রাজনীতি
কালিহাতীতে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় গণদোয়া

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় বৃহৎ পরিসরে গণদোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে গোহালিয়াবাড়ী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অনুষ্ঠিত এ গণদোয়ায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড থেকে দলে দলে নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষ উপস্থিত হয়ে অংশ নেন। গোহালিয়াবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে এবং বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটোর পক্ষ থেকে আয়োজন করা এ অনুষ্ঠানে এলাকাজুড়ে ছিল স্বতঃস্ফূর্ততার ছাপ। সরাসরি উপস্থিত থাকতে না পারলেও বেনজীর আহমেদ টিটো মুঠোফোনে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে গণদোয়ায় অংশগ্রহণকারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতার জন্য আমাদের সম্মিলিত দোয়া অত্যন্ত জরুরি। সবাই তাঁর আরোগ্যের জন্য আন্তরিকভাবে প্রার্থনা করবেন।” অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কালিহাতী উপজেলা বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম শোভা, সিনিয়র সহ-সভাপতি মজনু মিয়া, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম (ভিপি রফিক), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান বালা ও শামীম প্রামাণিক, সাংগঠনিক সম্পাদক আতোয়ার রহমান তালুকদার লিটন, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন মোল্লা, ভারপ্রাপ্ত সদস্য ও ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব হাসমত আলী রেজা। এছাড়াও গণদোয়ায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির দক্ষিণ আফ্রিকা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী লিটন, প্রবাসী কল্যাণ সম্পাদক ইদ্রিস আলী, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক লুৎফর রহমান লেলিন, কালিহাতী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ওয়াদুদ তৌহিদ, এলেঙ্গা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ মিনু, পাইকড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিনসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা আজ দেশে গণমানুষের প্রত্যাশা। তাঁকে ভালোবাসেন দেশের আপামর জনতা। তাই তাঁর রোগমুক্তি কামনায় আজকের এই গণদোয়া মানুষের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধারই প্রতিফলন। তারা আরও বলেন, দলের নেত্রী সুস্থ হয়ে আবার রাজপথে ফিরে আসবেন—এটাই সবার কামনা। গণদোয়া ও মোনাজাতে বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি, দেশের শান্তি ও কল্যাণ কামনা করা হয়। পরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দোয়া মাহফিলের কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।

নাদিম তালুকদার নভেম্বর ৩০, ২০২৫ 0
শিক্ষাঙ্গন
গোপালপুরে নূরানী স্কলারশিপ বৃত্তি পরীক্ষা: ২৫ উপজেলার ৮ হাজার শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ

টাঙ্গাইল, জামালপুর, সিরাজগঞ্জ ও ময়মনসিংহ—এই চার জেলার ২৫টি উপজেলা থেকে মোট ৮ হাজার শিশু শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে এবারের নূরানী স্কলারশিপ বৃত্তি পরীক্ষায়। টাঙ্গাইল জেলা নূরানী শিক্ষক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে প্রতি বছরের মতো এবারও ধাপে ধাপে বিভিন্ন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ বৃত্তি পরীক্ষা। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) গোপালপুরের দারুল উলুম কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ৭০০ শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেয়। এর আগে ভূঞাপুর, কালিহাতী, ঘাটাইল, মধুপুর, ধনবাড়ী এবং জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় বৃত্তি পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। হেরাল মডেল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল হাবিবুর রহমান তালুকদার বলেন, “টাঙ্গাইল জেলা নূরানী  শিক্ষক ফাউন্ডেশনের স্কলারশিপ বৃত্তি পরীক্ষা নূরানী শিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য বয়ে আনবে। এটি বাচ্চাদের পড়ার গতি ও মনোযোগ বাড়াতে বড় ভূমিকা রাখবে।” গোহাটা মসজিদের ইমাম ও ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা হাফেজ মাওলানা মুফতি নাজির সিদ্দিকী বলেন, “নূরানী শিক্ষা শিশুদের প্রাথমিক ও ভিত্তিমূলক শিক্ষা। আরবি হরফ ও বাংলা বর্ণের সাথে পরিচয়ের প্রথম ধাপ এটি। তাই শিশুদের চরিত্র গঠন ও নৈতিক শিক্ষায় এর ভূমিকা অনন্য।” ফাউন্ডেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভিন্ন উপজেলার জিম্মাদাররাও পরীক্ষা পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ঘাটাইল উপজেলা জিম্মাদার মুফতি আব্দুর রশিদ বলেন, “এ ধরনের বৃত্তি পরীক্ষা শিশুদের মাঝে একটি সুস্থ প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করে এবং তাদের পড়াশোনায় আগ্রহ বাড়ায়।” মাওলানা জুবায়ের বলেন, “শিশুরা সারা বছর যে পরিশ্রম করে, এই পরীক্ষার মাধ্যমে তার সঠিক মূল্যায়ন হয়। অভিভাবকদের মধ্যেও সচেতনতা বাড়ে।” মধুপুর উপজেলা জিম্মাদার মাওলানা ইবরাহিম খলিল জানান, “নূরানী শিক্ষার প্রসারের জন্য ফাউন্ডেশনের এই উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। ছোট বাচ্চাদের শিক্ষাজীবনে এটি বড় উৎসাহের সৃষ্টি করে।” গোপালপুর উপজেলা জিম্মাদার মাওলানা নোমান আহমেদ বলেন, “প্রতিটি কেন্দ্রেই অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলা ছিল প্রশংসনীয়।” অভিভাবকরা জানান, নূরানী স্কলারশিপ পরীক্ষা শিশুদের পড়াশোনায় আগ্রহ বাড়ায় এবং সারা বছরের শেখার মূল্যায়নে কার্যকর ভূমিকা রাখে। মাদরাসার শিক্ষকরা বলেন, “এটি শুধু বৃত্তি পরীক্ষা নয়, বরং শিক্ষার মানোন্নয়ন, প্রতিযোগিতা সৃষ্টি এবং আত্মবিশ্বাস বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। একই সাথে ধর্মীয় শিক্ষায় শিশুদের আগ্রহ বাড়ে।” টাঙ্গাইল জেলা নূরানী শিক্ষক ফাউন্ডেশনের সভাপতি শেখ মাহদী হাসান শিবলী জানান, “২০১৭ সাল থেকে এ বৃত্তি পরীক্ষার আয়োজন করা হচ্ছে। উত্তীর্ণ মেধাবীদের বাইসাইকেল, শিক্ষা উপকরণ, সম্মাননা ক্রেস্টসহ নানা পুরস্কার দেওয়া হয়। পাশাপাশি শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদেরও সম্মাননা প্রদান করা হয়। ভবিষ্যতেও এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।” সংশ্লিষ্টদের বিশ্বাস, নূরানী শিক্ষার বিস্তারে এ ধরনের উদ্যোগ শিশুদের শিক্ষাজীবনকে আরও উৎসাহিত করবে এবং আলোর পথে এগিয়ে যেতে সহায়তা করবে।  

মুক্তধ্বনি ডেক্স নভেম্বর ২৯, ২০২৫ 0
সারা দেশ
টাঙ্গাইলে বিভিন্ন জায়গায় মোটরসাইকেল আরোহীদের পুলিশি হয়রানির অভিযোগ

সাজিদ পিয়াল: টাঙ্গাইলে বিভিন্ন জায়গায় মোটরসাইকেল আরোহীদের পুলিশি হয়রানির অভিযোগ। টাঙ্গাইলের বিভিন্ন সড়কে মোটরসাইকেল আরোহীদের বিরুদ্ধে পুলিশের অতিরিক্ত তল্লাশি ও অযৌক্তিক জিজ্ঞাসাবাদের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ব্যস্ত সড়কে হঠাৎ থামিয়ে কাগজপত্র দেখানোর নামে দীর্ঘ সময় দাঁড় করিয়ে রাখা, বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও উল্টো ধমক দেওয়া এবং গাড়ি জব্দের হুমকি দেওয়ার মতো আচরণের বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ আরোহীরা। স্থানীয়দের অভিযোগ, টাঙ্গাইল শহর, নতুন বাসস্ট্যান্ড, এলেঙ্গা, করটিয়া, মধুপুর ও কালিহাতী সড়কসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিনই পুলিশের চেকপোস্টে মোটরসাইকেল আরোহীদের লক্ষ্য করে কঠোর তল্লাশি চালানো হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে কাগজপত্র ঠিক থাকলেও আরোহীরা অযথা হয়রানির মুখে পড়ছেন। ভুক্তভোগী এক মোটরসাইকেলচালক বলেন, “লাইসেন্স, ইনস্যুরেন্স ও রেজিস্ট্রেশন সব ঠিক থাকলেও কোনো কারণ ছাড়াই আমাকে ১৫ মিনিট দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। কিছু বলতে গেলেই উল্টো ধমক দেন।”আরো অভিযোগ পাওয়ার যায় তাঁরা মিডিয়া বা গণমাধ্যমের মোটর সাইকেল দেখলে তাঁদের দার করিয়ে ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে একটা বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। শুধু তাই নয় বাকবিদ্বন্দায় জড়িয়ে পড়ে এই পরিস্থিতি আমাদের দেশের মনুষের উপর নেতি বাঁচক প্রভাব ফেলছে। এ বিষয়ে দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, অপরাধ প্রতিরোধ ও সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হয়। তবে কেউ হয়রানির শিকার হলে লিখিত অভিযোগ দিলে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশি আচরণে অসঙ্গতির অভিযোগে জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা পুলিশের আচরণে আরও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।

কৌশিক সাজ্জিদ পিয়াল নভেম্বর ২৯, ২০২৫ 0
টাঙ্গাইল- ৪ এ বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য পদ প্রার্থী লুৎফর রহমান মতিনের বিশাল জনসভা এলেঙ্গাতে
রাজনীতি
টাঙ্গাইল- ৪ এ বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য পদ প্রার্থী লুৎফর রহমান মতিনের বিশাল জনসভা এলেঙ্গা তে

১৩৩, টাঙ্গাইল ৪ কালিহাতী আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল মনোনীত সংসদ সদস্য পদ প্রার্থী লুৎফর রহমান মতিনের বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত।এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জনসভার আয়োজন করা হয়।উক্ত জনসভায় সভাপতি হিসেবে ছিলেন কালিহাতী উপজেলা বিএনপির সাবেক আহব্বায়কও বীর মুক্তিযোদ্ধা শুকুর মাহমুদ ও সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন কৃষিবিদ এস এম এ খালিদ । তা ছাড়াও উক্ত জনসভায় বক্তব্য রাখেন এলেঙ্গা পৌরসভার সাবেক মেয়র শাফী খান, টাঙ্গাইল জেলা জিয়া পরিষদের সাবেক সভাপতি প্রফেসর এ কে এম আব্দুল আওয়াল, মালেশিয়া বিএনপির সভাপতি প্রকৌশলী বাদলুর রহমান খান বাদল, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম- আহ্বায়ক মোহর আলী, উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি রহিমা খাতুন এবং কালিহাতীর বিভিন্ন ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যানগন সহ কালিহাতী উপজেলা বিএনপিও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ নির্বাচনী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে লুৎফর রহমান মতিন নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন" দেশ নেত্রী খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়ন হবে দেশ দ্রুত গতিতে অগ্রসর হবে এবং আমরা সকলেই ভেদাভেদ ভুলে একসাথে কাজ করে যেন টাঙ্গাইল-৪ অর্থাৎ আমাদের কালিহাতী আসনটি ম্যাডাম খালেদা জিয়া ও আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানকে উপহার দিতে পারি"।

নাদিম তালুকদার নভেম্বর ২৮, ২০২৫ 0
লুৎফর রহমান মতিনের এলেঙ্গা জনসভায় যোগদিতে গোহালিয়াবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃত্বে ১৫ বাসের বিশাল বহর।
রাজনীতি
লুৎফর রহমান মতিনের এলেঙ্গা জনসভায় যোগদিতে গোহালিয়াবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃত্বে ১৫ বাসের বিশাল বহর।

১৩৩,টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মনোনীত প্রার্থী ও বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য লুৎফর রহমান মতিনের এলেঙ্গা জনসভাকে সফল করতে গোহালিয়াবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা ১৫টি বাসের বহর নিয়ে মহাসমারোহে জনসভায় যোগ দেন। মিছিলটির নেতৃত্ব দেন কালিহাতী উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক, গোহালিয়াবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মতিউল আলম তালুকদার। এ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব, ইউনিয়ন বিএনপির নেতা আতিকুর রহমান, ইউনিয়ন বিএনপি নেতা ও ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার বাবলু তালুকদার, কালিহাতী উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য ইমরান হোসেন তালুকদার, কালিহাতী উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও উপজেলা যুবদল নেতা আল-আমিন শিকদারসহ ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল ও কৃষক দলের অসংখ্য নেতা-কর্মী। নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণে মিছিলটি জনসমুদ্রে পরিণত হয় এবং এলাকায় উৎসব মুখর অবস্থা তৈরি হয়।

নাদিম তালুকদার নভেম্বর ২৭, ২০২৫ 0
১৩৩,টাঙ্গাইল-৪ এ বিএনপি মনোনীত প্রার্থী লুৎফর রহমান মতিনের পক্ষে পাইকরা ইউনিয়নে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
রাজনীতি
১৩৩,টাঙ্গাইল-৪ এ বিএনপি মনোনীত প্রার্থী লুৎফর রহমান মতিনের পক্ষে পাইকরা ইউনিয়নে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

১৩৩,টাঙ্গাইল ৪ (কালিহাতি) আসনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী জননেতা জনাব লুৎফর রহমান মতিন ভাইয়ের পক্ষে- ধানের শীষের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহব্বান জানিয়ে পাইকরা ইউনিয়নে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, টাংগাইল জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি ও কালিহাতী উপজেলার বিএনপির সাবেক আহব্বায়ক শুকুর মাহমুদ, টাংগাইল জেলা শহীদ জিয়া পরিষদের সাবেক সভাপতি আব্দুল আউয়াল ,কালিহাতি উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক হিরো, ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি কৃষিবিদ খালিদ মাহমুদ, কালিহাতী উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিক কালিহাতী ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক যুবদল নেতা শেখ আমিনুর ইসলাম। এছাড়াও কালিহাতী উপজেলা বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ

নাদিম তালুকদার নভেম্বর ২৬, ২০২৫ 0
শিক্ষাঙ্গন
নূরানী স্কলারশীপ বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন ৮ হাজার শিশু শিক্ষার্থী

নূরানী স্কলারশীপ বৃত্তি পরীক্ষায় মেধা যাচাইয়ে টাঙ্গাইল, জামালপুর, সিরাজগঞ্জ ও ময়মনসিংহের ২৫টি উপজেলা থেকে এবার ৮ হাজার শিশু শিক্ষার্থী বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। টাঙ্গাইল জেলা নূরানী শিক্ষক ফাউন্ডেশন এই বৃত্তি পরীক্ষার আয়োজন করেন। ধাপে ধাপে এই ৪ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় এই বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) টাঙ্গাইলের ঘাটাইলের শাহ্পুর তাহিরীয়া দারুস্ সুন্নাহ্ হাফিজিয়া ও নূরানী মাদরাসা এবং কালিহাতীর রাজাফৈর কওমীয়া হাফিজিয়া মাদরাসা ও আবু আশরাফ খান (অবঃ জজ) মাদসায় বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে জেলার ভূঞাপুর, মধুপুর, গোপালপুর, ধনবাড়ী ও জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন মাদরাসা এই বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কালিহাতীর রাজাফৈর কওমীয়া হাফিজিয়া মাদরাসা ও আবু আশরাফ খান (অবঃ জজ) মাদসায় বৃত্তি পরীক্ষা প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাবিহা, দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী আতিয়া ও হাসান বলেন- তারা এর আগে কখনো বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেননি। এবারই প্রথম অংশ নিয়েছেন, পরীক্ষায় অংশ নিতে পেরে তারা আনন্দিত। অভিভাবকরা বলেন- এই স্কলারশীপ বৃত্তি পরীক্ষায় শিশুদের পড়াশোনায় উৎসাহ তৈরি করছে এবং বৃত্তি পরীক্ষার মাধ্যমে সারা বছরের পড়াশোনার মেধার বিকাশ ঘটে। মাদরাসার শিক্ষকরা বলেন- এটি শুধু বৃত্তি পরীক্ষা নয়, এই পরীক্ষার মাধ্যমে পড়ার উন্নয়ন ঘটে এবং পড়াশোনায় ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে প্রতিযোগীতা ও শিক্ষার্থীদের পাঠ্যভাসে আরও আত্মবিশ^াসী হয়। এছাড়াও ধর্মীয় শিক্ষায় শিশুদের আগ্রহ বাড়াতে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।  টাঙ্গাইল জেলা নূরানী শিক্ষক ফাউন্ডেশন সভাপতি শেখ মাহদী হাসান শিবলী বলেন- টাঙ্গাইল, জামালপুর, সিরাজগঞ্জ ও ময়মনসিংহের ২৫টি উপজেলা থেকে এবার ৮ হাজার শিশু শিক্ষার্থী বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন এবং ধাপে ধাপে পরীক্ষাগুলো বিভিন্ন উপজেলায় বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মাহদী হাসান শিবলী আরও বলেন- ২০১৭ সাল থেকে টাঙ্গাইল জেলা নূরানী শিক্ষক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এই পরীক্ষার আয়োজন করে আসছেন। উত্তীর্ণ মেধাবী মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার হিসেবে বাইসাইকেল, শিক্ষা উপকরণ ও সম্মাননা ক্রেস্টসহ বিভিন্ন পুরস্কার প্রদান করে থাকেনা। পাশাপাশি ফাউন্ডশন থেকে শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদেরও সম্মাননা প্রদান করেন। তারা এই ধারাবাহিকতা ভবিষতেও অব্যাহত রাখবেন।  ক্যাপশন: টাঙ্গাইল জেলা নূরানী শিক্ষক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে নূরানী স্কলারশীপ বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

মুক্তধ্বনি ডেক্স নভেম্বর ২৫, ২০২৫ 0
সর্বাধিক পঠিত
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির ঢাকা বিভাগীয় ব্যুরো চীফ হলেন সাংবাদিক মোঃ মনিরুজ্জামান।

দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”

শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে?

মাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দ‍র্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৩৩৪তম পর্বে নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে নিয়ামত কমে যাবে কি না, সে বিষয়ে ঢাকা থেকে চিঠির মাধ্যমে জানতে চেয়েছেন একজন দর্শক। অনুলিখন করেছেন জান্নাত আরা পাপিয়া। প্রশ্ন : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে? উত্তর : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা কুফরি। এটা বড় কুফরি না, ছোট কুফরি। যদি আল্লাহর বান্দারা আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করে থাকেন, তাহলে তাঁরা কুফরি কাজ করে থাকলেন। এ জন্য আল্লাহ কোরআনে স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘তোমরা আমার শুকরিয়া আদায় করো, আমার সঙ্গে কুফরি করো না।’ আল্লাহ যে নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন, আল্লাহর নিয়ামত লাভ করে সুন্দর জীবনযাপন করা, এটা যদি কেউ আল্লাহর কাছে সত্যিকার অর্থে তুলে ধরতে না পারে, তাহলে সে ব্যক্তি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া করলেন না, কুফরি করলেন। এই জন্য আল্লাহ সুরা দোহার শেষ আয়াতে বলেছেন, ‘তুমি তোমার রবের নিয়ামত প্রকাশ করো। কারণ, তোমার কাছে যখন নিয়ামত আসছে, তখন আল্লাহ পছন্দ করেন যে তুমি আল্লাহর এই নিয়ামতের বিষয়টি তুলে ধরবে।’ আল্লাহর কাছে বলবে, আল্লাহ আমাকে এই নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন। আল্লাহ নিয়ামতকে বান্দার কাছে তুলে ধরার জন্য বলেছেন, বহিঃপ্রকাশ করার জন্য বলেছেন। বহিঃপ্রকাশ দুই ধরনের হতে পারে। একটি হলো নিয়ামতের ব্যবহারের মাধ্যমে বহিঃপ্রকাশ করা। দ্বিতীয়ত, নিয়ামতের বিষয়টি হলো মানুষের কাছে নিয়ামত তুলে ধরবে। যাতে করে আল্লাহর প্রশংসা প্রকাশ পায়। নিয়ামতের শুকরিয়া যদি কেউ আদায় না করেন, তাহলে কুফরি হবে। আল্লাহ বলেছেন, যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করে থাক, তাহলে আমি আরো বৃদ্ধি করে দেব। বান্দারা যখন নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করবে, তখন আল্লাহ আরো নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করে দেন। আর যদি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা হয়, তাহলে আল্লাহ নিয়ামত কমিয়ে দেবেন এবং সেইসঙ্গে আরেকটি কঠিন বাণী আল্লাহ বলেছেন, ‘জেনে রাখো আল্লাহর কঠিন আজাবও তোমাদের জন্য অবধারিত থাকবে।’ নিয়ামতের শুকরিয়া শুধু মুখে আদায় করা যথেষ্ট নয়। কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর শুকরিয়া আমলের মাধ্যমে আদায় করো।’ সুতরাং বান্দারা শুকরিয়া আদায় করবে। শুকরিয়ার অনেকগুলো দিক রয়েছে, তার মধ্যে আমলের মাধ্যমে শুকরিয়া আদায় করা হলো শুকরিয়ার সর্বোচ্চ স্তর।

নবী মুহাম্মদ (সাঃ) - নিষ্পাপ চরিত্রের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ

তিনি ছিলেন মানবজাতির আদর্শ। তিনি অত্যন্ত উদার ও বিনয়ী ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক এবং একজন সাহসী যোদ্ধা। এছাড়াও তিনি একজন দক্ষ প্রশাসক, একজন দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক এবং একজন সফল প্রচারক ছিলেন। তিনিই উত্তম চরিত্র ও উদারতার একমাত্র উৎস। তিনি সকলের আদর্শহীন এবং প্রিয় ব্যক্তিত্ব। যার প্রেমে, দুনিয়া মাতাল। তিনি আমার আদর্শ, তিনি আমার নেতা। তিনি আমার নবী, আমাদের নবী এবং সকলের নবী। তিনি হলেন হযরত মুহাম্মদ (সা.) তিনি সর্বোত্তম আদর্শ। সমস্ত মানবজাতির জন্য করুণা। অন্ধকারে নিমজ্জিত বিশ্বের মানুষের জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে। তার অসাধারণ চরিত্র, মাধুর্য এবং অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব সবাইকে অবাক করেছে। মুমিনের চঞ্চল হৃদয় তাকে এক নজর দেখার জন্য আকুল হয়ে থাকে। কবি কাজী নজরুল বলেছেন: “বিচ্ছেদের রাত ছিল একাকার কান্নার ভোর; আমার মনে শান্তি নেই, আমি কাঁদছি। হে মদিনাবাসীর প্রেমিক, আমার হাত ধর।" তার নিষ্কলুষ চরিত্রের স্বীকৃতি দিয়ে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, "তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।" (সূরা আল-আহজাব, আয়াত 21)। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে আজ কিছু লোক সেই নবীর সম্মানকে অবমাননা করছে। হৃদয় ভেঙ্গে যায়। আমাদের ক্ষমা করুন, হে নবী! তিনি তার অবিস্মরণীয় ক্ষমা, উদারতা, সততা, নম্রতা প্রভৃতির বিরল মুগ্ধতা দিয়ে বর্বর আরব জাতির আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এজন্য তারা তাকে ‘আল-আমিন’ উপাধিতে ভূষিত করেন। তারা সর্বসম্মতিক্রমে স্বীকার করেছিল যে তিনি নম্র এবং গুণী ছিলেন। টাকা দিয়ে নয়, ভালো ব্যবহার দিয়ে তিনি বিশ্ববাসীকে জয় করেছেন। আল্লাহ তাঁর গুণাবলী সম্পর্কে কুরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই তুমি মহৎ চরিত্রের অধিকারী।’ (সূরা আল কালাম, আয়াত ৪)। তিনি কখনো মানুষকে তুচ্ছ করেননি। আত্মসম্মানবোধে তিনি কাউকে তুচ্ছ মনে করেননি। তিনি বিশ্বের হৃদয়ে উচ্চতর চরিত্রের একটি অনুপম মানদণ্ড স্থাপন করেছেন। নম্রতা তার চরিত্রে সর্বদা উপস্থিত ছিল। পৃথিবীর মানবতার কল্যাণে তাকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল শ্রেষ্ঠ আদর্শের বাস্তবায়নকারী ও প্রশিক্ষক হিসেবে। এ প্রসঙ্গে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমাকে আমার উত্তম চরিত্র পূর্ণ করার জন্য প্রেরিত করা হয়েছে।’ (মুসনাদে আহমদ, মিশকাত) ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন বিনয়ী এবং আচার-আচরণে অত্যন্ত বিনয়ী। দুর্বল ব্যক্তিকে কড়া কথায় আঘাত করবেন না। তিনি কোন মানুষকে তার সাধ্যের বাইরে অসাধ্য সাধন করতে বাধ্য করেননি। গরিব-অসহায় মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করতেন। তিনি লোকদেরকে তাদের আচরণে অপ্রয়োজনীয় রাগ ও রাগ থেকে সর্বদা বিরত থাকার উপদেশ দিতেন এবং মানুষকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন, “যে বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাকে উঁচু করে দেন এবং যে অহংকারী হয়, আল্লাহ তাকে লাঞ্ছিত করেন।” (মিশকাত) কাফেররাও তার কাছ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে সদয় ও নম্র আচরণ পেয়েছিল। তার অনুসারীরা তাকে উচ্চ সম্মানের সাথে ধরেছিল কারণ তিনি খুব নমনীয় এবং নম্র ছিলেন। হজরত আয়েশা (রা.) তার ভদ্র আচার-আচরণ সম্পর্কে বলেন, ‘নবী (সা.) রূঢ় বক্তা ছিলেন না, প্রয়োজনের সময়ও তিনি কঠোর ভাষা ব্যবহার করতেন না। প্রতিহিংসা তার সাথে ছিল না মোটেও। মন্দের বিনিময়ে ভালোই করেছেন। সব ক্ষেত্রেই তিনি ক্ষমা পছন্দ করতেন। তিনি লোকদেরকে উপদেশ দিয়েছিলেন, “আল্লাহর ইবাদত কর, করুণাময় প্রভু, ক্ষুধার্তকে খাবার দাও, সালাম দাও এবং এসব কাজের মাধ্যমে জান্নাতে প্রবেশ কর। তিনি উত্তর দিলেন, "ক্ষুধার্তকে খাওয়ানো এবং অপরিচিত সকলকে সালাম করা।" (বুখারী ও মুসলিম)। মহানবী (সা.)-এর মর্যাদাকে সম্মান করা মুসলমানদের ধর্মীয় কর্তব্য এবং প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানের মৌলিক অংশ।

মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি?

নামাজ, রোজা, জাকাত, হজ, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৯২৯তম পর্বে ই-মেইলের মাধ্যমে কানিজ নাহার দিপা জানতে চেয়েছেন, মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? অনুলিখন করেছেন মোহাম্মদ সাইফ আহমেদ। প্রশ্ন : মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? উত্তর : না দোয়ার জন্য আলাদা কোনো মাহফিল নেই। এটা আসবে কেন? আমরা একটা জায়গা থেকে বাঁচার জন্য আরেকটি কাজ করছি। কিন্তু সেই কাজটি ভুল করে আরও বড় ভুলের সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। আমাদের সমাজে একটি প্রথা একেবারে ছেয়ে গেছে। যেমন—একজন মারা গেলে তার জন্য মিলাদ-মাহফিল করা কিংবা কূলখানি করা। কিন্তু এগুলো সবই বেদআতি কাজ। এগুলো সঠিক কাজ নয়। অনেকে মনে করছে, দোয়া-মাহফিল করা যেতে পারে। কিন্তু সেটা একদমই নয়। এসব ইসলামে অনুমোদন দেয়নি। এইগুলো পুরোটাই বেদআত। মানুষ চাইলে যে কোনো সময় কিংবা যে কোনো জায়গা থেকে দোয়া করতে পারবেন। দোয়ার সঙ্গে মাহফিল কিংবা আলাদা কোনো ধরনের অনুষ্ঠান ঘোষণা করা জায়েজ নেই। আশা করি, আপনি বুঝতে পেরেছেন।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রতিযোগিতা: চ্যাটজিপিটি বনাম ডিপসিক?

র্তমান প্রযুক্তি বিশ্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) নিয়ে নতুন প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ওপেনএআই-এর চ্যাটজিপিটি ও চীনের ডিপসিকের মধ্যে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুধু প্রযুক্তিগত দক্ষতার নয়, বরং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। চ্যাটজিপিটি দীর্ঘদিন ধরে ব্লগ লেখা, গবেষণা, প্রোগ্রামিংসহ নানান কাজে অপরিহার্য টুল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি চীনের তৈরি ডিপসিক এআই জগতে নতুন আলোড়ন তুলেছে। তারা দাবি করছে, তুলনামূলক কম চিপ ব্যবহার করেই অত্যাধুনিক এআই সেবা দেওয়া সম্ভব, যেখানে ওপেনএআই-এর বিশাল মডেলগুলোর জন্য ১৬,০০০ বা তারও বেশি চিপ প্রয়োজন হয়, সেখানে মাত্র ২০০০ চিপ দিয়ে ডিপসিক কার্যকরভাবে কাজ করতে সক্ষম। দুই প্ল্যাটফর্মের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রয়েছে। ✅ চ্যাটজিপিটি: বিস্তৃত বিশ্লেষণ ও গভীর গবেষণা উপস্থাপন করতে পারে, যা একাডেমিক ও জটিল সমস্যার সমাধানে সহায়ক। ✅ ডিপসিক: দ্রুত এবং সংক্ষিপ্ত উত্তর দিতে পারে, যা তাৎক্ষণিক ফলাফল প্রত্যাশী ব্যবহারকারীদের জন্য উপযোগী। লেখালেখির ক্ষেত্রে চ্যাটজিপিটি কেবল ধারণা ও প্লটের কাঠামো গড়ে তোলে, যেখানে ডিপসিক প্রায় পুরো গল্প তৈরি করে দিতে পারে। একইভাবে, কোডিংয়ের ক্ষেত্রেও ডিপসিক কিছু ক্ষেত্রে দ্রুত সমাধান দিতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। ডিপসিকের বিরুদ্ধে ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা সংরক্ষণ ও তথ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অস্ট্রেলিয়াসহ কয়েকটি দেশের সরকার ইতোমধ্যেই ডিপসিকের ডেটা নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ওপেনএআই নিজেও অতীতে অনুমতি ছাড়া মানুষের লেখা ডেটা প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহারের অভিযোগের মুখে পড়েছিল, যা এখন ডিপসিকের বিরুদ্ধে উঠছে। ডিপসিকের সাফল্যের ফলে এআই চিপের বাজারেও বড় প্রভাব পড়েছে। এনভিডিয়া, যারা উন্নত চিপ তৈরিতে বিশ্বব্যাপী অগ্রগণ্য, তাদের শেয়ারের মূল্য একদিনে প্রায় ১৭% কমে গেছে। কারণ, কম শক্তিশালী হার্ডওয়্যারেও কার্যকর এআই সম্ভব হলে উচ্চমূল্যের উন্নত চিপের বাজার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে প্রযুক্তিগত প্রতিযোগিতা নতুন কিছু নয়, তবে ডিপসিকের উদ্ভাবন নতুন মাত্রা যোগ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই চীনে উন্নত চিপ রপ্তানির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, কম খরচে ভালো এআই তৈরি হলে মার্কিন প্রযুক্তি খাতেরও লাভ হতে পারে। এই প্রতিযোগিতা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভবিষ্যৎকে আরও উন্নত ও বহুমাত্রিক করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যেখানে দ্রুত এবং সাশ্রয়ী সমাধান দরকার, সেখানে হয়তো ডিপসিক এগিয়ে থাকবে, আর যেখানে গবেষণা ও জটিল বিশ্লেষণের প্রয়োজন, সেখানে চ্যাটজিপিটির মতো বৃহৎ মডেলগুলো প্রাধান্য পাবে। শেষ পর্যন্ত, এই প্রতিযোগিতাই হয়তো এআই প্রযুক্তিকে আরও দক্ষ, নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী করবে।

শীর্ষ সপ্তাহ

টাঙ্গাইলের কাকুয়া ইউনিয়নে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল
সারা দেশ

টাঙ্গাইলের কাকুয়া ইউনিয়নে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল

ডিসেম্বর ৯, ২০২৫ 0

ভোট জরিপ

আমাদের নতুন ওয়েবসাইট আপনাদের কাছে কেমন লাগছে