Search : দুর্ঘটনা

সারা দেশ
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বাসের চাপায় তরুণের মর্মান্তিক মৃত্যু

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বাসের চাপায় তরুণের মর্মান্তিক মৃত্যু টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বাসের চাপায় শাফিউল মুজনবীন দীপ্ত (২৫) নামে এক তরুণ নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (রাত ১টার দিকে) ঢাকা–টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর বাইপাস বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রাতের ওই সময়ে দীপ্ত একটি গাড়ি থেকে নেমে রাস্তার পাশে দাঁড়ান। কিছু বুঝে ওঠার আগেই পাশ দিয়ে আসা আরেকটি বাস হঠাৎ সামনে চলে আসে। এ সময় দুই গাড়ির মাঝখানে চাপা পড়ে গুরুতর আহত হন তিনি। স্থানীয়রা দ্রুত তাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে এলেও ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।নিহত দীপ্ত মির্জাপুর শহীদ ভবানী প্রসাদ সাহা সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের সদ্য স্নাতক। তিনি ওই কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. শহীদুল্লাহর একমাত্র পুত্র। পরিবারের সঙ্গে তিনি মির্জাপুর পৌরসভার বাইমহাটি কবরস্থান এলাকায় বসবাস করতেন। পড়াশোনা শেষ করে সম্প্রতি দেশের একটি খ্যাতনামা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে দিনাজপুর অঞ্চলে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন তিনি।পরিবারের সদস্যরা জানান, কর্মস্থল দিনাজপুর থেকে বৃহস্পতিবার মির্জাপুরে ফিরছিলেন দীপ্ত। দুর্ঘটনার কিছুক্ষণ আগেও তিনি মোবাইল ফোনে পরিবারের সঙ্গে কথা বলে মির্জাপুরের কাছাকাছি পৌঁছানোর কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেই ফেরাই যে হবে তার শেষ ফেরা—তা কেউ কল্পনাও করতে পারেনি।শুক্রবার বাদ জুমা মির্জাপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে সামাজিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এ সময় শিক্ষক, সাংবাদিক, সহপাঠীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।দীপ্তর অকাল মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শিক্ষক সমাজ, স্থানীয় সাংবাদিক ও শুভানুধ্যায়ীরা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

মুক্তধ্বনি ডেক্স ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫ 0
টাঙ্গাইলের  মির্জাপুরে বাস থেকে নামতেই অজ্ঞাত যানচাপা: সিঙ্গার কর্মকর্তা দীপ্ত নিহত
সারা দেশ
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বাস থেকে নামতেই অজ্ঞাত যানচাপা: সিঙ্গার কর্মকর্তা দীপ্ত নিহত

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে হৃদয়বিদারক সড়ক দুর্ঘটনায় শাফিউল মুজনবীন দীপ্ত (২৫) নামে সিঙ্গার কোম্পানির এক তরুণ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) রাত দেড়টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর বাইপাস এলাকায় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত দীপ্ত মির্জাপুর শহীদ ভবানী প্রসাদ সাহা সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রাক্তন সহকারী অধ্যাপক শহীদুল্লাহ খানের একমাত্র ছেলে। পারিবারিকসূত্রে জানা যায়, দীপ্ত মির্জাপুর পৌরসভার বাইমহাটী কবরস্থান এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা ছিলেন। পরিবার জানায়, সিঙ্গার কোম্পানিতে দিনাজপুর জেলা ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন দীপ্ত। সাপ্তাহিক ছুটিতে দিনাজপুর থেকে পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে বৃহস্পতিবার রাতে মির্জাপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে মির্জাপুর বাইপাস এলাকায় পৌঁছে বাস থেকে নামার পাঁচ মিনিট আগেই তিনি মুঠোফোনে মায়ের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু বাস থেকে নামার পরপরই অজ্ঞাত একটি দ্রুতগামী যান তাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরিবারের দাবি, তারা বহুবার ফোন করেও দীপ্তের সঙ্গে যোগাযোগ পাননি। পরে কিছুক্ষণ পর মির্জাপুর থানা পুলিশই ফোন করে তাদের দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে। হঠাৎ করে পরিবারের ভবিষ্যৎ ভেঙে যাওয়ায় গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে পুরো মির্জাপুরে। সদ্য লেখাপড়া শেষ করে স্বপ্ন নিয়ে কর্মজীবনে প্রবেশ করা এই তরুণের অকাল মৃত্যু সহপাঠী, সহকর্মী ও এলাকাবাসীর মনে শোকের পাশাপাশি ক্ষোভও সৃষ্টি করেছে। এ বিষয়ে গোড়াই হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল সারোওয়ার বলেন, “দুর্ঘটনার পরপরই আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দুর্ঘটনার যানটি শনাক্তে আমাদের তদন্ত চলছে।” এদিকে এলাকাবাসী দ্রুতগামী যানবাহনের বেপরোয়া গতিকে এই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করে মহাসড়কে যানবাহনের নিয়ন্ত্রণহীন চলাচল বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

নাদিম তালুকদার ডিসেম্বর ১২, ২০২৫ 0
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত
সারা দেশ
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার জাঙ্গালিয়া এলাকায় মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোকছেদুর রহমান জানান, তিন আরোহী একটি মোটরসাইকেলে করে গারোবাজার থেকে ঘাটাইলের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে অতিরিক্ত গতি ও নিয়ন্ত্রণ হারানোয় মোটরসাইকেলটি সড়কের পাশের একটি গাছের সঙ্গে সজোরে ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই দুই আরোহী মারা যান এবং অপরজন গুরুতর আহত হন। স্থানীয় লোকজন প্রথমে তাদের উদ্ধার করে। পরে আহত ব্যক্তিকে দ্রুত টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। নিহতদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি )আরও বলেন, “মোটরসাইকেলে তিনজন আরোহী ছিলেন। অতিরিক্ত গতি এবং হেলমেট না পরার কারণে মৃত্যুঝুঁকি আরও বেড়েছে। পরিচয় শনাক্তের পর পরিবারকে জানানো হবে।”

নাদিম তালুকদার ডিসেম্বর ১১, ২০২৫ 0
সারা দেশ
টাঙ্গাইলে কাভার্ড ভ্যানকে ট্রাকের ধাক্কা: নিহত ২

টাঙ্গাইলে কাভার্ড ভ্যানকে ট্রাকের ধাক্কা: নিহত ২ টাঙ্গাইলের কান্দিলা এলাকায় ০৯/১২/২০২৫ ইং তারিখ রোজ মঙ্গলবার রাত প্রায় ১০টার দিকে কাভার্ড ভ্যানের পেছনে ট্রাকের ধাক্কায় দুইজন নিহত হয়েছেন। রাতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে চলন্ত কাভার্ড ভ্যানের পিছনে দ্রুতগতির একটি ট্রাক এসে ধাক্কা দিলে ভয়াবহ এই দুর্ঘটনা ঘটে।স্থানীয়রা জানান, রাতের অন্ধকারে হঠাৎ প্রচণ্ড শব্দে তারা ছুটে এসে মহাসড়কে দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান দেখতে পান। সংঘর্ষের ফলে কাভার্ড ভ্যানের পেছনের অংশ চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই দুই যাত্রী মারা যান। দুর্ঘটনার পর কিছু সময়ের জন্য মহাসড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয়। খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশের একটি টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধারসহ দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত যান দুটি রাস্তার পাশের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে ফেলে। এতে কিছুক্ষণের মধ্যেই যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। হাইওয়ে পুলিশের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, ট্রাকটি অতিরিক্ত গতিতে চলছিল বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে সিসিটিভি ফুটেজ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্যের ভিত্তিতে দুর্ঘটনার সঠিক কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নিহতদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে এবং মরদেহ দুটি পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে।এ দুর্ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয়দের দাবি, মহাসড়কে দ্রুতগতির যানবাহনের কারণে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে, তাই নিরাপত্তা জোরদারের পাশাপাশি কঠোর নজরদারি প্রয়োজন।

কৌশিক সাজ্জিদ পিয়াল ডিসেম্বর ১০, ২০২৫ 0
টাঙ্গাইলে ট্রাক-কাভার্ডভ্যান সংঘর্ষে নিহত ২
সারা দেশ
টাঙ্গাইলে ট্রাক-কাভার্ডভ্যান সংঘর্ষে নিহত ২

টাঙ্গাইলে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে কাভার্ডভ্যানের পেছনে ট্রাকের ধাক্কায় চালকসহ দুই জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও তিন জন গুরুতর আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে সদর উপজেলার কান্দিলা বাইপাস এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। রাতের অন্ধকারে প্রচণ্ড শব্দে দুর্ঘটনার খবর দ্রুত আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে এবং স্থানীয়রা ছুটে এসে উদ্ধার কাজে সহায়তা করেন। নিহতরা হলেন—শেরপুর জেলার বাসিন্দা ট্রাকচালক সোহেল এবং টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের মুরগি ব্যবসায়ী আমিনুর রহমান। নিহত দু’জনই ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ। এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুল হাসান বলেন, “জামালপুর থেকে ঢাকাগামী হাঁস-মুরগি বোঝাই ট্রাকটি সামনে থাকা একটি কাভার্ডভ্যানকে পেছন থেকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ট্রাকের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই দুই জনের মৃত্যু হয়। আহত তিন জনকে স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’’ তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনায় মহাসড়কে সাময়িক যানজটের সৃষ্টি হলেও দ্রুত যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে। ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান জব্দ করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। স্থানীয়দের দাবি, মহাসড়কে অতিরিক্ত গতি ও অসতর্ক ড্রাইভিংয়ের কারণে প্রায়ই এমন দুর্ঘটনা ঘটছে। তারা দুর্ঘটনা রোধে মহাসড়কে নিয়মিত নজরদারি ও কঠোর আইন প্রয়োগের দাবি জানিয়েছেন।

নাদিম তালুকদার ডিসেম্বর ১০, ২০২৫ 0
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে ট্রাকচাপায় তরুণ ব্যবসায়ীর মর্মান্তিক মৃত্যু
সারা দেশ
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে ট্রাকচাপায় তরুণ ব্যবসায়ীর মর্মান্তিক মৃত্যু

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে ট্রাকের চাপায় মোঃ রনি মিয়া (২০) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে টাঙ্গাইল–ময়মনসিংহ মহাসড়কের ঘাটাইল ক্যান্টনমেন্টের শাহপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঘাটাইল থানার ডিউটি অফিসার এএসআই মোঃ সায়েম হোসেন। নিহত রনি মিয়া টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার জহুর আলীর ছেলে। তিনি মধুপুর তৌফিক প্লাজায় একটি দোকানে ব্যবসা করতেন। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম সদস্য হওয়ায় তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই স্বজনদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রাতে রনি মোটরসাইকেলে করে মধুপুর থেকে ঘাটাইলের উদ্দেশ্যে রওনা হন। পথিমধ্যে শাহপুর এলাকায় পৌঁছালে পেছন দিক থেকে একটি দ্রুতগামী ট্রাক তার মোটরসাইকেলকে সজোরে ধাক্কা দেয়। ধাক্কার পর ট্রাকটি রনিকে চাপা দিয়ে দ্রুত সটকে পড়ে। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা ছুটে এসে রনির মরদেহ সড়কের পাশেই দেখতে পান এবং পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে ঘাটাইল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এএসআই মোঃ সায়েম হোসেন বলেন, “ট্রাকটি দুর্ঘটনার পরপরই পালিয়ে যায়। অন্ধকারের কারণে গাড়ির নম্বর কিংবা পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে কেউ শনাক্ত করতে পারেনি। সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহসহ বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। আইনগত প্রক্রিয়া চলছে।” এদিকে, আকস্মিক এই মৃত্যুর ঘটনায় নিহতের পরিবার, স্বজন ও স্থানীয়দের মধ্যে শোকের পাশাপাশি ক্ষোভও দেখা দিয়েছে। তারা ঘাতক ট্রাক ও চালককে শনাক্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন

নাদিম তালুকদার ডিসেম্বর ৯, ২০২৫ 0
সারা দেশ
নাগরপুর–টাঙ্গাইল সড়কের কাজ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন

সাজিদ পিয়াল: নাগরপুর–টাঙ্গাইল সড়কের কাজ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন। নাগরপুর থেকে টাঙ্গাইল পর্যন্ত সড়কের অবর্ণনীয় ভোগান্তি, দীর্ঘদিনের খানা-খন্দক, এবং চলাচলের চরম দুরবস্থার প্রতিবাদে ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ, ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী ও পরিবহনচালকদের উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৭ ডিসেম্বর ২০২৫) সকাল ১১টার দিকে নাগরপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কয়েক শতাধিক মানুষ এ মানববন্ধনে অংশ নেন। হাতে প্ল্যাকার্ড, ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে তারা দ্রুত সড়ক সংস্কার ও কাজের গতি বাড়ানোর দাবি জানান। অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, নাগরপুর–টাঙ্গাইল প্রধান সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। কয়েক কিলোমিটারজুড়ে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে, খানাখন্দে যাত্রীবাহী বাস, অ্যাম্বুলেন্সসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। এতে প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা, নষ্ট হচ্ছে যানবাহন, আর ভোগান্তিতে পড়ছে সাধারণ মানুষ। বক্তারা আরো বলেন, বিভিন্ন সময় সড়ক সংস্কারের আশ্বাস দেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই। তাই অবিলম্বে রাস্তার কাজ শুরু করে দ্রুত শেষ করার দাবি জানান তারা। অন্যথায় আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারিও দেন সংগঠনগুলো। মানববন্ধনে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, পরিবহন শ্রমিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।

কৌশিক সাজ্জিদ পিয়াল ডিসেম্বর ৯, ২০২৫ 0
সারা দেশ
কালিহাতীতে খেজুরের রস খেতে গিয়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কিশোর নিহত

কালিহাতীতে খেজুরের রস খেতে গিয়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কিশোর নিহত টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে খেজুরের রস খেতে গিয়ে ফেরার পথে ভয়াবহ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় তাওহীদ (১৫) নামে এক কিশোর নিহত হয়েছে। রবিবার ভোরে উপজেলার নাগবাড়ী ইউনিয়নের পাকুটিয়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত তাওহীদ স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল বলে জানা গেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শীতের সকালে খেজুরের রস খেতে তাওহীদ ও তার দুই বন্ধু মোটরসাইকেলযোগে ধানগড়া এলাকায় যায়। তারা রস খেয়ে বাড়ির পথে ফিরছিল। পাকুটিয়া বেইলি ব্রিজে উঠতেই হঠাৎ মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সোজা ব্রিজের লোহার রেলিংয়ে গিয়ে ধাক্কা খায়। ধাক্কা এতটাই শক্ত ছিল যে মোটরসাইকেলটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং তাওহীদ ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায়। দুর্ঘটনায় তার সঙ্গে থাকা দুই কিশোর—জিহাদ ও হাসান—গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা দ্রুত তাদের উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। আহতদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুর্ঘটনাকবলিত মোটরসাইকেলটি জব্দ করে। কালিহাতী থানার ওসি জানান, অতিরিক্ত গতির কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় আইনগত প্রক্রিয়া শেষে নিহতের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। স্থানীয়রা জানান, শীতকালে ধানগড়া ও আশপাশের এলাকায় খেজুরের রস খেতে ভোরে ভোরে কিশোর-যুবকদের ভিড় থাকে। কিন্তু রাস্তার বিভিন্ন স্থানে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণ না থাকা ও ব্রিজে বাম্পার বা সতর্কতা ব্যবস্থা না থাকায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। হঠাৎ ফুলেলের কিশোরের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পরিবারের সদস্যরা তাওহীদের অসময়ে মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না। তারা ব্রিজে যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।

কৌশিক সাজ্জিদ পিয়াল ডিসেম্বর ৭, ২০২৫ 0
আরিচা-ঘিওর-দৌলতপুর-নাগরপুর-টাঙ্গাইল মহাসড়ক উন্নয়ন কাজে স্থবিরতা, জনদুর্ভোগ চরমে
সারা দেশ
আরিচা-ঘিওর-দৌলতপুর-নাগরপুর-টাঙ্গাইল মহাসড়ক উন্নয়ন কাজে স্থবিরতা, জনদুর্ভোগ চরমে

টাঙ্গাইলের আরিচা-ঘিওর-দৌলতপুর-নাগরপুর হয়ে সদর পর্যন্ত ৫০ কিলোমিটার গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মহাসড়কের উন্নয়ন ও প্রসারণ প্রকল্পটি শুরু হয়েছিল ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি। নির্ধারিত সময় অনুযায়ী ২০২4 সালের মধ্যেই কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও আজও প্রকল্পের অগ্রগতি ‘কচ্ছপ গতির’ বেশি নয়। ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা, এলাইমেন্ট নকশায় বারবার পরিবর্তন, বনবিভাগের গাছের মূল্য নির্ধারণে বিলম্ব ও পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের অসহযোগিতা—সব মিলিয়ে প্রকল্পটি এখন প্রায় স্থবির। এতে শুধু দৈনিক যাতায়াতকারীরাই নয়, বাণিজ্য, কৃষিপণ্য পরিবহন ও জরুরি সেবাও মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। প্রকল্পের কাজ দেরিতে হওয়ায় মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে মাটি ভরাট করে রেখে দেওয়া, নির্মাণ সামগ্রী স্তূপ করে রাখা, পুরাতন রাস্তায় বিশাল গর্ত—এসব কারণে রাস্তার অবস্থা এখন ভয়াবহ।জরুরি রোগী পরিবহন, শিক্ষক–শিক্ষার্থীর দৈনিক যাতায়াত, কৃষিপণ্য ও শিল্পপণ্যের ট্রাক—সবাই একই দুর্ভোগের শিকার। দেলদুয়ার, নাগরপুর ও টাঙ্গাইল সদরের একমাত্র কানেক্টিং আঞ্চলিক মহাসড়কটি প্রায় ব্যবহার-অনুপযোগী। কয়েক লক্ষাধিক মানুষের প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় এ পথ দুঃস্বপ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। যানবাহনের রক্ষণাবেক্ষণ খরচ বেড়ে গেছে কয়েক গুণ। অনেক চালকদের মতে, “এই রাস্তায় গাড়ি ওঠা মানেই ক্ষতির ঝুঁকি।” টাঙ্গাইল জেলা ভূমি অধিগ্রহণ শাখা জানায়—মোট ৪৬টি মৌজায় ২৪৫.৫৫৭৭ একর জমি অধিগ্রহণের কাজ প্রায় তিন বছর ধরে চললেও পুরোপুরি শেষ হয়নি এখনো। কেস নং ৩২, ৩৩ ও ৩৪–এর ক্ষতিপূরণ প্রদান চলমান কেস ৩১–এর আওতায় অলোয়া, বরটিয়া ও ভবানী এলাকায় ৮ ধারা নোটিশ দেওয়া হয়েছে।কেস নং ২২, ২৩, ২৫, ২৬ ও ৩০–এ আপত্তি শুনানি ও তদন্ত চলছে সাব-রেজিস্ট্রি অফিস থেকে জমির মূল্যহার পাঠানো হয়নি—চাষাভাদ্রা, সাটিয়াগাজী, আররা কুমেদ, ভাদ্রা, টেংরীপাড়াসওজের এলাইমেন্ট নকশা আটকে আছে—দুয়াজানি, বাড়াপুষা, কাঠুরি, বাবনাপাড়া, ঘিওরকোল, ডাঙ্গা।বনবিভাগের গাছের মূল্য নির্ধারণে বিলম্বে কেস নং ১৫ ও ২৪ স্থবির।এই দীর্ঘসূত্রতায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন প্রকৃত জমির মালিকরা, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এবং সবচেয়ে বেশি—সাধারণ মানুষ। সিএনজি যাত্রী জাহানারা আক্তার বলেন— “প্রতিদিন টাঙ্গাইল শহরে যাওয়ার জন্য এ পথ ব্যবহার করি। পাঁচ মিনিটের ঝাঁকুনিতেই মানুষ অসুস্থ হয়ে যায়। জরুরি প্রয়োজনে ছাড়া আমরা আর শহরে যেতে চাই না।” ট্রাকচালক শহীদ মিয়া বলেন— “বড় বড় গর্তে ভরা রাস্তা। গাড়ির হায়াত কমে যায়, দুর্ঘটনা বাড়ে, খরচ বাড়ে। এই রাস্তায় ট্রাক নিয়ে চলা মানেই ঝুঁকি।” এনডিই-এর প্রজেক্ট ম্যানেজার আবু তালিব ফাহমিদুর রহমান জানান— “শুধু মানুষই ভুক্তভোগী নয়, আমাদের প্রতিষ্ঠানেরও লাখ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। শ্রমিক, মাটি বহন, উপকরণ পরিবহন—সব ব্যয় দ্বিগুণ হয়েছে। পুরোপুরি কাজ শুরু করতে না পারায় প্রকল্প অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত।” টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. সিনথিয়া আজমিরী খান জানান— “দেশের সার্বিক পরিস্থিতি, ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা ও বিভিন্ন সংস্থার অনুমোদন বিলম্বে কাজ থমকে গেছে। তবে ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়াই কাজের মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়ানোর প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।” এদিকে ১৬৩৫ কোটি ১০ লাখ টাকার প্রকল্পে শুধু টাঙ্গাইল অংশের জন্য বরাদ্দ ১১৩৫ কোটি টাকার বেশি। চার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান—ডিয়েনকো, হাসান টেকনো, মীর ব্রাদার্স ও এনডিই—প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম জানান— “ডিসি স্যারের বিশেষ নজরদারিতে সব জটিলতা দ্রুতই সমাধান করা হবে। ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা দ্রুতই প্রদান করা সম্ভব হবে। নাগরপুর, দেলদুয়ার, ঘাটাইল, দৌলতপুর অঞ্চলের মানুষ বহু বছর ধরে অপেক্ষায়। কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণ, ব্যবসা-বাণিজ্য, স্কুল–কলেজে যাতায়াত, রোগী পরিবহন—সবখানে এই পথের প্রয়োজনীয়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্থানীয়দের একটাই দাবি— “রাজনৈতিক জটিলতা, ফাইল–পত্র আর বিভাগীয় সিদ্ধান্তে যদি রাস্তা আটকে থাকে, তবে ক্ষতি হয় শুধু আমজনতারই।” অনেকেই আশা করছেন—মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব চূড়ান্ত হলে আগামী দুই বছরের মধ্যেই মহাসড়কটি আধুনিক ও নিরাপদ সড়ক হিসেবে চালু হবে।

নাদিম তালুকদার ডিসেম্বর ৫, ২০২৫ 0
সারা দেশ
নিখোঁজের চার দিন পর তুরাগ নদীতে ধনবাড়ীর যুবক মমিনের লাশ উদ্ধার

**নিখোঁজের চার দিন পর তুরাগ নদীতে ধনবাড়ীর যুবক মমিনের লাশ উদ্ধার। ঢাকার দিয়াবাড়িতে রাজনৈতিক মিছিলে অংশ নেওয়ার পর নিখোঁজ হওয়া টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীর যুবক মমিন খান (২৮)—এর লাশ চার দিন পর তুরাগ নদী থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তুরাগ থানা–সংলগ্ন নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। মরদেহটি শনাক্ত করার পর এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। পরিবারের সদস্যরা জানান, গত ৩০ নভেম্বর বিকেলে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে মিছিলে অংশ নেন মমিন। মিছিল শেষে তিনি স্ত্রীকে ফোন করে জানান, অল্প সময়ের মধ্যেই বাসায় ফিরবেন। এরপর সন্ধ্যা থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। রাতভর খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো খোঁজ না পেয়ে পরদিন স্থানীয় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ী উপজেলার বাসিন্দা মমিন ঢাকায় থেকে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিতেন।ব্যক্তিজীবনে তিনি বিবাহিত এবং এক সন্তানের জনক। তার মৃত্যুর খবরে পরিবার ও প্রতিবেশীদের মধ্যে শোক ও হতবাক অবস্থা দেখা গেছে।বুধবার সকালে কয়েকজন জেলে তুরাগ নদীতে একটি লাশ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেন। পরে তুরাগ থানা–পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।পুলিশ জানায়, মরদেহটি কয়েক দিন পানিতে থাকার কারণে ফুলে গেছে। পরিচয় শনাক্তের পরই পরিবারকে খবর দেওয়া হয়।“এটা নিছক নিখোঁজ নয়—পরিকল্পিত হত্যা” : পরিবারের অভিযোগ।নিহত মমিনের স্ত্রী, মা ও স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন,“এটি কোনো সাধারণ দুর্ঘটনা বা নিখোঁজের ঘটনা নয়—এটি পরিকল্পিত হত্যা। মিছিলে অংশ নেওয়ার পরই তাকে টার্গেট করা হয়।”তারা আরও বলেন, ঘটনার সঠিক তদন্ত এবং দায়ীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনেই মৃত্যুর রহস্য উন্মোচিত হবে : পুলিশ।তুরাগ থানার এক তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, “মরদেহে আঘাতের কোনো সুস্পষ্ট চিহ্ন না থাকলেও এটি হত্যাকাণ্ড কি না, তা ময়নাতদন্ত শেষে নিশ্চিত হওয়া যাবে।”তিনি আরও বলেন, নিখোঁজ হওয়া, পরিবারের অভিযোগ এবং অন্যান্য সব দিক বিবেচনায় তদন্ত চলছে। মমিনের মৃত্যুতে তার নিজ এলাকা ধনবাড়ীতে শোকের পাশাপাশি ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে নিখোঁজ ও লাশ উদ্ধারের মতো ঘটনা বেড়ে গেছে।একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “মানুষ এভাবে নিখোঁজ হবে, তারপর নদীতে লাশ পাওয়া যাবে—এটা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। আমরা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাই।”পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের । স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, তারা পরিবারকে সহযোগিতা করছেন এবং ঘটনাটি গভীরভাবে তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। তাদের দাবি—যে কোনো পরিস্থিতিতেই হত্যার মূলহোতা বা সংশ্লিষ্টদের আইনের আওতায় আনতে হবে।

কৌশিক সাজ্জিদ পিয়াল ডিসেম্বর ৪, ২০২৫ 0
টাঙ্গাইলে অনুমোদনহীন বহুতল ভবন নির্মাণে ক্ষোভে ফুঁসছে স্থানীয়রা
সারা দেশ
টাঙ্গাইলে অনুমোদনহীন বহুতল ভবন নির্মাণে ক্ষোভে ফুঁসছে স্থানীয়রা

টাঙ্গাইল পৌরসভার বিশ্বাস বেতকা এলাকার ঘটকবাড়ি সড়কে ‘মক্কা টাওয়ার’ নামে বহুতল ভবন নির্মাণকে কেন্দ্র করে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন আশপাশের কয়েকশো বাসিন্দা। যথাযথ প্ল্যান, অনুমোদন, নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও রাস্তার চলাচল নিশ্চিত না করেই ভবন নির্মাণ করায় পুরো এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে চরম দুর্ভোগ, ভীতি ও ক্ষোভের পরিবেশ। স্থানীয় বাসিন্দা সারোয়ার আলম এ বিষয়ে টাঙ্গাইল পৌরসভায় একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন। অভিযোগপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, আব্দুল মান্নান ও তার সহযোগীরা অনুমোদন ছাড়া বহুতল ভবন নির্মাণ করায় প্রতিদিন দুই থেকে তিনশ মানুষের চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তিনি বলেন, “ভবন নির্মাণের কারণে আমার বাড়ির সামনের মূল রাস্তা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ভাড়াটিয়াদের যাতায়াতে সমস্যা, প্রচণ্ড শব্দদূষণ, বালু-ইটের স্তূপ, কাঁদামাটি—সব মিলিয়ে সাধারণ জীবনযাপনই অসম্ভব হয়ে গেছে। প্রায়ই পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে সড়কে জলাবদ্ধতাও সৃষ্টি হচ্ছে।” আরেক বাসিন্দা সাহানা আক্তার বেবি জানান, “এই ভবন নির্মাণের কারণে দিনের পর দিন রাস্তায় বের হওয়াই কঠিন। বিশেষ করে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা ভীষণ বিপদে পড়ে। বালু-খোয়ার ধুলায় ঘরের দরজা-জানালা খুলে রাখা যায় না। আমাদের পরিবারগুলো চরম দুর্ভোগে রয়েছে।” এলাকাবাসীর অভিযোগ,ভবনটির কোনো অনুমোদিত নকশা নেই,নির্মাণসামগ্রী পুরো রাস্তাজুড়ে রাখা হয়,নিরাপত্তা বেষ্টনী ছাড়াই কাজ চলায় যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনার ঝুঁকি রয়েছে,রাস্তা বন্ধ থাকায় অ্যাম্বুলেন্স, গাড়ি বা জরুরি যানবাহন প্রবেশ করতে পারে না,এমনকি হেঁটেও চলাচল করা কঠিন হয়ে পড়েছে। স্থানীয়দের দাবি, এভাবে যত্রতত্র ও পরিকল্পনাহীনভাবে বহুতল ভবন নির্মাণ হলে ভবিষ্যতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা বা অবকাঠামোগত বিপর্যয় ঘটতে পারে। তারা জানাচ্ছেন, রাস্তা বন্ধ করে নির্মাণকাজ পরিচালনা করা আইনগতভাবেও সম্পূর্ণ অপরাধ। একাধিক অভিযোগ সত্ত্বেও স্থানীয় প্রশাসনের তেমন কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ না থাকায় হতাশা বাড়ছে বলে জানান বাসিন্দারা। বিষয়টি জানতে চাইলে টাঙ্গাইল পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আনিসুর রহমানের অফিসে যোগাযোগ করা হলেও তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য দিতে রাজি হননি। এদিকে অভিযুক্ত ভবন মালিক আব্দুল মান্নান ও তার সহযোগী ইউসুফের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি। ভুক্তভোগীরা বলেন, “পৌরসভার দায়িত্ব হচ্ছে অনুমোদন ছাড়া কোনো বহুতল ভবন নির্মাণ বন্ধ করা। আমাদের অভিযোগগুলো দ্রুত তদন্ত করে রাস্তা খুলে দেওয়া, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং অবৈধ নির্মাণের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হোক।” এলাকাবাসী দ্রুত প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ, অনুমোদন যাচাই ও যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন।

নাদিম তালুকদার ডিসেম্বর ৩, ২০২৫ 0
সারা দেশ
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দোকানদার গফুর আলীর মর্মান্তিক মৃত্যু। দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার ক্ষতি। টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে গফুর আলী (৬০) নামে এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর করুণ মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার বল্লা ইউনিয়নের কাগুজিপাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত গফুর আলী কোকডহরা ইউনিয়নের দত্তগ্রাম এলাকার বাসিন্দা এবং হবিবুর রহমানের ছেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মতোই গফুর আলী তার তেলের দোকানে কাজ করছিলেন। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে হঠাৎ দোকানের ভেতর থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ভয়াবহ রূপ নেয়। আগুনের তীব্রতায় দোকানের ভেতর আটকা পড়ে যান গফুর আলী। স্থানীয়রা মরিয়া হয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালালেও আগুনের দাপটে কাছে যাওয়া সম্ভব হয়নি। প্রত্যক্ষদর্শী বাজার ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম বলেন, “আমরা প্রথমে ধোঁয়া দেখতে পাই। দ্রুত দৌড়ে গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি। কিন্তু আগুন এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে যে গফুর ভাই বের হতে পারেননি। চোখের সামনে মানুষের মৃত্যু দেখতে হল, কিছুই করতে পারলাম না।” বাজার কমিটির সভাপতি মো. ফজলু তালুকদার জানান, “আগুন লাগার পর মুহূর্তেই দোকানটি জ্বলতে থাকে। আমরা চিৎকার করে সবাইকে খবর দেই। কিন্তু গফুর ভাই আটকা পড়ে ছিলেন। ফায়ার সার্ভিস এসে ১০ মিনিট চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তখনো সব শেষ।” খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কালিহাতী ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট। স্টেশন কর্মকর্তা রাসেল মিয়া জানান, “দোকানের ভেতরে আটকে পড়েই গফুর আলী দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে অন্য কোনো দোকানের ক্ষতি হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত।” ফায়ার সার্ভিসের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, আগুনে গফুর আলীর দোকানের দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার মালামাল সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। দোকানটি সম্পূর্ণ ছাই হয়ে গেছে বলে স্থানীয়রা নিশ্চিত করেছেন। হঠাৎ এ মৃত্যুর ঘটনায় কাগুজিপাড়া বাজার ও আশপাশের এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। দীর্ঘদিন ধরে বাজারে ব্যবসা করে আসা গফুর আলী সকলের কাছে একজন সৎ ও পরিশ্রমী মানুষ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তার মৃত্যুতে সহকর্মী ব্যবসায়ীরা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। স্থানীয়দের দাবি, বাজারে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকায় এমন দুর্ঘটনা বড় আকার ধারণ করেছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের মর্মান্তিক ঘটনা এড়াতে বাজারগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার দাবি জানানো হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য থানায় পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

কৌশিক সাজ্জিদ পিয়াল ডিসেম্বর ২, ২০২৫ 0
সারা দেশ
ময়মনসিংহে কনটেন্ট ক্রিয়েটর আল-আমিন মারাত্মক অগ্নিদগ্ধ, সিসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে

৩০ নভেম্বর ২০২৫ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হাস্যরস, চ্যালেঞ্জ ও অভিনব কনটেন্টের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা অর্জন করা ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার কনটেন্ট ক্রিয়েটর আল-আমিন (৪০) দুই দিন আগে মারাত্মকভাবে অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। বর্তমানে তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার বারডেম হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন এবং সিসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার সকাল দাড়িয়াপুর ইটখলার মোড় সংলগ্ন কৃত্রিম চৌবাচ্চায় মাচা তৈরি করে আল-আমিন আগুন পোহানোর মাধ্যমে গোসলের কনটেন্ট রেকর্ড করছিলেন। ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি চৌবাচ্চার পানিতে পেট্রল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে গোসলের দৃশ্য ধারণের চেষ্টা করেছিলেন। নির্ধারিত পরিমাণের বেশি পেট্রল ব্যবহারের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় এবং তার শরীরের ৩৫–৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হাস্যরস, বাস্তব ও অবাস্তব কনটেন্টের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা অর্জন করা ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার কনটেন্ট ক্রিয়েটর আল-আমিন (৪০) মারাত্মকভাবে অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। দুই দিন আগে আগুন নিয়ে কনটেন্ট তৈরি করার সময় তিনি গুরুতরভাবে দগ্ধ হন এবং বর্তমানে মৃত্যুশয্যায় রয়েছেন। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার বারডেম হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার সকালে দাড়িয়াপুর ইটখলার মোড় সংলগ্ন কৃত্রিম চৌবাচ্চায় মাচা তৈরি করে আল-আমিন আগুন পোহাতে পোহাতে গোসলের কনটেন্ট রেকর্ড করছিলেন। ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি একটি চৌবাচ্চার পানিতে পেট্রল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে গোসলের দৃশ্য ধারণ করার চেষ্টা করেন। প্রাথমিকভাবে তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি সিসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। কনটেন্ট ধারাভাষ্যকর আজাদ হোসেন জনি জানিয়েছেন, চিকিৎসকরা তার জীবন রক্ষায় চেষ্টা করছেন। খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্যের প্রার্থনা চমকের আল-আমিনের সহকারী সুবল চন্দ্র অধিকারী দেশবাসীর কাছে তার দ্রুত আরোগ্যের জন্য দোয়া চেয়েছেন। সামাজিক মাধ্যমে এই দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়েছে এবং অনেকে তার সুস্থতার জন্য দোয়া করছেন।

কৌশিক সাজ্জিদ পিয়াল নভেম্বর ৩০, ২০২৫ 0
সারা দেশ
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে সড়ক দুর্ঘটনা — মোটরসাইকেল চালক নিহত

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে সড়ক দুর্ঘটনা — মোটরসাইকেল চালক নিহত টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর–তারাকান্দী সড়কের টেপিবাড়ী মলাদহ এলাকায় মিনি ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছেন। শনিবার (তারিখ উল্লেখযোগ্য হলে যোগ করা যাবে) দুপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত মোটরসাইকেল চালক ভূঞাপুর থেকে তারাকান্দীর দিকে যাচ্ছিলেন। পথে টেপিবাড়ী মলাদহ এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি দ্রুতগামী মিনি ট্রাকের সঙ্গে তার মোটরসাইকেলের ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ভূঞাপুর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। ঘটনার পর মিনি ট্রাকটি আটক করা হলেও চালক পালিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয়দের ধারণা, অতিরিক্ত গতির কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পুলিশ জানায়, প্রয়োজনীয় আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। দুর্ঘটনার বিষয়ে তদন্ত চলছে।

কৌশিক সাজ্জিদ পিয়াল নভেম্বর ৩০, ২০২৫ 0
সারা দেশ
সখীপুরে চলন্ত অটোর চাকা খুলে ভয়াবহ দুর্ঘটনা,

সখীপুরে চলন্ত অটোর চাকা খুলে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, ড্রাইভারসহ নারী যাত্রী গুরুতর আহত টাঙ্গাইলের সখীপুরে চলন্ত অটোরিকশার সামনের চাকা হঠাৎ খুলে গিয়ে গাড়িটি উল্টে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে অটোচালক ও এক নারী যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে নলুয়া–বহুরিয়া সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অটোরিকশাটি নলুয়া বাজার থেকে বহুরিয়ার দিকে যাচ্ছিল। পথে হঠাৎ সামনের একটি চাকা খুলে গেলে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারায় এবং সঙ্গে সঙ্গে উল্টে পড়ে। এতে অটোচালকসহ নারী যাত্রী রাস্তার ওপর ছিটকে পড়লে তারা গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা দ্রুত এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। দুর্ঘটনার পর কিছু সময়ের জন্য ওই সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হলেও পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে। স্থানীয়দের ধারণা, অটোরিকশার যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছে এবং যান্ত্রিক ত্রুটি পরীক্ষা-নিরীক্ষায় পরিবহন মালিকদের আরও সতর্ক হওয়ার দাবি উঠেছে।

কৌশিক সাজ্জিদ পিয়াল নভেম্বর ২৯, ২০২৫ 0
আইন-অপরাধ
ফটিকছড়িতে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা: দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে পুলিশেরসহ দু’জন নিহত

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির পাইন্দং আমতল (বড় খইয়ে) এলাকায় দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি ভয়াবহ সংঘর্ষে নয়াবাজার পুলিশ ফাঁড়ির এক পুলিশ সদস্যসহ দু’জন ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও কয়েকজন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের অবস্থাও সঙ্কটজনক বলে জানা গেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুরের দিকে দ্রুতগতির দুই মোটরসাইকেল মুখোমুখি ধাক্কা খেলে ঘটনাস্থলেই দু’জন প্রাণ হারান। খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ ও স্থানীয়রা দ্রুত উদ্ধার কাজে অংশ নেন এবং আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়। দুঃখজনক এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মহান সৃষ্টিকর্তা নিহতদের ক্ষমা ও মাগফিরাত দান করুন এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা 

মুক্তধ্বনি ডেক্স নভেম্বর ২৮, ২০২৫ 0
জাতীয়
ঢাকার করাইল বস্তিতে ভয়াবহ আগুন: অগ্নিকাণ্ডে শতাধিক ঘর পুড়ে ছাই, বহু হতাহত

ঢাকার করাইল বস্তিতে ভয়াবহ আগুন: অগ্নিকাণ্ডে শতাধিক ঘর পুড়ে ছাই, বহু হতাহত (২৫ নভেম্বর ২০২৫) সকালে রাজধানীর করাইল বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় বস্তির শতাধিক ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে এবং বহু মানুষ দগ্ধ হয়েছেন। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আগুনের তীব্রতা এতই বেশি যে অনেক মানুষ নিজের ঘর ও মূল্যবান জিনিসপত্র উদ্ধার করতে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। জরুরি প্রয়োজনে অথবা নিখোঁজ ব্যক্তির খোঁজ জানতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের হটলাইন নম্বর ব্যবহার করতে পারেন।স্থানীয় থানা বা ওয়ার্ড কমিশনারের অফিসের সাথে যোগাযোগ করে ত্রাণ কার্যক্রম বা নিখোঁজ ব্যক্তিদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন।দগ্ধ বা আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য নিকটস্থ হাসপাতাল যেমন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট (Sheikh Hasina National Burn and Plastic Surgery Institute) বা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খোঁজ নিতে পারেন। যেভাবে সাহায্য করতে ।স্থানীয় প্রশাসন বা রেড ক্রিসেন্টের মতো স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাথে যোগাযোগ করে ত্রাণ বিতরণে বা তথ্য সংগ্রহে সাহায্য করতে পারেন। দান: স্থানীয় দাতব্য সংস্থাগুলো সাধারণত এমন জরুরি পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য খাদ্য, বস্ত্র ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী সংগ্রহ করে। নির্ভরযোগ্য সংস্থার মাধ্যমে দান করতে পারেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট বা গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ হতে পারে আগুনের কারণ। দুর্ঘটনায় হতাহতের সঠিক সংখ্যা এখনও নিশ্চিত করা যায়নি।স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত ত্রাণ বিতরণ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ব্যাপক প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য জরুরি ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

কৌশিক সাজ্জিদ পিয়াল নভেম্বর ২৬, ২০২৫ 0
টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের অগ্নি-নিরাপত্তা জোরদারে মহড়া অনুষ্ঠিত
সারা দেশ
টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের অগ্নি-নিরাপত্তা জোরদারে মহড়া অনুষ্ঠিত

সাজিদ পিয়াল: টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের অগ্নি-নিরাপত্তা জোরদারে মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের বিশেষায়িত টিমের অংশগ্রহণ, পুলিশ সদস্যদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষন টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের উদ্যোগে অগ্নি-নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে পুলিশ লাইন্স ব্যারাক প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয় অগ্নি মহড়া’। শনিবার সকালে এ মহড়ার উদ্বোধন করেন টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার জনাব মোঃ মিজানুর রহমানটাঙ্গাইল জেলা পুলিশের অগ্নি-নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারকরণের লক্ষ্যে “অগ্নি মহড়া” অনুষ্ঠিত টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের আয়োজনে পুলিশ লাইন্স ব্যারাক প্রাঙ্গণে ““অগ্নি মহড়া”-এর শুভ উদ্বোধন করেন জনাব মোঃ মিজানুর রহমান, পুলিশ সুপার, টাঙ্গাইল। কর্মশালা ও মহড়ায় কারিগরি সহযোগিতা প্রদান করেন টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ৭ সদস্যের একটি বিশেষায়িত টিম। কর্মশালায় অগ্নিকাণ্ডজনিত বিভিন্ন দুর্ঘটনা থেকে জনগণের জান–মাল ও সরকারি সম্পদ রক্ষায় করণীয় বিষয়ে উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের বিস্তারিত দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়। কর্মশালায় অগ্নি নির্বাপক (Fire Extinguisher) যন্ত্রের ব্যবহার ও পরিচিতি, আহত ব্যক্তিদের সেবা ও উদ্ধার কার্যক্রম, প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান, উৎসুক জনতা নিয়ন্ত্রণ, এবং গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র নিরাপদে স্থানান্তরসহ বিভিন্ন বিষয়ে তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। বাড়ির অভ্যন্তরে ঘটে যাওয়া অগ্নিকাণ্ড, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণসহ বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে কীভাবে দ্রুত ও নিরাপদে আগুন নিয়ন্ত্রণ করা যায়—তা হাতে-কলমে প্রদর্শন করা হয়। এ সময় টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দসহ পুলিশ লাইন্স, টাঙ্গাইলে কর্মরত সকল পর্যায়ের পুলিশ সদস্যগণ কর্মশালা ও মহড়ায় অংশগ্রহণ করেন। এ কর্মশালা ও মহড়ায় কারিগরি সহযোগিতা প্রদান করে টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ৭ সদস্যের একটি বিশেষায়িত টিম। আগুন লাগার মুহূর্তে কীভাবে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে, জনগণের জান–মাল রক্ষায় পুলিশ সদস্যদের ভূমিকা কী—এসব বিষয় বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয় প্রশিক্ষণে।আগুন নেভানোর আধুনিক কৌশল শেখানো হয় ।মহড়ায় অংশগ্রহণকারী পুলিশ সদস্যদের অগ্নি নির্বাপক (Fire Extinguisher) যন্ত্রের ব্যবহার, বিভিন্ন ধরণের আগুন চিহ্নিতকরণ, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণজনিত ঝুঁকি মোকাবিলা, রুমের ভেতরের অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। পাশাপাশি—সরকারি নথিপত্র নিরাপদে স্থানান্তর,—এসব বিষয়েও বিশেষ দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়।ফায়ার সার্ভিসের প্রশিক্ষক (সরাসরি) আগুন নেভানোর বিভিন্ন কৌশল হাতে-কলমে প্রদর্শন করেন, যাতে বাস্তব পরিস্থিতিতে পুলিশ সদস্যরা দ্রুত ও নিরাপদ সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।উপস্থিত ছিলেন পুলিশ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মহড়ায় টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দসহ পুলিশ লাইন্সে কর্মরত সকল পর্যায়ের পুলিশ সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন। অগ্নি-নিরাপত্তা বিষয়ে এ ধরনের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম নিয়মিতভাবে চলমান রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন পুলিশ সুপার।

কৌশিক সাজ্জিদ পিয়াল নভেম্বর ২৫, ২০২৫ 0
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে স্কুলছাত্রীর যৌন নিগ্রহের ঘটনা ধামাচাপার চেষ্টা কৃষকদল নেতার!
সারা দেশ
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে স্কুলছাত্রীর যৌন নিগ্রহের ঘটনা ধামাচাপার চেষ্টা কৃষকদল নেতার!

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে মানিক মিয়া (৪০) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করেছেন ওই ছাত্রীর মা। রোববার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার ঘড়িয়া এলাকায় সংঘটিত বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসী ও স্কুলের শিক্ষার্থীরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেও কৃষক দলের এক নেতা ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই ছাত্রী ঘড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং অভিযুক্ত মানিক মিয়া একই এলাকার আব্দুল আজিজের ছেলে। যৌন নিগ্রহের শিকার ওই স্কুলছাত্রী ও থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, তার ভ্যানচালক বাবা সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে শয্যাশায়ী। তার মা অতি কষ্টে ধার-দেনা করে তার বাবার চিকিৎসা ও মেয়ের লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছেন। রোববার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে ওই শিক্ষার্থী বাড়ির পাশে পূর্বচড়ায় (ক্ষেতে) শাক তুলতে গেলে একা পেয়ে মুখ চেপে ধরে পাশের ডিপ মেশিন ঘরে নিয়ে যায় এবং তার উপর যৌন নিগ্রহ চালায়। পরে কাউকে জানালে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যায়। অসহায় অবস্থায় ওই স্কুলছাত্রী বাড়িতে গিয়ে জানালে মা তাকে নিয়ে অভিযুক্তের বাড়িতে অভিযোগ দিতে যায়। ওই সময় মানিকের ছেলে ও পরিবারের লোকজন তাদের মারধর করে তাড়িয়ে দেয়। পরে থানায় অভিযোগ দিতে যাওয়ার সময় তাদের বহনকারী সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালককে ফোন দিয়ে অটোরিকশা ঘুরিয়ে থানায় না গিয়ে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার আদেশ দেন। এদিকে নারান্দিয়া ইউনিয়ন কৃষক দলের আহ্বায়ক মাসুম। তিনি অভিযুক্তের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন বলেও দাবি করে ভুক্তভোগী। পরে স্থানীয়রা ও ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি সাংবাদিকদের জানানোর পর গ্রাম্যসালিশী বৈঠক পন্ড হয়ে যায়। ওই ছাত্রী আরো অভিযোগ করেন, তার সাথে যা হয়েছে তা যেনো আর অন্য কারো সাথে না হয়- এজন্য তিনি যৌন নিগ্রহকারী মানিক মিয়ার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন। ভুক্তভোগীর মা জানান, যৌন নিগ্রহের ঘটনা জানাতে গেলে অভিযুক্ত ও তার সহযোগীরা তাদেরকে মারধর করে তাড়িয়ে দিয়েছে। পরে থানায় গিয়ে মামলা দায়ের করেছেন। নারান্দিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের (ঘড়িয়া) সাবেক সদস্য মোহাম্মদ আলীর ছেলে ও নারান্দিয়া ইউনিয়ন কৃষক দলের আহ্বায়ক মাসুম সিএনজি চালকের মাধ্যমে তাদেরকে ‘দরবার’ করে বিষয়টি সমাধানের জন্য ডেকে আনেন। পরে সাবেক মেম্বার ও তার ছেলে কৌশলে অভিযুক্ত মানিক মিয়াকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে। নারান্দিয়া ইউনিয়ন কৃষক দলের আহ্বায়ক মাসুম জানান, সামাজিকভাবে তাদের অনেক দ্বায়িত্ব রয়েছে। সেই দায়বদ্ধতা থেকে তিনি ফোন দিয়ে তাদেরকে থানায় না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। সামাজিকভাবে অনেক কিছুরই মিমাংসা হয়ে থাকে। পরে তিনি বিভিন্ন মহল থেকে সাংবাদিকদের সংবাদ না করার অনুরোধ জানান। এ বিষয়ে কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুবুর রহমান জানান, বিষয়টি নিয়ে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ওই স্কুলছাত্রীকে মেডিকেল টেস্টের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নাদিম তালুকদার নভেম্বর ২৫, ২০২৫ 0
টাঙ্গাইলের মধুপুরে বেড়াতে এসে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহীর মৃত্যু হয়েছে।
সারা দেশ
টাঙ্গাইলের মধুপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ২মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু

টাঙ্গাইলের মধুপুরে বেড়াতে এসে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। রোববার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টেলকি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন ঘাটাইল উপজেলার পশ্চিম পাকুটিয়া গ্রামের মোখলেছুর রহমান মুকুলের ছেলে ইয়াসিন হোসেন (২৭) এবং ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার রাকিব (২৫)। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যার পর মোটরসাইকেলটি মধুপুর বনাঞ্চলের টেলকি রসুলপুর মোড় এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে একটি পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেলের দুই আরোহীর মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমরানুল কবির জানান, নিহতরা মধুপুর বনে বেড়াতে এসেছিলেন। নিয়ন্ত্রণ হারানোর কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নাদিম তালুকদার নভেম্বর ২৪, ২০২৫ 0
সারা দেশ
টাঙ্গাইলের মধুপুরে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনানিহত দুই যুবকের স্বপ্ন থেমে গেল মুহূর্তে

সাজিদ পিয়াল:টাঙ্গাইলের মধুপুরে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা নিহত দুই যুবকের স্বপ্ন থেমে গেল মুহূর্তে টাঙ্গাইলের মধুপুরে গত রোববার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঘটে গেল হৃদয়বিদারক সড়ক দুর্ঘটনা। টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কের টেলকি সাইনবোর্ড রসুলপুর মোড় এলাকায় সন্ধ্যা ৭টার দিকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন দুই তরুণ। মুহূর্তেই নিভে গেল দুটি সম্ভাবনাময় জীবনের প্রদীপ। নিহত দুইজন হলেন—ঘাটাইল উপজেলার পশ্চিম পাকুটিয়া গ্রামের মোখলেছুর রহমান মুকুলের ছেলে মো. ইয়াসিন হোসেন (২৭) এবং বরিশাল জেলার চর ফ্যাশন উপজেলার মো. রাকিব (২৫)। পরিবার ও স্বজনদের মাঝে নেমে এসেছে শোকের ছায়া, ভেঙে পড়েছে দুই পরিবারই। পুলিশ ও স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানা যায়, সন্ধ্যার পর মোটরসাইকেলটি মধুপুর বনাঞ্চলের টেলকি রসুলপুর মোড় এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে থাকা একটি শক্ত পিলারের সঙ্গে প্রচণ্ড জোরে ধাক্কা লাগে। ধাক্কার তীব্রতায় ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন মোটরসাইকেলের চালক ও আরোহী। স্থানীয়রা দ্রুত ছুটে গিয়ে অরণখোলা পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে। মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমরানুল কবির বলেন, "প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মোটরসাইকেলটি অতিরিক্ত গতিতে চলছিল। নিয়ন্ত্রণ হারানোর কারণেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের লাশ অরণখোলা ফাঁড়িতে রাখা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। একদিকে ঘাটাইলের পশ্চিম পাকুটিয়া গ্রামে, অন্যদিকে বরিশালের চর ফ্যাশনের জনপদে নেমেছে গভীর শোক। তরুণ দুইজনের অকাল মৃত্যুতে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। পরিবার ও স্বজনরা বারবার অজ্ঞান হয়ে পড়ছেন, কেউ কেউ বিশ্বাসই করতে পারছেন না যে কিছুক্ষণ আগেও হাসিমুখে থাকা দুই তরুণ এমন করেই চলে গেলেন চিরতরে স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, টেলকি সাইনবোর্ড রসুলপুর মোড় এলাকায় দুর্ঘটনা নতুন নয়। বারবার এমন দুর্ঘটনা ঘটলেও এখনো পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তারা দ্রুত গতিনিরোধক ও সতর্কীকরণ সাইনবোর্ড স্থাপনের দাবি জানান। দুর্ঘটনার পর বেশ কিছুক্ষণ পর্যন্ত মহাসড়কে আতঙ্ক বিরাজ করে। যান চলাচলও কিছুক্ষণ ব্যাহত হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

কৌশিক সাজ্জিদ পিয়াল নভেম্বর ২৩, ২০২৫ 0
সর্বাধিক পঠিত
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির ঢাকা বিভাগীয় ব্যুরো চীফ হলেন সাংবাদিক মোঃ মনিরুজ্জামান।

দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”

শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে?

মাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দ‍র্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৩৩৪তম পর্বে নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে নিয়ামত কমে যাবে কি না, সে বিষয়ে ঢাকা থেকে চিঠির মাধ্যমে জানতে চেয়েছেন একজন দর্শক। অনুলিখন করেছেন জান্নাত আরা পাপিয়া। প্রশ্ন : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে? উত্তর : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা কুফরি। এটা বড় কুফরি না, ছোট কুফরি। যদি আল্লাহর বান্দারা আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করে থাকেন, তাহলে তাঁরা কুফরি কাজ করে থাকলেন। এ জন্য আল্লাহ কোরআনে স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘তোমরা আমার শুকরিয়া আদায় করো, আমার সঙ্গে কুফরি করো না।’ আল্লাহ যে নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন, আল্লাহর নিয়ামত লাভ করে সুন্দর জীবনযাপন করা, এটা যদি কেউ আল্লাহর কাছে সত্যিকার অর্থে তুলে ধরতে না পারে, তাহলে সে ব্যক্তি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া করলেন না, কুফরি করলেন। এই জন্য আল্লাহ সুরা দোহার শেষ আয়াতে বলেছেন, ‘তুমি তোমার রবের নিয়ামত প্রকাশ করো। কারণ, তোমার কাছে যখন নিয়ামত আসছে, তখন আল্লাহ পছন্দ করেন যে তুমি আল্লাহর এই নিয়ামতের বিষয়টি তুলে ধরবে।’ আল্লাহর কাছে বলবে, আল্লাহ আমাকে এই নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন। আল্লাহ নিয়ামতকে বান্দার কাছে তুলে ধরার জন্য বলেছেন, বহিঃপ্রকাশ করার জন্য বলেছেন। বহিঃপ্রকাশ দুই ধরনের হতে পারে। একটি হলো নিয়ামতের ব্যবহারের মাধ্যমে বহিঃপ্রকাশ করা। দ্বিতীয়ত, নিয়ামতের বিষয়টি হলো মানুষের কাছে নিয়ামত তুলে ধরবে। যাতে করে আল্লাহর প্রশংসা প্রকাশ পায়। নিয়ামতের শুকরিয়া যদি কেউ আদায় না করেন, তাহলে কুফরি হবে। আল্লাহ বলেছেন, যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করে থাক, তাহলে আমি আরো বৃদ্ধি করে দেব। বান্দারা যখন নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করবে, তখন আল্লাহ আরো নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করে দেন। আর যদি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা হয়, তাহলে আল্লাহ নিয়ামত কমিয়ে দেবেন এবং সেইসঙ্গে আরেকটি কঠিন বাণী আল্লাহ বলেছেন, ‘জেনে রাখো আল্লাহর কঠিন আজাবও তোমাদের জন্য অবধারিত থাকবে।’ নিয়ামতের শুকরিয়া শুধু মুখে আদায় করা যথেষ্ট নয়। কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর শুকরিয়া আমলের মাধ্যমে আদায় করো।’ সুতরাং বান্দারা শুকরিয়া আদায় করবে। শুকরিয়ার অনেকগুলো দিক রয়েছে, তার মধ্যে আমলের মাধ্যমে শুকরিয়া আদায় করা হলো শুকরিয়ার সর্বোচ্চ স্তর।

নবী মুহাম্মদ (সাঃ) - নিষ্পাপ চরিত্রের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ

তিনি ছিলেন মানবজাতির আদর্শ। তিনি অত্যন্ত উদার ও বিনয়ী ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক এবং একজন সাহসী যোদ্ধা। এছাড়াও তিনি একজন দক্ষ প্রশাসক, একজন দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক এবং একজন সফল প্রচারক ছিলেন। তিনিই উত্তম চরিত্র ও উদারতার একমাত্র উৎস। তিনি সকলের আদর্শহীন এবং প্রিয় ব্যক্তিত্ব। যার প্রেমে, দুনিয়া মাতাল। তিনি আমার আদর্শ, তিনি আমার নেতা। তিনি আমার নবী, আমাদের নবী এবং সকলের নবী। তিনি হলেন হযরত মুহাম্মদ (সা.) তিনি সর্বোত্তম আদর্শ। সমস্ত মানবজাতির জন্য করুণা। অন্ধকারে নিমজ্জিত বিশ্বের মানুষের জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে। তার অসাধারণ চরিত্র, মাধুর্য এবং অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব সবাইকে অবাক করেছে। মুমিনের চঞ্চল হৃদয় তাকে এক নজর দেখার জন্য আকুল হয়ে থাকে। কবি কাজী নজরুল বলেছেন: “বিচ্ছেদের রাত ছিল একাকার কান্নার ভোর; আমার মনে শান্তি নেই, আমি কাঁদছি। হে মদিনাবাসীর প্রেমিক, আমার হাত ধর।" তার নিষ্কলুষ চরিত্রের স্বীকৃতি দিয়ে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, "তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।" (সূরা আল-আহজাব, আয়াত 21)। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে আজ কিছু লোক সেই নবীর সম্মানকে অবমাননা করছে। হৃদয় ভেঙ্গে যায়। আমাদের ক্ষমা করুন, হে নবী! তিনি তার অবিস্মরণীয় ক্ষমা, উদারতা, সততা, নম্রতা প্রভৃতির বিরল মুগ্ধতা দিয়ে বর্বর আরব জাতির আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এজন্য তারা তাকে ‘আল-আমিন’ উপাধিতে ভূষিত করেন। তারা সর্বসম্মতিক্রমে স্বীকার করেছিল যে তিনি নম্র এবং গুণী ছিলেন। টাকা দিয়ে নয়, ভালো ব্যবহার দিয়ে তিনি বিশ্ববাসীকে জয় করেছেন। আল্লাহ তাঁর গুণাবলী সম্পর্কে কুরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই তুমি মহৎ চরিত্রের অধিকারী।’ (সূরা আল কালাম, আয়াত ৪)। তিনি কখনো মানুষকে তুচ্ছ করেননি। আত্মসম্মানবোধে তিনি কাউকে তুচ্ছ মনে করেননি। তিনি বিশ্বের হৃদয়ে উচ্চতর চরিত্রের একটি অনুপম মানদণ্ড স্থাপন করেছেন। নম্রতা তার চরিত্রে সর্বদা উপস্থিত ছিল। পৃথিবীর মানবতার কল্যাণে তাকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল শ্রেষ্ঠ আদর্শের বাস্তবায়নকারী ও প্রশিক্ষক হিসেবে। এ প্রসঙ্গে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমাকে আমার উত্তম চরিত্র পূর্ণ করার জন্য প্রেরিত করা হয়েছে।’ (মুসনাদে আহমদ, মিশকাত) ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন বিনয়ী এবং আচার-আচরণে অত্যন্ত বিনয়ী। দুর্বল ব্যক্তিকে কড়া কথায় আঘাত করবেন না। তিনি কোন মানুষকে তার সাধ্যের বাইরে অসাধ্য সাধন করতে বাধ্য করেননি। গরিব-অসহায় মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করতেন। তিনি লোকদেরকে তাদের আচরণে অপ্রয়োজনীয় রাগ ও রাগ থেকে সর্বদা বিরত থাকার উপদেশ দিতেন এবং মানুষকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন, “যে বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাকে উঁচু করে দেন এবং যে অহংকারী হয়, আল্লাহ তাকে লাঞ্ছিত করেন।” (মিশকাত) কাফেররাও তার কাছ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে সদয় ও নম্র আচরণ পেয়েছিল। তার অনুসারীরা তাকে উচ্চ সম্মানের সাথে ধরেছিল কারণ তিনি খুব নমনীয় এবং নম্র ছিলেন। হজরত আয়েশা (রা.) তার ভদ্র আচার-আচরণ সম্পর্কে বলেন, ‘নবী (সা.) রূঢ় বক্তা ছিলেন না, প্রয়োজনের সময়ও তিনি কঠোর ভাষা ব্যবহার করতেন না। প্রতিহিংসা তার সাথে ছিল না মোটেও। মন্দের বিনিময়ে ভালোই করেছেন। সব ক্ষেত্রেই তিনি ক্ষমা পছন্দ করতেন। তিনি লোকদেরকে উপদেশ দিয়েছিলেন, “আল্লাহর ইবাদত কর, করুণাময় প্রভু, ক্ষুধার্তকে খাবার দাও, সালাম দাও এবং এসব কাজের মাধ্যমে জান্নাতে প্রবেশ কর। তিনি উত্তর দিলেন, "ক্ষুধার্তকে খাওয়ানো এবং অপরিচিত সকলকে সালাম করা।" (বুখারী ও মুসলিম)। মহানবী (সা.)-এর মর্যাদাকে সম্মান করা মুসলমানদের ধর্মীয় কর্তব্য এবং প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানের মৌলিক অংশ।

মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি?

নামাজ, রোজা, জাকাত, হজ, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৯২৯তম পর্বে ই-মেইলের মাধ্যমে কানিজ নাহার দিপা জানতে চেয়েছেন, মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? অনুলিখন করেছেন মোহাম্মদ সাইফ আহমেদ। প্রশ্ন : মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? উত্তর : না দোয়ার জন্য আলাদা কোনো মাহফিল নেই। এটা আসবে কেন? আমরা একটা জায়গা থেকে বাঁচার জন্য আরেকটি কাজ করছি। কিন্তু সেই কাজটি ভুল করে আরও বড় ভুলের সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। আমাদের সমাজে একটি প্রথা একেবারে ছেয়ে গেছে। যেমন—একজন মারা গেলে তার জন্য মিলাদ-মাহফিল করা কিংবা কূলখানি করা। কিন্তু এগুলো সবই বেদআতি কাজ। এগুলো সঠিক কাজ নয়। অনেকে মনে করছে, দোয়া-মাহফিল করা যেতে পারে। কিন্তু সেটা একদমই নয়। এসব ইসলামে অনুমোদন দেয়নি। এইগুলো পুরোটাই বেদআত। মানুষ চাইলে যে কোনো সময় কিংবা যে কোনো জায়গা থেকে দোয়া করতে পারবেন। দোয়ার সঙ্গে মাহফিল কিংবা আলাদা কোনো ধরনের অনুষ্ঠান ঘোষণা করা জায়েজ নেই। আশা করি, আপনি বুঝতে পেরেছেন।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রতিযোগিতা: চ্যাটজিপিটি বনাম ডিপসিক?

র্তমান প্রযুক্তি বিশ্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) নিয়ে নতুন প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ওপেনএআই-এর চ্যাটজিপিটি ও চীনের ডিপসিকের মধ্যে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুধু প্রযুক্তিগত দক্ষতার নয়, বরং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। চ্যাটজিপিটি দীর্ঘদিন ধরে ব্লগ লেখা, গবেষণা, প্রোগ্রামিংসহ নানান কাজে অপরিহার্য টুল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি চীনের তৈরি ডিপসিক এআই জগতে নতুন আলোড়ন তুলেছে। তারা দাবি করছে, তুলনামূলক কম চিপ ব্যবহার করেই অত্যাধুনিক এআই সেবা দেওয়া সম্ভব, যেখানে ওপেনএআই-এর বিশাল মডেলগুলোর জন্য ১৬,০০০ বা তারও বেশি চিপ প্রয়োজন হয়, সেখানে মাত্র ২০০০ চিপ দিয়ে ডিপসিক কার্যকরভাবে কাজ করতে সক্ষম। দুই প্ল্যাটফর্মের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রয়েছে। ✅ চ্যাটজিপিটি: বিস্তৃত বিশ্লেষণ ও গভীর গবেষণা উপস্থাপন করতে পারে, যা একাডেমিক ও জটিল সমস্যার সমাধানে সহায়ক। ✅ ডিপসিক: দ্রুত এবং সংক্ষিপ্ত উত্তর দিতে পারে, যা তাৎক্ষণিক ফলাফল প্রত্যাশী ব্যবহারকারীদের জন্য উপযোগী। লেখালেখির ক্ষেত্রে চ্যাটজিপিটি কেবল ধারণা ও প্লটের কাঠামো গড়ে তোলে, যেখানে ডিপসিক প্রায় পুরো গল্প তৈরি করে দিতে পারে। একইভাবে, কোডিংয়ের ক্ষেত্রেও ডিপসিক কিছু ক্ষেত্রে দ্রুত সমাধান দিতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। ডিপসিকের বিরুদ্ধে ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা সংরক্ষণ ও তথ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অস্ট্রেলিয়াসহ কয়েকটি দেশের সরকার ইতোমধ্যেই ডিপসিকের ডেটা নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ওপেনএআই নিজেও অতীতে অনুমতি ছাড়া মানুষের লেখা ডেটা প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহারের অভিযোগের মুখে পড়েছিল, যা এখন ডিপসিকের বিরুদ্ধে উঠছে। ডিপসিকের সাফল্যের ফলে এআই চিপের বাজারেও বড় প্রভাব পড়েছে। এনভিডিয়া, যারা উন্নত চিপ তৈরিতে বিশ্বব্যাপী অগ্রগণ্য, তাদের শেয়ারের মূল্য একদিনে প্রায় ১৭% কমে গেছে। কারণ, কম শক্তিশালী হার্ডওয়্যারেও কার্যকর এআই সম্ভব হলে উচ্চমূল্যের উন্নত চিপের বাজার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে প্রযুক্তিগত প্রতিযোগিতা নতুন কিছু নয়, তবে ডিপসিকের উদ্ভাবন নতুন মাত্রা যোগ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই চীনে উন্নত চিপ রপ্তানির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, কম খরচে ভালো এআই তৈরি হলে মার্কিন প্রযুক্তি খাতেরও লাভ হতে পারে। এই প্রতিযোগিতা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভবিষ্যৎকে আরও উন্নত ও বহুমাত্রিক করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যেখানে দ্রুত এবং সাশ্রয়ী সমাধান দরকার, সেখানে হয়তো ডিপসিক এগিয়ে থাকবে, আর যেখানে গবেষণা ও জটিল বিশ্লেষণের প্রয়োজন, সেখানে চ্যাটজিপিটির মতো বৃহৎ মডেলগুলো প্রাধান্য পাবে। শেষ পর্যন্ত, এই প্রতিযোগিতাই হয়তো এআই প্রযুক্তিকে আরও দক্ষ, নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী করবে।

শীর্ষ সপ্তাহ

টাঙ্গাইলের কাকুয়া ইউনিয়নে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল
সারা দেশ

টাঙ্গাইলের কাকুয়া ইউনিয়নে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল

ডিসেম্বর ৯, ২০২৫ 0

ভোট জরিপ

আমাদের নতুন ওয়েবসাইট আপনাদের কাছে কেমন লাগছে