ইরানের প্রতিশোধমূলক প্রতীকী হামলা: কাতার ও ইরাকে ১১টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ

মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা চরমে। যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ইরান সোমবার রাতে কাতারের আল-উদেইদ মার্কিন সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে ১০টি এবং ইরাকের আইন আল-আসাদ ঘাঁটিতে ১টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এই হামলার নাম দিয়েছে—"অপারেশন ব্লেসিং অফ ভিক্টরি"।
ইরান দাবি করেছে, এটি ছিল "ধ্বংসাত্মক ও শক্তিশালী" হামলা। তবে নিউ ইয়র্ক টাইমসের বরাতে জানা যায়, ইরান আগেই কাতারকে হামলার বিষয়ে সতর্ক করেছিল, যাতে ঘাঁটি খালি করে বড় ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো যায় এবং সংঘাতের মাত্রা না বাড়ে।
✅ কাতারের প্রতিক্রিয়া:
-
আল-উদেইদ ঘাঁটি আগেই খালি করে ফেলা হয়েছিল।
-
কাতারের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সফলভাবে বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র আটকায়।
-
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, এটি ছিল সার্বভৌমত্ব, আকাশসীমা ও আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন।
-
কাতার নিজেদের উপর হামলার উপযুক্ত জবাব দেওয়ার অধিকার সংরক্ষণ করে।
📌 হামলার বিস্তারিত:
-
১০টি ক্ষেপণাস্ত্র কাতারে, ১টি ইরাকে নিক্ষেপ করা হয়।
-
কাতারের রাজধানী দোহা শহরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
-
ইরাকে মার্কিন ঘাঁটি আইন আল-আসাদে সতর্কতা জারি করা হয়।
⚠️ আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা:
-
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও চীন কাতারে থাকা নিজ নিজ নাগরিকদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়।
-
কাতার সাময়িকভাবে আকাশসীমা বন্ধ ঘোষণা করে।
-
হোয়াইট হাউস জানায়, তারা আল-উদেইদ ঘাঁটির নিরাপত্তা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
🗣️ ইরানের রাষ্ট্রপতি মাসউদ পেজেশকিয়ান বলেন:
“আমরা যুদ্ধ শুরু করিনি, চাইওনি। তবে যারা ইরানের ক্ষতি করবে, তাদের জবাব আমরা দৃঢ়তার সাথে দেব।”
📉 বিশ্লেষকদের মতে:
-
ইরানের হামলা ছিল প্রতীকী ও সীমিত, যা সরাসরি যুদ্ধ এড়াতে পরিকল্পিতভাবে চালানো হয়েছে।
-
২০২০ সালের সোলায়মানি হত্যার পরে যেমন ইরান ইরাককে আগে সতর্ক করেছিল, এবার কাতারকেও সে রকম তথ্য জানানো হয়।
📲 আরও আপডেট পেতে যুক্ত থাকুন আমাদের সাথে।
📰 সূত্র: নিউ ইয়র্ক টাইমস, রয়টার্স, তাসনিম নিউজ, ইয়েনেট নিউজ
মু্ক্তধ্বনি অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন