দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”
বাংলাদেশের বৃহৎ এনজিও সংস্থা "আশা"এর উদ্যোগে হয়ে গেল ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন যেখানে ফ্রিতে চিকিৎসা দেওয়া হয় এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবী এবং কর্মজীবী মানুষের মধ্যে। ২৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার সোনামুই গ্রামে সকাল থেকে এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন করা হয় আশায় এনজিও হেমনগর শাখার উদ্যোগে এটি বাস্তবায়িত করা হয়। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যকর্মী এবং মেডিকেল অফিসারসহ অন্যান্য সেবিকারা। আশা এনজিও কর্তৃক ক্যাম্পেইনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন "আশা" হেমনগর ব্রাঞ্চের পক্ষথেকে আশা এনজিওর এই ক্যাম্পেইনে গ্রামের সকল পেশাজীবীর মানুষেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্যাম্পেইনটিতে অংশগ্রহণ করেন এবং তারই মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সঠিক ভাবে নিরূপণ করতে সহযোগিতা করেন। আশা এনজিওর মাধ্যমে ক্যাম্পেইন করে মানুষের জন্য সময় উপযোগী এবং প্রয়োজনীয় একটি বিষয় হয়ে দাঁড়াবে যেটি গ্রামের মানুষের মধ্যে সচেতনতা এবং স্বাস্থ্য সঠিকভাবে পর্যালোচনা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই উদ্যোগে এলাকাবাসী অত্যন্ত প্রাণবন্ত ভাবে উৎফুল্ল প্রকাশ করেছে। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিকবৃন্দ এবং সাধারণ মানুষ। এবং তাদের ক্যাম্পেইন ডাক্তার সঠিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেছে। আশা এনজিও আগামী দিনগুলোর জন্য এইরকম ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ধাপ হিসাবে গণ্য হবে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদল সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লা পাড়া ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে সদর উপজেলার স্থানীয় বেতগঞ্জ বাজাএই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আবুল কাশেম দুলু সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এডভোকেট দীপংঙ্কর বনিক সুজিতের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক মনাজ্জির হোসেন। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সুহেল মিয়া, শাহজাহান মিয়া, এডভোকেট আব্দুল আহাদ জুয়েল, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মুজাব্বির হোসেন অপু, ইমরান হোসেন শ্যামল, বিপ্লব খান, মো:শামিম আহমদ, সেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক সাদিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতাউর চৌধুরী শাহীন প্রমুখ। এ ছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার আলম, লিয়াকত আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতহাব চৌধুরী হাসান, শাখাওয়াত হোসেন পলাশ, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইমন আহমেদ, ফয়সাল আহমেদ, মিছবাহ হোসেন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মহিম উদ্দিন, জেলা যুবদলের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মঈনুদ্দিন আহমেদ রিপন,সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আব্দুল কাইয়ুম সৌরভ, বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম, ময়না মিয়া,স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রুজেল আহমেদ, আবুল হাসনাত, জেলা ছাত্রদল নেতা ইয়াহিয়া হাসান প্রমুখ। এ সময় সদর উপজেলা ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন,বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের দুঃসময়ে যারা রাজপথে নির্যাতিত ও নিপিিতড় হয়েছেন, তাদের যথাযথ মূল্যায়নের ভিত্তিতেই ভবিষ্যতের ইউনিয়ন কমিটি গঠন করতে হবে। আওয়ামী লীগ ঘেঁষা বা ফ্যাসিস্টদের সাথে সম্পৃক্ত কোনো ব্যক্তিকে কমিটিতে রাখা যাবে না বলেও তারা দাবি জানান। দুর্দিনে যারা আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন তাদেরকে কমিটিতে মুল্যায়ন করা হবে। তারা বলেন,সুনামগঞ্জে জাতীয়তাবাদি শক্তির প্রাণপূরুষ এবং বিগত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে জেল জুলুম,হুলিয়া মাথায় নিয়ে এই সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা কেবল জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বর্তূমান জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৪(সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুলের নেতৃত্বে আমরা রাজপথে ছিলাম এবং আগামী নির্বাচনে এই আসনে জনপ্রিয় ধানের শীষের প্রার্থী একমাত্র নুরুল ইসলাম নুরুলকে বিএনপির প্রার্থী করতে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া,ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিকট তৃণমূলের নেতৃবৃন্দরা জোর দাবী জানান।
(২২ অক্টোবর) সকালে টাঙ্গাইল পৌর এলাকার পার্ক বাজার সংলগ্ন গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানটি পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল। তিনি তার বিশেষ মনিটরিং টিম নিয়ে দোকানে থাকা দইয়ের উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ না থাকা, বেশ কিছু পরিমাণ পচে যাওয়া দই দোকানে সংরক্ষণ করা এবং মিষ্টান্ন তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল পাওয়ার দায়ে টাঙ্গাইলের গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে, আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবেন। অভিযানে পৌর স্যানেটারি ইন্সপেক্টর ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ প্রসঙ্গে গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী স্বপ্নন কুমার ঘোষ জানান, সাধারণত তিনি খুচরা ভাবে দধি বিক্রি করে থাকেন। ফলে তৈরিকৃত দধিতে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ দেওয়া সম্ভব হয় না। তবে এখন থেকে দেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, উদ্ধারকৃত পচে যাওয়া দধিগুলো ফেলে দেওয়ার জন্য রাখা হয়েছিল। এছাড়া যে মিষ্টি তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল হাওয়া গেছে, সেটি বর্তমানে মিষ্টি তৈরীর কাজে ব্যাবহার করা হচ্ছে না। আমরা সবসময় চেষ্টাকরি গ্রাহককে সর্বোচ্চ মানের দধি ও মিষ্টান্ন সরবরাহ করার।
সাজিদ পিয়াল: গোপালপুর উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে ২৭/১০/২০২৬ইং তারিখে গোপালপুর উপজেলা ও পৌর মৎস্যজীবী দল এর উদ্যোগে বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশ নায়ক তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়ন উপলক্ষে লিফলেট বিতরণের প্রস্তুতি মিটিংয়ের আয়োজন করা হয়। উক্ত মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন মোঃ শফিকুল ইসলাম সভাপতি গোপালপুর উপজেলা মৎস্যজীবী দল সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাজিম তালুকদার মোঃ দোলয়ার হোসেন সহ সভাপতি গোপালপুর উপজেলা মৎস্যজীবী দল যুগ্ম সম্পাদক রেজাউল করিম মোঃমারুফ হোসেন সাধারণ সম্পাদক পৌর মৎস্যজীবী দল আরো উপস্থিত ছিলেন গোপালপুর উপজেলার সকল ইউনিয়ন ওয়ার্ড মৎস্যজীবীদলের নেতৃবৃন্দ।
টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর‑বাসাইল) আসনে বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান–এর সঙ্গে বিরোধের ফলে সখীপুর উপজেলা বিএনপির একাধিক নেতা পদত্যাগ করেছেন। অমর সংবাদ অনুসারে, একযোগে ১১ জন উপজেলার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ নেতারা পদত্যাগ করেছেন। আরও আশঙ্কা করা হচ্ছে যে দুইশোরও বেশি পদাধিকাৰী নেতা পদত্যাগ করবেন। পদত্যাগকারীরা অভিযোগ করেছেন যে আযম খান তার ভোট শক্তি বাড়ানোর আশায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের পুনর্বাসন করছেন এবং তাদের গুরুত্ব দিচ্ছেন দলীয় কার্যক্রমে। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের অবমূল্যায়ন, নেতাকর্মীদের অবমাননা ইত্যাদি অভিযোগ উঠেছে। পদত্যাগকারীদের বক্তব্যে, আযম খানের আচরণ দলীয় শৃঙ্খলার পরিপন্থি এবং তাদের অবস্থা “বহু ত্যাগী নেতার অবমূল্যায়ন”।একটি অডিও ক্লিপ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে আযম খান allegedly একটি মুক্তিযোদ্ধাকে গালাগাল ও হুমকি দিচ্ছেন বলে দাবি করা হয়েছে। আযম খান এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং বলছেন অডিও “এডিট করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে” ভাইরাল করা হয়েছে।এর আগে আযম খান বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগও উঠেছিল, যা কিছু নেতারা ষড়যন্ত্র বলছেন। এছাড়া, টাঙ্গাইলে বিএনপির কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভও হয়েছে তার বিরুদ্ধে। এই পদত্যাগের ঘটনা শুধু কিছু সাংগঠনিক অসন্তুষ্টি নয়, বরং এটি একটি গভীর রাজনৈতিক বিভাজনকে ইঙ্গিত দিচ্ছে — বিশেষ করে স্থানীয় নেতৃত্ব এবং কেন্দ্রীয় নেতা (আযম খান)–এর মধ্যে।যেহেতু পদত্যাগকারীরা “আওয়ামী লীগ পুনর্বাসন”–এর অভিযোগ তুলছেন, এটি নির্বাচনী কৌশল হিসেবে সম্ভাব্য বিরোধ সৃষ্টি করতে পারেঅডিও ফাঁস এবং ব্যক্তিগত বিরোধ আরও একটি মাত্রা যোগ করছে — এটি শুধু রাজনৈতিক না, ব্যক্তির প্রতি আস্থাহীনতার ইস্যু তোলে।দুইশোর পর্যন্ত নেতার পদত্যাগের সম্ভাবনা যদি সত্য হয়, তাহলে টাঙ্গাইল-৮ এলাকায় বিএনপির একক তার শক্তি হুমকির মুখে পড়তে পারে।এই সংকট যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে বিএনপির আসন‑প্রার্থিতা দুর্বল হতে পারে কারণ দলের অভ্যন্তরীণ ঐক্য কমে যাবে।আযম খান প্রশাসন বা কেন্দ্রীয় কমিটির কাছ থেকে প্রতিক্রিয়া পেতে পারেন — হয় ব্যাখ্যা দিতে হবে, হয় পদত্যাগ বা মনোনয়ন বাতিলের দাবি উঠতে পারে।সাধারণ দলের কর্মীদের মধ্যে আস্থা ব্যাহত হলে, নির্বাচন‑প্রচারণায় নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।এ পরিস্থিতি মিডিয়া ও ভোটারদের মধ্যে দৃষ্টিনন্দন ইমেজ তৈরি করতে পারে, বিশেষত যদি পদত্যাগ ও অভিযোগগুলো বড় আকার নিতে থাকে।সখিপুরে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এড. আহমেদ আযম খানের বিরুদ্ধে আ.লীগ পূর্ণবাসনের অভিযোগ এনে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বাছেদ মাষ্টার, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আঃ মান্নান, গজারিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রউফ এবং বহুরিয়ে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক লতিফ মিয়াসহ উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের অন্তত ২৭০ জন নেতাকর্মী দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন বলে শোনা যাচ্ছে।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে বিএনপির প্রতীক ‘ধানের শীষ’ কার হাতে উঠেছে — তা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে ব্যাপক আলোচনা। বিএনপি কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ফরহাদ ইকবাল এই দুই প্রভাবশালী নেতার নামই দীর্ঘদিন ধরে আলোচনার শীর্ষে। টাঙ্গাইল সদর-৫ আসনটি ঐতিহাসিকভাবে জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও কৌশলগত আসন হিসেবে বিবেচিত। এ আসনে ভোটার সংখ্যা তুলনামূলকভাবে বেশি, এবং জেলার প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক কেন্দ্র হিসেবে টাঙ্গাইল শহর অবস্থিত এই আসনেই। ফলে জাতীয় নির্বাচন ঘিরে এখানকার প্রার্থী বাছাই সব সময়ই বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। এখন পর্যন্ত বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে টাঙ্গাইল-৫ আসনের প্রার্থী ঘোষণা করেনি। তবে দুই প্রার্থীরই রাজনৈতিক অবস্থান, সাংগঠনিক দক্ষতা এবং জনসম্পৃক্ততা উল্লেখযোগ্য। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, টাঙ্গাইল সদর-৫ আসনটি বিএনপির জন্য মর্যাদার প্রতীক। এ আসনে বিএনপির শক্ত ঘাঁটি থাকলেও, সঠিক প্রার্থী নির্ধারণই চূড়ান্ত ফলাফলের মূল নির্ধারক হতে পারে। একজন স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, “এই আসনের প্রার্থী নির্বাচনে তৃণমূলের মতামত এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ভারসাম্য রক্ষা করা বিএনপির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।” যদিও এখন পর্যন্ত বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি, তবুও টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের ‘ধানের শীষ’ কার হাতে উঠবে—তা নিয়ে তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত উত্তেজনা ও কৌতূহল তুঙ্গে। জেলার রাজনীতির সবচেয়ে আলোচিত এই আসনটি এখন সবার দৃষ্টি আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।
টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী লুৎফর রহমান মতিনের বক্তব্য: বল্লভ বাড়ি কবরস্থান হাফিজিয়া মাদ্রাসার সার্বিক উন্নয়নে সহযোগিতার আশ্বাস টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের বিএনপির মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য জনাব লুৎফর রহমান মতিন বল্লভ বাড়ি কবরস্থান হাফিজিয়া মাদ্রাসার উদ্যোগে আয়োজিত ওয়াজ মাহফিল ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন। স্থানীয় এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে মাহফিলটি ধর্মীয় আবহ ও উপদেশপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্যে লুৎফর রহমান মতিন বলেন, “ধর্মীয় শিক্ষা একটি জাতিকে নৈতিক, মানবিক ও আলোচিত পথে পরিচালিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা কুরআনের হাফেজ হয়ে সমাজে আলোর পথ দেখাবে—এটাই আমাদের প্রত্যাশা।” তিনি আরও বলেন যে, মাদ্রাসার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, শিক্ষার মানোন্নয়নসহ ভবিষ্যতের সকল প্রকল্পে তিনি ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সার্বিক সহযোগিতা করে যাবেন। বল্লভ বাড়ি কবরস্থান হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির সদস্যরা মাদ্রাসার বিভিন্ন চাহিদা ও উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রধান অতিথিকে অবহিত করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে জনাব মতিন প্রতিটি বিষয়ে ইতিবাচক ভূমিকার আশ্বাস প্রদান করেন। তিনি বলেন, “মাদ্রাসার উন্নয়নে যা যা প্রয়োজন, আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে এই প্রতিষ্ঠানকে আরও শক্তিশালী করা হবে।” ওয়াজ মাহফিলকে কেন্দ্র করে এলাকাজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। ধর্মপ্রাণ মুসল্লি, মাদ্রাসার ছাত্র, অভিভাবকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। বক্তারা ইসলামি আদর্শ, মানবিক মূল্যবোধ, নৈতিকতার গুরুত্বসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানের আয়োজকরা বলেন, জনাব লুৎফর রহমান মতিনের উপস্থিতি মাদ্রাসার জন্য অনুপ্রেরণাদায়ক। তাঁর সহযোগিতার আশ্বাস ভবিষ্যতে মাদ্রাসার উন্নয়নে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন। শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ, মাদ্রাসার সমৃদ্ধি এবং সকল অতিথির মঙ্গল কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ অতিথিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।