বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও দীর্ঘায়ু কামনায় টাঙ্গাইল শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে এক দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা বিএনপির আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ দোয়া মাহফিলে দলীয় নেতা–কর্মী ছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ের সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল। তিনি বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতীক। তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনায় দেশব্যাপী যে দোয়া মাহফিল চলছে, তা প্রমাণ করে তিনি এখনো মানুষের হৃদয়ে গভীরভাবে জায়গা করে আছেন।’ দোয়া মাহফিল শুরুর আগে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন শহর বিএমেহেদী হাসান আলীম, সাধারণ সম্পাদক এজাজুল হক সবুজ, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রৌফ, সিনিয়র সহ-সভাপতি হাদিউজ্জামান সোহেল, জেলা বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক রফিকুল ইসলাম স্বপনসহ দলের অন্যান্য নেতা। বক্তারা বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা শুধু বিএনপির নয়, গণতন্ত্রকামী মানুষের প্রত্যাশা। তাঁরা অভিযোগ করেন, খালেদা জিয়ার নিয়মিত উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন হলেও রাজনৈতিক কারণে তা ব্যাহত হচ্ছে। দ্রুত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তারা। দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণকারী নেতা–কর্মীরা জানান, দলীয় প্রধানের সুস্থতার জন্য তারা ব্যক্তিগতভাবেও নিয়মিত প্রার্থনা করছেন। দোয়া শেষে অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি, দীর্ঘায়ু ও সুস্থ জীবন কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন স্থানীয় ওলামায়ে কেরাম। এ আয়োজনকে কেন্দ্র করে টাঙ্গাইল শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যান এলাকায় ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড থেকে দলীয় নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে যোগ দেন। পুরো আয়োজন জুড়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করে।
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা ও রোগমুক্তি কামনায় টাঙ্গাইল জেলা দলিল লেখক কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে দোয়া মাহফিল ও মিলাদ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (৭ ডিসেম্বর) বাদ যোহর জেলা দলিল লেখক কল্যাণ সমিতির কার্যালয়ে এই দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন—টাঙ্গাইল জেলা দলিল লেখক কল্যাণ সমিতির সভাপতি ইমান আলী। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন—টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন—টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট জাফর আহমেদ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন—টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক শ্যামল ব্যানার্জি,জেলা দলিল লেখক কল্যাণ সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেন,সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম,সহ-সভাপতি আব্দুল মতিন সরকার,সাংগঠনিক সম্পাদক আল আমিন হোসেন, এবং সংগঠনের আরও নেতৃবৃন্দ ও সদস্যরা। দোয়া মাহফিলে বক্তারা বলেন, বেগম খালেদা জিয়া বহুদিন ধরে অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসাধীন। দেশের মানুষের নেতা হিসেবে তার সুস্থতা শুধু বিএনপির জন্য নয়, পুরো দেশের জনগণের প্রত্যাশা। তারা আশা প্রকাশ করেন, খুব শিগগিরই তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে ফিরে আসবেন। বক্তারা আরও বলেন, দলিল লেখক কল্যাণ সমিতির সদস্যরা সবসময় জনমানুষের সমস্যা-সংকটে পাশে থেকেছে এবং ভবিষ্যতেও মানবিক সহায়তায় কাজ করবে। পরে খালেদা জিয়ার দ্রুত রোগমুক্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করা হয়। মোনাজাতে দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনাও করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে তবারক বিতরণ করা হয়।
বাংলাদেশের তাঁত শিল্পে নতুন আশার আলো জ্বালালো টাঙ্গাইল শাড়ি। ঐতিহ্য, নকশা ও শৈল্পিক দক্ষতার অনন্য প্রদর্শন হিসেবে দীর্ঘদিন ধরেই আন্তর্জাতিক পরিসরে সুনাম কুড়ানো এই শাড়িকে এবার ইউনেসকোর মানবজাতির অমূল্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য (Intangible Cultural Heritage) তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার আবেদন জানিয়েছেন দেশের তাঁত শিল্পীরা। বহু প্রজন্মের স্মৃতি, পরিশ্রম আর ঐতিহ্যের বাহক এই শাড়ি ইউনেসকোর স্বীকৃতি পেলে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের অবস্থান আরও শক্তিশালী হবে বলে মনে করছেন তাঁতিরা। বাংলাদেশের জামদানি শাড়ি ইউনেসকোর স্বীকৃতি পাওয়ার পর আন্তর্জাতিক বাজারে যেভাবে আলোচনায় এসেছে, তেমনই সাফল্যের আশা করছেন টাঙ্গাইলের তাঁতিরা। তাঁদের মতে, স্বীকৃতি পেলে শাড়িটির ব্র্যান্ড ভ্যালু বাড়বে, বিদেশি ক্রেতার আগ্রহও বৃদ্ধি পাবে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ইউনেসকোর তালিকাভুক্ত অনেক সাংস্কৃতিক উপাদানের ক্ষেত্রে পর্যটন বাড়ার পাশাপাশি পণ্যের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যও প্রসারিত হয়েছে। এর উদাহরণ হিসেবে তাঁরা উল্লেখ করছেন বাংলার দুর্গাপুজোর কথা—যা স্বীকৃতি পাওয়ার পর থেকেই বিদেশি দর্শনার্থীর সংখ্যা দৃশ্যমানভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। মধ্যবাংলার টাঙ্গাইল অঞ্চলে শত বছর ধরে তাঁতশিল্পীদের বসতি গড়ে উঠেছে। এখানকার তাঁতিরা প্রজন্ম ধরে হাতে বোনা টাঙ্গাইল শাড়ির খ্যাতি ধরে রেখেছেন। অন্য শাড়ির তুলনায় অনেক হালকা ও আরামদায়ক হওয়ায় এটি পরতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন নারীরা।রঙিন সুতোর বুনন, ফুলেল নকশা ও সূক্ষ্ম কারুকাজ—এসবই টাঙ্গাইল শাড়িকে অন্যসব শাড়ি থেকে আলাদা করে। স্থানীয় তাঁতিরা জানান, এই শাড়ির প্রতিটি ইঞ্চি বুনতে সময় লাগে, প্রয়োজন হয় একাগ্রতা আর অভিজ্ঞতার। তাই টাঙ্গাইল শাড়ি শুধু একটি পোশাক নয়—এটি একটি শিল্প, একটি সংস্কৃতি, একটি ইতিহাস। টাঙ্গাইলের তাঁতিরা এখন এক কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি। কাঁচামালের দাম লাগামহীনভাবে বেড়ে যাওয়ায় শাড়ি প্রস্তুতির খরচও বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে বাজারে দাম বাড়াতে বাধ্য হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু ক্রেতা সেভাবে বাড়ছে না। তিনি জানান—প্রস্তুতি খরচ বেড়েছে,বিক্রি কমছে,উৎসবের মৌসুমেও আশানুরূপ বিক্রি হয়নি,যুব সমাজ তাঁত পেশায় আসতে দ্বিধায় ভুগছে।যারা আসছে, তারাও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তায় ভুগছে। তাঁতশিল্পীরা মনে করেন, ইউনেসকোর স্বীকৃতি পেলে এই সংকট অনেকটা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে। বিশ্ববাজারে নতুন দরজা খুলবে, বাড়বে চাহিদা। ফলে এই পেশায় নতুন প্রজন্ম আগ্রহী হবে। বাংলাদেশের গর্বের তালিকায় রয়েছে বহু সাংস্কৃতিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান—বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ মসজিদ,সুন্দরবন,পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের ধ্বংসাবশেষ,বাউল গান,জামদানি,শীতলপাটি,পয়লা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা।এবার, সেই তালিকায় টাঙ্গাইল শাড়ি যুক্ত হলে বাংলাদেশ আরও একটি সাংস্কৃতিক সম্পদ বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরতে পারবে। শিল্পীরা বিশ্বাস করেন, ঐতিহ্যবাহী এই শাড়ির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি শুধু সংস্কৃতির গর্বই বাড়াবে না, বরং তাঁতশিল্পের ওপর নির্ভরশীল লাখো মানুষের জীবিকা রক্ষা করবে। বিশ্ববাজারে পরিচিতি বাড়লে দেশের অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে। টাঙ্গাইলের তাঁতিরা তাই এখন নতুন আশায় বুক বেঁধেছেন—“টাঙ্গাইল শাড়ি শুধু বাংলাদেশের গর্ব নয়, এটি পুরো বিশ্বের ঐতিহ্যের অংশ হোক।”
টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড ইউনিটির আহ্বায়ক কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স হলরুমে আয়োজিত পরিচিতি অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক বীরমুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট বজলুর রহমান মিয়া। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বীরমুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খান আলো, টাঙ্গাইল জজ কোর্টের এপিপি জামাল উদ্দিন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল খালেক দেওয়ান, সদস্য শেখ ফিরোজ, হারুন-অর-রশিদ, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সহকারী কমান্ডার কেবি কায়সার, সদস্য আবু সাইদ মিয়া ও খন্দকার বদরুদুজা কায়ছার। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাসাইল পৌরসভা ও সদর ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সদস্য সচিব রুকন উদ্দিন আলমগীর, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের আহ্বায়ক শামীমা খান সীমা এবং উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। সভায় বক্তারা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পরবর্তী প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে এবং মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের কল্যাণ নিশ্চিত করতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক সম্মানী বৃদ্ধি, চিকিৎসাসেবা শক্তিশালীকরণ, পরিবার-পরিজনের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য স্থায়ী কল্যাণ তহবিল তৈরির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। বক্তারা আরও উল্লেখ করেন, স্থানীয় পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধাদের অধিকার রক্ষায় একতা, শৃঙ্খলা ও সংগঠনের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করা প্রয়োজন। পাশাপাশি নতুন কমিটির সদস্যদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানানো হয়। পরিচিতি সভার শেষে দেশ, জাতি এবং সকল বীর শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া পরিচালনা করা হয়।
টাঙ্গাইলে টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নে জেলা পর্যায়ের সমন্বয় সভা টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি–২০২৫ বাস্তবায়নকে সফল ও গতিশীল করতে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা পর্যায়ের এক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৫ নভেম্বর ২০২৫) সকাল ১১টায় জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় স্বাস্থ্য বিভাগ, শিক্ষা বিভাগ, স্থানীয় সরকার বিভাগের কর্মকর্তা, বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় জানানো হয়, এক মাসব্যাপী এই জাতীয় টিকাদান কর্মসূচি আগামী ১২ নভেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত চলবে। জেলার সকল শিশু যেন টিকার আওতায় আসে সেজন্য মাঠপর্যায়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম আরও জোরদার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়া বিদ্যালয়ভিত্তিক টিকাদান, ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর মাধ্যমে টিকা প্রদান কার্যক্রম সমন্বিতভাবে পরিচালনার ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়। অভিভাবকদের দ্রুত রেজিস্ট্রেশন করার আহ্বান জানিয়ে সভায় বলা হয়, শিশুর ১৭-সংখ্যার জন্মনিবন্ধন নম্বর ব্যবহার করে অনলাইনে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে। এ জন্য সরকারি ওয়েবসাইট—https://vaxepi.gov.bd/ —এ প্রবেশ করে তথ্য যাচাই করে রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। সভায় অংশগ্রহণকারীরা আশা প্রকাশ করেন, সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে এবার জেলার শতভাগ লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে।
টাঙ্গাইল সদর-৫ আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন পেলেন সুলতান সালাউদ্দিন টাঙ্গাইল সদর-৫ আসনে অবশেষে বিএনপির প্রতীক ধানের শীষ নিয়ে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার দলীয় মনোনয়ন পেলেন সুলতান সালাউদ্দিন। বহুদিন ধরে দলীয় মনোনয়নের জন্য তার সক্রিয় প্রচেষ্টা, মাঠে কাজ করা এবং স্থানীয় নেতাকর্মীদের একযোগে সমর্থনের ফল হিসেবেই এই সিদ্ধান্ত এসেছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। মনোনয়ন পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সুলতান সালাউদ্দিন বলেন— টাঙ্গাইল সদরবাসীর উন্নয়ন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে আমি মাঠে কাজ করব। জনগণই আমার শক্তি।” তার মনোনয়ন ঘোষণার পর থেকেই বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস, উদ্দীপনা ও নতুন আশার সঞ্চার দেখা গেছে। অনেকেই জানান, দীর্ঘদিন ধরে মাঠে সক্রিয় ভূমিকা রাখায় তিনি এই মনোনয়নের যোগ্য দাবিদার ছিলেন। এদিকে মনোনয়ন প্রাপ্তির মধ্য দিয়ে টাঙ্গাইল সদর-৫ আসনে নির্বাচনী হাওয়া আরও তীব্রতর হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে এই আসনে এবার ভোটযুদ্ধ আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতে যাচ্ছে।
সন্তান হারানো মা কুকুরের জীবনে নতুন আলো— মানবিক উদ্যোগে পেল দুটি ছানা। পাবনার ঈশ্বরদীতে নৃশংসভাবে আটটি কুকুরছানা হত্যা করার মর্মান্তিক ঘটনার পর এক হৃদয়বিদারক অবস্থার সৃষ্টি হয়। নিজের সন্তান হারিয়ে মা কুকুরটি তখন দিশেহারা, শোকে বিধ্বস্ত ও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিল। এমন পরিস্থিতিতে তার প্রতি মানবিক হাত বাড়িয়ে দেন ঈশ্বরদীর প্রাণিপ্রেমী তরুণ শাহরিয়ার আমিত। ঘটনার পর মানবিক বিবেচনায় আমিতের উদ্যোগে মা কুকুরটির জন্য সংগ্রহ করা হয় দুটি নতুন ছানা। প্রথমে কিছুটা অবিশ্বাস ও দ্বিধায় থাকলেও ধীরে ধীরে সে ছানাগুলোকে আপন করে নেয়। এখন সেই দুই ছোট্ট প্রাণ তার দুধ খাচ্ছে, আর মা কুকুরটির আচরণে ফিরে এসেছে পুরনো মমতা ও শান্তভাব। ধীরে ধীরে শোক ভুলে আবার মাতৃত্বের অনুভূতি ফিরে পাচ্ছে সে। মা কুকুর ও নতুন দুটি ছানার যথাযথ যত্ন ও চিকিৎসা নিশ্চিত করছেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা। তাদের তত্ত্বাবধানে মা কুকুরটি শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ হয়ে উঠছে। এদিকে, আটটি কুকুরছানা হত্যার সেই নিষ্ঠুর ঘটনার সঙ্গে জড়িত নারীকে ইতোমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হলেও মানবিক এই পদক্ষেপ সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরিয়ে এনেছে। ঘটনাটির ছবি ও তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মহোদয়ের কাছ থেকে। মানবতার এমন সুন্দর উদ্যোগ নিঃসন্দেহে সমাজে ইতিবাচক বার্তা দেবে— প্রমাণ করে, মানুষ চাইলে অসহায় প্রাণীর জীবনেও আলো এনে দিতে পারে।
সাজিদ পিয়াল: হুগড়া ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত। টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ১০ নং হুগড়া ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে আজ বাদ আছর বাংলাদেশের সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত রোগমুক্তি ও পূর্ণ সুস্থতা কামনায় এক বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। দোয়া মাহফিলকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীদের মধ্যে ছিল প্রাণচাঞ্চল্য, আবেগ ও গভীর শ্রদ্ধার পরিবেশ। হুগড়া ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আয়োজিত এ দোয়া মাহফিলে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন ইউনিট কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনায় অংশ নেন। স্থানীয় সাধারণ মানুষসহ রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে সক্রিয় কর্মীরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে দোয়া মাহফিলে শরিক হয়ে দেশনেত্রীর সুস্থতার প্রতি তাদের ভালোবাসা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। দোয়া মাহফিলে সংক্ষিপ্ত আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। বক্তারা বলেন,“দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশের গণতন্ত্রের জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন। তিনি শুধু বিএনপির নেতৃত্বই নন; বাংলাদেশের রাজনীতিতে সাহস, ত্যাগ ও দেশপ্রেমের এক উজ্জ্বল প্রতীক। তাঁর সুস্থতা জাতির জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন।”নেতারা আরও বলেন,আমরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি—তিনি যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে আবারও নেতৃত্ব দিতে পারেন।”অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত ও খতম অনুষ্ঠিত হয়। পরে মোনাজাতে দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি, দীর্ঘায়ু, সুস্বাস্থ্য, এবং বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য দোয়া করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন স্থানীয় মসজিদের সম্মানিত ইমাম।দোয়া মাহফিল শেষে হুগড়া ইউনিয়ন বিএনপির নেতারা বলেন,“দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার সুস্থতা মানেই দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নতুন উদ্দীপনা।” তারা আরও বলেন,“যতদিন তিনি সুস্থ না হচ্ছেন, ততদিন আমরা নিয়মিত দোয়া–মোনাজাত অব্যাহত রাখব।” এই দোয়া মাহফিলটি হুগড়া ইউনিয়নে শুধু রাজনৈতিক অনুষ্ঠানই নয়, বরং দেশনেত্রীর প্রতি মানুষের ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও শুভকামনার এক প্রতিফলন হয়ে ওঠে। পুরো এলাকাজুড়ে ছিল শান্ত, গম্ভীর ও আবেগঘন পরিবেশ।
সাজিদ পিয়াল:বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে টাঙ্গাইলে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় খতমে কুরআন ও দোয়া মাহফিল। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, টাঙ্গাইল জেলা শাখার উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপার্সন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা কামনায় খতমে কুরআন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজনৈতিক অস্থিরতা, সামাজিক অশান্তি ও জাতীয়ভাবে চ্যালেঞ্জের মুহূর্তে এ আয়োজনটি স্থানীয়ভাবে ব্যাপক গুরুত্ব পেয়েছে। মঙ্গলবার ০৩/১২/২০২৫ ইং বিকেলে টাঙ্গাইল জেলার একটি স্থানীয় মসজিদে এ ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দোয়া মাহফিলে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে সংগঠনের নেতাকর্মী, ছাত্রসমাজ, শুভানুধ্যায়ী ও স্থানীয় মুসল্লিরা বিপুল সংখ্যায় উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শুরুর আগে পবিত্র কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে খতম সম্পন্ন করা হয়। পরে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন মসজিদের ইমাম ও স্থানীয় ওলামায়ে কেরাম। দোয়া মাহফিলে উপস্থিত বক্তারা বলেন, “দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে নানা জটিল রোগে ভুগছেন। তাঁর সুস্থতা শুধু একটি রাজনৈতিক দলের দাবি নয়, বরং দেশের সাধারণ মানুষেরও প্রত্যাশা। তিনি সুস্থ হয়ে দ্রুত দেশ ও জাতির কল্যাণে অবদান রাখতে পারেন—এটাই আমাদের প্রার্থনা।” বক্তারা আরও বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সবসময় মানবিক ও সামাজিক দায়িত্ব পালনে অঙ্গীকারবদ্ধ। নেতারা জানান, বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য সারাদেশে ধারাবাহিকভাবে এই ধরনের দোয়া মাহফিল আয়োজন করা হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে। অনুষ্ঠানে দেশের শান্তি-সমৃদ্ধি, জাতীয় ঐক্য, সমাজে সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠা এবং বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের জন্যও দোয়া করা হয়। দোয়া মাহফিল শেষে উপস্থিত সবার মাঝে তাবারুক বিতরণ করা হয় এবং দেশনেত্রীর দ্রুত আরোগ্য কামনায় নতুন কর্মসূচি গ্রহণের আশাবাদ ব্যক্ত করেন সংগঠনের নেতারা। এ আয়োজন স্থানীয়ভাবে ব্যাপক সাড়া ফেলে এবং অংশগ্রহণকারীরা জানান, মানবিকতার জায়গা থেকেই তাঁরা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান।
সাজিদ পিয়াল: ৩৪তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস ও ২৭তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস–২০২৫ উদযাপন প্রতিপাদ্য: “Fostering disability-inclusive societies for advancing social progress” “Fostering disability-inclusive societies for advancing social progress” এই বৈশ্বিক প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আজ মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৫, টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপিত হয়েছে ৩৪তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস ও ২৭তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস–২০২৫। দিবসটি উপলক্ষে সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। র্যালিতে জেলার সরকারি কর্মকর্তা, সমাজসেবক, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, প্রতিবন্ধী সংগঠনের সদস্যসহ সমাজের বিভিন্ন পেশার মানুষ অংশ নেন। পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা, সম্মাননা প্রদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তারা বলেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার নিশ্চিত, তাদের জীবনমান উন্নয়ন এবং সমাজের মূলধারায় সম্পৃক্ত করতে সরকার বহুমুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, ভাতা প্রদান, পুনর্বাসন সেবা, দক্ষতা উন্নয়ন এবং প্রবেশগম্য অবকাঠামো তৈরি এখন সময়ের দাবি। তারা আরও বলেন, প্রতিবন্ধীতাকে দুর্বলতা না ভেবে সক্ষমতার নতুন দিগন্ত হিসেবে দেখতে হবে—তবেই গড়ে উঠবে অন্তর্ভুক্তিমূলক মানবিক সমাজ। অনুষ্ঠানে জেলার বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখা একাধিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে সম্মাননা ক্রেস্ট ও উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়। শেষে বিভিন্ন প্রতিবন্ধী শিশু-কিশোরের অংশগ্রহণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়। দিবসটি উদযাপনের মধ্য দিয়ে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রতি সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির ইতিবাচক পরিবর্তন, সবার জন্য সমান সুযোগ এবং এক আন্তরিক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।
খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত। কেন্দ্রীয় নেতা সালাউদ্দিন টুকুর উপস্থিতিতে আবেগঘন পরিবেশ। বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় এক দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশনেত্রীর দীর্ঘদিনের শারীরিক অসুস্থতার প্রেক্ষাপটে আয়োজিত এ দোয়া মাহফিলে নেতৃত্ব, কর্মী ও সাধারণ মানুষের উপস্থিতিতে পুরো অনুষ্ঠানে এক আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়। মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। তিনি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, “আল্লাহ আমাদের গণতন্ত্রের মা’কে সুস্থ করে দাও। তিনি এই দেশের মানুষকে ভালোবাসেন, দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন—আজ আমরা সবাই মিলেই তাঁর সুস্থতার জন্য দোয়া করছি।” এছাড়া অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা মাহমুদুল হক শানুসহ দলের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। তারা বলেন, দেশের এই কঠিন সময়ে খালেদা জিয়ার সুস্থতা জাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বেগম জিয়ার রোগমুক্তির জন্য তারা সকলের নিকট দোয়া কামনা করেন। মোনাজাত পরিচালনাকারী আলেম দেশনেত্রীর দ্রুত আরোগ্য, দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে বিশেষ দোয়া পরিচালনা করেন। দোয়া শেষে নেতারা বলেন, “আমরা সকলের নিকট দেশনেত্রীর জন্য দোয়া প্রার্থনা করছি। মহান আল্লাহ তাকে দ্রুত সুস্থতা দান করুন।” স্থানীয় নেতা–কর্মী, সমর্থক, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলসহ সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণে দোয়া মাহফিলটি একটি সমবেদনা ও আশার মিলনমেলায় পরিণত হয়।
দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় টাঙ্গাইলে দোয়া মাহফিল বিএনপি চেয়ারপার্সন ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি এবং দ্রুত সুস্থতা কামনায় টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাসাখানপুর দাইন্যা ইউনিয়নে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার বিকেলে দাইন্যা ইউনিয়ন বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে এই দোয়া মাহফিল আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী খন্দকার আহমেদুল হক সাতিল। স্থানীয় নেতাকর্মী, সমর্থক এবং সাধারণ মুসল্লিদের অংশগ্রহণে দেশনেত্রীর সুস্থতা কামনায় বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। নেতৃবৃন্দ বলেন, বেগম খালেদা জিয়া দেশের গণতন্ত্র রক্ষার সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন। আজ তিনি অসুস্থ—তাই তার দ্রুত আরোগ্য কামনায় দোয়া করা পুরো জাতির দায়িত্ব। এই আয়োজনের মাধ্যমে নেতাকর্মীরা ঐক্য, ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন। প্রধান অতিথি খন্দকার আহমেদুল হক সাতিল আবেগভরা কণ্ঠে বলেন— “গণতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়া শুধু একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নন — তিনি এই দেশের মানুষের বুকের স্পন্দন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে পাহাড়ের মতো দাঁড়িয়ে থাকা এই সাহসী নেত্রী আজ অসুস্থ—এটা ভাবতেই বুকটা ভারী হয়ে আসে। আমরা তার সুস্থতার জন্য আল্লাহর দরবারে মিনতি জানিয়েছি। তিনি ফিরে এলে দেশে নতুন আলো জ্বলবে। আমি প্রতিটি মানুষের কাছে অনুরোধ করছি—নামাজের পর তার জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ যেন আমাদের প্রিয় নেত্রীকে সুস্থ করে আবার মানুষের মাঝে ফিরিয়ে দেন।” দোয়া মাহফিল শেষে দেশ, জাতি এবং মুসলিম উম্মাহর শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনায় মোনাজাত করা হয়।
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ল, সোমবার থেকে কার্যকর দেশে স্বয়ংক্রিয় মূল্য সমন্বয় পদ্ধতির আওতায় ডিসেম্বর ২০২৫ মাসের জন্য সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম লিটারপ্রতি ২ টাকা করে বাড়িয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। বিশ্ববাজারে মূল্যের ওঠানামার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সংশোধিত প্রাইসিং ফর্মুলা অনুযায়ী রোববার (৩০ নভেম্বর) এ দাম সমন্বয় করা হয়েছে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আরিফ সাদেক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সোমবার (০১ ডিসেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলেও জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে দেশের বাজারের সমন্বয় করে দাম বাড়িয়েছে সরকার। ডিসেম্বর মাসের জন্য ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রোল ও অকটেনের দাম লিটারে ২ টাকা বাড়ানো হয়েছে। নতুন দর অনুযায়ী, প্রতি লিটার ডিজেলের দাম ২ টাকা বেড়ে ১০৪ টাকা, কেরোসিন লিটারে ২টাকা বেড়ে ১১৬ টাকা, পেট্রোলের দাম ২ টাকা বাড়িয়ে ১২০ টাকা এবং অকটেনের দাম লিটারে ২ টাকা বাড়িয়ে ১২৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। রোববার (৩০ নভেম্বর) রাতে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। সোমবার (০১ ডিসেম্বর) থেকে এ নতুন দর কার্যকর হবে। সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ জারি, পুরোপুরি আলাদা হলো বিচার বিভাগ জানা গেছে, বিশ্ববাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ গত বছরের মার্চ থেকে শুরু করেছে সরকার। সে হিসেবে প্রতি মাসে নতুন দাম ঘোষণা করা হচ্ছে। বর্তমানে জ্বালানি তেলের দর নির্ধারণ ছাড়াও আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে মিল রেখে প্রতি মাসে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম নির্ধারণ করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে বছরে জ্বালানি তেলের চাহিদা প্রায় ৭৫ লাখ টন। মোট চাহিদার প্রায় ৭৫ শতাংশই ডিজেল ব্যবহার হয়। বাকি ২৫ শতাংশ চাহিদা পূরণ হয় পেট্রল, অকটেন, কেরোসিন, জেট ফুয়েল, ফার্নেস অয়েলসহ বিভিন্ন জ্বালানি তেলে। ডিজেল সাধারণত কৃষি সেচে, পরিবহন ও জেনারেটরে ব্যবহার করা হয়। অকটেন ও পেট্রল বিক্রিতে সব সময় বিপিসি লাভ করেন। মূলত ডিজেল বিক্রিতেই বিপিসির লাভ ও লোকসান নির্ভর করে। জ্বালানি তেলের মধ্যে উড়োজাহাজে ব্যবহৃত জেট ফুয়েল ও বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত ফার্নেস অয়েলের দাম আগে নিয়মিত সমন্বয় করতো বিপিসি। এখন বিইআরসি প্রতিমাসে করছে। আর ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রল ও অকটেনের দাম নির্ধারণ করে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ। জ্বালানি বিভাগ জানায়, প্রতিবেশী দেশ ভারত ছাড়াও উন্নত বিশ্বে প্রতি মাসেই জ্বালানির মূল্য নির্ধারণ করা হয়। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের শর্ত হিসেবে গত বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি ঘোষণা করা হয়। স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে জ্বালানি তেলের মূল্য নির্ধারণ প্রক্রিয়া চালুর ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম কমলে দেশে কমবে আবার বাড়লে দেশের বাজারেও বাড়বে।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান ও নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী বরকত উল্লাহ বুলু। এইসময় রোগমুক্তির জন্য মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মোনাজাত করেন চৌমুহনী কাচারি বাড়ি জামে মসজিদের খতিব মাওলানা কবির আহমেদ। এই সময় তিনি জাতির ক্লান্তি লগ্নে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিভিন্ন কর্মকান্ড সামনে এনে আল্লাহর কাছে তার রোগ মুক্তি হয়ে জাতির নেতৃত্বে আবার এসে সুন্দর বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার জন্য দোয়া করেন। আজ দুপুরে বেগমগঞ্জের সেন্টাল কমিউনিটি সেন্টার এ দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন বেগমগঞ্জ ১৬ইউনিয়ন ও চৌমুহনী পৌরসভার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। এইসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নোয়াখালী জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য শামীমা বরকত লাকী। চৌমুহনী পৌরসভা বিএনপির আহবায়ক জহির উদ্দিন হারুন এর সভাপতিত্বে ও যুবদলের আহবায়ক রুস্তম আলী সঞ্চালনায় দোয়া মাহফিলে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেগমগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কামাখ্যা চন্দ্র দাস, বেগমগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ মাহফুজুল হক আবেদ, যুগ্ম-আহবায়ক নাজমুল গনি চৌধুরী (মান্না), যুগ্ম আহবায়ক মীর জুমলা (মিঠু)। চৌমুহনী পৌরসভা বিএনপি সদস্য সচিব মোঃ মহসিন আলম, যুগ্ম-আহবায়ক ইসমাইল হোসেন দুলাল। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বেগমগঞ্জ উপজেলা ওলামা দলের আহ্বায়ক কাজী মাওলানা আবদুল আলী ও সদস্য সচিব মাকসুদুর রহমান। বেগমগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল আমিন, সেচ্চাসেবক দলের আহ্বায়ক সুমন এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বেগমগঞ্জ উপজেলা, চৌমুহনী পৌরসভার বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ
ভোটকক্ষে সাংবাদিক প্রবেশে দায়িত্বশীলতা জরুরি: নির্বাচনকে ‘হযবরল’ হতে দিতে চাই না — সিইসি নাসির। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক, গ্রহণযোগ্য ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশন সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) মো. নাসির উদ্দিন। শুক্রবার অনুষ্ঠিত নির্বাচন পরিচালনার প্র্যাক্টিক্যাল ডেমনস্ট্রেশন শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ভোটকক্ষে প্রবেশের ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের দায়িত্বশীল আচরণ এবং বিবেক প্রয়োগের বিকল্প নেই। ভোটগ্রহণের পরিবেশ অস্থির হয়ে গেলে সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনা কঠিন হয়ে পড়তে পারে।‘ছোট বুথে বেশি লোক ঢুকলে হ-য-ব-র-ল পরিস্থিতি তৈরি হবে’সাংবাদিকদের ভোটকক্ষে প্রবেশের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন,“সাংবাদিক ভাইয়েরা বলছেন—আমাদের ভেতরে থাকতে দিতে হবে। কিন্তু আপনি যখন ছোট্ট একটা বুথে একসঙ্গে অনেক সাংবাদিক ঢুকবেন, তখন ধাক্কাধাক্কি হবে, জায়গা সংকুলান হবে না। বেশি সময় দাঁড়িয়ে থাকলে ভেতরের পরিবেশ অস্থির হয়ে যাবে। আমরা চাই না ভোটকক্ষে হ-য-ব-র-ল পরিস্থিতি তৈরি হোক।”তিনি বলেন, ভোটকেন্দ্রে এজেন্ট, পোলিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসার, ভোটার—এত মানুষের উপস্থিতিতে ভিড় তৈরি হওয়ার ঝুঁকি থেকেই যায়। এর মাঝে যদি সাংবাদিক ও দেশি–বিদেশি পর্যবেক্ষকদের বড় দল একসঙ্গে ঢোকে, তাহলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন হয়ে পড়বে।“সাংবাদিকদের আমরা নিষেধ করছি না। আমরা শুধু বলছি—বিবেচনা প্রয়োগ করে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করে বেরিয়ে যান।”সিইসি নাসির উদ্দিন বলেন, আগাম নির্বাচনের আগে কেমন পরিবেশ তৈরি হওয়া উচিত এবং আদর্শ পরিস্থিতিতে ভোটের দিন একটি কেন্দ্র কীভাবে পরিচালিত হবে—তা বাস্তবে দেখে নেওয়ার জন্যই আজকের ডেমনস্ট্রেশন আয়োজন করা হয়েছে। “আমরা যে নির্বাচনকে কলঙ্কমুক্ত, স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি—সে লক্ষ্যেই এই অনুশীলন। ভোটার আসা–যাওয়া, ব্যালট প্রদানের প্রক্রিয়া, পোলিং অফিসারদের অবস্থান, প্রিজাইডিং অফিসারের ভূমিকা, সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের চলাচল—সবকিছু আমরা পর্যবেক্ষণ করেছি।”তিনি বলেন, প্রাপ্ত অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন ও পরিমার্জন আনা হবে। “মোটামুটি সব ঠিক আছে। তবে কোথাও কোথাও উন্নতির জায়গা আছে—আমরা বসে সেগুলো ঠিক করবো।” সিইসি জানান, নির্বাচন কমিশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নানা ধরনের চাপ, প্রত্যাশা ও আন্তর্জাতিক নজরদারি সম্পর্কে সচেতন। তাই একটি শান্ত, শ্রদ্ধাশীল ও নিয়মতান্ত্রিক ভোটকেন্দ্র পরিবেশ তৈরি করা জরুরি। তিনি বলেন, “আমরা একটি সুন্দর, গ্রহণযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন জাতিকে উপহার দিতে বদ্ধপরিকর। এজন্যই বারবার বলছি—কেন্দ্রে যারা যাবেন, সবাই যেন দায়িত্বশীলভাবে কাজ করেন।”সংবাদমাধ্যম নির্বাচনকে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে উল্লেখ করে সিইসি বলেন— “সাংবাদিকদের উপস্থিতি আমরা স্বাগত জানাই। কিন্তু দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে যেন কেন্দ্রে সাধারণ ভোটারের চলাচল বা ভোটগ্রহণে কোনো ব্যাঘাত না হয়, সেটি সবার আগে নিশ্চিত করতে হবে।” তিনি জানান, কমিশন খুব শিগগিরই সাংবাদিকদের জন্য পৃথক নির্দেশিকা ও গাইডলাইন প্রকাশ করবে, যাতে তারা নির্বাচন কাভার করতে পারেন কোনো প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই।
বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি — দেশে-বিদেশে উদ্বেগ, পরিবারের আহ্বান দোয়ার বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আবারও নাজুক হয়ে পড়েছে বলে দলীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। চিকিৎসকদের সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে থাকা এই বর্ষীয়ান নেত্রীর স্বাস্থ্যের হঠাৎ পরিবর্তন দেশে-বিদেশে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। জাতীয় রাজনীতির অন্যতম প্রভাবশালী এই ব্যক্তিত্বের শারীরিক অবস্থার অবনতি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে সাধারণ জনগণ—সকলের মাঝে উৎকণ্ঠা বাড়ছে।খালেদা জিয়ার শারীরিক জটিলতাগুলো নতুন নয়, তবে সাম্প্রতিক সময়ে তা আরও তীব্র হয়েছে বলে জানা গেছে। চিকিৎসকরা তাঁকে বিশেষ পর্যবেক্ষণে রেখেছেন এবং প্রতিটি চিকিৎসা পদ্ধতি অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে সম্পন্ন করা হচ্ছে। পরিবারের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, কোনো ঝুঁকি না নিতে চিকিৎসক দল ২৪ ঘণ্টাই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রেখেছে।পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক অবস্থা তাঁদের মানসিকভাবে আরও বেশি উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। তারা বলছেন, “এখন প্রতিটি মুহূর্তই আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমরা চিকিৎসকদের সব নির্দেশনা কঠোরভাবে অনুসরণ করছি। দেশবাসীর দোয়াই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি।” বিএনপি নেতারা বলছেন, দলের প্রধান নেত্রীর শারীরিক অবস্থা নিয়ে তারা গভীরভাবে চিন্তিত। প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে পরিবার ও চিকিৎসকদের সঙ্গে। দলীয় নেতারা উল্লেখ করেন—“দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যিনি জীবনের প্রায় পুরোটা সময় ব্যয় করেছেন, সেই নেত্রীকে সুস্থ অবস্থায় দেখতে পুরো জাতি অপেক্ষা করছে।”বিএনপি মহাসচিব ও অন্য শীর্ষ নেতারা দেশবাসীর কাছে তাঁর দ্রুত সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন। তারা বলেন, “জাতির প্রিয় নেত্রীর সুস্থতা এখন জাতীয় প্রত্যাশা। আমরা আল্লাহর রহমত কামনা করছি।”ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা, রাজশাহীসহ নানা অঞ্চলে খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনায় দোয়া মাহফিল আয়োজন করা হচ্ছে। মসজিদ, মন্দির, গির্জা, উপাসনালয়—সব জায়গায়ই তাঁর সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করছেন সাধারণ মানুষ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও চলছে শুভকামনা ও সমর্থনের বার্তা।রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবনতির খবর শুধু তাঁর দলের ভেতরেই নয়, জাতীয় রাজনীতিতেও বাড়তি আলোচনার জন্ম দিয়েছে। আসন্ন রাজনৈতিক পরিস্থিতি, দলের সিদ্ধান্ত এবং ভবিষ্যৎ কর্মসূচির ওপর এ ঘটনা প্রভাব ফেলতে পারে বলে তাঁরা মনে করেন।বহু দশকের রাজনৈতিক জীবনে নানা কঠিন সময় অতিক্রম করা খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য এখন রাজনীতি, পরিবার এবং জনগণের মাঝে সবচেয়ে আলোচিত বিষয়। দেশবাসী তাঁর দ্রুত সুস্থতা কামনায় একত্রিত হয়েছে।
সাজিদ পিয়াল: টাঙ্গাইলে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল । বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় টাঙ্গাইলে এক বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বাদ জুম্মা টাঙ্গাইল কবরস্থান সংলগ্ন জামিয়া ইসলামিয়া দারুস-সুন্নাহ মাদ্রাসা মসজিদে এ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এতে স্থানীয় মুসল্লী, বিএনপি নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ অংশ নেন। দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। মিলাদ ও দোয়ার পর তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন,আমাদের প্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। আল্লাহ যেন তাঁকে রোগমুক্ত করেন এবং সুস্বাস্থ্যে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দেন—এই দোয়া করি।” খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক ভূমিকার প্রসঙ্গ টেনে টুকু আরও বলেন,“দেশের মানুষের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। অথচ গত সরকারের আমলে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা তাকে অন্যায়ভাবে কারাবন্দী রেখে নির্যাতন করেছে। ছয় বছর তিনি জেলে ছিলেন—এটি দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক কালো অধ্যায়।”তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তার দ্রুত আরোগ্য কামনায় দলমত নির্বিশেষে দেশবাসীর প্রতি দোয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।” দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন— জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক শানু, সদর থানা বিএনপির সভাপতি আজগর আলী, সাবেক কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা সৈয়দ শহিদুল আলম টিটু, বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ের বিএনপি ও অঙ্গ–সংগঠনের নেতাকর্মী, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও সাধারণ মুসল্লীরা। মাহফিল শেষে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।শুক্রবার বাদ জুম্মা নগরীর টাঙ্গাইল কবরস্থান জামিয়া ইসলামিয়া দারুস-সুন্নাহ মাদ্রাসা মসজিদে বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। তিনি বলেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যেন আমাদের প্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে দ্রুত সুস্থ করে দেন এ কামনা করি। টুকু আরও বলেন, বিগত আমলে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা অন্যায়ভাবে তাকে ৬ বছর জেলে রেখে নির্যাতন করেছে, যিনি দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রাম করে এই দেশের মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। আজ সেই নেত্রী অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তার সুস্থতার জন্য সকলের কাছে দোয়া চাই।
সাজিদ পিয়াল: ভূমিকম্পের উচ্চ ঝুঁকিতে টাঙ্গাইলের মধুপুরের মধুপুর ফল্ট। স্থানীয়দের সচেতনতার দাবি ,রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে গত এক সপ্তাহে দফায় দফায় ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ায় টাঙ্গাইলের মধুপুরের ভূতাত্ত্বিক ফাটল— মধুপুর ফল্ট— নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এই সক্রিয় ফল্ট যেকোনো সময় বড় ধরনের ভূমিকম্পের কারণ হতে পারে। তাই সরকারের পক্ষ থেকে আরও সচেতনতা ও প্রস্তুতি বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন তারা।বাংলাদেশে তিনটি প্রধান ভূমিকম্পন বলয় রয়েছে, যার একটি হলো মধুপুর ফল্ট। এই ফল্টের ভূতাত্ত্বিক অবস্থান টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, গাজীপুর এবং রাজধানী ঢাকাকে উচ্চ ঝুঁকিতে রেখেছে বলে সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, এখানে ৭ থেকে ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার মতো শক্তিশালী ফাটল বিদ্যমান।ঢাকা থেকে মধুপুর ফল্টের দূরত্ব মাত্র ১০০ কিলোমিটার হওয়ায় বিশেষ আলোচনায় জায়গা করে নিয়েছে এই ফল্টটি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তীব্র ভূমিকম্প হলে রাজধানীসহ আশপাশের ব্যাপক অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরেও টাঙ্গাইলের মধুপুরে ৪.২ মাত্রার ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়। ওই সময় মধুপুর উপজেলার গড় এলাকার বোকারবাইদ গ্রামে প্রায় আধা মাইল দীর্ঘ, তিন থেকে চার ইঞ্চি ব্যাসের ও ১৫–২০ ফুট গভীর ফাটল সৃষ্টি হয়েছিল, যা স্থানীয়দের আতঙ্কিত করে তোলে। ক্যাব মধুপুর শাখার সভাপতি শহিদুল ইসলাম শহীদ বলেন,“গত সপ্তাহে দেশে বেশ কয়েকবার ভূমিকম্প হওয়ার পর আবারও মধুপুর ফল্ট নিয়ে শঙ্কা বেড়েছে। এই ফল্টে ৬ থেকে সাড়ে ৬ মাত্রার ভূমিকম্প হলে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ–গাজীপুর ও ঢাকা প্রায় ১ কোটি মানুষের মৃত্যু আশঙ্কাজনক।”টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মো. জানে আলম বলেন,“টাঙ্গাইলের উত্তর অংশ ভূমিকম্পের জন্য রেড জোনে। আমাদের প্রস্তুতি জোরদার করা হয়েছে। চারটি স্টেশনে বাড়তি সরঞ্জাম রয়েছে এবং কমিউনিটি ভলান্টিয়ার দল শক্তিশালী করা হচ্ছে।মধুপুর ফল্টের ভূমিকম্পের জন্য শুধু রাজধানী ঢাকা নয়, মধুপুর গড়াঞ্চলের টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ এবং গাজীপুরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হবে। মধুপুর ফল্ট একটি সক্রিয় ফল্ট, যা যে কোনো সময় ভূমিকম্পের কারণ হতে পারে। ঢাকা থেকে মাত্র ১০০ কিলোমিটার দূরে মধুপুর অঞ্চলে ৭ থেকে ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার মতো ভূতাত্ত্বিক ফাটল রেখা রয়েছে। এর ফলে ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, ঢাকাসহ আশপাশের অনেক জেলা ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে।মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মীর মো. মোজাম্মেল হক বলেন,“মধুপুর ফল্ট বাংলাদেশের তিনটি প্রধান ফল্টের অন্যতম। এটি সক্রিয় এবং যেকোনো সময়ে বড় ধরনের ভূমিকম্প হতে পারে। ৬ থেকে সাড়ে ৬ মাত্রার ভূমিকম্প হলে বিস্তীর্ণ এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হতে পারে।”মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুবায়ের হোসেন বলেন,“মধুপুর ফল্টের সক্রিয়তায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। ইতোমধ্যে দুর্যোগ প্রশমন দিবসে ভূমিকম্প-পরবর্তী করণীয় নিয়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম করা হয়েছে। শিগগিরই স্থানীয়ভাবে মহড়া আয়োজন করা হবে।”প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি কমাতে বিশেষজ্ঞরা ভবন নির্মাণ নীতিমালা মেনে চলা, জরুরি উদ্ধার সরঞ্জাম বৃদ্ধি এবং জনগণের মধ্যে ভূমিকম্প-সচেতনতা বিস্তারের ওপর জোর দিয়েছেন।
ইউক্রেন–রাশিয়া যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় বিশ্ববাজারে কমেছে তেলের দাম। বিশ্লেষকদের মতে, যুদ্ধবিরতি হলে রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা শিথিল হতে পারে। ফলে বাজারে সরবরাহ বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ৩৩ সেন্ট কমে ৬২.৮ ডলার, আর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ৩২ সেন্ট কমে ৫৮.৩৩ ডলার হয়েছে। মার্কিন থ্যাংকসগিভিং ছুটির কারণে লেনদেন তুলনামূলক ধীর ছিলো। বুধবার তেলের দাম ১ শতাংশ বেড়েছিলো। তবে বাজার এখনো অনিশ্চিত। একদিকে যুদ্ধবিরতির আলোচনা, অন্যদিকে অতিরিক্ত সরবরাহের শঙ্কা রয়েছে। এদিকে মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফ আগামী সপ্তাহে রাশিয়া সফর করবেন সম্ভাব্য শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করতে। তবে রাশিয়ার এক শীর্ষ কূটনীতিক বলেছেন, মস্কো বড় ধরনের কোনো ছাড় দেবে না। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, যুদ্ধবিরতি হলে ওয়ার প্রিমিয়াম কমে যাবে, অর্থাৎ তেলের দাম আরও নেমে যেতে পারে। শান্তি হলে রাশিয়ার তেল সহজে বাজারে আসবে, যা ইতোমধ্যেই সরবরাহ বহুল বাজারে আরও চাপ বাড়াবে। এ কারণে তেলের দাম মাঝারি মেয়াদে নিচের দিকে ঝুঁকে রয়েছে। বাংলাভিশনের গুগল নিউজ ফলো করতে ক্লিক করুন এদিকে ডিসেম্বর মাসে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার কমাতে পারে। সুদের হার কমলে অর্থনীতি চাঙা হয় এবং তেলের চাহিদা বাড়ে।
আসন্ন ২০২৬ জাতীয়সংসদ নির্বাচনে-এ বাংলাদেশে একটি নির্বাচনী ঝড় বয়ে যাচ্ছে বলা যায়, কারণ ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক অঙ্গন বেশ সরগরম এবং নির্বাচন কমিশন (ইসি) নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে, এই নির্বাচনটি মূলত ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি বা এপ্রিলে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। নির্বাচনী পরিস্থিতি ও প্রস্তুতি অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ঘোষণা করেছেন যে, পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন ২০২৫ সালের শেষের দিকে বা ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হতে পারে। সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, নির্বাচন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের জন্য পুরোদমে প্রস্তুতি নিচ্ছে। তারা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সাথে নিরাপত্তা পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করছে এবং একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করতে পূর্ণ সহযোগিতা চেয়েছে। রাজনৈতিক অস্থিরতা: নির্বাচনের সময়সূচি নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলো যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে। এই রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে নির্বাচনী প্রচারণার শুরুতে কিছু সহিংসতার ঘটনাও ঘটেছে। সংস্কারের বিষয়: অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা হস্তান্তরের আগে প্রয়োজনীয় নির্বাচনী ও রাষ্ট্রীয় সংস্কার বাস্তবায়নের উপর জোর দিয়েছে। এই সংস্কারগুলো বাস্তবায়নে বিলম্ব হলে নির্বাচনও কয়েক মাস পিছিয়ে যেতে পারে। নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০২৫-এর খসড়া অনুমোদন করেছে এবং জাতীয় সংসদের নির্বাচনি এলাকার সীমানার পুনর্নির্ধারণের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেছে। সংক্ষেপে, যদিও নির্বাচনের তারিখ এখনও চূড়ান্তভাবে ঘোষিত হয়নি (ফেব্রুয়ারি ২০২৬-এর লক্ষ্যমাত্রা), নভেম্বর ২০২৫-এ দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অত্যন্ত উত্তপ্ত এবং নির্বাচনী আমেজ বিরাজ করছে।
ঢাকার করাইল বস্তিতে ভয়াবহ আগুন: অগ্নিকাণ্ডে শতাধিক ঘর পুড়ে ছাই, বহু হতাহত (২৫ নভেম্বর ২০২৫) সকালে রাজধানীর করাইল বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় বস্তির শতাধিক ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে এবং বহু মানুষ দগ্ধ হয়েছেন। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আগুনের তীব্রতা এতই বেশি যে অনেক মানুষ নিজের ঘর ও মূল্যবান জিনিসপত্র উদ্ধার করতে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। জরুরি প্রয়োজনে অথবা নিখোঁজ ব্যক্তির খোঁজ জানতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের হটলাইন নম্বর ব্যবহার করতে পারেন।স্থানীয় থানা বা ওয়ার্ড কমিশনারের অফিসের সাথে যোগাযোগ করে ত্রাণ কার্যক্রম বা নিখোঁজ ব্যক্তিদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন।দগ্ধ বা আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য নিকটস্থ হাসপাতাল যেমন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট (Sheikh Hasina National Burn and Plastic Surgery Institute) বা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খোঁজ নিতে পারেন। যেভাবে সাহায্য করতে ।স্থানীয় প্রশাসন বা রেড ক্রিসেন্টের মতো স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাথে যোগাযোগ করে ত্রাণ বিতরণে বা তথ্য সংগ্রহে সাহায্য করতে পারেন। দান: স্থানীয় দাতব্য সংস্থাগুলো সাধারণত এমন জরুরি পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য খাদ্য, বস্ত্র ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী সংগ্রহ করে। নির্ভরযোগ্য সংস্থার মাধ্যমে দান করতে পারেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট বা গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ হতে পারে আগুনের কারণ। দুর্ঘটনায় হতাহতের সঠিক সংখ্যা এখনও নিশ্চিত করা যায়নি।স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত ত্রাণ বিতরণ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ব্যাপক প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য জরুরি ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”
বাংলাদেশের বৃহৎ এনজিও সংস্থা "আশা"এর উদ্যোগে হয়ে গেল ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন যেখানে ফ্রিতে চিকিৎসা দেওয়া হয় এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবী এবং কর্মজীবী মানুষের মধ্যে। ২৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার সোনামুই গ্রামে সকাল থেকে এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন করা হয় আশায় এনজিও হেমনগর শাখার উদ্যোগে এটি বাস্তবায়িত করা হয়। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যকর্মী এবং মেডিকেল অফিসারসহ অন্যান্য সেবিকারা। আশা এনজিও কর্তৃক ক্যাম্পেইনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন "আশা" হেমনগর ব্রাঞ্চের পক্ষথেকে আশা এনজিওর এই ক্যাম্পেইনে গ্রামের সকল পেশাজীবীর মানুষেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্যাম্পেইনটিতে অংশগ্রহণ করেন এবং তারই মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সঠিক ভাবে নিরূপণ করতে সহযোগিতা করেন। আশা এনজিওর মাধ্যমে ক্যাম্পেইন করে মানুষের জন্য সময় উপযোগী এবং প্রয়োজনীয় একটি বিষয় হয়ে দাঁড়াবে যেটি গ্রামের মানুষের মধ্যে সচেতনতা এবং স্বাস্থ্য সঠিকভাবে পর্যালোচনা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই উদ্যোগে এলাকাবাসী অত্যন্ত প্রাণবন্ত ভাবে উৎফুল্ল প্রকাশ করেছে। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিকবৃন্দ এবং সাধারণ মানুষ। এবং তাদের ক্যাম্পেইন ডাক্তার সঠিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেছে। আশা এনজিও আগামী দিনগুলোর জন্য এইরকম ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ধাপ হিসাবে গণ্য হবে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদল সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লা পাড়া ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে সদর উপজেলার স্থানীয় বেতগঞ্জ বাজাএই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আবুল কাশেম দুলু সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এডভোকেট দীপংঙ্কর বনিক সুজিতের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক মনাজ্জির হোসেন। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সুহেল মিয়া, শাহজাহান মিয়া, এডভোকেট আব্দুল আহাদ জুয়েল, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মুজাব্বির হোসেন অপু, ইমরান হোসেন শ্যামল, বিপ্লব খান, মো:শামিম আহমদ, সেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক সাদিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতাউর চৌধুরী শাহীন প্রমুখ। এ ছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার আলম, লিয়াকত আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতহাব চৌধুরী হাসান, শাখাওয়াত হোসেন পলাশ, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইমন আহমেদ, ফয়সাল আহমেদ, মিছবাহ হোসেন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মহিম উদ্দিন, জেলা যুবদলের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মঈনুদ্দিন আহমেদ রিপন,সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আব্দুল কাইয়ুম সৌরভ, বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম, ময়না মিয়া,স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রুজেল আহমেদ, আবুল হাসনাত, জেলা ছাত্রদল নেতা ইয়াহিয়া হাসান প্রমুখ। এ সময় সদর উপজেলা ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন,বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের দুঃসময়ে যারা রাজপথে নির্যাতিত ও নিপিিতড় হয়েছেন, তাদের যথাযথ মূল্যায়নের ভিত্তিতেই ভবিষ্যতের ইউনিয়ন কমিটি গঠন করতে হবে। আওয়ামী লীগ ঘেঁষা বা ফ্যাসিস্টদের সাথে সম্পৃক্ত কোনো ব্যক্তিকে কমিটিতে রাখা যাবে না বলেও তারা দাবি জানান। দুর্দিনে যারা আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন তাদেরকে কমিটিতে মুল্যায়ন করা হবে। তারা বলেন,সুনামগঞ্জে জাতীয়তাবাদি শক্তির প্রাণপূরুষ এবং বিগত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে জেল জুলুম,হুলিয়া মাথায় নিয়ে এই সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা কেবল জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বর্তূমান জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৪(সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুলের নেতৃত্বে আমরা রাজপথে ছিলাম এবং আগামী নির্বাচনে এই আসনে জনপ্রিয় ধানের শীষের প্রার্থী একমাত্র নুরুল ইসলাম নুরুলকে বিএনপির প্রার্থী করতে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া,ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিকট তৃণমূলের নেতৃবৃন্দরা জোর দাবী জানান।
তিনি ছিলেন মানবজাতির আদর্শ। তিনি অত্যন্ত উদার ও বিনয়ী ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক এবং একজন সাহসী যোদ্ধা। এছাড়াও তিনি একজন দক্ষ প্রশাসক, একজন দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক এবং একজন সফল প্রচারক ছিলেন। তিনিই উত্তম চরিত্র ও উদারতার একমাত্র উৎস। তিনি সকলের আদর্শহীন এবং প্রিয় ব্যক্তিত্ব। যার প্রেমে, দুনিয়া মাতাল। তিনি আমার আদর্শ, তিনি আমার নেতা। তিনি আমার নবী, আমাদের নবী এবং সকলের নবী। তিনি হলেন হযরত মুহাম্মদ (সা.) তিনি সর্বোত্তম আদর্শ। সমস্ত মানবজাতির জন্য করুণা। অন্ধকারে নিমজ্জিত বিশ্বের মানুষের জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে। তার অসাধারণ চরিত্র, মাধুর্য এবং অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব সবাইকে অবাক করেছে। মুমিনের চঞ্চল হৃদয় তাকে এক নজর দেখার জন্য আকুল হয়ে থাকে। কবি কাজী নজরুল বলেছেন: “বিচ্ছেদের রাত ছিল একাকার কান্নার ভোর; আমার মনে শান্তি নেই, আমি কাঁদছি। হে মদিনাবাসীর প্রেমিক, আমার হাত ধর।" তার নিষ্কলুষ চরিত্রের স্বীকৃতি দিয়ে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, "তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।" (সূরা আল-আহজাব, আয়াত 21)। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে আজ কিছু লোক সেই নবীর সম্মানকে অবমাননা করছে। হৃদয় ভেঙ্গে যায়। আমাদের ক্ষমা করুন, হে নবী! তিনি তার অবিস্মরণীয় ক্ষমা, উদারতা, সততা, নম্রতা প্রভৃতির বিরল মুগ্ধতা দিয়ে বর্বর আরব জাতির আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এজন্য তারা তাকে ‘আল-আমিন’ উপাধিতে ভূষিত করেন। তারা সর্বসম্মতিক্রমে স্বীকার করেছিল যে তিনি নম্র এবং গুণী ছিলেন। টাকা দিয়ে নয়, ভালো ব্যবহার দিয়ে তিনি বিশ্ববাসীকে জয় করেছেন। আল্লাহ তাঁর গুণাবলী সম্পর্কে কুরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই তুমি মহৎ চরিত্রের অধিকারী।’ (সূরা আল কালাম, আয়াত ৪)। তিনি কখনো মানুষকে তুচ্ছ করেননি। আত্মসম্মানবোধে তিনি কাউকে তুচ্ছ মনে করেননি। তিনি বিশ্বের হৃদয়ে উচ্চতর চরিত্রের একটি অনুপম মানদণ্ড স্থাপন করেছেন। নম্রতা তার চরিত্রে সর্বদা উপস্থিত ছিল। পৃথিবীর মানবতার কল্যাণে তাকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল শ্রেষ্ঠ আদর্শের বাস্তবায়নকারী ও প্রশিক্ষক হিসেবে। এ প্রসঙ্গে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমাকে আমার উত্তম চরিত্র পূর্ণ করার জন্য প্রেরিত করা হয়েছে।’ (মুসনাদে আহমদ, মিশকাত) ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন বিনয়ী এবং আচার-আচরণে অত্যন্ত বিনয়ী। দুর্বল ব্যক্তিকে কড়া কথায় আঘাত করবেন না। তিনি কোন মানুষকে তার সাধ্যের বাইরে অসাধ্য সাধন করতে বাধ্য করেননি। গরিব-অসহায় মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করতেন। তিনি লোকদেরকে তাদের আচরণে অপ্রয়োজনীয় রাগ ও রাগ থেকে সর্বদা বিরত থাকার উপদেশ দিতেন এবং মানুষকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন, “যে বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাকে উঁচু করে দেন এবং যে অহংকারী হয়, আল্লাহ তাকে লাঞ্ছিত করেন।” (মিশকাত) কাফেররাও তার কাছ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে সদয় ও নম্র আচরণ পেয়েছিল। তার অনুসারীরা তাকে উচ্চ সম্মানের সাথে ধরেছিল কারণ তিনি খুব নমনীয় এবং নম্র ছিলেন। হজরত আয়েশা (রা.) তার ভদ্র আচার-আচরণ সম্পর্কে বলেন, ‘নবী (সা.) রূঢ় বক্তা ছিলেন না, প্রয়োজনের সময়ও তিনি কঠোর ভাষা ব্যবহার করতেন না। প্রতিহিংসা তার সাথে ছিল না মোটেও। মন্দের বিনিময়ে ভালোই করেছেন। সব ক্ষেত্রেই তিনি ক্ষমা পছন্দ করতেন। তিনি লোকদেরকে উপদেশ দিয়েছিলেন, “আল্লাহর ইবাদত কর, করুণাময় প্রভু, ক্ষুধার্তকে খাবার দাও, সালাম দাও এবং এসব কাজের মাধ্যমে জান্নাতে প্রবেশ কর। তিনি উত্তর দিলেন, "ক্ষুধার্তকে খাওয়ানো এবং অপরিচিত সকলকে সালাম করা।" (বুখারী ও মুসলিম)। মহানবী (সা.)-এর মর্যাদাকে সম্মান করা মুসলমানদের ধর্মীয় কর্তব্য এবং প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানের মৌলিক অংশ।
মাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৩৩৪তম পর্বে নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে নিয়ামত কমে যাবে কি না, সে বিষয়ে ঢাকা থেকে চিঠির মাধ্যমে জানতে চেয়েছেন একজন দর্শক। অনুলিখন করেছেন জান্নাত আরা পাপিয়া। প্রশ্ন : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে? উত্তর : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা কুফরি। এটা বড় কুফরি না, ছোট কুফরি। যদি আল্লাহর বান্দারা আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করে থাকেন, তাহলে তাঁরা কুফরি কাজ করে থাকলেন। এ জন্য আল্লাহ কোরআনে স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘তোমরা আমার শুকরিয়া আদায় করো, আমার সঙ্গে কুফরি করো না।’ আল্লাহ যে নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন, আল্লাহর নিয়ামত লাভ করে সুন্দর জীবনযাপন করা, এটা যদি কেউ আল্লাহর কাছে সত্যিকার অর্থে তুলে ধরতে না পারে, তাহলে সে ব্যক্তি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া করলেন না, কুফরি করলেন। এই জন্য আল্লাহ সুরা দোহার শেষ আয়াতে বলেছেন, ‘তুমি তোমার রবের নিয়ামত প্রকাশ করো। কারণ, তোমার কাছে যখন নিয়ামত আসছে, তখন আল্লাহ পছন্দ করেন যে তুমি আল্লাহর এই নিয়ামতের বিষয়টি তুলে ধরবে।’ আল্লাহর কাছে বলবে, আল্লাহ আমাকে এই নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন। আল্লাহ নিয়ামতকে বান্দার কাছে তুলে ধরার জন্য বলেছেন, বহিঃপ্রকাশ করার জন্য বলেছেন। বহিঃপ্রকাশ দুই ধরনের হতে পারে। একটি হলো নিয়ামতের ব্যবহারের মাধ্যমে বহিঃপ্রকাশ করা। দ্বিতীয়ত, নিয়ামতের বিষয়টি হলো মানুষের কাছে নিয়ামত তুলে ধরবে। যাতে করে আল্লাহর প্রশংসা প্রকাশ পায়। নিয়ামতের শুকরিয়া যদি কেউ আদায় না করেন, তাহলে কুফরি হবে। আল্লাহ বলেছেন, যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করে থাক, তাহলে আমি আরো বৃদ্ধি করে দেব। বান্দারা যখন নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করবে, তখন আল্লাহ আরো নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করে দেন। আর যদি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা হয়, তাহলে আল্লাহ নিয়ামত কমিয়ে দেবেন এবং সেইসঙ্গে আরেকটি কঠিন বাণী আল্লাহ বলেছেন, ‘জেনে রাখো আল্লাহর কঠিন আজাবও তোমাদের জন্য অবধারিত থাকবে।’ নিয়ামতের শুকরিয়া শুধু মুখে আদায় করা যথেষ্ট নয়। কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর শুকরিয়া আমলের মাধ্যমে আদায় করো।’ সুতরাং বান্দারা শুকরিয়া আদায় করবে। শুকরিয়ার অনেকগুলো দিক রয়েছে, তার মধ্যে আমলের মাধ্যমে শুকরিয়া আদায় করা হলো শুকরিয়ার সর্বোচ্চ স্তর।