সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার পর তাকে বাংলাদেশে প্রত্যর্পণের বিষয়ে নতুন বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তবে আল-জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভারতের জিন্দাল গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক অধ্যাপক শ্রীরাধা দত্ত স্পষ্টভাবে বলেছেন, ভারত কোনো পরিস্থিতিতেই শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে না। দত্ত আল-জাজিরাকে বলেন, “কোনো অবস্থাতেই ভারত তাকে হস্তান্তর করবে না। গত দেড় বছরে ভারত–বাংলাদেশ সম্পর্ক মোটেও ভালো ছিল না, বেশ কয়েকবার টানাপড়েনও দেখা গেছে।” আল-জাজিরাকে দত্ত জানান, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কঠোর রায় আসা খুবই প্রত্যাশিত ছিল। তার ভাষায়, “দেশের পরিস্থিতি দেখে সবাইই অনুমান করেছিল তার বিরুদ্ধে কঠোর বিচার আসছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোও বলছে, ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম বাংলাদেশের আইনি কাঠামো অনুযায়ী হয়েছে।” দত্ত দাবি করেন, নিরস্ত্র ছাত্রদের বিরুদ্ধে সহিংসতা এবং গুলি করার নির্দেশ নিয়ে কারও সন্দেহ নেই। তিনি বলেন, “নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের ওপর অপরাধ হয়েছে—এ বিষয়ে কারও সন্দেহ নেই। এমনকি প্রধানমন্ত্রী সরাসরি গুলি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন—এ ধরনের প্রমাণও রয়েছে।” অধ্যাপক দত্তের মতে, আওয়ামী লীগ এখন পাল্টা বিবরণ তৈরির চেষ্টা করবে। তবে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের বড় অংশ বিশ্বাস করে, শেখ হাসিনা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন।” জুলাই–আগস্ট আন্দোলনের সময় সংঘটিত হত্যাকাণ্ড, উস্কানি, ষড়যন্ত্র ও নির্দেশ—এই অভিযোগগুলোকে ভিত্তি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছে বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে। রায়ের পর থেকেই ভারত তাকে বাংলাদেশে ফেরত দেবে কি না, সেই প্রশ্ন জোরালো হয়ে ওঠে। আল-জাজিরার সাক্ষাৎকারে শ্রীরাধা দত্তের মন্তব্যে সেই বিতর্কে আরও স্পষ্টতা আসে।
অনলাইনভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম আমার দেশ তাদের সাম্প্রতিক ভিডিও প্রতিবেদনে জানিয়েছে, জুলাই–আগস্টের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করা হয়েছে—এমন দাবি তারা উপস্থাপন করেছে। একই মামলায় পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে রাজসাক্ষী হিসেবে দেখানো হয়েছে বলে ভিডিওতে উল্লেখ করা হয়। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়। ভিডিওতে যেভাবে অভিযোগগুলো তুলে ধরা হয়েছে— ১) ১৪ জুলাইয়ের বক্তব্যকে উস্কানিমূলক উল্লেখ ভিডিও দাবি করে, আন্দোলনের সময় শেখ হাসিনা রাজাকার বংশধর বলে মন্তব্য করেন। এরপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকার-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় বহু হতাহতের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করা হয়। ২) হেলিকপ্টার, ড্রোন ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ প্রতিবেদন মতে, আন্দোলনকারীদের দমন করতে এসব অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। ৩) বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের মৃত্যু রংপুরে গুলিতে নিহত হওয়া শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার দায়ও মামলার অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছে। ৪) চাংখারপুলে ছয় আন্দোলনকারীকে গুলি করে হত্যা গত বছরের ৫ আগস্ট ঢাকায় ছয়জন আন্দোলনকারী গুলিতে নিহত হন—এ অভিযোগও মামলার অন্তর্ভুক্ত। ৫) মার্চ টু ঢাকা চলাকালে আশুলিয়ায় গুলি ও লাশ পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগ ভিডিওতে বলা হয়, আশুলিয়ায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের হত্যা করে লাশ পোড়ানোর ঘটনা মামলার বড় অংশ হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুলাই–আগস্টের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দায়ের হওয়া মামলাগুলোর মধ্যে এটি প্রথম যার বিচার কাজ শেষ হয়েছে বলে দাবি করা হয়। এর আগে আদালত অবমাননার আরেক মামলায় শেখ হাসিনাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল বলেও ভিডিওতে উল্লেখ আসে। ভিডিওটিতে আরও বলা হয়, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৫৮৩টি মামলা রয়েছে, যার মধ্যে হত্যা মামলা, দুদক মামলা, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা এবং গুমের মামলাও অন্তর্ভুক্ত বলে দাবি করা হয়। বেশ কয়েকটি মামলার তদন্ত চলছে এবং কিছু বিচারিক আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। উল্লেখ্য, এই সংবাদে বর্ণিত সব তথ্যই আমার দেশ ভিডিও রিপোর্টে উপস্থাপিত দাবি—স্বাধীনভাবে এসব তথ্যের সত্যতা যাচাই করা যায়নি।
মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাসানীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন হচ্ছে নানা আয়োজনে আজ ১৭ নভেম্বর মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী। টাঙ্গাইলে মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে দিবসটি পালন করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আনোয়ারুল আজীম আখন্দের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আজ সকালে মওলানা ভাসানীর মাজারে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়।মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ সোমবার যথাযোগ্য মর্যাদা ও গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করেছে মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাবিপ্রবি)। দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসজুড়ে ছিল নানা কর্মসূচি, মিলাদ-মাহফিল, আলোচনাসভা ও তবারক বিতরণ। সূর্যোদয়ের পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে স্মরণসভা পরিবেশ তৈরি হয়। সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আনোয়ারুল আজীম আখন্দের নেতৃত্বে উপাচার্য, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার, সকল অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, প্রক্টরিয়াল টিম, শিক্ষক-কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা মাজার প্রাঙ্গণে উপস্থিত হয়ে মজলুম জননেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে উপাচার্য বলেন, “মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী ছিলেন উপমহাদেশের একজন কিংবদন্তি ব্যক্তিত্ব। তাঁর দৃঢ় নেতৃত্ব, কৃষক-মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম এবং দেশের প্রতি অগাধ ভালোবাসার ব্যাখ্যা প্রজন্মকে আজও অনুপ্রাণিত করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে আমরা তাঁর আদর্শকে ধারণ করার চেষ্টা করছি।” এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তারা ভাসানীর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, নেতৃত্বগুণ ও গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তাঁর আমৃত্যু ভূমিকা তুলে ধরেন। দিবসটি উপলক্ষে ভাসানী পরিবার, ন্যাপ ভাসানী, ভাসানী পরিষদসহ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনও পৃথকভাবে মাজারে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর সকাল ৮টায় উপস্থিত সকলের মাঝে তবারক বিতরণ করা হয়। এছাড়া আজ বাদ যোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে মাওলানা ভাসানীর রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে বিপুলসংখ্যক শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণের কথা রয়েছে। দিবসটিকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ে সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার করা হয় এবং ক্যাম্পাসজুড়ে ছিল গভীর শোক ও শ্রদ্ধার আবহ। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, প্রোভোস্ট, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক, প্রক্টর, রেজিস্ট্রার, অফিস প্রধান, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ভাসানী পরিবার, ন্যাপ ভাসানী, ভাসানী পরিষদ ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ভাসানীর মাজারে পৃথক পৃথকভাবে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর সকাল ৮ টায় তবারক বিতরণ করা হয়। আজ বাদ যোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহ্ফিল অনুষ্ঠিত হবে।
মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ১৭ নভেম্বর। ১৯৭৬ সালের এই দিনে ঢাকার পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁকে দাফন করা হয় টাঙ্গাইলের সন্তোষে। মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সন্তোষে তাঁর মাজার প্রাঙ্গণে পরিবার, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ভক্ত, রাজনীতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিকসহ বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করবে। এ ছাড়া মাজার প্রাঙ্গণে সাত দিনব্যাপী মেলা চলছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গতকাল রবিবার ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে বলেছেন, ‘ভাসানী সব সময় আমাদের প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন।’ আবদুল হামিদ খান ভাসানী অধিকারবঞ্চিত, অবহেলিত ও মেহনতি মানুষের অধিকার ও স্বার্থরক্ষায় আজীবন নিরবচ্ছিন্নভাবে সংগ্রাম করে গেছেন। জাতীয় সংকটে জনগণের পাশে থেকে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতেন। তিনি ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিতেন। ক্ষমতার কাছে থাকলেও তাঁকে কখনো ক্ষমতার মোহ আবিষ্ট করেনি। ব্যক্তিজীবনে তিনি ছিলেন নির্মোহ, অনাড়ম্বর ও অত্যন্ত সাদাসিধা। তাঁর সাধারণ জীবনযাপন দেশ ও জনগণের প্রতি গভীর ভালোবাসার প্রতিফলন। শোষণ ও বঞ্চনাহীন, প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গঠনের জন্য ভাসানী আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। বাঙালি জাতিসত্তা বিকাশে তিনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। আবদুল হামিদ খানের জন্ম ১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জ জেলার সয়াধানগড়া গ্রামে। তিনি ছিলেন হাজী শরাফত আলী ও মজিরন বিবির ছোট সন্তান। তাঁকে ছোটবেলায় ‘চেগা মিয়া’ নামে ডাকা হত।তিনি জীবনের বড় অংশই কাটিয়েছেন টাঙ্গাইলের সন্তোষে। তিনি তাঁর কৈশোর থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। মওলানা ভাসানী আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। তিনি লাইন প্রথা উচ্ছেদ, জমিদারদের নির্যাতনবিরোধী আন্দোলন করেছেন। তাঁর উদ্যোগে ১৯৫৭ সালে কাগমারীতে ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলন বাংলাদেশের রাজনীতিতে মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় তিনি সর্বদলীয় ওয়ার কাউন্সিলের উপদেষ্টা ছিলেন। স্বাধীনতার পর তাঁর সর্বশেষ কীর্তি ছিল ফারাক্কা লং মার্চ। মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সকালে তাঁর মাজারে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও ব্যক্তি পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। তাঁর ভক্ত-অনুসারী ও মুরিদানরা সন্তোষে এসেছেন। সন্তোষ তাঁর মাজার প্রাঙ্গণে মওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সাত দিনব্যাপী ‘ভাসানী মেলা’ চলছে।
মজলুম জননেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘প্রতিবাদের ভাষায় নৈতিকতা: মাওলানা ভাসানী ও সমসাময়িক বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১৬ নভেম্বর ২০২৫) সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২তলা একাডেমিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত আলোকচিত্রশিল্পী ও লেখক, ‘ফটোজিয়াম’–এর প্রতিষ্ঠাতা নাসির আলী মামুন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ারুল আজীম আখন্দ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মাওলানা ভাসানী গবেষক সৈয়দ ইরফানুল বারীর পক্ষ থেকে তাঁর কন্যা সৈয়দা উসতুআনা হান্নানা। স্বাগত বক্তব্য দেন সেমিনার ও উপকমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোঃ ফজলুল করিম। সেমিনারে আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন লাইফ সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোঃ আবু জুবাইর এবং সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোঃ নাজমুস সাদেকীন। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন।
২০২৪ সালের উত্তাল জুলাই—সেই সময়কার ছাত্র আন্দোলনে দেশজুড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে বহু মানুষের মৃত্যু ও পঙ্গুত্বের ঘটনার বিচার এখন শেষ প্রান্তে। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা মামলার প্রথম রায়ের কাউন্টডাউন চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। প্রায় ৪০০ দিনের টানা শুনানি, সাক্ষ্য, প্রমাণ উপস্থাপন আর আইনি প্রক্রিয়া শেষে আগামীকাল দেওয়া হবে রায়। মামলার কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। ইন্টারপোল জানিয়েছে, দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের বিরুদ্ধে নতুন করে কনভিকশন ওয়ারেন্ট ও রেড নোটিসের আবেদন পাঠানো হবে। পাঁচটি অভিযোগের সারসংক্ষেপ ১. উসকানিমূলক মন্তব্য ও রাষ্ট্রীয় দমন অভিযান ১৪ জুলাই গণভবনে শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্যের পর আন্দোলন আরও বিস্তৃত হয়। অভিযোগে বলা হয়েছে, সেই বক্তব্যের পর উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা দেশজুড়ে আন্দোলনকারীদের ওপর দমন-পীড়ন চালায়। ২. হেলিকপ্টার ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করা হয়েছে, আন্দোলন দমনে হেলিকপ্টার, ড্রোন এবং প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা। সেই নির্দেশ বাস্তবায়নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও তৎকালীন আইজিপি বিশেষ নির্দেশনা দেন। তদন্ত সংস্থা হেলিকপ্টার থেকে র্যাবের গুলিবর্ষণের প্রমাণ আদালতে জমা দিয়েছে। ৩. রংপুরে শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ড ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যার ঘটনাটিও এই মামলার অংশ। অভিযোগে বলা হয়েছে, এটি ছিল সরকারের দমননীতির ধারাবাহিকতা। ঘটনার পর এটিকে ভিন্ন খাতে নিতে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধেই মামলা দেওয়া হয়। ৪. পুরান ঢাকার চাঁখারপুলে ছয়জনকে গুলি করে হত্যা ৫ আগস্ট চাঁখারপুল এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে ছয়জন নিহত হয়। ট্রাইব্যুনালের নথিতে বলা হয়েছে, এটি ছিল সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে পরিচালিত এক অভিযান। ৫. আশুলিয়ায় ছয়জনকে হত্যা ও লাশ পুড়িয়ে ফেলা সবচেয়ে নৃশংস অভিযোগ—আশুলিয়ায় ছয়জনকে গুলি করে হত্যা, পাঁচজনের লাশ পুড়িয়ে ফেলা এবং আহত একজনকে জীবিত অবস্থায় আগুনে নিক্ষেপের ঘটনা। আদালতে এই ঘটনাকে জুলাইয়ের সহিংসতার সবচেয়ে ভয়াবহ উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। মামলায় মোট ৫৪ জন সাক্ষী জবানবন্দি দিয়েছেন। উপস্থাপন করা হয়েছে অডিও-ভিডিও ফুটেজ, গণমাধ্যমের প্রতিবেদন, জব্দ করা গুলি ও ফরেনসিক রিপোর্ট। রায়ের অপেক্ষায় এখন পুরো দেশ—কী সিদ্ধান্ত আসে, সেটিই নির্ধারণ করবে মামলার পরবর্তী গতি।
দশম গ্রেডে বেতনসহ ৩ দফার আন্দোলনে রাজধানীতে অসুস্থ হয়ে পড়া শিক্ষক ফাতেমা আক্তার মারা গেছেন। আজ রবিবার (১৬ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। শিক্ষক নেতাদের অভিযোগ, ৮ নভেম্বর রাজধানীতে শিক্ষকদের পদযাত্রায় পুলিশের ছোড়া সাউন্ড গ্রেনেডে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির পর আজ শিক্ষক ফাতেমা আক্তারের মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির (শাহিন-লিপি) সাধারণ সম্পাদক খায়রুন নাহার লিপি গণমাধ্যমকে জানান, ৮ নভেম্বর আন্দোলনস্থলে সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপের পর তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর কয়েক দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ মারা যান। ফাতেমা আক্তার চাঁদপুরের মতলব উত্তরের ৫ নম্বর ঝিনাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা এবং একই এলাকার বাসিন্দা ডি এম সোলেমানের স্ত্রী। ফাতেমা আক্তারের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন শিক্ষক সংগঠনের নেতারা। প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক ও প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাছুদ ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘দশম গ্রেড আন্দোলনের এক সাহসী যোদ্ধাকে হারালাম। মতলব উত্তরের গর্ব ফাতেমা আক্তার আমাদের ছেড়ে গেলেন।’
শিশু-কিশোর প্রতিভা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা ‘নতুন কুঁড়ি’র সংগীত বিভাগের ক গ্রুপে দেশসেরা হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে টাঙ্গাইলের প্রেয়সী চক্রবর্তী। মাত্র আট বছর বয়সেই সংগীতে জাতীয় সেরা হওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করে পুরো টাঙ্গাইলকে গর্বিত করেছে সে। গত বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের শাপলা মিলনায়তনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছ থেকে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি ও ৩ লাখ টাকার পুরস্কার গ্রহণ করে প্রেয়সী। আকুর টাকুর পাড়া এলাকার সঞ্জয় চক্রবর্তী বাবুল ও রাখী চক্রবর্তী দম্পতির কনিষ্ঠ মেয়ে প্রেয়সী বর্তমানে শাহীন ক্যাডেট স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। সংগীতশিল্পে প্রেয়সীর এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে একটি সম্পূর্ণ সংগীত পরিবার। তার বড় বোন শ্রেয়সী চক্রবর্তী পাঁচবার জাতীয় সংগীত পুরস্কার জয় করে বর্তমানে আইসিসিআর স্কলারশিপে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্ল্যাসিক্যাল মিউজিক নিয়ে পড়াশোনা করছে। বাবা সঞ্জয় চক্রবর্তী বাবুল নিয়মিত বিভিন্ন চ্যানেলে সংগীত পরিবেশন করেন এবং মা রাখী চক্রবর্তীও একজন দক্ষ সংগীতশিল্পী। প্রেয়সীর অর্জনে টাঙ্গাইলের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে আনন্দের জোয়ার বইছে। কন্যাদের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত বাবা সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, “আমার মেয়েরা একদিন সংগীতের মাধ্যমে সবার মন জয় করে কালজয়ী শিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে—এটাই আমার স্বপ্ন।”
উচ্চ আদালতের জামিনে মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকী রোববার (১৬ নভেম্বর) ঢাকার শাহবাগ থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজিরা দিয়েছেন। ৮৬ বছর বয়সী লতিফ সিদ্দিকী এদিন ছোটভাই কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আব্দুল কাদের সিদ্দিকীকে সঙ্গে নিয়ে আদালতে হাজির হন। তার আইনজীবী রেজাউল করিম হিরণ আদালতে আবেদন করে বলেন, ‘বয়স ও স্বাস্থ্যগত কারণে হাজিরা আইনজীবীর মাধ্যমে দেওয়ার অনুমতি প্রার্থনা করছি।’ আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন। ফলে লতিফ সিদ্দিকীকে আর সশরীরে হাজিরা দিতে হবে না। হাজিরা শেষে ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে তারা আদালত প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন। মামলাটি ২৮ আগস্ট ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে মুক্তিযুদ্ধ ও সংবিধান বিষয়ক এক আলোচনা সভায় ‘মব’ হামলার ঘটনায় দায়ের হয়। ওই দিন লতিফ সিদ্দিকী, সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম পান্নাসহ ১৬ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়। পরদিন শাহবাগ থানায় তাদের বিরুদ্ধে ‘দেশকে অস্থিতিশীল করা ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়। প্রসঙ্গত, ৬ নভেম্বর হাই কোর্ট লতিফ সিদ্দিকী ও মঞ্জুরুল পান্নাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেয়। এরপর জামিনের নথি পৌঁছানোর পর ১২ নভেম্বর কেরাণীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান। মামলায় আরও গ্রেপ্তার হয়েছেন সাবেক সচিব ভূঁইয়া সফিকুল ইসলাম ও আবু আলম শহীদ খান। অন্যান্য অভিযুক্তরা হলেন মো. আব্দুল্লাহ আল আমিন, শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন, মঞ্জুরুল আলম, কাজী এ টি এম আনিসুর রহমান বুলবুল, গোলাম মোস্তফা, মো. মহিউল ইসলাম, মো. জাকির হোসেন, মো. তৌছিফুল বারী খান, মো. আমির হোসেন সুমন, মো. আল আমিন, মো. নাজমুল আহসান, সৈয়দ শাহেদ হাসান, মো. শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, দেওয়ান মোহম্মদ আলী ও মো. আব্দুল্লাহীল কাইয়ুম।
নতুন লৌহবর্ণের ইউনিফর্মে মাঠে দেখা গেল বাংলাদেশ পুলিশের মহানগর ও বিশেষায়িত ইউনিটের সদস্যদের। শনিবার সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে দায়িত্ব পালনরত পুলিশ সদস্যরা এই নতুন পোশাকে নজর কেড়েছেন। সাধারণ মানুষের চোখে পড়েছে নতুন পোশাকের দৃশ্যমান পরিবর্তন, যা মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। কেউ ইউনিফর্মের প্রশংসা করছেন আধুনিক, দৃঢ় ও শক্তিময় বলে, আবার অনেকে সমালোচনা করেছেন। কারো মতে রংটি অতিরিক্ত গাঢ়, কারো মতে আগের পোশাকে ছিল আলাদা মাধুর্য। ডিএমপি মিডিয়া বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার মোঃ তালেবুর রহমান জানান, শনিবার থেকে ডিএমপির সদস্যরা নতুন পোশাক পড়ে দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন। এটি একদিনের সিদ্ধান্ত নয়; গত বছর জুলাইয়ের গণভবনের পর থেকে পুলিশের সংস্কারের দাবি ওঠে। জনগণের প্রত্যাশা ছিল অনিয়ম, দুর্নীতি ও কাঠামোগত অচলায়তনের পাশাপাশি বাহিনীর চেহারাতেও বড় পরিবর্তন আনা। এই পরিবর্তনের মাধ্যমে পুলিশ, র্যাব এবং আনসারের পোশাক নতুনভাবে আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে বদলানো হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, নতুন ইউনিফর্মের প্রতীকী অর্থ হলো শক্তি, দায়িত্ববোধ এবং দৃঢ়তা। তবে প্রশ্ন থেকে যায়, শুধু ইউনিফর্ম বদলালে কি আচরণেও আসবে প্রত্যাশিত পরিবর্তন? দেশজুড়ে নতুন এই ইউনিফর্ম নিয়ে আলোচনা এখনও তুঙ্গে।
রাজশাহীতে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার উদ্যোগে বিভাগীয় সমাবেশ উৎসবমুখর পরিবেশে সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকাল ১১টায় নগরীর এস.কে ফুড কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত এই সমাবেশে রাজশাহীর ৮ জেলা, মহানগর এবং বিভিন্ন উপজেলার কমিটির সদস্যরা অংশ নেন। দুপুর ২টা পর্যন্ত চলা এই সমাবেশে সাংবাদিকদের পেশাগত নিরাপত্তা, অধিকার, স্বাধীনতা, আধুনিক সাংবাদিকতার চ্যালেঞ্জ এবং বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হয়। সমাবেশ শেষে প্রধান অতিথি, প্রধান বক্তা ও বিশেষ অতিথিদের হাতে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। ৩৬ জুলাই আহত মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক সানোয়ার আরিফ, কালের কণ্ঠের আহত সাংবাদিক নাঈম হোসেন এবং সংবাদ চলমানের সাংবাদিক মতিউর রহমানকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়। পাশাপাশি রাজশাহীর ৮ জেলা, মহানগর এবং সকল উপজেলা কমিটির সদস্যদেরও সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়। সম্মাননা প্রদান করা হয় রাজশাহী বিভাগের সভাপতি মো. নুরে ইসলাম মিলন এবং সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আজম অপুকেও। বিভাগীয় দপ্তর সম্পাদক মো. সুরুজ আলী সম্মেলন সফল করার বিশেষ অবদানের জন্য বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত হন। প্রধান অতিথি জাতীয় সংবাদিক সংস্থার কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের মহাসচিব মো. আলমগীর গনি সবার হাতে সম্মাননা তুলে দেন। সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা রাজশাহী বিভাগের সভাপতি মো. নুরে ইসলাম মিলন এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আজম অপু। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নীতি নির্ধারণ পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ মনজুর হোসেন এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সহ-সভাপতি মো. আবুল বাশার মজুমদার। প্রধান অতিথি মো. আলমগীর গনি তার বক্তব্যে বলেন, সাংবাদিকরা সত্য, ন্যায় ও মানবতার পক্ষে দাঁড়ানো মানুষ। অথচ তাদের ওপর অব্যাহত হামলা, মামলা, হুমকি ও হয়রানি গণতন্ত্রের জন্য গভীর হুমকি। তিনি বলেন, “সত্য বলা কখনোই অপরাধ হতে পারে না, বরং সেই সত্য রক্ষা করা রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব।” তিনি সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও মর্যাদা রক্ষায় জাতীয়ভাবে সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান
ফরিদপুরের মধুখালীতে গ্রামীণ ব্যাংকের একটি শাখা কার্যালয়ের পেট্রোল ঢেলে অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের মাঝখানদি এলাকার রায়পুর শাখায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মধুখালী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। গ্রামীণ ব্যাংকের রায়পুর শাখার ব্যবস্থাপক নবিনা নুরুল পিয়া বলেন, শুক্রবার দিবাগত রাত ৩ টার মধ্যে দুর্বৃত্তরা ব্যাংকের দরজায় পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে ভিতরে কোন ক্ষতি হয়নি। দরজার সামনে কালো ধোঁয়া দেখা যায়। এ সময় দরজার সামনে পেট্রোলের খালি বোতল ও ন্যাকড়া পাওয়া যায়। এ ঘটনায় থানায় জিডি করা হয়েছে। মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম নুরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনার স্থল প্রদর্শন করেছে। কে বা কাহারা আগুন লাগিয়েছে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানেন
টাঙ্গাইল সহ উত্তরবঙ্গের মানুষ পেতে যাচ্ছে আইকনিক ও আধুনিক রেলস্টেশন। পুরোনো সব স্টেশনকে আধুনিকায়নের কাজ শুরু হচ্ছে শীঘ্রই। বর্তমানে জয়দেবপুর থেকে ঈশ্বরদী বাইপাস পর্যন্ত ডাবল লাইন প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। এই প্রকল্প শেষ হলে ঢাকাসহ উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থায় ঘটবে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন। ডাবল লাইন চালু হলে— ট্রেন চলাচলে আর থাকবে না ক্রসিংয়ের জন্য দীর্ঘ অপেক্ষা। ঘন্টার পর ঘন্টা স্টেশনে বসে থাকতে হবে না। সময় কমে আসবে, বাড়বে ট্রেনের গতি ও নিরাপত্তা। এই প্রকল্পের আওতায় টাঙ্গাইল জেলার স্টেশনগুলোসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনকে নতুন রূপে সাজানো হবে — আধুনিক টিকিট কাউন্টার, ওয়েটিং লাউঞ্জ, উন্নত শৌচাগার, ডিজিটাল সাইনবোর্ড ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে প্রতিটি স্টেশনে। জয়দেবপুর থেকে ঈশ্বরদী বাইপাস ডাবল লাইন প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত প্রধান স্টেশনসমূহ: > জয়দেবপুর – মির্জাপুর - টাঙ্গাইল– ইব্রাহীমাবাদ– উল্লাপাড়া – নাটোর – ঈশ্বরদী বাইপাস।
টাঙ্গাইলের গোপালপুর পৌর শহরের শমেসপুর ব্র্যাক কার্যালয়ে মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বেলা ১১টায় ব্র্যাক মাইক্রোফাইন্যান্সের উদ্যোগে ৩৫ জন নারী ও পুরুষ কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে উন্নত জাতের মৌসুমী সবজি বীজ বিতরণ করা হয়েছে। ব্র্যাকের পক্ষ থেকে কৃষকদের মাঝে সরিষা, মুলা, বাঁধাকপি, ফুলকপি, কাঁচামরিচ, সিম, লাউ ও টমেটোসহ মৌসুম উপযোগী বিভিন্ন সবজি বীজ প্রদান করা হয়। ব্র্যাক মাইক্রোফাইন্যান্সের কর্মকর্তারা জানান, এই উদ্যোগের মাধ্যমে কৃষকদের আয় বৃদ্ধি, পারিবারিক পুষ্টি উন্নয়ন ও স্থানীয় কৃষি অর্থনীতির শক্তিশালীকরণ লক্ষ্য করা হয়েছে। উন্নতমানের বীজ ব্যবহারে উৎপাদন বৃদ্ধি এবং বাজারজাতকরণ সহজ হবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন। ব্র্যাক মাইক্রোফাইন্যান্স দীর্ঘদিন ধরে দেশের প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষকদের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে। বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক মাইক্রোফাইন্যান্সের এলাকা ব্যবস্থাপক (দাবি) মো. বাদল ইসলাম, গোপালপুর শাখা ব্যবস্থাপক (দাবি) মো. নজরুল ইসলাম, শাখা ব্যবস্থাপক (বিসিইউপি) মো. আবুল হোসেন এবং এসএস লিড মো. গোলাম মোস্তফা
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের DFP মিডিয়া তালিকাভুক্ত, ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক প্রিন্ট পত্রিকা দৈনিক ঐশী বাংলা-এর গাজীপুর জেলা সিনিয়র রিপোর্টার মোহাম্মদ শামীম শাহরিয়ার-কে পদোন্নতি প্রদান করে পত্রিকাটির Special Correspondent (বিশেষ প্রতিনিধি) হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি নিষ্ঠা, সততা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে সাংবাদিকতা করে আসছেন। সাংবাদিকতার বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার সাফল্য ও অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ পত্রিকা কর্তৃপক্ষ তাকে এই মর্যাদাপূর্ণ পদে পদোন্নতি প্রদান করেছে। ঐশী বাংলা পরিবারের পক্ষ থেকে নবনিযুক্ত Special Correspondent মোঃ শামীম শাহরিয়ার-এর প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়েছে। আমরা তার ভবিষ্যৎ কর্মজীবনের আরও সাফল্য, সম্মান ও অগ্রগতির জন্য শুভ কামনা জানাই।
আমার দেশ প্রকাশ করেছে: বাংলাদেশের শিপিং খাতে ইসরায়েলের অঘোষিত বাণিজ্যিক উপস্থিতি প্রকাশিত হয়েছে। ট্রাইডেন্ট শিপিং লাইন লিমিটেডকে বাংলাদেশের প্রতিনিধি প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্যবহার করছে ইসরায়েলের শীর্ষ শিপিং সংস্থা জেড আইএম ইন্টিগ্রেটেড শিপিং সার্ভিসেস লিমিটেড। নথি অনুযায়ী, বাংলাদেশের জেড আইএম-এর সমস্ত আমদানি–রপ্তানি কার্যক্রম ট্রাইডেন্টের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। ট্রাইডেন্ট শিপিংয়ের নেতৃত্বে আছেন বাংলাদেশ কনটেইনার শিপিং অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক কোষাধ্যক্ষ এবং এফবিসিসিআই সদস্য ফারুবার আনোয়ার। প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা হিসেবে রয়েছেন: সিএফও: আবু জাফর পোর্ট ক্যাপ্টেন: আলী ইউসুফ কাস্টমার সার্ভিস ম্যানেজার: আসাদ খান জিএম সেলস: গৌতম চন্দ্র দাস সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার: দেলোয়ার হোসেন (৩০ সেপ্টেম্বর অবসরগ্রহণ) আইটি ম্যানেজার: উজ্জ্বল কুমার এইচআর ম্যানেজার: ওয়ারদা সাইয়েদা সূত্র জানায়, ২০২৪ সালের ইংরেজি নববর্ষে ট্রাইডেন্টের ঢাকা অফিসে জেড আইএম-এর নামের কেক কাটা হয়, যেখানে ইসরায়েলি পতাকার রং ও প্রতীক ব্যবহার করা হয়। এছাড়া, জেড আইএম-এর ওয়েবসাইটেও বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে ট্রাইডেন্টের নাম এবং কর্মকর্তাদের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। তদন্তে দেখা যায়, ২০২৪ সালের ১২ এপ্রিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত “March for Gaza” কর্মসূচির খবর ট্রাইডেন্ট অফিস থেকে সরাসরি জেড আইএম-এর হাইফা সদর দপ্তরে পাঠানো হয়। ওই ইমেইলে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং আন্তর্জাতিক সংবাদ মনিটরিং সম্পর্কেও তথ্য দেওয়া হয়। ইমেইলের মাধ্যমে জেড আইএম-এর আঞ্চলিক প্রতিনিধি দোতান সার–কে তথ্য পাঠানো হয়। এছাড়াও, ইউনাইটেড আরব আমিরাত প্রবাসী ক্যাপ্টেন বিবেক শর্মা (সারাফ শিপিং এজেন্সির জেনারেল ম্যানেজার) আলোচনায় যুক্ত ছিলেন। মেইলের কার্বন কপিতে ছিলেন আরিফ সিদ্দিকী, সাইফুল এবং আবু জাফর। সূত্র মতে, ট্রাইডেন্টের শীর্ষ কর্মকর্তারা নিয়মিতভাবে দোতান সার-এর সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। এই যোগাযোগ কেবল ব্যবসার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং তথ্য আদানপ্রদান, বিশেষ পণ্যবাহী রুট নির্ধারণ এবং কনটেইনার স্ক্যানিং সংক্রান্ত নির্দেশনাও অন্তর্ভুক্ত। জেড আইএম ১৯৪৫ সালে ইসরায়েলে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর সদর দপ্তর হাইফায়, যা সামরিক ও কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বহুবার উল্লেখ করেছেন, জেড আইএম শুধু বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান নয়, রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা ও কূটনৈতিক সংযোগেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের শিপিং ডেটা আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে অত্যন্ত সংবেদনশীল। কোন পণ্য কোন দেশে যাচ্ছে, কে রপ্তানি করছে এবং কে আমদানি করছে—এই তথ্য কূটনৈতিক ও নিরাপত্তা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের শিপিং খাতে এই অঘোষিত নেটওয়ার্কের উপস্থিতি নতুন বিতর্কের সৃষ্টি করেছে এবং আন্তর্জাতিক নজরও আকর্ষণ করছে।
ভয় আর আতঙ্কের দেশে আমাদের বেঁচে থাকা আজকের বাংলাদেশে বেঁচে থাকাটাই যেন এক ধরণের চ্যালেঞ্জ। চারপাশে অদ্ভুত এক আতঙ্ক— মনে হয়, যেকোনো সময় কিছু একটা ঘটে যেতে পারে। রাস্তায় বেরোলেই নিরাপত্তার অভাব, ঘরে বসেও শান্তি নেই। মানুষ যেন এক অনিশ্চয়তার দোলাচলে দিন কাটাচ্ছে। জীবনের কোনো গ্যারান্টি নেই— সকালে যে বেরিয়ে যায়, সে হয়তো আর ফিরে আসে না। অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে বিপদ, সত্য বললে শত্রু তৈরি হয়। এ যেন এমন এক সমাজ, যেখানে সততা দুর্বলতার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে, আর মিথ্যা আর ক্ষমতার দম্ভই নিত্যদিনের নিয়ম। ভয়, আতঙ্ক, অবিশ্বাস— এগুলো এখন মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে গেছে। কখনও কখনও মনে হয়, আমরা স্বাধীন দেশে থেকেও এক অদৃশ্য বন্দিশালায় আটকে আছি। বিচার চাইলে হুমকি আসে, অধিকার চাইলে মামলা হয়। দুর্নীতি, মিথ্যাচার, প্রতারণা যেন এখন সমাজের চালিকাশক্তি। মানুষের মানবতা হারিয়ে যাচ্ছে— নিজের নিরাপত্তার জন্য অন্যের কষ্টকেও অনেকে উপেক্ষা করছে। তবুও, আমি এখনো আশাবাদী। কারণ এই দেশের মাটিতে এখনো সত্যিকারের সৎ মানুষ আছে— যারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলতে ভয় পায় না, যারা এখনও আল্লাহর ভয়ে অন্যের ক্ষতি করতে চায় না। তাদের হাতেই একদিন পরিবর্তনের সূচনা হবে। আমরা চাই এমন একটি বাংলাদেশ, যেখানে মানুষ ভয় নয়, ভালোবাসা নিয়ে বাঁচবে। যেখানে ন্যায়বিচার থাকবে সবার জন্য সমান, যেখানে সত্য কথা বলাই সাহস নয়, স্বাভাবিক অধিকার হবে। আমরা চাই এমন এক দেশ, যেখানে জীবনের গ্যারান্টি হবে নিরাপত্তা নয়— হবে শান্তি, হবে বিশ্বাস।
বাংলাদেশের বৃহৎ এনজিও সংস্থা "আশা"এর উদ্যোগে হয়ে গেল ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন যেখানে ফ্রিতে চিকিৎসা দেওয়া হয় এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবী এবং কর্মজীবী মানুষের মধ্যে। ২৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার সোনামুই গ্রামে সকাল থেকে এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন করা হয় আশায় এনজিও হেমনগর শাখার উদ্যোগে এটি বাস্তবায়িত করা হয়। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যকর্মী এবং মেডিকেল অফিসারসহ অন্যান্য সেবিকারা। আশা এনজিও কর্তৃক ক্যাম্পেইনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন "আশা" হেমনগর ব্রাঞ্চের পক্ষথেকে আশা এনজিওর এই ক্যাম্পেইনে গ্রামের সকল পেশাজীবীর মানুষেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্যাম্পেইনটিতে অংশগ্রহণ করেন এবং তারই মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সঠিক ভাবে নিরূপণ করতে সহযোগিতা করেন। আশা এনজিওর মাধ্যমে ক্যাম্পেইন করে মানুষের জন্য সময় উপযোগী এবং প্রয়োজনীয় একটি বিষয় হয়ে দাঁড়াবে যেটি গ্রামের মানুষের মধ্যে সচেতনতা এবং স্বাস্থ্য সঠিকভাবে পর্যালোচনা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই উদ্যোগে এলাকাবাসী অত্যন্ত প্রাণবন্ত ভাবে উৎফুল্ল প্রকাশ করেছে। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিকবৃন্দ এবং সাধারণ মানুষ। এবং তাদের ক্যাম্পেইন ডাক্তার সঠিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেছে। আশা এনজিও আগামী দিনগুলোর জন্য এইরকম ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ধাপ হিসাবে গণ্য হবে।
মসজিদের ইমাম দম্পত্তিকে রাতভর নির্যাতন ও শ্লীলতাহানীর অভিযোগে গ্রেপ্তার ১ নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় মসজিদের ইমাম দম্পত্তিকে রাতভর নির্যাতন ও শ্লীলতাহানীর অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে। এ ঘটনায় এক অভিযুক্ত সৈয়দ মিস্ত্রীর ছেলে মো. রুবেলকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্যান্য অভিযুক্তরা হলেন- মো. জলিলে ছেলে মো. জহিরুল (২৭) ও আ. সাত্তার মেম্বারের ছেলে মো. পলাশ (২৬)। অভিযুক্ত সকলেই উপজেলার সুতিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। বুধবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে এ ঘটনায় মামলা দায়ের সত্যতা নিশ্চিত করেন দুর্গাপুর থানার ওসি মো. মাহামুদুল হাসান। তিনি বলেন, একজনকে গ্রেফতার করে ইতোমধ্যে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশি চেষ্টা অব্যাহত আছে। এরআগে গত ১ অক্টোবর দিনগত রাত ২টা থেকে পরের দিন ভোর সাড়ে ৬টার পর্যন্ত ভুক্তভোগী ইমাম দম্পত্তি নির্যাতন ও শ্লীলতাহানীর শিকার হন। ভুক্তভোগীরা হলেন- আব্দুল্লাহ আল মামুন (২৮) ও তার স্ত্রী (২৬)। আব্দুল্লাহ আল মামুন জেলার পূর্বধলা উপজেলার খারছাইল গ্রামের মনির উদ্দিনের ছেলে এবং দুর্গাপুরের সুতিয়াপাড়া নূরানী ও হাফিজিয়া মাদরাসার শিক্ষক এবং সুতিয়াপাড়া মসজিদের ইমাম ও খতিব। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী আব্দুল্লাহ আল মামুন পাঁচ মাস পূর্বে সুতিয়াপাড়া নূরানী ও হাফিজিয়া মাদরাসার শিক্ষক এবং সুতিয়াপাড়া মসজিদের ইমাম ও খতিব হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। গত ছয়-সাত দিন পূর্বে মাদরাসা ও মসজিদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ কমিটির অন্যান্য লোকজনের অনুমতি স্বাপেক্ষে ভুক্তভোগী তার স্ত্রীকে নিয়ে আসার অনুমতি পান এবং মাদরাসার পার্শ্বে পৃথকভাবে টিনসেড ঘর তৈরি করেন। গত ১ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ভুক্তভোগী তার স্ত্রীকে বাড়ি হতে মাদরাসায় নিয়ে আসেন। ক্যাশিয়ার তার নিজ বাড়িতে হতে তাদের জন্য ওই দিন রাতের খাবার পাঠান। রাতের খাবার শেষে ভুক্তভোগী ও তার স্ত্রীকে নিয়ে মাদরাসার একটি কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। দুদিন বন্ধ থাকায় মাদরাসায় শুধুমাত্র দুজন ছাত্র ছিল। তারা মাদরাসার ফ্লোরে বিছানা পেতে ঘুমিয়ে পড়ে। পরে রাত অনুমান ২টার দিকে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা মোটরসাইকেল যোগে মাদরাসা এসে নাম ধরে ডাকাডাকি করতে থাকে। ঘুম হতে জাগ্রত হয়ে মাদরাসার দরজা খুললে ভুক্তভোগী অভিযুক্ত ব্যক্তিগণকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন এবং দরজা খোলামাত্র অভিযুক্তরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে অনধিকারভাবে মাদরাসার কক্ষে প্রবেশ করে এবং স্ত্রীকে দেখিয়া ভুক্তভোগীর উপর রাগান্বিত হয়। পনের হাজার টাকা দাবি চাঁদা দাবি করে এবং এলোপাথারী কিল-ঘুষি মেরে ভুক্তভোগীর শরীরের নানাস্থানে ফোলা জখম করে এবং অভিযুক্ত মো. পলাশ ভুক্তভোগীর স্ত্রী’র পড়নের কাপড় ধরে টানা হেঁচড়া করে শ্লীলতাহানী ঘটায়। এতে বাধা দিলে অভিযুক্তরা মারপিট করে ভুক্তভোগীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি নিয়ে যায় এবং মোবাইল দিয়ে ভুক্তভোগী দম্পত্তিকে নানা রকম প্রশ্ন ও ভিডিও ধারণ করে। একপর্যায়ে অভিয্ক্তু মো. পলাশ মাদরাসায় ঘুমন্ত দুজন ছাত্রকে ডাক দিয়ে তুলে এবং নাম ও পরিচয় জিজ্ঞাসা করে একজন ছাত্রের গালে চর-থাপ্পর মারে। অভিযুক্তরা মাদরাসায় অনুমান চার ঘন্টার বেশি অবস্থান করে ভোর সাড়ে ৬টার দিকে ওই দম্পত্তিকে নানা রকম হুমকি দেয় এবং এ বিষয়ে কাহরো কাছে বিচার কিংবা মামলা মোকদ্দমা করলে ভুক্তভোগী ও তার স্ত্রীকে খুন করার হুমকি দিয়ে চলে যায় অভিযুক্তরা। পরে সকালের দিকে মাদরাসার আশপাশের লোকজন আসলে তাদের সহযোগিতায় ভুক্তভোগী স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা গ্রহণ করেন
টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হামিদুল হক মোহন আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। ২০ অক্টোবর ২০২৫ ইং তারিখে সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন।
রংপুর প্রেসক্লাবের সদস্যভূক্তির ৩৩ বছরের রুদ্ধদুয়ার অবশেষ খুললো। এই নতুন সদস্যভূক্তির তালিকা প্রকাশিত হওয়ায় রংপুরে কর্মরত সাংবাদিকদের মাঝে উচ্ছ্বাসের আনন্দ বইছে। তারা দ্রুত সাধারণ সভার মাধ্যমে গঠনতন্ত্র সংশোধন ও পরিচালনা পরিষদের নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরের দাবি জানান। একই সাথে তারা ক্লাবের আর্থিক স্বচ্ছতার জন্য বিগত সময়ের অডিট শুরু করার জন্য আহ্বান জানান। বুধবার (১৪ অক্টোরব) সামাজসেবা অধিদপ্তরের নিয়োগকৃত প্রেসক্লাব, রংপুরের প্রশাসক ও রংপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) কর্তৃক নতুন সদস্য অর্ন্তভূক্তির একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়। এতে রংপুওে কর্মরত ১শ’৫জনকে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিককে সদস্য করা হয়। সমাজসেবা অধিদপ্তরের রংপুর জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক অনিল চন্দ্র বর্মণ জানান, প্রেসক্লাব রংপুর সমাজসেবা অধিদপ্তরের নিবন্ধিত সংগঠন হিসেবে ১৯৯১ সালে তালিকাভূক্ত হয়। এর পর থেকে প্রেসক্লাব এর সদস্যরা নানা কালাকানুন তৈরি করে প্রেসক্লাবে নতুন সদস্যভূক্তির কার্যক্রম বন্ধ রাখে। তিনি আরও জানান, রংপুর প্রেসক্লাব গত ১৯৯১ সালের ১৪ জুলাই জেলা সমাজসেবা কার্যালয়, রংপুর কর্তৃক স্মারক-সসেআদ/রং/শা-রেজি/১১৮৩(৪) এ রেজিষ্ট্রেশনভূক্ত হয়। যার নিবন্ধী নম্বর-রং/৩৫৯/৯১। যা ১৯৯১ সালের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় আওতাধীন স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থা সমুহ (রেজিষ্ট্রেশন ও নিয়ন্ত্রন) অধ্যাদেশ ১৯৬১ এর আইনের আওতায় নিবন্ধিত সংগঠন। এই কারণে প্রেসক্লাব রংপুর কে উল্লেখিত রেজিষ্ট্রেশন আইনের বিধিমালা ও অধ্যাদেশ অনুযায়ী পরিচালিত হওয়া বাধ্যতামূলক। এই বিধিবিধান ও অধ্যাদেশ মতে নিবন্ধিত সংস্থার গঠনতন্ত্র সংশোধন, আয়-ব্যয় এর হিসাব এবং গঠিত কার্যকরি কমিটির অনুমোদন নিবন্ধিত সংস্থা থেকে কমিটি গঠনের ১৫ দিনের মধ্যে অনুমোদন নেয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। নিবন্ধনের ৩৩ বছরে এই বিধি-বিধান উপেক্ষা করায় রংপুরে কর্মরত সাংবাদিকের পক্ষ থেকে একটি কমিটি অনুমোদনের জন্য গত ০১.০৯.২০২৪ খ্রীঃ সংশ্লিষ্ট নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের নিকট উপস্থাপন করা হয়। তিনি আরও জানান এর পর শুনানী এবং তদন্ত অন্তেঃ তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশের আলোকে স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থা সমুহ (রেজিষ্ট্রেশন ও নিয়ন্ত্রন) অধ্যাদেশ ১৯৬১ এর ৯ এর ২ধারা ও বিধিমালা ১৯৬২ এর বিধান মতে রংপুর বিভাগীয় সমাজসেবা অধিদপ্তর স্মারক নম্বর-৪১.০০.০০০০.০৪৬.২৭.০১০.২৪.২৪ তারিখঃ ১৫.০১.২০২৪ খ্রীঃ মূলে প্রেসক্লাবের তৎকালিন কমিটি সাময়িক বরখাস্ত করে ৪ সদস্য বিশিষ্ট প্রেসক্লাব রংপুরের এর তত্ত্বাবধায়ক কমিটি গঠন করে। এরপর স্মরক নম্বর-৪১.২৭.৮৫০০.০০০.২৭.০৩১.২৫.৪৮(১৫) তারিখঃ ১৯.০১.২০২৫ মূলে প্রেসক্লাবের বরখাস্তকৃত কমিটিকে তত্ত্বাবধায়ক মণ্ডলীর কাছে দায়ীত্বভার দেয়ার জন্য নির্দেশজারী করে পত্র প্রদান করেন। কিন্তু বরাখাস্তকৃত কমিটি নির্দেশনা অমান্য করে তত্ত্বাবধায়ক মণ্ডলীকে দায়িত্ব ও নথিপত্র হস্থান্তর না করায় ২৯.০১.২৫ তারিখে সমাজসেবা অধিদপ্তর, ঢাকা কর্তৃক স্মারক নম্বর-৪১.০০.০০০০.০৪৬.২৭.০১.২৪.৫৯ মূলে তত্ত্বাবধায়ক মণ্ডলী গঠনের আদেশ সংশোধন পূর্বক (বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়, রংপুরের স্মারক নম্বর-০৫.৪৭.০০০০.০০৫.০২.০০৩.২২.৮১ তারিখ-২৭.০১.২০২৫ মূলে) রংপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ ময়নুল ইসলামকে প্রেসক্লাব, রংপুরের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগের আদেশ জারী করে। তিনি আরও জানান, সেই আদেশ মূলে প্রেসক্লাব রংপুরের নিয়োগকৃত প্রশাসক (স্মারক নম্বর-০৫.৫৫.৮৫০০.০১১.১২.০৬১.২৪-৫৪, তারিখ ২৯.০১.২৫ মোতাবেক) ৩০.০১.২৫ তারিখে-প্রেসক্লাব রংপুরের দায়িত্বভার গ্রহণ ও কার্যক্রম শুরু করেন। এরপর স্মারক নম্বর-৪১.০০.০০০০.০৪৬.২৭.০০১০.৪২.৫১২, তারিখ ২৫.০৬.২০২৫ খ্রীঃ মূলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ ময়নুল ইসলাম(১৭৩৩৮) জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ে বদলি হওয়ায় তাকে প্রেসক্লাব রংপুরের প্রশাসকের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে তার স্থলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রংপুরকে প্রেসক্লাব, রংপুরের প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। সে হিসেবে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, রংপুর প্রেসক্লাব, রংপুরের আইনগতভাবে বৈধ প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এই প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্থ করতে সমাজসেবা কর্তৃক সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পক্ষটি আদালতে ভুল তথ্য দিয়ে একাধিক মামলা করেন। সেই মামলায় অদেশে রংপুর প্রেসক্লাবের প্রশাসককে নির্দেশনা অনুযায়ী কর্মকাণ্ড পরিচালনার কথা বলা হয়। এ বিষয়ে রংপুর জেলা জজ আদালতের জিপি একরামূল হক জানান, গত ২২ অক্টোবর’২৫ তারিখে মাননীয় জেলা জজ আদালত কর্তৃক এই সংক্রান্ত মামলার আদেশে রংপুর জেলা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক বলেছেন, “ নথি, দাখিলীয় দরখাস্ত ও বিজ্ঞ কৌশলীর বক্তব্য পর্যালোচনা করিলাম। পর্যালোচনাক্রমে দেখা যায় যে, বিজ্ঞ সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালত রংপুর এর অন্য-২৭৭/২০২৫ নম্বর মোকাদ্দমার বিগত ২৬.০৮.২৫ খ্রীঃ তারিখের আদেশের কার্যকারিতা চলামান থাকিলে আপীলকারী পক্ষ ন্যায় বিচার হইতে বঞ্চিত হইবেন। ন্যায় বিচারের স্বার্থে আপীরকারী পক্ষের আনীত স্থাগীত দরখাস্ত অংশিক মঞ্জুর করা হইলো। আগামী ধার্য্য তারিখ অর্থাৎ -০৫.১০.২০২৫ খ্রীঃ তারিখ পর্যন্ত বিজ্ঞ সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালত রংপুর এর অন্য- ২৭৭/২০২৫ নং মোকাদ্দমার ২৬.০৮.২৫ খ্রীঃ তারিখের আদেশের কার্যকারীতা স্থগিত করা হইলো। ” তিনি আরও জানান, পরবর্তীতে মামলাটি বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা জজ-১ আদালতে শুনানীর জন্য প্রেরন করা হয়। শুনানীর নির্ধারিত ০৫.১০.২৫ তারিখে বাদী পক্ষ সময় প্রার্থনা করেন। আদালত ১৫.১০.২৫ খ্রীঃ তারিখে শুনানীর তারিখ নির্ধারন এবং বিজ্ঞ জেলা জজ আদালতের আদেশ বহাল রাখেন। এতদিন রংপুর প্রেসক্লাবে দীর্ঘ ৩৩ বছরে মাত্র ৩৩জন সদস্য ছিলেন। কিন্তু রংপুরে শতাধিক গণমাধ্যম কর্মী কর্মরত আছেন। গণমাধ্যম কর্মীরা এই দীর্ঘ সময় প্রেসকব্লাবের সদস্য হওয়ার জন্য যে আন্দোলন করে আসছিলেন ১শ’৫জন নতুন সদস্যভূক্ত হওয়ায় তা সফলতার মুখ দেখলো। এতে উচ্ছ্বাসিত তারা। খুব দ্রুত সাধারণ সভার মাধ্যমে আরও গণমাধ্যম কর্মীদের প্রেসক্লাবে অর্ন্তভূক্ত করতে গণতন্ত্রকে যগোপযোগিভাবে সংশোধন-অনুমোদন করে নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরের দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি বিগত সময়ের আর্থিক বিষয়ে অডিট শুরু করে স্বচ্ছ্বতা ও ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান গণমাধ্যমকর্মীরা। একই সাথে এই প্রেসক্লাব সকল গণমাধ্যম কর্মীর জন্য উম্মুক্ত হওয়ার প্রক্রিয়াকে রংপুরের একটি পত্রিকার মিথ্যাচার, বিভ্রান্তিমূলক, অসত্য তথ্য পরিবেশনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। সংশ্লিষ্ট পত্রিকা কর্তৃপক্ষকে সাংবাদিকদের স্বার্থ সংশ্লিস্ট বিষয়ে সঠিক তথ্য প্রকাশ করার আহ্বান জানান তারা। সার্বিক বিষয়ে রংপুর প্রেসক্লাবের প্রশাসক ও রংপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রমিজ আলম জানান, সমাজসেবা অধিদপ্তরের নির্দেশনার আলোকে সমাজসেবার অনুমোদিত গঠনতন্ত্র অনুযায়ী রংপুরে কর্মরত ১শ’ ৫জন সাংবাদিককে নতুন সদস্য হিসেবে অর্ন্তভূক্ত করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সদস্য তালিকা হালনাগাদ, নির্বাচন, গঠনতন্ত্র সংশোধন, অডিটসহ অন্যান্য কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করা হবে
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”
বাংলাদেশের বৃহৎ এনজিও সংস্থা "আশা"এর উদ্যোগে হয়ে গেল ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন যেখানে ফ্রিতে চিকিৎসা দেওয়া হয় এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবী এবং কর্মজীবী মানুষের মধ্যে। ২৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার সোনামুই গ্রামে সকাল থেকে এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন করা হয় আশায় এনজিও হেমনগর শাখার উদ্যোগে এটি বাস্তবায়িত করা হয়। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যকর্মী এবং মেডিকেল অফিসারসহ অন্যান্য সেবিকারা। আশা এনজিও কর্তৃক ক্যাম্পেইনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন "আশা" হেমনগর ব্রাঞ্চের পক্ষথেকে আশা এনজিওর এই ক্যাম্পেইনে গ্রামের সকল পেশাজীবীর মানুষেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্যাম্পেইনটিতে অংশগ্রহণ করেন এবং তারই মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সঠিক ভাবে নিরূপণ করতে সহযোগিতা করেন। আশা এনজিওর মাধ্যমে ক্যাম্পেইন করে মানুষের জন্য সময় উপযোগী এবং প্রয়োজনীয় একটি বিষয় হয়ে দাঁড়াবে যেটি গ্রামের মানুষের মধ্যে সচেতনতা এবং স্বাস্থ্য সঠিকভাবে পর্যালোচনা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই উদ্যোগে এলাকাবাসী অত্যন্ত প্রাণবন্ত ভাবে উৎফুল্ল প্রকাশ করেছে। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিকবৃন্দ এবং সাধারণ মানুষ। এবং তাদের ক্যাম্পেইন ডাক্তার সঠিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেছে। আশা এনজিও আগামী দিনগুলোর জন্য এইরকম ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ধাপ হিসাবে গণ্য হবে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদল সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লা পাড়া ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে সদর উপজেলার স্থানীয় বেতগঞ্জ বাজাএই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আবুল কাশেম দুলু সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এডভোকেট দীপংঙ্কর বনিক সুজিতের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক মনাজ্জির হোসেন। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সুহেল মিয়া, শাহজাহান মিয়া, এডভোকেট আব্দুল আহাদ জুয়েল, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মুজাব্বির হোসেন অপু, ইমরান হোসেন শ্যামল, বিপ্লব খান, মো:শামিম আহমদ, সেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক সাদিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতাউর চৌধুরী শাহীন প্রমুখ। এ ছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার আলম, লিয়াকত আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতহাব চৌধুরী হাসান, শাখাওয়াত হোসেন পলাশ, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইমন আহমেদ, ফয়সাল আহমেদ, মিছবাহ হোসেন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মহিম উদ্দিন, জেলা যুবদলের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মঈনুদ্দিন আহমেদ রিপন,সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আব্দুল কাইয়ুম সৌরভ, বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম, ময়না মিয়া,স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রুজেল আহমেদ, আবুল হাসনাত, জেলা ছাত্রদল নেতা ইয়াহিয়া হাসান প্রমুখ। এ সময় সদর উপজেলা ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন,বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের দুঃসময়ে যারা রাজপথে নির্যাতিত ও নিপিিতড় হয়েছেন, তাদের যথাযথ মূল্যায়নের ভিত্তিতেই ভবিষ্যতের ইউনিয়ন কমিটি গঠন করতে হবে। আওয়ামী লীগ ঘেঁষা বা ফ্যাসিস্টদের সাথে সম্পৃক্ত কোনো ব্যক্তিকে কমিটিতে রাখা যাবে না বলেও তারা দাবি জানান। দুর্দিনে যারা আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন তাদেরকে কমিটিতে মুল্যায়ন করা হবে। তারা বলেন,সুনামগঞ্জে জাতীয়তাবাদি শক্তির প্রাণপূরুষ এবং বিগত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে জেল জুলুম,হুলিয়া মাথায় নিয়ে এই সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা কেবল জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বর্তূমান জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৪(সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুলের নেতৃত্বে আমরা রাজপথে ছিলাম এবং আগামী নির্বাচনে এই আসনে জনপ্রিয় ধানের শীষের প্রার্থী একমাত্র নুরুল ইসলাম নুরুলকে বিএনপির প্রার্থী করতে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া,ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিকট তৃণমূলের নেতৃবৃন্দরা জোর দাবী জানান।
(২২ অক্টোবর) সকালে টাঙ্গাইল পৌর এলাকার পার্ক বাজার সংলগ্ন গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানটি পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল। তিনি তার বিশেষ মনিটরিং টিম নিয়ে দোকানে থাকা দইয়ের উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ না থাকা, বেশ কিছু পরিমাণ পচে যাওয়া দই দোকানে সংরক্ষণ করা এবং মিষ্টান্ন তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল পাওয়ার দায়ে টাঙ্গাইলের গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে, আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবেন। অভিযানে পৌর স্যানেটারি ইন্সপেক্টর ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ প্রসঙ্গে গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী স্বপ্নন কুমার ঘোষ জানান, সাধারণত তিনি খুচরা ভাবে দধি বিক্রি করে থাকেন। ফলে তৈরিকৃত দধিতে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ দেওয়া সম্ভব হয় না। তবে এখন থেকে দেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, উদ্ধারকৃত পচে যাওয়া দধিগুলো ফেলে দেওয়ার জন্য রাখা হয়েছিল। এছাড়া যে মিষ্টি তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল হাওয়া গেছে, সেটি বর্তমানে মিষ্টি তৈরীর কাজে ব্যাবহার করা হচ্ছে না। আমরা সবসময় চেষ্টাকরি গ্রাহককে সর্বোচ্চ মানের দধি ও মিষ্টান্ন সরবরাহ করার।
“মিস এন্ড মিসেস এলিগেন্স বাংলাদেশ সিজন ওয়ান”–এ প্রথম রানার্সআপ আদ্রিজা আফরিন সিনথিয়া দেশের আয়োজিত বর্ণাঢ্য প্রতিযোগিতা “মিস এন্ড মিসেস এলিগেন্স বাংলাদেশ সিজন ওয়ান”-এ প্রথম রানার্সআপের মুকুট জয় করলেন তরুণ ফ্যাশন মডেল আদ্রিজা আফরিন সিনথিয়া। ফ্যাশন জগতে ইতিমধ্যেই তিনি নিজেকে প্রমাণ করেছেন বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে কাজ করে। শুধু মডেলিং নয়, সিনথিয়া অভিনয়ের ক্ষেত্রেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন বুকে লালন করছেন। ইতোমধ্যে তিনি সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত সাদেক সিদ্দিকীর পরিচালনায় “দেনা পাওনা” সিনেমায় অভিনয় করছেন। রানার্সআপের মুকুট মাথায় পরার পর আবেগে আপ্লুত সিনথিয়া জানান—ঢালিউড কুইন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস আমাকে মুকুট পড়িয়ে দিয়েছেন এই আনন্দ আমি বুঝাতে পারবো না। “এই সাফল্য আমার জন্য অনেক বড় অর্জন। তবে আমি শুধু এখানেই থেমে থাকতে চাই না। আমি চাই নিজেকে মিডিয়া অঙ্গনে আরও দূর, বহুদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে। দেশবাসীর কাছে আমি দোয়া চাই।” আজকের এই অর্জন আমি আবার মা বাবা পরিবার এবং আমাকে যারা সাপোর্ট করেছেন তাদেরকে উৎসর্গ করতে চাই। বহু বাধা ও প্রতিকূলতা পেরিয়ে আজকের এই অবস্থানে পৌঁছেছেন সিনথিয়া। তাঁর অদম্য চেষ্টা, আত্মবিশ্বাস আর স্বপ্নই তাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ফ্যাশন থেকে চলচ্চিত্র—সব জায়গাতেই আলো ছড়ানোর ইচ্ছে তার। বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে সিনথিয়া এখন এক অনুপ্রেরণার নাম। তাঁর কথায়— “এই মুকুট আমার স্বপ্নযাত্রার প্রথম ধাপ মাত্র। সামনে আরও অনেক পথ, আরও অনেক লড়াই।”