বাংলাদেশের বৃহৎ এনজিও সংস্থা "আশা"এর উদ্যোগে হয়ে গেল ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন যেখানে ফ্রিতে চিকিৎসা দেওয়া হয় এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবী এবং কর্মজীবী মানুষের মধ্যে। ২৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার সোনামুই গ্রামে সকাল থেকে এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন করা হয় আশায় এনজিও হেমনগর শাখার উদ্যোগে এটি বাস্তবায়িত করা হয়। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যকর্মী এবং মেডিকেল অফিসারসহ অন্যান্য সেবিকারা। আশা এনজিও কর্তৃক ক্যাম্পেইনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন "আশা" হেমনগর ব্রাঞ্চের পক্ষথেকে আশা এনজিওর এই ক্যাম্পেইনে গ্রামের সকল পেশাজীবীর মানুষেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্যাম্পেইনটিতে অংশগ্রহণ করেন এবং তারই মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সঠিক ভাবে নিরূপণ করতে সহযোগিতা করেন। আশা এনজিওর মাধ্যমে ক্যাম্পেইন করে মানুষের জন্য সময় উপযোগী এবং প্রয়োজনীয় একটি বিষয় হয়ে দাঁড়াবে যেটি গ্রামের মানুষের মধ্যে সচেতনতা এবং স্বাস্থ্য সঠিকভাবে পর্যালোচনা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই উদ্যোগে এলাকাবাসী অত্যন্ত প্রাণবন্ত ভাবে উৎফুল্ল প্রকাশ করেছে। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিকবৃন্দ এবং সাধারণ মানুষ। এবং তাদের ক্যাম্পেইন ডাক্তার সঠিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেছে। আশা এনজিও আগামী দিনগুলোর জন্য এইরকম ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ধাপ হিসাবে গণ্য হবে।
মসজিদের ইমাম দম্পত্তিকে রাতভর নির্যাতন ও শ্লীলতাহানীর অভিযোগে গ্রেপ্তার ১ নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় মসজিদের ইমাম দম্পত্তিকে রাতভর নির্যাতন ও শ্লীলতাহানীর অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে। এ ঘটনায় এক অভিযুক্ত সৈয়দ মিস্ত্রীর ছেলে মো. রুবেলকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্যান্য অভিযুক্তরা হলেন- মো. জলিলে ছেলে মো. জহিরুল (২৭) ও আ. সাত্তার মেম্বারের ছেলে মো. পলাশ (২৬)। অভিযুক্ত সকলেই উপজেলার সুতিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। বুধবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে এ ঘটনায় মামলা দায়ের সত্যতা নিশ্চিত করেন দুর্গাপুর থানার ওসি মো. মাহামুদুল হাসান। তিনি বলেন, একজনকে গ্রেফতার করে ইতোমধ্যে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশি চেষ্টা অব্যাহত আছে। এরআগে গত ১ অক্টোবর দিনগত রাত ২টা থেকে পরের দিন ভোর সাড়ে ৬টার পর্যন্ত ভুক্তভোগী ইমাম দম্পত্তি নির্যাতন ও শ্লীলতাহানীর শিকার হন। ভুক্তভোগীরা হলেন- আব্দুল্লাহ আল মামুন (২৮) ও তার স্ত্রী (২৬)। আব্দুল্লাহ আল মামুন জেলার পূর্বধলা উপজেলার খারছাইল গ্রামের মনির উদ্দিনের ছেলে এবং দুর্গাপুরের সুতিয়াপাড়া নূরানী ও হাফিজিয়া মাদরাসার শিক্ষক এবং সুতিয়াপাড়া মসজিদের ইমাম ও খতিব। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী আব্দুল্লাহ আল মামুন পাঁচ মাস পূর্বে সুতিয়াপাড়া নূরানী ও হাফিজিয়া মাদরাসার শিক্ষক এবং সুতিয়াপাড়া মসজিদের ইমাম ও খতিব হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। গত ছয়-সাত দিন পূর্বে মাদরাসা ও মসজিদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ কমিটির অন্যান্য লোকজনের অনুমতি স্বাপেক্ষে ভুক্তভোগী তার স্ত্রীকে নিয়ে আসার অনুমতি পান এবং মাদরাসার পার্শ্বে পৃথকভাবে টিনসেড ঘর তৈরি করেন। গত ১ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ভুক্তভোগী তার স্ত্রীকে বাড়ি হতে মাদরাসায় নিয়ে আসেন। ক্যাশিয়ার তার নিজ বাড়িতে হতে তাদের জন্য ওই দিন রাতের খাবার পাঠান। রাতের খাবার শেষে ভুক্তভোগী ও তার স্ত্রীকে নিয়ে মাদরাসার একটি কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। দুদিন বন্ধ থাকায় মাদরাসায় শুধুমাত্র দুজন ছাত্র ছিল। তারা মাদরাসার ফ্লোরে বিছানা পেতে ঘুমিয়ে পড়ে। পরে রাত অনুমান ২টার দিকে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা মোটরসাইকেল যোগে মাদরাসা এসে নাম ধরে ডাকাডাকি করতে থাকে। ঘুম হতে জাগ্রত হয়ে মাদরাসার দরজা খুললে ভুক্তভোগী অভিযুক্ত ব্যক্তিগণকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন এবং দরজা খোলামাত্র অভিযুক্তরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে অনধিকারভাবে মাদরাসার কক্ষে প্রবেশ করে এবং স্ত্রীকে দেখিয়া ভুক্তভোগীর উপর রাগান্বিত হয়। পনের হাজার টাকা দাবি চাঁদা দাবি করে এবং এলোপাথারী কিল-ঘুষি মেরে ভুক্তভোগীর শরীরের নানাস্থানে ফোলা জখম করে এবং অভিযুক্ত মো. পলাশ ভুক্তভোগীর স্ত্রী’র পড়নের কাপড় ধরে টানা হেঁচড়া করে শ্লীলতাহানী ঘটায়। এতে বাধা দিলে অভিযুক্তরা মারপিট করে ভুক্তভোগীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি নিয়ে যায় এবং মোবাইল দিয়ে ভুক্তভোগী দম্পত্তিকে নানা রকম প্রশ্ন ও ভিডিও ধারণ করে। একপর্যায়ে অভিয্ক্তু মো. পলাশ মাদরাসায় ঘুমন্ত দুজন ছাত্রকে ডাক দিয়ে তুলে এবং নাম ও পরিচয় জিজ্ঞাসা করে একজন ছাত্রের গালে চর-থাপ্পর মারে। অভিযুক্তরা মাদরাসায় অনুমান চার ঘন্টার বেশি অবস্থান করে ভোর সাড়ে ৬টার দিকে ওই দম্পত্তিকে নানা রকম হুমকি দেয় এবং এ বিষয়ে কাহরো কাছে বিচার কিংবা মামলা মোকদ্দমা করলে ভুক্তভোগী ও তার স্ত্রীকে খুন করার হুমকি দিয়ে চলে যায় অভিযুক্তরা। পরে সকালের দিকে মাদরাসার আশপাশের লোকজন আসলে তাদের সহযোগিতায় ভুক্তভোগী স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা গ্রহণ করেন
টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হামিদুল হক মোহন আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। ২০ অক্টোবর ২০২৫ ইং তারিখে সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন।
রংপুর প্রেসক্লাবের সদস্যভূক্তির ৩৩ বছরের রুদ্ধদুয়ার অবশেষ খুললো। এই নতুন সদস্যভূক্তির তালিকা প্রকাশিত হওয়ায় রংপুরে কর্মরত সাংবাদিকদের মাঝে উচ্ছ্বাসের আনন্দ বইছে। তারা দ্রুত সাধারণ সভার মাধ্যমে গঠনতন্ত্র সংশোধন ও পরিচালনা পরিষদের নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরের দাবি জানান। একই সাথে তারা ক্লাবের আর্থিক স্বচ্ছতার জন্য বিগত সময়ের অডিট শুরু করার জন্য আহ্বান জানান। বুধবার (১৪ অক্টোরব) সামাজসেবা অধিদপ্তরের নিয়োগকৃত প্রেসক্লাব, রংপুরের প্রশাসক ও রংপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) কর্তৃক নতুন সদস্য অর্ন্তভূক্তির একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়। এতে রংপুওে কর্মরত ১শ’৫জনকে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিককে সদস্য করা হয়। সমাজসেবা অধিদপ্তরের রংপুর জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক অনিল চন্দ্র বর্মণ জানান, প্রেসক্লাব রংপুর সমাজসেবা অধিদপ্তরের নিবন্ধিত সংগঠন হিসেবে ১৯৯১ সালে তালিকাভূক্ত হয়। এর পর থেকে প্রেসক্লাব এর সদস্যরা নানা কালাকানুন তৈরি করে প্রেসক্লাবে নতুন সদস্যভূক্তির কার্যক্রম বন্ধ রাখে। তিনি আরও জানান, রংপুর প্রেসক্লাব গত ১৯৯১ সালের ১৪ জুলাই জেলা সমাজসেবা কার্যালয়, রংপুর কর্তৃক স্মারক-সসেআদ/রং/শা-রেজি/১১৮৩(৪) এ রেজিষ্ট্রেশনভূক্ত হয়। যার নিবন্ধী নম্বর-রং/৩৫৯/৯১। যা ১৯৯১ সালের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় আওতাধীন স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থা সমুহ (রেজিষ্ট্রেশন ও নিয়ন্ত্রন) অধ্যাদেশ ১৯৬১ এর আইনের আওতায় নিবন্ধিত সংগঠন। এই কারণে প্রেসক্লাব রংপুর কে উল্লেখিত রেজিষ্ট্রেশন আইনের বিধিমালা ও অধ্যাদেশ অনুযায়ী পরিচালিত হওয়া বাধ্যতামূলক। এই বিধিবিধান ও অধ্যাদেশ মতে নিবন্ধিত সংস্থার গঠনতন্ত্র সংশোধন, আয়-ব্যয় এর হিসাব এবং গঠিত কার্যকরি কমিটির অনুমোদন নিবন্ধিত সংস্থা থেকে কমিটি গঠনের ১৫ দিনের মধ্যে অনুমোদন নেয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। নিবন্ধনের ৩৩ বছরে এই বিধি-বিধান উপেক্ষা করায় রংপুরে কর্মরত সাংবাদিকের পক্ষ থেকে একটি কমিটি অনুমোদনের জন্য গত ০১.০৯.২০২৪ খ্রীঃ সংশ্লিষ্ট নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের নিকট উপস্থাপন করা হয়। তিনি আরও জানান এর পর শুনানী এবং তদন্ত অন্তেঃ তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশের আলোকে স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থা সমুহ (রেজিষ্ট্রেশন ও নিয়ন্ত্রন) অধ্যাদেশ ১৯৬১ এর ৯ এর ২ধারা ও বিধিমালা ১৯৬২ এর বিধান মতে রংপুর বিভাগীয় সমাজসেবা অধিদপ্তর স্মারক নম্বর-৪১.০০.০০০০.০৪৬.২৭.০১০.২৪.২৪ তারিখঃ ১৫.০১.২০২৪ খ্রীঃ মূলে প্রেসক্লাবের তৎকালিন কমিটি সাময়িক বরখাস্ত করে ৪ সদস্য বিশিষ্ট প্রেসক্লাব রংপুরের এর তত্ত্বাবধায়ক কমিটি গঠন করে। এরপর স্মরক নম্বর-৪১.২৭.৮৫০০.০০০.২৭.০৩১.২৫.৪৮(১৫) তারিখঃ ১৯.০১.২০২৫ মূলে প্রেসক্লাবের বরখাস্তকৃত কমিটিকে তত্ত্বাবধায়ক মণ্ডলীর কাছে দায়ীত্বভার দেয়ার জন্য নির্দেশজারী করে পত্র প্রদান করেন। কিন্তু বরাখাস্তকৃত কমিটি নির্দেশনা অমান্য করে তত্ত্বাবধায়ক মণ্ডলীকে দায়িত্ব ও নথিপত্র হস্থান্তর না করায় ২৯.০১.২৫ তারিখে সমাজসেবা অধিদপ্তর, ঢাকা কর্তৃক স্মারক নম্বর-৪১.০০.০০০০.০৪৬.২৭.০১.২৪.৫৯ মূলে তত্ত্বাবধায়ক মণ্ডলী গঠনের আদেশ সংশোধন পূর্বক (বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়, রংপুরের স্মারক নম্বর-০৫.৪৭.০০০০.০০৫.০২.০০৩.২২.৮১ তারিখ-২৭.০১.২০২৫ মূলে) রংপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ ময়নুল ইসলামকে প্রেসক্লাব, রংপুরের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগের আদেশ জারী করে। তিনি আরও জানান, সেই আদেশ মূলে প্রেসক্লাব রংপুরের নিয়োগকৃত প্রশাসক (স্মারক নম্বর-০৫.৫৫.৮৫০০.০১১.১২.০৬১.২৪-৫৪, তারিখ ২৯.০১.২৫ মোতাবেক) ৩০.০১.২৫ তারিখে-প্রেসক্লাব রংপুরের দায়িত্বভার গ্রহণ ও কার্যক্রম শুরু করেন। এরপর স্মারক নম্বর-৪১.০০.০০০০.০৪৬.২৭.০০১০.৪২.৫১২, তারিখ ২৫.০৬.২০২৫ খ্রীঃ মূলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ ময়নুল ইসলাম(১৭৩৩৮) জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ে বদলি হওয়ায় তাকে প্রেসক্লাব রংপুরের প্রশাসকের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে তার স্থলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রংপুরকে প্রেসক্লাব, রংপুরের প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। সে হিসেবে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, রংপুর প্রেসক্লাব, রংপুরের আইনগতভাবে বৈধ প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এই প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্থ করতে সমাজসেবা কর্তৃক সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পক্ষটি আদালতে ভুল তথ্য দিয়ে একাধিক মামলা করেন। সেই মামলায় অদেশে রংপুর প্রেসক্লাবের প্রশাসককে নির্দেশনা অনুযায়ী কর্মকাণ্ড পরিচালনার কথা বলা হয়। এ বিষয়ে রংপুর জেলা জজ আদালতের জিপি একরামূল হক জানান, গত ২২ অক্টোবর’২৫ তারিখে মাননীয় জেলা জজ আদালত কর্তৃক এই সংক্রান্ত মামলার আদেশে রংপুর জেলা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক বলেছেন, “ নথি, দাখিলীয় দরখাস্ত ও বিজ্ঞ কৌশলীর বক্তব্য পর্যালোচনা করিলাম। পর্যালোচনাক্রমে দেখা যায় যে, বিজ্ঞ সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালত রংপুর এর অন্য-২৭৭/২০২৫ নম্বর মোকাদ্দমার বিগত ২৬.০৮.২৫ খ্রীঃ তারিখের আদেশের কার্যকারিতা চলামান থাকিলে আপীলকারী পক্ষ ন্যায় বিচার হইতে বঞ্চিত হইবেন। ন্যায় বিচারের স্বার্থে আপীরকারী পক্ষের আনীত স্থাগীত দরখাস্ত অংশিক মঞ্জুর করা হইলো। আগামী ধার্য্য তারিখ অর্থাৎ -০৫.১০.২০২৫ খ্রীঃ তারিখ পর্যন্ত বিজ্ঞ সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালত রংপুর এর অন্য- ২৭৭/২০২৫ নং মোকাদ্দমার ২৬.০৮.২৫ খ্রীঃ তারিখের আদেশের কার্যকারীতা স্থগিত করা হইলো। ” তিনি আরও জানান, পরবর্তীতে মামলাটি বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা জজ-১ আদালতে শুনানীর জন্য প্রেরন করা হয়। শুনানীর নির্ধারিত ০৫.১০.২৫ তারিখে বাদী পক্ষ সময় প্রার্থনা করেন। আদালত ১৫.১০.২৫ খ্রীঃ তারিখে শুনানীর তারিখ নির্ধারন এবং বিজ্ঞ জেলা জজ আদালতের আদেশ বহাল রাখেন। এতদিন রংপুর প্রেসক্লাবে দীর্ঘ ৩৩ বছরে মাত্র ৩৩জন সদস্য ছিলেন। কিন্তু রংপুরে শতাধিক গণমাধ্যম কর্মী কর্মরত আছেন। গণমাধ্যম কর্মীরা এই দীর্ঘ সময় প্রেসকব্লাবের সদস্য হওয়ার জন্য যে আন্দোলন করে আসছিলেন ১শ’৫জন নতুন সদস্যভূক্ত হওয়ায় তা সফলতার মুখ দেখলো। এতে উচ্ছ্বাসিত তারা। খুব দ্রুত সাধারণ সভার মাধ্যমে আরও গণমাধ্যম কর্মীদের প্রেসক্লাবে অর্ন্তভূক্ত করতে গণতন্ত্রকে যগোপযোগিভাবে সংশোধন-অনুমোদন করে নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরের দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি বিগত সময়ের আর্থিক বিষয়ে অডিট শুরু করে স্বচ্ছ্বতা ও ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান গণমাধ্যমকর্মীরা। একই সাথে এই প্রেসক্লাব সকল গণমাধ্যম কর্মীর জন্য উম্মুক্ত হওয়ার প্রক্রিয়াকে রংপুরের একটি পত্রিকার মিথ্যাচার, বিভ্রান্তিমূলক, অসত্য তথ্য পরিবেশনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। সংশ্লিষ্ট পত্রিকা কর্তৃপক্ষকে সাংবাদিকদের স্বার্থ সংশ্লিস্ট বিষয়ে সঠিক তথ্য প্রকাশ করার আহ্বান জানান তারা। সার্বিক বিষয়ে রংপুর প্রেসক্লাবের প্রশাসক ও রংপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রমিজ আলম জানান, সমাজসেবা অধিদপ্তরের নির্দেশনার আলোকে সমাজসেবার অনুমোদিত গঠনতন্ত্র অনুযায়ী রংপুরে কর্মরত ১শ’ ৫জন সাংবাদিককে নতুন সদস্য হিসেবে অর্ন্তভূক্ত করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সদস্য তালিকা হালনাগাদ, নির্বাচন, গঠনতন্ত্র সংশোধন, অডিটসহ অন্যান্য কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করা হবে
সুনামগঞ্জ সদর ইয়থ পিস এ্যাম্বাসেডর গ্রুপের উদ্যোগে ও দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ এর এমআইপএস প্রকল্পের সহযোগিতায় ত্রৈমাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটি হলরুমে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওয়াই পিএজির ওয়াইপিএজি সদস্য সাকিব আহমদ এর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ সদর পিএফজির নারী পিস এ্যাম্বাসেডর শাহীনা চৌধুরী রুব বিশেষ অতিথি ছিলেন, সুনামগঞ্জ সদর পিএফজির সদস্য, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা বাসস এর জেলা প্রতিনিধি আমিনুল হক, পিএফজি সদস্য বৈশাখি টেলিভিশন সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি কর্ণ বাবু দাস। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ এর এমআইপিএস প্রকল্পের কুদরত পাশা। সভায় জানানো হয়, একটি উদার অসম্প্রাদায়িক, বহুত্ববাদী সহনশীল, মুক্ত, মানবিক সমাজ ও রাষ্ট্র নির্মাণের লক্ষ্যে কাজ করছি আমরা। সদর উপজেলায় রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও জাতিগত সম্প্রীতি বজায় রাখার লক্ষ্যে তারা কাজ করবে। সভায় বক্তব্য রাখেন, ইয়াহিয়া আহমেদ, মিজানুর রহমান, মাহফুজ আহমদ, তুর্য দাস, শবনম দ্দোজা জ্যোতি, উম্মে সুমাইয়া তাবাসসুম, ঝরনা আক্তার, ফৌজিয়া রহমান ঊষা, মুন্নি আক্তার, আলী ইমরান, মাহবুবা আক্তার সুরাইয়া, অনন্যা তালুকদার, রুমি দাশ, অর্পিতা তালুকদার প্রমূখ। সভায় বক্তারা সুনামগঞ্জ সরকারী কলেজের শহীদ মিনার ভেঙ্গে সেখানে কৃতি শিক্ষার্থী ফলক নির্মানে নিন্দা জানান। তারা দাবি করেন, সরকারী কলেজের জায়গার অভাব নেই যেখানে খুশি সেখানে কাজ করুণ কিন্তু শহীদ মিনার ভেঙ্গে করতে হবে কেন। তারা শহীদ মিনার অক্ষত অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে দাবি জানান। নতুবা সুনামগঞ্জের ছাত্র জনতাকে সাথে নিয়ে আগামীতে আন্দোলনে যাওয়ার ও হুশিয়ারী উচ্চারন করেন বক্তারা।
সারাদেশের মত বেগমগঞ্জে শুরু হলো ৯মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সি সকল শিশু এবং প্রাক- প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণি ও সমমান পর্যন্ত সকল শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে ১ ডোজ টাইফয়েড টিকা প্রদান কর্মসূচি। রবিবার সকালে ২নং গোপালপুর ইউনিয়নের কালিকাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে টিকা প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ হাসান খায়ের চৌধুরী। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন এমওডিসি ডাঃ তারানা জাফরিন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ইপিআই মোহাম্মদ মানিক মিয়া। পরে উপজেলায় বিভিন্ন টিকা কেন্দ্র পরিদর্শন করে বেগমগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন। এসময় তিনি বেগমগঞ্জের সকল সচেতন অভিভাবক ও শিক্ষকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন টাইফয়েড একটি জটিল ও কঠিন অসুখ, শিশুদের মৃত্যু হার বেশির কারনে সরকার ১৫ বয়সের কম শিশুদের এই টিকা বিনামূল্যে ক্যাম্পেইন করে দিচ্ছে। আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন টিকা কেন্দ্রে এই টিকা নেয়ার জন্য সবাইকে সচেতন করতে হবে। আশা করি সারা নোয়াখালীর সবচেয়ে বেশি শিশু বেগমগঞ্জ উপজেলা টিকা নিবে। তিনি এই বিষয়ে সবার আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন। ভিডিও নিউজ ভয়েস ওভার লেখে দাও মেয়ে টোন
সচেতন নাগরিক সমাজ সংগঠনের উদ্যোগে রাজধানীর কামরাঙ্গীচর বেড়িবাঁধ এলাকায় ১০০ তালবীজ রোপণ করা হয়। বজ্রপাত ঠেকাতে রাজধানীতে প্রাকৃতিক উপায় হিসেবে তালবীজ রোপণের উদ্যোগ নেয় নাগরি সচেতন সমাজ সংগঠন। রাজধানী ঢাকার প্রাণ বুড়িগঙ্গা নদী। নদীর বাঁধ দিয়ে সবুজ গাছ পালা থাকলেও বজ্রপাত ঠেকানোর মত কোন উপায় সেখানে নেই। তারই ধারাবাহিকতায় কামরাঙ্গীচরের নিজামবাগ থেকে মুসলিমবাগ পর্যন্ত এবং কয়লাঘাট থেকে ছাতা মসজিদ হয়ে গুদারাঘাট পর্যন্ত তালবীজ রোপণ করা হয়। এ বিষয়ে সচেতন নাগরিক সমাজ সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর আদেল বলেন, বাঁচতে হলে গাছ প্রয়োজন। গাছের বিকল্ কিছু নেই। গাছ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। আমরা গাছ থেকে অক্সিজেন গ্রহন করি। যা আমাদের শরীরের উৎস। নদী ও পরিবেশ রক্ষায় সচেতন নাগরিক সমাজ সংগঠন সব সময় মানুষের পাশে থাকবে। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তালবীজ রোপণ করেন হাজী মোঃ মনির হোসেন। হাজী মোঃ মনির হোসেন ত্রেয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঢাকা ৭ আসনের বিএনপির মনোনিত এমপি পদপ্রার্থী। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, গাছ আমাদের বন্ধু। গাছের মাধ্যমে আমরা অক্সিজেন গ্রহন করি এবং আমাদের মাধ্যমে গাছ কার্বোনডাইঅক্সাইড গ্রহন করে। তিনি আরও বলেন, তালগাছ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ও বজ্রপাত রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। সে সব চিন্তা মাথায় রেখেই আকের এই আয়োজন করা হয়েছে। তালবীজ রোপণ কর্ম সূচিতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, এস,এম জাহাঙ্গীর আদেল প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সচেতন নাগরিক সমাজ, আজিজুল ফকির সাধারণ সম্পাদক, ওমর ফারুক সাংগঠনিক সম্পাদক,মোঃ হযরত আলী কোষাধাক্ষ, জাহিদ জাহান ভূঁইয়া সহ-সভাপতি, এমদাদ হোসেন দপ্তর সম্পাদক, হারুন অর রশিদ, শেখ রুবায়েত শাফিন, মোঃ ইউসুফ, আব্দুল হাই ভূঁইয়া, মাহমুদুল্লাহ রানা, শাফী আক্তার, মোঃ মনির হোসন, মোঃ শাহ আলম, মোঃ সোহেল রানা, ও মোঃ ইমরান হোসেনসহ অনেক পরিবেশ কর্মী ও সবুজ যোদ্ধা।
কুলাউড়ার জনগণের দাবি — প্রফেসর সাইফুল আলম চৌধুরীকে এমপি হিসেবে দেখতে চায় সর্বস্তরের মানুষ নিজস্ব প্রতিবেদক: মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনের সাধারণ মানুষ আজ এক কণ্ঠে বলছে — তারা প্রফেসর সাইফুল আলম চৌধুরীকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমপি হিসেবে দেখতে চায়। এলাকার সর্বস্তরের জনগণের অভিমত, তিনি একজন যোগ্য, শিক্ষিত, ত্যাগী ও পরোপকারী নেতা, যিনি দীর্ঘদিন ধরে কুলাউড়ার উন্নয়ন ও মানুষের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রফেসর সাইফুল আলম চৌধুরী সবসময় জনগণের সুখে-দুঃখে পাশে থাকেন। শিক্ষা, সমাজসেবা, মানবিকতা ও উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে তার ভূমিকা অনন্য। একজন নাগরিক বলেন, “তিনি শুধু একজন রাজনীতিবিদ নন, বরং একজন সত্যিকারের মানবিক মানুষ। তাঁর ক্লিন ইমেজ, সততা এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা আমাদের গর্ব।” এলাকার আরেক তরুণ ভোটার জানান, “আমরা এমন একজন নেতাকে এমপি হিসেবে চাই, যিনি জনগণের প্রতিনিধি হয়ে প্রকৃত অর্থে জনগণের পাশে থাকবেন। প্রফেসর সাইফুল আলম চৌধুরী সেই যোগ্য মানুষ।” কুলাউড়ার উন্নয়নে তাঁর অবদান ও দৃষ্টিভঙ্গি ইতোমধ্যেই সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সর্বস্তরের মানুষের মতে, তার মত একজন সৎ, শিক্ষিত ও পরিশ্রমী নেতাকে এমপি হিসেবে পাওয়া কুলাউড়ার জন্য সৌভাগ্যের বিষয় হবে।
আমি কন্যা শিশু, স্বপ্ন গড়ি, সাহসী লড়ি, দেশের কল্যাণে কাজ করি" এই প্রতিপাদ্য নিয়ে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে জাতীয় কন্যা শিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বুধবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার উদ্যোগে উপজেলা হলরুমে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহবুব হাসানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অংশ নেয় ভূঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ এ কে এম রেজাউল করিম, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আমিনা বেগম, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তাহমিনা তাবাসসুম, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আকতার বানু, ভূঞাপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমান, সাংবাদিক আসাদুল ইসলাম বাবুল, ভূঞাপুর পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান নুরী, নাদিয়া ইসলাম, সাফিয়া বিনতে সাথী সহ আরো অনেকে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ হাবিবুল হাসান বলেন, যে পরিবারে একটি কন্যা শিশু নাই সে পরিবার একটি বিরান মরুভূমির মতো। শিশু সবাই সমান হোক ছেলে কিংবা মেয়ে। সবাই সমান ভাবে তার মৌলিক অধিকার ভোগ করবে। শিশুকে লেখাপড়ার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত করলে তা আপনার সম্পদ হবে। হোক কন্যা বা ছেলে। তিনি আরো বলেন, কন্যা শিশুদের বিশেষ যত্ন নিলে মহান আল্লাহ তায়া’লা অনেক খুশি হন
হকার্স সমবায় সমিতি লিঃ " পক্ষ থেকে ৬ অক্টোবর বিকালে বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আরিফুর রহমান কতৃক সমিতির সচিব আবুল খায়ের রাসেল ও সমিতির পিয়ন মমিন উল্যাহ সুমনকে মারধর ও সমিতির অফিসের আলমারি ডয়ার তল্লাশী করে এবং তান্ডবের প্রমাণ মুছে দিতে সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক খুলে নিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে সমিতির পরিচালকবৃন্দ এ সময় সাংবাদিকদের সামনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হকার্স সমবায় সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান হাজী মোঃ ইউছুপ। তিনি অভিযোগ করে বলেন, সমিতি প্রতি বছর চৌমুহনী পৌরসভাকে প্রায় ২ লাখ ৩৪ হাজার টাকা হোল্ডিং ট্যাক্স প্রদান করে। অথচ পৌর প্রশাসক মার্কেটের রাস্তায় পৌরসভার লাইটগুলো বন্ধ করে দিয়েছেন, সুইপারদের প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। ফলে মার্কেটে ছয় মাস ধরে ময়লা-আবর্জনা স্তুপ হয়ে আছে,যা ব্যবসায়ীদের জন্য ভোগান্তি তৈরি করছে। তিনি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন,আমরা সংবাদপত্রের মাধ্যমে জাতির বিবেক সাংবাদিক সমাজের কাছে আবেদন জানাচ্ছি,আমাদের সমিতিকে বাঁচান। দ্রুত সময়ের মধ্যে মার্কেটের ময়লা-আবর্জনা অপসারণের জন্য ব্যবস্থা নিন। তিনি আরও বলেন,মার্কেটের সামনে ইউ-টার্ন দেওয়ার কারণে বড় গাড়িগুলো মালামাল আনতে পারছে না। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে এই ইউ-টার্নটি অপসারণের দাবি জানাই। তিনি দুঃখের সঙ্গে আরও বলেন, মার্কেটের পানের আড়তের দক্ষিণ পাশে থাকা টয়লেটটি পরিত্যক্ত ঘোষণার পর এখন উত্তর পাশে নতুন টয়লেট নির্মাণের দাবি জানিয়েছি। এটি ব্যবসায়ীদের প্রাণের দাবি। তিনি বলেন,সমিতির নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত ডাস্টবিন ভেঙে দেওয়া হয়, দুই সদস্যের দোকানের সিঁড়িও ভেঙে ফেলা হয়। এমনকি অস্থায়ী খুঁটি ভেঙে সমিতির উন্নয়ন কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে। আমাদের নিজস্ব জায়গায় জোরপূর্বক বাথরুম নির্মাণের অপচেষ্টা চলছে। সমিতির অনুমোদিত ময়লা পরিস্কারের বক্স ও ব্যবসায়ীদের ৩০টি ভ্যান গাড়িও নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন,হাইকোর্ট ও জজকোর্ট কর্তৃক নিষেধাজ্ঞার সাইনবোর্ড পর্যন্ত ভেঙে ফেলা হয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে নির্বাহী কর্মকর্তা নিজ মুখে হাইকোর্টকে ‘হইরা কোর্ট’ বলে অবমাননাকর মন্তব্য করেন এবং অকথ্য ভাষায় সমিতির পরিচালকদের গালিগালাজ করেন। পরিচালনা পরিষদের ২৫জন সদস্যের উপস্থিতে এই সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মার্কেটের ব্যবসায়ী সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল মালেক। কোষাধ্যক্ষ ইসমাইল হোসেন দুলাল মার্কেটের সদস্য কাজী মোহাম্মদ আলী সহ আরো অনেকে। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী জেলা ও উপজেলা পযার্য়ের প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সাংবাদিকবৃ
”শিশুর কথা শুনব আজ,শিশুর জন্য করব কাজ”এই প্রতিপাদ্য নিয়ে সুনামগঞ্জে বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহব্যাপী -২০২৫ উদ্বোধন,আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল ১১টায় সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ শিশু একাডেমি সুনামগঞ্জের যৌথ আয়োজনে শহরের জেলা শিল্পকলা একাডেমির হাছন রাজা মিলনায়তনে সপ্তাহব্যাপী প্রধান অতিথি হিসেবে এই বিশ্ব শিশুদিবসের উদ্বোধন করেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াছ মিয়া। সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) তাপস শীলের সভাপতিত্বে ও ইসলামি রিলিফ বাংলাদেশের শামসুল আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার তোফায়েল আহাম্মেদ,সিভিল সার্জন ডাঃ জসিম উদ্দিন,সুনামগঞ্জ জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা বাদল চন্দ্র বর্মণ,অনুষ্ঠানে ওয়াল্ড ভিশনের ম্যানেজার আপস চিমিম,আদিবাসি উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মাসুদ পারভেজ প্রমুখ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াছ মিয়া বলেছেন,আজ বিশ্ব শিশু দিবস হলেও আমাদের শিশুদের প্রতিদিন এই দিবসটি পালন করা প্রয়োজন। কেননা প্রতিটি শিশুর অভিভাবকরা যদি তাদের সন্তানদের জন্য এই দিবসটি প্রতিদিন মনে করে তাদের আর্দশ শিশু সন্তান হিসেবে গড়ে তোলা না হয় তাহলে শিশুদের মনন ও মেধা বিকাশে বিরুপ প্রভাব পড়বে। তিনি আরো বলেন আজকাল অনেক পরিবারের অভিভাবকরা তাদের অবুঝ সন্তানদের সাথে এন্ডোজ মোবাইল ফোনে আসক্ত করে টিকটকে মনোনিবেশের পাশাপাশি ফেইসবুকে আইডি খুলে দেয়ার ও সুযোগ সৃষ্টি করে দিচ্ছেন, যা আগামী প্রজন্মের আজকের শিশুরা লেখাপড়া ও খেলাধূলার পরিবর্তে মোবাইল ফোনে আসক্ত হচ্ছেন। এসব কালচার থেকে সচেতন অভিভাবকদের বেরিয়ে এসে সার্বক্ষনিক তাদের আগামীর নতুন স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ে তুলতে মেধা ও মননে লেখাপাড়ার মাধ্যমে মেধার বিকাশ ঘটানো গেলেই লেখাপড়ার জীবন শেষ করে একটি সন্তান যেমন সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে আর্দশ মানুষ হিসেবে তাদের সুন্দর একটি পরিবার গড়ে তোলার পাশাপাশি দেশ গঠনেও তারা নেতৃত্ব দিতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার তোফায়েল আহাম্মেদ বলেছেন,একটি পরিবারে তার শিশুর বেড়ে উঠা থেকে শুরু করে আলোকিত মানুষ করে তুলতে হলে নিজের ঘরের নারী কিংবা সহধর্মিনীকে সম্মান করতে হবে। কেননা ঘরের নারীকে সম্মান করলে সন্তানটির প্রতি ঐ নারী বা স্ত্রীর দায়িত্ব অনেকগুন বেড়ে যাবে ফলে শিশুদের লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধূলোয় মনোনিবেশের মাধ্যমে একজন আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব। আর আজকেই বিশ্ব শিশুদিবস পালন করেই আমরা সীমাবদ্ধ থাকব না মনে করতে হবে প্রতিটি দিন আমাদের শিশুদের জন্য এই দিবসটির গুরুত্ব অপরিসীম। তখনই শিশুদের প্রতি আমরা যারা অভিভাবকরা রয়েছি সকলের দায়িত্ববোধের জায়গাটা বেড়ে যাবে। তিনি সকল শিশুদের উজ্জল ভবিষ্যৎ কামনা করেন। পরে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শিশু শিল্পীরা গান পরিবেশন করে অতিথিদের আনন্দ প্রদান করেন। ##
কুলাউড়ায় ড. প্রফেসর সাইফুল আলমের গণসংযোগ ও ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাবনা বিতরণ। মোঃ শামীম শাহরিয়ার। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) কুলাউড়া শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বহির্বিশ্ব জাতীয়তাবাদী ফোরাম কুলাউড়ার সভাপতি এবং আগামী জাতীয় নির্বাচনে কুলাউড়া আসনের সম্ভাব্য এমপি পদপ্রার্থী উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তি ড. প্রফেসর সাইফুল আলম রসুলগঞ্জ বাজারে গণসংযোগ করেন। তিনি তারুণ্যের অহংকার দেশনেতা তারেক রহমান মহোদয়ের ঘোষিত ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে নেতাকর্মীদের সাথে কৌশল বিনিময় করেন এবং পরে স্থানীয় বাজারে সাধারণ জনতার হাতে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করেন। এ সময় তিনি বলেন, “জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনা, সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা এবং একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়াই আমাদের মূল লক্ষ্য। তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমেই দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে।” নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের উপস্থিতিতে বাজারজুড়ে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ।
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”
গাজীপুর, টঙ্গী | রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫: টঙ্গীর মিলগেট এলাকার একটি রাসায়নিক গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ফায়ার সার্ভিসের তিন সদস্যসহ চারজনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন). শনিবার রাত (২৭ সেপ্টেম্বর) ঘটে যাওয়া এ অগ্নিকাণ্ড দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর নিয়ন্ত্রণে আসে, তবে এতে ফায়ার সার্ভিসের তিন সদস্য প্রাণ হারান। ঘটনায় গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন রাঙ্গামাটির স্থানীয় সাংবাদিক এবং বাংলাদেশ টেলিমিডিয়া সাপোর্ট ফোরাম (বিটিএসএফ)-এর কেন্দ্রীয় সদস্য এম এস শ্রাবণ মাহমুদ (Srabon Mahmud)। রবিবার গণমাধ্যমে পাঠানো শোকবার্তায় তিনি বলেন, “অগ্নিকাণ্ডে জীবন বাঁচানোর দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তিনজন সাহসী ফায়ার ফাইটার শহীদ হয়েছেন। মহান আল্লাহ তাঁদের প্রতি রহম করুন, ক্ষমা করুন এবং জান্নাতুল ফিরদাউস দান করুন। তাঁদের পরিবার-প্রিয়জন, সহকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের আল্লাহ উত্তম ধৈর্য ধারণের তাওফিক দিন।” তিনি আরও বলেন, “জাতির এ সূর্যসন্তানদের রাষ্ট্রীয়ভাবে যথাযথ মর্যাদা দেওয়া এবং প্রত্যেক পরিবারের পাশে দাঁড়ানো সরকারের নৈতিক দায়িত্ব।” প্রসঙ্গত, টঙ্গীর মিলগেট এলাকার উক্ত গুদামে শনিবার রাতে আগুন লাগার পর ফায়ার সার্ভিসের একাধিক ইউনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে হতাহতের সঠিক সংখ্যা ও ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ হিসাব সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যাচাই করছে।
কালিগন্জ,গাজীপুর প্রতিনিধি: মাদক নির্মূলে প্রশাসনের পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন সিনিয়র সাংবাদিক শামীম শাহরিয়ার। তিনি বলেন, “বর্তমান সময়ে মাদকের ভয়াল থাবায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তরুণ প্রজন্ম। শুধু প্রশাসনিক উদ্যোগে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়, প্রয়োজন সম্মিলিত সামাজিক প্রতিরোধ।” তিনি আরও বলেন, সামাজিকভাবে মাদক প্রতিরোধে কয়েকটি পদক্ষেপ জরুরি। এর মধ্যে রয়েছে— ১. মাদকের ক্ষতিকর প্রভাব সবার সামনে তুলে ধরা। ২. তরুণদের জন্য বিকল্প বিনোদনের ব্যবস্থা করা। ৩. মাদকের সহজলভ্যতা রোধে স্থানীয় পর্যায়ে সচেতনতা ও প্রতিরোধ গড়ে তোলা। ৪. পরিবারকে মাদক সম্পর্কে সচেতন করা। শামীম শাহরিয়ার মনে করেন, পরিবার থেকে শুরু করে সমাজের সর্বস্তরে যদি সচেতনতা তৈরি করা যায় তবে তরুণ প্রজন্মকে মাদকের ভয়াল গ্রাস থেকে রক্ষা করা সম্ভব। তিনি বলেন, “শুধু সরকারের ওপর নির্ভর করলে চলবে না। সমাজের প্রতিটি মানুষকে মাদকবিরোধী আন্দোলনের অংশ হতে হবে। তাহলেই মাদকমুক্ত সমাজ গড়া সম্ভব।”
২৮ বর্ডারগার্ড ব্যাটালিয়ান(বিজিবি)”র অভিযানে ১২টি ভারতীয় গরু আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার ভোরে ২৮ বর্ডারগার্ড ব্যাটালিয়ান(বিজিবি)”র সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার রঙ্গারচর ইউনিয়নের আশাউড়া বিওপির সদস্যরা গোপন সংবাদে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ভারত বাংলাদেশের সীমান্ত পিলার ১২২২/৫ এস হতে আনুমানিক ১০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে শাহাপুর নামক স্থানে অভিযান পরিচালনা করে মালিক বিহীন অবৈধ পথে আনা এই ১২টি ভারতীয় গরু আটক করা হয়। যার আনুমানিক বর্তমান বাজার মূল্যে ৬ লাখ টাকা হবে। এ ব্যাপারে ২৮ বর্ডারগার্ড ব্যাটালিয়ান(বিজিবি)”র সুনামগঞ্জ অঞ্চলের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল একেএম জাকারিয়া কাদির ভারতীয় গরুগুলো আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,বিজিবি”র সদর দপ্তরের উধর্বতন কর্তপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা,চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবি”র আভিযানিক কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। তিনি বলেন আটককৃত গরুগুলো সুনামগঞ্জ শুল্ক কার্যালয়ে জমাদানের প্রস্তুতি চলছে।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, কালিহাতী উপজেলা শাখার নতুন কমিটির পরিচিতি ও আইডি কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠান গত ১৪ সেপ্টেম্বর রোববার সন্ধ্যা ৬টায় উপজেলা পরিষদের কন্ফারেন্স কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের কালিহাতী উপজেলা শাখার সভাপতি শাহ আলম এবং পরিচালনা সংগঠনের সাধারন সম্পাদক আনন্দ মহন দত্ত। প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ খায়রুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কালিহাতী থানার ওসি তদন্ত মোঃশরিফুল ইসলাম শরিফ, ফেরদৌস আলম ফিরোজ কলেজের অধ্যক্ষ শাজাহান কবির, কালিহাতী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি গৌরাঙ্গ বিশ্বাস ও মীর আনোয়ার হোসেন, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সোহেল রানা।। অন্যান্যের মধ্য বক্তব্য রাখেন,, সহ সভাপতি গোবিন্দ চন্দ সাহা, মিজানুর রহমান, শফিউর রহমান খান শাফি,মাসুদুর রহমান বালা, আব্দুল বারেক, শামীম প্রামাণিক, জাকির হোসেন জিন্নাহ, শফিকুল ইসলাম, রাশিদা খানম প্রমুখ। প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, “মানবাধিকার সংরক্ষণ শুধু কাগজে কলমে সীমাবদ্ধ নয়, এর বাস্তব প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। মানবিক মূল্যবোধ চর্চার মধ্য দিয়েই একটি সুস্থ সমাজ গড়ে ওঠে।” বিশেষ অতিথি সায়েদা খানম লিজা বলেন, “জনগণের মৌলিক অধিকার রক্ষা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় মানবাধিকার কমিশনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সমাজে ন্যায় ও সমতা প্রতিষ্ঠার জন্য তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে।” অন্য বিশেষ অতিথি মোঃ শরিফুল ইসলাম শরিফ বলেন, “আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যেমন পুলিশের ভূমিকা আছে, তেমনি মানবাধিকার সচেতনতা সমাজে অপরাধ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।” সভাপতি শাহ আলম বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে মানবাধিকার সুরক্ষা ও সবার জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা। উপজেলা শাখার নবগঠিত কমিটি সে লক্ষ্যেই কাজ করবে।” পরে অতিথিবৃন্দ নতুন কমিটির সদস্যদের হাতে পরিচয়পত্র (আইডি কার্ড) তুলে দেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।
সুনামগঞ্জে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর কোন সুযোগ নেই। অবাধ,সুষ্ঠ সুন্দর ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে সরকারের পাশাপাশি সকল বাহিনী ইতিমধ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছে। আজ শুক্রবার দুপুরে সুনামগঞ্জের সীমান্তবর্তী তাহিরপুর উপজেলার লাউরেরঘর এলাকায় শ্রী শ্রী অদ্বৈত মহাপ্রভুর মন্দির কমপ্লেক্স ভবণ নির্মাণ কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে এসব কথা বলেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে সরকার নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে এবং নির্বাচন কমিশন সেই অনুযায়ী কাজ করবে। সেই সাথে ইতিমধ্যে পুলিশের ট্রেনিং, সেনাবাহিনীর কতজন লোক থাকবে সেই কাজও শুরু হয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা নির্ধারিত তারিখে এই সরকার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও উৎস উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে জাতীয় নির্বাচন সম্পূর্ণ করতে পারবে সেই প্রস্তুুতি সরকারের আছে। এবং নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে আমরা আমাদের পুরোনো ঠিকানায় চলে যাবো। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক ডাঃ মোহাম্মদ ইলিয়াছ মিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসেন, তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান মানিক ,শ্রী শ্রী অদ্বৈত ধাম পরিচালনা কমিটির সাধারন সম্পাদক অদ্বৈত রায় ও সুরঞ্জিত চৌধুরী টপ্পা প্রমুখ।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতায় আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতন ও ছাত্র-জনতার বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ৫ আগস্ট (মঙ্গলবার) গাজীপুরের কালিয়াকৈর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় (মডেল মসজিদ সংলগ্ন) এক বিশাল বিজয় সমাবেশ ও র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং পৌর বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সাইজুদ্দিন আহম্মেদের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মোঃ হুমায়ুন কবির খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোঃ মজিবুর রহমান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন— উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আখতার উজ জামান, পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি দেওয়ান মোয়াজ্জেম হোসেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোকলেছুর রহমান,জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি হযরত আলী মিলন, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মোঃ তপন খান,পৌর যুবদলের আহ্বায়ক মোঃ জয়নাল আবেদীন ও সদস্য সচিব আমজাদ হোসেন,উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোঃ শামসুজ্জামান শিপলু বকসীসহ বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।নেতারা তাঁদের বক্তব্যে বলেন, “গত বছরের এই দিনে ছাত্র-জনতার বীরত্বপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্রবিরোধী আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতন ঘটে। এ বিজয় শুধু বিএনপির নয়, এটি দেশের স্বাধীনতাকামী ও গণতন্ত্রপ্রত্যাশী সকল মানুষের অর্জন।সমাবেশ শেষে এক বিশাল বিজয় র্যালি বের হয়, যা কালিয়াকৈরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র্যালিতে বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শত শত নেতাকর্মী ব্যানার, ফেস্টুন ও নানা স্লোগানে সরকারের দমননীতি ও গণতন্ত্র হরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান।বৃষ্টি থাকা সত্ত্বেও সমাবেশ ও র্যালিতে সাধারণ জনগণসহ বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীর স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।নেতাকর্মীরা এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলন আরও বেগবান করার ঘোষণা দেন।
ঢাকা, ২০২৫ – ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদপ্তর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বাংলাদেশি তৈরি পোশাকসহ কয়েকটি নির্দিষ্ট পণ্যের ওপর ভারতের স্থলবন্দর দিয়ে প্রবেশে তাৎক্ষণিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে বাংলাদেশের এসব পণ্য এখন শুধুমাত্র নহবা সেবা (Nhava Sheva) ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে ভারতে পাঠানো যাবে। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার ফলে আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম রাজ্যের শুল্কপয়েন্ট, এবং পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্ধা ও ফুলবাড়ি সীমান্ত দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কার্বোনেটেড ড্রিংকস, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, তুলার পণ্য, প্লাস্টিক সামগ্রী এবং কাঠের আসবাব আমদানি বন্ধ করা হয়েছে। তবে, মাছ, ভোজ্য তেল, এলপিজি এবং চূর্ণ পাথরের মতো কিছু পণ্যের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য নয়। 🟨 রপ্তানির খরচ বাড়বে: ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, শুধুমাত্র নৌ ও বিমানপথ ব্যবহারের কারণে বাংলাদেশের রপ্তানিকারকদের খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যাবে। এর ফলে দেশের তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্যের প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান দুর্বল হতে পারে। 🔁 বাণিজ্যিক উত্তেজনার ধারাবাহিকতা: বিশ্লেষকরা বলছেন, এই নিষেধাজ্ঞা মূলত সাম্প্রতিক কিছু রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক টানাপোড়েনের প্রতিফলন। এর আগে গত মার্চে চীনের বেইজিংয়ে এক বক্তৃতায় বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস বলেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল স্থলবেষ্টিত এবং সেসব অঞ্চলের একমাত্র ‘সমুদ্র অভিভাবক’ বাংলাদেশ। এরপর ভারত হঠাৎ করে বাংলাদেশকে দেয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে। এছাড়া, গত মাসে বাংলাদেশ ভারত থেকে তুলা আমদানির ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে, যা দেশের স্থানীয় শিল্পকে সস্তা আমদানির চক্র থেকে বের করে আনার কৌশলের অংশ বলে উল্লেখ করা হয়। উল্লেখযোগ্য যে, ২০২৪ সালে ভারত বাংলাদেশে ১.৬ বিলিয়ন ডলারের তুলা রপ্তানি করেছিল, যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ এসেছিল স্থলপথে। 📉 রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট: গত বছর ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হন এবং বর্তমানে ভারতে নির্বাসিত জীবনযাপন করছেন। এই রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর থেকেই বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে উত্তেজনা ও আস্থাহীনতা বেড়েছে বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা। 🧵 আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড ও রপ্তানি বিপন্ন: বিশ্বের নামীদামি ব্র্যান্ডের জন্য বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়, যার একটি বড় অংশ স্থলপথে ভারতে প্রবেশ করত এবং সেখান থেকে ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে ইউরোপ ও আমেরিকায় পৌঁছে যেত। নতুন নিষেধাজ্ঞার ফলে এই চেইনে বড় ধরণের বিঘ্ন ঘটবে।
নারীদের অধিকার রক্ষায় যেকোনো যৌক্তিক দাবিকে সর্বাত্মক সমর্থন জানানোর কথা বলেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতা সার্জিস আলম। তবে তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন যে, নারীর অধিকার আন্দোলনের আড়ালে যদি সমকামিতা, ট্রান্সজেন্ডার কিংবা এলজিবিটিকিউ (LGBTQ) মত বিকৃত ও ধ্বংসাত্মক কালচারকে প্রমোট করার অপচেষ্টা চলে, তবে তা প্রতিহত করতে হবে সম্মিলিতভাবে। সার্জিস আলম তার ব্যক্তিগত ফেসবুক স্টেটাসে লিখেন, "পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র ধ্বংস করার এই মরণব্যাধিগুলো যারা সরাসরি বা ঘুরপথে প্রমোট করতে চায়, তারা মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত। তাদের প্রয়োজন মানসিক চিকিৎসা, কিন্তু কোনোভাবেই এই বিষবৃক্ষকে প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। এটা সেই ক্যান্সার, যা ঘর থেকে শুরু করে পুরো জাতিকে ধ্বংস করতে পারে।" তিনি আরও বলেন, নারীদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে ন্যায়বিচার ও মানবিকতার আলোকে। তবে এলজিবিটিকিউ ধরনের সংস্কৃতি সমাজে ঢুকিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র হলে তা কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে। এদিকে, পতিতাবৃত্তির মতো মর্মান্তিক নির্যাতনকে 'পেশা' হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রবণতারও কড়া সমালোচনা করেন সার্জিস আলম। তিনি বলেন, "এটি কোনো পেশা নয় বরং একটি চরম মানবিক বিপর্যয়। যারা বাধ্য হয়ে অথবা প্রতারণার শিকার হয়ে এই পথে এসেছে, রাষ্ট্রের উচিত তাদেরকে পুনর্বাসনের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা।" নারী অধিকার, সামাজিক মূল্যবোধ ও রাষ্ট্রীয় নীতির প্রশ্নে জাতীয় নাগরিক পার্টির এ বক্তব্য ইতোমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে তীব্র আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সমর্থকরা একে সত্য উচ্চারণ হিসেবে অভিহিত করলেও, সমালোচকরা বলছেন, বিষয়গুলো আরও সংবেদনশীলভাবে উপস্থাপন করা প্রয়োজন ছিল।
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”
বাংলাদেশের বৃহৎ এনজিও সংস্থা "আশা"এর উদ্যোগে হয়ে গেল ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন যেখানে ফ্রিতে চিকিৎসা দেওয়া হয় এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবী এবং কর্মজীবী মানুষের মধ্যে। ২৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার সোনামুই গ্রামে সকাল থেকে এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন করা হয় আশায় এনজিও হেমনগর শাখার উদ্যোগে এটি বাস্তবায়িত করা হয়। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যকর্মী এবং মেডিকেল অফিসারসহ অন্যান্য সেবিকারা। আশা এনজিও কর্তৃক ক্যাম্পেইনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন "আশা" হেমনগর ব্রাঞ্চের পক্ষথেকে আশা এনজিওর এই ক্যাম্পেইনে গ্রামের সকল পেশাজীবীর মানুষেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্যাম্পেইনটিতে অংশগ্রহণ করেন এবং তারই মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সঠিক ভাবে নিরূপণ করতে সহযোগিতা করেন। আশা এনজিওর মাধ্যমে ক্যাম্পেইন করে মানুষের জন্য সময় উপযোগী এবং প্রয়োজনীয় একটি বিষয় হয়ে দাঁড়াবে যেটি গ্রামের মানুষের মধ্যে সচেতনতা এবং স্বাস্থ্য সঠিকভাবে পর্যালোচনা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই উদ্যোগে এলাকাবাসী অত্যন্ত প্রাণবন্ত ভাবে উৎফুল্ল প্রকাশ করেছে। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিকবৃন্দ এবং সাধারণ মানুষ। এবং তাদের ক্যাম্পেইন ডাক্তার সঠিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেছে। আশা এনজিও আগামী দিনগুলোর জন্য এইরকম ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ধাপ হিসাবে গণ্য হবে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদল সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লা পাড়া ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে সদর উপজেলার স্থানীয় বেতগঞ্জ বাজাএই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আবুল কাশেম দুলু সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এডভোকেট দীপংঙ্কর বনিক সুজিতের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক মনাজ্জির হোসেন। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সুহেল মিয়া, শাহজাহান মিয়া, এডভোকেট আব্দুল আহাদ জুয়েল, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মুজাব্বির হোসেন অপু, ইমরান হোসেন শ্যামল, বিপ্লব খান, মো:শামিম আহমদ, সেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক সাদিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতাউর চৌধুরী শাহীন প্রমুখ। এ ছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার আলম, লিয়াকত আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতহাব চৌধুরী হাসান, শাখাওয়াত হোসেন পলাশ, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইমন আহমেদ, ফয়সাল আহমেদ, মিছবাহ হোসেন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মহিম উদ্দিন, জেলা যুবদলের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মঈনুদ্দিন আহমেদ রিপন,সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আব্দুল কাইয়ুম সৌরভ, বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম, ময়না মিয়া,স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রুজেল আহমেদ, আবুল হাসনাত, জেলা ছাত্রদল নেতা ইয়াহিয়া হাসান প্রমুখ। এ সময় সদর উপজেলা ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন,বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের দুঃসময়ে যারা রাজপথে নির্যাতিত ও নিপিিতড় হয়েছেন, তাদের যথাযথ মূল্যায়নের ভিত্তিতেই ভবিষ্যতের ইউনিয়ন কমিটি গঠন করতে হবে। আওয়ামী লীগ ঘেঁষা বা ফ্যাসিস্টদের সাথে সম্পৃক্ত কোনো ব্যক্তিকে কমিটিতে রাখা যাবে না বলেও তারা দাবি জানান। দুর্দিনে যারা আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন তাদেরকে কমিটিতে মুল্যায়ন করা হবে। তারা বলেন,সুনামগঞ্জে জাতীয়তাবাদি শক্তির প্রাণপূরুষ এবং বিগত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে জেল জুলুম,হুলিয়া মাথায় নিয়ে এই সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা কেবল জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বর্তূমান জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৪(সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুলের নেতৃত্বে আমরা রাজপথে ছিলাম এবং আগামী নির্বাচনে এই আসনে জনপ্রিয় ধানের শীষের প্রার্থী একমাত্র নুরুল ইসলাম নুরুলকে বিএনপির প্রার্থী করতে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া,ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিকট তৃণমূলের নেতৃবৃন্দরা জোর দাবী জানান।
(২২ অক্টোবর) সকালে টাঙ্গাইল পৌর এলাকার পার্ক বাজার সংলগ্ন গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানটি পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল। তিনি তার বিশেষ মনিটরিং টিম নিয়ে দোকানে থাকা দইয়ের উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ না থাকা, বেশ কিছু পরিমাণ পচে যাওয়া দই দোকানে সংরক্ষণ করা এবং মিষ্টান্ন তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল পাওয়ার দায়ে টাঙ্গাইলের গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে, আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবেন। অভিযানে পৌর স্যানেটারি ইন্সপেক্টর ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ প্রসঙ্গে গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী স্বপ্নন কুমার ঘোষ জানান, সাধারণত তিনি খুচরা ভাবে দধি বিক্রি করে থাকেন। ফলে তৈরিকৃত দধিতে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ দেওয়া সম্ভব হয় না। তবে এখন থেকে দেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, উদ্ধারকৃত পচে যাওয়া দধিগুলো ফেলে দেওয়ার জন্য রাখা হয়েছিল। এছাড়া যে মিষ্টি তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল হাওয়া গেছে, সেটি বর্তমানে মিষ্টি তৈরীর কাজে ব্যাবহার করা হচ্ছে না। আমরা সবসময় চেষ্টাকরি গ্রাহককে সর্বোচ্চ মানের দধি ও মিষ্টান্ন সরবরাহ করার।
সুনামগঞ্জে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর কোন সুযোগ নেই। অবাধ,সুষ্ঠ সুন্দর ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে সরকারের পাশাপাশি সকল বাহিনী ইতিমধ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছে। আজ শুক্রবার দুপুরে সুনামগঞ্জের সীমান্তবর্তী তাহিরপুর উপজেলার লাউরেরঘর এলাকায় শ্রী শ্রী অদ্বৈত মহাপ্রভুর মন্দির কমপ্লেক্স ভবণ নির্মাণ কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে এসব কথা বলেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে সরকার নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে এবং নির্বাচন কমিশন সেই অনুযায়ী কাজ করবে। সেই সাথে ইতিমধ্যে পুলিশের ট্রেনিং, সেনাবাহিনীর কতজন লোক থাকবে সেই কাজও শুরু হয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা নির্ধারিত তারিখে এই সরকার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও উৎস উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে জাতীয় নির্বাচন সম্পূর্ণ করতে পারবে সেই প্রস্তুুতি সরকারের আছে। এবং নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে আমরা আমাদের পুরোনো ঠিকানায় চলে যাবো। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক ডাঃ মোহাম্মদ ইলিয়াছ মিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসেন, তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান মানিক ,শ্রী শ্রী অদ্বৈত ধাম পরিচালনা কমিটির সাধারন সম্পাদক অদ্বৈত রায় ও সুরঞ্জিত চৌধুরী টপ্পা প্রমুখ।