সারা দেশ

চিরকুট দিয়ে হসপিটালে ফেলে গেল নবজাতকে

reporter-icon
কৌশিক সাজ্জিদ পিয়াল: স্টাফ রিপোর্টার, টাংগাইল প্রতিনিধি
নভেম্বর ৮, ২০২৫ | 0
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে নবজাতক ফেলে যাওয়ার যে ঘটনাটি উল্লেখ করা হয়েছে, তা সম্ভবত সাম্প্রতিক নয় এবং এতে কিছু বিভ্রান্তি থাকতে পারে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এই ধরনের একটি ঘটনা দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ঘটেছে, টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে নয়। দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের নবজাতক ইউনিটে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় (৬ নভেম্বর ২০২৪ বা ২০২৫, তারিখের উল্লেখ বিভিন্ন সূত্রে ভিন্ন) এক নবজাতক কন্যাসন্তানকে ফেলে রেখে যাওয়া হয়। শিশুটির পাশে পাওয়া চিরকুটে লেখা ছিল: “আমি একজন হতভাগী পরিস্থিতির শিকার হয়ে বাচ্চা রেখে গেলাম। দয়া করে কেউ নিয়ে যাবেন। বাচ্চার জন্ম তারিখ ৪/১১/২৫। রোজ মঙ্গলবার। বাচ্চাটি কে আল্লাহ নেক হায়াত দান করুক, আমিন।” শিশুটিকে তার নানা-নানি পরিচয়দানকারী এক দম্পতি হাসপাতালে ভর্তি করেছিল এবং চিকিৎসকদের কথা বলার এক পর্যায়ে তারা শিশুটিকে ফেলে পালিয়ে যায়। শিশুটি বর্তমানে সুস্থ আছে এবং সমাজসেবা অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শিশুটি বর্তমানে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের নবজাতক ইউনিটে (৫১৭ নম্বর ডাক্তারের রুমে) চিকিৎসাধীন রয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শিশুটি সম্পূর্ণ সুস্থ এবং নিয়মিত চিকিৎসা ও তত্ত্বাবধানে আছে। চিরকুটের ছবি ও খবরটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তেই ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। মানবিক আবেগে অনেকেই শিশুটিকে দত্তক নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। ইতোমধ্যে ২০০ জনেরও বেশি মানুষ হাসপাতাল বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বলে জানা গেছে। দিনাজপুর সমাজসেবা অফিসের এক কর্মকর্তা জানান শিশুটির নিরাপত্তা ও ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে আইনি প্রক্রিয়ায় পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কেউ চাইলে সরাসরি দত্তক নেওয়া সম্ভব নয় এ বিষয়ে নির্ধারিত আইন মেনে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। স্থানীয়দের মতে, এই ঘটনাটি সমাজে নারীর অসহায় অবস্থার এক বেদনাদায়ক চিত্র তুলে ধরে। একজন মা নিজের সন্তানকে ফেলে যেতে বাধ্য হয়েছেন এর চেয়ে দুঃখজনক কিছু হতে পারে না। আমাদের সমাজে এমন মায়েদের পাশে দাঁড়ানো জরুরি যাতে আর কেউ এমন পরিস্থিতিতে না পড়ে।
সর্বাধিক পঠিত
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির ঢাকা বিভাগীয় ব্যুরো চীফ হলেন সাংবাদিক মোঃ মনিরুজ্জামান।

দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”

বাংলাদেশের বৃহত্তম এনজিও সংস্থা"আশা"উদ্যোগে গোপালপুরে সোনামুই গ্রামে হয়ে গেল মেডিকেল ফ্রি ক্যাম্পিং

বাংলাদেশের বৃহৎ এনজিও সংস্থা "আশা"এর উদ্যোগে হয়ে গেল ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন যেখানে ফ্রিতে চিকিৎসা দেওয়া হয় এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবী এবং কর্মজীবী মানুষের মধ্যে। ২৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার সোনামুই গ্রামে সকাল থেকে এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন করা হয় আশায় এনজিও হেমনগর শাখার উদ্যোগে এটি বাস্তবায়িত করা হয়। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যকর্মী এবং মেডিকেল অফিসারসহ অন্যান্য সেবিকারা। আশা এনজিও কর্তৃক ক্যাম্পেইনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন "আশা" হেমনগর ব্রাঞ্চের পক্ষথেকে আশা এনজিওর এই ক্যাম্পেইনে গ্রামের সকল পেশাজীবীর মানুষেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্যাম্পেইনটিতে অংশগ্রহণ করেন এবং তারই মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সঠিক ভাবে নিরূপণ করতে সহযোগিতা করেন। আশা এনজিওর মাধ্যমে ক্যাম্পেইন করে মানুষের জন্য সময় উপযোগী এবং প্রয়োজনীয় একটি বিষয় হয়ে দাঁড়াবে যেটি গ্রামের মানুষের মধ্যে সচেতনতা এবং স্বাস্থ্য সঠিকভাবে পর্যালোচনা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই উদ্যোগে এলাকাবাসী অত্যন্ত প্রাণবন্ত ভাবে উৎফুল্ল প্রকাশ করেছে। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিকবৃন্দ এবং সাধারণ মানুষ। এবং তাদের ক্যাম্পেইন ডাক্তার সঠিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেছে। আশা এনজিও আগামী দিনগুলোর জন্য এইরকম ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ধাপ হিসাবে গণ্য হবে।

সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লা পাড়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকদল শাখার উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদল সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লা পাড়া ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার  বিকালে সদর উপজেলার স্থানীয় বেতগঞ্জ বাজাএই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আবুল কাশেম দুলু সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এডভোকেট দীপংঙ্কর বনিক সুজিতের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক মনাজ্জির হোসেন। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সুহেল মিয়া, শাহজাহান মিয়া, এডভোকেট আব্দুল আহাদ জুয়েল, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মুজাব্বির হোসেন অপু, ইমরান হোসেন শ্যামল, বিপ্লব খান, মো:শামিম আহমদ, সেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক সাদিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতাউর চৌধুরী শাহীন প্রমুখ।  এ ছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার আলম, লিয়াকত আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতহাব চৌধুরী হাসান, শাখাওয়াত হোসেন পলাশ, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক  ইমন আহমেদ, ফয়সাল আহমেদ, মিছবাহ হোসেন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মহিম উদ্দিন, জেলা যুবদলের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মঈনুদ্দিন আহমেদ রিপন,সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আব্দুল কাইয়ুম সৌরভ,  বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম, ময়না মিয়া,স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রুজেল আহমেদ, আবুল হাসনাত, জেলা ছাত্রদল নেতা ইয়াহিয়া হাসান প্রমুখ। এ সময় সদর উপজেলা ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।  বক্তারা বলেন,বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের দুঃসময়ে যারা রাজপথে নির্যাতিত ও নিপিিতড় হয়েছেন, তাদের যথাযথ মূল্যায়নের ভিত্তিতেই ভবিষ্যতের ইউনিয়ন কমিটি গঠন করতে হবে। আওয়ামী লীগ ঘেঁষা বা ফ্যাসিস্টদের সাথে সম্পৃক্ত কোনো ব্যক্তিকে কমিটিতে রাখা যাবে না বলেও তারা দাবি জানান। দুর্দিনে যারা আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন তাদেরকে কমিটিতে মুল্যায়ন করা হবে। তারা বলেন,সুনামগঞ্জে জাতীয়তাবাদি শক্তির প্রাণপূরুষ এবং বিগত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে জেল জুলুম,হুলিয়া মাথায় নিয়ে এই সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা কেবল জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বর্তূমান জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৪(সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুলের নেতৃত্বে আমরা রাজপথে ছিলাম এবং আগামী নির্বাচনে এই আসনে জনপ্রিয় ধানের শীষের প্রার্থী একমাত্র নুরুল ইসলাম নুরুলকে বিএনপির প্রার্থী করতে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া,ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিকট তৃণমূলের নেতৃবৃন্দরা জোর দাবী জানান।

টাঙ্গাইল শহরের গৌরঘোষ দধি ভাণ্ডারে ভ্রাম্যমান আদালতের জরিমানা

(২২ অক্টোবর) সকালে টাঙ্গাইল পৌর এলাকার পার্ক বাজার সংলগ্ন গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানটি পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল। তিনি তার বিশেষ মনিটরিং টিম নিয়ে দোকানে থাকা দইয়ের উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ না থাকা, বেশ কিছু পরিমাণ পচে যাওয়া দই দোকানে সংরক্ষণ করা এবং মিষ্টান্ন তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল পাওয়ার দায়ে টাঙ্গাইলের গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে, আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবেন। অভিযানে পৌর স্যানেটারি ইন্সপেক্টর ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ প্রসঙ্গে গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী স্বপ্নন কুমার ঘোষ জানান, সাধারণত তিনি খুচরা ভাবে দধি বিক্রি করে থাকেন। ফলে তৈরিকৃত দধিতে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ দেওয়া সম্ভব হয় না। তবে এখন থেকে দেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, উদ্ধারকৃত পচে যাওয়া দধিগুলো ফেলে দেওয়ার জন্য রাখা হয়েছিল। এছাড়া যে মিষ্টি তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল হাওয়া গেছে, সেটি বর্তমানে মিষ্টি তৈরীর কাজে ব্যাবহার করা হচ্ছে না। আমরা সবসময় চেষ্টাকরি গ্রাহককে সর্বোচ্চ মানের দধি ও মিষ্টান্ন সরবরাহ করার।

টাঙ্গাইল সখীপুর উপজেলায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ এর অভিযান

টাংগাইলের সখিপুরে বিভিন্ন কসমেটিক এবং নিত্য প্রয়োজনীয় প্রসাধনীর দোকানগুলোতে এক যোগে অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। ০৬ নভেম্বর ২০২৫ তারিখ সখিপুর উপজেলার সখিপুর বাজারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, টাঙ্গাইল কর্তৃক পরিচালিত এক অভিযানে অবৈধ ও নিষিদ্ধ প্রসাধন সামগ্রী বিক্রয়ের অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুযায়ী এক প্রতিষ্ঠানকে ১,০০,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং বিপুল সংখ্যক নকল প্রসাধন সামগ্রী জব্দ ও ধ্বংস করা হয়েছে। তাঁরা নিয়মিত ভাবে মনিটরিং করবে ।জনস্বার্থে সমগ্র জেলায় এ অভিযান অব্যাহত থাকবে ।

সারা দেশ

আরও পড়ুন
চিরকুট দিয়ে হসপিটালে ফেলে গেল নবজাতকে

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে নবজাতক ফেলে যাওয়ার যে ঘটনাটি উল্লেখ করা হয়েছে, তা সম্ভবত সাম্প্রতিক নয় এবং এতে কিছু বিভ্রান্তি থাকতে পারে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এই ধরনের একটি ঘটনা দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ঘটেছে, টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে নয়। দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের নবজাতক ইউনিটে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় (৬ নভেম্বর ২০২৪ বা ২০২৫, তারিখের উল্লেখ বিভিন্ন সূত্রে ভিন্ন) এক নবজাতক কন্যাসন্তানকে ফেলে রেখে যাওয়া হয়। শিশুটির পাশে পাওয়া চিরকুটে লেখা ছিল: “আমি একজন হতভাগী পরিস্থিতির শিকার হয়ে বাচ্চা রেখে গেলাম। দয়া করে কেউ নিয়ে যাবেন। বাচ্চার জন্ম তারিখ ৪/১১/২৫। রোজ মঙ্গলবার। বাচ্চাটি কে আল্লাহ নেক হায়াত দান করুক, আমিন।” শিশুটিকে তার নানা-নানি পরিচয়দানকারী এক দম্পতি হাসপাতালে ভর্তি করেছিল এবং চিকিৎসকদের কথা বলার এক পর্যায়ে তারা শিশুটিকে ফেলে পালিয়ে যায়। শিশুটি বর্তমানে সুস্থ আছে এবং সমাজসেবা অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শিশুটি বর্তমানে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের নবজাতক ইউনিটে (৫১৭ নম্বর ডাক্তারের রুমে) চিকিৎসাধীন রয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শিশুটি সম্পূর্ণ সুস্থ এবং নিয়মিত চিকিৎসা ও তত্ত্বাবধানে আছে। চিরকুটের ছবি ও খবরটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তেই ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। মানবিক আবেগে অনেকেই শিশুটিকে দত্তক নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। ইতোমধ্যে ২০০ জনেরও বেশি মানুষ হাসপাতাল বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বলে জানা গেছে। দিনাজপুর সমাজসেবা অফিসের এক কর্মকর্তা জানান শিশুটির নিরাপত্তা ও ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে আইনি প্রক্রিয়ায় পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কেউ চাইলে সরাসরি দত্তক নেওয়া সম্ভব নয় এ বিষয়ে নির্ধারিত আইন মেনে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। স্থানীয়দের মতে, এই ঘটনাটি সমাজে নারীর অসহায় অবস্থার এক বেদনাদায়ক চিত্র তুলে ধরে। একজন মা নিজের সন্তানকে ফেলে যেতে বাধ্য হয়েছেন এর চেয়ে দুঃখজনক কিছু হতে পারে না। আমাদের সমাজে এমন মায়েদের পাশে দাঁড়ানো জরুরি যাতে আর কেউ এমন পরিস্থিতিতে না পড়ে।

নভেম্বর ৮, ২০২৫ 0

টাঙ্গাইল জেলা ব্যবসায়ী ঐক্যজোটের সভাপতি আবুল কালাম মোস্তফা লাবুর ওপর হা'ম'লা'র প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

টাঙ্গাইলে ঐতিহ্যবাহী জিআই পণ্য তুলে ধরতে জেলা প্রশাসক জনাব শরীফা হক-এর উদ্যোগে নির্মিত তথ্যচিত্র

টাঙ্গাইলের বাসাইলে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৫০০ মিটার চায়না দুয়ারী জাল জব্দ করে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।

টাঙ্গাইলে ভারতের মথ ডালকে মুগ ডাল হিসেবে বিক্রির দায়ে জরিমানা

টাঙ্গাইলে ভারতীয় মথ ডালে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর রং মিশিয়ে মুগ ডাল হিসেবে বিক্রির অপরাধে দুই অসাধু ব্যবসায়ীকে আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে। বুধবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল পৌর শহরের ছয়আনী বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহিন মিয়া এবং জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের টাঙ্গাইল জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রোমেল। জানা গেছে, বাজারের কিছু অসাধু ব্যবসায়ী মুগ ডালের নামে মথ ডাল বিক্রি করছে। এর পাশাপাশি ওই ডালে রং মিশিয়ে বাজারজাত করছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযানে নামেন উপজেলা প্রশাসন ও জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অভিযানে ছয়আনী বাজারের মা লক্ষ্মী এন্টারপ্রাইজ ও অনিক এন্টারপ্রাইজ নামের দুই দোকানে ভারতীয় মথ ডালে মানবদেহের ক্ষতিকর রং মিশিয়ে মুগ ডাল হিসেবে বিক্রির অভিযোগ হাতেনাতে প্রমানিত হয়। এ অপরাধে দুই দোকানের মালিককে ৫০ হাজার টাকা করে মোট এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের টাঙ্গাইল জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রোমেল সাংবাদিকদের বলেন, মুগ ডাল বলে মথ ডাল বিক্রি করা এবং তাতে রং মেশানো স্পষ্ট প্রতারণা। এ ধরনের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে।

নভেম্বর ৬, ২০২৫ 0

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে দালাল আটক এবং বিভিন্ন মেয়াদে সাজা

কালিহাতীতে বকেয়া পরিশোধ না করায় সিলগালা হলো এলেঙ্গা রিসোর্ট

টাঙ্গাইল দেলদুয়ারে কোর রোড নেটওয়ার্ক অগ্রগতিতে কর্মশালা

দেশের সাধারন মানুষের ভোগান্তির আরেক নাম বিদ্যুৎতের প্রিপেইড মিটার

সাজিদ পিয়াল: প্রিপেইড মিটার নিয়ে মানুষের মধ্যে অসন্তোষ ও ভোগান্তি বেশ সাধারণ ঘটনা। এই ধরনের মিটার ব্যবহারের ফলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, যার কারণে অনেকেই মনে করেন এটি ভোগান্তির আরেক নাম। প্রিপেইড মিটারের সাথে সম্পর্কিত কিছু সাধারণ সমস্যা ও হঠাৎ ব্যালেন্স শেষ হয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া অনেক সময় ব্যবহারকারীরা খেয়াল করেন না বা ভুলে যান যে তাদের মিটারের ব্যালেন্স শেষ হয়ে আসছে। এর ফলে হঠাৎ করেই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, যা দৈনন্দিন জীবনযাত্রা ব্যাহত করে। বিশেষ করে রাতে বা ছুটির দিনে এমন হলে ভোগান্তি আরও বাড়ে, কারণ তৎক্ষণাৎ রিচার্জ করা কঠিন হতে পারে ।পোস্টপেইড মিটারে মাস শেষে বিল দেওয়ার সুযোগ থাকে, কিন্তু প্রিপেইড মিটারে নিয়মিতভাবে ব্যালেন্স চেক করতে হয় এবং প্রয়োজন অনুযায়ী রিচার্জ করতে হয়। অনেক সময় রিচার্জ সেন্টার খুঁজে পাওয়া বা অনলাইনে রিচার্জ প্রক্রিয়ায় সমস্যা দেখা দিতে পারে । অনেক ব্যবহারকারী অভিযোগ করেন যে তাদের মিটার দ্রুত ব্যালেন্স শেষ করে দেয় বা অতিরিক্ত টাকা কেটে নেয়। যদিও এর পেছনে ব্যবহৃত বিদ্যুতের পরিমাণ দায়ী হতে পারে, তবুও এই ধারণা অনেকের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করে মিটারে বিভিন্ন সময় কারিগরি ত্রুটি দেখা দিতে পারে, যেমন ডিসপ্লে কাজ না করা বা রিচার্জের পর ব্যালেন্স যোগ না হওয়া। এসব ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ অফিসের সাথে যোগাযোগ করে সমস্যা সমাধান করা সময়সাপেক্ষ এবং ঝামেলার। অনেক সময় মনে হয় যে প্রিপেইড মিটার ব্যবহারের ফলে বিদ্যুৎ ব্যবহারের উপর সবসময় একটা নজর রাখতে হয়, যা মানসিক চাপের কারণ হতে পারে। যদিও প্রিপেইড মিটার বিদ্যুৎ ব্যবহারে মিতব্যয়িতা আনতে সাহায্য করতে পারে এবং বিল নিয়ে বিতর্কের সুযোগ কমায়, কিন্তু উপরোক্ত সমস্যাগুলোর কারণে এটি অনেকের কাছে 'ভোগান্তির আরেক নাম' হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থাগুলো এই সমস্যাগুলো সমাধানে কাজ করছে, যেমন অনলাইনে বা মোবাইল ব্যাংকিং-এর মাধ্যমে সহজে রিচার্জ করার সুবিধা চালু করা

নভেম্বর ৬, ২০২৫ 0

টাংগাইল জেলার ভুয়াপুর উপজেলা ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ ২০২৫অনুষ্ঠিত হয়

রোহিঙ্গা শিশুদের মাঝে পুষ্টিকর খাদ্য ও পোশাক বিতরণ

টাঙ্গাইল সখীপুর উপজেলায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ এর অভিযান

0 মন্তব্য