সারা দেশ

টাঙ্গাইলে ঐতিহ্যবাহী জিআই পণ্য তুলে ধরতে জেলা প্রশাসক জনাব শরীফা হক-এর উদ্যোগে নির্মিত তথ্যচিত্র

reporter-icon
কৌশিক সাজ্জিদ পিয়াল: সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার ( মুক্তধ্বনি )
নভেম্বর ৮, ২০২৫ | 0
টাঙ্গাইল জেলার পর্যটন সম্ভাবনা, সমৃদ্ধ সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যবাহী জিআই পণ্য তুলে ধরতে জেলা প্রশাসক জনাব শরীফা হক-এর উদ্যোগে নির্মিত তথ্যচিত্র "Colours of Tangail" একটি চমৎকার উদ্যোগ। এই ভিডিওটি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রচারের মাধ্যমে টাঙ্গাইলের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়ানো এবং স্থানীয় অর্থনীতির উন্নয়নে সহায়তা করা সম্ভব। তথ্যচিত্রটি শেয়ার করার জন্য কিছু কার্যকর উপায় নিচে দেওয়া হলো: ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে শেয়ার (Share on Digital Platforms) সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media): Facebook, YouTube, Instagram এবং Twitter-এর মতো প্ল্যাটফর্মে ভিডিওটি আপলোড করা হইছে।বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও পর্যটন বিষয়ক পেজগুলোতেও এটি শেয়ার করা যেতে পারে। অফিসিয়াল ওয়েবসাইট (Official Websites): টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসনের ওয়েবসাইট, বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ডের ওয়েবসাইট এবং অন্যান্য সরকারি পোর্টালে ভিডিওটি যুক্ত হয়েছে। পর্যটন ব্লগ ও ফোরাম (Tourism Blogs and Forums): দেশি-বিদেশি পর্যটন বিষয়ক ব্লগ, ট্রাভেল ফোরাম এবং কমিউনিটি গ্রুপগুলোতে ভিডিওটি শেয়ার করা হয়েছে।আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রচার (International Promotion) বিদেশে অবস্থিত দূতাবাস (Embassies Abroad): বিদেশের বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোতে ভিডিওটি পাঠান, যাতে তারা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বা তাদের নিজস্ব প্রচার মাধ্যমে এটি প্রদর্শন করতে পারে। আন্তর্জাতিক ইভেন্ট ও মেলা (International Events and Fairs): আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলা বা সাংস্কৃতিক উৎসবে টাঙ্গাইলের ঐতিহ্য তুলে ধরার সুযোগ থাকলে সেখানে এই ডকুমেন্টারিটি প্রদর্শন করা হয়েছে। স্থানীয় অর্থনীতি ও জিআই পণ্যের প্রসার (Promoting Local Economy and GI Products) জিআই পণ্যের ব্র্যান্ডিং (Branding GI Products): ভিডিওতে প্রদর্শিত টাঙ্গাইলের শাড়ি, মিষ্টি, ইত্যাদি জিআই পণ্যের অনলাইন প্রচারের ব্যবস্থা । ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের সাথে সংযোগ স্থাপন করে সরাসরি বিক্রির সুযোগ তৈরি করা এবং স্থানীয় উদ্যোক্তাদের সহায়তা (Supporting Local Entrepreneurs): তথ্যচিত্রের মাধ্যমে স্থানীয় কারিগর এবং উদ্যোক্তাদের কাজকে তুলে ধরুন, যা তাদের পণ্যের চাহিদা বাড়াতে সাহায্য করবে। টেকসই উন্নয়নের নিশ্চয়তা (Ensuring Sustainable Development) সচেতনতা সৃষ্টি (Awareness Creation): পর্যটকদের স্থানীয় সংস্কৃতি ও পরিবেশের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে উৎসাহিত করুন। পরিকল্পিত পর্যটন (Planned Tourism): পর্যটন স্থানগুলোতে ভিড়ের চাপ সামলাতে এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষা করতে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। "Colours of Tangail" ডকুমেন্টারিটি টাঙ্গাইলকে একটি আকর্ষণীয় পর্যটন গন্তব্য হিসেবে পরিচিত করতে এবং স্থানীয় অর্থনীতিকে টেকসইভাবে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সর্বাধিক পঠিত
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির ঢাকা বিভাগীয় ব্যুরো চীফ হলেন সাংবাদিক মোঃ মনিরুজ্জামান।

দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”

নবী মুহাম্মদ (সাঃ) - নিষ্পাপ চরিত্রের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ

তিনি ছিলেন মানবজাতির আদর্শ। তিনি অত্যন্ত উদার ও বিনয়ী ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক এবং একজন সাহসী যোদ্ধা। এছাড়াও তিনি একজন দক্ষ প্রশাসক, একজন দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক এবং একজন সফল প্রচারক ছিলেন। তিনিই উত্তম চরিত্র ও উদারতার একমাত্র উৎস। তিনি সকলের আদর্শহীন এবং প্রিয় ব্যক্তিত্ব। যার প্রেমে, দুনিয়া মাতাল। তিনি আমার আদর্শ, তিনি আমার নেতা। তিনি আমার নবী, আমাদের নবী এবং সকলের নবী। তিনি হলেন হযরত মুহাম্মদ (সা.) তিনি সর্বোত্তম আদর্শ। সমস্ত মানবজাতির জন্য করুণা। অন্ধকারে নিমজ্জিত বিশ্বের মানুষের জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে। তার অসাধারণ চরিত্র, মাধুর্য এবং অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব সবাইকে অবাক করেছে। মুমিনের চঞ্চল হৃদয় তাকে এক নজর দেখার জন্য আকুল হয়ে থাকে। কবি কাজী নজরুল বলেছেন: “বিচ্ছেদের রাত ছিল একাকার কান্নার ভোর; আমার মনে শান্তি নেই, আমি কাঁদছি। হে মদিনাবাসীর প্রেমিক, আমার হাত ধর।" তার নিষ্কলুষ চরিত্রের স্বীকৃতি দিয়ে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, "তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।" (সূরা আল-আহজাব, আয়াত 21)। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে আজ কিছু লোক সেই নবীর সম্মানকে অবমাননা করছে। হৃদয় ভেঙ্গে যায়। আমাদের ক্ষমা করুন, হে নবী! তিনি তার অবিস্মরণীয় ক্ষমা, উদারতা, সততা, নম্রতা প্রভৃতির বিরল মুগ্ধতা দিয়ে বর্বর আরব জাতির আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এজন্য তারা তাকে ‘আল-আমিন’ উপাধিতে ভূষিত করেন। তারা সর্বসম্মতিক্রমে স্বীকার করেছিল যে তিনি নম্র এবং গুণী ছিলেন। টাকা দিয়ে নয়, ভালো ব্যবহার দিয়ে তিনি বিশ্ববাসীকে জয় করেছেন। আল্লাহ তাঁর গুণাবলী সম্পর্কে কুরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই তুমি মহৎ চরিত্রের অধিকারী।’ (সূরা আল কালাম, আয়াত ৪)। তিনি কখনো মানুষকে তুচ্ছ করেননি। আত্মসম্মানবোধে তিনি কাউকে তুচ্ছ মনে করেননি। তিনি বিশ্বের হৃদয়ে উচ্চতর চরিত্রের একটি অনুপম মানদণ্ড স্থাপন করেছেন। নম্রতা তার চরিত্রে সর্বদা উপস্থিত ছিল। পৃথিবীর মানবতার কল্যাণে তাকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল শ্রেষ্ঠ আদর্শের বাস্তবায়নকারী ও প্রশিক্ষক হিসেবে। এ প্রসঙ্গে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমাকে আমার উত্তম চরিত্র পূর্ণ করার জন্য প্রেরিত করা হয়েছে।’ (মুসনাদে আহমদ, মিশকাত) ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন বিনয়ী এবং আচার-আচরণে অত্যন্ত বিনয়ী। দুর্বল ব্যক্তিকে কড়া কথায় আঘাত করবেন না। তিনি কোন মানুষকে তার সাধ্যের বাইরে অসাধ্য সাধন করতে বাধ্য করেননি। গরিব-অসহায় মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করতেন। তিনি লোকদেরকে তাদের আচরণে অপ্রয়োজনীয় রাগ ও রাগ থেকে সর্বদা বিরত থাকার উপদেশ দিতেন এবং মানুষকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন, “যে বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাকে উঁচু করে দেন এবং যে অহংকারী হয়, আল্লাহ তাকে লাঞ্ছিত করেন।” (মিশকাত) কাফেররাও তার কাছ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে সদয় ও নম্র আচরণ পেয়েছিল। তার অনুসারীরা তাকে উচ্চ সম্মানের সাথে ধরেছিল কারণ তিনি খুব নমনীয় এবং নম্র ছিলেন। হজরত আয়েশা (রা.) তার ভদ্র আচার-আচরণ সম্পর্কে বলেন, ‘নবী (সা.) রূঢ় বক্তা ছিলেন না, প্রয়োজনের সময়ও তিনি কঠোর ভাষা ব্যবহার করতেন না। প্রতিহিংসা তার সাথে ছিল না মোটেও। মন্দের বিনিময়ে ভালোই করেছেন। সব ক্ষেত্রেই তিনি ক্ষমা পছন্দ করতেন। তিনি লোকদেরকে উপদেশ দিয়েছিলেন, “আল্লাহর ইবাদত কর, করুণাময় প্রভু, ক্ষুধার্তকে খাবার দাও, সালাম দাও এবং এসব কাজের মাধ্যমে জান্নাতে প্রবেশ কর। তিনি উত্তর দিলেন, "ক্ষুধার্তকে খাওয়ানো এবং অপরিচিত সকলকে সালাম করা।" (বুখারী ও মুসলিম)। মহানবী (সা.)-এর মর্যাদাকে সম্মান করা মুসলমানদের ধর্মীয় কর্তব্য এবং প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানের মৌলিক অংশ।

মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি?

নামাজ, রোজা, জাকাত, হজ, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৯২৯তম পর্বে ই-মেইলের মাধ্যমে কানিজ নাহার দিপা জানতে চেয়েছেন, মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? অনুলিখন করেছেন মোহাম্মদ সাইফ আহমেদ। প্রশ্ন : মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? উত্তর : না দোয়ার জন্য আলাদা কোনো মাহফিল নেই। এটা আসবে কেন? আমরা একটা জায়গা থেকে বাঁচার জন্য আরেকটি কাজ করছি। কিন্তু সেই কাজটি ভুল করে আরও বড় ভুলের সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। আমাদের সমাজে একটি প্রথা একেবারে ছেয়ে গেছে। যেমন—একজন মারা গেলে তার জন্য মিলাদ-মাহফিল করা কিংবা কূলখানি করা। কিন্তু এগুলো সবই বেদআতি কাজ। এগুলো সঠিক কাজ নয়। অনেকে মনে করছে, দোয়া-মাহফিল করা যেতে পারে। কিন্তু সেটা একদমই নয়। এসব ইসলামে অনুমোদন দেয়নি। এইগুলো পুরোটাই বেদআত। মানুষ চাইলে যে কোনো সময় কিংবা যে কোনো জায়গা থেকে দোয়া করতে পারবেন। দোয়ার সঙ্গে মাহফিল কিংবা আলাদা কোনো ধরনের অনুষ্ঠান ঘোষণা করা জায়েজ নেই। আশা করি, আপনি বুঝতে পেরেছেন।

শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে?

মাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দ‍র্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৩৩৪তম পর্বে নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে নিয়ামত কমে যাবে কি না, সে বিষয়ে ঢাকা থেকে চিঠির মাধ্যমে জানতে চেয়েছেন একজন দর্শক। অনুলিখন করেছেন জান্নাত আরা পাপিয়া। প্রশ্ন : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে? উত্তর : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা কুফরি। এটা বড় কুফরি না, ছোট কুফরি। যদি আল্লাহর বান্দারা আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করে থাকেন, তাহলে তাঁরা কুফরি কাজ করে থাকলেন। এ জন্য আল্লাহ কোরআনে স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘তোমরা আমার শুকরিয়া আদায় করো, আমার সঙ্গে কুফরি করো না।’ আল্লাহ যে নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন, আল্লাহর নিয়ামত লাভ করে সুন্দর জীবনযাপন করা, এটা যদি কেউ আল্লাহর কাছে সত্যিকার অর্থে তুলে ধরতে না পারে, তাহলে সে ব্যক্তি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া করলেন না, কুফরি করলেন। এই জন্য আল্লাহ সুরা দোহার শেষ আয়াতে বলেছেন, ‘তুমি তোমার রবের নিয়ামত প্রকাশ করো। কারণ, তোমার কাছে যখন নিয়ামত আসছে, তখন আল্লাহ পছন্দ করেন যে তুমি আল্লাহর এই নিয়ামতের বিষয়টি তুলে ধরবে।’ আল্লাহর কাছে বলবে, আল্লাহ আমাকে এই নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন। আল্লাহ নিয়ামতকে বান্দার কাছে তুলে ধরার জন্য বলেছেন, বহিঃপ্রকাশ করার জন্য বলেছেন। বহিঃপ্রকাশ দুই ধরনের হতে পারে। একটি হলো নিয়ামতের ব্যবহারের মাধ্যমে বহিঃপ্রকাশ করা। দ্বিতীয়ত, নিয়ামতের বিষয়টি হলো মানুষের কাছে নিয়ামত তুলে ধরবে। যাতে করে আল্লাহর প্রশংসা প্রকাশ পায়। নিয়ামতের শুকরিয়া যদি কেউ আদায় না করেন, তাহলে কুফরি হবে। আল্লাহ বলেছেন, যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করে থাক, তাহলে আমি আরো বৃদ্ধি করে দেব। বান্দারা যখন নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করবে, তখন আল্লাহ আরো নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করে দেন। আর যদি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা হয়, তাহলে আল্লাহ নিয়ামত কমিয়ে দেবেন এবং সেইসঙ্গে আরেকটি কঠিন বাণী আল্লাহ বলেছেন, ‘জেনে রাখো আল্লাহর কঠিন আজাবও তোমাদের জন্য অবধারিত থাকবে।’ নিয়ামতের শুকরিয়া শুধু মুখে আদায় করা যথেষ্ট নয়। কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর শুকরিয়া আমলের মাধ্যমে আদায় করো।’ সুতরাং বান্দারা শুকরিয়া আদায় করবে। শুকরিয়ার অনেকগুলো দিক রয়েছে, তার মধ্যে আমলের মাধ্যমে শুকরিয়া আদায় করা হলো শুকরিয়ার সর্বোচ্চ স্তর।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রতিযোগিতা: চ্যাটজিপিটি বনাম ডিপসিক?

র্তমান প্রযুক্তি বিশ্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) নিয়ে নতুন প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ওপেনএআই-এর চ্যাটজিপিটি ও চীনের ডিপসিকের মধ্যে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুধু প্রযুক্তিগত দক্ষতার নয়, বরং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। চ্যাটজিপিটি দীর্ঘদিন ধরে ব্লগ লেখা, গবেষণা, প্রোগ্রামিংসহ নানান কাজে অপরিহার্য টুল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি চীনের তৈরি ডিপসিক এআই জগতে নতুন আলোড়ন তুলেছে। তারা দাবি করছে, তুলনামূলক কম চিপ ব্যবহার করেই অত্যাধুনিক এআই সেবা দেওয়া সম্ভব, যেখানে ওপেনএআই-এর বিশাল মডেলগুলোর জন্য ১৬,০০০ বা তারও বেশি চিপ প্রয়োজন হয়, সেখানে মাত্র ২০০০ চিপ দিয়ে ডিপসিক কার্যকরভাবে কাজ করতে সক্ষম। দুই প্ল্যাটফর্মের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রয়েছে। ✅ চ্যাটজিপিটি: বিস্তৃত বিশ্লেষণ ও গভীর গবেষণা উপস্থাপন করতে পারে, যা একাডেমিক ও জটিল সমস্যার সমাধানে সহায়ক। ✅ ডিপসিক: দ্রুত এবং সংক্ষিপ্ত উত্তর দিতে পারে, যা তাৎক্ষণিক ফলাফল প্রত্যাশী ব্যবহারকারীদের জন্য উপযোগী। লেখালেখির ক্ষেত্রে চ্যাটজিপিটি কেবল ধারণা ও প্লটের কাঠামো গড়ে তোলে, যেখানে ডিপসিক প্রায় পুরো গল্প তৈরি করে দিতে পারে। একইভাবে, কোডিংয়ের ক্ষেত্রেও ডিপসিক কিছু ক্ষেত্রে দ্রুত সমাধান দিতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। ডিপসিকের বিরুদ্ধে ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা সংরক্ষণ ও তথ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অস্ট্রেলিয়াসহ কয়েকটি দেশের সরকার ইতোমধ্যেই ডিপসিকের ডেটা নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ওপেনএআই নিজেও অতীতে অনুমতি ছাড়া মানুষের লেখা ডেটা প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহারের অভিযোগের মুখে পড়েছিল, যা এখন ডিপসিকের বিরুদ্ধে উঠছে। ডিপসিকের সাফল্যের ফলে এআই চিপের বাজারেও বড় প্রভাব পড়েছে। এনভিডিয়া, যারা উন্নত চিপ তৈরিতে বিশ্বব্যাপী অগ্রগণ্য, তাদের শেয়ারের মূল্য একদিনে প্রায় ১৭% কমে গেছে। কারণ, কম শক্তিশালী হার্ডওয়্যারেও কার্যকর এআই সম্ভব হলে উচ্চমূল্যের উন্নত চিপের বাজার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে প্রযুক্তিগত প্রতিযোগিতা নতুন কিছু নয়, তবে ডিপসিকের উদ্ভাবন নতুন মাত্রা যোগ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই চীনে উন্নত চিপ রপ্তানির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, কম খরচে ভালো এআই তৈরি হলে মার্কিন প্রযুক্তি খাতেরও লাভ হতে পারে। এই প্রতিযোগিতা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভবিষ্যৎকে আরও উন্নত ও বহুমাত্রিক করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যেখানে দ্রুত এবং সাশ্রয়ী সমাধান দরকার, সেখানে হয়তো ডিপসিক এগিয়ে থাকবে, আর যেখানে গবেষণা ও জটিল বিশ্লেষণের প্রয়োজন, সেখানে চ্যাটজিপিটির মতো বৃহৎ মডেলগুলো প্রাধান্য পাবে। শেষ পর্যন্ত, এই প্রতিযোগিতাই হয়তো এআই প্রযুক্তিকে আরও দক্ষ, নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী করবে।

সারা দেশ

আরও পড়ুন
টাঙ্গাইলের নিত্যপণ্যের বাজারে স্বস্তি: কমেছে পেঁয়াজ-আলু-সবজির দাম, বেড়েছে মুরগি
টাঙ্গাইলের নিত্যপণ্য বাজার: অধিকাংশ পণ্যে স্থিতিশীলতা, মুরগি চড়া

এদিকে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চালের বাজারে আপাতত কোনো অস্থিরতা নেই। মিনিকেট, নাজিরশাইল, ব্রি ও পাইজাম চাল আগের সপ্তাহের দামে বিক্রি হচ্ছে। বাজারভেদে মিনিকেট চালের কেজি ৭০-৭৫ টাকা, নাজিরশাইল ৭৫-৮০ টাকা এবং মোটা চাল ৫০-৫৫ টাকার মধ্যে রয়েছে। চাল ব্যবসায়ীরা জানান, আমনের ধান ওঠা শুরু হওয়ায় সামনে চালের বাজারে বড় ধরনের মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা নেই। ডালের বাজারেও স্বস্তি বজায় রয়েছে। দেশি মসুর ও মুগ ডালের পাশাপাশি আমদানিকৃত ডালের দামও স্থিতিশীল রয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানি স্বাভাবিক থাকলে সামনে ডালের বাজারে বড় কোনো পরিবর্তন আসবে না। একইভাবে আটা ও ময়দার দামেও কোনো পরিবর্তন হয়নি। খোলা আটা প্রতি কেজি ৪৫-৫০ টাকা এবং ময়দা ৫০-৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চিনির বাজারেও স্থিতিশীলতা লক্ষ্য করা গেছে। খোলা চিনি কেজি প্রতি ১৩৫-১৪০ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনি ১৪৫-১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডিমের দাম কিছুদিন আগের তুলনায় কম থাকলেও বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে। প্রতিডজন ডিম ১২০ টাকায় বিক্রি হওয়ায় মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষ কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা। ভোক্তারা বলছেন, শীত মৌসুম শুরু হওয়ায় সবজির সরবরাহ বাড়ছে, ফলে বাজারে দর কমছে। এতে প্রতিদিনের বাজার খরচ কিছুটা কমেছে। তবে মুরগি ও ভোজ্যতেলের দামে পুরোপুরি স্বস্তি না ফেরায় এখনও বাড়তি চাপ রয়ে গেছে সংসারের বাজেটে। সচেতন মহলের মতে, কৃষিপণ্য ও নিত্যপণ্যের সরবরাহ ব্যবস্থা ঠিক রাখতে পারলে সামনে শীতজুড়ে বাজার আরও সহনীয় থাকবে। একই সঙ্গে বাজার মনিটরিং জোরদার করা হলে কৃত্রিম সংকট ও অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধি রোধ করা সম্ভব হবে।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫ 0

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট এর বিষয়ে আলোচনা সভা

টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত

ব্যারিস্টার কায়সার কামালের মানবিক উদ্যোগে ৮০ বছরের রোজেলা হাজং ফিরে পেলেন নতুন জীবন

সাংবাদিক সুরক্ষা ও কল্যাণ ফাউন্ডেশন আয়োজিত সাংবাদিক দের মিলনমেলা ও বনভোজন।

পেশাগত ঝুঁকি, নিরাপত্তাহীনতা ও অবহেলার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান জোরদারের প্রত্যয়ে সাংবাদিকদের এক মিলনমেলায় রূপ নেয় সাংবাদিক সুরক্ষা ও কল্যাণ ফাউন্ডেশন-এর বার্ষিক আনন্দ ভ্রমণ ও বনভোজন–২০২৫। এটি ছিল শুধু বিনোদনের আয়োজন নয়; বরং সাংবাদিক সমাজের সংহতি, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও অধিকার রক্ষার এক দৃঢ় বার্তা। বৃহস্পতিবার ঢাকার অদূরে গাজীপুর জেলার পুবাইল এলাকায় অবস্থিত হিজল-তমাল রিসোর্টে সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া দিনব্যাপী এ আয়োজনে দেশের বিভিন্ন জেলা ও বিভাগ থেকে আগত প্রায় ৪২০ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন। জাতীয় দৈনিকের সম্পাদক, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব এবং সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে মিলনমেলাটি পরিণত হয় সাংবাদিক সমাজের এক বৃহৎ সম্মিলনে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাংবাদিক সুরক্ষা ও কল্যাণ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোঃ দেলোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, “সাংবাদিকতা আজ দেশের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পেশাগুলোর একটি। পেশাগত মর্যাদা, নিরাপত্তা ও ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে সংগঠিত শক্তির কোনো বিকল্প নেই।” অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ আজম খাঁন, আন্তর্জাতিক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, শিক্ষাবিদ, মানবাধিকার সংগঠক এবং দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদক ও প্রকাশকরা। তাঁদের উপস্থিতি আয়োজনকে কেবল উৎসবমুখরই নয়, বরং তাৎপর্যপূর্ণ ও প্রতিবাদী মাত্রা প্রদান করে। দিনব্যাপী আয়োজনে ছিল খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সংগীত ও আবৃত্তি। বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। পাশাপাশি সাংবাদিকদের জন্য ছিল পরিপূর্ণ আপ্যায়নের ব্যবস্থা—সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সুসংগঠিত খাবার ও বিশ্রামের আয়োজন। আয়োজকরা জানান, কর্মব্যস্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ সাংবাদিক জীবনের চাপ থেকে সাময়িক বিরতি এনে এমন মিলনমেলা সাংবাদিকদের মানসিক শক্তি জোগায়। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে সাংবাদিক নির্যাতন, হয়রানি ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে লড়াই করার অনুপ্রেরণাও সৃষ্টি করে। দিনশেষে অংশগ্রহণকারীরা প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন—সাংবাদিকদের সুরক্ষা, কল্যাণ ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় এই ফাউন্ডেশন যেন আয়োজনের পাশাপাশি মাঠের বাস্তব লড়াইয়েও আরও কার্যকর ও দৃশ্যমান ভূমিকা রাখে।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫ 0

বেগমগঞ্জের সন্তান কবি আসাদ পারভেজ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মদলের কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমিটির সদস্য হলো

কায়াকিং করতে গিয়ে কাপ্তাই হ্রদে ডুবে এক পর্যটকের মৃত্যু

এক যুগ পর চালু হলো সোনালিয়া–করটিয়া রেলস্টেশন, মিলবে কমিউটার ট্রেনের সুবিধা

এক যুগ পর চালু হলো সোনালিয়া–করটিয়া রেলস্টেশন, মিলবে কমিউটার ট্রেনের সুবিধা

খুনিদের ফাঁসির দাবিতে যমুনাসেতু–টাঙ্গাইল–ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

খুনিদের ফাঁসির দাবিতে যমুনাসেতু–টাঙ্গাইল–ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ। ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর শরীফ ওসমান হাদির নির্মম হত্যাকাণ্ডে দেশজুড়ে নিন্দা ও ক্ষোভের মধ্যেই টাঙ্গাইলে ফেটে পড়ে গণআন্দোলন। হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার এবং সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবিতে যমুনাসেতু–টাঙ্গাইল–ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ছাত্র ও সাধারণ জনগণ।শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে টাঙ্গাইল জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচিতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মী ও সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন। বিকেলে টাঙ্গাইল শহরের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিল চলাকালে পুরো শহরজুড়ে উত্তেজনাকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। বিক্ষোভকারীরা শরীফ ওসমান হাদির হত্যার বিচার দাবি করে নানা স্লোগানে রাজপথ মুখরিত করে তোলে।একপর্যায়ে মিছিলটি ঢাকা–টাঙ্গাইল–যমুনাসেতু মহাসড়কের নগরজলফৈ বাইপাস এলাকায় গিয়ে পৌঁছায়। সেখানে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভকারীরা মহাসড়ক অবরোধ করলে যান চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায় অবরোধের ফলে মহাসড়কের উভয় পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পণ্যবাহী ট্রাক, দূরপাল্লার বাস, ব্যক্তিগত যানবাহনসহ শত শত গাড়ি আটকা পড়ে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ যাত্রী, নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা। তবে আন্দোলনকারীরা দাবি আদায়ে অনড় অবস্থান গ্রহণ করেন। স্লোগানে উত্তাল জনতা—এমন নানা স্লোগানে রাজপথ প্রকম্পিত করে তোলে।অবরোধ চলাকালে সেখানে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তারা বলেন, শরীফ ওসমান হাদি ছিলেন অন্যায়, দুর্নীতি ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে আপসহীন একজন সাহসী কণ্ঠস্বর। তার জনপ্রিয়তা ও প্রতিবাদী ভূমিকা সহ্য করতে না পেরে পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে। বক্তারা আরও বলেন, এই হত্যাকাণ্ড কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়; এটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের ওপর সরাসরি আঘাত। অথচ হত্যার এতদিন পরও প্রকৃত খুনিদের গ্রেপ্তার না হওয়ায় জনগণের মাঝে চরম ক্ষোভ ও হতাশা তৈরি হয়েছে।তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে খুনিদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত না করা হলে আন্দোলন আরও কঠোর ও দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া হবে।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি শেষ করার অনুরোধ জানায়। পুলিশের আশ্বাসে নির্দিষ্ট সময় পর অবরোধ তুলে নেওয়া হলে ধীরে ধীরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।কর্মসূচি শেষে আন্দোলনকারীরা বলেন, শরীফ ওসমান হাদির হত্যার ন্যায়বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তারা রাজপথ ছাড়বেন না। প্রয়োজনে আরও বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান তারা।এই হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা না হলে জনমনে ক্ষোভ আরও বিস্ফোরিত হবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫ 0

টাঙ্গাইলে ইনকিলাব মঞ্চের মুখ্য পাত্র ওসমান হাদীর ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ

টাঙ্গাইলের সখীপুরে কুকুরের কামড়ে শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কসহ ৪০ জন হাসপাতালে

টাঙ্গাইলের সখীপুরে কুকুরের কামড়ে শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কসহ ৪০ জন হাসপাতালে

টাঙ্গাইলে জেলা পুলিশের উদ্যোগে ডিবির সঙ্গে পুলিশ সুপারের গুরুত্বপূর্ণ মতবিনিময় সভা

0 মন্তব্য