বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নিরাপদে আছেন এবং তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার ও ধর্মীয় নেতারা একসঙ্গে কাজ করছেন বলে মন্তব্য করেছেন আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ। আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার এক বিশেষ বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, "সরকার যেমন সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিতে কাজ করছে, তেমনি ধর্মীয় নেতারাও নিরলসভাবে এই প্রচেষ্টায় সহায়তা করছেন। গোটা দেশের মুসলমান সম্প্রদায় অত্যন্ত ধৈর্য ও সংযমের পরিচয় দিয়েছে। আমরা এই প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানিয়েছি এবং এটি ধরে রাখার জন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।"
বৈঠকে উপস্থিত অন্যান্য ধর্মীয় নেতারা দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে তাঁদের অবস্থান তুলে ধরেন।
রমনা মন্দিরের সহ-সম্পাদক অবিনাশ মিত্র বলেন, "আমরা চাই না কোনোভাবে আমাদের ওপর নির্যাতন হোক। যদি এমন কিছু ঘটে, তবে দোষীদের খুঁজে বের করে বিচার করা হোক। আমাদের সম্প্রদায়ের মধ্যে যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে, তাদের চিহ্নিত করতে হবে।"
বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের সভাপতি সুকোমল বড়ুয়া আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, "আমরা শান্তি ও সম্প্রীতিতে থাকতে চাই। একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের মাধ্যমে বিশ্বকে জানাতে চাই যে বাংলাদেশে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করছি।"
বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টা মাহফুজ আলম জানান, বাংলাদেশের মানুষ সম্প্রদায়গত ঐক্যের এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তিনি বলেন, "রাজনৈতিক এবং সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো অপপ্রচারই আমাদের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।"
তিনি আরও জানান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে যেকোনো নিপীড়নের বিষয়ে সরকারের কঠোর অবস্থান রয়েছে। তিনি গণমাধ্যমকে এই বার্তাগুলো প্রচারের আহ্বান জানান।
বৈঠকে উপস্থিত সকল পক্ষই দেশের শান্তি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার গুরুত্বের ওপর জোর দেন। সরকারের পাশাপাশি ধর্মীয় নেতারা সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে ঐক্য ধরে রাখতে একযোগে কাজ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেন।