আল কুরআন মহান আল্লাহর বাণী, যা সমগ্র মানবজাতির জন্য দিকনির্দেশনা হিসেবে নাজিল হয়েছে। এটি শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় গ্রন্থ নয়, বরং এটি মানুষের জীবন পরিচালনার এক চূড়ান্ত বিধান। কুরআন পাঠ করলে মনের প্রশান্তি লাভ হয়, হৃদয় পরিশুদ্ধ হয় এবং আত্মার খোরাক জোগায়।
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
"যে ব্যক্তি কুরআনের একটি হরফ পড়বে, সে তার জন্য একটি নেকি লাভ করবে এবং প্রতিটি নেকির জন্য দশগুণ প্রতিদান লাভ হবে।"
(তিরমিজি: ২৯১০)
হাদিসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
"কিয়ামতের দিন কুরআন তার পাঠকদের জন্য সুপারিশ করবে।"
(মুসলিম: ৮০৪)
আল্লাহ বলেন:
"নিশ্চয়ই যারা ঈমান এনেছে এবং তাদের হৃদয় আল্লাহর স্মরণে প্রশান্ত হয়, জেনে রাখ, আল্লাহর স্মরণেই হৃদয় প্রশান্ত হয়।"
(সুরা রাদ: ২৮)
রাসূল (সা.) বলেছেন:
"তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তি সে, যে কুরআন শেখে ও অন্যকে শেখায়।"
(বুখারি: ৫০২৭)
কুরআনের শিক্ষা মানুষের নৈতিক ও চারিত্রিক গুণাবলি উন্নত করে। কুরআনের নির্দেশনা অনুসারে জীবন গঠন করলে মানুষ সত্যবাদী, সহানুভূতিশীল ও ন্যায়পরায়ণ হয়।
কুরআন তেলাওয়াত মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, কুরআন শ্রবণ করলে মানুষের মন শান্ত হয় এবং উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা কমে যায়।
যারা কুরআন পড়ে এবং এর নির্দেশনা অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করে, তারা এই দুনিয়াতে শান্তি ও সফলতা লাভ করে এবং পরকালে জান্নাতের অধিকারী হয়।
কুরআন শুধু একটি ধর্মীয় গ্রন্থ নয়, এটি মানবজীবনের পূর্ণাঙ্গ সংবিধান। কুরআন পাঠ করা, বুঝা এবং আমল করা আমাদের জন্য পরকালের সঞ্চয়। তাই আমাদের উচিত প্রতিদিন কুরআন পড়া এবং এর নির্দেশনা অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করা।
মু্ক্তধ্বনি অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন