Search : সেনাবাহিনী

টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে ৮ ইউনিয়নের ২৪০ জনকে চিকিৎসাসেবা ও শীতবস্ত্র দিল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী
সারা দেশ
টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে ৮ ইউনিয়নের ২৪০ জনকে চিকিৎসাসেবা ও শীতবস্ত্র দিল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী

টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উদ্যোগে অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প এবং শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৯ পদাতিক ডিভিশনের আয়োজনে উপজেলার দেওলী ইউনিয়নের চকতৈল এ.কে. আব্দুস সালাম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দিনব্যাপী এ সেবা প্রদান করা হয়। দেলদুয়ার উপজেলার মোট ৮টি ইউনিয়ন থেকে প্রতিটি ইউনিয়নের ৩০ জন করে মোট ২৪০ জন নারী-পুরুষ এ ক্যাম্পে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। সকালে নিবন্ধন সম্পন্ন হওয়ার পর রোগীদের প্রথমে দন্ত চিকিৎসা, প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং ওষুধ সরবরাহ করা হয়। পরে তাদের হাতে শীতবস্ত্র (কম্বল) তুলে দেওয়া হয়। ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পটি পরিচালনা করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৯৮ কম্পোজিট ব্রিগেড ও ১১ আর.ই ব্যাটালিয়ন। দিনব্যাপী সেবা কার্যক্রম তদারকি করেন: লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাসের, ১৯ পদাতিক ডিভিশন মেজর হাফেজ, মির্জাপুর উপজেলা ক্যাম্প কমান্ডার মেজর শাহিন, নাগরপুরের সাবেক ক্যাম্প কমান্ডার ক্যাপ্টেন মাসুদ, বর্তমান ক্যাম্প কমান্ডার।তারা বলেন, শীতের মৌসুমে আর্থিকভাবে সামর্থ্যহীন মানুষের পাশে দাঁড়াতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সবসময় মানবিক ভূমিকা পালন করে আসছে। সমাজের মানুষের কল্যাণে এমন উদ্যোগ ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। ক্যাম্পে আসা অনেকেই সেনাবাহিনীর এই মানবিক কার্যক্রমে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। সেবা গ্রহণকারীরা বলেন,“দূরে হাসপাতালে না গিয়ে গ্রামের কাছেই বিনামূল্যে চিকিৎসা পাওয়া আমাদের জন্য অনেক স্বস্তির।"অনেকে দন্ত চিকিৎসায় উপকৃত হওয়ার পাশাপাশি শীতবস্ত্র পেয়ে আনন্দ প্রকাশ করেন। দিনব্যাপী ক্যাম্পকে কেন্দ্র করে এলাকাজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ, বয়স্ক ও শিশুরা স্কুল মাঠে উপস্থিত হয়ে সেবা গ্রহণ করেন। সেনাবাহিনীর সদস্যরা শৃঙ্খলাপূর্ণভাবে রোগীদের চিকিৎসা, পরীক্ষা ও শীতবস্ত্র বিতরণের ব্যবস্থা করেন। সেনা কর্মকর্তারা জানান, উন্নত চিকিৎসা সুবিধা থেকে বঞ্চিত প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই তাদের মূল লক্ষ্য। দেলদুয়ার, নাগরপুর, সখীপুরসহ আশপাশের উপজেলাতেও পর্যায়ক্রমে এমন সেবা কার্যক্রম চালানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।

নাদিম তালুকদার ডিসেম্বর ৫, ২০২৫ 0
টাঙ্গাইলের মধুপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী লে. কর্নেল আসাদুল ইসলাম আজাদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
রাজনীতি
টাঙ্গাইলের মধুপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী লে. কর্নেল আসাদুল ইসলাম আজাদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসনে স্বতন্ত্র এমপি পদপ্রার্থী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত লে. কর্নেল আসাদুল ইসলাম আজাদ নির্বাচনী মতবিনিময় সভা করেছেন। রবিবার (১ ডিসেম্বর) রাতে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার নাগবাড়ী এলাকায় তার নতুন নির্বাচনী অফিস উদ্বোধন শেষে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্থানীয় নেতা-কর্মী ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে কর্নেল আজাদ বলেন, “তরুণ সমাজকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে মাদক। এই ভয়াল ছোবল থেকে তাদের রক্ষা করতে খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কার্যক্রম ও সুস্থ বিনোদনের বিকল্প নেই। পাশাপাশি আধুনিক ও দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে কারিগরি শিক্ষার বিকল্পও নেই।” তিনি আরও বলেন, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও এলাকার উন্নয়নই হবে তার নির্বাচনী অঙ্গীকার। মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন—মধুপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম মাসুদ, উপজেলা বিএনপির মৎস্য বিষয়ক সম্পাদক নূরুল আলম মেম্বার, উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য ও সাবেক ইউপি সদস্য হাফিজুর রহমান, যুবদল নেতা মিনহাজ হোসেন এবং ছাত্রদল নেতা মোজাম্মেল হোসেন। সভায় মধুপুর উপজেলা, পৌরসভা, বিভিন্ন ইউনিয়নসহ ধনবাড়ী-মধুপুর অঞ্চলের কর্নেল আজাদ সমর্থক গোষ্ঠীর বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে উচ্ছ্বাস ও উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করে।

নাদিম তালুকদার ডিসেম্বর ২, ২০২৫ 0
সারা দেশ
টাঙ্গাইল-১ এ মনোনয়ন ঘিরে বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ৩

টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসনে মনোনয়ন ঘিরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন তিনজন। আজ বুধবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মধুপুর বাসস্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে। এসময় দুটি বেসরকারি ক্লিনিক ভাঙচুর ও একটি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়। স্থানীয়রা জানান, মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে ধারাবাহিক বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আলীর অনুসারীরা। আজ সন্ধ্যায় তারা বাসস্ট্যান্ডে গেলে মনোনয়ন পাওয়া বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ফকির মাহবুব আনাম স্বপনের অনুসারীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। এসময় লাইফ কেয়ার হাসপাতাল এবং এশিয়া হাসপাতাল ভাঙচুর করা হয়। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। সংঘর্ষের সময় মধুপুর ত্রিমোহনা হয়ে বৃহত্তর ময়মনসিংহে যাতায়াতকারী যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে জানান মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল কবীর।

নাদিম তালুকদার নভেম্বর ২০, ২০২৫ 0
সারা দেশ
টাঙ্গাইলে শিশু শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগে মাদ্রাসাশিক্ষক গ্রেফতার

নাদিম তালুকদার: টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় ৯ বছর বয়সী এক মাদ্রাসাশিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগে ওই মাদ্রাসার শিক্ষক মো. শরীফ হোসেনকে (২৭) গ্রেফতার করেছে ঘাটাইল থানা পুলিশ। ঘাটাইল প্রতিনিধি সূত্রে জানা যায়, রবিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেল ৫টায় ঘাটাইল থানা এলাকায় দায়িত্বরত সেনাবাহিনীর দুটি টহল গাড়ির ফৌর্স অফিসার কর্তৃক বলাৎকারকারী শিক্ষককে মধুপুর থেকে আটক করে ঘাটাইল থানায় সোপর্দ করা হয়। এই বিষয়ে ভিকটিমের পিতা ঘাটাইল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত শরীফ হোসেন উপজেলার বাইচাইল গ্রামের দাওয়াতুল কুরআন নূরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক। তিনি পার্শ্ববর্তী মধুপুর উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের আমান আলীর ছেলে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ওই মাদ্রাসার শিক্ষক শরীফ হোসেন গত রাতে মাদ্রাসায় অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী সোয়াইদ আল হাসান (০৯)-কে বলাৎকার করেছেন বলে স্বীকার করেছেন। তিনি আরও স্বীকার করেছেন যে, তিনি ইতিপূর্বেও ওই মাদ্রাসার অন্যান্য ছাত্রকে বলাৎকার করেছেন এবং গাজীপুরের একটি মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থাতেও একই ধরনের অপরাধ করেছেন। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভিকটিমের পিতা ঘাটাইল থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেন। ঘাটাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম মুক্তার আশরাফ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ভিকটিমের পিতা একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন এবং এ বিষয়ে পুলিশ কর্তৃক আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।

নাদিম তালুকদার নভেম্বর ১৮, ২০২৫ 0
আন্তর্জাতিক
দিল্লির পর এবার জম্মু–কাশ্মীরে শক্তিশালী বিস্ফোরণ, নিহত অন্তত ৯

জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরের কাছে নওগ্রাম পুলিশ স্টেশনে জব্দ করা বিস্ফোরকের বিশাল স্তুপ হঠাৎ বিস্ফোরিত হয়ে অন্তত ৯ জন নিহত এবং ২৯ জন আহত হয়েছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবর অনুযায়ী, শুক্রবার রাতে ফরিদাবাদ থেকে আনা বিস্ফোরক পরীক্ষা করছিলেন পুলিশ ও ফরেন্সিক কর্মীরা—তখনই ঘটে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা। নিহতদের বেশিরভাগই পুলিশ সদস্য এবং ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ। শ্রীনগর প্রশাসনের দুই কর্মকর্তাও ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। আহতদের সেনাবাহিনীর একটি হাসপাতাল এবং শেরি কাশ্মীর ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সাইন্সে ভর্তি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে এলাকাটি ঘিরে ফেলেছে প্রশাসন। সম্প্রতি নওগ্রাম এলাকায় জয়েশ-ই-মোহাম্মদের পোস্টার লাগানোর ঘটনার তদন্তে যে নেটওয়ার্ক ধরা পড়ে, সেখান থেকেই উদ্ধার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজার কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটসহ বিপুল বিস্ফোরক। এ ঘটনায় কয়েকজন চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়, যাদের একজন আদিল আহমেদ রাথের—সিসিটিভিতে পোস্টার লাগাতে দেখা যায় তাকে। তার তথ্যের ভিত্তিতেই ডাক্তার মুজাম্মিল শাকিল ও শাহিন সাঈদসহ আরও কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে যৌথ নিরাপত্তা বাহিনী। এই নেটওয়ার্কের সূত্র ধরেই দিল্লির লালকেলার কাছে আই২০ গাড়ি বিস্ফোরণের ঘটনায়ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পায় তদন্তকারীরা। সেই বিস্ফোরণে ১৩ জন নিহত হন, আহত হন ২০ জনের বেশি। জাতীয় তদন্ত সংস্থার ধারণা, আতঙ্কে সন্দেহভাজন ব্যক্তি ভুলভাবে আইইডি তৈরি করেছিল, যার ফলেই দুই জায়গার বিস্ফোরণ ঘটে। পুরো নেটওয়ার্ক পুনরায় পর্যালোচনা করছে তারা।

মুক্তধ্বনি ডেক্স নভেম্বর ১৬, ২০২৫ 0
আইন-অপরাধ
টাঙ্গাইল কান্দাপাড়ায় পতিতালয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযান

০৩/১১/২০২৫ তারিখ সন্ধ্যা ৬টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব লাবিবুজ্জামান মুস্তাবীন ও নুসরাত জাহান কর্তৃক পরিচালিত এক অভিযানে "মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮" এর আওতায় ০৭ জন মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। টাঙ্গাইল সদর থানাধীন কান্দাপাড়া পতিতালয় ও হরিজন পল্লী সংলগ্ন এলাকায় পরিচালিত উক্ত অভিযানে সেনাবাহিনী, থানা পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, টাঙ্গাইল এর সমন্বয়ে ৪০ সদস্যের একটি টিম অংশ নেয়। জনস্বার্থে সমগ্র জেলায় এ অভিযান অব্যাহত রয়েছে । পতিতালয় ও মুচিপট্টিতে বিপুল মাদকদ্রব্য জব্দ, ৭ জন মাদক কারবাড়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ টাঙ্গাইলের কান্দাপাড়া পতিতালয় ও মুচিপট্টি এলাকায় মাদকবিরোধী যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ চোলাই মদ তৈরির উপকরণ, হেরোইনসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য জব্দ এবং সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।অভিযানে অংশ নেন টাঙ্গাইল সদর আর্মি ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন নাজমুস সাকিবের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি দল এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. সাইফুর রহমানসহ অধিদপ্তরের অন্যান্য সদস্যরা। অভিযানের সেনাবাহিনী, পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যদের তিন দলে বিভক্ত করা হয়। একটি দল কান্দাপাড়া পতিতালয়ে এবং দুটি দল মুচিপট্টির বিভিন্ন বাড়িতে অভিযান চালায়। মুচিপট্টির একটি বাড়ির আঙিনার মাটির নিচের সুরঙ্গ থেকে প্রায় ৩,০০০ লিটার চোলাই মদ তৈরির উপকরণ (ওয়াশ) উদ্ধার ও ধ্বংস করা হয়। এছাড়া ১০ লিটার চোলাই মদ এবং পাঁচ পুরিয়া হেরোইন জব্দ করা হয়। অভিযানে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় সাতজনকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাদণ্ড প্রদান করেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন— রফিকুল ইসলাম (৩ মাস), আমিনুল ইসলাম (৭ দিন),উত্তম রবিদাস (৬ দিন),শামিম (৭ দিন),শাকিব ইসলাম (৭ দিন),সাব্বির (৭ দিন)। এছাড়া বাড়ির মালিক লাসিয়া রবিদাসের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ এর ২০(গ) ধারায় টাঙ্গাইল সদর থানায় নিয়মিত মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লাবিবুজ্জামান মোস্তাবিন এবং পরিদর্শক মো. সাইফুর রহমান বলেন, “টাঙ্গাইলকে মাদকমুক্ত করার লক্ষ্যে এ ধরনের অভিযান নিয়মিতভাবে পরিচালনা করা হবে।

কৌশিক সাজ্জিদ পিয়াল নভেম্বর ৪, ২০২৫ 0
রাজনীতি
সুনামগঞ্জ-৪(সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আসনেধানের শীষের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে সর্বস্তরের জনসাধারনকে সংগ্রামী সালাম, আদাব ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

সুনামগঞ্জ-৪(সদর ও বিশ^ম্ভরপুর) আসনের সর্বস্তরের সম্মানিত ভাই ও বোনেরা, আপনাদেরকে আমার সশ্রদ্ধ সালাম ও আদাব জানাচ্ছি। আমি আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৪(সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আসনে ধানের শীষের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহন করতে চাই। তাই আমি আপনাদের এক স্বজন,সন্তান,ভাই ও বন্ধু হিসেবে আপনাদের নিকট আমার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি এবং আগামীতে এই আসনের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে  আমার পরিচিতি সম্পর্কে সর্ব প্রথমে আপনাদের কাছে উল্লেখ করতে চাই, আমি হোসেন পাঠান (বাচ্চু) সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের গড়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা। আমার পিতা মরহুম (সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন) আব্দুল ওয়াদুদ পাঠান ও পরবর্তীতে চাকরি শেষে আমার পিতা মানুষের কল্যাণের স্পৃহায় অনুপ্রাণিত হয়ে সক্রিয় রাজনীতিতে ভূমিকা রেখে ১৯৭০ সালে প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন তৎকালীন সময়ে পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এছাড়াও মানুষের কল্যাণের লক্ষ্যে একাধারে তিনবার লক্ষণশ্রী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হয়ে অত্যন্দত সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করে গেছেন। আমার মাতা মরহুমা লিলি বেগম চৌধুরী সুনামগঞ্জ মহিলা সমিতির সভাপতি ছিলেন। এছাড়াও তখনকার রাজনৈতিক শূন্যতায় ১৯৭৮ সালের শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে তিনি দেশে বহু দলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জনমত গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে গেছেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল গঠনে তৎকালীন সময়ে বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলে তিনি ব্যাপক ভূমিকা পালন করেন। আমার চাচা মরহুম অধ্যক্ষ ডা. আব্দুর রাকিব ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ থাকাকালীন এলাকার মানুষের সু- চিকিৎসার দায়িত্ব পালনে যথেষ্ঠ সহযোগিতা প্রদান করে পরিচিত জনদের নিকট আজও স্বরণীয় হয়ে আছেন! আমার বাল্যজীবন ও শিক্ষা জীবন সুনামগঞ্জে সমাপ্ত করে ঢাকার নটরডেম কলেজে পড়াশোনা শেষে যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনার জন্য সেখানে অধ্যয়ন শেষে প্রবাসে কর্মজীবন শুরু করার পাশাপাশি বিএনপির নিউজার্সি ষ্টেট (নর্থ) ইউএসএ (য়ুক্তরাষ্ট্র)”র সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছি। আমার ছোট ভাই ফরিদ পাঠান শিক্ষা জীবন সম্পন্ন করে আমেরিকার সেনাবাহিনীতে ইঞ্জিনিয়ার পদে যোগদান করে যথেষ্ট সুখ্যাতি অর্জন করেন।  উল্লেখ্য, দেশে থাকাকালীন সময়ে আমার পিতার সংস্পর্শে থাকার সুবাদে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া দল বিএনপি রাজনীতির প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ি। পরবতীতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে আমেরিকা যাওয়ার আগে সিলেটে ও ঢাকায় ছাত্রদলের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হয়ে যাই। আমেরিকা এসে ও বিএনপির আদর্শিকতার রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হয়ে, পরবর্তীতে আর রাজনীতির নেশা থেকে আজ অবধি মুক্ত হতে পারেনি। বিগত এরশাদ বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আমেরিকাতে জনমত সংগঠিত করার জন্য বিভিন্ন সময়ে কর্মসূচি পালন করেছি। তাছাড়া ১/১১ মঈন ফখরের বিরুদ্ধে তৎকালীন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অধীনে সরকারের নিকট থেকে ক্ষমতা হাইজ্যাক করে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেয়া, এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পরিবারের বিরুদ্ধে নির্যাতনের প্রতিবাদে বিভিন্ন আন্দোলন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছি। এছাড়াও স্মরণকালের শ্রেষ্ঠ জালিম ও স্বৈরাচারী আওয়ামী ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকারের অপশাসনের বিরুদ্ধে বহির্বিশ্বে সরকারের খুন, গুম ও আয়নাঘরের নির্মম নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। যার পরিপ্রেক্ষিতে আমি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী জালিম সরকারের রুদ্ররোষের শিকারে পড়ে বহু প্রতিকূল সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি। আমি আমেরিকাতে জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতি বিকশিত করার লক্ষ্যে  লন্ডনে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের সাথে দেখা করে দেশের রাজনীতি এবং আমাদের সুনামগঞ্জের বিভিন্ন সমস্যা বিষয়ে মতামত ব্যক্ত করেছি। এছাড়াও প্রবাসী বাঙালিদের কল্যাণে বৃহত্তর সুনামগঞ্জবাসীর সহযোগিতায় সুনামগঞ্জ জনকল্যাণ সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হয়ে সকলের মতামতের সাথে সম্পৃক্ত থেকে কাজ করে যাচ্ছি। আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, আমি হঠাৎ কেন নির্বাচনের প্রার্থী হলাম। আপনারা নিশ্চয়ই অবগত বিগত দুই দশক যাবৎ দেশে বিগত স্বৈরাচারী হাসিনা সরকার মানুষের ভোটাধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সহ অনেক মৌলিক অধিকার ছিনিয়ে নিয়ে ছিল, দলীয়করণ, আত্মীয়করণ, বংশীয়করণের মাধ্যমে মেধা এবং যোগ্যতাকে পদদলিত করে তাদের দলীয় ও অযোগ্য ব্যক্তিদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দিয়ে, মেধাবী ও যোগ্য মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়ে ছিল। অনুরূপভাবে দলীয়করণের কারণে আজ আমাদের এলাকার অনেক মেধাবী ছাত্র ছাত্রী নিজেদের যোগ্যতা থাকা সত্বে সরকারি চাকরি থেকে বঞ্চিত হয়েছে। পড়াশোনা শেষ করে আজ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না থাকায় দারিদ্র্যের অভিশাপে শিক্ষিত যুবক যুবতীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। পূর্ন জেলার মর্যাদায় স্বীকৃতি পেয়ে ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আজ আমরা যথেষ্ট পিছিয়ে পড়েছি। শহরের রাস্তাঘাটের করুণ অবস্থা, খাবার পানি সংকট, কর্মসংস্থানের সুযোগ না থাকা, দরিদ্র মানুষের শিক্ষার ক্ষেত্রে নানাবিধ প্রতিবন্ধকতা, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণে স্থায়ী সমাধান না করে, প্রতি বছর হরিলুটের কান্ড সুনামগঞ্জের নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়। সুনামগঞ্জে জন্মগ্রহণ করে আমি সুনামগঞ্জের নাগরিক হিসেবে গর্ববোধ করছি! সর্বোপরি সুদুর প্রবাসে থাকলে ও সুনামগঞ্জের মাটি ও মানুষের সাথে আমার আত্মার সম্পর্ক। জীবনের স্মৃতি বিজড়িত সুনামগঞ্জের মাটি আমার খ্যাতি, প্রতিটি মানুষ আমার স্বজন, প্রতিটি ঘর আমার ঘর। তাই আমার এই পরিণত বয়সে অনেক শ্রদ্ধার মুরব্বীদের অনেকেই আজ জীবিত নেই! কিন্তু তাদের চেষ্টায় আমাদের এলাকা এখন জেলায় উন্নীত হয়েছে।সেই জন্য আমরা আমাদের প্রয়াত মুরুব্বিদের প্রতি সম্মান জানিয়ে আল্লাহতালার দরবারে প্রার্থনা করছি, মহান আল্লাহ পাক যেন, তাদেরকে জান্নাতের মেহমান হিসেবে কবুল করে নেন। আমার বিশ্বাসের উপর নির্ভর করে, আমার মনে বদ্ধমূল আস্থা জন্মেছে, দলের নেতৃবৃন্দের  সাথে, পরিচয়, সম্পর্ক ও আন্তরিকতার সুবাদে আপনারা যদি আমাকে সমর্থন করে আমার পক্ষে আপনাদের মতামত ব্যক্ত করেন, তবে আমি আমার এলাকার মানুষের কল্যাণে কাজ করতে সক্ষম হবো! পরিশেষে আপনাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার করে, আপনাদের সদয় সহানুভূতি কামনা করছি।  

মুক্তধ্বনি ডেক্স অক্টোবর ২৭, ২০২৫ 0
আইন-অপরাধ
আওয়ামী লীগের আমলে ‘গুম-খুনের’ অভিযোগে ১৫ সেনা কর্মকর্তা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে হাজির

আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনামলে টিএফআই ও জেআইসি সেলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় মানবতা বিরোধী অপরাধের দুই মামলায় জড়িত ১৫ জন সেনা কর্মকর্তাকে আজ সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে হাজির করা হয়েছে। বিচারপতি মোহাম্মদ গোলাম মোর্তজা মজুমদারের নেতৃত্বে ট্রাইবুনাল-১ এর বিচারিক প্যানেলে এ মামলাগুলোর আনুষ্ঠানিক অভিযোগের শুনানি শুরু হয়েছে। দুই মামলায় মোট ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে — যার মধ্যে একটিতে ১৭ জন ও অন্যটিতে ১৩ জন। দুই মামলাতেই শেখ হাসিনার নাম রয়েছে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে। ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে সকালে প্রিজন ভ্যানে করে ট্রাইবুনালে আনা হয়। আসামিদের মধ্যে রয়েছেন — ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, মেজর জেনারেল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মাহবুব আলম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাসেম, কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, মেজর জেনারেল মুশেখ মোহাম্মদ সারোয়ার হোসেন, মেজর জেনারেল কোভিদ আহমেদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মাহবুর রহমান সিদ্দিকী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভীর মাজহার সিদ্দিকী, এবং লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাসুর হকসহ আরও কয়েকজন। আসামিদের প্রত্যেকেই জামিন আবেদন করেছেন, যার শুনানি বর্তমানে চলছে। আদালত সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগের শাসনামলে টিএফআই ও জেআইসি সেলে সংঘটিত গুম, খুন ও নির্যাতনের অভিযোগের ভিত্তিতেই এ দুই মামলা দায়ের করা হয়েছে। এদিকে, সকাল থেকে ট্রাইবুনাল এলাকা ও আশপাশের এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। হাইকোর্ট মাজারগেট, মৎস্যভবন, কাকরাইলসহ একাধিক পয়েন্টে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‍্যাব ও পুলিশের সদস্যদের মোতায়েন দেখা গেছে। সাংবাদিকদের প্রবেশ আজ ট্রাইবুনাল প্রাঙ্গণে সীমিত রাখা হয়েছে। তবে আদালতের ভেতরে শুনানি চলমান বলে জানা গেছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ট্রাইবুনালের পরবর্তী ব্রিফিং শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।

মুক্তধ্বনি ডেক্স অক্টোবর ২২, ২০২৫ 0
সারা দেশ
সরিষাবাড়ীতে বিএনপি অফিসে কিশোরী ধর্ষণ ঘটনা ধামাচাপা চেষ্টায় গ্রেপ্তার ৩

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে ওয়ার্ড বিএনপি কার্যালয়ে সালিশ বৈঠকের নামে কিশোরী ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। সরিষাবাড়ী থানার ওসি মো. রাশেদুল ইসলাম রাশেদ জানান, ধর্ষণের শিকার কিশোরীর মা ফরিদা বেগম বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ১২ বছর বয়সী ওই কিশোরী সরিষাবাড়ী উপজেলার আওনা ইউনিয়নের কুমারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। গত ১৪ জুন দুপুর ২টার দিকে প্রতিবেশী শাহিন (৩৫) প্রলোভন ও ভয় দেখিয়ে তাকে নিজের ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরবর্তী চার দিনেও শাহিন একাধিকবার একইভাবে তাকে নির্যাতন করে। ১৭ জুন বিকেলে প্রতিবেশী পারভেজ (৪০) বিষয়টি জানতে পেরে কিশোরীকে নিজের ঘরে নিয়ে যায় এবং ঘটনা প্রকাশ করার হুমকি দিয়ে তাকেও ধর্ষণ করে। এরপর প্রতিবেশী লাভলু (৩২) একইভাবে কিশোরীকে একা পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে, কিন্তু কিশোরীর চিৎকারে সে পালিয়ে যায়। ঘটনা এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়লে, গত রবিবার রাতে আওনা ইউনিয়নের কুমারপাড়া (করিমদহ) মোড়ে ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি কার্যালয়ে সাবেক ইউপি সদস্য লিটন তালুকদারের (৫৫) নেতৃত্বে সালিশ বৈঠক বসে। সেখানে লিটন তালুকদার, সেলিম (২৩), কবির মিয়া (২৮)সহ আরও কয়েকজন মিলে ধর্ষণ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে এবং আপস মীমাংসার নামে কিশোরী ও তার মাকে ভয়-ভীতি দেখায়। ফরিদা বেগম থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সত্যতা পায়। এ সময় লিটন তালুকদারের অনুসারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হলে সেনাবাহিনীকে খবর দেওয়া হয়। পরে সেনা সদস্যরা লিটন তালুকদার, সেলিম ও কবির মিয়াকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। এদিকে মূল ধর্ষণকারী শাহিন, পারভেজ ও লাভলু পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন সরিষাবাড়ী থানার ওসি মো. রাশেদুল ইসলাম রাশেদ। ফরিদা বেগম বলেন, “আমার মেয়ের সাথে যারা এমন করেছে, তাদের সবাইকে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।”

মুক্তধ্বনি ডেক্স অক্টোবর ২১, ২০২৫ 0
মুসলিম বিশ্ব
বিরতি চুক্তির মধ্যেও গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৯৭ ফিলিস্তিনি

বিরতি চুক্তি কার্যকর থাকার পরও ইসরায়েলি বাহিনীর ৮০ বার লঙ্ঘন; জাতিসংঘ প্রতিনিধি গাজা শহরের ধ্বংসযজ্ঞ পরিদর্শন করেছেন গাজা সরকারী মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ৯৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আরও ২৩০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির শর্ত ৮০ বার লঙ্ঘন করেছে বলেও তারা দাবি করেছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, এই বিমান হামলাগুলো নাকি হামাসের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের প্রতিক্রিয়ায় চালানো হয়েছে। তবে হামাস এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি এখনো কার্যকর রয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্র পরিস্থিতি শান্ত রাখার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলের গাজা অভিযানে এখন পর্যন্ত অন্তত ৬৮ হাজার ১৫৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ৭০ হাজার ২০৩ জন আহত হয়েছেন। অন্যদিকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামলায় ইসরায়েলে ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত এবং প্রায় ২০০ জনকে আটক করা হয়েছিল। জাতিসংঘের ত্রাণ সমন্বয়ক ইতিমধ্যে গাজা শহরের ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ পরিদর্শন করেছেন এবং মানবিক সহায়তা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

মুক্তধ্বনি ডেক্স অক্টোবর ২০, ২০২৫ 0
মুসলিম বিশ্ব
আফগানিস্তানের সঙ্গে ৪৮ ঘণ্টার অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি ঘোষণা পাকিস্তানের

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (FO) বুধবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আফগানিস্তানের সঙ্গে সীমান্ত সংঘর্ষের প্রেক্ষাপটে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার জন্য অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, “আজ বিকাল ৬টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার জন্য পাকিস্তান সরকার এবং আফগান তালেবান প্রশাসনের মধ্যে পারস্পরিক সম্মতিতে অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে, যা তালেবান পক্ষের অনুরোধে গৃহীত হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে উভয় পক্ষ গঠনমূলক সংলাপের মাধ্যমে জটিল কিন্তু সমাধানযোগ্য এই সমস্যার ইতিবাচক সমাধান খুঁজে বের করার আন্তরিক চেষ্টা করবে।” এর আগে পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম পিটিভি নিউজ জানায়, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আফগানিস্তানের কান্দাহার প্রদেশ ও রাজধানী কাবুলে “নির্ভুল হামলা (precision strikes)” চালিয়েছে। পিটিভির প্রকাশিত এক ভিডিওতে দাবি করা হয় — “আফগান তালেবান আগ্রাসনের জবাবে পাকিস্তান সেনাবাহিনী প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে। কান্দাহারে পরিচালিত নির্ভুল হামলায় আফগান তালেবানের চতুর্থ ব্যাটালিয়ন ও ষষ্ঠ বর্ডার ব্রিগেড সম্পূর্ণ ধ্বংস করা হয়েছে। এতে বহু আফগান ও বিদেশি যোদ্ধা নিহত হয়েছে।” সেই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কাছে যে কোনো বহিরাগত আগ্রাসনের বিরুদ্ধে শক্তিশালী ও পূর্ণাঙ্গ জবাব দেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে।” পরে নিরাপত্তা সূত্রের বরাতে পিটিভি জানায়, পাকিস্তান কাবুলেও আঘাত হেনেছে। “কাবুলে ‘ফিতনা আল-হিন্দুস্তান’-এর কেন্দ্র ও নেতৃত্বকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে,” প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। ‘ফিতনা আল-হিন্দুস্তান’ শব্দটি পাকিস্তান কর্তৃপক্ষের দেওয়া নাম, যা তারা বেলুচিস্তানের সশস্ত্র সংগঠনগুলো বোঝাতে ব্যবহার করে। পিটিভির পোস্টে আরও বলা হয়, পাকিস্তানি বাহিনী কান্দাহারে তালেবান ব্যাটালিয়ন সদরদপ্তর নং ৪, ৮ ও সীমান্ত ব্রিগেড নং ৫ ধ্বংস করেছে। সব লক্ষ্যবস্তু “নাগরিক এলাকা থেকে বিচ্ছিন্ন করে যথাযথভাবে ধ্বংস করা হয়েছে” বলেও উল্লেখ করা হয়। এর আগে পাকিস্তানের সেনা মুখপাত্র আইএসপিআর জানায়, বুধবার ভোরে বেলুচিস্তান সীমান্তে তালেবানদের চার দিক থেকে হামলা পাকিস্তানি বাহিনী প্রতিহত করেছে। আইএসপিআর-এর তথ্যমতে, “আফগান তালেবান কাপুরুষোচিতভাবে স্পিন বোল্ডাক এলাকায় চারটি স্থানে হামলা চালায়, যা কার্যকরভাবে প্রতিহত করা হয়েছে।” গত এক সপ্তাহের মধ্যে এটি ছিল তৃতীয় বড় সংঘর্ষ, এর আগে কুররমে মঙ্গলবার রাতে ও শনিবার রাতে শুরু হওয়া সংঘর্ষ রবিবার সকাল পর্যন্ত চলে। আইএসপিআর জানিয়েছে, এসব ঘটনায় ২৩ জন পাকিস্তানি সেনা নিহত এবং ২৯ জন আহত হয়েছেন। গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “২০০ জনেরও বেশি তালেবান ও তাদের সহযোগী যোদ্ধা নিহত হয়েছে, আহতের সংখ্যা আরও বেশি।” অন্যদিকে, আফগানিস্তান দাবি করেছে, এই হামলা তারা “প্রতিশোধমূলক” পদক্ষেপ হিসেবে চালিয়েছে, কারণ গত সপ্তাহে ইসলামাবাদ তাদের ভূখণ্ডে বিমান হামলা চালায়। যদিও পাকিস্তান সেই হামলার দায় স্বীকার করেনি, তবে বলেছে যে দেশটির “আত্মরক্ষার পূর্ণ অধিকার রয়েছে।” সাম্প্রতিক সহিংসতা দুই দেশের সম্পর্ককে আরও তিক্ত করে তুলেছে। ইসলামাবাদ বারবার কাবুলকে আহ্বান জানিয়েছে যেন তারা পাকিস্তানবিরোধী জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর কার্যক্রম আফগান ভূমি থেকে বন্ধ করে। কিন্তু কাবুল সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলছে, “আফগান মাটি কোনো দেশের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয় না।” পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা আসিফ সোমবার জিও নিউজের এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “বর্তমানে ইসলামাবাদ ও কাবুলের মধ্যে কোনো সম্পর্কই নেই। এখন পরিস্থিতি স্থবির অবস্থায় আছে—সক্রিয় সংঘর্ষ না থাকলেও পরিবেশটি শত্রুতাপূর্ণ।” তিনি আরও যোগ করেন, “যেকোনো সময় আবারও সংঘর্ষ শুরু হতে পারে।” এই সংঘর্ষ এবং পরবর্তী যুদ্ধবিরতি দুই দেশের সীমান্ত অঞ্চলে উত্তেজনা প্রশমিত করবে কি না, তা এখন সময়ই বলে দেবে। সূত্র: ডন ডটকম

মুক্তধ্বনি ডেক্স অক্টোবর ১৫, ২০২৫ 0
সূত্রঃ মিডল ইস্ট আই
মুসলিম বিশ্ব
ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত গাজায়, যুদ্ধবিরতি চুক্তির ঘোষণার পরও ভয়াবহ বোমাবর্ষণ

গাজা উপত্যকায় বৃহস্পতিবার সকালে নতুন করে ভয়াবহ বোমাবর্ষণ চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী, যদিও এর আগেই মধ্যস্থতাকারীরা ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, দুই বছরের বিধ্বংসী যুদ্ধের অবসান ঘটাতে ইসরায়েল ও হামাস যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাতভর গাজা সিটি ও খান ইউনুসে ভয়াবহ বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণ হয়। এমনকি ইসরায়েলি ড্রোন থেকেও সাধারণ মানুষের উপর বোমা নিক্ষেপ করা হয়। অন্তত একজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর আগে বৃহস্পতিবার ভোরে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় এক যৌথ ঘোষণায় বলা হয়, ইসরায়েল ও হামাস যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি জানান, চুক্তির প্রথম ধাপে যুদ্ধ বন্ধ, ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি, ফিলিস্তিনি বন্দিদের বিনিময় এবং মানবিক সহায়তা প্রবেশের বিষয়ে সমঝোতা হয়েছে। হামাস এক বিবৃতিতে জানায়, এই চুক্তি গাজায় যুদ্ধের অবসান, দখলদার বাহিনীর প্রত্যাহার, সহায়তা প্রবেশের নিশ্চয়তা এবং বন্দি বিনিময়ের পথ প্রশস্ত করবে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এক্স (সাবেক টুইটার)-এ পোস্ট করে একে “ইসরায়েলের জন্য এক মহান দিন” বলে মন্তব্য করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান। তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার তার সরকার এই চুক্তি অনুমোদনের জন্য বৈঠকে বসবে এবং “জিম্মিদের ঘরে ফিরিয়ে আনবে।” গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় দুপুর নাগাদ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে পারে। প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী, রবিবার বা সোমবারের মধ্যে হামাস প্রায় ২০ জন জীবিত ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দেবে, বিনিময়ে ইসরায়েল প্রায় ২,০০০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে। একইসাথে ইসরায়েলি সেনারা ধাপে ধাপে গাজা থেকে প্রত্যাহার শুরু করবে। তবে প্রথম ধাপে সেনা প্রত্যাহারের সীমারেখা এখনও পরিষ্কার নয়। চুক্তি কার্যকর হলে অবিলম্বে অন্তত ৪০০টি সাহায্যবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। চুক্তির অন্যান্য ধাপ—যেমন ইসরায়েলি বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার, হামাসের নিরস্ত্রীকরণ এবং আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন—পরে আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারণ করা হবে। গাজায় এই যুদ্ধ শুরু হয় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর, হামাসের আকস্মিক ইসরায়েল আক্রমণের পর। হামাস জানিয়েছিল, ইসরায়েলের দীর্ঘদিনের দখলনীতি, আল-আকসা মসজিদে হামলা, গাজা অবরোধ ও বন্দিদের প্রতি অমানবিক আচরণের প্রতিবাদেই তারা এই পদক্ষেপ নেয়। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দক্ষিণাঞ্চলীয় কমান্ড হামাসের প্রথম আক্রমণের পরপরই ভেঙে পড়ে, ফলে দেশজুড়ে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে। প্রথম দফায় হামাসের আক্রমণে অন্তত ১,১৮০ জন ইসরায়েলি নিহত হয় এবং পরবর্তী লড়াইয়ে আরও ৭০০ জন মারা যায়। এদের অর্ধেকের বেশি ছিল বেসামরিক নাগরিক। এর প্রতিশোধে ইসরায়েল গাজায় ভয়াবহ বিমান হামলা ও স্থল অভিযান চালায়, যা দুই বছর ধরে চলে এবং প্রায় পুরো গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে। ইসরায়েলি সামরিক সূত্রে ফাঁস হওয়া তথ্যে জানা যায়, এই দুই বছরে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৬৭,০০০ এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন—যাদের মধ্যে ৮০ শতাংশই বেসামরিক নাগরিক। গাজায় এখন দুর্ভিক্ষ, ধ্বংসপ্রাপ্ত অবকাঠামো এবং অবর্ণনীয় মানবিক বিপর্যয় চলছে। ঘরবাড়ি, হাসপাতাল, স্কুল, মসজিদ, গির্জা—সবই ধ্বংস হয়ে গেছে। জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বিভিন্ন দেশ ইসরায়েলের এই কর্মকাণ্ডকে ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে “গণহত্যা” হিসেবে ঘোষণা করেছে।

মুক্তধ্বনি ডেক্স অক্টোবর ৯, ২০২৫ 0
মুসলিম বিশ্ব
ইসরায়েলের হাতে আটক মানবিক নৌবহর, ‘আইনবহির্ভূত’ অভিযানের অভিযোগ ফ্লোটিলার

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজামুখী একাধিক জাহাজে অভিযান চালিয়ে ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (Freedom Flotilla Coalition - FFC) এর নৌযানগুলো আটক করেছে বলে জানা গেছে। ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন জানায়, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী প্রথমে “দ্য কনসায়েন্স” নামের একটি জাহাজে আক্রমণ চালায়। এই জাহাজে ৯৩ জন সাংবাদিক, চিকিৎসক ও মানবাধিকারকর্মী ছিলেন। এরপর আরও তিনটি ছোট নৌযানেও অভিযান চালানো হয় ও সেগুলো আটক করা হয়। সংগঠনটি জানিয়েছে, যাত্রীদের “অজানা স্থানে আটক রাখা হয়েছে।” ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (X)-এ এক বিবৃতিতে অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানায়, “আইনসম্মত নৌ অবরোধ ভেঙে যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশের আরেকটি ব্যর্থ প্রচেষ্টা। সকল যাত্রীকে ইসরায়েলের একটি বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তারা নিরাপদে ও সুস্থ আছেন এবং দ্রুতই তাদের দেশগুলিতে ফেরত পাঠানো হবে।” অন্যদিকে, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম ইসরায়েলের এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানান এবং অভিযানে অংশ নেওয়া মালয়েশিয়ান কর্মীদের মুক্তি দাবি করেন। আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স ও ডেনমার্কসহ বিভিন্ন দেশের কর্মীরাও এই নৌযানে ছিলেন বলে জানা গেছে। ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন জানায়, তাদের নৌবহরটি গাজার হাসপাতালগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ, শ্বাসযন্ত্র এবং পুষ্টি সরঞ্জামসহ ১ লক্ষ ১০ হাজার ডলারের বেশি মূল্যের মানবিক সহায়তা বহন করছিল। তারা আরও বলে, “ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমায় কোনো আইনি এখতিয়ার নেই। আমাদের নৌবহর সম্পূর্ণভাবে শান্তিপূর্ণ এবং মানবিক সহায়তা মিশন।” এর আগে কয়েক দিন আগে আরেকটি মানবিক বহর গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা (Global Sumud Flotilla) আটক করে ইসরায়েল। সেই অভিযানে প্রায় ৪০টি নৌযান এবং ৪৫০ জনের বেশি কর্মীকে আটক করা হয়, যার মধ্যে সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থানবার্গও ছিলেন। পরবর্তীতে অধিকাংশ কর্মীকে দেশ থেকে বহিষ্কার করা হয়। তবে কয়েকজন কর্মী অভিযোগ করেছেন, আটকাবস্থায় তারা ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্য ফরাসি-ফিলিস্তিনি কর্মী রিমা হাসান জানান, তাকে ইসরায়েলি পুলিশ মারধর করেছে। অন্যদিকে মার্কিন কর্মী ডেভিড অ্যাডলার জানান, তাকে “নগ্ন করে,” “হাত বেঁধে,” “চোখে পট্টি বেঁধে” আটকে রাখা হয় এবং ইসরায়েলি নিরাপত্তা মন্ত্রী ইটামার বেন-গভিরের সঙ্গে জোর করে ছবি তোলা হয়। ⚓ উল্লেখ্য, ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন একটি আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক, যা গাজায় মানবিক সাহায্য পৌঁছানোর জন্য বেসামরিক নৌ অভিযান পরিচালনা করে আসছে।

মুক্তধ্বনি ডেক্স অক্টোবর ৮, ২০২৫ 0
মুসলিম বিশ্ব
গাজায় ট্রাম্পের ‘বোমাবর্ষণ বন্ধ’ আহ্বানের পরও ইসরায়েলের হামলা, নিহত ৭

গাজা সিটির বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর রাতভর বিমান ও আর্টিলারি হামলায় আজ শনিবার (৪ অক্টোবর) ভোর থেকে অন্তত ৭ জন নিহত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হামলা “অবিলম্বে বন্ধ” করার কথা বলার পরও এই বোমাবর্ষণ থামেনি। Al Jazeera গাজা সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাস্সাল এএফপিকে বলেন, “এটা ছিল অত্যন্ত সহিংস একটি রাত; (ইসরায়েলি সেনাবাহিনী) গাজা সিটি ও উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় ডজন ডজন বিমান হামলা ও আর্টিলারি শেলিং চালিয়েছে,” এবং রাতের বোমাবর্ষণে কমপক্ষে ২০টি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে। Dawn স্থানীয় হাসপাতালগুলো হতাহতদের তথ্য দিচ্ছে: গাজা সিটির ব্যাপটিস্ট হাসপাতাল জানিয়েছে, শহরের তুফ্ফাহ মহল্লায় একটি বাড়িতে হামলার পর তাদের কাছে হতাহত আনা হয়—এর মধ্যে চারজন নিহত ও আরও কয়েকজন আহত। Al Jazeera খানইউনিসের নাসের হাসপাতাল জানিয়েছে, বাস্তুচ্যুতদের একটি তাঁবুতে ড্রোন হামলায় দুই শিশু নিহত ও আটজন আহত হয়েছেন। Al Jazeera ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় গাজা যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের জবাবে হামাস আলোচনায় আগ্রহ দেখিয়ে কিছু বিষয়ে সম্মতি দিলেও, ইসরায়েলি বাহিনী হামলা অব্যাহত রেখেছে বলে আল জাজিরার লাইভ আপডেটে জানানো হয়েছে। Al Jazeera

মুক্তধ্বনি ডেক্স অক্টোবর ৪, ২০২৫ 0
আইন-অপরাধ
কুমিল্লায় ধর্ম নিয়ে কটূক্তিকে কেন্দ্র করে চার মাজারে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ

কুমিল্লার হোমনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগকে কেন্দ্র করে চারটি মাজারে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার আসাদপুর ইউনিয়নের আসাদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। বিকেলে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. নাজির আহমেদ খান বলেন, “এ ঘটনায় উসকানি ও ইন্ধনদাতাদের আইনের আওতায় আনা হবে।” পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার সকাল ১০টা ৫২ মিনিটে ‘বেমজা মহসিন’ নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে ধর্ম নিয়ে আপত্তিকর পোস্ট দেওয়া হয়। এর পরপরই স্থানীয় জনতা থানার সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে মহসিনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। দুপুরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করলে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ইসলামী যুবসেনা হোমনা উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শরীফুল ইসলাম বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে হোমনা থানায় মামলা দায়ের করেন। বৃহস্পতিবার সকালে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। এরপরও আজ সকালে বিক্ষুব্ধ জনতা মাইকে ঘোষণা দিয়ে আসাদপুর গ্রামে কফিল উদ্দিন শাহ ও হাওয়ালি শাহ মাজারে অগ্নিসংযোগ এবং কালাই শাহ ও আবদু শাহ মাজারে ভাঙচুর চালায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার পর কুমিল্লা পুলিশ সুপার মো. নাজির আহমেদ খান ও হোমনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ক্ষেমালিকা চাকমা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ইউএনও ক্ষেমালিকা চাকমা বলেন, “ধর্ম নিয়ে কটূক্তির ঘটনায় জনতার মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিল। তারই ধারাবাহিকতায় এ হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ হয়েছে।” উপজেলা ইসলামী ফ্রন্টের সেক্রেটারি সফিক রানা ও ইসলামী যুবসেনার নেতা শরিফুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তার হওয়া যুবক দীর্ঘদিন ধরে ফেসবুকে উসকানিমূলক পোস্ট দিয়ে আসছিলেন। তারা তার সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান। হোমনা থানার ওসি মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, “জনতার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তারপরও সকালে বিক্ষুব্ধ জনতা চারটি মাজারে হামলা চালায়।” পুলিশ সুপার মো. নাজির আহমেদ খান বলেন, “ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট দেওয়ার পরপরই জড়িত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু আইন হাতে তুলে নিয়ে যারা মাজারে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে তাদের শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”  

মুক্তধ্বনি ডেক্স সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৫ 0
জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা কোনোও সুযোগ নেই-সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে ধর্ম উপদেষ্টা
জাতীয়
জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা কোনোও সুযোগ নেই-সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে ধর্ম উপদেষ্টা

সুনামগঞ্জে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ  ম খালিদ হোসেন বলেন, জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর কোন সুযোগ নেই। অবাধ,সুষ্ঠ সুন্দর ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে সরকারের পাশাপাশি সকল বাহিনী ইতিমধ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছে।  আজ শুক্রবার দুপুরে সুনামগঞ্জের সীমান্তবর্তী তাহিরপুর উপজেলার লাউরেরঘর এলাকায় শ্রী শ্রী অদ্বৈত মহাপ্রভুর মন্দির কমপ্লেক্স ভবণ নির্মাণ কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে এসব কথা বলেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি বলেন,  ইতিমধ্যে সরকার নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে এবং নির্বাচন কমিশন সেই অনুযায়ী কাজ করবে।  সেই সাথে ইতিমধ্যে পুলিশের ট্রেনিং,  সেনাবাহিনীর কতজন লোক থাকবে সেই কাজও শুরু হয়েছে।  আমাদের প্রত্যাশা নির্ধারিত তারিখে এই সরকার সুষ্ঠু,  নিরপেক্ষ ও উৎস উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে জাতীয় নির্বাচন সম্পূর্ণ করতে পারবে সেই প্রস্তুুতি সরকারের আছে। এবং নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে আমরা আমাদের পুরোনো ঠিকানায় চলে যাবো। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক ডাঃ মোহাম্মদ ইলিয়াছ মিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসেন,  তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান মানিক ,শ্রী শ্রী অদ্বৈত ধাম পরিচালনা কমিটির সাধারন সম্পাদক অদ্বৈত রায় ও সুরঞ্জিত চৌধুরী টপ্পা প্রমুখ।

মুক্তধ্বনি ডেক্স আগস্ট ২২, ২০২৫ 0
ভারতের ছয়স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, পাল্টা জবাবে পাঁচ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করল পাকিস্তান
আন্তর্জাতিক
ভারতের ছয়স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, পাল্টা জবাবে পাঁচ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করল পাকিস্তান

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চরম সামরিক উত্তেজনা বিরাজ করছে। ভারতের সেনাবাহিনী পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ছয়টি আলাদা স্থানে একযোগে হামলা চালানোর পর যুদ্ধাবস্থা তৈরি হয়েছে। ভারতের এই অভিযানকে “অপারেশন সিঁদুর” নাম দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী দাবি করেছে, কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার জবাব দিতেই তারা এই অভিযান চালিয়েছে। পাল্টা জবাব দিতে দেরি করেনি পাকিস্তানও। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ জানিয়েছেন, ভারতের মিসাইল হামলার প্রতিশোধ হিসেবে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে। পাকিস্তানের সামরিক জনসংযোগ বিভাগ আইএসপিআর জানিয়েছে, পাঞ্জাব ও আজাদ কাশ্মীরের বিভিন্ন শহরে হামলার পর পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী কড়া জবাব দিয়েছে। পাঁচটি ভারতীয় ফাইটার জেটে প্রতিশোধমূলক হামলা চালানো হয়েছে। ধ্বংস করা হয়েছে একটি ড্রোন ও একটি ব্রিগেড সদর দপ্তরও। পাকিস্তান দাবি করেছে, অভিযানে অংশ নেওয়া তাদের সমস্ত যুদ্ধবিমান নিরাপদে ঘাঁটিতে ফিরে এসেছে। ভূপাতিত ভারতীয় জেটগুলোর মধ্যে রয়েছে—তিনটি ফ্রান্সের তৈরি রাফায়েল, একটি রাশিয়ান এসইউ-৩০ এমকেআই এবং একটি মিগ-২৯। ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সীমান্ত পার করে পাকিস্তানে ঢোকা হয়নি; বরং তারা কাশ্মীরে অবস্থানরত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর ঘাঁটি লক্ষ্য করেই হামলা চালিয়েছে। পাকিস্তানের সামরিক মুখপাত্র ভারতের এই পদক্ষেপকে “লজ্জাজনক ও কাপুরুষোচিত” বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমাদের আকাশসীমায় ঢোকার চেষ্টা করলে ভারতের আরও বড় ক্ষতি হবে। আমরা সব ধরনের হামলার জবাব দিতে প্রস্তুত।” সর্বশেষ পরিস্থিতি: ইসলামাবাদ এবং নয়াদিল্লিতে পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে তীব্র কূটনৈতিক বিবৃতি আদান-প্রদান চলছে। জাতিসংঘ এবং ওআইসি (OIC) উভয় পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা আশঙ্কা করছেন, সীমান্ত উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে না এলে এটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধেও রূপ নিতে পারে। পাকিস্তানে উচ্চ পর্যায়ে নিরাপত্তা সতর্কতা জারি করা হয়েছে; স্কুল, সরকারি দপ্তর এবং বিমানবন্দরগুলোতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে দুই দেশের জনগণ চরম উদ্বেগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। পুরো দক্ষিণ এশিয়া জুড়েই যুদ্ধের শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

মুক্তধ্বনি ডেক্স মে ৭, ২০২৫ 0
পল্লবীর মিল্লাত ক্যাম্প মানেই মাদকের ওপেন আস্তানা
আইন-অপরাধ
পল্লবীর মিল্লাত ক্যাম্প মানেই মাদকের ওপেন আস্তানা

রাজধানীর পল্লবী থানার মিল্লাত ক্যাম্প মানেই মাদকের ওপেন আস্তানা। ওই এলাকার সামাজিক চালচিত্র এখন অনেকটা পাল্টে গেছে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ইস্যুতে বড় চ্যালেঞ্জে রয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এলাকায় খুন, ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি, অপহরণ বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে মাদক-বাণিজ্য। হাত বাড়ালেই মিলছে সব ধরনের মাদক। দেশের বিভিন্ন সীমান্ত পাড়ি দিয়ে জেলা হয়ে রাজধানীতে ঢুকছে মাদকের বড় বড় চালান। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হিমশিম খাচ্ছে মাদকের আগ্রাসন রুখতে। কিছু অসাধু রাজনৈতিক নেতা ও প্রশাসনের সদস্যদের ম্যানেজ করে মাদক কারবারিরা মাদক মারণনেশা পৌঁছে দিচ্ছে রাজধানীর সর্বত্র। অনুসন্ধানে জানা গেছে, ঢাকায় বস্তিকেন্দ্রিক মাদক স্পট ও বিক্রেতার সংখ্যা বেশি। মিরপুর-১১ মিল্লাত ক্যাম্প বিহারি বস্তি এলাকা হচ্ছে রাজধানীর মাদকের আস্তানা। সাম্প্রতিক সময়ে এসব এলাকা থেকে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথবাহিনীর অভিযানে শতাধিক মাদক বিক্রেতা গ্রেপ্তার হয়েছে, তবু থেমে নেই মাদকের রমরমা বিকিকিনি। সরেজমিনে মিরপুর-১১ মিল্লাত ক্যাম্পের বিহারী বস্তির কয়েকটি মাদক স্পটে গিয়ে জানা যায়, যারা নিয়মিত মাদকসেবী তারা ফোন করলেই মাদক দিয়ে যায়। এ মাদক বিক্রির কৌশল হিসেবে ফোনে ব্যবহার হয় সাংকেতিক ভাষা। এসব স্পটগুলোয় শুধু এলাকার আশপাশের লোকজনই কাস্টমার নয়, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মাদকাসক্ত ক্রেতারা এসে মাদক ক্রয় করতে দেখা গেছে। মাদকদ্রব্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাহিদা গাঁজা, ইয়াবা, হিরোইনের। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তথ্যে জানা গেছে, গত ৮ বছরে দেশে অন্তত ৩০ লাখ মাদকসেবী বেড়েছে। সব মিলিয়ে বর্তমানে দেশে মাদকসেবীর সংখ্যা প্রায় ১ কোটির বেশি। মাদকসেবীদের বেশিরভাগ তরুণ-তরুণী।    মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও কোস্টগার্ডের তথ্যমতে, ঢাকায় সংঘটিত অধিকাংশ অপরাধের পেছনে রয়েছে মাদক। মাদক সরবরাহে বাহক হিসেবে এখন নারীদের ব্যবহার করা হচ্ছে। স্কুল পড়ুয়া কিশোরী থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া অনেক তরুণী মাদকের বাহক হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছেন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, অপরাধ বিশেষজ্ঞ, মাদক বিক্রেতা, পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাংলাদেশে প্রতিবেশী মিয়ানমার থেকে ইয়াবা এবং ভারত থেকে আসে ফেনসিডিল। আর দেশে এখন ইয়াবার ব্যাপক বিস্তার। গণঅভ্যুত্থানকালে পুলিশের ভূমিকার কারণে দেশব্যাপী থানাগুলো জনতার রোষানলের শিকার হয়। এরপর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর কার্যক্রমে কিছুটা ভাটা পড়ে। এ পরিস্থিতিতে মাদক কারবার অনেকটাই নির্বিঘ্ন হয়ে পড়েছে। গতকাল বিকেলে রাজধানীর মিল্লাত ক্যাম্প  এলাকার এক মাদক কারবারী পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে জানান, মিল্লাত ক্যাম্প এলাকায় গাজা এবং হিরোইনের অনেক চাহিদা। নিয়মিত কাস্টমাররা ফোন করলেই জায়গা মতো পৌঁছে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, প্রতিটি এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে একেকজন ডিলার। একজন ডিলারদের অধীনে থাকে ১৫ থেকে ২০ জন করে বিক্রেতা। এ বিক্রেতারাই  ক্রেতার কাছে পৌঁছে দেওয়ার কাজটি করে।  সরেজমিনে মিল্লাত ক্যাম্প এলাকায় দেখা গেছে, সেখানে অনেকটা প্রকাশ্যেই রাস্তায় দাঁড়িয়ে বিক্রি হচ্ছে গাঁজা, ইয়াবা; এমনকি হেরোইন পর্যন্ত। মাদক বিক্রির জন্য ক্রেতার অপেক্ষা করছেন মাদক কারবারিরা। আর ক্রেতারাও প্রকাশ্যে তাদের কাছে কিনছেন মাদক। বেশিরভাগ ক্রেতাই সিএনজি এবং রিক্সা চালক, বাসের হেলাপারসহ নিম্নআয়ের মানুষ। পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় চা-দোকানদার বলেন, এই তো সামনেই থানা, তাদের সামনেই প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি করছে। ক্যাম্পের অনেকে মাদক ব্যবসা করেন। এটা প্রশাসনের জন্য অজানা কাহিনী নয়।  সূত্র আরো জানায়, পল্লবী থানার প্রায়ই অপরাধপ্রবণ এলাকা হিসেবে আগে থেকেই পরিচিত। উর্দুভাষী অনেকেই মাদক কারবারি। মিল্লাত ক্যাম্পের মাদক কারবারি গ্রুপগুলো হলো ভয়াবহ সিন্ডিকেট খুব শক্তিশালী। অভিযোগ রয়েছে, রাজনৈতিক প্রভাবশালী নেতাদের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একশ্রেণির অসাধু সদস্য মাদক পাচার ও কারবারের সঙ্গে সম্পৃক্ত। সমাজের প্রভাবশালী এবং শীর্ষ সন্ত্রাসীরা তাদের মাদক সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করে। তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে পারে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাহলে আইনের শাসন এবং মানবাধিকার অবশিষ্ট আছে কি না? এ নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেন।  প্রতিবেদকের বক্তব্যঃ ’অপরাধ বিশেষজ্ঞ ড. তৌহিদুল হক বলেন, ‘জুলাই-আগস্টে যে বিপ্লব হয়েছে, সেই বিপ্লবে বিপরীত ভূমিকার কারণে পুলিশের মনোবল ভেঙেছে এবং তাদের নৈতিক অবস্থার অবনতি ঘটেছে। অপরাধ ঘটলে পুলিশের যত দ্রুত রেসপন্স করার কথা, সেরকমটা তারা করছেন না। পুলিশের এ পরিস্থিতির সুযোগটা অপরাধীরা কাজে লাগাচ্ছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে যৌথবাহিনীর অভিযান পরিচালনা করতে হবে। এছাড়া স্থানীয় লোকজন নিয়ে সামাজিকভাবে অপরাধীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।  

মুক্তধ্বনি ডেক্স জুলাই ৩০, ২০২৫ 0
সর্বাধিক পঠিত
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির ঢাকা বিভাগীয় ব্যুরো চীফ হলেন সাংবাদিক মোঃ মনিরুজ্জামান।

দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”

শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে?

মাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দ‍র্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৩৩৪তম পর্বে নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে নিয়ামত কমে যাবে কি না, সে বিষয়ে ঢাকা থেকে চিঠির মাধ্যমে জানতে চেয়েছেন একজন দর্শক। অনুলিখন করেছেন জান্নাত আরা পাপিয়া। প্রশ্ন : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে? উত্তর : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা কুফরি। এটা বড় কুফরি না, ছোট কুফরি। যদি আল্লাহর বান্দারা আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করে থাকেন, তাহলে তাঁরা কুফরি কাজ করে থাকলেন। এ জন্য আল্লাহ কোরআনে স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘তোমরা আমার শুকরিয়া আদায় করো, আমার সঙ্গে কুফরি করো না।’ আল্লাহ যে নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন, আল্লাহর নিয়ামত লাভ করে সুন্দর জীবনযাপন করা, এটা যদি কেউ আল্লাহর কাছে সত্যিকার অর্থে তুলে ধরতে না পারে, তাহলে সে ব্যক্তি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া করলেন না, কুফরি করলেন। এই জন্য আল্লাহ সুরা দোহার শেষ আয়াতে বলেছেন, ‘তুমি তোমার রবের নিয়ামত প্রকাশ করো। কারণ, তোমার কাছে যখন নিয়ামত আসছে, তখন আল্লাহ পছন্দ করেন যে তুমি আল্লাহর এই নিয়ামতের বিষয়টি তুলে ধরবে।’ আল্লাহর কাছে বলবে, আল্লাহ আমাকে এই নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন। আল্লাহ নিয়ামতকে বান্দার কাছে তুলে ধরার জন্য বলেছেন, বহিঃপ্রকাশ করার জন্য বলেছেন। বহিঃপ্রকাশ দুই ধরনের হতে পারে। একটি হলো নিয়ামতের ব্যবহারের মাধ্যমে বহিঃপ্রকাশ করা। দ্বিতীয়ত, নিয়ামতের বিষয়টি হলো মানুষের কাছে নিয়ামত তুলে ধরবে। যাতে করে আল্লাহর প্রশংসা প্রকাশ পায়। নিয়ামতের শুকরিয়া যদি কেউ আদায় না করেন, তাহলে কুফরি হবে। আল্লাহ বলেছেন, যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করে থাক, তাহলে আমি আরো বৃদ্ধি করে দেব। বান্দারা যখন নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করবে, তখন আল্লাহ আরো নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করে দেন। আর যদি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা হয়, তাহলে আল্লাহ নিয়ামত কমিয়ে দেবেন এবং সেইসঙ্গে আরেকটি কঠিন বাণী আল্লাহ বলেছেন, ‘জেনে রাখো আল্লাহর কঠিন আজাবও তোমাদের জন্য অবধারিত থাকবে।’ নিয়ামতের শুকরিয়া শুধু মুখে আদায় করা যথেষ্ট নয়। কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর শুকরিয়া আমলের মাধ্যমে আদায় করো।’ সুতরাং বান্দারা শুকরিয়া আদায় করবে। শুকরিয়ার অনেকগুলো দিক রয়েছে, তার মধ্যে আমলের মাধ্যমে শুকরিয়া আদায় করা হলো শুকরিয়ার সর্বোচ্চ স্তর।

নবী মুহাম্মদ (সাঃ) - নিষ্পাপ চরিত্রের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ

তিনি ছিলেন মানবজাতির আদর্শ। তিনি অত্যন্ত উদার ও বিনয়ী ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক এবং একজন সাহসী যোদ্ধা। এছাড়াও তিনি একজন দক্ষ প্রশাসক, একজন দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক এবং একজন সফল প্রচারক ছিলেন। তিনিই উত্তম চরিত্র ও উদারতার একমাত্র উৎস। তিনি সকলের আদর্শহীন এবং প্রিয় ব্যক্তিত্ব। যার প্রেমে, দুনিয়া মাতাল। তিনি আমার আদর্শ, তিনি আমার নেতা। তিনি আমার নবী, আমাদের নবী এবং সকলের নবী। তিনি হলেন হযরত মুহাম্মদ (সা.) তিনি সর্বোত্তম আদর্শ। সমস্ত মানবজাতির জন্য করুণা। অন্ধকারে নিমজ্জিত বিশ্বের মানুষের জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে। তার অসাধারণ চরিত্র, মাধুর্য এবং অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব সবাইকে অবাক করেছে। মুমিনের চঞ্চল হৃদয় তাকে এক নজর দেখার জন্য আকুল হয়ে থাকে। কবি কাজী নজরুল বলেছেন: “বিচ্ছেদের রাত ছিল একাকার কান্নার ভোর; আমার মনে শান্তি নেই, আমি কাঁদছি। হে মদিনাবাসীর প্রেমিক, আমার হাত ধর।" তার নিষ্কলুষ চরিত্রের স্বীকৃতি দিয়ে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, "তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।" (সূরা আল-আহজাব, আয়াত 21)। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে আজ কিছু লোক সেই নবীর সম্মানকে অবমাননা করছে। হৃদয় ভেঙ্গে যায়। আমাদের ক্ষমা করুন, হে নবী! তিনি তার অবিস্মরণীয় ক্ষমা, উদারতা, সততা, নম্রতা প্রভৃতির বিরল মুগ্ধতা দিয়ে বর্বর আরব জাতির আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এজন্য তারা তাকে ‘আল-আমিন’ উপাধিতে ভূষিত করেন। তারা সর্বসম্মতিক্রমে স্বীকার করেছিল যে তিনি নম্র এবং গুণী ছিলেন। টাকা দিয়ে নয়, ভালো ব্যবহার দিয়ে তিনি বিশ্ববাসীকে জয় করেছেন। আল্লাহ তাঁর গুণাবলী সম্পর্কে কুরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই তুমি মহৎ চরিত্রের অধিকারী।’ (সূরা আল কালাম, আয়াত ৪)। তিনি কখনো মানুষকে তুচ্ছ করেননি। আত্মসম্মানবোধে তিনি কাউকে তুচ্ছ মনে করেননি। তিনি বিশ্বের হৃদয়ে উচ্চতর চরিত্রের একটি অনুপম মানদণ্ড স্থাপন করেছেন। নম্রতা তার চরিত্রে সর্বদা উপস্থিত ছিল। পৃথিবীর মানবতার কল্যাণে তাকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল শ্রেষ্ঠ আদর্শের বাস্তবায়নকারী ও প্রশিক্ষক হিসেবে। এ প্রসঙ্গে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমাকে আমার উত্তম চরিত্র পূর্ণ করার জন্য প্রেরিত করা হয়েছে।’ (মুসনাদে আহমদ, মিশকাত) ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন বিনয়ী এবং আচার-আচরণে অত্যন্ত বিনয়ী। দুর্বল ব্যক্তিকে কড়া কথায় আঘাত করবেন না। তিনি কোন মানুষকে তার সাধ্যের বাইরে অসাধ্য সাধন করতে বাধ্য করেননি। গরিব-অসহায় মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করতেন। তিনি লোকদেরকে তাদের আচরণে অপ্রয়োজনীয় রাগ ও রাগ থেকে সর্বদা বিরত থাকার উপদেশ দিতেন এবং মানুষকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন, “যে বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাকে উঁচু করে দেন এবং যে অহংকারী হয়, আল্লাহ তাকে লাঞ্ছিত করেন।” (মিশকাত) কাফেররাও তার কাছ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে সদয় ও নম্র আচরণ পেয়েছিল। তার অনুসারীরা তাকে উচ্চ সম্মানের সাথে ধরেছিল কারণ তিনি খুব নমনীয় এবং নম্র ছিলেন। হজরত আয়েশা (রা.) তার ভদ্র আচার-আচরণ সম্পর্কে বলেন, ‘নবী (সা.) রূঢ় বক্তা ছিলেন না, প্রয়োজনের সময়ও তিনি কঠোর ভাষা ব্যবহার করতেন না। প্রতিহিংসা তার সাথে ছিল না মোটেও। মন্দের বিনিময়ে ভালোই করেছেন। সব ক্ষেত্রেই তিনি ক্ষমা পছন্দ করতেন। তিনি লোকদেরকে উপদেশ দিয়েছিলেন, “আল্লাহর ইবাদত কর, করুণাময় প্রভু, ক্ষুধার্তকে খাবার দাও, সালাম দাও এবং এসব কাজের মাধ্যমে জান্নাতে প্রবেশ কর। তিনি উত্তর দিলেন, "ক্ষুধার্তকে খাওয়ানো এবং অপরিচিত সকলকে সালাম করা।" (বুখারী ও মুসলিম)। মহানবী (সা.)-এর মর্যাদাকে সম্মান করা মুসলমানদের ধর্মীয় কর্তব্য এবং প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানের মৌলিক অংশ।

মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি?

নামাজ, রোজা, জাকাত, হজ, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৯২৯তম পর্বে ই-মেইলের মাধ্যমে কানিজ নাহার দিপা জানতে চেয়েছেন, মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? অনুলিখন করেছেন মোহাম্মদ সাইফ আহমেদ। প্রশ্ন : মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? উত্তর : না দোয়ার জন্য আলাদা কোনো মাহফিল নেই। এটা আসবে কেন? আমরা একটা জায়গা থেকে বাঁচার জন্য আরেকটি কাজ করছি। কিন্তু সেই কাজটি ভুল করে আরও বড় ভুলের সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। আমাদের সমাজে একটি প্রথা একেবারে ছেয়ে গেছে। যেমন—একজন মারা গেলে তার জন্য মিলাদ-মাহফিল করা কিংবা কূলখানি করা। কিন্তু এগুলো সবই বেদআতি কাজ। এগুলো সঠিক কাজ নয়। অনেকে মনে করছে, দোয়া-মাহফিল করা যেতে পারে। কিন্তু সেটা একদমই নয়। এসব ইসলামে অনুমোদন দেয়নি। এইগুলো পুরোটাই বেদআত। মানুষ চাইলে যে কোনো সময় কিংবা যে কোনো জায়গা থেকে দোয়া করতে পারবেন। দোয়ার সঙ্গে মাহফিল কিংবা আলাদা কোনো ধরনের অনুষ্ঠান ঘোষণা করা জায়েজ নেই। আশা করি, আপনি বুঝতে পেরেছেন।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রতিযোগিতা: চ্যাটজিপিটি বনাম ডিপসিক?

র্তমান প্রযুক্তি বিশ্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) নিয়ে নতুন প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ওপেনএআই-এর চ্যাটজিপিটি ও চীনের ডিপসিকের মধ্যে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুধু প্রযুক্তিগত দক্ষতার নয়, বরং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। চ্যাটজিপিটি দীর্ঘদিন ধরে ব্লগ লেখা, গবেষণা, প্রোগ্রামিংসহ নানান কাজে অপরিহার্য টুল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি চীনের তৈরি ডিপসিক এআই জগতে নতুন আলোড়ন তুলেছে। তারা দাবি করছে, তুলনামূলক কম চিপ ব্যবহার করেই অত্যাধুনিক এআই সেবা দেওয়া সম্ভব, যেখানে ওপেনএআই-এর বিশাল মডেলগুলোর জন্য ১৬,০০০ বা তারও বেশি চিপ প্রয়োজন হয়, সেখানে মাত্র ২০০০ চিপ দিয়ে ডিপসিক কার্যকরভাবে কাজ করতে সক্ষম। দুই প্ল্যাটফর্মের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রয়েছে। ✅ চ্যাটজিপিটি: বিস্তৃত বিশ্লেষণ ও গভীর গবেষণা উপস্থাপন করতে পারে, যা একাডেমিক ও জটিল সমস্যার সমাধানে সহায়ক। ✅ ডিপসিক: দ্রুত এবং সংক্ষিপ্ত উত্তর দিতে পারে, যা তাৎক্ষণিক ফলাফল প্রত্যাশী ব্যবহারকারীদের জন্য উপযোগী। লেখালেখির ক্ষেত্রে চ্যাটজিপিটি কেবল ধারণা ও প্লটের কাঠামো গড়ে তোলে, যেখানে ডিপসিক প্রায় পুরো গল্প তৈরি করে দিতে পারে। একইভাবে, কোডিংয়ের ক্ষেত্রেও ডিপসিক কিছু ক্ষেত্রে দ্রুত সমাধান দিতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। ডিপসিকের বিরুদ্ধে ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা সংরক্ষণ ও তথ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অস্ট্রেলিয়াসহ কয়েকটি দেশের সরকার ইতোমধ্যেই ডিপসিকের ডেটা নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ওপেনএআই নিজেও অতীতে অনুমতি ছাড়া মানুষের লেখা ডেটা প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহারের অভিযোগের মুখে পড়েছিল, যা এখন ডিপসিকের বিরুদ্ধে উঠছে। ডিপসিকের সাফল্যের ফলে এআই চিপের বাজারেও বড় প্রভাব পড়েছে। এনভিডিয়া, যারা উন্নত চিপ তৈরিতে বিশ্বব্যাপী অগ্রগণ্য, তাদের শেয়ারের মূল্য একদিনে প্রায় ১৭% কমে গেছে। কারণ, কম শক্তিশালী হার্ডওয়্যারেও কার্যকর এআই সম্ভব হলে উচ্চমূল্যের উন্নত চিপের বাজার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে প্রযুক্তিগত প্রতিযোগিতা নতুন কিছু নয়, তবে ডিপসিকের উদ্ভাবন নতুন মাত্রা যোগ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই চীনে উন্নত চিপ রপ্তানির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, কম খরচে ভালো এআই তৈরি হলে মার্কিন প্রযুক্তি খাতেরও লাভ হতে পারে। এই প্রতিযোগিতা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভবিষ্যৎকে আরও উন্নত ও বহুমাত্রিক করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যেখানে দ্রুত এবং সাশ্রয়ী সমাধান দরকার, সেখানে হয়তো ডিপসিক এগিয়ে থাকবে, আর যেখানে গবেষণা ও জটিল বিশ্লেষণের প্রয়োজন, সেখানে চ্যাটজিপিটির মতো বৃহৎ মডেলগুলো প্রাধান্য পাবে। শেষ পর্যন্ত, এই প্রতিযোগিতাই হয়তো এআই প্রযুক্তিকে আরও দক্ষ, নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী করবে।

শীর্ষ সপ্তাহ

টাঙ্গাইলের কাকুয়া ইউনিয়নে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল
সারা দেশ

টাঙ্গাইলের কাকুয়া ইউনিয়নে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল

ডিসেম্বর ৯, ২০২৫ 0

ভোট জরিপ

আমাদের নতুন ওয়েবসাইট আপনাদের কাছে কেমন লাগছে