বেগমগঞ্জ মডেল থানা পুলিশের অভিযানে ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত সিআর পরোয়ানায়-০১জন, সিআর পরোয়ানায়-০৩জন, জিআর পরোয়ানা-০১জন, নিয়মিত মামলায় ০২জন, পুলিশ আইন-৩৪ ধারায়-০৩জনসহ মোট-১০জন আসামী গ্রেফতার হয়েছে। আজ দুপুরে অফিসার ইনচার্জ,বেগমগঞ্জ মডেল থানার প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়, জেলা পুলিশের দিক নির্দেশনা ও বেগমগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আঃ বারী এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে থানার এএসআই(নিরস্ত্র) মোঃ ইলিয়াছ উদ্দিন সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত সিআর পরোয়ানা ৬৩৪/২০২১ দায়রা-১১৩৮/১৯, এর আসামী ১।দিপক মজুমদার, পিতা-হরেরাম শীল, সিআর পরোয়ানা-৭৬২/২৫ এর আসামী ২। জাহানারা, পিতা-মোঃ মনির, মাতা-আংকুরের নেছা, উভয় সাং-গণিপুর চৌমুহনী পৌরসভা, সিআর পরোয়ানা-৭৬৪/২৫ এর আসামী ৩। বিবি উম্মে সালমা, পিতা-আবদুল মান্নান, মাতা-ছকিনা বেগম, সাং-মীরওয়ারিশপুর, এএসআই(নিঃ) মোঃ শাহাজাদা সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় সিআর পরোয়ানা ২৯০/২০ এর আসামী ৪। কবির হোসেন মিলন, পিতা-মৃত তনু মিয়া, সাং-আলাইয়ারপুর। এএসআই(নিঃ) মোঃ করিব হোসেন সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় জিআর পরোয়ানা ১৯/২৫ এর আসামী ৫। জাহাঙ্গীর(৩০), পিতা-মৃত শহিদ উল্যাহ, সাং-বারইচতল। এসআই(নিঃ) মোঃ খোরশেদ আলম সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় বেগমগঞ্জ মডেল থানার নিয়মিত মামলা নং-০৪(১২)২৫ এর আসামী ৬। নিজাম উদ্দিন প্রঃ রুবেল(৩৪), পিতা-মৃত আব্দুর রব, মাতা-আঙ্কুরের নেছা, সাং-হাজীপুর, ৭। মোঃ পারভেজ(২৮), পিতা-ইমন হাওলাদার, সাং-টঙ্গীপাড়া, থানা-টঙ্গীপাড়া, জেলা-মুন্সিগঞ্জ। এসআই(নিঃ) মাহামুদুল হক সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় পুলিশ আইনের ৩৪ ধারায় ৮। মহিন উদ্দিন প্রঃ নান্নু(৩০), পিতা-আব্দুল জাব্বার, মাতা-ফরিদা আক্তার, ৯। মোঃ দেলোয়ার হোসেন(৪৫), পিতা-মোঃ হানিফ, মাতা-দূরলফী বেগম, উভয় সাং-নাজিরপুর, ১নং ওয়ার্ড, চৌমুহনী পৌরসভা, ১০। মোঃ সজিব(২০), পিতা-নুরুল ইসলাম, মাতা-বিবি মরিয়ম, সাং-পশ্চিম শোলকিয়া, ৬নং ওয়ার্ড, ৯নং কালাদরাপ ইউপি, থানা-সুধারাম গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে বিধি মোতাবেক আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বেগমগঞ্জ মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আঃ বারী জানান, পুলিশ কর্তৃক বিশেষ অভিযান এর কার্যক্রম চলমান আছে। এছাড়াও থানা এলাকায় গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত ও নিয়মিত মামলার আসামী গ্রেফতারসহ অবৈধ অস্ত্র ও অবৈধ মাদক উদ্ধার সংক্রান্তে অভিযান অব্যাহত থাকবে, এইসব কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য গণমাধ্যমের সহায়তা আশা করে
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে একাধিক মামলার আসামি গণপিটুনিতে হত্যা দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। বুধবার দুপুরে নোয়াখালী ডিসি অফিসের সামনে এই মানববন্ধন করেন হত্যা মামলার আসামিদের আত্মীয়-স্বজন ও গ্রামবাসী। গত সোমবার বেগমগঞ্জ উপজেলার হাজীপুর গ্রামের ফখরুল ইসলাম মন্জু ওরফে বলি নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে এলাকায় নির্যাতিত নারীপুরুষরা। এ ব্যাপারে পুলিশ বলছে নিহত যুবক একাধিক মামলার আসামি। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ রয়েছে। সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার ১৪নং হাজীপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মান্দার বাড়ির দরজায় এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত বলি উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের খালাসী বাড়ির বদিউজ্জামানের ছেলে। গতকাল মঙ্গলবার নিহতের বাবা বদিউজ্জামান বাদী হয়ে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় ৮জনের নাম উল্লেখ্য করে ও অজ্ঞাত আটজনের নাম দিয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দায়েরকৃত হত্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে তাই মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। মানববন্ধনে আসা খালেদা আক্তার জানান, বলি এলাকাতে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। গত দুই-তিন বছর আমরা তার ভয়ে কথা বলতে পারেনি। এলাকাতে কোন সিএনজি আসলে সিএনজি থেকে সবাইকে নামিয়ে ছিনতাই করে টাকা পয়সা নিয়ে যেত। তার ভয়ে কেউ মুখ খুলতো না। ভুক্তভোগী আশরাফ আলী বলেন আমার ছেলেকে নষ্ট করার পিছনে বলি দায়ী, ইয়াবা সেবনসহ, গাঞ্জা, মাদক ব্যবসা করত সে। গ্রামের লোক তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। আম্বিয়া খাতুন বলেন, আমাদের পাশের বাড়িতে সেই টর্চার সেল তৈরি করে রেখেছে, কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বললে সেখানে তাকে কারেন্টের শর্ট দেওয়া হতো। মহিলারা দিনে দুপুরে বের হতে ভয় পেতো। গত সোমবার সবাই যখন তাকে গণপিটুনি দেয় বলি মারা যায়, কিন্তু তার মারা যাওয়ার কারণে হত্যা মামলা করে গ্রামবাসীকে হয়রানি করার এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের আমরা দাবি জানাচ্ছি। সন্ত্রাসী গণপিটুনে মারা যায় সেখানে আবার মামলা কি ? মামলা প্রত্যাহার না করলে আমরা এলাকাবাসী রাজপথ ছাড়বো না। আজকের মানববন্ধনের মাধ্যমে আমরা নোয়াখালীর ডিসি ও এসপিকে এর সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে মামলা প্রত্যাহার করার আহবান করি
সারাদেশে ন্যায় নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবীতে কর্মবিরতি পালন করা হয়েছে। রবিবার সকাল ০৯টা হতে ১১টা পর্যন্ত (২ ঘণ্টা) কর্মবিরতি পালন করছে বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও নোয়াখালী মেডিকেল কলেজের টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। বাংলাদেশ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্ট দশম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদ পক্ষে এই কর্মবিরতি পালন করা হয়। কর্মবিরতি কারণে উপজেলা চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের ব্যাপক ভীড় ও উত্তেজনা দেখা যায়। সঠিক সময় চিকিৎসা না পাওয়া অনেকে ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এছাড়াও আজকের কর্মবিরতির পূর্বের কোন নির্দেশনা না থাকায় ভোগান্তির শিকার হয়েছে অনেকে। কর্মবিরতি নিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা দশম গ্রেড বাস্তবায়ন করে তাদের মানবেতর জীবন থেকে মুক্তি দিয়ে সচ্ছল জীবন যাপন করার সুযোগ পাওয়ার জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সমাবেশে নোয়াখালীর নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন টেকনোলজিস্ট নুরুল করিম নোমান, ফার্মাসিস্ট আনোয়ার হোসেন। টেকনোলজিস্ট শফিউল্ল্যাহ রাসেল সহ আরো অনেকেই। পরে তাদের দাবী নিয়ে পুনরায় স্মারকলিপি দেন বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ হাসান খায়ের চৌধুরী কাছে। তিনি তাদের দাবীর সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে সবরকম সহায়তায় করার আশ্বাস দেন এবং স্মারকলিপি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট পৌঁছানোর ব্যবস্থা করেন।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান ও নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী বরকত উল্লাহ বুলু। এইসময় রোগমুক্তির জন্য মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মোনাজাত করেন চৌমুহনী কাচারি বাড়ি জামে মসজিদের খতিব মাওলানা কবির আহমেদ। এই সময় তিনি জাতির ক্লান্তি লগ্নে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিভিন্ন কর্মকান্ড সামনে এনে আল্লাহর কাছে তার রোগ মুক্তি হয়ে জাতির নেতৃত্বে আবার এসে সুন্দর বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার জন্য দোয়া করেন। আজ দুপুরে বেগমগঞ্জের সেন্টাল কমিউনিটি সেন্টার এ দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন বেগমগঞ্জ ১৬ইউনিয়ন ও চৌমুহনী পৌরসভার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। এইসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নোয়াখালী জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য শামীমা বরকত লাকী। চৌমুহনী পৌরসভা বিএনপির আহবায়ক জহির উদ্দিন হারুন এর সভাপতিত্বে ও যুবদলের আহবায়ক রুস্তম আলী সঞ্চালনায় দোয়া মাহফিলে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেগমগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কামাখ্যা চন্দ্র দাস, বেগমগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ মাহফুজুল হক আবেদ, যুগ্ম-আহবায়ক নাজমুল গনি চৌধুরী (মান্না), যুগ্ম আহবায়ক মীর জুমলা (মিঠু)। চৌমুহনী পৌরসভা বিএনপি সদস্য সচিব মোঃ মহসিন আলম, যুগ্ম-আহবায়ক ইসমাইল হোসেন দুলাল। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বেগমগঞ্জ উপজেলা ওলামা দলের আহ্বায়ক কাজী মাওলানা আবদুল আলী ও সদস্য সচিব মাকসুদুর রহমান। বেগমগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল আমিন, সেচ্চাসেবক দলের আহ্বায়ক সুমন এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বেগমগঞ্জ উপজেলা, চৌমুহনী পৌরসভার বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ
শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ইসলামী শ্রমনীতির বাস্তবায়ন অনিবার্য " নোয়াখালী বেগমগঞ্জ উপজেলায় দোকান কর্মচারী ও লোডআনলোড শ্রমিক ইউনিয়ন এর কার্যকরী কমিটির নির্বাচন সম্পূর্ণ হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে চৌমুহনী শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের অফিসে বেগমগঞ্জ উপজেলা দোকান কর্মচারী ইউনিয়ন ( রেজিঃ নং কুমি- ০৩০) নির্বাচিত সদস্যদের ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনার প্রফেসার মোস্তাফিজুর রহমান, বেগমগঞ্জ উপজেলা লোডআনলোড শ্রমিক ইউনিয়ন ( রেজিঃ নং কুমি- ১০১) নির্বাচিত সদস্যদের ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনার নির্বাচন কমিশনার নুর হোসেন। লোডআনলোড শ্রমিক ইউনিয়ন নির্বাচিত সদস্যরা সভাপতি কামাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাকের হোসেন (নিশান), সহ-সাধারণ সম্পাদক মো: ইউনুস আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক মজিবুর রহমান, অর্থ সম্পাদক আক্তার হোসেন, অফিস ও প্রচার সম্পাদক মো: জাকের হোসেন, কার্যকরী সদস্য আবুল কাশেম। দোকান কর্মচারী ইউনিয়ন সভাপতি মো: ফয়েজ, সহ-সভাপতি ইসমাঈল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবু ছায়েদ, সহ-সাধারণ সম্পাদক মো: নুর ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা, অর্থ সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন, প্রচার সম্পাদক মো: শহীদুল ইসলাম, অফিস সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান, সমাজকল্যাণ সম্পাদক দেলোওয়ার হোসেন, কার্যকরী সদস্য: মোয়াজ্জেম হোসেন, মো: নাঈম, মো: রফিক, মো: রবিউল আলম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা নির্বাচিত হয়। পরে নির্বাচিত সদস্যদেরকে ফুল দিয়ে বরণ করেন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের নোয়াখালী জেলা উপদেষ্টা বোরহান উদ্দিন, আলা উদ্দিন ও এডভোকেট মিজানুর রহমান, এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন চৌমুহনী শহর শাখার সভাপতি ও জেলা ট্রেড ইউনিয়ন সম্পাদক অলি উল্ল্যা ইয়াসিন
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে আব্দুল কাদের জিলানী ওরফে কানকাটা কাদিরাকে (৩৫) পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনার সাতদিন পর এক সৌদি প্রবাসীসহ ৩জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের আব্দুল কাদের চেরাং বাড়ির বাসিন্দা সৌদি আরব প্রবাসী মো. ইদ্রিস ওরফে মানিক (৩৪), মোহাম্মদ রাকিব(২৬) ও একই বাড়ির মো.জাফর (২৮)। বিকেলে আসামিদের নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে। এর আগে, একই দিন ভোরে উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের চেরাং বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। নিহত জিলানী ওই উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. গোফরানের ছেলে। পুলিশ জানায়, এক মাস আগে উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের চেরাং বাড়ির সৌদি আরব প্রবাসী মানিক দেশে ফিরেন। দেশে আসার পর তার থেকে ইয়াবা সেবনের জন্য টাকা দাবি করেন ভিকটিম চার মামলার আসামি কানকাটা কাদিরা। এ নিয়ে তাদের মধ্যে একটা বিরোধ সৃষ্টি হয়। ওই সুযোগে কাদিরার প্রতিপক্ষ গ্রুপের রাকিব ও জাফরসহ একাধিক অস্ত্রধারী কাদিরাকে হত্যার মিশনে নামেন। পরবর্তীতে আধিপত্য বিস্তারের জেরে গত শুক্রবার (৭ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ১০-১৫জন সন্ত্রাসী উপজেলার হাজীপুর গ্রামের মুন্নার দোকানের সামনে তাকে পিটিয়ে এবং উপর্যুপরি কুপিয়ে হত্যার পর মরদেহ ডোবায় ফেলে দেয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বেগমগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক কুতুব উদ্দিন লিয়ন বলেন, এ ঘটনায় নিহতের পরিবার বেগমগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যাকান্ডের ৭দিন পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আসামিদের তাদের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিন আসামির মধ্যে দুইজন দোষ স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন
অনলাইন-বিকাশ প্রতারক চক্রের সক্রিয় এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) নোয়াখালী। গ্রেপ্তার মো.শাহআলম (২৯) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার গজারিয়া গ্রামের উত্তর পাড়া মিয়া বাড়ির এরশাদ মিয়ার ছেলে। সোমবার (১০ নভেম্বর) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নোয়াখালীর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান । এর আগে, গতকাল রবিবার বিকেলে বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী বাজারের করিমপুর রোড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পিবিআই জানায়, ২০২৩ সালে আসামি ভিকটিমের কাছে ফেইসবুক আইডি'র লিংক পাঠিয়ে ২শত টাকা চেয়ে পার্টটাইম কাজ করা যাবে বলে সম্মত করে টেলিগ্রাম আইডিতে যুক্ত করে। প্রথমে বিকাশ নাম্বারের মাধ্যমে ২০০ টাকার বিনিময়ে প্রথমবারে ২৬০ টাকার অনলাইন প্রোডাক্ট কিনলে লভ্যাংশসহ ৩৭০ বাদীকে বিকাশে ফেরত পাঠায়। এরই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন তারিখ ও সময় লেনদেন ও প্রোডাক্ট কেনাকাটা হয়। ভুক্তভোগী অতিরিক্ত লাভের আশায় লোভে পড়ে সর্বশেষ ২০২৩ সালের ২১জুন সর্বশেষ ১৩ লাখ ৩৮ হাজার ৬৮৮ টাকা আসামির বিকাশ ও বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে পাঠায়। পরে বাদীকে টাকা বা প্রোডাক্ট ফেরত দেয়ার জন্য বার বার বা অনুরোধ করলে আসামি বিভিন্ন কৌশলে টাকা আটকে গেছে বলে কালক্ষেপণ করতে থাকে। পরবর্তীতে সিটি ব্যাংক ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার আরশাদ আলী'র নামীয় একাউন্টে আরও ৩ লক্ষ টাকা জমা দিলে বাদীকে লভ্যাংশসহ সব টাকা একসাথে ফেরত পাঠাবে বললে ভিকটিমের সন্দেহ হয়। পরবর্তীতে বাদী সুধারাম মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। নোয়াখালীর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান আরও বলেন, আসামি উচ্চতর শিক্ষা অর্জনের জন্য চায়নার চংচিং ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি থেকে ইলেকট্রিক এন্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে সিজিপিএ ২.৭৩ পেয়ে স্নাতক কোর্স সম্পন্ন করেন। কোভিড-১৯ মহামারীর সময় তিনি দেশে চলে আসেন। কিছুদিন বেকার থাকার পর বেকার অবস্থায় অনলাইনে বিভিন্ন প্রতারণমুলক বিজ্ঞাপন দেখে তা থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রতারণার সাথে জড়িত হয়ে যান। তারপর বিভিন্ন এ্যাপস দিয়ে মানুষকে পার্ট টাইম জব দেওয়ার কথা বলে উক্ত আসামি ও তাহার বড় ভাই নুর আলম অনলাইনে প্রতারণা করে টাকা নিত। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে প্রতারক চক্রের অন্যতম সক্রিয় সদস্য শাহআলমকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে অভিযান চালিয়ে চুরি,ছিনতাই, চাঁদাবাজি,ডাকাতি ও একাধিক মাদক মামলাসহ মোট ১৪ (চৌদ্দ) টি মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত ও পেশাদার অপরাধী জাহাঙ্গীর আলম ওরফে কসাই জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১ (সিপিসি-৩) নোয়াখালী ক্যাম্পের সদস্যরা। রবিবার দুপুরে নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানাধীন মিরওয়ারীশপুর ইউপির ১নং ওয়ার্ডস্থ রিয়াজ স্টোরের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছেন র্যাব-১১,নোয়াখালী ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার মিঠুন কুন্ড । তিনি জানান, গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ থানায় ২০১৮ সালের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের একটি মামলায় (মামলা নং-১৩,তারিখ-১৮/০৭/২০২৫ইং) বিচারকার্য চলাকালে পলাতক থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এর ভিত্তিতে আজ তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি আরও জানান গ্রেফতারকৃত কসাই জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ থানায় উল্লেখিত মাদক মামলা ছাড়াও আরও ১৩টি মামলা রয়েছে। এসব মামলার মধ্যে রয়েছে চুরি,ছিনতাই,চাঁদাবাজি, ডাকাতি এবং বিভিন্ন ধারার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের একাধিক মামলা। দীর্ঘদিন ধরে সে গ্রেফতার এড়ানোর জন্য পলাতক ছিল। র্যাব-১১,সিপিসি-৩ এর চৌকস দল গোয়েন্দা কার্যক্রমের মাধ্যমে তার অবস্থান নিশ্চিত করে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে তার নাম-পরিচয় নিশ্চিত করে এবং ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি বলে স্বীকার করে। আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গ্রেফতারকৃত কসাই জাহাঙ্গীরকে নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে
জনগনের সার্বিক প্রত্যাশা পূরণে বিএনপি সময়োপযোগী বাস্তবিক বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন সাবেক ছাত্র নেতা , সংগঠক , গবেষণা ও অনলাইন এক্টিভিটস নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের মাটি মানুষের নেতা নাছিম আলী আখন্দ। তিনি আজ সকালে বেগমগঞ্জের চৌমুহনী পৌরসভার কুরিপাড়া নিজ বাসভবনে এলিট সাংবাদিক ফোরাম (ইজেএফ) এর সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের সাথে বর্তমান তৃনমুল রাজনৈতি ও বিশ্ব অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের করণীয় বিষয়ে আলাপকালে এমন মন্তব্য করেন। বিশ্ব রাজনৈতির প্রভাব মুক্ত বাংলাদেশ ও করনীয় কার্যক্রমের উপর আলোচনা কালে তিনি সাংবাদিক নেতাদের জানান, বিশ্বায়নের যুগে মানুষ যখন উৎপাদন মুখী রাষ্ট্র কাঠামো সৃষ্টিতে রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করছে ঠিক তখনি আমাদের বাংলাদেশ তার থেকে অনেকটা পিছিয়ে আছে। দেশের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কোন কার্যক্রমে হাতে নিচ্ছে না। ফলে ব্যাহত হচ্ছে অর্থনীতি, এর প্রভাব পড়ছে তৃণমূলে। রাজনৈতিক দলের মূল লক্ষ্য থাকবে হবে বিশ্ব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। তিনি ৩৬ জুলাই চব্বিশের গণঅভ্যর্থনের শহীদের স্মরণ করে বলেন, যারা এদেশকে ফ্যাসিস্ট মুক্ত করেছে তাদের অবদানকে সামনে রেখে তার সাথে ফ্যাসিস্ট দ্বারা নির্যাতিতদের ত্যাগকে মনে রেখে দেশকে সাজাতে হবে নতুন করে। আগামী দিনের বাংলাদেশ বিনির্মানে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ ও সংগঠিত করে সমাজের অধিকতর জ্ঞানী, সৎ, দক্ষ , সৃজনশীল, আলোকিত ও দেশপ্রেমিক নাগরিকদের সমন্বয়ে কর্মকৌশল প্রনয়ন ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব বলে তিনি মনে করেন । এবং এজন্য তিনি আগামী দিনে নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) আসনের সকলের সারথি হতে চায়
নোয়াখালীতে ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে গণিত অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয়েছে। ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে আজ নোয়াখালী জেলা উত্তর শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে গণিত অলিম্পিয়াড ২০২৫। ছাত্রশিবির নোয়াখালী জেলা উত্তর শাখার ৪টি উপজেলা বেগমগঞ্জ, সোনাইমুড়ী,চাটখিল, সেনবাগ এর বিভিন্ন বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা থেকে আগত ২ হাজার এরও বেশি শিক্ষার্থীরা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে , গণিত অলিম্পিয়াডে আগত শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং শিক্ষকদেরকে উচ্ছ্বাসিত দেখা যায়। অভিভাবকগণ জানান ছাত্রশিবির এটি চমৎকার আয়োজন করেছে, এমন আয়োজনে সন্তানেরা মেধার বিকাশ ঘটাবে। আগত শিক্ষকগণ জানান, শিক্ষার্থীদের জন্য ছাত্রশিবির যে আয়োজন করেছে এটি অত্যন্ত প্রশংসনীয়, খুব ভালো উদ্যোগ। ছাত্রশিবির তাদের এ শিক্ষার্থীবান্ধব কাজ অব্যাহত রাখবে বলে আমরা আশা করি। গণিত অলিম্পিয়াডে পরিদর্শনে আসেন বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুর রহমান। বেগমগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুর রহমান বলেন ছাত্রশিবির একটি ছাত্র সংগঠন হিসেবে আমরা তাদের কাছে এমন শিক্ষার্থীবান্ধব কাজেই প্রত্যাশা করি। ছাত্রশিবিরের এই চমৎকার আয়োজনকে সাধুবাদ জানাই। দেশ এবং জাতি গঠনে ছাত্রশিবির মেধাবীদেরকে নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিযোগিতামূলক আয়োজন করে যাবে এটাই প্রত্যাশা। ইসলামী ছাত্রশিবির নোয়াখালী জেলা উত্তর শাখার সভাপতি দাউদ ইসলাম বলেন “গণিত কেবল একটি বিষয় নয়, এটি যুক্তিবোধ ও সৃজনশীলতার বিকাশের চাবিকাঠি। আমাদের লক্ষ্য হলো শিক্ষার্থীদের মাঝে চিন্তা, অনুসন্ধান ও যুক্তির চর্চাকে জাগ্রত করা। এ লক্ষ্যেই ইসলামী ছাত্রশিবির নোয়াখালী জেলা উত্তর শাখা শিক্ষার্থীদের কে নিয়ে গণিত অলিম্পিয়াড আয়োজন করেছে। ছাত্রশিবির নোয়াখালী জেলা উত্তর শাখার সেক্রেটারি মুজাহিদুল ইসলাম বলেন। গণিত শুধু একটি সংখ্যা নয় এটি চিন্তা চেতনার এক শৃঙ্খলা, আজকের এই গণিত অলিম্পিয়াড ইসলামী ছাত্রশিবিরের ধারাবাহিক কাজেরই অংশ। ইসলামী ছাত্রশিবির শিক্ষার্থীবান্ধব কাজের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে সহযোগী হবে ইনশাল্লাহ
আগামী সংসদ নির্বাচনের আগেই খুনি শেখ হাসিনার বিচার নি:শেষ করতে হবে এবং আওয়ামীলীগ ফ্যাসিস্টদের আইনের আওতায় এনে তাদের বিচার সম্পন্ন করে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নোয়াখালী জেলা শাখার সেক্রেটারি ও নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী মাওলানা বোরহান উদ্দিন। শুক্রবার বিকেলে বেগমগঞ্জ উপজেলার ১০নং নরোত্তমপুর ইউনিয়নের পন্ডিত বাজারে ইউনিয়ন জামায়াতে সহ-সভাপতি আবদুল আহাদের সঞ্চালনায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নরোত্তমপুর ইউনিয়নের সভাপতি হাসান পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে ইউনিয়ন কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এইসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক নাসিমুল গনি চৌধুরী মহল, বেগমগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আবু জায়েদ, সেক্রেটারি মাওলানা আবদুর রহিম, উপজেলা সূরা ও কর্ম পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান। এইসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ইউনিয়ন সেক্রেটারি মনির হোসেন মনির, সাবেক ওয়ার্ড শ্রমিক কল্যান সভাপতি মোহাম্মদ খলিল সহ ইউনিয়ন ওয়ার্ড জামায়াতের কর্মীবৃন্দ সহ আরো অনেকে। সম্মেলনে বক্তব্যে তারা বলেন, আগামীতে কোরআন ও ইসলামের আলোকে রাষ্ট্র পরিচালনা করা হবে ইনশাআল্লাহ। ইসলাম ও কোরআন এর আলোকে পরিচালনা হলে দেশে থাকবেনা কোন ফ্যাসিবাদী, জুলুমবাদী৷ দল। এইছাড়া অতি দ্রুত পি আর পদ্ধতিতে নির্বাচন দেওয়ার আহবান জানান
মানুষ মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন কতৃক আয়োজিত ৬নং নাটেশ্বর ইউনিয়ন মিনিবার ফুটবল টুর্নামেন্ট মেগা ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছে। নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার ৬নং নটেশ্বর ইউনিয়নের ঘোষকামতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে আয়োজিত ফাইনালে বিজয়ী দলের হাতে নগদ অর্থ ও ট্রফি তুলে দেয় অতিথিরা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী বরকত উল্ল্যা বুলু। মানুষ মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সভাপতি এম এ হাই (ভুট্টো) এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নোয়াখালী জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য ও বরকত উল্ল্যা বুলুর স্ত্রী শামীমা বরকত লাকী। বেগমগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কামাক্ষ্যা চন্দ্র দাস। সোনাইমুড়ী উপজেলা বিএনপির আহবায়ক দিদার হোসেন, সদস্য সচিব কুতুবউদ্দিন সানি। মানুষ মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা দক্ষিণ আফ্রিকা প্রবাসী আনোয়ার হোসেন রনি এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, চৌমুহনী পৌরসভা বিএনপির আহবায়ক জহির উদ্দিন হারুন। নাটেশ্বর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি সাখায়েত হোসেন সাকু সহ উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ
সারাদেশের মত বেগমগঞ্জে শুরু হলো ৯মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সি সকল শিশু এবং প্রাক- প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণি ও সমমান পর্যন্ত সকল শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে ১ ডোজ টাইফয়েড টিকা প্রদান কর্মসূচি। রবিবার সকালে ২নং গোপালপুর ইউনিয়নের কালিকাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে টিকা প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ হাসান খায়ের চৌধুরী। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন এমওডিসি ডাঃ তারানা জাফরিন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ইপিআই মোহাম্মদ মানিক মিয়া। পরে উপজেলায় বিভিন্ন টিকা কেন্দ্র পরিদর্শন করে বেগমগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন। এসময় তিনি বেগমগঞ্জের সকল সচেতন অভিভাবক ও শিক্ষকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন টাইফয়েড একটি জটিল ও কঠিন অসুখ, শিশুদের মৃত্যু হার বেশির কারনে সরকার ১৫ বয়সের কম শিশুদের এই টিকা বিনামূল্যে ক্যাম্পেইন করে দিচ্ছে। আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন টিকা কেন্দ্রে এই টিকা নেয়ার জন্য সবাইকে সচেতন করতে হবে। আশা করি সারা নোয়াখালীর সবচেয়ে বেশি শিশু বেগমগঞ্জ উপজেলা টিকা নিবে। তিনি এই বিষয়ে সবার আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন। ভিডিও নিউজ ভয়েস ওভার লেখে দাও মেয়ে টোন
নোয়াখালীতে বিএনপি অঙ্গ সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক দল কর্তৃক জামায়াতের মহিলা বিভাগের উঠান বৈঠকে বাধা এবং নগ্ন করে ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ ও সন্তানসহ জবাই করার হুমকির অভিযোগ উঠেছে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র অঙ্গসংগঠন স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় (৯ অক্টোবর) বৃহস্পতিবার তাজ নাহার বেগম সুমি (৩৮) থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। জিডির কপি ও ভুক্তভোগীদের অভিযোগ থেকে জানা যায়, নোয়াখালী পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের মধ্যম করিমপুর নুর আলম চৌধুরীর বাড়িতে গতকাল বুধবার বিকাল ৪ ঘটিকায় তাজ নাহার বেগম সুমির বাড়ির উঠানে জামায়াতের মহিলা শাখার উদ্যোগে নোয়াখালী-৪ (সদর সুবর্ণচর) আসনে জামায়াত মনোনীত সম্ভাব্য প্রার্থী এএসএম ইসহাক খন্দকারের নির্বাচনী উঠান বৈঠক চলছিল। এ সময় একই এলাকার গোলাপ নূর রোমান, মোঃ হোসেন বাবলু, রুবেলসহ ১০-১১ জনের একটি গ্ৰুপ মোটরসাইকেল চোখে যোগে এসে উঠান বৈঠক চলাকালীন বাধা দেয়। বৈঠকে উপস্থিত ৩০-৩৫ জন নারীকে মারধর ও লাঞ্ছিত করার হুমকি দিয়ে বৈঠক থেকে বের করে দেয়। ২নং আসামী হঠাৎ আমার ঘরে এসে জিজ্ঞেস করে এখানে কিসের মিটিং? এখানে যদি আর জামায়াতের কোন মিটিং হয় তাহলে আমি ও আমার সন্তানসহ জবাই করে এমন ভাবে রাখব জামায়াতের লোক কেন, কোন মশা মাছি পর্যন্ত টের পাবে না। ৩নং আসামী আমাকে বলে যে, তোদেরকে মোবাইলে ছবি তুলে ও ভিডিও করে ইণ্টারনেটে ছাড়িয়ে দিব। অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, আজ সকাল ১১ ঘটিকার সময় ১নং আসামী গোলাম নুর রোমান সহ অজ্ঞাতনামা একজন আসামী আমার বাসার সামনে মটর সাইকেল যোগে এসে আমাকে পূনরায় এই বলে হুমকি দেয় যে, আমি যদি জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচনী কোন মিটিং করি কিংবা কোন প্রকার আইনগত পদক্ষেপ নিই তাহলে সুযোগমতো আমি ও আমার পরিবারের সদস্যদেরকে জবাই করে খুন করিয়া ফেলিবে। গোলাপ নুর রোমান কে অভিযোগের বিষয়ে জানতে ফোন করা হলে তিনি বলেন, আমি নোয়াখালী স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক ও সাবের আহমেদ ভাইয়ের রাজনীতি করি। যার বাড়িতে গিয়েছি তার মামাতো ভাই আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতো। বিগত সময়ে ওই বাড়ির কিছু লোক আমাদের বিএনপির উপর হামলা চালিয়েছিল। জামায়াতের বৈঠক নিয়ে আমার আপত্তি ছিল না। আপত্তি ছিল ওই বাড়ির উঠানে কেন জামায়াত মিটিং করবে? এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে জামায়াতের নোয়াখালী জেলা আমির এএসএম ইসহাক খন্দকার বলেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের এ ধরনের বাধা ও হুমকি পতিত স্বৈরাচারের সময়ে নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় ভোটের দিন রাতে সংঘবদ্ধ নারি ধর্ষণের ঘটনা ও বেগমগঞ্জ উপজেলায় এক নারীকে উলঙ্গ করে টর্চ লাইট দিয়ে লজ্জাস্থানে আঘাত করে, সেই ভিডিও স্যোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয়াকে মনে করিয়ে দেয়। তিনি আরো বলেন, ভুক্তভোগী পরিবার ও জামায়াতের আইনজীরা দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে থানায় অভিযোগ করেছে। আমরা আশা করব দ্রুত সময়ের মধ্যে অপরাধীদের সনাক্ত করে গ্রেফতার করা হবে। অতীতেও ফ্যাসিবাদ দমন করা হয়েছে বর্তমানেও কেউ ফ্যাসিবাদী আচরণ করলে তা শক্ত হাতে দমন করতে জামায়াত পদক্ষেপ নিবে। এ বিষয় নিয়ে জানতে নোয়াখালী জেলা বিএনপির আহবায়ক মাহবুব আলমগীর আলোকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, এরকম ঘটনা যদি কেউ করে থাকে কঠোর ভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঘটনার সত্যতা পেলে কোন প্রকার ছাড় দেয়া হবে না। সবার রাজনৈতিক প্রোগ্ৰাম করার অধিকার আছে। এসবের প্রশ্রয় দেয়া হবে না। নোয়াখালী সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুল ইসলামকে জিডির বিষয়ে কয়েকবার ফোন করলে ফোন রিসিভ করেননি
বেগমগঞ্জে বড়শি প্রতিযোগিতায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ জেলা প্রতিনিধি, নোয়াখালী। নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার ১নং আমানউল্যাহপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের গোবিন্দেরখীল গ্রামে বড়শি প্রতিযোগিতা কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ৫ অক্টোবর স্থানীয় বিএনপি নেতা ওমর ফারুক বাবুর লিজ নেওয়া নাপিতের বাড়ির দিঘিতে এই ঘটনার সূত্রপাত ঘটে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, তিনি, ৫ তারিখে দীঘির মাছ ধরার বড়শি প্রতিযোগিতার আয়োজন করে স্থানীয় দীঘির লিজ নেয়া ব্যাক্তি। মোট ১৫টি চারা বিক্রির মধ্যে ১নং চারা ক্রয় করেন লতিফপুরের পিচ্চি কাউছার ও মাজহারুল হক নিরব, আর পাশাপাশি ২নং চারা ক্রয় করেন নিজাম ও মাকছুদ পাটোয়ারীসহ কয়েকজন। প্রতিযোগিতা চলাকালে এক পর্যায়ে মাছ ধরতে গিয়ে এক চারার বড়শি অন্য চারার এলাকায় জড়িয়ে পড়ে, এতে দুই পক্ষের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক ও হাতাহাতি শুরু হয়। অভিযোগ অনুযায়ী, কাউছার ও নিরব মাকছুদ পাটোয়ারীকে ধাক্কা দিয়ে পানিতে ফেলে দেয়। এর জেরে বুধবার (৮অক্টোবর) সন্ধ্যায় নিজাম ও মাকছুদ পাটোয়ারী নিরবের উপর তার এলাকায় অতর্কিত হামলা চালায়। তবে এতে কেউ আহত হয়নি বলে জানা গেছে। স্থানীয়দের দাবি, পিচ্চি কাউছার পূর্বেও একাধিক মামলার আসামি এবং এলাকায় বিভিন্ন সময় সংঘর্ষ ও বিশৃঙ্খলার সাথে জড়িত। দুই পক্ষই দীর্ঘদিন ধরে বিএনপি রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে যুক্ত, এবং তারা নিজেদের রাজনৈতিক অবস্থান ব্যবহার করে দায় একে অপরের উপর চাপানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে, তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। স্থানীয় সচেতন মহল প্রশাসনের কার্যকর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন, যেন ভবিষ্যতে এ ধরনের সংঘর্ষমূলক ঘটনা পুনরায় না ঘটে।
হকার্স সমবায় সমিতি লিঃ " পক্ষ থেকে ৬ অক্টোবর বিকালে বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আরিফুর রহমান কতৃক সমিতির সচিব আবুল খায়ের রাসেল ও সমিতির পিয়ন মমিন উল্যাহ সুমনকে মারধর ও সমিতির অফিসের আলমারি ডয়ার তল্লাশী করে এবং তান্ডবের প্রমাণ মুছে দিতে সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক খুলে নিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে সমিতির পরিচালকবৃন্দ এ সময় সাংবাদিকদের সামনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হকার্স সমবায় সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান হাজী মোঃ ইউছুপ। তিনি অভিযোগ করে বলেন, সমিতি প্রতি বছর চৌমুহনী পৌরসভাকে প্রায় ২ লাখ ৩৪ হাজার টাকা হোল্ডিং ট্যাক্স প্রদান করে। অথচ পৌর প্রশাসক মার্কেটের রাস্তায় পৌরসভার লাইটগুলো বন্ধ করে দিয়েছেন, সুইপারদের প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। ফলে মার্কেটে ছয় মাস ধরে ময়লা-আবর্জনা স্তুপ হয়ে আছে,যা ব্যবসায়ীদের জন্য ভোগান্তি তৈরি করছে। তিনি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন,আমরা সংবাদপত্রের মাধ্যমে জাতির বিবেক সাংবাদিক সমাজের কাছে আবেদন জানাচ্ছি,আমাদের সমিতিকে বাঁচান। দ্রুত সময়ের মধ্যে মার্কেটের ময়লা-আবর্জনা অপসারণের জন্য ব্যবস্থা নিন। তিনি আরও বলেন,মার্কেটের সামনে ইউ-টার্ন দেওয়ার কারণে বড় গাড়িগুলো মালামাল আনতে পারছে না। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে এই ইউ-টার্নটি অপসারণের দাবি জানাই। তিনি দুঃখের সঙ্গে আরও বলেন, মার্কেটের পানের আড়তের দক্ষিণ পাশে থাকা টয়লেটটি পরিত্যক্ত ঘোষণার পর এখন উত্তর পাশে নতুন টয়লেট নির্মাণের দাবি জানিয়েছি। এটি ব্যবসায়ীদের প্রাণের দাবি। তিনি বলেন,সমিতির নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত ডাস্টবিন ভেঙে দেওয়া হয়, দুই সদস্যের দোকানের সিঁড়িও ভেঙে ফেলা হয়। এমনকি অস্থায়ী খুঁটি ভেঙে সমিতির উন্নয়ন কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে। আমাদের নিজস্ব জায়গায় জোরপূর্বক বাথরুম নির্মাণের অপচেষ্টা চলছে। সমিতির অনুমোদিত ময়লা পরিস্কারের বক্স ও ব্যবসায়ীদের ৩০টি ভ্যান গাড়িও নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন,হাইকোর্ট ও জজকোর্ট কর্তৃক নিষেধাজ্ঞার সাইনবোর্ড পর্যন্ত ভেঙে ফেলা হয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে নির্বাহী কর্মকর্তা নিজ মুখে হাইকোর্টকে ‘হইরা কোর্ট’ বলে অবমাননাকর মন্তব্য করেন এবং অকথ্য ভাষায় সমিতির পরিচালকদের গালিগালাজ করেন। পরিচালনা পরিষদের ২৫জন সদস্যের উপস্থিতে এই সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মার্কেটের ব্যবসায়ী সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল মালেক। কোষাধ্যক্ষ ইসমাইল হোসেন দুলাল মার্কেটের সদস্য কাজী মোহাম্মদ আলী সহ আরো অনেকে। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী জেলা ও উপজেলা পযার্য়ের প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সাংবাদিকবৃ
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জেরে কিশোর মারওয়ান হোসেন বিজয় হত্যা মামলার এজাহারনামীয় এক আসামীকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১১) সিপিসি-৩, নোয়াখালী। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি হলো,শাফায়েত হোসেন সৈকত (২০)। তিনি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার পূর্ব একলাশপুর গ্রামের শহীদুল্লাহ ও শাহিদা আখতারের ছেলে। সোমবার (৬ অক্টোবর ) সকালে র্যাব-১১ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ও কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) মিঠুন কুমার কুণ্ডু গ্রেফতারের তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার ( ৫ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে বেগমগঞ্জ থানার বাসস্ট্যান্ড এলাকার নূর ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স দোকানের সামনে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে, ৩ অক্টোবর রাত সাড়ে ৯টার দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলার কল্লা মার্কেট এলাকায় মারওয়ান হোসেন বিজয় (১৭) নামের এক কিশোরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তিন শতাধিক বার কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ভিকটিমের বোন শাহানাজ আক্তার সুবর্ণা বাদী হয়ে বেগমগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। র্যাব জানান, গ্রেফতারকৃত সৈকতসহ অন্যান্য আসামীরা স্থানীয় কুখ্যাত ‘দেলোয়ার বাহিনীর’ সদস্য। তারা পূর্ব শত্রুতার জেরে পরিকল্পিতভাবে বিজয়কে রাস্তার ওপর আটকে ধারালো রামদা, কিরিচ, ছোরা ও চাইনিজ কুড়াল দিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। বিজয়ের সঙ্গে থাকা আরেকজনকেও তারা কুপিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয়রা গুরুতর অবস্থায় বিজয়কে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। র্যাব-১১ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ও কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) মিঠুন কুমার কুণ্ডু বলেন,ঘটনার পর থেকে মামলার আসামীরা পলাতক ছিল। র্যাব-১১, সিপিসি-৩-এর গোয়েন্দা তৎপরতায় তাদের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিজের নাম-পরিচয় নিশ্চিত করেছে। গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাকে বেগমগঞ্জ থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”
মাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৩৩৪তম পর্বে নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে নিয়ামত কমে যাবে কি না, সে বিষয়ে ঢাকা থেকে চিঠির মাধ্যমে জানতে চেয়েছেন একজন দর্শক। অনুলিখন করেছেন জান্নাত আরা পাপিয়া। প্রশ্ন : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে? উত্তর : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা কুফরি। এটা বড় কুফরি না, ছোট কুফরি। যদি আল্লাহর বান্দারা আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করে থাকেন, তাহলে তাঁরা কুফরি কাজ করে থাকলেন। এ জন্য আল্লাহ কোরআনে স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘তোমরা আমার শুকরিয়া আদায় করো, আমার সঙ্গে কুফরি করো না।’ আল্লাহ যে নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন, আল্লাহর নিয়ামত লাভ করে সুন্দর জীবনযাপন করা, এটা যদি কেউ আল্লাহর কাছে সত্যিকার অর্থে তুলে ধরতে না পারে, তাহলে সে ব্যক্তি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া করলেন না, কুফরি করলেন। এই জন্য আল্লাহ সুরা দোহার শেষ আয়াতে বলেছেন, ‘তুমি তোমার রবের নিয়ামত প্রকাশ করো। কারণ, তোমার কাছে যখন নিয়ামত আসছে, তখন আল্লাহ পছন্দ করেন যে তুমি আল্লাহর এই নিয়ামতের বিষয়টি তুলে ধরবে।’ আল্লাহর কাছে বলবে, আল্লাহ আমাকে এই নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন। আল্লাহ নিয়ামতকে বান্দার কাছে তুলে ধরার জন্য বলেছেন, বহিঃপ্রকাশ করার জন্য বলেছেন। বহিঃপ্রকাশ দুই ধরনের হতে পারে। একটি হলো নিয়ামতের ব্যবহারের মাধ্যমে বহিঃপ্রকাশ করা। দ্বিতীয়ত, নিয়ামতের বিষয়টি হলো মানুষের কাছে নিয়ামত তুলে ধরবে। যাতে করে আল্লাহর প্রশংসা প্রকাশ পায়। নিয়ামতের শুকরিয়া যদি কেউ আদায় না করেন, তাহলে কুফরি হবে। আল্লাহ বলেছেন, যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করে থাক, তাহলে আমি আরো বৃদ্ধি করে দেব। বান্দারা যখন নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করবে, তখন আল্লাহ আরো নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করে দেন। আর যদি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা হয়, তাহলে আল্লাহ নিয়ামত কমিয়ে দেবেন এবং সেইসঙ্গে আরেকটি কঠিন বাণী আল্লাহ বলেছেন, ‘জেনে রাখো আল্লাহর কঠিন আজাবও তোমাদের জন্য অবধারিত থাকবে।’ নিয়ামতের শুকরিয়া শুধু মুখে আদায় করা যথেষ্ট নয়। কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর শুকরিয়া আমলের মাধ্যমে আদায় করো।’ সুতরাং বান্দারা শুকরিয়া আদায় করবে। শুকরিয়ার অনেকগুলো দিক রয়েছে, তার মধ্যে আমলের মাধ্যমে শুকরিয়া আদায় করা হলো শুকরিয়ার সর্বোচ্চ স্তর।
তিনি ছিলেন মানবজাতির আদর্শ। তিনি অত্যন্ত উদার ও বিনয়ী ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক এবং একজন সাহসী যোদ্ধা। এছাড়াও তিনি একজন দক্ষ প্রশাসক, একজন দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক এবং একজন সফল প্রচারক ছিলেন। তিনিই উত্তম চরিত্র ও উদারতার একমাত্র উৎস। তিনি সকলের আদর্শহীন এবং প্রিয় ব্যক্তিত্ব। যার প্রেমে, দুনিয়া মাতাল। তিনি আমার আদর্শ, তিনি আমার নেতা। তিনি আমার নবী, আমাদের নবী এবং সকলের নবী। তিনি হলেন হযরত মুহাম্মদ (সা.) তিনি সর্বোত্তম আদর্শ। সমস্ত মানবজাতির জন্য করুণা। অন্ধকারে নিমজ্জিত বিশ্বের মানুষের জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে। তার অসাধারণ চরিত্র, মাধুর্য এবং অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব সবাইকে অবাক করেছে। মুমিনের চঞ্চল হৃদয় তাকে এক নজর দেখার জন্য আকুল হয়ে থাকে। কবি কাজী নজরুল বলেছেন: “বিচ্ছেদের রাত ছিল একাকার কান্নার ভোর; আমার মনে শান্তি নেই, আমি কাঁদছি। হে মদিনাবাসীর প্রেমিক, আমার হাত ধর।" তার নিষ্কলুষ চরিত্রের স্বীকৃতি দিয়ে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, "তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।" (সূরা আল-আহজাব, আয়াত 21)। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে আজ কিছু লোক সেই নবীর সম্মানকে অবমাননা করছে। হৃদয় ভেঙ্গে যায়। আমাদের ক্ষমা করুন, হে নবী! তিনি তার অবিস্মরণীয় ক্ষমা, উদারতা, সততা, নম্রতা প্রভৃতির বিরল মুগ্ধতা দিয়ে বর্বর আরব জাতির আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এজন্য তারা তাকে ‘আল-আমিন’ উপাধিতে ভূষিত করেন। তারা সর্বসম্মতিক্রমে স্বীকার করেছিল যে তিনি নম্র এবং গুণী ছিলেন। টাকা দিয়ে নয়, ভালো ব্যবহার দিয়ে তিনি বিশ্ববাসীকে জয় করেছেন। আল্লাহ তাঁর গুণাবলী সম্পর্কে কুরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই তুমি মহৎ চরিত্রের অধিকারী।’ (সূরা আল কালাম, আয়াত ৪)। তিনি কখনো মানুষকে তুচ্ছ করেননি। আত্মসম্মানবোধে তিনি কাউকে তুচ্ছ মনে করেননি। তিনি বিশ্বের হৃদয়ে উচ্চতর চরিত্রের একটি অনুপম মানদণ্ড স্থাপন করেছেন। নম্রতা তার চরিত্রে সর্বদা উপস্থিত ছিল। পৃথিবীর মানবতার কল্যাণে তাকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল শ্রেষ্ঠ আদর্শের বাস্তবায়নকারী ও প্রশিক্ষক হিসেবে। এ প্রসঙ্গে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমাকে আমার উত্তম চরিত্র পূর্ণ করার জন্য প্রেরিত করা হয়েছে।’ (মুসনাদে আহমদ, মিশকাত) ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন বিনয়ী এবং আচার-আচরণে অত্যন্ত বিনয়ী। দুর্বল ব্যক্তিকে কড়া কথায় আঘাত করবেন না। তিনি কোন মানুষকে তার সাধ্যের বাইরে অসাধ্য সাধন করতে বাধ্য করেননি। গরিব-অসহায় মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করতেন। তিনি লোকদেরকে তাদের আচরণে অপ্রয়োজনীয় রাগ ও রাগ থেকে সর্বদা বিরত থাকার উপদেশ দিতেন এবং মানুষকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন, “যে বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাকে উঁচু করে দেন এবং যে অহংকারী হয়, আল্লাহ তাকে লাঞ্ছিত করেন।” (মিশকাত) কাফেররাও তার কাছ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে সদয় ও নম্র আচরণ পেয়েছিল। তার অনুসারীরা তাকে উচ্চ সম্মানের সাথে ধরেছিল কারণ তিনি খুব নমনীয় এবং নম্র ছিলেন। হজরত আয়েশা (রা.) তার ভদ্র আচার-আচরণ সম্পর্কে বলেন, ‘নবী (সা.) রূঢ় বক্তা ছিলেন না, প্রয়োজনের সময়ও তিনি কঠোর ভাষা ব্যবহার করতেন না। প্রতিহিংসা তার সাথে ছিল না মোটেও। মন্দের বিনিময়ে ভালোই করেছেন। সব ক্ষেত্রেই তিনি ক্ষমা পছন্দ করতেন। তিনি লোকদেরকে উপদেশ দিয়েছিলেন, “আল্লাহর ইবাদত কর, করুণাময় প্রভু, ক্ষুধার্তকে খাবার দাও, সালাম দাও এবং এসব কাজের মাধ্যমে জান্নাতে প্রবেশ কর। তিনি উত্তর দিলেন, "ক্ষুধার্তকে খাওয়ানো এবং অপরিচিত সকলকে সালাম করা।" (বুখারী ও মুসলিম)। মহানবী (সা.)-এর মর্যাদাকে সম্মান করা মুসলমানদের ধর্মীয় কর্তব্য এবং প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানের মৌলিক অংশ।
নামাজ, রোজা, জাকাত, হজ, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৯২৯তম পর্বে ই-মেইলের মাধ্যমে কানিজ নাহার দিপা জানতে চেয়েছেন, মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? অনুলিখন করেছেন মোহাম্মদ সাইফ আহমেদ। প্রশ্ন : মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? উত্তর : না দোয়ার জন্য আলাদা কোনো মাহফিল নেই। এটা আসবে কেন? আমরা একটা জায়গা থেকে বাঁচার জন্য আরেকটি কাজ করছি। কিন্তু সেই কাজটি ভুল করে আরও বড় ভুলের সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। আমাদের সমাজে একটি প্রথা একেবারে ছেয়ে গেছে। যেমন—একজন মারা গেলে তার জন্য মিলাদ-মাহফিল করা কিংবা কূলখানি করা। কিন্তু এগুলো সবই বেদআতি কাজ। এগুলো সঠিক কাজ নয়। অনেকে মনে করছে, দোয়া-মাহফিল করা যেতে পারে। কিন্তু সেটা একদমই নয়। এসব ইসলামে অনুমোদন দেয়নি। এইগুলো পুরোটাই বেদআত। মানুষ চাইলে যে কোনো সময় কিংবা যে কোনো জায়গা থেকে দোয়া করতে পারবেন। দোয়ার সঙ্গে মাহফিল কিংবা আলাদা কোনো ধরনের অনুষ্ঠান ঘোষণা করা জায়েজ নেই। আশা করি, আপনি বুঝতে পেরেছেন।
র্তমান প্রযুক্তি বিশ্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) নিয়ে নতুন প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ওপেনএআই-এর চ্যাটজিপিটি ও চীনের ডিপসিকের মধ্যে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুধু প্রযুক্তিগত দক্ষতার নয়, বরং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। চ্যাটজিপিটি দীর্ঘদিন ধরে ব্লগ লেখা, গবেষণা, প্রোগ্রামিংসহ নানান কাজে অপরিহার্য টুল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি চীনের তৈরি ডিপসিক এআই জগতে নতুন আলোড়ন তুলেছে। তারা দাবি করছে, তুলনামূলক কম চিপ ব্যবহার করেই অত্যাধুনিক এআই সেবা দেওয়া সম্ভব, যেখানে ওপেনএআই-এর বিশাল মডেলগুলোর জন্য ১৬,০০০ বা তারও বেশি চিপ প্রয়োজন হয়, সেখানে মাত্র ২০০০ চিপ দিয়ে ডিপসিক কার্যকরভাবে কাজ করতে সক্ষম। দুই প্ল্যাটফর্মের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রয়েছে। ✅ চ্যাটজিপিটি: বিস্তৃত বিশ্লেষণ ও গভীর গবেষণা উপস্থাপন করতে পারে, যা একাডেমিক ও জটিল সমস্যার সমাধানে সহায়ক। ✅ ডিপসিক: দ্রুত এবং সংক্ষিপ্ত উত্তর দিতে পারে, যা তাৎক্ষণিক ফলাফল প্রত্যাশী ব্যবহারকারীদের জন্য উপযোগী। লেখালেখির ক্ষেত্রে চ্যাটজিপিটি কেবল ধারণা ও প্লটের কাঠামো গড়ে তোলে, যেখানে ডিপসিক প্রায় পুরো গল্প তৈরি করে দিতে পারে। একইভাবে, কোডিংয়ের ক্ষেত্রেও ডিপসিক কিছু ক্ষেত্রে দ্রুত সমাধান দিতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। ডিপসিকের বিরুদ্ধে ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা সংরক্ষণ ও তথ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অস্ট্রেলিয়াসহ কয়েকটি দেশের সরকার ইতোমধ্যেই ডিপসিকের ডেটা নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ওপেনএআই নিজেও অতীতে অনুমতি ছাড়া মানুষের লেখা ডেটা প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহারের অভিযোগের মুখে পড়েছিল, যা এখন ডিপসিকের বিরুদ্ধে উঠছে। ডিপসিকের সাফল্যের ফলে এআই চিপের বাজারেও বড় প্রভাব পড়েছে। এনভিডিয়া, যারা উন্নত চিপ তৈরিতে বিশ্বব্যাপী অগ্রগণ্য, তাদের শেয়ারের মূল্য একদিনে প্রায় ১৭% কমে গেছে। কারণ, কম শক্তিশালী হার্ডওয়্যারেও কার্যকর এআই সম্ভব হলে উচ্চমূল্যের উন্নত চিপের বাজার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে প্রযুক্তিগত প্রতিযোগিতা নতুন কিছু নয়, তবে ডিপসিকের উদ্ভাবন নতুন মাত্রা যোগ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই চীনে উন্নত চিপ রপ্তানির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, কম খরচে ভালো এআই তৈরি হলে মার্কিন প্রযুক্তি খাতেরও লাভ হতে পারে। এই প্রতিযোগিতা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভবিষ্যৎকে আরও উন্নত ও বহুমাত্রিক করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যেখানে দ্রুত এবং সাশ্রয়ী সমাধান দরকার, সেখানে হয়তো ডিপসিক এগিয়ে থাকবে, আর যেখানে গবেষণা ও জটিল বিশ্লেষণের প্রয়োজন, সেখানে চ্যাটজিপিটির মতো বৃহৎ মডেলগুলো প্রাধান্য পাবে। শেষ পর্যন্ত, এই প্রতিযোগিতাই হয়তো এআই প্রযুক্তিকে আরও দক্ষ, নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী করবে।