Search : ভ্রাম্যমাণ আদালত

আইন-অপরাধ
সখীপুরে অবৈধভাবে মাটি কাটায় ব্যবসায়ীকে এক মাসের কারাদণ্ড ও ২ লাখ টাকা জরিমানা

সখীপুরে অবৈধভাবে মাটি কাটায় ব্যবসায়ীকে এক মাসের কারাদণ্ড ও ২ লাখ টাকা জরিমানা টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলায় অবৈধভাবে মাটি কাটার দায়ে এক ব্যবসায়ীকে এক মাসের কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে একটি মাটি খননযন্ত্র জব্দ করা হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যবসায়ীর নাম আতোয়ার রহমান (৩৮)। তিনি উপজেলার দাড়িয়াপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং আব্দুস সামাদ মিয়ার ছেলে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে সখীপুর উপজেলার দাড়িয়াপুর গ্রামে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শামসুন নাহার শিলা। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে খননযন্ত্র দিয়ে মাটি কাটার সময় আতোয়ার রহমানকে হাতেনাতে আটক করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, আতোয়ার রহমান দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে মাটি কেটে বিক্রি করে আসছিলেন। অভিযানের সময় ঘটনাস্থলেই আদালত বসিয়ে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী তাঁকে দুই লাখ টাকা জরিমানা এবং এক মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। দণ্ডাদেশ কার্যকরের পর বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে আতোয়ার রহমানকে টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শামসুন নাহার শিলা জানান, অবৈধভাবে মাটি ও বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর অবস্থান রয়েছে। পরিবেশ ও কৃষিজমি রক্ষায় এ ধরনের অভিযান নিয়মিতভাবে পরিচালনা করা হবে।

মুক্তধ্বনি ডেক্স ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫ 0
টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে ইউএনও’র হস্তক্ষেপে নবম শ্রেণীর ছাত্রীর বাল্য বিয়ে বন্ধ
সারা দেশ
টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে ইউএনও’র হস্তক্ষেপে নবম শ্রেণীর ছাত্রীর বাল্য বিয়ে বন্ধ

টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে উপজেলা প্রশাসনের তৎপরতায় নবম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রীর বাল্য বিয়ে বন্ধ হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের নলুয়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় প্রশাসনের উপস্থিতি ও তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের ফলে বাল্য বিয়ে বন্ধ হওয়ায় এলাকাজুড়ে স্বস্তি ফিরে এসেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নলুয়া গ্রামের ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরীকে একই গ্রামের আবু সামা মিয়ার ১৭ বছর বয়সী ছেলে জিসান মিয়ার সঙ্গে জোরপূর্বক বিয়ে দেয়ার প্রস্তুতি চলছিল। বিষয়টি গোপন থাকলেও খবর পায় উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়। খবর পেয়ে সুপারভাইজার মেহেদি হাসানের নেতৃত্বে কয়েকজন স্টাফ শিশু কন্যার বাড়িতে গিয়ে বাল্য বিয়ে বন্ধের চেষ্টা করেন। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি বাল্য বিয়ে বন্ধে বাধা দেন এবং কর্মকর্তা–কর্মচারীদের সঙ্গে অসদাচরণ করেন। স্থানীয়রা জানান, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুর রহমান মাস্টার, সহ-সভাপতি মফিজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন ও সহ-সাধারণ সম্পাদক মোসলেম মিয়া সহ কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তির সহযোগিতায় বাল্য বিয়ের আয়োজন চলছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের টিম ফিরে এসে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেন। পরে রাতেই ইউএনও জোহরা সুলতানা যূথী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাইমিনুল ইসলামসহ প্রশাসনের একটি টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তাদের উপস্থিতিতে বিয়ে অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং মেয়েটির মাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় ইউএনও বলেন,“উপজেলায় কোথায় বাল্য বিয়ে হচ্ছে এমন খবর পেলেই সঙ্গে সঙ্গে অভিযানে নামবে প্রশাসন। বাল্য বিয়ে রোধে জড়িত যেই হোক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” অভিযান শেষে প্রশাসনের কর্মকর্তারা স্থানীয়দের সচেতন করেন এবং মেয়ের পরিবারকে আইনগত ঝুঁকি সম্পর্কে অবহিত করেন। অন্যদিকে, সামাজিকভাবে এই ঘটনায় ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে প্রশাসনের ভূমিকার প্রশংসা করলেও বাল্য বিয়েতে জড়িত প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

নাদিম তালুকদার ডিসেম্বর ১১, ২০২৫ 0
আইন-অপরাধ
**টাঙ্গাইল পাসপোর্ট অফিসে দুদকের অভিযান

সাজিদ পিয়াল:টাঙ্গাইল পাসপোর্ট অফিসে দুদকের অভিযান দালালচক্রের ৪ জন গ্রেফতার, অর্থদণ্ডসহ কারাদণ্ড টাঙ্গাইল আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে দালালচক্রের দৌরাত্ম্য ঠেকাতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আকস্মিক অভিযান পরিচালনা করেছে। আজ সকালে এ অভিযান চালিয়ে দালালচক্রের চার সদস্যকে হাতে-নাতে গ্রেফতার করা হয়। দুদক সূত্র জানায়, পাসপোর্ট করতে আসা সাধারণ মানুষদের জিম্মি করে দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র অতিরিক্ত টাকা আদায় ও বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছিল। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে দুদকের একটি বিশেষ দল পাসপোর্ট অফিসে প্রবেশ করে দালালদের কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করে। একপর্যায়ে সেবাপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার সময় চক্রের চার সদস্যকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে গ্রেফতার ব্যক্তিদের অর্থদণ্ড ও কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অভিযানে বেশ কিছু নথিপত্র, টাকা ও দালালি কাজে ব্যবহৃত সামগ্রী জব্দ করা হয়েছে। দুদকের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানান, “পাসপোর্ট অফিসকে পুরোপুরি দালালমুক্ত করতে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে। কেউ অপরাধ করলে ছাড় দেওয়া হবে না।” অভিযানে সাধারণ সেবাপ্রার্থীরা স্বস্তি প্রকাশ করে বলেন, নিয়মিত অভিযান হলে দালালচক্রের আধিপত্য কমে যাবে এবং পাসপোর্ট সেবা আরও সহজ হবে।

কৌশিক সাজ্জিদ পিয়াল নভেম্বর ২৩, ২০২৫ 0
আইন-অপরাধ
টাংগাইল বাসাইলে তেলের দোকানে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান

সাজিদ পিয়াল: টাঙ্গাইলের বাসাইলে পেট্রোল, ডিজেল ও অকটেনের মতো দাহ্য পদার্থ বিক্রির জন্য প্রয়োজনীয় অনুমোদন না থাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত দুই দোকান মালিককে জরিমানা করেছেন। গত ১০ নভেম্বর, ২০২৫ তারিখে এই অভিযান চালানো হয় এবং দুই দোকান মালিককে মোট ৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। বাসাইল পৌর শহরে পরিচালিত এই অভিযানে অবৈধভাবে জ্বালানি তেল বিক্রির সত্যতা পাওয়ায় এই জরিমানা আদায় করা হয়। এই ধরনের দাহ্য পদার্থ যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা বা অনুমোদন ছাড়া বিক্রি করা ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় প্রশাসন এই পদক্ষেপ নিয়েছে। উল্লেখ্য, সরকার সম্প্রতি রাস্তার পাশে অবৈধভাবে জ্বালানি তেল বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে, কারণ এই তেল দুর্বৃত্তরা অগ্নিসংযোগ বা অন্যান্য কাজে ব্যবহার করতে পারে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মনে করছে।টাঙ্গাইলের বাসাইলে পেট্রোল, ডিজেল ও অকটেনের মতো দাহ্য পদার্থ সঠিকভাবে অনুমোদন না থাকার অপরাধে দুই দোকান মালিককে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সোমবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে বাসাইল বাসস্ট্যান্ডের পশ্চিম পাশে এ অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ নেয়ামত উল্ল্যা। জানা গেছে, দুপুুরে বাসাইল বাসস্ট্যান্ডের পশ্চিম পাশে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ নেয়ামত উল্ল্যা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এসময় দাহ্য পদার্থ অনুমতি ব্যতীত খোলা বাজারে বিক্রি করার অপরাধে দোকান মালিক এমদাদুল হক ও আফাজ মিয়াকে ৮ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, পেট্রোল, ডিজেল ও অকটেনের মতো দাহ্য পদার্থ যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ট্রেড লাইসেন্স, অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা, মজবুত ও ঝুঁকিমুক্ত সংরক্ষণাগার, ফায়ার সার্ভিস, পরিবেশ অধিদপ্তর, বিস্ফোরক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অনুমতি ব্যতীত খোলা বাজারে বিক্রি করায় দুজন দোকান মালিককে পেট্রোলিয়াম আইন ২০১৬ এর ৪ (ক) (খ) ধারা লঙ্ঘনে ২০ ধারায় ৮ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

কৌশিক সাজ্জিদ পিয়াল নভেম্বর ১২, ২০২৫ 0
আইন-অপরাধ
টাংগাইলের কালিহাতীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ০৯ নভেম্বর ২০২৫ তারিখ মম ফুড প্রোডাক্টস, সয়া বাজার, পালিমা, কালিহাতিকে অস্বাস্থ্যকর, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে মানহীন চিপস তৈরি,পরিবেশন, উৎপাদনের পূর্বেই উৎপাদনের তারিখ ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ উল্লেখ থাকার অভিযোগের প্রেক্ষিতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এ সময় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ অনুযায়ী ১৩০০০০/-(এক লক্ষ ত্রিশ হাজার) টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। জেলার কালিহাতী উপজেলার সয়া বাজারে অবস্থিত মম ফুড প্রোডাক্টস-কে অস্বাস্থ্যকর ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে মানহীন চিপস তৈরি ও পরিবেশন, এবং উৎপাদনের পূর্বেই প্যাকেটে উৎপাদনের তারিখ বসানো এবং নানা ধরনের অস্বাস্থ্যকর প্রমাণ পাওয়া গেছে ফলে সেই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা ও অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

কৌশিক সাজ্জিদ পিয়াল নভেম্বর ১০, ২০২৫ 0
আইন-অপরাধ
গোপালপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে মাদকসেবনে এক ব্যক্তির কারাদণ্ড

টাঙ্গাইলের গোপালপুরে মাদকসেবনের অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত এক ব্যক্তিকে এক বছর ১১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড প্রদান করেছে। গত (৫ নভেম্বর) বৃহস্পতিবার আনুমানিক রাত ১০টা দিকে, গোপালপুর পৌর এলাকার ডুবাইল গাঙ্গাপাড়া এলাকায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। অভিযানের সময় এক ব্যক্তিকে গাঁজা সেবনরত অবস্থায় আটক করা হয়। পরে “মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮” এর সংশ্লিষ্ট ধারায় তাকে ০১ (এক) বছর ১১ (এগার) মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ (পঞ্চাশ) টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে উপস্থিত ছিলেন গোপালপুর থানার এসআই নাসির আহম্মেদ ও পুলিশ সদস্যবৃন্দ। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মাদকবিরোধী অভিযান নিয়মিতভাবে চলবে এবং সমাজ থেকে মাদক নির্মূলে জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত থাকবে

মুক্তধ্বনি ডেক্স নভেম্বর ৭, ২০২৫ 0
সারা দেশ
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে দালাল আটক এবং বিভিন্ন মেয়াদে সাজা

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে দালালদের দৌরাত্ম্য ৩ দালাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান আটক করা হয়েছে। দীর্ঘদিনের সমস্যা এবং এ বিষয়ে প্রায়শই অভিযোগ পাওয়া যায়। এই দালাল চক্র হাসপাতালের রোগীদের উন্নত চিকিৎসার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যায়। এতে রোগী ও তাদের স্বজনরা আর্থিকভাবে প্রতারিত ও হয়রানির শিকার হন। এই দালালদের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে এবং অনেককে আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। দালালরা সরকারি হাসপাতাল চত্বরেই ঘোরাফেরা করে এবং গ্রাম থেকে আসা সহজ-সরল রোগীদের টার্গেট করে। প্রয়োজনীয় বা অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে রোগীদের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যেতে বাধ্য করে। হাসপাতালের ভেতরে ঢুকতে বাধা দেওয়া বা জোরজবরদস্তি করার অভিযোগও রয়েছে। এদের কারণে হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হয় এবং পরিবেশ নষ্ট হয়। টাংগাইলে হাসপাতালে ৩ জন দালাল আটক। মোবাইল কোটের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান। মারুফ ৩৫ পিতা- মৃত আইন উদ্দিন সাং- বিল ঘারিন্দা থানা ও জেলা টাংগাইল। ৭ (সাত) দিনের জেল। আমিনুর রহমান ৪০পিতা- মৃত সুমন আলী সাং- দাইন্যা, থানা ও জেলা টাংগাইল ১০ (দশ) দিনের জেল।বাবু ২২পিতা- আরজু মিয়া সাং- দিঘুলিয়া থানা ও জেলা টাংগাইল। ৫(পাঁচ) দিনের জেলা।

কৌশিক সাজ্জিদ পিয়াল নভেম্বর ৬, ২০২৫ 0
আইন-অপরাধ
টাঙ্গাইল কান্দাপাড়ায় পতিতালয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযান

০৩/১১/২০২৫ তারিখ সন্ধ্যা ৬টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব লাবিবুজ্জামান মুস্তাবীন ও নুসরাত জাহান কর্তৃক পরিচালিত এক অভিযানে "মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮" এর আওতায় ০৭ জন মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। টাঙ্গাইল সদর থানাধীন কান্দাপাড়া পতিতালয় ও হরিজন পল্লী সংলগ্ন এলাকায় পরিচালিত উক্ত অভিযানে সেনাবাহিনী, থানা পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, টাঙ্গাইল এর সমন্বয়ে ৪০ সদস্যের একটি টিম অংশ নেয়। জনস্বার্থে সমগ্র জেলায় এ অভিযান অব্যাহত রয়েছে । পতিতালয় ও মুচিপট্টিতে বিপুল মাদকদ্রব্য জব্দ, ৭ জন মাদক কারবাড়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ টাঙ্গাইলের কান্দাপাড়া পতিতালয় ও মুচিপট্টি এলাকায় মাদকবিরোধী যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ চোলাই মদ তৈরির উপকরণ, হেরোইনসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য জব্দ এবং সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।অভিযানে অংশ নেন টাঙ্গাইল সদর আর্মি ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন নাজমুস সাকিবের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি দল এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. সাইফুর রহমানসহ অধিদপ্তরের অন্যান্য সদস্যরা। অভিযানের সেনাবাহিনী, পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যদের তিন দলে বিভক্ত করা হয়। একটি দল কান্দাপাড়া পতিতালয়ে এবং দুটি দল মুচিপট্টির বিভিন্ন বাড়িতে অভিযান চালায়। মুচিপট্টির একটি বাড়ির আঙিনার মাটির নিচের সুরঙ্গ থেকে প্রায় ৩,০০০ লিটার চোলাই মদ তৈরির উপকরণ (ওয়াশ) উদ্ধার ও ধ্বংস করা হয়। এছাড়া ১০ লিটার চোলাই মদ এবং পাঁচ পুরিয়া হেরোইন জব্দ করা হয়। অভিযানে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় সাতজনকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাদণ্ড প্রদান করেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন— রফিকুল ইসলাম (৩ মাস), আমিনুল ইসলাম (৭ দিন),উত্তম রবিদাস (৬ দিন),শামিম (৭ দিন),শাকিব ইসলাম (৭ দিন),সাব্বির (৭ দিন)। এছাড়া বাড়ির মালিক লাসিয়া রবিদাসের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ এর ২০(গ) ধারায় টাঙ্গাইল সদর থানায় নিয়মিত মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লাবিবুজ্জামান মোস্তাবিন এবং পরিদর্শক মো. সাইফুর রহমান বলেন, “টাঙ্গাইলকে মাদকমুক্ত করার লক্ষ্যে এ ধরনের অভিযান নিয়মিতভাবে পরিচালনা করা হবে।

কৌশিক সাজ্জিদ পিয়াল নভেম্বর ৪, ২০২৫ 0
সারা দেশ
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে পেট্রোল পাম্পে তেল কম দেওয়া এবং নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি নেওয়ার অভিযোগে সম্প্রতি দুটি ফিলিং স্টেশনকে জরিমানা করা হয়েছে।

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে পেট্রোল পাম্পে তেল কম দেওয়ার অভিযোগ নতুন নয়। তবে এবার অভিযোগ শুধু পয়সা বা সামান্য পরিমাণ নয়, লিটারে কোথাও কোথাও ৭ থেকে ৮ টাকার সমমূল্যের তেল কম দেওয়ার প্রমাণ মিলেছে। আর সেই অনিয়ম ধরা পড়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) আকস্মিক অভিযানে।শনিবার (১ নভেম্বর) রাতে ভূঞাপুর পৌর শহরের বিভিন্ন ফিলিং স্টেশনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন ইউএনও মো. মাহবুব হাসান। হঠাৎ রাতের এই অভিযানে একে একে যাচাই করা হয় প্রতিটি পাম্পের মিটার, মাপ ও মূল্যতালিকা।অভিযানে দেখা যায়, দুইটি প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত পরিমাপ অনুযায়ী জ্বালানি সরবরাহ করছে না। কোথাও তেলের ঘাটতি, কোথাও আবার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি টাকা নিচ্ছে। তাৎক্ষণিকভাবে প্রমাণিত অনিয়মের জন্য মেসার্স ভাই বন্ধু ফিলিং স্টেশনকে ৫ হাজার টাকা ও যমুনা ফিলিং স্টেশনকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।ইউএনও মাহবুব হাসান সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, একজন ক্রেতা অভিযোগ করেছিলেন, ভূঞাপুরের চারটি পাম্পেই লিটারে ২০–২৫ পয়সা বেশি নিচ্ছে, আবার মাপেও কম দিচ্ছে। আমরা যাচাই করতে গিয়ে দেখি, দুইটি পাম্প ঠিক আছে, বাকি দুইটিতে অনিয়ম ধরা পড়ে। যমুনা ফিলিং স্টেশন তাৎক্ষণিকভাবে সমস্যা ঠিক করেছে, ভাই বন্ধু ফিলিং স্টেশনও দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে।তিনি আরও বলেন, ন্যায্য ব্যবসা ও ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত করতে এই অভিযান নিয়মিত চলবে, যাতে কেউ গ্রাহকের অধিকার হরণ করতে না পারে।উল্লেখ্য, গত বছরের ১৮ নভেম্বর ভূঞাপুরে একই অভিযোগে চারটি ফিলিং স্টেশনকে মোট ৩২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তার মধ্যে যমুনা ফিলিং স্টেশনকে ১০ হাজার ও ভাই বন্ধু ফিলিং স্টেশনকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছিল

এস,কে শিপন নভেম্বর ২, ২০২৫ 0
আইন-অপরাধ
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে বাগদা চিংড়িতে জেলি পুশ, ভ্রাম্যমাণ আদালতে ব্যবসায়ীকে জরিমানা

‎সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে বাগদা চিংড়িতে জেলি ও ভেজাল পদার্থ পুশ করার অপরাধে এক মৎস্য ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে। একইসাথে জব্দকৃত ২৫ কেজি চিংড়ি পেট্রল ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অমিত কুমার বিশ্বাসের নেতৃত্বে কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামে এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম (৪৫), পিতা: শেখ হোসেন আলী, বাগদা চিংড়িতে জেলি পুশ করার অপরাধে হাতেনাতে ধরা পড়েন। ‎পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এবং খাদ্য নিরাপত্তা আইন, ২০১৩ অনুযায়ী ৭ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। আদালত নির্দেশে জব্দকৃত ২৫ কেজি বাগদা চিংড়ি অস্বাস্থ্যকর হওয়ায় আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অমিত কুমার বিশ্বাস বলেন, “চিংড়িতে পুশ করা এক ধরনের প্রতারণা। এটি জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর এবং দেশের সুনামের জন্যও হুমকি। খাদ্যে ভেজাল কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। এ ধরনের অপরাধীদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।” ‎অভিযানে কালিগঞ্জ থানার এসআই সমির গাইনসহ সঙ্গীয় ফোর্স উপস্থিত ছিলেন। স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা প্রশাসনের এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “চিংড়ি আমাদের রপ্তানির অন্যতম গৌরবময় পণ্য। এখানে ভেজাল হলে দেশের সুনাম ক্ষুণ্ণ হবে। প্রশাসনের দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।

মুক্তধ্বনি ডেক্স সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৫ 0
সর্বাধিক পঠিত
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির ঢাকা বিভাগীয় ব্যুরো চীফ হলেন সাংবাদিক মোঃ মনিরুজ্জামান।

দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”

শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে?

মাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দ‍র্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৩৩৪তম পর্বে নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে নিয়ামত কমে যাবে কি না, সে বিষয়ে ঢাকা থেকে চিঠির মাধ্যমে জানতে চেয়েছেন একজন দর্শক। অনুলিখন করেছেন জান্নাত আরা পাপিয়া। প্রশ্ন : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে? উত্তর : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা কুফরি। এটা বড় কুফরি না, ছোট কুফরি। যদি আল্লাহর বান্দারা আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করে থাকেন, তাহলে তাঁরা কুফরি কাজ করে থাকলেন। এ জন্য আল্লাহ কোরআনে স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘তোমরা আমার শুকরিয়া আদায় করো, আমার সঙ্গে কুফরি করো না।’ আল্লাহ যে নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন, আল্লাহর নিয়ামত লাভ করে সুন্দর জীবনযাপন করা, এটা যদি কেউ আল্লাহর কাছে সত্যিকার অর্থে তুলে ধরতে না পারে, তাহলে সে ব্যক্তি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া করলেন না, কুফরি করলেন। এই জন্য আল্লাহ সুরা দোহার শেষ আয়াতে বলেছেন, ‘তুমি তোমার রবের নিয়ামত প্রকাশ করো। কারণ, তোমার কাছে যখন নিয়ামত আসছে, তখন আল্লাহ পছন্দ করেন যে তুমি আল্লাহর এই নিয়ামতের বিষয়টি তুলে ধরবে।’ আল্লাহর কাছে বলবে, আল্লাহ আমাকে এই নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন। আল্লাহ নিয়ামতকে বান্দার কাছে তুলে ধরার জন্য বলেছেন, বহিঃপ্রকাশ করার জন্য বলেছেন। বহিঃপ্রকাশ দুই ধরনের হতে পারে। একটি হলো নিয়ামতের ব্যবহারের মাধ্যমে বহিঃপ্রকাশ করা। দ্বিতীয়ত, নিয়ামতের বিষয়টি হলো মানুষের কাছে নিয়ামত তুলে ধরবে। যাতে করে আল্লাহর প্রশংসা প্রকাশ পায়। নিয়ামতের শুকরিয়া যদি কেউ আদায় না করেন, তাহলে কুফরি হবে। আল্লাহ বলেছেন, যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করে থাক, তাহলে আমি আরো বৃদ্ধি করে দেব। বান্দারা যখন নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করবে, তখন আল্লাহ আরো নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করে দেন। আর যদি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা হয়, তাহলে আল্লাহ নিয়ামত কমিয়ে দেবেন এবং সেইসঙ্গে আরেকটি কঠিন বাণী আল্লাহ বলেছেন, ‘জেনে রাখো আল্লাহর কঠিন আজাবও তোমাদের জন্য অবধারিত থাকবে।’ নিয়ামতের শুকরিয়া শুধু মুখে আদায় করা যথেষ্ট নয়। কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর শুকরিয়া আমলের মাধ্যমে আদায় করো।’ সুতরাং বান্দারা শুকরিয়া আদায় করবে। শুকরিয়ার অনেকগুলো দিক রয়েছে, তার মধ্যে আমলের মাধ্যমে শুকরিয়া আদায় করা হলো শুকরিয়ার সর্বোচ্চ স্তর।

নবী মুহাম্মদ (সাঃ) - নিষ্পাপ চরিত্রের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ

তিনি ছিলেন মানবজাতির আদর্শ। তিনি অত্যন্ত উদার ও বিনয়ী ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক এবং একজন সাহসী যোদ্ধা। এছাড়াও তিনি একজন দক্ষ প্রশাসক, একজন দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক এবং একজন সফল প্রচারক ছিলেন। তিনিই উত্তম চরিত্র ও উদারতার একমাত্র উৎস। তিনি সকলের আদর্শহীন এবং প্রিয় ব্যক্তিত্ব। যার প্রেমে, দুনিয়া মাতাল। তিনি আমার আদর্শ, তিনি আমার নেতা। তিনি আমার নবী, আমাদের নবী এবং সকলের নবী। তিনি হলেন হযরত মুহাম্মদ (সা.) তিনি সর্বোত্তম আদর্শ। সমস্ত মানবজাতির জন্য করুণা। অন্ধকারে নিমজ্জিত বিশ্বের মানুষের জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে। তার অসাধারণ চরিত্র, মাধুর্য এবং অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব সবাইকে অবাক করেছে। মুমিনের চঞ্চল হৃদয় তাকে এক নজর দেখার জন্য আকুল হয়ে থাকে। কবি কাজী নজরুল বলেছেন: “বিচ্ছেদের রাত ছিল একাকার কান্নার ভোর; আমার মনে শান্তি নেই, আমি কাঁদছি। হে মদিনাবাসীর প্রেমিক, আমার হাত ধর।" তার নিষ্কলুষ চরিত্রের স্বীকৃতি দিয়ে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, "তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।" (সূরা আল-আহজাব, আয়াত 21)। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে আজ কিছু লোক সেই নবীর সম্মানকে অবমাননা করছে। হৃদয় ভেঙ্গে যায়। আমাদের ক্ষমা করুন, হে নবী! তিনি তার অবিস্মরণীয় ক্ষমা, উদারতা, সততা, নম্রতা প্রভৃতির বিরল মুগ্ধতা দিয়ে বর্বর আরব জাতির আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এজন্য তারা তাকে ‘আল-আমিন’ উপাধিতে ভূষিত করেন। তারা সর্বসম্মতিক্রমে স্বীকার করেছিল যে তিনি নম্র এবং গুণী ছিলেন। টাকা দিয়ে নয়, ভালো ব্যবহার দিয়ে তিনি বিশ্ববাসীকে জয় করেছেন। আল্লাহ তাঁর গুণাবলী সম্পর্কে কুরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই তুমি মহৎ চরিত্রের অধিকারী।’ (সূরা আল কালাম, আয়াত ৪)। তিনি কখনো মানুষকে তুচ্ছ করেননি। আত্মসম্মানবোধে তিনি কাউকে তুচ্ছ মনে করেননি। তিনি বিশ্বের হৃদয়ে উচ্চতর চরিত্রের একটি অনুপম মানদণ্ড স্থাপন করেছেন। নম্রতা তার চরিত্রে সর্বদা উপস্থিত ছিল। পৃথিবীর মানবতার কল্যাণে তাকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল শ্রেষ্ঠ আদর্শের বাস্তবায়নকারী ও প্রশিক্ষক হিসেবে। এ প্রসঙ্গে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমাকে আমার উত্তম চরিত্র পূর্ণ করার জন্য প্রেরিত করা হয়েছে।’ (মুসনাদে আহমদ, মিশকাত) ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন বিনয়ী এবং আচার-আচরণে অত্যন্ত বিনয়ী। দুর্বল ব্যক্তিকে কড়া কথায় আঘাত করবেন না। তিনি কোন মানুষকে তার সাধ্যের বাইরে অসাধ্য সাধন করতে বাধ্য করেননি। গরিব-অসহায় মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করতেন। তিনি লোকদেরকে তাদের আচরণে অপ্রয়োজনীয় রাগ ও রাগ থেকে সর্বদা বিরত থাকার উপদেশ দিতেন এবং মানুষকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন, “যে বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাকে উঁচু করে দেন এবং যে অহংকারী হয়, আল্লাহ তাকে লাঞ্ছিত করেন।” (মিশকাত) কাফেররাও তার কাছ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে সদয় ও নম্র আচরণ পেয়েছিল। তার অনুসারীরা তাকে উচ্চ সম্মানের সাথে ধরেছিল কারণ তিনি খুব নমনীয় এবং নম্র ছিলেন। হজরত আয়েশা (রা.) তার ভদ্র আচার-আচরণ সম্পর্কে বলেন, ‘নবী (সা.) রূঢ় বক্তা ছিলেন না, প্রয়োজনের সময়ও তিনি কঠোর ভাষা ব্যবহার করতেন না। প্রতিহিংসা তার সাথে ছিল না মোটেও। মন্দের বিনিময়ে ভালোই করেছেন। সব ক্ষেত্রেই তিনি ক্ষমা পছন্দ করতেন। তিনি লোকদেরকে উপদেশ দিয়েছিলেন, “আল্লাহর ইবাদত কর, করুণাময় প্রভু, ক্ষুধার্তকে খাবার দাও, সালাম দাও এবং এসব কাজের মাধ্যমে জান্নাতে প্রবেশ কর। তিনি উত্তর দিলেন, "ক্ষুধার্তকে খাওয়ানো এবং অপরিচিত সকলকে সালাম করা।" (বুখারী ও মুসলিম)। মহানবী (সা.)-এর মর্যাদাকে সম্মান করা মুসলমানদের ধর্মীয় কর্তব্য এবং প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানের মৌলিক অংশ।

মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি?

নামাজ, রোজা, জাকাত, হজ, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৯২৯তম পর্বে ই-মেইলের মাধ্যমে কানিজ নাহার দিপা জানতে চেয়েছেন, মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? অনুলিখন করেছেন মোহাম্মদ সাইফ আহমেদ। প্রশ্ন : মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? উত্তর : না দোয়ার জন্য আলাদা কোনো মাহফিল নেই। এটা আসবে কেন? আমরা একটা জায়গা থেকে বাঁচার জন্য আরেকটি কাজ করছি। কিন্তু সেই কাজটি ভুল করে আরও বড় ভুলের সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। আমাদের সমাজে একটি প্রথা একেবারে ছেয়ে গেছে। যেমন—একজন মারা গেলে তার জন্য মিলাদ-মাহফিল করা কিংবা কূলখানি করা। কিন্তু এগুলো সবই বেদআতি কাজ। এগুলো সঠিক কাজ নয়। অনেকে মনে করছে, দোয়া-মাহফিল করা যেতে পারে। কিন্তু সেটা একদমই নয়। এসব ইসলামে অনুমোদন দেয়নি। এইগুলো পুরোটাই বেদআত। মানুষ চাইলে যে কোনো সময় কিংবা যে কোনো জায়গা থেকে দোয়া করতে পারবেন। দোয়ার সঙ্গে মাহফিল কিংবা আলাদা কোনো ধরনের অনুষ্ঠান ঘোষণা করা জায়েজ নেই। আশা করি, আপনি বুঝতে পেরেছেন।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রতিযোগিতা: চ্যাটজিপিটি বনাম ডিপসিক?

র্তমান প্রযুক্তি বিশ্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) নিয়ে নতুন প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ওপেনএআই-এর চ্যাটজিপিটি ও চীনের ডিপসিকের মধ্যে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুধু প্রযুক্তিগত দক্ষতার নয়, বরং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। চ্যাটজিপিটি দীর্ঘদিন ধরে ব্লগ লেখা, গবেষণা, প্রোগ্রামিংসহ নানান কাজে অপরিহার্য টুল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি চীনের তৈরি ডিপসিক এআই জগতে নতুন আলোড়ন তুলেছে। তারা দাবি করছে, তুলনামূলক কম চিপ ব্যবহার করেই অত্যাধুনিক এআই সেবা দেওয়া সম্ভব, যেখানে ওপেনএআই-এর বিশাল মডেলগুলোর জন্য ১৬,০০০ বা তারও বেশি চিপ প্রয়োজন হয়, সেখানে মাত্র ২০০০ চিপ দিয়ে ডিপসিক কার্যকরভাবে কাজ করতে সক্ষম। দুই প্ল্যাটফর্মের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রয়েছে। ✅ চ্যাটজিপিটি: বিস্তৃত বিশ্লেষণ ও গভীর গবেষণা উপস্থাপন করতে পারে, যা একাডেমিক ও জটিল সমস্যার সমাধানে সহায়ক। ✅ ডিপসিক: দ্রুত এবং সংক্ষিপ্ত উত্তর দিতে পারে, যা তাৎক্ষণিক ফলাফল প্রত্যাশী ব্যবহারকারীদের জন্য উপযোগী। লেখালেখির ক্ষেত্রে চ্যাটজিপিটি কেবল ধারণা ও প্লটের কাঠামো গড়ে তোলে, যেখানে ডিপসিক প্রায় পুরো গল্প তৈরি করে দিতে পারে। একইভাবে, কোডিংয়ের ক্ষেত্রেও ডিপসিক কিছু ক্ষেত্রে দ্রুত সমাধান দিতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। ডিপসিকের বিরুদ্ধে ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা সংরক্ষণ ও তথ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অস্ট্রেলিয়াসহ কয়েকটি দেশের সরকার ইতোমধ্যেই ডিপসিকের ডেটা নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ওপেনএআই নিজেও অতীতে অনুমতি ছাড়া মানুষের লেখা ডেটা প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহারের অভিযোগের মুখে পড়েছিল, যা এখন ডিপসিকের বিরুদ্ধে উঠছে। ডিপসিকের সাফল্যের ফলে এআই চিপের বাজারেও বড় প্রভাব পড়েছে। এনভিডিয়া, যারা উন্নত চিপ তৈরিতে বিশ্বব্যাপী অগ্রগণ্য, তাদের শেয়ারের মূল্য একদিনে প্রায় ১৭% কমে গেছে। কারণ, কম শক্তিশালী হার্ডওয়্যারেও কার্যকর এআই সম্ভব হলে উচ্চমূল্যের উন্নত চিপের বাজার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে প্রযুক্তিগত প্রতিযোগিতা নতুন কিছু নয়, তবে ডিপসিকের উদ্ভাবন নতুন মাত্রা যোগ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই চীনে উন্নত চিপ রপ্তানির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, কম খরচে ভালো এআই তৈরি হলে মার্কিন প্রযুক্তি খাতেরও লাভ হতে পারে। এই প্রতিযোগিতা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভবিষ্যৎকে আরও উন্নত ও বহুমাত্রিক করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যেখানে দ্রুত এবং সাশ্রয়ী সমাধান দরকার, সেখানে হয়তো ডিপসিক এগিয়ে থাকবে, আর যেখানে গবেষণা ও জটিল বিশ্লেষণের প্রয়োজন, সেখানে চ্যাটজিপিটির মতো বৃহৎ মডেলগুলো প্রাধান্য পাবে। শেষ পর্যন্ত, এই প্রতিযোগিতাই হয়তো এআই প্রযুক্তিকে আরও দক্ষ, নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী করবে।

শীর্ষ সপ্তাহ

টাঙ্গাইলের কাকুয়া ইউনিয়নে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল
সারা দেশ

টাঙ্গাইলের কাকুয়া ইউনিয়নে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল

ডিসেম্বর ৯, ২০২৫ 0

ভোট জরিপ

আমাদের নতুন ওয়েবসাইট আপনাদের কাছে কেমন লাগছে