দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”
বাংলাদেশের বৃহৎ এনজিও সংস্থা "আশা"এর উদ্যোগে হয়ে গেল ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন যেখানে ফ্রিতে চিকিৎসা দেওয়া হয় এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবী এবং কর্মজীবী মানুষের মধ্যে। ২৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার সোনামুই গ্রামে সকাল থেকে এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন করা হয় আশায় এনজিও হেমনগর শাখার উদ্যোগে এটি বাস্তবায়িত করা হয়। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যকর্মী এবং মেডিকেল অফিসারসহ অন্যান্য সেবিকারা। আশা এনজিও কর্তৃক ক্যাম্পেইনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন "আশা" হেমনগর ব্রাঞ্চের পক্ষথেকে আশা এনজিওর এই ক্যাম্পেইনে গ্রামের সকল পেশাজীবীর মানুষেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্যাম্পেইনটিতে অংশগ্রহণ করেন এবং তারই মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সঠিক ভাবে নিরূপণ করতে সহযোগিতা করেন। আশা এনজিওর মাধ্যমে ক্যাম্পেইন করে মানুষের জন্য সময় উপযোগী এবং প্রয়োজনীয় একটি বিষয় হয়ে দাঁড়াবে যেটি গ্রামের মানুষের মধ্যে সচেতনতা এবং স্বাস্থ্য সঠিকভাবে পর্যালোচনা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই উদ্যোগে এলাকাবাসী অত্যন্ত প্রাণবন্ত ভাবে উৎফুল্ল প্রকাশ করেছে। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিকবৃন্দ এবং সাধারণ মানুষ। এবং তাদের ক্যাম্পেইন ডাক্তার সঠিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেছে। আশা এনজিও আগামী দিনগুলোর জন্য এইরকম ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ধাপ হিসাবে গণ্য হবে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদল সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লা পাড়া ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে সদর উপজেলার স্থানীয় বেতগঞ্জ বাজাএই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আবুল কাশেম দুলু সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এডভোকেট দীপংঙ্কর বনিক সুজিতের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক মনাজ্জির হোসেন। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সুহেল মিয়া, শাহজাহান মিয়া, এডভোকেট আব্দুল আহাদ জুয়েল, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মুজাব্বির হোসেন অপু, ইমরান হোসেন শ্যামল, বিপ্লব খান, মো:শামিম আহমদ, সেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক সাদিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতাউর চৌধুরী শাহীন প্রমুখ। এ ছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার আলম, লিয়াকত আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতহাব চৌধুরী হাসান, শাখাওয়াত হোসেন পলাশ, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইমন আহমেদ, ফয়সাল আহমেদ, মিছবাহ হোসেন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মহিম উদ্দিন, জেলা যুবদলের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মঈনুদ্দিন আহমেদ রিপন,সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আব্দুল কাইয়ুম সৌরভ, বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম, ময়না মিয়া,স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রুজেল আহমেদ, আবুল হাসনাত, জেলা ছাত্রদল নেতা ইয়াহিয়া হাসান প্রমুখ। এ সময় সদর উপজেলা ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন,বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের দুঃসময়ে যারা রাজপথে নির্যাতিত ও নিপিিতড় হয়েছেন, তাদের যথাযথ মূল্যায়নের ভিত্তিতেই ভবিষ্যতের ইউনিয়ন কমিটি গঠন করতে হবে। আওয়ামী লীগ ঘেঁষা বা ফ্যাসিস্টদের সাথে সম্পৃক্ত কোনো ব্যক্তিকে কমিটিতে রাখা যাবে না বলেও তারা দাবি জানান। দুর্দিনে যারা আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন তাদেরকে কমিটিতে মুল্যায়ন করা হবে। তারা বলেন,সুনামগঞ্জে জাতীয়তাবাদি শক্তির প্রাণপূরুষ এবং বিগত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে জেল জুলুম,হুলিয়া মাথায় নিয়ে এই সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা কেবল জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বর্তূমান জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৪(সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুলের নেতৃত্বে আমরা রাজপথে ছিলাম এবং আগামী নির্বাচনে এই আসনে জনপ্রিয় ধানের শীষের প্রার্থী একমাত্র নুরুল ইসলাম নুরুলকে বিএনপির প্রার্থী করতে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া,ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিকট তৃণমূলের নেতৃবৃন্দরা জোর দাবী জানান।
(২২ অক্টোবর) সকালে টাঙ্গাইল পৌর এলাকার পার্ক বাজার সংলগ্ন গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানটি পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল। তিনি তার বিশেষ মনিটরিং টিম নিয়ে দোকানে থাকা দইয়ের উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ না থাকা, বেশ কিছু পরিমাণ পচে যাওয়া দই দোকানে সংরক্ষণ করা এবং মিষ্টান্ন তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল পাওয়ার দায়ে টাঙ্গাইলের গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে, আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবেন। অভিযানে পৌর স্যানেটারি ইন্সপেক্টর ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ প্রসঙ্গে গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী স্বপ্নন কুমার ঘোষ জানান, সাধারণত তিনি খুচরা ভাবে দধি বিক্রি করে থাকেন। ফলে তৈরিকৃত দধিতে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ দেওয়া সম্ভব হয় না। তবে এখন থেকে দেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, উদ্ধারকৃত পচে যাওয়া দধিগুলো ফেলে দেওয়ার জন্য রাখা হয়েছিল। এছাড়া যে মিষ্টি তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল হাওয়া গেছে, সেটি বর্তমানে মিষ্টি তৈরীর কাজে ব্যাবহার করা হচ্ছে না। আমরা সবসময় চেষ্টাকরি গ্রাহককে সর্বোচ্চ মানের দধি ও মিষ্টান্ন সরবরাহ করার।
“মিস এন্ড মিসেস এলিগেন্স বাংলাদেশ সিজন ওয়ান”–এ প্রথম রানার্সআপ আদ্রিজা আফরিন সিনথিয়া দেশের আয়োজিত বর্ণাঢ্য প্রতিযোগিতা “মিস এন্ড মিসেস এলিগেন্স বাংলাদেশ সিজন ওয়ান”-এ প্রথম রানার্সআপের মুকুট জয় করলেন তরুণ ফ্যাশন মডেল আদ্রিজা আফরিন সিনথিয়া। ফ্যাশন জগতে ইতিমধ্যেই তিনি নিজেকে প্রমাণ করেছেন বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে কাজ করে। শুধু মডেলিং নয়, সিনথিয়া অভিনয়ের ক্ষেত্রেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন বুকে লালন করছেন। ইতোমধ্যে তিনি সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত সাদেক সিদ্দিকীর পরিচালনায় “দেনা পাওনা” সিনেমায় অভিনয় করছেন। রানার্সআপের মুকুট মাথায় পরার পর আবেগে আপ্লুত সিনথিয়া জানান—ঢালিউড কুইন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস আমাকে মুকুট পড়িয়ে দিয়েছেন এই আনন্দ আমি বুঝাতে পারবো না। “এই সাফল্য আমার জন্য অনেক বড় অর্জন। তবে আমি শুধু এখানেই থেমে থাকতে চাই না। আমি চাই নিজেকে মিডিয়া অঙ্গনে আরও দূর, বহুদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে। দেশবাসীর কাছে আমি দোয়া চাই।” আজকের এই অর্জন আমি আবার মা বাবা পরিবার এবং আমাকে যারা সাপোর্ট করেছেন তাদেরকে উৎসর্গ করতে চাই। বহু বাধা ও প্রতিকূলতা পেরিয়ে আজকের এই অবস্থানে পৌঁছেছেন সিনথিয়া। তাঁর অদম্য চেষ্টা, আত্মবিশ্বাস আর স্বপ্নই তাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ফ্যাশন থেকে চলচ্চিত্র—সব জায়গাতেই আলো ছড়ানোর ইচ্ছে তার। বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে সিনথিয়া এখন এক অনুপ্রেরণার নাম। তাঁর কথায়— “এই মুকুট আমার স্বপ্নযাত্রার প্রথম ধাপ মাত্র। সামনে আরও অনেক পথ, আরও অনেক লড়াই।”
সন্তান হারানো মা কুকুরের জীবনে নতুন আলো— মানবিক উদ্যোগে পেল দুটি ছানা। পাবনার ঈশ্বরদীতে নৃশংসভাবে আটটি কুকুরছানা হত্যা করার মর্মান্তিক ঘটনার পর এক হৃদয়বিদারক অবস্থার সৃষ্টি হয়। নিজের সন্তান হারিয়ে মা কুকুরটি তখন দিশেহারা, শোকে বিধ্বস্ত ও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিল। এমন পরিস্থিতিতে তার প্রতি মানবিক হাত বাড়িয়ে দেন ঈশ্বরদীর প্রাণিপ্রেমী তরুণ শাহরিয়ার আমিত। ঘটনার পর মানবিক বিবেচনায় আমিতের উদ্যোগে মা কুকুরটির জন্য সংগ্রহ করা হয় দুটি নতুন ছানা। প্রথমে কিছুটা অবিশ্বাস ও দ্বিধায় থাকলেও ধীরে ধীরে সে ছানাগুলোকে আপন করে নেয়। এখন সেই দুই ছোট্ট প্রাণ তার দুধ খাচ্ছে, আর মা কুকুরটির আচরণে ফিরে এসেছে পুরনো মমতা ও শান্তভাব। ধীরে ধীরে শোক ভুলে আবার মাতৃত্বের অনুভূতি ফিরে পাচ্ছে সে। মা কুকুর ও নতুন দুটি ছানার যথাযথ যত্ন ও চিকিৎসা নিশ্চিত করছেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা। তাদের তত্ত্বাবধানে মা কুকুরটি শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ হয়ে উঠছে। এদিকে, আটটি কুকুরছানা হত্যার সেই নিষ্ঠুর ঘটনার সঙ্গে জড়িত নারীকে ইতোমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হলেও মানবিক এই পদক্ষেপ সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরিয়ে এনেছে। ঘটনাটির ছবি ও তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মহোদয়ের কাছ থেকে। মানবতার এমন সুন্দর উদ্যোগ নিঃসন্দেহে সমাজে ইতিবাচক বার্তা দেবে— প্রমাণ করে, মানুষ চাইলে অসহায় প্রাণীর জীবনেও আলো এনে দিতে পারে।
খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত। কেন্দ্রীয় নেতা সালাউদ্দিন টুকুর উপস্থিতিতে আবেগঘন পরিবেশ। বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় এক দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশনেত্রীর দীর্ঘদিনের শারীরিক অসুস্থতার প্রেক্ষাপটে আয়োজিত এ দোয়া মাহফিলে নেতৃত্ব, কর্মী ও সাধারণ মানুষের উপস্থিতিতে পুরো অনুষ্ঠানে এক আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়। মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। তিনি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, “আল্লাহ আমাদের গণতন্ত্রের মা’কে সুস্থ করে দাও। তিনি এই দেশের মানুষকে ভালোবাসেন, দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন—আজ আমরা সবাই মিলেই তাঁর সুস্থতার জন্য দোয়া করছি।” এছাড়া অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা মাহমুদুল হক শানুসহ দলের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। তারা বলেন, দেশের এই কঠিন সময়ে খালেদা জিয়ার সুস্থতা জাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বেগম জিয়ার রোগমুক্তির জন্য তারা সকলের নিকট দোয়া কামনা করেন। মোনাজাত পরিচালনাকারী আলেম দেশনেত্রীর দ্রুত আরোগ্য, দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে বিশেষ দোয়া পরিচালনা করেন। দোয়া শেষে নেতারা বলেন, “আমরা সকলের নিকট দেশনেত্রীর জন্য দোয়া প্রার্থনা করছি। মহান আল্লাহ তাকে দ্রুত সুস্থতা দান করুন।” স্থানীয় নেতা–কর্মী, সমর্থক, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলসহ সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণে দোয়া মাহফিলটি একটি সমবেদনা ও আশার মিলনমেলায় পরিণত হয়।
ভোটকক্ষে সাংবাদিক প্রবেশে দায়িত্বশীলতা জরুরি: নির্বাচনকে ‘হযবরল’ হতে দিতে চাই না — সিইসি নাসির। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক, গ্রহণযোগ্য ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশন সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) মো. নাসির উদ্দিন। শুক্রবার অনুষ্ঠিত নির্বাচন পরিচালনার প্র্যাক্টিক্যাল ডেমনস্ট্রেশন শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ভোটকক্ষে প্রবেশের ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের দায়িত্বশীল আচরণ এবং বিবেক প্রয়োগের বিকল্প নেই। ভোটগ্রহণের পরিবেশ অস্থির হয়ে গেলে সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনা কঠিন হয়ে পড়তে পারে।‘ছোট বুথে বেশি লোক ঢুকলে হ-য-ব-র-ল পরিস্থিতি তৈরি হবে’সাংবাদিকদের ভোটকক্ষে প্রবেশের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন,“সাংবাদিক ভাইয়েরা বলছেন—আমাদের ভেতরে থাকতে দিতে হবে। কিন্তু আপনি যখন ছোট্ট একটা বুথে একসঙ্গে অনেক সাংবাদিক ঢুকবেন, তখন ধাক্কাধাক্কি হবে, জায়গা সংকুলান হবে না। বেশি সময় দাঁড়িয়ে থাকলে ভেতরের পরিবেশ অস্থির হয়ে যাবে। আমরা চাই না ভোটকক্ষে হ-য-ব-র-ল পরিস্থিতি তৈরি হোক।”তিনি বলেন, ভোটকেন্দ্রে এজেন্ট, পোলিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসার, ভোটার—এত মানুষের উপস্থিতিতে ভিড় তৈরি হওয়ার ঝুঁকি থেকেই যায়। এর মাঝে যদি সাংবাদিক ও দেশি–বিদেশি পর্যবেক্ষকদের বড় দল একসঙ্গে ঢোকে, তাহলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন হয়ে পড়বে।“সাংবাদিকদের আমরা নিষেধ করছি না। আমরা শুধু বলছি—বিবেচনা প্রয়োগ করে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করে বেরিয়ে যান।”সিইসি নাসির উদ্দিন বলেন, আগাম নির্বাচনের আগে কেমন পরিবেশ তৈরি হওয়া উচিত এবং আদর্শ পরিস্থিতিতে ভোটের দিন একটি কেন্দ্র কীভাবে পরিচালিত হবে—তা বাস্তবে দেখে নেওয়ার জন্যই আজকের ডেমনস্ট্রেশন আয়োজন করা হয়েছে। “আমরা যে নির্বাচনকে কলঙ্কমুক্ত, স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি—সে লক্ষ্যেই এই অনুশীলন। ভোটার আসা–যাওয়া, ব্যালট প্রদানের প্রক্রিয়া, পোলিং অফিসারদের অবস্থান, প্রিজাইডিং অফিসারের ভূমিকা, সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের চলাচল—সবকিছু আমরা পর্যবেক্ষণ করেছি।”তিনি বলেন, প্রাপ্ত অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন ও পরিমার্জন আনা হবে। “মোটামুটি সব ঠিক আছে। তবে কোথাও কোথাও উন্নতির জায়গা আছে—আমরা বসে সেগুলো ঠিক করবো।” সিইসি জানান, নির্বাচন কমিশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নানা ধরনের চাপ, প্রত্যাশা ও আন্তর্জাতিক নজরদারি সম্পর্কে সচেতন। তাই একটি শান্ত, শ্রদ্ধাশীল ও নিয়মতান্ত্রিক ভোটকেন্দ্র পরিবেশ তৈরি করা জরুরি। তিনি বলেন, “আমরা একটি সুন্দর, গ্রহণযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন জাতিকে উপহার দিতে বদ্ধপরিকর। এজন্যই বারবার বলছি—কেন্দ্রে যারা যাবেন, সবাই যেন দায়িত্বশীলভাবে কাজ করেন।”সংবাদমাধ্যম নির্বাচনকে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে উল্লেখ করে সিইসি বলেন— “সাংবাদিকদের উপস্থিতি আমরা স্বাগত জানাই। কিন্তু দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে যেন কেন্দ্রে সাধারণ ভোটারের চলাচল বা ভোটগ্রহণে কোনো ব্যাঘাত না হয়, সেটি সবার আগে নিশ্চিত করতে হবে।” তিনি জানান, কমিশন খুব শিগগিরই সাংবাদিকদের জন্য পৃথক নির্দেশিকা ও গাইডলাইন প্রকাশ করবে, যাতে তারা নির্বাচন কাভার করতে পারেন কোনো প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই।