বাংলাদেশে একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে ছাত্ররা। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়েই দলটি আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করবে বলে জানা গেছে। ইতোমধ্যে দলটির কাঠামো, গঠনতন্ত্র, ঘোষণাপত্র এবং কর্মপদ্ধতি নির্ধারণের কাজ চলছে। ছাত্রদের নেতৃত্বে গঠিত এই দলটি কেমন হবে এবং তারা কীভাবে নির্বাচনে অংশ নেবে, তা নিয়ে দেশজুড়ে নানা আলোচনা শুরু হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী ছাত্ররা এই দলের প্রতিষ্ঠার মূল ভূমিকা পালন করছে। নতুন দলটি একটি ভিন্নধর্মী কাঠামোর ভিত্তিতে গড়ে তোলা হচ্ছে, যেখানে সাংবিধানিক ফ্যাসিবাদী ধারা বা টেন্ডারবাজি-চাঁদাবাজির মতো পুরনো সমস্যাগুলোকে জায়গা দেওয়া হবে না।
জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারী জানিয়েছেন, জনগণের মতামতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দলের নাম নির্ধারণ করা হবে। ইতোমধ্যে জনগণের কাছ থেকে বিভিন্ন নামের প্রস্তাব চাওয়া হয়েছে।
এই নতুন ছাত্রদল এককভাবে নাকি অন্যদের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে অংশ নেবে, সে বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে তাদের মূল লক্ষ্য থাকবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করা।
অর্থায়নের বিষয়ে নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, "আমরা ক্রাউড ফান্ডিংয়ের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহের পরিকল্পনা করছি এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরামের সাহায্যে কাজ করতে চাই।"
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ১৫ ফেব্রুয়ারিকে ডেডলাইন ধরে দলের কাঠামো ও ঘোষণাপত্র তৈরির কাজ এগিয়ে চলছে। নতুন দলের মহাসচিব হিসেবে তথ্য ও সম্প্রচারবিষয়ক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের দায়িত্ব নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
১৪ সেপ্টেম্বর জাতীয় নাগরিক কমিটি গঠনের পর থেকেই ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের আলোচনা শুরু হয়। এখন সেই আলোচনা বাস্তবে রূপ নিতে চলেছে।
নতুন এই দলটি রাজনৈতিক অঙ্গনে কী প্রভাব ফেলবে এবং আগামী নির্বাচনে তারা কীভাবে ভূমিকা রাখবে, তা নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা নজর রাখছেন।