Search : নিরাপত্তা ব্যবস্থা

সারা দেশ
কালিহাতীতে খেজুরের রস খেতে গিয়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কিশোর নিহত

কালিহাতীতে খেজুরের রস খেতে গিয়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কিশোর নিহত টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে খেজুরের রস খেতে গিয়ে ফেরার পথে ভয়াবহ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় তাওহীদ (১৫) নামে এক কিশোর নিহত হয়েছে। রবিবার ভোরে উপজেলার নাগবাড়ী ইউনিয়নের পাকুটিয়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত তাওহীদ স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল বলে জানা গেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শীতের সকালে খেজুরের রস খেতে তাওহীদ ও তার দুই বন্ধু মোটরসাইকেলযোগে ধানগড়া এলাকায় যায়। তারা রস খেয়ে বাড়ির পথে ফিরছিল। পাকুটিয়া বেইলি ব্রিজে উঠতেই হঠাৎ মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সোজা ব্রিজের লোহার রেলিংয়ে গিয়ে ধাক্কা খায়। ধাক্কা এতটাই শক্ত ছিল যে মোটরসাইকেলটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং তাওহীদ ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায়। দুর্ঘটনায় তার সঙ্গে থাকা দুই কিশোর—জিহাদ ও হাসান—গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা দ্রুত তাদের উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। আহতদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুর্ঘটনাকবলিত মোটরসাইকেলটি জব্দ করে। কালিহাতী থানার ওসি জানান, অতিরিক্ত গতির কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় আইনগত প্রক্রিয়া শেষে নিহতের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। স্থানীয়রা জানান, শীতকালে ধানগড়া ও আশপাশের এলাকায় খেজুরের রস খেতে ভোরে ভোরে কিশোর-যুবকদের ভিড় থাকে। কিন্তু রাস্তার বিভিন্ন স্থানে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণ না থাকা ও ব্রিজে বাম্পার বা সতর্কতা ব্যবস্থা না থাকায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। হঠাৎ ফুলেলের কিশোরের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পরিবারের সদস্যরা তাওহীদের অসময়ে মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না। তারা ব্রিজে যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।

কৌশিক সাজ্জিদ পিয়াল ডিসেম্বর ৭, ২০২৫ 0
টাঙ্গাইলে অনুমোদনহীন বহুতল ভবন নির্মাণে ক্ষোভে ফুঁসছে স্থানীয়রা
সারা দেশ
টাঙ্গাইলে অনুমোদনহীন বহুতল ভবন নির্মাণে ক্ষোভে ফুঁসছে স্থানীয়রা

টাঙ্গাইল পৌরসভার বিশ্বাস বেতকা এলাকার ঘটকবাড়ি সড়কে ‘মক্কা টাওয়ার’ নামে বহুতল ভবন নির্মাণকে কেন্দ্র করে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন আশপাশের কয়েকশো বাসিন্দা। যথাযথ প্ল্যান, অনুমোদন, নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও রাস্তার চলাচল নিশ্চিত না করেই ভবন নির্মাণ করায় পুরো এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে চরম দুর্ভোগ, ভীতি ও ক্ষোভের পরিবেশ। স্থানীয় বাসিন্দা সারোয়ার আলম এ বিষয়ে টাঙ্গাইল পৌরসভায় একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন। অভিযোগপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, আব্দুল মান্নান ও তার সহযোগীরা অনুমোদন ছাড়া বহুতল ভবন নির্মাণ করায় প্রতিদিন দুই থেকে তিনশ মানুষের চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তিনি বলেন, “ভবন নির্মাণের কারণে আমার বাড়ির সামনের মূল রাস্তা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ভাড়াটিয়াদের যাতায়াতে সমস্যা, প্রচণ্ড শব্দদূষণ, বালু-ইটের স্তূপ, কাঁদামাটি—সব মিলিয়ে সাধারণ জীবনযাপনই অসম্ভব হয়ে গেছে। প্রায়ই পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে সড়কে জলাবদ্ধতাও সৃষ্টি হচ্ছে।” আরেক বাসিন্দা সাহানা আক্তার বেবি জানান, “এই ভবন নির্মাণের কারণে দিনের পর দিন রাস্তায় বের হওয়াই কঠিন। বিশেষ করে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা ভীষণ বিপদে পড়ে। বালু-খোয়ার ধুলায় ঘরের দরজা-জানালা খুলে রাখা যায় না। আমাদের পরিবারগুলো চরম দুর্ভোগে রয়েছে।” এলাকাবাসীর অভিযোগ,ভবনটির কোনো অনুমোদিত নকশা নেই,নির্মাণসামগ্রী পুরো রাস্তাজুড়ে রাখা হয়,নিরাপত্তা বেষ্টনী ছাড়াই কাজ চলায় যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনার ঝুঁকি রয়েছে,রাস্তা বন্ধ থাকায় অ্যাম্বুলেন্স, গাড়ি বা জরুরি যানবাহন প্রবেশ করতে পারে না,এমনকি হেঁটেও চলাচল করা কঠিন হয়ে পড়েছে। স্থানীয়দের দাবি, এভাবে যত্রতত্র ও পরিকল্পনাহীনভাবে বহুতল ভবন নির্মাণ হলে ভবিষ্যতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা বা অবকাঠামোগত বিপর্যয় ঘটতে পারে। তারা জানাচ্ছেন, রাস্তা বন্ধ করে নির্মাণকাজ পরিচালনা করা আইনগতভাবেও সম্পূর্ণ অপরাধ। একাধিক অভিযোগ সত্ত্বেও স্থানীয় প্রশাসনের তেমন কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ না থাকায় হতাশা বাড়ছে বলে জানান বাসিন্দারা। বিষয়টি জানতে চাইলে টাঙ্গাইল পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আনিসুর রহমানের অফিসে যোগাযোগ করা হলেও তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য দিতে রাজি হননি। এদিকে অভিযুক্ত ভবন মালিক আব্দুল মান্নান ও তার সহযোগী ইউসুফের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি। ভুক্তভোগীরা বলেন, “পৌরসভার দায়িত্ব হচ্ছে অনুমোদন ছাড়া কোনো বহুতল ভবন নির্মাণ বন্ধ করা। আমাদের অভিযোগগুলো দ্রুত তদন্ত করে রাস্তা খুলে দেওয়া, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং অবৈধ নির্মাণের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হোক।” এলাকাবাসী দ্রুত প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ, অনুমোদন যাচাই ও যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন।

নাদিম তালুকদার ডিসেম্বর ৩, ২০২৫ 0
সারা দেশ
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দোকানদার গফুর আলীর মর্মান্তিক মৃত্যু। দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার ক্ষতি। টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে গফুর আলী (৬০) নামে এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর করুণ মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার বল্লা ইউনিয়নের কাগুজিপাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত গফুর আলী কোকডহরা ইউনিয়নের দত্তগ্রাম এলাকার বাসিন্দা এবং হবিবুর রহমানের ছেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মতোই গফুর আলী তার তেলের দোকানে কাজ করছিলেন। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে হঠাৎ দোকানের ভেতর থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ভয়াবহ রূপ নেয়। আগুনের তীব্রতায় দোকানের ভেতর আটকা পড়ে যান গফুর আলী। স্থানীয়রা মরিয়া হয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালালেও আগুনের দাপটে কাছে যাওয়া সম্ভব হয়নি। প্রত্যক্ষদর্শী বাজার ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম বলেন, “আমরা প্রথমে ধোঁয়া দেখতে পাই। দ্রুত দৌড়ে গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি। কিন্তু আগুন এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে যে গফুর ভাই বের হতে পারেননি। চোখের সামনে মানুষের মৃত্যু দেখতে হল, কিছুই করতে পারলাম না।” বাজার কমিটির সভাপতি মো. ফজলু তালুকদার জানান, “আগুন লাগার পর মুহূর্তেই দোকানটি জ্বলতে থাকে। আমরা চিৎকার করে সবাইকে খবর দেই। কিন্তু গফুর ভাই আটকা পড়ে ছিলেন। ফায়ার সার্ভিস এসে ১০ মিনিট চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তখনো সব শেষ।” খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কালিহাতী ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট। স্টেশন কর্মকর্তা রাসেল মিয়া জানান, “দোকানের ভেতরে আটকে পড়েই গফুর আলী দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে অন্য কোনো দোকানের ক্ষতি হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত।” ফায়ার সার্ভিসের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, আগুনে গফুর আলীর দোকানের দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার মালামাল সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। দোকানটি সম্পূর্ণ ছাই হয়ে গেছে বলে স্থানীয়রা নিশ্চিত করেছেন। হঠাৎ এ মৃত্যুর ঘটনায় কাগুজিপাড়া বাজার ও আশপাশের এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। দীর্ঘদিন ধরে বাজারে ব্যবসা করে আসা গফুর আলী সকলের কাছে একজন সৎ ও পরিশ্রমী মানুষ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তার মৃত্যুতে সহকর্মী ব্যবসায়ীরা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। স্থানীয়দের দাবি, বাজারে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকায় এমন দুর্ঘটনা বড় আকার ধারণ করেছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের মর্মান্তিক ঘটনা এড়াতে বাজারগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার দাবি জানানো হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য থানায় পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

কৌশিক সাজ্জিদ পিয়াল ডিসেম্বর ২, ২০২৫ 0
সারা দেশ
নবাগত পুলিশ সুপার মুহম্মদ শামসুল আলম সরকারের টাঙ্গাইলে যোগদান

সাজিদ পিয়াল:নবাগত পুলিশ সুপার মুহম্মদ শামসুল আলম সরকারের টাঙ্গাইলে যোগদান , ৩০ নভেম্বর ২০২৫ – নবাগত পুলিশ সুপার জনাব মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার আজ টাঙ্গাইলে যোগদান করেছেন। জেলার সাধারণ পুলিশ কার্যক্রম ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব গ্রহণের মাধ্যমে তিনি জেলা পুলিশে নতুন নেতৃত্ব প্রদান করবেন। উল্লেখযোগ্য যে, জনাব মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার তাঁর দীর্ঘ পুলিশি অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার মাধ্যমে টাঙ্গাইল জেলার নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও সুদৃঢ় করার পরিকল্পনা করছেন। জেলা সদর দপ্তরে তাঁর আনুষ্ঠানিক পদভার গ্রহণের সময় পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পুলিশ সুপার মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার জনগণের সেবা এবং আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার ক্ষেত্রে তাঁর প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন। তিনি এলাকার নিরাপত্তা ও শান্তি রক্ষায় সকল স্তরের সহযোগিতা কামনা করেছেন।নবাগত পুলিশ সুপার জনাব মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার মহোদয়ের যোগদান উপলক্ষ্যে টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের বিশেষ অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত নবাগত সম্মানিত পুলিশ সুপার জনাব মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার মহোদয়ের যোগদান উপলক্ষে পুলিশ সুপারের কার্যালয়, টাঙ্গাইল-এর সম্মেলন কক্ষে জেলা পুলিশের সকল কর্মকর্তা ও অফিসার ইনচার্জদের সমন্বয়ে বিশেষ অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শুরুর আগে পুলিশ অফিসার্স মেস, টাঙ্গাইল প্রাঙ্গণে জেলা পুলিশের একটি চৌকস দল নবাগত পুলিশ সুপার মহোদয়কে গার্ড অব অনার প্রদান করে। পুলিশ সুপারের কার্যালয়, টাঙ্গাইল-এর বিভিন্ন অফিস সরেজমিনে পরিদর্শন করেন জনাব মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার, নবাগত পুলিশ সুপার, টাঙ্গাইল মহোদয়। সভায় নবাগত পুলিশ সুপার মহোদয় জেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে জনবান্ধব ও সেবামূলক বিট পুলিশিং, কমিউনিটি পুলিশিং, নিরাপদ চলাচল নিশ্চিতকরণ, জনগণের নিকট পুলিশের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণ রাখা এবং জেলা পুলিশের বিভিন্ন কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাদের পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা প্রদানসহ জেলার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনাও দেন। এ সময় টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণসহ সকল ইউনিটের বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

কৌশিক সাজ্জিদ পিয়াল নভেম্বর ৩০, ২০২৫ 0
সারা দেশ
ঐতিহাসিক টাঙ্গাইল জেলা কনফারেন্স–২০২৫জমঈয়তে আহলে হাদীসের উদ্যোগে ব্যাপক প্রস্তুতি

ঐতিহাসিক টাঙ্গাইল জেলা কনফারেন্স–২০২৫ জমঈয়তে আহলে হাদীসের উদ্যোগে ব্যাপক প্রস্তুতি টাঙ্গাইলে ধর্মীয় চেতনা ও সঠিক ইসলামী দাওয়াতের প্রচার-প্রসারের লক্ষ্যে টাঙ্গাইল জেলা জমঈয়তে আহলে হাদীস আগামীকাল আয়োজন করতে যাচ্ছে ঐতিহাসিক টাঙ্গাইল জেলা কনফারেন্স–২০২৫। ইতোমধ্যে পুরো জেলায় অনুষ্ঠিতব্য সম্মেলনকে ঘিরে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। দাওয়াতি কর্মী, ধর্মপ্রাণ মুসলিম, ইসলামি গবেষক, আলেম–উলামা এবং বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ এই মহাসম্মেলনে যোগ দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। 📅 তারিখ: আগামীকাল ২৯ নভেম্বর, শনিবার – ২০২৫ ⏰ সময়: বিকাল ৩ ঘটিকা 📍 স্থান: পৌর উদ্যান, জেলা সদর রোড, টাঙ্গাইল সম্মেলনকে শতভাগ সফল করতে দিনব্যাপী চলছে সাজসজ্জা, মঞ্চ নির্মাণ, সাউন্ড সিস্টেম বসানো, এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ নানা আয়োজন। আঞ্চলিক পর্যায়ের সম্মেলন হলেও এবার ব্যাপক উপস্থিতির সম্ভাবনায় এটিকে "ঐতিহাসিক" রূপ দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েছে আয়োজকরা। এ সম্মেলনে দেশের খ্যাতিমান আলেম ও বক্তারা ঈমান-আকীদা, শিরক ও বিদআত পরিহার, নৈতিক সমাজ গঠন, সুশিক্ষা, ইসলামী আদর্শে পরিবার পরিচালনা, সামাজিক অবক্ষয় রোধ, তরুণ সমাজকে সঠিক দিকনির্দেশনা প্রদানসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিশদ আলোচনা করবেন। পাশাপাশি থাকবে কুরআন–হাদীসের আলোকে বাস্তব জীবনের করণীয় ও শিক্ষা। অংশগ্রহণকারীদের সুবিধার জন্য টাঙ্গাইল জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে গাড়ির ব্যবস্থা, স্বেচ্ছাসেবক দল, মেডিকেল সহায়তা এবং নিরাপত্তা টিম গঠন করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, জেলাসহ আশপাশের জেলা থেকে কয়েক হাজার মানুষ উপস্থিত হয়ে সম্মেলনকে মহাসফল করবে। আয়োজক টাঙ্গাইল জেলা জমঈয়তে আহলে হাদীস জানায়— “ঐতিহাসিক এ সম্মেলন ইসলামী জ্ঞানচর্চা ও সুন্নাহভিত্তিক আমলকে আরও বেগবান করবে। শান্তিপূর্ণ, সুন্দর ও কল্যাণময় সমাজ গঠনে এই কনফারেন্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।” ধর্মপ্রাণ মুসলমানসহ সকলের প্রতি সম্মেলনে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য আয়োজক কমিটি বিনীত আহ্বান জানিয়েছে।

কৌশিক সাজ্জিদ পিয়াল নভেম্বর ২৮, ২০২৫ 0
সারা দেশ
টাঙ্গাইলের নতুন পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব নিলেন মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার

সাজিদ পিয়াল:টাঙ্গাইলের নতুন পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব নিলেন মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার বদলি জনিত আদেশে মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার টাঙ্গাইল জেলার নতুন পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেছেন। সোমবার তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এর আগে তিনি মুন্সিগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সেখানে দায়িত্ব পালনকালে তাঁর দক্ষ নেতৃত্ব, প্রশাসনিক সক্ষমতা, মানবিক পুলিশিং এবং জনবান্ধব সেবা জনপ্রশংসা অর্জন করে। দায়িত্ব গ্রহণের পর মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার বলেন, “টাঙ্গাইল জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও উন্নত করা, জনগণকে দ্রুত ও মানসম্মত সেবা প্রদান এবং নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করাই হবে আমার মূল লক্ষ্য।” জেলার সচেতন মহল মনে করছে, তাঁর সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা, পেশাদারিত্ব ও কর্মদক্ষতা টাঙ্গাইলের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও সুসংগঠিত করবে। স্থানীয়দের বিশ্বাস, নাগরিকবান্ধব পুলিশিং, অপরাধ দমন, শৃঙ্খলা রক্ষা ও সেবার মান বৃদ্ধি—সবক্ষেত্রেই নতুন এসপি ইতিবাচক ভূমিকা রাখবেন।

কৌশিক সাজ্জিদ পিয়াল নভেম্বর ২৭, ২০২৫ 0
জাতীয়
ঢাকার করাইল বস্তিতে ভয়াবহ আগুন: অগ্নিকাণ্ডে শতাধিক ঘর পুড়ে ছাই, বহু হতাহত

ঢাকার করাইল বস্তিতে ভয়াবহ আগুন: অগ্নিকাণ্ডে শতাধিক ঘর পুড়ে ছাই, বহু হতাহত (২৫ নভেম্বর ২০২৫) সকালে রাজধানীর করাইল বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় বস্তির শতাধিক ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে এবং বহু মানুষ দগ্ধ হয়েছেন। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আগুনের তীব্রতা এতই বেশি যে অনেক মানুষ নিজের ঘর ও মূল্যবান জিনিসপত্র উদ্ধার করতে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। জরুরি প্রয়োজনে অথবা নিখোঁজ ব্যক্তির খোঁজ জানতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের হটলাইন নম্বর ব্যবহার করতে পারেন।স্থানীয় থানা বা ওয়ার্ড কমিশনারের অফিসের সাথে যোগাযোগ করে ত্রাণ কার্যক্রম বা নিখোঁজ ব্যক্তিদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন।দগ্ধ বা আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য নিকটস্থ হাসপাতাল যেমন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট (Sheikh Hasina National Burn and Plastic Surgery Institute) বা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খোঁজ নিতে পারেন। যেভাবে সাহায্য করতে ।স্থানীয় প্রশাসন বা রেড ক্রিসেন্টের মতো স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাথে যোগাযোগ করে ত্রাণ বিতরণে বা তথ্য সংগ্রহে সাহায্য করতে পারেন। দান: স্থানীয় দাতব্য সংস্থাগুলো সাধারণত এমন জরুরি পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য খাদ্য, বস্ত্র ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী সংগ্রহ করে। নির্ভরযোগ্য সংস্থার মাধ্যমে দান করতে পারেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট বা গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ হতে পারে আগুনের কারণ। দুর্ঘটনায় হতাহতের সঠিক সংখ্যা এখনও নিশ্চিত করা যায়নি।স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত ত্রাণ বিতরণ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ব্যাপক প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য জরুরি ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

কৌশিক সাজ্জিদ পিয়াল নভেম্বর ২৬, ২০২৫ 0
টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের অগ্নি-নিরাপত্তা জোরদারে মহড়া অনুষ্ঠিত
সারা দেশ
টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের অগ্নি-নিরাপত্তা জোরদারে মহড়া অনুষ্ঠিত

সাজিদ পিয়াল: টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের অগ্নি-নিরাপত্তা জোরদারে মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের বিশেষায়িত টিমের অংশগ্রহণ, পুলিশ সদস্যদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষন টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের উদ্যোগে অগ্নি-নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে পুলিশ লাইন্স ব্যারাক প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয় অগ্নি মহড়া’। শনিবার সকালে এ মহড়ার উদ্বোধন করেন টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার জনাব মোঃ মিজানুর রহমানটাঙ্গাইল জেলা পুলিশের অগ্নি-নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারকরণের লক্ষ্যে “অগ্নি মহড়া” অনুষ্ঠিত টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের আয়োজনে পুলিশ লাইন্স ব্যারাক প্রাঙ্গণে ““অগ্নি মহড়া”-এর শুভ উদ্বোধন করেন জনাব মোঃ মিজানুর রহমান, পুলিশ সুপার, টাঙ্গাইল। কর্মশালা ও মহড়ায় কারিগরি সহযোগিতা প্রদান করেন টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ৭ সদস্যের একটি বিশেষায়িত টিম। কর্মশালায় অগ্নিকাণ্ডজনিত বিভিন্ন দুর্ঘটনা থেকে জনগণের জান–মাল ও সরকারি সম্পদ রক্ষায় করণীয় বিষয়ে উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের বিস্তারিত দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়। কর্মশালায় অগ্নি নির্বাপক (Fire Extinguisher) যন্ত্রের ব্যবহার ও পরিচিতি, আহত ব্যক্তিদের সেবা ও উদ্ধার কার্যক্রম, প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান, উৎসুক জনতা নিয়ন্ত্রণ, এবং গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র নিরাপদে স্থানান্তরসহ বিভিন্ন বিষয়ে তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। বাড়ির অভ্যন্তরে ঘটে যাওয়া অগ্নিকাণ্ড, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণসহ বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে কীভাবে দ্রুত ও নিরাপদে আগুন নিয়ন্ত্রণ করা যায়—তা হাতে-কলমে প্রদর্শন করা হয়। এ সময় টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দসহ পুলিশ লাইন্স, টাঙ্গাইলে কর্মরত সকল পর্যায়ের পুলিশ সদস্যগণ কর্মশালা ও মহড়ায় অংশগ্রহণ করেন। এ কর্মশালা ও মহড়ায় কারিগরি সহযোগিতা প্রদান করে টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ৭ সদস্যের একটি বিশেষায়িত টিম। আগুন লাগার মুহূর্তে কীভাবে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে, জনগণের জান–মাল রক্ষায় পুলিশ সদস্যদের ভূমিকা কী—এসব বিষয় বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয় প্রশিক্ষণে।আগুন নেভানোর আধুনিক কৌশল শেখানো হয় ।মহড়ায় অংশগ্রহণকারী পুলিশ সদস্যদের অগ্নি নির্বাপক (Fire Extinguisher) যন্ত্রের ব্যবহার, বিভিন্ন ধরণের আগুন চিহ্নিতকরণ, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণজনিত ঝুঁকি মোকাবিলা, রুমের ভেতরের অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। পাশাপাশি—সরকারি নথিপত্র নিরাপদে স্থানান্তর,—এসব বিষয়েও বিশেষ দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়।ফায়ার সার্ভিসের প্রশিক্ষক (সরাসরি) আগুন নেভানোর বিভিন্ন কৌশল হাতে-কলমে প্রদর্শন করেন, যাতে বাস্তব পরিস্থিতিতে পুলিশ সদস্যরা দ্রুত ও নিরাপদ সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।উপস্থিত ছিলেন পুলিশ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মহড়ায় টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দসহ পুলিশ লাইন্সে কর্মরত সকল পর্যায়ের পুলিশ সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন। অগ্নি-নিরাপত্তা বিষয়ে এ ধরনের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম নিয়মিতভাবে চলমান রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন পুলিশ সুপার।

কৌশিক সাজ্জিদ পিয়াল নভেম্বর ২৫, ২০২৫ 0
সারা দেশ
টাঙ্গাইলের মধুপুরে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনানিহত দুই যুবকের স্বপ্ন থেমে গেল মুহূর্তে

সাজিদ পিয়াল:টাঙ্গাইলের মধুপুরে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা নিহত দুই যুবকের স্বপ্ন থেমে গেল মুহূর্তে টাঙ্গাইলের মধুপুরে গত রোববার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঘটে গেল হৃদয়বিদারক সড়ক দুর্ঘটনা। টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কের টেলকি সাইনবোর্ড রসুলপুর মোড় এলাকায় সন্ধ্যা ৭টার দিকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন দুই তরুণ। মুহূর্তেই নিভে গেল দুটি সম্ভাবনাময় জীবনের প্রদীপ। নিহত দুইজন হলেন—ঘাটাইল উপজেলার পশ্চিম পাকুটিয়া গ্রামের মোখলেছুর রহমান মুকুলের ছেলে মো. ইয়াসিন হোসেন (২৭) এবং বরিশাল জেলার চর ফ্যাশন উপজেলার মো. রাকিব (২৫)। পরিবার ও স্বজনদের মাঝে নেমে এসেছে শোকের ছায়া, ভেঙে পড়েছে দুই পরিবারই। পুলিশ ও স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানা যায়, সন্ধ্যার পর মোটরসাইকেলটি মধুপুর বনাঞ্চলের টেলকি রসুলপুর মোড় এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে থাকা একটি শক্ত পিলারের সঙ্গে প্রচণ্ড জোরে ধাক্কা লাগে। ধাক্কার তীব্রতায় ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন মোটরসাইকেলের চালক ও আরোহী। স্থানীয়রা দ্রুত ছুটে গিয়ে অরণখোলা পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে। মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমরানুল কবির বলেন, "প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মোটরসাইকেলটি অতিরিক্ত গতিতে চলছিল। নিয়ন্ত্রণ হারানোর কারণেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের লাশ অরণখোলা ফাঁড়িতে রাখা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। একদিকে ঘাটাইলের পশ্চিম পাকুটিয়া গ্রামে, অন্যদিকে বরিশালের চর ফ্যাশনের জনপদে নেমেছে গভীর শোক। তরুণ দুইজনের অকাল মৃত্যুতে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। পরিবার ও স্বজনরা বারবার অজ্ঞান হয়ে পড়ছেন, কেউ কেউ বিশ্বাসই করতে পারছেন না যে কিছুক্ষণ আগেও হাসিমুখে থাকা দুই তরুণ এমন করেই চলে গেলেন চিরতরে স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, টেলকি সাইনবোর্ড রসুলপুর মোড় এলাকায় দুর্ঘটনা নতুন নয়। বারবার এমন দুর্ঘটনা ঘটলেও এখনো পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তারা দ্রুত গতিনিরোধক ও সতর্কীকরণ সাইনবোর্ড স্থাপনের দাবি জানান। দুর্ঘটনার পর বেশ কিছুক্ষণ পর্যন্ত মহাসড়কে আতঙ্ক বিরাজ করে। যান চলাচলও কিছুক্ষণ ব্যাহত হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

কৌশিক সাজ্জিদ পিয়াল নভেম্বর ২৩, ২০২৫ 0
**মধুপুরে বাসচাপায় দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী নিহত, আহত ১
আইন-অপরাধ
মধুপুরে বাসচাপায় দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী নিহত, আহত ১

মধুপুরে বাসচাপায় দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী নিহত, আহত ১ সাজিদ পিয়াল: টাঙ্গাইলের মধুপুরে যাত্রীবাহী বাসের চাপায় দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী জাহিদ হাসান (১৬) নিহত হয়েছেন। শনিবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল–জামালপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের গোলাবাড়ী ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনায় আরেকজন গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা জানান, ঢাকা–ধনবাড়ীগামী বিনিময় পরিবহনের একটি বাস দ্রুতগতিতে এসে সামনে থাকা মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেল আরোহী ভাইঘাট উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র জাহিদ ঘটনাস্থলেই মারা যায়। তার সঙ্গে থাকা সঙ্গী গুরুতর আহত হয়ে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। নিহত জাহিদ গোলাবাড়ী ইউনিয়নের বাসুদেববাড়ী গ্রামের জাকের হোসেনের ছেলে। পরিবার জানান, অসুস্থ বাবাকে দেখতে এসে বাড়ি ফেরার পথে সে দুর্ঘটনার শিকার হয়। জাহিদের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই আশপাশের গ্রাম থেকে কয়েকশ মানুষ মহাসড়কে জড়িয়ে পড়ে। তারা টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে টাঙ্গাইল–জামালপুর মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে উত্তেজিত জনতা ধনবাড়ী থেকে ঢাকাগামী বিনিময় পরিবহনের আরেকটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা মিলে পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। খবর পেয়ে মধুপুর থানা পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মধুপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইমরানুল কবীর বলেন, “নিহত জাহিদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘাতক বাসটি দুর্ঘটনার পর পালিয়ে গেছে। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।” স্থানীয়দের অভিযোগ, মহাসড়কটিতে দ্রুতগতির যানবাহনের নিয়ন্ত্রণহীন চলাচল ও নজরদারির অভাবে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। একদিনের ব্যবধানে দ্বিতীয় মৃত্যুর ঘটনায় এলাকাবাসী অধিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন।

কৌশিক সাজ্জিদ পিয়াল নভেম্বর ১৫, ২০২৫ 0
জাতীয়
টাঙ্গাইল সহ উত্তরবঙ্গের মানুষ পেতে যাচ্ছে আইকনিক ও আধুনিক রেলস্টেশন।

টাঙ্গাইল সহ উত্তরবঙ্গের মানুষ পেতে যাচ্ছে আইকনিক ও আধুনিক রেলস্টেশন। পুরোনো সব স্টেশনকে আধুনিকায়নের কাজ শুরু হচ্ছে শীঘ্রই। বর্তমানে জয়দেবপুর থেকে ঈশ্বরদী বাইপাস পর্যন্ত ডাবল লাইন প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। এই প্রকল্প শেষ হলে ঢাকাসহ উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থায় ঘটবে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন। ডাবল লাইন চালু হলে— ট্রেন চলাচলে আর থাকবে না ক্রসিংয়ের জন্য দীর্ঘ অপেক্ষা। ঘন্টার পর ঘন্টা স্টেশনে বসে থাকতে হবে না। সময় কমে আসবে, বাড়বে ট্রেনের গতি ও নিরাপত্তা। এই প্রকল্পের আওতায় টাঙ্গাইল জেলার স্টেশনগুলোসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনকে নতুন রূপে সাজানো হবে — আধুনিক টিকিট কাউন্টার, ওয়েটিং লাউঞ্জ, উন্নত শৌচাগার, ডিজিটাল সাইনবোর্ড ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে প্রতিটি স্টেশনে। জয়দেবপুর থেকে ঈশ্বরদী বাইপাস ডাবল লাইন প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত প্রধান স্টেশনসমূহ: > জয়দেবপুর – মির্জাপুর - টাঙ্গাইল– ইব্রাহীমাবাদ– উল্লাপাড়া – নাটোর – ঈশ্বরদী বাইপাস।

মুক্তধ্বনি ডেক্স নভেম্বর ১৩, ২০২৫ 0
আইন-অপরাধ
টাংগাইল বাসাইলে তেলের দোকানে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান

সাজিদ পিয়াল: টাঙ্গাইলের বাসাইলে পেট্রোল, ডিজেল ও অকটেনের মতো দাহ্য পদার্থ বিক্রির জন্য প্রয়োজনীয় অনুমোদন না থাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত দুই দোকান মালিককে জরিমানা করেছেন। গত ১০ নভেম্বর, ২০২৫ তারিখে এই অভিযান চালানো হয় এবং দুই দোকান মালিককে মোট ৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। বাসাইল পৌর শহরে পরিচালিত এই অভিযানে অবৈধভাবে জ্বালানি তেল বিক্রির সত্যতা পাওয়ায় এই জরিমানা আদায় করা হয়। এই ধরনের দাহ্য পদার্থ যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা বা অনুমোদন ছাড়া বিক্রি করা ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় প্রশাসন এই পদক্ষেপ নিয়েছে। উল্লেখ্য, সরকার সম্প্রতি রাস্তার পাশে অবৈধভাবে জ্বালানি তেল বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে, কারণ এই তেল দুর্বৃত্তরা অগ্নিসংযোগ বা অন্যান্য কাজে ব্যবহার করতে পারে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মনে করছে।টাঙ্গাইলের বাসাইলে পেট্রোল, ডিজেল ও অকটেনের মতো দাহ্য পদার্থ সঠিকভাবে অনুমোদন না থাকার অপরাধে দুই দোকান মালিককে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সোমবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে বাসাইল বাসস্ট্যান্ডের পশ্চিম পাশে এ অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ নেয়ামত উল্ল্যা। জানা গেছে, দুপুুরে বাসাইল বাসস্ট্যান্ডের পশ্চিম পাশে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ নেয়ামত উল্ল্যা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এসময় দাহ্য পদার্থ অনুমতি ব্যতীত খোলা বাজারে বিক্রি করার অপরাধে দোকান মালিক এমদাদুল হক ও আফাজ মিয়াকে ৮ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, পেট্রোল, ডিজেল ও অকটেনের মতো দাহ্য পদার্থ যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ট্রেড লাইসেন্স, অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা, মজবুত ও ঝুঁকিমুক্ত সংরক্ষণাগার, ফায়ার সার্ভিস, পরিবেশ অধিদপ্তর, বিস্ফোরক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অনুমতি ব্যতীত খোলা বাজারে বিক্রি করায় দুজন দোকান মালিককে পেট্রোলিয়াম আইন ২০১৬ এর ৪ (ক) (খ) ধারা লঙ্ঘনে ২০ ধারায় ৮ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

কৌশিক সাজ্জিদ পিয়াল নভেম্বর ১২, ২০২৫ 0
আইন-অপরাধ
১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের

গুম ও হত্যা মামলার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে হাজির করা ১৫ সেনা কর্মকর্তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার সকালে (২২ অক্টোবর) বিচারপতি মোহাম্মদ গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল–১ এই আদেশ দেন। সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগের শাসনামলে সংঘটিত গুম, খুন ও নির্যাতনের অভিযোগে টিএফআই ও জেআইসি সেলে সংঘটিত দুইটি গুম মামলা এবং রাজধানীর রামপুরায় ২৮ জনকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা একটি হত্যা মামলায় এই শুনানি হয়। তিনটি মামলায় মোট ৩২ জন আসামি রয়েছেন, যাদের মধ্যে আজ আদালতে হাজির করা হয়েছে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে। বাকিরা পলাতক রয়েছেন। পলাতক আসামিদের আগামী ২০ অক্টোবরের মধ্যে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারা হাজির না হলে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী নিয়োগ দিয়ে বিচার কার্যক্রম শুরু করা হবে বলে ট্রাইবুনাল জানিয়েছে। হাজির হওয়া ১৫ সেনা কর্মকর্তার মধ্যে রয়েছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, মেজর জেনারেল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুব আলম, কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমনসহ আরও অনেকে। আজ ভোরে বাংলাদেশ প্রিজন সার্ভিসের নতুন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত প্রিজন ভ্যানে করে তাদের ট্রাইবুনালে আনা হয়। সকাল ৭টার কিছু পর তারা ট্রাইবুনাল চত্বরে প্রবেশ করেন। শুনানি শেষে আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন এবং কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তবে কোথায় তাদের রাখা হবে তা নির্ধারণ করবে কারা কর্তৃপক্ষ। ধারণা করা হচ্ছে, সেনানিবাসের অভ্যন্তরে অবস্থিত সাব-জেলে তাদের রাখা হতে পারে। রাজধানীতে ট্রাইবুনাল এলাকায় ছিল কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। হাইকোর্ট মাজারগেট, মৎস্যভবন, কাকরাইলসহ আশপাশের এলাকায় পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি ও সেনা সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে। সাংবাদিকদের প্রবেশও ছিল সীমিত।

মুক্তধ্বনি ডেক্স অক্টোবর ২২, ২০২৫ 0
আইন-অপরাধ
আওয়ামী লীগের আমলে ‘গুম-খুনের’ অভিযোগে ১৫ সেনা কর্মকর্তা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে হাজির

আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনামলে টিএফআই ও জেআইসি সেলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় মানবতা বিরোধী অপরাধের দুই মামলায় জড়িত ১৫ জন সেনা কর্মকর্তাকে আজ সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে হাজির করা হয়েছে। বিচারপতি মোহাম্মদ গোলাম মোর্তজা মজুমদারের নেতৃত্বে ট্রাইবুনাল-১ এর বিচারিক প্যানেলে এ মামলাগুলোর আনুষ্ঠানিক অভিযোগের শুনানি শুরু হয়েছে। দুই মামলায় মোট ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে — যার মধ্যে একটিতে ১৭ জন ও অন্যটিতে ১৩ জন। দুই মামলাতেই শেখ হাসিনার নাম রয়েছে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে। ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে সকালে প্রিজন ভ্যানে করে ট্রাইবুনালে আনা হয়। আসামিদের মধ্যে রয়েছেন — ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, মেজর জেনারেল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মাহবুব আলম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাসেম, কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, মেজর জেনারেল মুশেখ মোহাম্মদ সারোয়ার হোসেন, মেজর জেনারেল কোভিদ আহমেদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মাহবুর রহমান সিদ্দিকী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভীর মাজহার সিদ্দিকী, এবং লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাসুর হকসহ আরও কয়েকজন। আসামিদের প্রত্যেকেই জামিন আবেদন করেছেন, যার শুনানি বর্তমানে চলছে। আদালত সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগের শাসনামলে টিএফআই ও জেআইসি সেলে সংঘটিত গুম, খুন ও নির্যাতনের অভিযোগের ভিত্তিতেই এ দুই মামলা দায়ের করা হয়েছে। এদিকে, সকাল থেকে ট্রাইবুনাল এলাকা ও আশপাশের এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। হাইকোর্ট মাজারগেট, মৎস্যভবন, কাকরাইলসহ একাধিক পয়েন্টে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‍্যাব ও পুলিশের সদস্যদের মোতায়েন দেখা গেছে। সাংবাদিকদের প্রবেশ আজ ট্রাইবুনাল প্রাঙ্গণে সীমিত রাখা হয়েছে। তবে আদালতের ভেতরে শুনানি চলমান বলে জানা গেছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ট্রাইবুনালের পরবর্তী ব্রিফিং শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।

মুক্তধ্বনি ডেক্স অক্টোবর ২২, ২০২৫ 0
মুসলিম বিশ্ব
পাকিস্তান জানালো সীমান্ত সংঘর্ষে ২০ জন তালেবান যোদ্ধা নিহত, উত্তেজনা বেড়েছে আফগান সীমান্তে

আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তে ভয়াবহ সংঘর্ষে প্রায় ২০ জন তালেবান যোদ্ধা নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তান। দুই পক্ষের দেওয়া ভিন্ন ভিন্ন তথ্যের কারণে সঠিক হতাহতের সংখ্যা নিশ্চিত করা যায়নি, তবে সীমান্ত এলাকায় পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ বলে জানা গেছে। পাকিস্তানের গণমাধ্যম ডন জানায়, বুধবার ভোরে বেলুচিস্তান সীমান্তে তালেবান বাহিনী পাকিস্তানি অবস্থানের ওপর বড় ধরনের আক্রমণ চালায়। সংঘর্ষটি স্পিন বোলদাকের নিকটবর্তী সীমান্ত অঞ্চলে শুরু হয়। পাক নিরাপত্তা বাহিনী কয়েক ঘণ্টার তীব্র লড়াইয়ের পর হামলাটি প্রতিহত করতে সক্ষম হয়। ডন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, তালেবান যোদ্ধারা চারদিক থেকে একযোগে হামলা চালায় পাকিস্তানি সেনাদের প্রতিরক্ষা ভাঙার উদ্দেশ্যে। তবে নিরাপত্তা বাহিনীর পাল্টা জবাবে ১৫ থেকে ২০ জন তালেবান নিহত হয় এবং কয়েকজন আহত অবস্থায় আফগানিস্তান সীমান্তের ভেতরে পালিয়ে যায়। পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ জানায়, সীমান্ত এলাকায় অতিরিক্ত বাহিনী পাঠানো হয়েছে এবং বর্তমানে পরিস্থিতি “নিয়ন্ত্রণে থাকলেও উত্তেজনাপূর্ণ”। স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, সীমান্ত সংলগ্ন প্রধান সড়কগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে এবং মাঝে মাঝে গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। অন্যদিকে, তালেবান মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ দাবি করেন, পাকিস্তানি বাহিনীর গোলাবর্ষণের পর তালেবান যোদ্ধারা পাল্টা হামলায় “পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ নেয়”। তিনি বলেন, তালেবান বাহিনী পাকিস্তানি সেনাদের ওপর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঘটিয়েছে এবং কয়েকটি সামরিক স্থাপনা ধ্বংস করেছে। মুজাহিদ আরও অভিযোগ করেন, পাকিস্তানের গোলাবর্ষণে ১২ জন আফগান বেসামরিক নাগরিক নিহত ও প্রায় ১০০ জন আহত হয়েছেন। তবে তার এই দাবিগুলো স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি এবং ইসলামাবাদ এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। সাম্প্রতিক এই সংঘর্ষ দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সীমান্ত উত্তেজনার সর্বশেষ উদাহরণ। পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছে যে, আফগানিস্তানের মাটিকে ব্যবহার করে পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলা চালানো হচ্ছে। বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন, নতুন এই সংঘর্ষ দুই প্রতিবেশীর ইতোমধ্যেই নাজুক কূটনৈতিক সম্পর্ককে আরও জটিল করে তুলতে পারে। তারা বলেন, সীমান্তে সহিংসতা চলতে থাকলে বাণিজ্য, মানবিক সহায়তা এবং সীমান্ত পারাপারে নির্ভরশীল বেসামরিক জনগণের জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হতে পারে। আঞ্চলিক বিশেষজ্ঞরা ইসলামাবাদ ও কাবুল উভয় পক্ষকেই আহ্বান জানিয়েছেন, যেন তারা যোগাযোগ চ্যানেল পুনরায় চালু করে এবং যৌথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলে। নতুবা সীমান্ত অঞ্চলের এই অস্থিতিশীলতা পুরো দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতার জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।

মুক্তধ্বনি ডেক্স অক্টোবর ১৫, ২০২৫ 0
তথ্য-প্রযুক্তি
ফেসবুক পেজ হ্যাক থেকে আপনার পেজ কিভাবে রক্ষা করবেন?

ফেসবুক পেজ হ্যাক হওয়া বর্তমান সময়ে একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে, ব্যবসায়ী, নিউজ পোর্টাল, কিংবা জনপ্রিয় পেজ মালিকদের জন্য এটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। তবে কিছু কার্যকরী পদ্ধতি অনুসরণ করলে আপনি সহজেই আপনার ফেসবুক পেজকে সুরক্ষিত রাখতে পারেন। আসুন জেনে নেই, কিভাবে আপনার পেজ হ্যাকিং থেকে রক্ষা করবেন। ১. শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড শক্তিশালী এবং জটিল হওয়া উচিত। পাসওয়ার্ডের ক্ষেত্রে কিছু বিষয় মাথায় রাখুন: পাসওয়ার্ডে বড় হাতের ও ছোট হাতের অক্ষর, সংখ্যা এবং বিশেষ চিহ্ন ব্যবহার করুন। সহজে অনুমানযোগ্য পাসওয়ার্ড (যেমন: 123456, password, abcdefg) ব্যবহার করবেন না। নিয়মিতভাবে পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করুন। ২. টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন (2FA) চালু করুন টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন (2FA) চালু করলে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট অতিরিক্ত সুরক্ষা পায়। এটি চালু করতে: ফেসবুক সেটিংসে যান। "Security and Login" অপশন নির্বাচন করুন। "Two-Factor Authentication" অপশনে গিয়ে এটি সক্রিয় করুন। কোড জেনারেটর বা এসএমএস ভেরিফিকেশন ব্যবহার করুন। ৩. অপরিচিত বা সন্দেহজনক লিংকে ক্লিক করবেন না ফিশিং অ্যাটাকের মাধ্যমে অনেকেই ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে থাকে। অপরিচিত ইমেল বা মেসেজের লিংকে ক্লিক করবেন না। ফেসবুকের লগইন পেজ নিশ্চিত হয়ে ব্রাউজারে টাইপ করে প্রবেশ করুন। ৪. ট্রাস্টেড কন্ট্যাক্টস যুক্ত করুন ফেসবুকের "Trusted Contacts" ফিচার ব্যবহার করে নির্ভরযোগ্য বন্ধুদের যোগ করুন। আপনার অ্যাকাউন্টে সমস্যা হলে তারা আপনাকে সাহায্য করতে পারবে। ৫. পেজ রোল ও পারমিশন নিয়ন্ত্রণ করুন আপনার ফেসবুক পেজ পরিচালনার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র নির্ভরযোগ্য ব্যক্তিদের অ্যাডমিন বা এডিটর হিসেবে যুক্ত করুন। নিয়মিত পেজের অ্যাডমিন ও এডিটর লিস্ট চেক করুন। অপ্রয়োজনীয় বা সন্দেহজনক অ্যাডমিনকে সরিয়ে দিন। ৬. অজানা অ্যাপ এবং প্লাগইন থেকে সাবধান থাকুন ফেসবুকের সাথে সংযুক্ত থার্ড-পার্টি অ্যাপ এবং প্লাগইনগুলো চেক করুন। অনির্ভরযোগ্য বা সন্দেহজনক অ্যাপগুলো রিমুভ করুন। ৭. সন্দেহজনক লগইন চেক করুন ফেসবুক আপনাকে কোথা থেকে লগইন হয়েছে তা দেখার সুযোগ দেয়। "Where You're Logged In" অপশন থেকে অজানা ডিভাইস ও লোকেশন চেক করুন। যদি সন্দেহজনক কিছু পান, তাহলে "Log Out of All Sessions" অপশন ব্যবহার করুন। ৮. নিয়মিত ব্যাকআপ রাখুন আপনার গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট, ছবি ও তথ্যের ব্যাকআপ রাখুন। যদি কোনো কারণে অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়, তাহলে দ্রুত পুনরুদ্ধার করতে পারবেন। ৯. ফেসবুকের অফিসিয়াল সাপোর্ট ব্যবহার করুন যদি আপনার পেজ হ্যাক হয়ে যায় বা হ্যাক হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে ফেসবুকের অফিসিয়াল হেল্প সেন্টার থেকে সাহায্য নিন। উপসংহার আপনার ফেসবুক পেজ হ্যাক থেকে রক্ষা পেতে এই উপায়গুলো অনুসরণ করুন। নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঠিকঠাক রাখলে আপনার পেজ সুরক্ষিত থাকবে এবং হ্যাকিংয়ের ঝুঁকি কমে যাবে।

মুক্তধ্বনি ডেক্স ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৫ 0
ডিজিটাল নিরাপত্তায় এগিয়ে আসা এক তরুণ: মোঃ মিনহাজুল ইসলাম
তথ্য-প্রযুক্তি
ডিজিটাল নিরাপত্তায় এগিয়ে আসা এক তরুণ: মোঃ মিনহাজুল ইসলাম

বাংলাদেশে প্রযুক্তিনির্ভর নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন এক তরুণ প্রযুক্তিপ্রেমী—মোঃ মিনহাজুল ইসলাম। তিনি একজন উদ্যমী আইটি উদ্যোক্তা ও তথ্যপ্রযুক্তি সচেতনতাবিষয়ক কর্মী হিসেবে পরিচিত। বিশেষ করে সাইবার সিকিউরিটি ও অনলাইন নিরাপত্তা সংক্রান্ত সচেতনতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রেই তার অবদান উল্লেখযোগ্য। তরুণ বয়স থেকেই প্রযুক্তি বিষয়ে আগ্রহী মিনহাজুল ইসলাম অনলাইন মাধ্যমে নানা সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। ব্যক্তিগত উদ্যোগে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হয়রানি, হ্যাকিং ও ভুয়া অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের সহায়তা প্রদান করে থাকেন। তার নেতৃত্বে অনেকে নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন। পাশাপাশি, মিনহাজুল নিয়মিত অনলাইন সেমিনার, কর্মশালা ও ডিজিটাল সচেতনতামূলক প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেন, যাতে তরুণ প্রজন্ম নিরাপদ ডিজিটাল আচরণে উৎসাহিত হয়। তিনি মনে করেন, প্রযুক্তির ইতিবাচক ব্যবহার এবং সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে একটি নিরাপদ ও কার্যকর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব। এ লক্ষ্যে ভবিষ্যতে তিনি তরুণদের প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ প্রদান, নিরাপত্তা কৌশল শেখানো এবং নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনে কাজ করতে আগ্রহী।  

মুক্তধ্বনি ডেক্স আগস্ট ৪, ২০২৫ 0
সর্বাধিক পঠিত
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির ঢাকা বিভাগীয় ব্যুরো চীফ হলেন সাংবাদিক মোঃ মনিরুজ্জামান।

দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”

শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে?

মাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দ‍র্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৩৩৪তম পর্বে নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে নিয়ামত কমে যাবে কি না, সে বিষয়ে ঢাকা থেকে চিঠির মাধ্যমে জানতে চেয়েছেন একজন দর্শক। অনুলিখন করেছেন জান্নাত আরা পাপিয়া। প্রশ্ন : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে? উত্তর : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা কুফরি। এটা বড় কুফরি না, ছোট কুফরি। যদি আল্লাহর বান্দারা আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করে থাকেন, তাহলে তাঁরা কুফরি কাজ করে থাকলেন। এ জন্য আল্লাহ কোরআনে স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘তোমরা আমার শুকরিয়া আদায় করো, আমার সঙ্গে কুফরি করো না।’ আল্লাহ যে নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন, আল্লাহর নিয়ামত লাভ করে সুন্দর জীবনযাপন করা, এটা যদি কেউ আল্লাহর কাছে সত্যিকার অর্থে তুলে ধরতে না পারে, তাহলে সে ব্যক্তি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া করলেন না, কুফরি করলেন। এই জন্য আল্লাহ সুরা দোহার শেষ আয়াতে বলেছেন, ‘তুমি তোমার রবের নিয়ামত প্রকাশ করো। কারণ, তোমার কাছে যখন নিয়ামত আসছে, তখন আল্লাহ পছন্দ করেন যে তুমি আল্লাহর এই নিয়ামতের বিষয়টি তুলে ধরবে।’ আল্লাহর কাছে বলবে, আল্লাহ আমাকে এই নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন। আল্লাহ নিয়ামতকে বান্দার কাছে তুলে ধরার জন্য বলেছেন, বহিঃপ্রকাশ করার জন্য বলেছেন। বহিঃপ্রকাশ দুই ধরনের হতে পারে। একটি হলো নিয়ামতের ব্যবহারের মাধ্যমে বহিঃপ্রকাশ করা। দ্বিতীয়ত, নিয়ামতের বিষয়টি হলো মানুষের কাছে নিয়ামত তুলে ধরবে। যাতে করে আল্লাহর প্রশংসা প্রকাশ পায়। নিয়ামতের শুকরিয়া যদি কেউ আদায় না করেন, তাহলে কুফরি হবে। আল্লাহ বলেছেন, যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করে থাক, তাহলে আমি আরো বৃদ্ধি করে দেব। বান্দারা যখন নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করবে, তখন আল্লাহ আরো নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করে দেন। আর যদি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা হয়, তাহলে আল্লাহ নিয়ামত কমিয়ে দেবেন এবং সেইসঙ্গে আরেকটি কঠিন বাণী আল্লাহ বলেছেন, ‘জেনে রাখো আল্লাহর কঠিন আজাবও তোমাদের জন্য অবধারিত থাকবে।’ নিয়ামতের শুকরিয়া শুধু মুখে আদায় করা যথেষ্ট নয়। কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর শুকরিয়া আমলের মাধ্যমে আদায় করো।’ সুতরাং বান্দারা শুকরিয়া আদায় করবে। শুকরিয়ার অনেকগুলো দিক রয়েছে, তার মধ্যে আমলের মাধ্যমে শুকরিয়া আদায় করা হলো শুকরিয়ার সর্বোচ্চ স্তর।

নবী মুহাম্মদ (সাঃ) - নিষ্পাপ চরিত্রের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ

তিনি ছিলেন মানবজাতির আদর্শ। তিনি অত্যন্ত উদার ও বিনয়ী ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক এবং একজন সাহসী যোদ্ধা। এছাড়াও তিনি একজন দক্ষ প্রশাসক, একজন দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক এবং একজন সফল প্রচারক ছিলেন। তিনিই উত্তম চরিত্র ও উদারতার একমাত্র উৎস। তিনি সকলের আদর্শহীন এবং প্রিয় ব্যক্তিত্ব। যার প্রেমে, দুনিয়া মাতাল। তিনি আমার আদর্শ, তিনি আমার নেতা। তিনি আমার নবী, আমাদের নবী এবং সকলের নবী। তিনি হলেন হযরত মুহাম্মদ (সা.) তিনি সর্বোত্তম আদর্শ। সমস্ত মানবজাতির জন্য করুণা। অন্ধকারে নিমজ্জিত বিশ্বের মানুষের জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে। তার অসাধারণ চরিত্র, মাধুর্য এবং অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব সবাইকে অবাক করেছে। মুমিনের চঞ্চল হৃদয় তাকে এক নজর দেখার জন্য আকুল হয়ে থাকে। কবি কাজী নজরুল বলেছেন: “বিচ্ছেদের রাত ছিল একাকার কান্নার ভোর; আমার মনে শান্তি নেই, আমি কাঁদছি। হে মদিনাবাসীর প্রেমিক, আমার হাত ধর।" তার নিষ্কলুষ চরিত্রের স্বীকৃতি দিয়ে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, "তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।" (সূরা আল-আহজাব, আয়াত 21)। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে আজ কিছু লোক সেই নবীর সম্মানকে অবমাননা করছে। হৃদয় ভেঙ্গে যায়। আমাদের ক্ষমা করুন, হে নবী! তিনি তার অবিস্মরণীয় ক্ষমা, উদারতা, সততা, নম্রতা প্রভৃতির বিরল মুগ্ধতা দিয়ে বর্বর আরব জাতির আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এজন্য তারা তাকে ‘আল-আমিন’ উপাধিতে ভূষিত করেন। তারা সর্বসম্মতিক্রমে স্বীকার করেছিল যে তিনি নম্র এবং গুণী ছিলেন। টাকা দিয়ে নয়, ভালো ব্যবহার দিয়ে তিনি বিশ্ববাসীকে জয় করেছেন। আল্লাহ তাঁর গুণাবলী সম্পর্কে কুরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই তুমি মহৎ চরিত্রের অধিকারী।’ (সূরা আল কালাম, আয়াত ৪)। তিনি কখনো মানুষকে তুচ্ছ করেননি। আত্মসম্মানবোধে তিনি কাউকে তুচ্ছ মনে করেননি। তিনি বিশ্বের হৃদয়ে উচ্চতর চরিত্রের একটি অনুপম মানদণ্ড স্থাপন করেছেন। নম্রতা তার চরিত্রে সর্বদা উপস্থিত ছিল। পৃথিবীর মানবতার কল্যাণে তাকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল শ্রেষ্ঠ আদর্শের বাস্তবায়নকারী ও প্রশিক্ষক হিসেবে। এ প্রসঙ্গে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমাকে আমার উত্তম চরিত্র পূর্ণ করার জন্য প্রেরিত করা হয়েছে।’ (মুসনাদে আহমদ, মিশকাত) ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন বিনয়ী এবং আচার-আচরণে অত্যন্ত বিনয়ী। দুর্বল ব্যক্তিকে কড়া কথায় আঘাত করবেন না। তিনি কোন মানুষকে তার সাধ্যের বাইরে অসাধ্য সাধন করতে বাধ্য করেননি। গরিব-অসহায় মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করতেন। তিনি লোকদেরকে তাদের আচরণে অপ্রয়োজনীয় রাগ ও রাগ থেকে সর্বদা বিরত থাকার উপদেশ দিতেন এবং মানুষকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন, “যে বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাকে উঁচু করে দেন এবং যে অহংকারী হয়, আল্লাহ তাকে লাঞ্ছিত করেন।” (মিশকাত) কাফেররাও তার কাছ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে সদয় ও নম্র আচরণ পেয়েছিল। তার অনুসারীরা তাকে উচ্চ সম্মানের সাথে ধরেছিল কারণ তিনি খুব নমনীয় এবং নম্র ছিলেন। হজরত আয়েশা (রা.) তার ভদ্র আচার-আচরণ সম্পর্কে বলেন, ‘নবী (সা.) রূঢ় বক্তা ছিলেন না, প্রয়োজনের সময়ও তিনি কঠোর ভাষা ব্যবহার করতেন না। প্রতিহিংসা তার সাথে ছিল না মোটেও। মন্দের বিনিময়ে ভালোই করেছেন। সব ক্ষেত্রেই তিনি ক্ষমা পছন্দ করতেন। তিনি লোকদেরকে উপদেশ দিয়েছিলেন, “আল্লাহর ইবাদত কর, করুণাময় প্রভু, ক্ষুধার্তকে খাবার দাও, সালাম দাও এবং এসব কাজের মাধ্যমে জান্নাতে প্রবেশ কর। তিনি উত্তর দিলেন, "ক্ষুধার্তকে খাওয়ানো এবং অপরিচিত সকলকে সালাম করা।" (বুখারী ও মুসলিম)। মহানবী (সা.)-এর মর্যাদাকে সম্মান করা মুসলমানদের ধর্মীয় কর্তব্য এবং প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানের মৌলিক অংশ।

মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি?

নামাজ, রোজা, জাকাত, হজ, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৯২৯তম পর্বে ই-মেইলের মাধ্যমে কানিজ নাহার দিপা জানতে চেয়েছেন, মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? অনুলিখন করেছেন মোহাম্মদ সাইফ আহমেদ। প্রশ্ন : মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? উত্তর : না দোয়ার জন্য আলাদা কোনো মাহফিল নেই। এটা আসবে কেন? আমরা একটা জায়গা থেকে বাঁচার জন্য আরেকটি কাজ করছি। কিন্তু সেই কাজটি ভুল করে আরও বড় ভুলের সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। আমাদের সমাজে একটি প্রথা একেবারে ছেয়ে গেছে। যেমন—একজন মারা গেলে তার জন্য মিলাদ-মাহফিল করা কিংবা কূলখানি করা। কিন্তু এগুলো সবই বেদআতি কাজ। এগুলো সঠিক কাজ নয়। অনেকে মনে করছে, দোয়া-মাহফিল করা যেতে পারে। কিন্তু সেটা একদমই নয়। এসব ইসলামে অনুমোদন দেয়নি। এইগুলো পুরোটাই বেদআত। মানুষ চাইলে যে কোনো সময় কিংবা যে কোনো জায়গা থেকে দোয়া করতে পারবেন। দোয়ার সঙ্গে মাহফিল কিংবা আলাদা কোনো ধরনের অনুষ্ঠান ঘোষণা করা জায়েজ নেই। আশা করি, আপনি বুঝতে পেরেছেন।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রতিযোগিতা: চ্যাটজিপিটি বনাম ডিপসিক?

র্তমান প্রযুক্তি বিশ্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) নিয়ে নতুন প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ওপেনএআই-এর চ্যাটজিপিটি ও চীনের ডিপসিকের মধ্যে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুধু প্রযুক্তিগত দক্ষতার নয়, বরং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। চ্যাটজিপিটি দীর্ঘদিন ধরে ব্লগ লেখা, গবেষণা, প্রোগ্রামিংসহ নানান কাজে অপরিহার্য টুল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি চীনের তৈরি ডিপসিক এআই জগতে নতুন আলোড়ন তুলেছে। তারা দাবি করছে, তুলনামূলক কম চিপ ব্যবহার করেই অত্যাধুনিক এআই সেবা দেওয়া সম্ভব, যেখানে ওপেনএআই-এর বিশাল মডেলগুলোর জন্য ১৬,০০০ বা তারও বেশি চিপ প্রয়োজন হয়, সেখানে মাত্র ২০০০ চিপ দিয়ে ডিপসিক কার্যকরভাবে কাজ করতে সক্ষম। দুই প্ল্যাটফর্মের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রয়েছে। ✅ চ্যাটজিপিটি: বিস্তৃত বিশ্লেষণ ও গভীর গবেষণা উপস্থাপন করতে পারে, যা একাডেমিক ও জটিল সমস্যার সমাধানে সহায়ক। ✅ ডিপসিক: দ্রুত এবং সংক্ষিপ্ত উত্তর দিতে পারে, যা তাৎক্ষণিক ফলাফল প্রত্যাশী ব্যবহারকারীদের জন্য উপযোগী। লেখালেখির ক্ষেত্রে চ্যাটজিপিটি কেবল ধারণা ও প্লটের কাঠামো গড়ে তোলে, যেখানে ডিপসিক প্রায় পুরো গল্প তৈরি করে দিতে পারে। একইভাবে, কোডিংয়ের ক্ষেত্রেও ডিপসিক কিছু ক্ষেত্রে দ্রুত সমাধান দিতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। ডিপসিকের বিরুদ্ধে ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা সংরক্ষণ ও তথ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অস্ট্রেলিয়াসহ কয়েকটি দেশের সরকার ইতোমধ্যেই ডিপসিকের ডেটা নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ওপেনএআই নিজেও অতীতে অনুমতি ছাড়া মানুষের লেখা ডেটা প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহারের অভিযোগের মুখে পড়েছিল, যা এখন ডিপসিকের বিরুদ্ধে উঠছে। ডিপসিকের সাফল্যের ফলে এআই চিপের বাজারেও বড় প্রভাব পড়েছে। এনভিডিয়া, যারা উন্নত চিপ তৈরিতে বিশ্বব্যাপী অগ্রগণ্য, তাদের শেয়ারের মূল্য একদিনে প্রায় ১৭% কমে গেছে। কারণ, কম শক্তিশালী হার্ডওয়্যারেও কার্যকর এআই সম্ভব হলে উচ্চমূল্যের উন্নত চিপের বাজার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে প্রযুক্তিগত প্রতিযোগিতা নতুন কিছু নয়, তবে ডিপসিকের উদ্ভাবন নতুন মাত্রা যোগ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই চীনে উন্নত চিপ রপ্তানির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, কম খরচে ভালো এআই তৈরি হলে মার্কিন প্রযুক্তি খাতেরও লাভ হতে পারে। এই প্রতিযোগিতা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভবিষ্যৎকে আরও উন্নত ও বহুমাত্রিক করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যেখানে দ্রুত এবং সাশ্রয়ী সমাধান দরকার, সেখানে হয়তো ডিপসিক এগিয়ে থাকবে, আর যেখানে গবেষণা ও জটিল বিশ্লেষণের প্রয়োজন, সেখানে চ্যাটজিপিটির মতো বৃহৎ মডেলগুলো প্রাধান্য পাবে। শেষ পর্যন্ত, এই প্রতিযোগিতাই হয়তো এআই প্রযুক্তিকে আরও দক্ষ, নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী করবে।

শীর্ষ সপ্তাহ

টাঙ্গাইলের কাকুয়া ইউনিয়নে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল
সারা দেশ

টাঙ্গাইলের কাকুয়া ইউনিয়নে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল

ডিসেম্বর ৯, ২০২৫ 0

ভোট জরিপ

আমাদের নতুন ওয়েবসাইট আপনাদের কাছে কেমন লাগছে