মাজার শরীফে অনুষ্ঠানে যাওয়া কেন হারাম জানেন? আমার নিজের একটি অভিজ্ঞতা আপনাদেকে জানাচ্ছি দয়াকরে বিষয়টি পড়ুন তাহলে বঝতে পারবেন। আমি আমার নিজের ভাষায় বলছি।
একদিন আমি কোনো এক কাজে বাজারে যাচ্ছিলাম, এক লোক গাড়িতে আমার সাথে উঠিলো হঠাৎমাইকিং হচ্ছে, মোসদ্দি বটতলা মাজারে চার দিনব্যাপী ঐরশ হইবে ।
উক্ত ঐরশে প্রথম দিন গান গাইবেন দুই পাগল বাউল দ্বিতীয় দিন গান করবেন জামালপুর থেকে আগত বাউল শিল্পী ,তৃতীয় চতুর্থ দিন গান গাইবেন।ঢাকা থেকে আগত বিভিন্ন শিল্পীরা ।
এই মাইকিং শুনিয়া ভ্যানওয়ালা বলিল, এটা কেমন ঐরশ যেখানে গান বাদ্য হয়, আবার শুনলাম গাঞ্জার আসর নাকি বসে। তখন যে লোকটা আমার সাথে ভ্যানে ছিল সে বলল খারাপের কি আছে সবই তো ভালো মাজারে যাব গান শুনবো ।
তখন ভ্যানওয়ালা বলিল আপনিও কি গাজা খান নাকি? লোকটা বলিল খাইতো ,ঐরশে গিয়ে একদিন খাইছিলাম তাতে কি হবে। ভ্যানওআলা বলিল আরে ভাই এগুলো ভালো না গুনাহের কাজ, যাওয়া যাবে না ।
লোকটা বলিল আরে কি বলো মধুপুর থেকে ৩০ জন হিজরা আসিবে আর ধনবাড়িতে আছেই সেখান থেকে ১০-১৫ জন হিজড়া যাবে গাঞ্জা খাব হিজড়াদের সাথে নাচবো এগুলো তো খারাপ কিছু না। আমরা যারা পাগলা ভক্ত, এগুলো আমাদের জন্য স্বাভাবিক পাপের কিছু নাই।
ভ্যানওয়ালা বলিল আরে ভাই কি বলেন এগুলো সবই তো গুনাহ, মোমবাতি জ্বালানো, সেজদা করা ,এগুলো কি গুনা না ,সন্তান চাবে ,এটাও তো গুনাহ ।
লোকটা বলিল আরে আমরা তো মাজারে গিয়ে আল্লাহর কাছেই চাই আর বাতি জ্বালানো মোমবাতি জ্বালানো এগুলো জায়েজ তুমি মনে হয় মোল্লাদের কাছে ফতুয়া শুনো এগুলো হারাম বলতেছো ,
আমি যাব আমার সাথে তুমিও যাইও। তখন ভ্যানওয়ালা বলিলো তুমি যাও আমি গিয়ে ঈমান নষ্ট করতে চাই না।
উপরের কথাকপথন পড়ে অবশ্যই আপনারা বুঝতে পেরেছেন মাঝারে তারা কেনো যায় , কি করে, তারা যা করে সবই হারাম। তারপও এটাকে হালাল মনে করে করে। যার জন্য তাদের ইমানো থাকেনা।
তাই আশা করছি সবাই এই এসব মাঝারি থেকে দূরে থাকবেন। আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন। আমিন।