Search : শেখ হাসিনা

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী: “সবাইকে নিয়ে নির্বাচন হলে কৃষক শ্রমিক জনতালীগ অংশ নেবে”
রাজনীতি
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী: “সবাইকে নিয়ে নির্বাচন হলে কৃষক শ্রমিক জনতালীগ অংশ নেবে”

কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীরোত্তম বলেছেন, “দেশের সকল রাজনৈতিক দলকে নিয়ে নির্বাচন হলে কৃষক শ্রমিক জনতালীগ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। কিন্তু যদি দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষকে বাদ দিয়ে শুধু বিএনপি, এনসিপি, জামায়াত নির্বাচন করে, তাহলে ২০ শতাংশ মানুষও ভোট দিতে যাবে না। সে ভোটে আমরাও অংশ নেবো না।” বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে টাঙ্গাইল শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে কাদেরিয়া বাহিনীর উদ্যোগে আয়োজিত টাঙ্গাইল হানাদার মুক্ত দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। “শেখ হাসিনার অন্যায় আওয়ামী লীগের অন্যায় নয়” — কাদের সিদ্দিকী বঙ্গবীর বলেন, “প্রধান উপদেষ্টাকে আমি চিনতে পারিনি। আমার আগে আপনাকে চিনেছে শেখ হাসিনা, চিনেছে দেশের মানুষ। শেখ হাসিনার অন্যায় বঙ্গবন্ধুর অন্যায় নয়, আওয়ামী লীগের অন্যায়ও নয়। মুক্তিযুদ্ধের অন্যায়ও নয়।” তিনি আরও বলেন, “এই আওয়ামী লীগকে জন্ম দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শামসুল হক। শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ জন্ম দেননি। তাকে রাজনৈতিকভাবে সমর্থন করি না, কারণ তিনি মনে করেন দেশটা তার বাবার—আর আমি মনে করি বঙ্গবন্ধু দেশের সেবক, আমিও দেশের সেবক, আমরা সবাই আল্লাহর গোলাম।” “আওয়ামী লীগের বিচার কেউ করতে পারবে না” কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন, “শেখ হাসিনার বিচার করতে চাইলে করুন, কিন্তু আওয়ামী লীগের বিচার করতে পারবেন না। আইয়ুব খান পারেনি, ইয়াহিয়া খান পারেনি—আপনারাও পারবেন না। আওয়ামী লীগের যারা দোষ করেছে তাদের বিচার হোক, কিন্তু সবাই তো দোষ করেনি।” বঙ্গবন্ধু ও জিয়ার প্রসঙ্গ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি তুলে ধরে তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যুদ্ধ করেছি, জিয়াউর রহমানও ছিলেন। দু’জনকেই বীরোত্তম খেতাব দিয়েছিল বঙ্গবন্ধু সরকার। এখানে ভিন্নতা নেই; ভিন্নতা সৃষ্টি করেই আমরা স্বাধীনতা–বিরোধী জামায়াতকে শক্তিশালী করেছি।” জামায়াত প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “স্বাধীনতা যুদ্ধে জামায়াত যে ধর্ষণ, হত্যা, নির্যাতন করেছে—বাংলাদেশের মা–বোনের সম্মান ধ্বংস করেছে—তারা ক্ষমা না চাইলে দেশে কথা বলার সুযোগ পেত না। বঙ্গবন্ধুর মানবিকতার কারণেই তারা বেঁচে যেতে পেরেছে।” টাঙ্গাইল হানাদার মুক্ত দিবস: ইতিহাস, স্মৃতি ও মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা ১৯৭১ সালের ১১ ডিসেম্বর টাঙ্গাইল পাক হানাদার মুক্ত হয়—এই ঐতিহাসিক দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে প্রতিবছরের মতো এবারও কাদেরিয়া বাহিনী আলোচনা সভা আয়োজন করে। এতে মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধের স্মৃতি, তখনকার পরিস্থিতি এবং স্বাধীনতার মূল্যায়ন তুলে ধরেন। সভায় মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বঙ্গবীর বলেন, “বাংলাদেশ আজ যেকোনো সংকটেও টিকে আছে মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগের কারণেই। দেশের সংকট মোকাবিলায় নতুন প্রজন্মকেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করতে হবে।” সভায় বক্তারা কাদের সিদ্দিকী বীরোত্তমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন— সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, টাঙ্গাইল জেলা মুজিব বাহিনীর প্রধান আলমগীর খান মেনু, কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান খোকা বীরপ্রতিক, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার ফজলুল হক বীরপ্রতিক, আবুল কালাম আজাদ বীরবিক্রম, কাদেরিয়া বাহিনীর কোম্পানি কমান্ডার কাজী হুমায়ুন বাঙ্গাল, দেলদুয়ার উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান, দেলদুয়ার ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তহের বাবলু প্রমুখ। সভা শেষে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে বিশেষ দোয়া ও এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

নাদিম তালুকদার ডিসেম্বর ১২, ২০২৫ 0
জাতীয়
টাঙ্গাইলে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল

সাজিদ পিয়াল: টাঙ্গাইলে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল । বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় টাঙ্গাইলে এক বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বাদ জুম্মা টাঙ্গাইল কবরস্থান সংলগ্ন জামিয়া ইসলামিয়া দারুস-সুন্নাহ মাদ্রাসা মসজিদে এ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এতে স্থানীয় মুসল্লী, বিএনপি নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ অংশ নেন। দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। মিলাদ ও দোয়ার পর তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন,আমাদের প্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। আল্লাহ যেন তাঁকে রোগমুক্ত করেন এবং সুস্বাস্থ্যে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দেন—এই দোয়া করি।” খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক ভূমিকার প্রসঙ্গ টেনে টুকু আরও বলেন,“দেশের মানুষের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। অথচ গত সরকারের আমলে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা তাকে অন্যায়ভাবে কারাবন্দী রেখে নির্যাতন করেছে। ছয় বছর তিনি জেলে ছিলেন—এটি দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক কালো অধ্যায়।”তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তার দ্রুত আরোগ্য কামনায় দলমত নির্বিশেষে দেশবাসীর প্রতি দোয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।” দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন— জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক শানু, সদর থানা বিএনপির সভাপতি আজগর আলী, সাবেক কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা সৈয়দ শহিদুল আলম টিটু, বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ের বিএনপি ও অঙ্গ–সংগঠনের নেতাকর্মী, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও সাধারণ মুসল্লীরা। মাহফিল শেষে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।শুক্রবার বাদ জুম্মা নগরীর টাঙ্গাইল কবরস্থান জামিয়া ইসলামিয়া দারুস-সুন্নাহ মাদ্রাসা মসজিদে বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। তিনি বলেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যেন আমাদের প্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে দ্রুত সুস্থ করে দেন এ কামনা করি। টুকু আরও বলেন, বিগত আমলে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা অন্যায়ভাবে তাকে ৬ বছর জেলে রেখে নির্যাতন করেছে, যিনি দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রাম করে এই দেশের মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। আজ সেই নেত্রী অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তার সুস্থতার জন্য সকলের কাছে দোয়া চাই।

কৌশিক সাজ্জিদ পিয়াল নভেম্বর ২৮, ২০২৫ 0
জাতীয়
ঢাকার করাইল বস্তিতে ভয়াবহ আগুন: অগ্নিকাণ্ডে শতাধিক ঘর পুড়ে ছাই, বহু হতাহত

ঢাকার করাইল বস্তিতে ভয়াবহ আগুন: অগ্নিকাণ্ডে শতাধিক ঘর পুড়ে ছাই, বহু হতাহত (২৫ নভেম্বর ২০২৫) সকালে রাজধানীর করাইল বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় বস্তির শতাধিক ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে এবং বহু মানুষ দগ্ধ হয়েছেন। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আগুনের তীব্রতা এতই বেশি যে অনেক মানুষ নিজের ঘর ও মূল্যবান জিনিসপত্র উদ্ধার করতে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। জরুরি প্রয়োজনে অথবা নিখোঁজ ব্যক্তির খোঁজ জানতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের হটলাইন নম্বর ব্যবহার করতে পারেন।স্থানীয় থানা বা ওয়ার্ড কমিশনারের অফিসের সাথে যোগাযোগ করে ত্রাণ কার্যক্রম বা নিখোঁজ ব্যক্তিদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন।দগ্ধ বা আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য নিকটস্থ হাসপাতাল যেমন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট (Sheikh Hasina National Burn and Plastic Surgery Institute) বা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খোঁজ নিতে পারেন। যেভাবে সাহায্য করতে ।স্থানীয় প্রশাসন বা রেড ক্রিসেন্টের মতো স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাথে যোগাযোগ করে ত্রাণ বিতরণে বা তথ্য সংগ্রহে সাহায্য করতে পারেন। দান: স্থানীয় দাতব্য সংস্থাগুলো সাধারণত এমন জরুরি পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য খাদ্য, বস্ত্র ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী সংগ্রহ করে। নির্ভরযোগ্য সংস্থার মাধ্যমে দান করতে পারেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট বা গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ হতে পারে আগুনের কারণ। দুর্ঘটনায় হতাহতের সঠিক সংখ্যা এখনও নিশ্চিত করা যায়নি।স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত ত্রাণ বিতরণ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ব্যাপক প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য জরুরি ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

কৌশিক সাজ্জিদ পিয়াল নভেম্বর ২৬, ২০২৫ 0
আইন-অপরাধ
প্রসিকিউটর তাজুল শিবির-কর্মী ও খুন মামলার আসামি ছিলেন: ফজলুর রহমান

ঢাকার এক আলোচনায় মুক্তিযোদ্ধা ও সিনিয়র আইনজীবী ফজলুর রহমান পরিষ্কার ভাষায় বললেন, শেখ হাসিনার বিচার নিয়ে তার কোনও ব্যক্তিগত আপত্তি নেই, কিন্তু যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের মতো কাঠামোতে এ বিচার হওয়া তিনি গ্রহণ করতে পারছেন না। তিনি বলেন, হাসিনার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আছে—গণতন্ত্রহীনতা, গুম, হত্যা, মিথ্যা মামলা—এসবের জন্য কঠোর শাস্তি প্রাপ্য। “তার ফাঁসি হোক, আমার আপত্তি নেই,”—এ কথা বললেও তিনি জোর দিয়ে বলেন—“কিন্তু এই ট্রাইব্যুনালে বিচার টিকবে না।” তার মতে, ১৯৭৩ সালের যে আইনে রাজাকার, আলবদর, আলশামসদের বিচার হয়েছে, সেই একই ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিচার হওয়া আইনি দৃষ্টিতে ভুল। এটি যুদ্ধাপরাধের কোর্ট, রাজনৈতিক অপরাধের নয়। ফজলুর রহমান অভিযোগ করেন, বর্তমান ট্রাইবুনালের প্রসিকিউশন টিম নিরপেক্ষ নয়। তিনি উল্লেখ করেন, প্রধান প্রসিকিউটর অতীতে শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং খুনের মামলারও আসামি ছিলেন। “বরের পিশি, কনের মাসি হয়ে বিচার হয় না”—বলে তিনি প্রসিকিউটরদের নিরপেক্ষতার প্রশ্ন তোলেন। তিনি আরও আশঙ্কা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতে কোনও গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় এলে উচ্চ আদালত এ ট্রাইবুনালের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে। তখন দেওয়া রায়ও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। “যদি কোর্টই ঠিকভাবে গঠিত না হয়—তাহলে তার দেওয়া ফাঁসির রায়ের মূল্য কী?”—তিনি বলেন। নিজ দলের অবস্থান থেকেও ভিন্ন মত প্রকাশ করে তিনি জানান, দল তাকে অভিনন্দন জানালেও তিনি কেবল একজন মুক্তিযোদ্ধা ও আইনজীবী হিসেবে নিজের বিবেক অনুযায়ী কথা বলছেন। শেষে তিনি আবারও স্পষ্ট করেন—“ভারত থেকে ধরে এনে হাসিনাকে ফাঁসি দিলেও আমার আপত্তি নেই। কিন্তু ভুল কোর্টে বিচার হলে সেটা আমি মানতে পারি না।”

মুক্তধ্বনি ডেক্স নভেম্বর ১৮, ২০২৫ 0
জাতীয়
শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে পীর গঞ্জ আনন্দ মিছিল

চব্বিশের গনঅভ্যুত্থান ও জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার দায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ফ্যাসিস শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আদালতের এ রায়ের খবরে ঠাকুর গাঁও পীর গঞ্জ উপজেলা  বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা আনন্দ মিছিল । সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে পূর্ব চৌরাস্তা থেকে  পশ্চিম চৌরাস্তা  নেতাকর্মীরা একটি আনন্দ মিছিল বের করেন।  শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। মিছিলে অংশ গ্রহণকারীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন এবং রায়ের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেন। এসময় উপস্থিত নেতাকর্মীরা জানান, দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের পথে এটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আনন্দ প্রকাশ করেছি, ভবিষ্যতেও শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাব। এখন শুধু বাংলার মাটিতে শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় কার্যকর দেখতে চায়।  এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি আব্দুর রশিদ  ,স্বেচ্ছাসেবক দল , সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাসানুল আল, বান্না উপজেলা  জাতীয়তাবাদী যুবদলের সিনিয়র সভাপতি নুর আলম সিদ্দিক  কনক, উপজেলা  জাতীয়তাবাদী যুবদল  যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোঃ সেলিম রেজা , উপজেলা জিয়া সাইবার ফোর্স, আহবায়ক,  বাংলাদেশ জাতীয় সাংবাদিক ফোরাম ঠাকুর গাঁও জেলা, ও পীর গঞ্জ, সভাপতি  ও  উপজেলা প্রেস ক্লাব, সহ সভাপতি, মোঃ মাহফুজুর রহমান  , সাবেক পীরগঞ্জ  সরকারি কলেজ ছাত্রদল  সভাপতি  ও উপজেলা  জিয়া সাইবার ফোর্স সদস্য সচিব মোঃ শরীফ, সাবেক উপজেলা  ছাত্রদল আহবায়ক মোঃ  মেজবাউল পারভেজ সূর্য, সহ আরও অনেকে ও প্রমুখ 

মুক্তধ্বনি ডেক্স নভেম্বর ১৮, ২০২৫ 0
জাতীয়
টাঙ্গাইলে মওলানা ভাসানীর ওফাতবার্ষিকী পালিত

টাঙ্গাইলে মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৯তম ওফাতবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে সোমবার (১৭ নভেম্বর) সকালে তাঁর মাজারে পরিবার, বিশ^বিদ্যালয়, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও ভক্ত অনুরাগীরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। মওলানা ভাসানীর মাজারে সকাল সাড়ে ৭টায় মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) প্রফেসর ড. আনোয়ারুল আজীম আখন্দ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার, প্রোভোস্ট, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, অফিস প্রধান, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থদের নিয়ে পুস্পস্তবক অর্পণ করে দিবসের কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। পরে ভাসানীর পরিবারের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন ও মোনাজাত করা হয়। এ সময় ‘যুগ যুগ জিও তুমি, মওলানা ভাসানী’ স্লোগানে মাজার প্রাঙ্গন প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। এদিন পুস্পার্ঘ অর্পন শেষে ভাসানীর মাজার প্রাঙ্গনে বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। বিশেষ অতিথি ছিলেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীনের সভাপতিত্বে সভা সঞ্চালনা করেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল। এ সময় কেন্দ্রীয় ও জেলা বিএনপির নেতারা বক্তব্য রাখেন।গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, গণঅধিকার পরিষদের নেতা ভিপি নুরুল হক নুর ভাসানীর মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন। জামায়াতে ইসলামী টাঙ্গাইল জেলা শাখার আমীর আহসান হাবিব মাসুদের নেতৃত্বে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এছাড়া স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাস্কৃতিক সংগঠন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং ভক্ত অনুরাগীরা ভাসানীর মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন। এছাড়া জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পক্ষ থেকে সন্তোষে মাজারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ ও হুজুরের আত্নার মাগফিরাত কামনায় দোয়া করা হয়েছে। এ সময় জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক হান্নান মাসুদ, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) ও ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল্লাহ হায়দারসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। মওলানা ভাসানীর মাজারে পুস্পার্ঘ অর্পন শেষে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, আজ খুব ভালো লাগছে। মজলুম জননেতার কবর জিয়ারত ও শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পেরেছি। ইতোপূর্বে এই ভাসানীর মাজারে শ্রদ্ধা জানাতে এসেও আমি রক্তাক্ত হয়েছি। ২৪’র গণঅভ্যুত্থানে আমাদের ১২ জন কর্মী শহীদ হয়েছেন। আহত হয়েছেন দুই সহস্রাধিক কর্মী। আন্তর্জাতিক আদালতে শেখ হাসিনাসহ অন্য ফ্যাসিস্টদের সর্বোচ্চ সাজা হয়েছে এটাই প্রত্যাশা করেছি। গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, বাংলাদেশে যারা খুন করেছে তাদের প্রত্যেকের বিচার হতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে ফ্যাসিবাদী কায়দায় নির্বিচারে মানুষকে গণহত্যা করা হয়েছে, আদালতে তার বিচার চলছে। আমরা মনে করি আন্তর্জাতিক মান রক্ষা করে এই বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। শেখ হাসিনাসহ অন্যদের ফাঁসির রায় হওয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার দ্বার উন্মুক্ত হয়েছে। মওলানা ভাসানীর মাজারে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে টাঙ্গাইল শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা শাখা আয়োজিত ‘গণঅভ্যুত্থান-২৪ পরবর্তীতে বর্তমানেও বাংলাদেশে মওলানা ভাসানীর প্রাসঙ্গিকতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের জেলা শাখার সভাপতি সাইফুর রহমান রেজা। সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা আওয়াল মাহমুদ। সভায় বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স নেতা আওয়াল মাহমুদ। সভায় বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, বহ্নিশিখা জামালী, বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ অন্যান্য নেতারা বক্তব্য রাখেন। এছাড়া মওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশন ও খোদা-ই-খেদমতগার এর আয়োজনে মওলানা ভাসানীর ওফাতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রতি বছরের ন্যায় দেয়াল পত্রিকা প্রকাশ, ওরশ, স্মরণ সভা, গণভোজসহ সাত দিনব্যাপী ‘ভাসানী মেলা’র আয়োজন করা হয়। সাতদিন আগে থেকে মওলানা ভাসানীর ভক্ত-অনুসারী ও মুরিদানরা সন্তোষে এসে সকল কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।

নাদিম তালুকদার নভেম্বর ১৭, ২০২৫ 0
জাতীয়
আল-জাজিরার প্রতিবেদন: শেখ হাসিনাকে ভারত কোনোভাবেই প্রত্যর্পণ করবে না — বললেন দক্ষিণ এশিয়া বিশেষজ্ঞ শ্রীরাধা দত্ত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার পর তাকে বাংলাদেশে প্রত্যর্পণের বিষয়ে নতুন বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তবে আল-জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভারতের জিন্দাল গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক অধ্যাপক শ্রীরাধা দত্ত স্পষ্টভাবে বলেছেন, ভারত কোনো পরিস্থিতিতেই শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে না। দত্ত আল-জাজিরাকে বলেন, “কোনো অবস্থাতেই ভারত তাকে হস্তান্তর করবে না। গত দেড় বছরে ভারত–বাংলাদেশ সম্পর্ক মোটেও ভালো ছিল না, বেশ কয়েকবার টানাপড়েনও দেখা গেছে।” আল-জাজিরাকে দত্ত জানান, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কঠোর রায় আসা খুবই প্রত্যাশিত ছিল। তার ভাষায়, “দেশের পরিস্থিতি দেখে সবাইই অনুমান করেছিল তার বিরুদ্ধে কঠোর বিচার আসছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোও বলছে, ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম বাংলাদেশের আইনি কাঠামো অনুযায়ী হয়েছে।” দত্ত দাবি করেন, নিরস্ত্র ছাত্রদের বিরুদ্ধে সহিংসতা এবং গুলি করার নির্দেশ নিয়ে কারও সন্দেহ নেই। তিনি বলেন, “নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের ওপর অপরাধ হয়েছে—এ বিষয়ে কারও সন্দেহ নেই। এমনকি প্রধানমন্ত্রী সরাসরি গুলি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন—এ ধরনের প্রমাণও রয়েছে।” অধ্যাপক দত্তের মতে, আওয়ামী লীগ এখন পাল্টা বিবরণ তৈরির চেষ্টা করবে। তবে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের বড় অংশ বিশ্বাস করে, শেখ হাসিনা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন।” জুলাই–আগস্ট আন্দোলনের সময় সংঘটিত হত্যাকাণ্ড, উস্কানি, ষড়যন্ত্র ও নির্দেশ—এই অভিযোগগুলোকে ভিত্তি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছে বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে। রায়ের পর থেকেই ভারত তাকে বাংলাদেশে ফেরত দেবে কি না, সেই প্রশ্ন জোরালো হয়ে ওঠে। আল-জাজিরার সাক্ষাৎকারে শ্রীরাধা দত্তের মন্তব্যে সেই বিতর্কে আরও স্পষ্টতা আসে।

মুক্তধ্বনি ডেক্স নভেম্বর ১৭, ২০২৫ 0
জাতীয়
যেসব অভিযোগে হাসিনার ফাঁসির রায়: আমার দেশ প্রতিবেদনে উত্থাপিত তথ্য

অনলাইনভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম আমার দেশ তাদের সাম্প্রতিক ভিডিও প্রতিবেদনে জানিয়েছে, জুলাই–আগস্টের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করা হয়েছে—এমন দাবি তারা উপস্থাপন করেছে। একই মামলায় পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে রাজসাক্ষী হিসেবে দেখানো হয়েছে বলে ভিডিওতে উল্লেখ করা হয়। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়। ভিডিওতে যেভাবে অভিযোগগুলো তুলে ধরা হয়েছে— ১) ১৪ জুলাইয়ের বক্তব্যকে উস্কানিমূলক উল্লেখ ভিডিও দাবি করে, আন্দোলনের সময় শেখ হাসিনা রাজাকার বংশধর বলে মন্তব্য করেন। এরপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকার-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় বহু হতাহতের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করা হয়। ২) হেলিকপ্টার, ড্রোন ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ প্রতিবেদন মতে, আন্দোলনকারীদের দমন করতে এসব অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। ৩) বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের মৃত্যু রংপুরে গুলিতে নিহত হওয়া শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার দায়ও মামলার অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছে। ৪) চাংখারপুলে ছয় আন্দোলনকারীকে গুলি করে হত্যা গত বছরের ৫ আগস্ট ঢাকায় ছয়জন আন্দোলনকারী গুলিতে নিহত হন—এ অভিযোগও মামলার অন্তর্ভুক্ত। ৫) মার্চ টু ঢাকা চলাকালে আশুলিয়ায় গুলি ও লাশ পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগ ভিডিওতে বলা হয়, আশুলিয়ায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের হত্যা করে লাশ পোড়ানোর ঘটনা মামলার বড় অংশ হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুলাই–আগস্টের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দায়ের হওয়া মামলাগুলোর মধ্যে এটি প্রথম যার বিচার কাজ শেষ হয়েছে বলে দাবি করা হয়। এর আগে আদালত অবমাননার আরেক মামলায় শেখ হাসিনাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল বলেও ভিডিওতে উল্লেখ আসে। ভিডিওটিতে আরও বলা হয়, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৫৮৩টি মামলা রয়েছে, যার মধ্যে হত্যা মামলা, দুদক মামলা, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা এবং গুমের মামলাও অন্তর্ভুক্ত বলে দাবি করা হয়। বেশ কয়েকটি মামলার তদন্ত চলছে এবং কিছু বিচারিক আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। উল্লেখ্য, এই সংবাদে বর্ণিত সব তথ্যই আমার দেশ ভিডিও রিপোর্টে উপস্থাপিত দাবি—স্বাধীনভাবে এসব তথ্যের সত্যতা যাচাই করা যায়নি।

মুক্তধ্বনি ডেক্স নভেম্বর ১৭, ২০২৫ 0
জাতীয়
২০২৪ সালের জুলাই গণহত্যা মামলায় আগামীকাল রায়: পাঁচ প্রধান অভিযোগে অভিযুক্ত শেখ হাসিনা

২০২৪ সালের উত্তাল জুলাই—সেই সময়কার ছাত্র আন্দোলনে দেশজুড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে বহু মানুষের মৃত্যু ও পঙ্গুত্বের ঘটনার বিচার এখন শেষ প্রান্তে। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা মামলার প্রথম রায়ের কাউন্টডাউন চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। প্রায় ৪০০ দিনের টানা শুনানি, সাক্ষ্য, প্রমাণ উপস্থাপন আর আইনি প্রক্রিয়া শেষে আগামীকাল দেওয়া হবে রায়। মামলার কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। ইন্টারপোল জানিয়েছে, দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের বিরুদ্ধে নতুন করে কনভিকশন ওয়ারেন্ট ও রেড নোটিসের আবেদন পাঠানো হবে। পাঁচটি অভিযোগের সারসংক্ষেপ ১. উসকানিমূলক মন্তব্য ও রাষ্ট্রীয় দমন অভিযান ১৪ জুলাই গণভবনে শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্যের পর আন্দোলন আরও বিস্তৃত হয়। অভিযোগে বলা হয়েছে, সেই বক্তব্যের পর উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা দেশজুড়ে আন্দোলনকারীদের ওপর দমন-পীড়ন চালায়। ২. হেলিকপ্টার ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করা হয়েছে, আন্দোলন দমনে হেলিকপ্টার, ড্রোন এবং প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা। সেই নির্দেশ বাস্তবায়নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও তৎকালীন আইজিপি বিশেষ নির্দেশনা দেন। তদন্ত সংস্থা হেলিকপ্টার থেকে র‍্যাবের গুলিবর্ষণের প্রমাণ আদালতে জমা দিয়েছে। ৩. রংপুরে শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ড ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যার ঘটনাটিও এই মামলার অংশ। অভিযোগে বলা হয়েছে, এটি ছিল সরকারের দমননীতির ধারাবাহিকতা। ঘটনার পর এটিকে ভিন্ন খাতে নিতে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধেই মামলা দেওয়া হয়। ৪. পুরান ঢাকার চাঁখারপুলে ছয়জনকে গুলি করে হত্যা ৫ আগস্ট চাঁখারপুল এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে ছয়জন নিহত হয়। ট্রাইব্যুনালের নথিতে বলা হয়েছে, এটি ছিল সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে পরিচালিত এক অভিযান। ৫. আশুলিয়ায় ছয়জনকে হত্যা ও লাশ পুড়িয়ে ফেলা সবচেয়ে নৃশংস অভিযোগ—আশুলিয়ায় ছয়জনকে গুলি করে হত্যা, পাঁচজনের লাশ পুড়িয়ে ফেলা এবং আহত একজনকে জীবিত অবস্থায় আগুনে নিক্ষেপের ঘটনা। আদালতে এই ঘটনাকে জুলাইয়ের সহিংসতার সবচেয়ে ভয়াবহ উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। মামলায় মোট ৫৪ জন সাক্ষী জবানবন্দি দিয়েছেন। উপস্থাপন করা হয়েছে অডিও-ভিডিও ফুটেজ, গণমাধ্যমের প্রতিবেদন, জব্দ করা গুলি ও ফরেনসিক রিপোর্ট। রায়ের অপেক্ষায় এখন পুরো দেশ—কী সিদ্ধান্ত আসে, সেটিই নির্ধারণ করবে মামলার পরবর্তী গতি।

মুক্তধ্বনি ডেক্স নভেম্বর ১৭, ২০২৫ 0
রাজনীতি
টাঙ্গাইল -৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী লুৎফর রহমান মতিনের ধানের শীষের প্রচারণায় আগামী কাল দেশে আসছেন আবু ইউসুফ তালুকদার

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কে সামনে রেখে বিগত ৩ রা নভেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ২৩৭ টি আসনে তাদের সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষনা করে। এরই মধ্যে ১৩৩ টাঙ্গাইল -৪ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য জনাব লুৎফর রহমান মতিন। তার নির্বাচনের প্রচারণায় পর্তুগাল বিএনপির আহবায়ক ও টাঙ্গাইল জাতীয়তাবাদী ফোরাম ইউকে’র সভাপতি আবু ইউসুফ তালুকদার আগামী কাল পর্তুগাল থেকে বাংলাদেশ আসছেন। শেখ হাসিনার জুলুমের শিকার হয়ে প্রবাস জীবনে ১৭ বছরে টাঙ্গাইল থেকে একমাত্র লড়ে যাওয়া ব্যাক্তি আবু ইউসুফ তালুকদার বলেন, আমাদের দলের হাই কমান্ট ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মাঠের পরিস্থিতি ভালোভাবে অবজার্ভ করে সেদিকে খেয়াল রেখে একজন প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছেন। টাঙ্গাইল -৪ আসনে নির্বাচনী আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছেন জনাব লুৎফর রহমান মতিন’কে। তিনি যোগ্য সৎ ও ভালো মানুষ। তারেক রহমানের সিদ্ধান্তই আমার সিদ্ধান্ত আমি তার সব কথা মাথাপেতে নিবো কারণ তিনি কাউকে বঞ্চিত করেন না। সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে জ্বালাও-পোড়াও হচ্ছে। আমি সেদিকে লক্ষ্য রেখে বলতে চাই, আমার নির্বাচনী এলাকায় যারা আমার সমর্থক রয়েছেন যারা শান্তিপূর্ণভাবে আমার পক্ষে মিছিল করেছেন। আগামী দিনেও তারা যেন কোনও ধরনের সহিংসতায় না যায় এবং ঐক্যবদ্ধভাবে ধানের শীষের পক্ষে মাঠে অবস্থান নেন তার আহ্বান জানাচ্ছি। জনাব লুৎফর রহমান মতিন সাহবের প্রচারণায় আমি আগামী কাল দেশে আসবো ইনশাল্লাহ আমার জন্যে দোয়া করবেন। উল্লেখ্য, এ আসনে একাধিক বিএনপির প্রার্থী ছিলেন তাদের মধ্যে একজন বাদে সবাই জনাব লুৎফর রহমান মতিনকে সমর্থন দিয়ে ও দলীয় আদেশ মেনে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন।মনোয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হলো: কালিহাতী উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব শুকুর মাহমুদ, ডাক্তারস্ অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় নেতা জনাব ডঃশাহ আলম তালুকদার, বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব বেনজীর আহম্মেদ টিটো, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার জনাব মো: আব্দুল হালিম মিয়া, মালেশিয়া বিএনপির সভাপতি জনাব প্রকৌশলী বাদলুর রহমান খান বাদল, পর্তুগাল বিএনপির আহবায়ক ও টাঙ্গাইল জাতীয়তাবাদী ফোরাম ইউকে’র সভাপতি আবু ইউসুফ তালুকদার, মো: শফি খান কালিহাতী উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জনাব মোজাম্মেল হক হিরু, টাঙ্গাইল জেলা জিয়া পরিষদের সাবেক সভাপতি ও প্রেসিডিয়াম সদস্য বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি জনাব এ কে এম আবদুল আওয়াল। মনোনয়ন প্রত্যাশী দের মধ্যে শুধু মাত্র বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহ – সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটো ব্যতীত সকল প্রার্থীই লুৎফর রহমান মতিন কে সমর্থন দিয়েছেন।

নাদিম তালুকদার নভেম্বর ১৬, ২০২৫ 0
রাজনীতি
শেখ হাসিনা সবার আগে ইউনূসকে চিনেছিল: বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।

আজ ১৪ নভেম্বর শুক্রবার দুপুরে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার ছাতিহাটি তে কাদের সিদ্দিকীর বড় ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক মন্ত্রী সদ্য জামিন প্রাপ্ত আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীকে সংবর্ধনার জন্য এক আয়োজন করা হয়। এ সংবর্ধনার অনুষ্ঠানে কাদের সিদ্দিকী বলেন“ ডঃ ইউনুস কে প্রথম চিনেছিল শেখ হাসিনা " তিনি বক্তব্যে উল্লেখ করেন সারাদেশের রাজনীতি ও আইন শৃঙ্খলা একটি ভঙ্গুর অবস্থায় আছে । সারাদেশে যেভাবে আওয়ামীলীগের নেতা- কর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে তা কখনও দেশের রাজনীতি ও আইন -শৃঙ্খলা পরিস্থিতি কে স্বাভাবিক না করে আরো ভয়াবহ অবস্থা তৈরি হবে বলে তিনি মনে করেন। তিনি তার বক্তব্য আরো উল্লেখ করেন যখন সাবেক প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রফেসর ডাঃ মোহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে কথা বলতেন তখন ইউনুস সাহেবের পাশে এক আমি (কাদের সিদ্দিকী) দাঁড়িয়েছি তার পক্ষে কথা বলেছি। তাই আমি বলবো, ডাঃইউনুস আমি আপনাকে বিশেষ ভাবে আহ্বান করছি সারাদেশের মানুষের জান মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন আপনার প্রশাসন কে নির্বিচারে গ্রেফতার বন্ধ করতে বলুন।

নাদিম তালুকদার নভেম্বর ১৪, ২০২৫ 0
আইন-অপরাধ
আওয়ামী লীগের আমলে ‘গুম-খুনের’ অভিযোগে ১৫ সেনা কর্মকর্তা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে হাজির

আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনামলে টিএফআই ও জেআইসি সেলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় মানবতা বিরোধী অপরাধের দুই মামলায় জড়িত ১৫ জন সেনা কর্মকর্তাকে আজ সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে হাজির করা হয়েছে। বিচারপতি মোহাম্মদ গোলাম মোর্তজা মজুমদারের নেতৃত্বে ট্রাইবুনাল-১ এর বিচারিক প্যানেলে এ মামলাগুলোর আনুষ্ঠানিক অভিযোগের শুনানি শুরু হয়েছে। দুই মামলায় মোট ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে — যার মধ্যে একটিতে ১৭ জন ও অন্যটিতে ১৩ জন। দুই মামলাতেই শেখ হাসিনার নাম রয়েছে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে। ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে সকালে প্রিজন ভ্যানে করে ট্রাইবুনালে আনা হয়। আসামিদের মধ্যে রয়েছেন — ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, মেজর জেনারেল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মাহবুব আলম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাসেম, কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, মেজর জেনারেল মুশেখ মোহাম্মদ সারোয়ার হোসেন, মেজর জেনারেল কোভিদ আহমেদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মাহবুর রহমান সিদ্দিকী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভীর মাজহার সিদ্দিকী, এবং লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাসুর হকসহ আরও কয়েকজন। আসামিদের প্রত্যেকেই জামিন আবেদন করেছেন, যার শুনানি বর্তমানে চলছে। আদালত সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগের শাসনামলে টিএফআই ও জেআইসি সেলে সংঘটিত গুম, খুন ও নির্যাতনের অভিযোগের ভিত্তিতেই এ দুই মামলা দায়ের করা হয়েছে। এদিকে, সকাল থেকে ট্রাইবুনাল এলাকা ও আশপাশের এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। হাইকোর্ট মাজারগেট, মৎস্যভবন, কাকরাইলসহ একাধিক পয়েন্টে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‍্যাব ও পুলিশের সদস্যদের মোতায়েন দেখা গেছে। সাংবাদিকদের প্রবেশ আজ ট্রাইবুনাল প্রাঙ্গণে সীমিত রাখা হয়েছে। তবে আদালতের ভেতরে শুনানি চলমান বলে জানা গেছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ট্রাইবুনালের পরবর্তী ব্রিফিং শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।

মুক্তধ্বনি ডেক্স অক্টোবর ২২, ২০২৫ 0
সারা দেশ
সুনামগঞ্জ-৫ আসনে ধানের শীষের সম্ভাব্য প্রার্থী জেলা বিএনপির আহবায়ক কলিম উদ্দিন মিলনের ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ও জনসভা অনুষ্ঠিত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক জতির সামনে সাম্য,মানবিক মূল্যবোধ,ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠাতা,গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় সকল ধর্মের মানুষের স্ব-অবস্থান নিশ্চিতসহ ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সুনামগঞ্জ-৫(ছাতক ও দোয়ারাবাজার) আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী তিনবারের সাবেক এমপি ও সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক ও কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন মিলনের সমর্থনে দোয়ারাবাজার উপজেলায় লিফলেট বিতরণ ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।  আজ শনিবার দুপুরে দোয়ারাবাজার উপজেলা বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের আয়োজনে উপজেলা সদরের পশ্চিমবাজারে এক জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। সকাল থেকে বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দরা মিছিল সহকারে সভাস্থলে এসে সভাস্থল লোকে লোকারন্য হয়ে উঠে।  দোয়ারাবাজার উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আরতাবুর রহমান খসরুর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এড. সালেহ আহমদের সঞ্চালনায় লিফলেট বিতরণ ও জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ-৫(ছাতক ও দোয়ারাবাজার) আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী তিনবারের সাবেক এমপি ও সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক ও কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন মিলন। সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন,দোয়ারাবাজার উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক একলাছুর রহমান,হারুনুর রশিদ,সুনামগঞ্জ জলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য নরসিংপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান সামছুল হক নমু,দোয়ারাবাজারের সদর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ¦ আব্দুল বারি, দোয়ারাবাজার উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মাদব রায়,উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক শাহাব উদ্দিন শিহাব,সদস্য সচিব সাজিদুল ইসলাম প্রমুখ।  প্রধান অতিথির বক্তব্যে সুনামগঞ্জ-৫(ছাতক ও দোয়ারাবাজার) আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী কলিম উদ্দিন মিলন বলেছেন এই ছাতক ও দোয়ারাবাজার আসনের মানুষ সব সময়ই আমাদের দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ভালবেসে ধানের শীষে ভোট দিয়ে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করে আসছেন। তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ও ধানের শীষের প্রার্থীকে জনগন নির্বাচিত করবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন বিগত ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার আমলে দেশের মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি। ফলে দীর্ঘ ১৬ বছরের স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতন আন্দোলনে দেশের ছাত্রজনতার বিজয় অর্জিত হয়েছিল।

মুক্তধ্বনি ডেক্স অক্টোবর ১৮, ২০২৫ 0
রাজনীতি
নির্বাচনের আগে ফ্যাসিস্ট দলের বিচার ও জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করতে হবে ; মাওলানা বোরহান উদ্দিন

আগামী সংসদ নির্বাচনের আগেই খুনি শেখ হাসিনার বিচার নি:শেষ করতে হবে এবং আওয়ামীলীগ ফ্যাসিস্টদের আইনের আওতায় এনে তাদের বিচার সম্পন্ন করে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নোয়াখালী জেলা শাখার সেক্রেটারি ও নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী মাওলানা বোরহান উদ্দিন।  শুক্রবার বিকেলে বেগমগঞ্জ উপজেলার ১০নং নরোত্তমপুর ইউনিয়নের পন্ডিত বাজারে ইউনিয়ন জামায়াতে  সহ-সভাপতি আবদুল আহাদের সঞ্চালনায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নরোত্তমপুর ইউনিয়নের সভাপতি হাসান পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে ইউনিয়ন কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এইসব কথা বলেন।  অনুষ্ঠানে বিশেষ মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক নাসিমুল গনি চৌধুরী মহল, বেগমগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আবু জায়েদ, সেক্রেটারি মাওলানা আবদুর রহিম, উপজেলা সূরা ও কর্ম পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।  এইসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ইউনিয়ন সেক্রেটারি মনির হোসেন মনির, সাবেক ওয়ার্ড শ্রমিক কল্যান সভাপতি মোহাম্মদ খলিল সহ ইউনিয়ন ওয়ার্ড জামায়াতের কর্মীবৃন্দ সহ আরো অনেকে। সম্মেলনে বক্তব্যে তারা বলেন, আগামীতে কোরআন ও  ইসলামের আলোকে রাষ্ট্র পরিচালনা করা হবে ইনশাআল্লাহ। ইসলাম ও কোরআন এর আলোকে পরিচালনা হলে দেশে থাকবেনা কোন ফ্যাসিবাদী, জুলুমবাদী৷ দল। এইছাড়া অতি দ্রুত পি আর পদ্ধতিতে নির্বাচন দেওয়ার আহবান জানান

মুক্তধ্বনি ডেক্স অক্টোবর ১৮, ২০২৫ 0
কওমী অঙ্গন
হেফাজতের দাবি: ৫ মে ২০১৩ শাপলা চত্বরে ৯৩ জন নিহত, চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত করছে সংগঠনটি

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকার মতিঝিলের শাপলা চত্বরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে নিহত হওয়া ব্যক্তিদের একটি প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করেছে। তালিকায় ৯৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তালিকাটি চূড়ান্ত নয় এবং যাচাই-বাছাই শেষে সংখ্যা আরও বাড়তেও বা কমতেও পারে। হেফাজতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর মাওলানা মুঈনুদ্দিন রাব্বানী বলেন, “এই তালিকা চূড়ান্ত নয়। সংখ্যা বাড়তেও পারে, কমতেও পারে। আমরা চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করছি, যা চলতি মাসেই প্রকাশ করার আশা রাখি।” তিনি আরও জানান, সংগঠনের শীর্ষ নেতারা নিয়মিত বৈঠক করছেন এবং চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা করছেন। এই তালিকা প্রকাশের উদ্যোগটি হেফাজতের পক্ষ থেকে একটি হত্যা মামলা দায়েরের অংশ হিসেবে নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, মানবাধিকার সংস্থা অধিকার এর আগে পৃথকভাবে ৬১ জনের একটি তালিকা প্রকাশ করেছিল। ২০২৪ সালের ২৭ নভেম্বর হেফাজতে ইসলাম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (ICT) প্রসিকিউশন শাখায় একটি অভিযোগপত্র দাখিল করে, যেখানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আরও ৪৯ জনকে ওই ঘটনার জন্য অভিযুক্ত করা হয়। একই বছরের ১৮ আগস্ট আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল, যেখানে হাসিনাসহ ৩৩ জনের নাম ছিল এবং গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ৫ ও ৬ মে হেফাজতে ইসলাম রাজধানীর শাপলা চত্বরে একটি সমাবেশ করে ধর্ম অবমাননার শাস্তির দাবিতে আইন প্রণয়নের আহ্বান জানায়। এর প্রেক্ষিতে পুলিশ, র‍্যাব ও বিজিবি সমন্বয়ে একটি যৌথ অভিযান চালানো হয়। স্থানীয়রা জানান, রাতে অভিযানের সময় পুরো এলাকাজুড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় এবং গুলির শব্দ শোনা যায়। তবে কতজন নিহত হয়েছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয় এবং এ নিয়ে বিতর্ক রয়ে গেছে।

মুক্তধ্বনি ডেক্স মার্চ ৫, ২০২৫ 0
জিয়া প্রজন্মদলের নেতৃত্বে টানা রাজপথ আন্দোলন: অতীতের সাহসিকতা, ভবিষ্যতের প্রস্তুতি
রাজনীতি
জিয়া প্রজন্মদলের নেতৃত্বে টানা রাজপথ আন্দোলন: অতীতের সাহসিকতা, ভবিষ্যতের প্রস্তুতি

বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক দমন-পীড়নের সময় যখন রাজপথে গণতান্ত্রিক আন্দোলন কার্যত নিষিদ্ধ, তখনই দৃপ্ত পদক্ষেপে রাজপথে নেমে সাহসিকতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী জিয়া প্রজন্মদল। দেশব্যাপী ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগ দাবিতে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ক্রান্তিকালে জিয়া প্রজন্মদল এক বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখে। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাসুদ-এর নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা নিরলসভাবে আন্দোলন, বিক্ষোভ, প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধনের মতো কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে আসছে। সরকারের নানামুখী দমন, গ্রেফতার, গুম-খুন এবং নির্যাতনের হুমকি উপেক্ষা করেও তারা রাজপথ থেকে কখনো পিছু হটেনি। 🔹 আন্দোলনের মূল প্রেক্ষাপট ও কর্মসূচি: জিয়া প্রজন্মদলের রাজপথ-ভিত্তিক রাজনৈতিক সংগ্রামের শক্ত ভিত গড়ে উঠেছে নিচের গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচিগুলোর মাধ্যমে: 🇧🇩 শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মদিন ও শাহাদাতবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন 🕊 আরাফাত রহমান কোকোর আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠান 💠 গণতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তির জন্য দেশজুড়ে দোয়া মাহফিল 🧑‍🎓 গুম, খুন ও নির্যাতনের শিকার ছাত্র-জনতার স্মরণে প্রার্থনা ও মানববন্ধন এইসব কর্মসূচি শুধু ঢাকাতেই সীমাবদ্ধ ছিল না—বরং ঢাকা মহানগর থেকে শুরু করে দেশের প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও থানা পর্যায়ে জিয়া প্রজন্মদলের আওতাধীন কমিটিগুলো সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে আন্দোলনের ধারাকে বেগবান করেছে। 🔹 ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি: চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাসুদ এক বিবৃতিতে বলেন— > 🗣 “দেশের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আমরা অতীতেও রাজপথে ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকবো ইনশাআল্লাহ। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য জিয়া প্রজন্মদল সর্বদা প্রস্তুত।” তিনি আরও জানান, বিএনপি এবং জিয়া পরিবারের নেতৃত্বে সংগঠনটি ভবিষ্যতের যেকোনো গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শক্তিশালী ও সংগঠিত ভূমিকায় অবতীর্ণ হবে। সংগঠনের ত্যাগ ও সংগ্রামের ঐতিহ্যকে কোনোভাবেই থামানো যাবে না। এই প্রতিবেদনটি আবারও প্রমাণ করে যে—প্রচণ্ড দমন-পীড়নের মধ্যেও সত্যিকার দেশপ্রেমিকরা থেমে যায় না। বরং তাদের সাহস, ত্যাগ ও সংগ্রামই জাতির সামনে এক আদর্শ দৃষ্টান্ত হয়ে দাঁড়ায়। জিয়া প্রজন্মদলের এই বলিষ্ঠ ভূমিকা আগামী দিনেও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গঠনে সহায়ক হবে বলে জনমনে প্রত্যাশা

মুক্তধ্বনি ডেক্স আগস্ট ৭, ২০২৫ 0
ভারতের স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশি পণ্য প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা: বাড়ছে খরচ, ঝুঁকিতে রপ্তানি বাণিজ্য
জাতীয়
ভারতের স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশি পণ্য প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা: বাড়ছে খরচ, ঝুঁকিতে রপ্তানি বাণিজ্য

ঢাকা, ২০২৫ – ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদপ্তর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বাংলাদেশি তৈরি পোশাকসহ কয়েকটি নির্দিষ্ট পণ্যের ওপর ভারতের স্থলবন্দর দিয়ে প্রবেশে তাৎক্ষণিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে বাংলাদেশের এসব পণ্য এখন শুধুমাত্র নহবা সেবা (Nhava Sheva) ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে ভারতে পাঠানো যাবে। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার ফলে আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম রাজ্যের শুল্কপয়েন্ট, এবং পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্ধা ও ফুলবাড়ি সীমান্ত দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কার্বোনেটেড ড্রিংকস, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, তুলার পণ্য, প্লাস্টিক সামগ্রী এবং কাঠের আসবাব আমদানি বন্ধ করা হয়েছে। তবে, মাছ, ভোজ্য তেল, এলপিজি এবং চূর্ণ পাথরের মতো কিছু পণ্যের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য নয়। 🟨 রপ্তানির খরচ বাড়বে: ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, শুধুমাত্র নৌ ও বিমানপথ ব্যবহারের কারণে বাংলাদেশের রপ্তানিকারকদের খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যাবে। এর ফলে দেশের তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্যের প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান দুর্বল হতে পারে। 🔁 বাণিজ্যিক উত্তেজনার ধারাবাহিকতা: বিশ্লেষকরা বলছেন, এই নিষেধাজ্ঞা মূলত সাম্প্রতিক কিছু রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক টানাপোড়েনের প্রতিফলন। এর আগে গত মার্চে চীনের বেইজিংয়ে এক বক্তৃতায় বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস বলেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল স্থলবেষ্টিত এবং সেসব অঞ্চলের একমাত্র ‘সমুদ্র অভিভাবক’ বাংলাদেশ। এরপর ভারত হঠাৎ করে বাংলাদেশকে দেয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে। এছাড়া, গত মাসে বাংলাদেশ ভারত থেকে তুলা আমদানির ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে, যা দেশের স্থানীয় শিল্পকে সস্তা আমদানির চক্র থেকে বের করে আনার কৌশলের অংশ বলে উল্লেখ করা হয়। উল্লেখযোগ্য যে, ২০২৪ সালে ভারত বাংলাদেশে ১.৬ বিলিয়ন ডলারের তুলা রপ্তানি করেছিল, যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ এসেছিল স্থলপথে। 📉 রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট: গত বছর ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হন এবং বর্তমানে ভারতে নির্বাসিত জীবনযাপন করছেন। এই রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর থেকেই বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে উত্তেজনা ও আস্থাহীনতা বেড়েছে বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা। 🧵 আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড ও রপ্তানি বিপন্ন: বিশ্বের নামীদামি ব্র্যান্ডের জন্য বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়, যার একটি বড় অংশ স্থলপথে ভারতে প্রবেশ করত এবং সেখান থেকে ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে ইউরোপ ও আমেরিকায় পৌঁছে যেত। নতুন নিষেধাজ্ঞার ফলে এই চেইনে বড় ধরণের বিঘ্ন ঘটবে।

মুক্তধ্বনি ডেক্স মে ১৮, ২০২৫ 0
সর্বাধিক পঠিত
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির ঢাকা বিভাগীয় ব্যুরো চীফ হলেন সাংবাদিক মোঃ মনিরুজ্জামান।

দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”

শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে?

মাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দ‍র্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৩৩৪তম পর্বে নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে নিয়ামত কমে যাবে কি না, সে বিষয়ে ঢাকা থেকে চিঠির মাধ্যমে জানতে চেয়েছেন একজন দর্শক। অনুলিখন করেছেন জান্নাত আরা পাপিয়া। প্রশ্ন : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে? উত্তর : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা কুফরি। এটা বড় কুফরি না, ছোট কুফরি। যদি আল্লাহর বান্দারা আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করে থাকেন, তাহলে তাঁরা কুফরি কাজ করে থাকলেন। এ জন্য আল্লাহ কোরআনে স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘তোমরা আমার শুকরিয়া আদায় করো, আমার সঙ্গে কুফরি করো না।’ আল্লাহ যে নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন, আল্লাহর নিয়ামত লাভ করে সুন্দর জীবনযাপন করা, এটা যদি কেউ আল্লাহর কাছে সত্যিকার অর্থে তুলে ধরতে না পারে, তাহলে সে ব্যক্তি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া করলেন না, কুফরি করলেন। এই জন্য আল্লাহ সুরা দোহার শেষ আয়াতে বলেছেন, ‘তুমি তোমার রবের নিয়ামত প্রকাশ করো। কারণ, তোমার কাছে যখন নিয়ামত আসছে, তখন আল্লাহ পছন্দ করেন যে তুমি আল্লাহর এই নিয়ামতের বিষয়টি তুলে ধরবে।’ আল্লাহর কাছে বলবে, আল্লাহ আমাকে এই নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন। আল্লাহ নিয়ামতকে বান্দার কাছে তুলে ধরার জন্য বলেছেন, বহিঃপ্রকাশ করার জন্য বলেছেন। বহিঃপ্রকাশ দুই ধরনের হতে পারে। একটি হলো নিয়ামতের ব্যবহারের মাধ্যমে বহিঃপ্রকাশ করা। দ্বিতীয়ত, নিয়ামতের বিষয়টি হলো মানুষের কাছে নিয়ামত তুলে ধরবে। যাতে করে আল্লাহর প্রশংসা প্রকাশ পায়। নিয়ামতের শুকরিয়া যদি কেউ আদায় না করেন, তাহলে কুফরি হবে। আল্লাহ বলেছেন, যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করে থাক, তাহলে আমি আরো বৃদ্ধি করে দেব। বান্দারা যখন নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করবে, তখন আল্লাহ আরো নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করে দেন। আর যদি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা হয়, তাহলে আল্লাহ নিয়ামত কমিয়ে দেবেন এবং সেইসঙ্গে আরেকটি কঠিন বাণী আল্লাহ বলেছেন, ‘জেনে রাখো আল্লাহর কঠিন আজাবও তোমাদের জন্য অবধারিত থাকবে।’ নিয়ামতের শুকরিয়া শুধু মুখে আদায় করা যথেষ্ট নয়। কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর শুকরিয়া আমলের মাধ্যমে আদায় করো।’ সুতরাং বান্দারা শুকরিয়া আদায় করবে। শুকরিয়ার অনেকগুলো দিক রয়েছে, তার মধ্যে আমলের মাধ্যমে শুকরিয়া আদায় করা হলো শুকরিয়ার সর্বোচ্চ স্তর।

নবী মুহাম্মদ (সাঃ) - নিষ্পাপ চরিত্রের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ

তিনি ছিলেন মানবজাতির আদর্শ। তিনি অত্যন্ত উদার ও বিনয়ী ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক এবং একজন সাহসী যোদ্ধা। এছাড়াও তিনি একজন দক্ষ প্রশাসক, একজন দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক এবং একজন সফল প্রচারক ছিলেন। তিনিই উত্তম চরিত্র ও উদারতার একমাত্র উৎস। তিনি সকলের আদর্শহীন এবং প্রিয় ব্যক্তিত্ব। যার প্রেমে, দুনিয়া মাতাল। তিনি আমার আদর্শ, তিনি আমার নেতা। তিনি আমার নবী, আমাদের নবী এবং সকলের নবী। তিনি হলেন হযরত মুহাম্মদ (সা.) তিনি সর্বোত্তম আদর্শ। সমস্ত মানবজাতির জন্য করুণা। অন্ধকারে নিমজ্জিত বিশ্বের মানুষের জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে। তার অসাধারণ চরিত্র, মাধুর্য এবং অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব সবাইকে অবাক করেছে। মুমিনের চঞ্চল হৃদয় তাকে এক নজর দেখার জন্য আকুল হয়ে থাকে। কবি কাজী নজরুল বলেছেন: “বিচ্ছেদের রাত ছিল একাকার কান্নার ভোর; আমার মনে শান্তি নেই, আমি কাঁদছি। হে মদিনাবাসীর প্রেমিক, আমার হাত ধর।" তার নিষ্কলুষ চরিত্রের স্বীকৃতি দিয়ে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, "তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।" (সূরা আল-আহজাব, আয়াত 21)। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে আজ কিছু লোক সেই নবীর সম্মানকে অবমাননা করছে। হৃদয় ভেঙ্গে যায়। আমাদের ক্ষমা করুন, হে নবী! তিনি তার অবিস্মরণীয় ক্ষমা, উদারতা, সততা, নম্রতা প্রভৃতির বিরল মুগ্ধতা দিয়ে বর্বর আরব জাতির আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এজন্য তারা তাকে ‘আল-আমিন’ উপাধিতে ভূষিত করেন। তারা সর্বসম্মতিক্রমে স্বীকার করেছিল যে তিনি নম্র এবং গুণী ছিলেন। টাকা দিয়ে নয়, ভালো ব্যবহার দিয়ে তিনি বিশ্ববাসীকে জয় করেছেন। আল্লাহ তাঁর গুণাবলী সম্পর্কে কুরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই তুমি মহৎ চরিত্রের অধিকারী।’ (সূরা আল কালাম, আয়াত ৪)। তিনি কখনো মানুষকে তুচ্ছ করেননি। আত্মসম্মানবোধে তিনি কাউকে তুচ্ছ মনে করেননি। তিনি বিশ্বের হৃদয়ে উচ্চতর চরিত্রের একটি অনুপম মানদণ্ড স্থাপন করেছেন। নম্রতা তার চরিত্রে সর্বদা উপস্থিত ছিল। পৃথিবীর মানবতার কল্যাণে তাকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল শ্রেষ্ঠ আদর্শের বাস্তবায়নকারী ও প্রশিক্ষক হিসেবে। এ প্রসঙ্গে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমাকে আমার উত্তম চরিত্র পূর্ণ করার জন্য প্রেরিত করা হয়েছে।’ (মুসনাদে আহমদ, মিশকাত) ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন বিনয়ী এবং আচার-আচরণে অত্যন্ত বিনয়ী। দুর্বল ব্যক্তিকে কড়া কথায় আঘাত করবেন না। তিনি কোন মানুষকে তার সাধ্যের বাইরে অসাধ্য সাধন করতে বাধ্য করেননি। গরিব-অসহায় মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করতেন। তিনি লোকদেরকে তাদের আচরণে অপ্রয়োজনীয় রাগ ও রাগ থেকে সর্বদা বিরত থাকার উপদেশ দিতেন এবং মানুষকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন, “যে বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাকে উঁচু করে দেন এবং যে অহংকারী হয়, আল্লাহ তাকে লাঞ্ছিত করেন।” (মিশকাত) কাফেররাও তার কাছ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে সদয় ও নম্র আচরণ পেয়েছিল। তার অনুসারীরা তাকে উচ্চ সম্মানের সাথে ধরেছিল কারণ তিনি খুব নমনীয় এবং নম্র ছিলেন। হজরত আয়েশা (রা.) তার ভদ্র আচার-আচরণ সম্পর্কে বলেন, ‘নবী (সা.) রূঢ় বক্তা ছিলেন না, প্রয়োজনের সময়ও তিনি কঠোর ভাষা ব্যবহার করতেন না। প্রতিহিংসা তার সাথে ছিল না মোটেও। মন্দের বিনিময়ে ভালোই করেছেন। সব ক্ষেত্রেই তিনি ক্ষমা পছন্দ করতেন। তিনি লোকদেরকে উপদেশ দিয়েছিলেন, “আল্লাহর ইবাদত কর, করুণাময় প্রভু, ক্ষুধার্তকে খাবার দাও, সালাম দাও এবং এসব কাজের মাধ্যমে জান্নাতে প্রবেশ কর। তিনি উত্তর দিলেন, "ক্ষুধার্তকে খাওয়ানো এবং অপরিচিত সকলকে সালাম করা।" (বুখারী ও মুসলিম)। মহানবী (সা.)-এর মর্যাদাকে সম্মান করা মুসলমানদের ধর্মীয় কর্তব্য এবং প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানের মৌলিক অংশ।

মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি?

নামাজ, রোজা, জাকাত, হজ, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৯২৯তম পর্বে ই-মেইলের মাধ্যমে কানিজ নাহার দিপা জানতে চেয়েছেন, মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? অনুলিখন করেছেন মোহাম্মদ সাইফ আহমেদ। প্রশ্ন : মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? উত্তর : না দোয়ার জন্য আলাদা কোনো মাহফিল নেই। এটা আসবে কেন? আমরা একটা জায়গা থেকে বাঁচার জন্য আরেকটি কাজ করছি। কিন্তু সেই কাজটি ভুল করে আরও বড় ভুলের সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। আমাদের সমাজে একটি প্রথা একেবারে ছেয়ে গেছে। যেমন—একজন মারা গেলে তার জন্য মিলাদ-মাহফিল করা কিংবা কূলখানি করা। কিন্তু এগুলো সবই বেদআতি কাজ। এগুলো সঠিক কাজ নয়। অনেকে মনে করছে, দোয়া-মাহফিল করা যেতে পারে। কিন্তু সেটা একদমই নয়। এসব ইসলামে অনুমোদন দেয়নি। এইগুলো পুরোটাই বেদআত। মানুষ চাইলে যে কোনো সময় কিংবা যে কোনো জায়গা থেকে দোয়া করতে পারবেন। দোয়ার সঙ্গে মাহফিল কিংবা আলাদা কোনো ধরনের অনুষ্ঠান ঘোষণা করা জায়েজ নেই। আশা করি, আপনি বুঝতে পেরেছেন।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রতিযোগিতা: চ্যাটজিপিটি বনাম ডিপসিক?

র্তমান প্রযুক্তি বিশ্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) নিয়ে নতুন প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ওপেনএআই-এর চ্যাটজিপিটি ও চীনের ডিপসিকের মধ্যে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুধু প্রযুক্তিগত দক্ষতার নয়, বরং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। চ্যাটজিপিটি দীর্ঘদিন ধরে ব্লগ লেখা, গবেষণা, প্রোগ্রামিংসহ নানান কাজে অপরিহার্য টুল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি চীনের তৈরি ডিপসিক এআই জগতে নতুন আলোড়ন তুলেছে। তারা দাবি করছে, তুলনামূলক কম চিপ ব্যবহার করেই অত্যাধুনিক এআই সেবা দেওয়া সম্ভব, যেখানে ওপেনএআই-এর বিশাল মডেলগুলোর জন্য ১৬,০০০ বা তারও বেশি চিপ প্রয়োজন হয়, সেখানে মাত্র ২০০০ চিপ দিয়ে ডিপসিক কার্যকরভাবে কাজ করতে সক্ষম। দুই প্ল্যাটফর্মের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রয়েছে। ✅ চ্যাটজিপিটি: বিস্তৃত বিশ্লেষণ ও গভীর গবেষণা উপস্থাপন করতে পারে, যা একাডেমিক ও জটিল সমস্যার সমাধানে সহায়ক। ✅ ডিপসিক: দ্রুত এবং সংক্ষিপ্ত উত্তর দিতে পারে, যা তাৎক্ষণিক ফলাফল প্রত্যাশী ব্যবহারকারীদের জন্য উপযোগী। লেখালেখির ক্ষেত্রে চ্যাটজিপিটি কেবল ধারণা ও প্লটের কাঠামো গড়ে তোলে, যেখানে ডিপসিক প্রায় পুরো গল্প তৈরি করে দিতে পারে। একইভাবে, কোডিংয়ের ক্ষেত্রেও ডিপসিক কিছু ক্ষেত্রে দ্রুত সমাধান দিতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। ডিপসিকের বিরুদ্ধে ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা সংরক্ষণ ও তথ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অস্ট্রেলিয়াসহ কয়েকটি দেশের সরকার ইতোমধ্যেই ডিপসিকের ডেটা নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ওপেনএআই নিজেও অতীতে অনুমতি ছাড়া মানুষের লেখা ডেটা প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহারের অভিযোগের মুখে পড়েছিল, যা এখন ডিপসিকের বিরুদ্ধে উঠছে। ডিপসিকের সাফল্যের ফলে এআই চিপের বাজারেও বড় প্রভাব পড়েছে। এনভিডিয়া, যারা উন্নত চিপ তৈরিতে বিশ্বব্যাপী অগ্রগণ্য, তাদের শেয়ারের মূল্য একদিনে প্রায় ১৭% কমে গেছে। কারণ, কম শক্তিশালী হার্ডওয়্যারেও কার্যকর এআই সম্ভব হলে উচ্চমূল্যের উন্নত চিপের বাজার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে প্রযুক্তিগত প্রতিযোগিতা নতুন কিছু নয়, তবে ডিপসিকের উদ্ভাবন নতুন মাত্রা যোগ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই চীনে উন্নত চিপ রপ্তানির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, কম খরচে ভালো এআই তৈরি হলে মার্কিন প্রযুক্তি খাতেরও লাভ হতে পারে। এই প্রতিযোগিতা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভবিষ্যৎকে আরও উন্নত ও বহুমাত্রিক করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যেখানে দ্রুত এবং সাশ্রয়ী সমাধান দরকার, সেখানে হয়তো ডিপসিক এগিয়ে থাকবে, আর যেখানে গবেষণা ও জটিল বিশ্লেষণের প্রয়োজন, সেখানে চ্যাটজিপিটির মতো বৃহৎ মডেলগুলো প্রাধান্য পাবে। শেষ পর্যন্ত, এই প্রতিযোগিতাই হয়তো এআই প্রযুক্তিকে আরও দক্ষ, নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী করবে।

শীর্ষ সপ্তাহ

টাঙ্গাইলের কাকুয়া ইউনিয়নে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল
সারা দেশ

টাঙ্গাইলের কাকুয়া ইউনিয়নে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল

ডিসেম্বর ৯, ২০২৫ 0

ভোট জরিপ

আমাদের নতুন ওয়েবসাইট আপনাদের কাছে কেমন লাগছে