গ্রাম বাংলার খবর

পতিত জমিতে মাল্টা চাষ করে, যুবকদের উদ্দ্যেক্তা করে তুলছেন - রনি মিত্র

reporter-icon
মোঃ আল আমিন ইসলাম নাজমুল: নেত্রকোনা প্রতিনিধি
অক্টোবর ২৩, ২০২৫ | 0
পতিত জমিতে মাল্টা চাষ করে, যুবকদের উদ্দ্যেক্তা করে তুলছেন - রনি মিত্র যেদিতে চোখ যায়, শুধু মাল্টা ফলের বাগান। থোকায় থোকায় ঝুলছে সবুজ ভিয়েতনাম জাতের মাল্টা। বাগানের গাছের ডাল গুলো যেনো মাল্টার ভারে নুয়ে পড়ছে। পতিত জমিতে মাল্টা আবাদ করে একজন সফল উদ্দ্যোক্তা হিসেবে এলাকায় পরিচিতি পেয়েছেন নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী বিজয়পুর এলাকার রনি মিত্র। এই বাগান থেকে বছরে আয় করছেন ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা। রনি মিত্র, নিকুঞ্জ মল্লিক ও সুমন মল্লিকের এই মাল্টাবাগান দেখে স্থানীয় যুবকরা উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। রনি মিত্রের মাল্টার বাগান পরিদর্শন করে জানা গেছে, ২০২২ সাল থেকে এক একর পতিত জমিতে উপজেলা কৃষি অফিসের সহায়তায় গড়ে তুলেছেন এই বিশাল মাল্টার বাগান। প্রথমে ৩শতাধিক এবং পরে আরে ২শত চারা রোপন করেছেন তিনি। বর্তমানে বাগানে প্রায় ৫ শতাধিকের বেশি চারা রয়েছে। চারা রোপণের দুই বছরের মধ্যেই মাল্টা বিক্রি শুরু করেছেন রনি মিত্র। ওই এলাকার কয়লা পোর্টের মামা-ভাগ্নের অনাবাদি পতিত এক একর জমিতে মাল্টার গাছ লাগিয়েছিলেন রনি। এই পতিত জমি প্রস্তুত, রাসায়নিক ও জৈব সার প্রদান, বিদ্যুৎ নামানো, শ্রমিক খরচ মিলে এ পর্যন্ত প্রায় ১২লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। বর্তমানে বাগানে ৫ শতাধিকের বেশি চারা রয়েছে। চারা রোপণের দুই বছরেই মাল্টার বাজার জাতকরণ করতে পেরেছেন তিনি। প্রথম বছরেই মাল্টা বিক্রি করেছেন প্রায় দুই লাখ টাকার মতো। তবে এ বছর যে পরিমান মাল্টার ফলন হয়েছে তাতে ৪ থেকে ৫ লক্ষাধিক টাকার অধিক বিক্রি করতে পারবেন। এর পরের বছর মাল্টা বিক্রি এর দ্বিগুন হবে বলেও জানা তিনি। ভিয়েতনাম জাতের মাল্টা সুস্বাদু, রসালো ও স্বাস্থ্যসম্মত হওয়ায় বাজারে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। রনি মিত্রের মাল্টা বাগান দেখে এলাকার অনেক বেকার যুবকগণ বাগান করার স¦প্ন দেখছেন। যুবকদের নিজের বাগানে এনে নানা পরমর্শ দিয়ে চাকরির আশায় বসে না থেকে, নিজের শ্রমেই নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করার পরিকল্পনাকারী হিসেবে গড়ে তুলতে পরিশ্রমও করে যাচ্ছেন তিনি। পাইকারী দরে মাল্টা নিতে আসা ব্যবসায়ী মিলন মিয়া জানান, বর্তমান পাইকারী মুল্যে আমরা ২,৬০০/- টাকায় প্রতিমন মাল্টা ক্রয় করতেছি। ভিয়েতনাম জাতের মাল্টা খুবই সুস্বাদু, রসালো ও স্বাস্থ্যসম্মত। যে কারণে এর চাহিদাও রয়েছে প্রচুর। এখানের মাটি যে উর্বর, যদি সোমেশ^রী নদীতে যদি একটা ব্রিজ থাকতো, তাহলে বিজয়পুর এলাকার ফসল দিয়েই বৃহত্তর ময়মনসিংহে কৃষি বিপ্লব ঘটানো যেতো। অপর এক ব্যবসায়ী হারিছ মিয়া বলেন, এই বাগান থেকে মাল্টা নিয়ে আমরাও লাভবান। বাগানের ফলন যেভাবে আসছে, কয়েক বছরের মধ্যেই সকল খরচ উঠে যাবে। বিক্রি বেড়ে যাবে কয়েক গুণ। মাত্র আড়াই বছর বয়সী একেকটি গাছে দুই মণ পর্যন্ত মাল্টা ধরেছে। গাছের বয়স ও আকার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মাল্টার পরিমাণ ও স্বাদ বাড়তে থাকে। এ দেখে আমি নিজেও মাল্টা চাষ করবো ভাবছি। রনি মিত্র জানান, পরিশ্রম কখনোই বৃথা যায়না। উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে এই বাগান করেছি আমি। গত বছরের তুলনায় এ বছর যে পরিমাণ ফলন হয়েছে তাতে তার সব খরচ মিটিয়ে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা লাভবান হবে। আগামী বছর এর পরিমান দ্বিগুন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এবার ৫ থেকে ৬ লাখ টাকার অধিক বিক্রি করবেন বলে আশাবাদী। কিন্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ থাকায় বিক্রি নিয়ে একটু চিন্তায় আছি। তিনি আরো বলেন, যুবরাই পারে দেশের অর্থনীতির চাকা ঘোড়াতে। বিজয়পুর এলাকার মাটি যে উর্ব্বর, সোমেশ^রী নদীতে যদি একটা ব্রিজ থাকতো, তাহলে বিজয়পুর এলাকার যুবদের উৎপাদিত ধান, রবিশস্য এবং উৎপাদিত ফল বিক্রি দিয়েই সরাদেশে দুর্গাপুর উপজেলাকে একটা অর্থনৈতিক জোন হিসেবে পরিচিতি করানো যেতো। এথেকে কর্মহীন যুবসমাজ একজন সফল উদ্দ্যেক্তা হিসেবে গড়ে উঠতো। দুর্গাপুর উপজেলা কৃষি অফিসার রায়হানুল হক বলেন, আশপাশের উপজেলার তুলনায় দুর্গাপুরে প্রায় সব ধরনের ফসলই ভালো হয়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এখানে দিন দিন বেড়ে চলেছে মাল্টার চাষ। অত্র এলাকার কর্মহীন যুবদের উদ্দ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলছেন বাগানের মালিক রনি মিত্র। মাল্টা চাষ করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন এই উপজেলার কৃষকরা। রণি মিত্র মাল্টা চাষ করে সফলতা পেয়েছেন। ভিয়েতনাম জাতের মাল্টা সুস্বাদু, রসালো ও স্বাস্থ্যসম্মত। ওনার বাগানে এ বছর যে পরিমাণ ফলন হয়ে তাতে তিনি অনেক বেশি লাভবান হবেন। মাল্টা বাগানের গাছ প্রতি ১৫-২০ কেজি হারে বাজারজাত করতে পারবে। তার এই সফলতার কারণ যদি বলি, সম্পুর্নই উনার আগ্রহ ও বাগানের যতœ নিয়েছেন বলেই সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি আমাদের সহযোগিতা ছিল।
সর্বাধিক পঠিত
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির ঢাকা বিভাগীয় ব্যুরো চীফ হলেন সাংবাদিক মোঃ মনিরুজ্জামান।

দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”

বাংলাদেশের বৃহত্তম এনজিও সংস্থা"আশা"উদ্যোগে গোপালপুরে সোনামুই গ্রামে হয়ে গেল মেডিকেল ফ্রি ক্যাম্পিং

বাংলাদেশের বৃহৎ এনজিও সংস্থা "আশা"এর উদ্যোগে হয়ে গেল ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন যেখানে ফ্রিতে চিকিৎসা দেওয়া হয় এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবী এবং কর্মজীবী মানুষের মধ্যে। ২৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার সোনামুই গ্রামে সকাল থেকে এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন করা হয় আশায় এনজিও হেমনগর শাখার উদ্যোগে এটি বাস্তবায়িত করা হয়। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যকর্মী এবং মেডিকেল অফিসারসহ অন্যান্য সেবিকারা। আশা এনজিও কর্তৃক ক্যাম্পেইনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন "আশা" হেমনগর ব্রাঞ্চের পক্ষথেকে আশা এনজিওর এই ক্যাম্পেইনে গ্রামের সকল পেশাজীবীর মানুষেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্যাম্পেইনটিতে অংশগ্রহণ করেন এবং তারই মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সঠিক ভাবে নিরূপণ করতে সহযোগিতা করেন। আশা এনজিওর মাধ্যমে ক্যাম্পেইন করে মানুষের জন্য সময় উপযোগী এবং প্রয়োজনীয় একটি বিষয় হয়ে দাঁড়াবে যেটি গ্রামের মানুষের মধ্যে সচেতনতা এবং স্বাস্থ্য সঠিকভাবে পর্যালোচনা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই উদ্যোগে এলাকাবাসী অত্যন্ত প্রাণবন্ত ভাবে উৎফুল্ল প্রকাশ করেছে। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিকবৃন্দ এবং সাধারণ মানুষ। এবং তাদের ক্যাম্পেইন ডাক্তার সঠিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেছে। আশা এনজিও আগামী দিনগুলোর জন্য এইরকম ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ধাপ হিসাবে গণ্য হবে।

সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লা পাড়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকদল শাখার উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদল সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লা পাড়া ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার  বিকালে সদর উপজেলার স্থানীয় বেতগঞ্জ বাজাএই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আবুল কাশেম দুলু সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এডভোকেট দীপংঙ্কর বনিক সুজিতের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক মনাজ্জির হোসেন। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সুহেল মিয়া, শাহজাহান মিয়া, এডভোকেট আব্দুল আহাদ জুয়েল, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মুজাব্বির হোসেন অপু, ইমরান হোসেন শ্যামল, বিপ্লব খান, মো:শামিম আহমদ, সেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক সাদিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতাউর চৌধুরী শাহীন প্রমুখ।  এ ছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার আলম, লিয়াকত আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতহাব চৌধুরী হাসান, শাখাওয়াত হোসেন পলাশ, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক  ইমন আহমেদ, ফয়সাল আহমেদ, মিছবাহ হোসেন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মহিম উদ্দিন, জেলা যুবদলের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মঈনুদ্দিন আহমেদ রিপন,সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আব্দুল কাইয়ুম সৌরভ,  বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম, ময়না মিয়া,স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রুজেল আহমেদ, আবুল হাসনাত, জেলা ছাত্রদল নেতা ইয়াহিয়া হাসান প্রমুখ। এ সময় সদর উপজেলা ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।  বক্তারা বলেন,বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের দুঃসময়ে যারা রাজপথে নির্যাতিত ও নিপিিতড় হয়েছেন, তাদের যথাযথ মূল্যায়নের ভিত্তিতেই ভবিষ্যতের ইউনিয়ন কমিটি গঠন করতে হবে। আওয়ামী লীগ ঘেঁষা বা ফ্যাসিস্টদের সাথে সম্পৃক্ত কোনো ব্যক্তিকে কমিটিতে রাখা যাবে না বলেও তারা দাবি জানান। দুর্দিনে যারা আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন তাদেরকে কমিটিতে মুল্যায়ন করা হবে। তারা বলেন,সুনামগঞ্জে জাতীয়তাবাদি শক্তির প্রাণপূরুষ এবং বিগত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে জেল জুলুম,হুলিয়া মাথায় নিয়ে এই সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা কেবল জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বর্তূমান জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৪(সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুলের নেতৃত্বে আমরা রাজপথে ছিলাম এবং আগামী নির্বাচনে এই আসনে জনপ্রিয় ধানের শীষের প্রার্থী একমাত্র নুরুল ইসলাম নুরুলকে বিএনপির প্রার্থী করতে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া,ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিকট তৃণমূলের নেতৃবৃন্দরা জোর দাবী জানান।

টাঙ্গাইল শহরের গৌরঘোষ দধি ভাণ্ডারে ভ্রাম্যমান আদালতের জরিমানা

(২২ অক্টোবর) সকালে টাঙ্গাইল পৌর এলাকার পার্ক বাজার সংলগ্ন গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানটি পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল। তিনি তার বিশেষ মনিটরিং টিম নিয়ে দোকানে থাকা দইয়ের উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ না থাকা, বেশ কিছু পরিমাণ পচে যাওয়া দই দোকানে সংরক্ষণ করা এবং মিষ্টান্ন তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল পাওয়ার দায়ে টাঙ্গাইলের গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে, আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবেন। অভিযানে পৌর স্যানেটারি ইন্সপেক্টর ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ প্রসঙ্গে গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী স্বপ্নন কুমার ঘোষ জানান, সাধারণত তিনি খুচরা ভাবে দধি বিক্রি করে থাকেন। ফলে তৈরিকৃত দধিতে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ দেওয়া সম্ভব হয় না। তবে এখন থেকে দেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, উদ্ধারকৃত পচে যাওয়া দধিগুলো ফেলে দেওয়ার জন্য রাখা হয়েছিল। এছাড়া যে মিষ্টি তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল হাওয়া গেছে, সেটি বর্তমানে মিষ্টি তৈরীর কাজে ব্যাবহার করা হচ্ছে না। আমরা সবসময় চেষ্টাকরি গ্রাহককে সর্বোচ্চ মানের দধি ও মিষ্টান্ন সরবরাহ করার।

মিস এন্ড মিসেস এলিগেন্স বাংলাদেশ সিজন ওয়ান”–এ প্রথম রানার্সআপ আদ্রিজা আফরিন সিনথিয়া

“মিস এন্ড মিসেস এলিগেন্স বাংলাদেশ সিজন ওয়ান”–এ প্রথম রানার্সআপ আদ্রিজা আফরিন সিনথিয়া দেশের আয়োজিত বর্ণাঢ্য প্রতিযোগিতা “মিস এন্ড মিসেস এলিগেন্স বাংলাদেশ সিজন ওয়ান”-এ প্রথম রানার্সআপের মুকুট জয় করলেন তরুণ ফ্যাশন মডেল আদ্রিজা আফরিন সিনথিয়া। ফ্যাশন জগতে ইতিমধ্যেই তিনি নিজেকে প্রমাণ করেছেন বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে কাজ করে। শুধু মডেলিং নয়, সিনথিয়া অভিনয়ের ক্ষেত্রেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন বুকে লালন করছেন। ইতোমধ্যে তিনি সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত সাদেক সিদ্দিকীর পরিচালনায় “দেনা পাওনা” সিনেমায় অভিনয় করছেন। রানার্সআপের মুকুট মাথায় পরার পর আবেগে আপ্লুত সিনথিয়া জানান—ঢালিউড কুইন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস আমাকে মুকুট পড়িয়ে দিয়েছেন এই আনন্দ আমি বুঝাতে পারবো না। “এই সাফল্য আমার জন্য অনেক বড় অর্জন। তবে আমি শুধু এখানেই থেমে থাকতে চাই না। আমি চাই নিজেকে মিডিয়া অঙ্গনে আরও দূর, বহুদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে। দেশবাসীর কাছে আমি দোয়া চাই।” আজকের এই অর্জন আমি আবার মা বাবা পরিবার এবং আমাকে যারা সাপোর্ট করেছেন তাদেরকে উৎসর্গ করতে চাই। বহু বাধা ও প্রতিকূলতা পেরিয়ে আজকের এই অবস্থানে পৌঁছেছেন সিনথিয়া। তাঁর অদম্য চেষ্টা, আত্মবিশ্বাস আর স্বপ্নই তাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ফ্যাশন থেকে চলচ্চিত্র—সব জায়গাতেই আলো ছড়ানোর ইচ্ছে তার। বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে সিনথিয়া এখন এক অনুপ্রেরণার নাম। তাঁর কথায়— “এই মুকুট আমার স্বপ্নযাত্রার প্রথম ধাপ মাত্র। সামনে আরও অনেক পথ, আরও অনেক লড়াই।”

গ্রাম বাংলার খবর

আরও পড়ুন
সাতক্ষীরা কালিগঞ্জের চাম্পাফুলে অসহায় পরিবারের ওপর চিটার চক্রের নির্যাতন- কার্তিক চন্দ্র সরকারের মিথ্যা মামলায় নিঃস্ব এক নিরীহ পরিবার

মোস্তফা মাসুদ: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার চাম্পাফুল ইউনিয়নের থালনা দক্ষিণপাড়ায় এক অসহায় পরিবারের ওপর চরম হয়রানি ও নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে।স্থানীয় এক চিটার ও মামলাবাজ চক্রের নেতৃত্বে চলছে এই অমানবিক নির্যাতন। অভিযোগের কেন্দ্রে রয়েছেন কুখ্যাত প্রতারক কার্তিক চন্দ্র সরকার—যিনি তার সহযোগীদের নিয়ে নিরীহ ও গরিব গাজী পরিবারকে বারবার মিথ্যা মামলা ও প্রশাসনিক প্রভাব খাটিয়ে বিপর্যস্ত করে তুলেছেন। থালনা দক্ষিণপাড়ার ইউসুফপুর গ্রামের আলী বাক্স গাজীর দুই ছেলে আকিম গাজী (৩৬) ও তকিম গাজী (৩৮) বহু বছর ধরে সরকারি পজিশন জমিতে একটি ছোট টিনের ঘর ও সিমেন্ট পাইপের ছাউনি দেওয়া ছাপড়া ঘরে বসবাস করে আসছেন। এই জায়গায় বসবাসের জন্য তারা এক সময় স্থানীয়দের পরামর্শে টাকা দিয়ে বসবাসের অনুমতি পান। কিন্তু পরবর্তীতে কার্তিক চন্দ্র সরকার পুনরায় অর্থ দাবি করলে গাজী পরিবার তা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। সেই থেকেই শুরু হয় একের পর এক মিথ্যা অভিযোগ, মামলা ও ষড়যন্ত্র। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,“থালনা দক্ষিণপাড়া সর্বজনীন শ্মশান ঘাট ও শ্রীশ্রী তারকনাথ বাবার ধাম কমিটি”র নাম ব্যবহার করে কার্তিক চক্র বিভিন্ন সময় এলাকায় সাধারণ মানুষের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়। এমনকি প্রশাসনের কাছে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদান করে পরিবারকে অবৈধ দখলদার হিসেবে চিহ্নিত করারও চেষ্টা চালায়। সরজমিনে গেলে দেখা যায়, উচ্ছেদ হওয়া জায়গায় এখন শুধুই ধ্বংসস্তূপ। ভাঙা টিনের টুকরো, সিমেন্ট পাইপের ভাঙা অংশ আর কান্নায় ভেজা এক পরিবার—এই যেন প্রতারণার এক বাস্তব চিত্র।পরিবারের সদস্যরা বলেন, “আমরা কারও জায়গা দখল করিনি, বৈধভাবে এখানে ছিলাম। হঠাৎ একদিন উচ্ছেদের নামে আমাদের মাথার ওপরের ছাউনিটা পর্যন্ত ভেঙে দেওয়া হলো। এখন আমরা পথে বসে আছি।স্থানীয় বাসিন্দা মো. মনি, আজিজুর রহমান, জয়ন্ত কুমার ও নজরুল ইসলাম জানান “এই পরিবার শান্তিপ্রিয় ও পরিশ্রমী মানুষ। চিটার কার্তিক চন্দ্র সরকার ও তার দলবল টাকার লোভে পড়ে এই পরিবারটিকে উচ্ছেদ করিয়েছে। প্রশাসন যেন প্রকৃত সত্য যাচাই করে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে। অভিযোগ রয়েছে, গত ১০ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে এক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে গাজী পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়। কিন্তু অভিযুক্তদের প্রভাব ও বিভ্রান্তিকর তথ্যের কারণে প্রকৃত সত্য যাচাই ছাড়াই অভিযানটি পরিচালিত হয়।স্থানীয়রা দাবি করেন,“চিটার কার্তিক চন্দ্র সরকার ও তার মামলাবাজ চক্রকে আইনের আওতায় আনা না হলে, তারা আরও নিরীহ পরিবারকে একইভাবে সর্বস্বান্ত করবে। এলাকাবাসী প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ে তদন্ত ও অবিলম্বে চিটার কার্তিক চন্দ্র সরকারসহ তার সহযোগীদের গ্রেপ্তারের জোর দাবি জানিয়েছেন। তারা বলেন,ন্যায়বিচার পেলে শুধু একটি পরিবারই নয়, পুরো এলাকা প্রতারক ও মামলাবাজদের হাত থেকে মুক্তি পাবে।এ বিষয়ে অসহায় দিনমজুর আকিম গাজী ও তকিম গাজী তারা বলেন" চাম্পাফুল ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ ও ইউপি সদস্য আবুল কালাম সহ একাধিক ব্যক্তি বিষয়টি জানেন এই চিটার কার্তিক চন্দ্র আমার কাছে এই পজিশনের সরকারি জায়গাটি বিক্রি করে টাকা নিয়ে তারপরে আবারো টাকার দাবি করেন। আমি দিতে অস্বীকার করাই ,আমার নামে মিথ্যা মামলা ও অভিযোগ দিতে থাকেন বিষয়টি স্থানীয় এলাকাবাসী ও জানেন। এ বিষয়ে কালিগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়, ফলে তার মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

নভেম্বর ১৫, ২০২৫ 0

সাতক্ষীরা কালিগঞ্জে বিশ্ব জলবায়ু ধর্মঘট পালন — সবুজ অর্থনীতি ও ন্যায্য রূপান্তরের দাবিতে তরুণদের জোরালো সমাবেশ

সাতক্ষীরা শ্যামনগরে সুশীলনের ৩৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের বিষ্ণুপুরে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের নির্বাচনী পথসভা:ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনের অঙ্গীকার প্রার্থীর

সাতক্ষীরা কালিগঞ্জে চিংড়িখালিতে মিথ্যা মামলা ও নচনাবিধ চক্রান্তের বিরুদ্ধে ভূমিহীনদের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

মোস্তফা মাসুদ: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের চিংড়িখালিতে মিথ্যা মামলা দায়ের, ভুমিহীন এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও অপ-প্রচারকারীদের বিরুদ্ধে ভূমিহীন জনপদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শতশত ভুমিহীন নারী পুরুষের অংশগ্রহনে এ মানববন্ধনে অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে আতঙ্ক সৃষ্টি, সন্ত্রাস, মাদক বিস্তারসহ এলাকায় ত্রাসের রাজত্বে আতঙ্ক সৃষ্টিকারী মামলাবাজ সাইদুল ও সাত্তারের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি প্রদান করা হয়েছে। উপজেলার নলতা ইউনিয়নের চিংড়িখালিতে ভূমিহীন নেতা শহিদুল ইসলাম, মধু সরদারসহ তাদের একান্ত সহযোগীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের, নানান ষড়যন্ত্র ও অপ-প্রচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১লা নভেম্বর) বিকেলে চিংড়িখালি বৈরাগীর চক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে বসুখালী বাজার পর্যন্ত দীর্ঘ লাইনে মানববন্ধনে অংশ নেন চিংড়িখালি ভূমিহীন জনপদের প্রায় দুই শতাধিক নারী-পুরুষ। মানববন্ধনে উপস্থিত জনতা একক কণ্ঠে সন্ত্রাস, মাদক ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ভূমিহীন জনপদের সভাপতি শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ভুমিহীন জনপদের সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম গাজী, সহ- সভাপতি আব্দুল হালিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম বুল্লা, উপদেষ্টা আবুল হোসেন গাজী, সদস্য মধু সরদার, কুতুব মোড়ল, শওকত হাজী, গোলাপ ঢালী, মজিবার, রফিকুল ইসলাম, আরিজুল সরদার, ভুমিহীন নেত্রী নুরবানু, জাহানারা, শামসুন্নাহার ও মমতাজ প্রমুখ। বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, আশাশুনি উপজেলার বসুখালী গ্রামের মৃত আব্দুল হক গাজীর ছেলে মাদক সম্রাট ও কুখ্যাত সন্ত্রাসী সাইদুল ইসলাম গাজী (৪৭) এবং নলতা ইউনিয়নের কাজলা কাশিবাটি গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে মাদকসেবী শেখ সাত্তার (৪৫) দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে রেখেছে। এরা ভূমিহীন ও অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে ভয় সৃষ্টি করে, চাঁদা দাবি করার পাশাপাশি নলতার জনপ্রিয় চেয়ারম্যান আজিজুর রহমানসহ অসহায় ও হতদরিদ্র মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় জড়ানো, মাদক ব্যবসা ও মাদক সেবনসহ এলাকায় দুঃশাসন কায়েম করে অশান্ত করার পায়তারা করে আসছে। বক্তারা আরও বলেন, বিগত সরকারের সময়ে এদের বিরুদ্ধে মাদক, নারী কেলেঙ্কারি ও চাঁদাবাজিসহ নানাবিধ অভিযোগ থাকলেও প্রভাবশালী মহলের আশ্রয়ে থেকেছে। এরা আজও রয়েছে বহালতবিয়তে ও বেপরোয়া হয়ে। তারা বৈরাগীর চক, চিংড়িখালি, বসুখালী, সন্ন্যাসীর চক ও ঝায়ামারিসহ আশপাশের এলাকায় তাদের সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে চলেছে। ভূমিহীন জনপদের নেতৃবৃন্দ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন,“অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে আতঙ্ক সৃষ্টি করা সন্ত্রাসীদের আর ছাড় দেয়া হবে না। আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে মিথ্যা মামলা, চাঁদাবাজি ও মাদকের বিরুদ্ধে শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত লড়ব। ”বক্তারা অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও মাদক-সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান। একই সাথে তিন শতাধিক ভুমিহীনের শেষ সম্বল যায়গাটুকু ফেরত পেতে সরকার বাহাদুরের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন তারা। এছাড়াও চিংড়িখালির শান্তি স্থাপন ও ভূমিহীনদের ন্যায়সঙ্গত দাবিতে জনতার এই জাগরণ এখন পুরো কালিগঞ্জের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়।

নভেম্বর ২, ২০২৫ 0

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের নলতা আহছানিয়া পাবলিক লাইব্রেরীর বার্ষিক পাঠ, পুরষ্কার বিতরণী ও সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

সাতক্ষীরা কালিগঞ্জ থানায় অভিযোগ গুরুতর আহত শ্রমিক আফজাল,চিকিৎসা খরচ না পেয়ে মানবেতর জীবন

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়ন তাঁতীদলের আহবায়ক কমিটি গঠন

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়ন তাঁতীদলের আহবায়ক কমিটি গঠন

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জমি দখল ও বৃদ্ধাকে ভারতে পাঠানোর অভিযোগ
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জমি দখল ও বৃদ্ধাকে ভারতে পাঠানোর অভিযোগ

মোস্তফা মাসুদ: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাফিয়া পারভীন ও তার সহযোগী নূর হক সরদারের বিরুদ্ধে সরকারি খাস জমি দখল, উচ্ছেদ এবং নামজারির অপচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, তারা এক বৃদ্ধা নারীকে ভয়ভীতির মাধ্যমে উচ্ছেদ করে ভারতে পাঠিয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটিয়েছে। এ বিষয়ে কৃষ্ণনগর এলাকার বাসিন্দা মিজানুর রহমান বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন করেছেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, কৃষ্ণনগর মৌজার ১৪২১ খতিয়ানের ২০৭৯ দাগের ১১ শতক জমি সরকারি (১/১ খাস) খতিয়ানের আওতাভুক্ত। কিন্তু জালিয়াতির মাধ্যমে বিভ্রান্ত করে জায়গাটি প্রথমে শ্যামলী রানীর নামে নামজারি করা হয়। পরে তা বাতিল হলেও একই জমি পুনরায় সীতা রানীর নামে নামজারি করা হয়। অভিযোগে বলা হয়েছে, এ ঘটনার নেপথ্যে ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাফিয়া পারভীন ও তার সহযোগী নূর হক সরদার। তারা কৌশলে বৃদ্ধা সীতা রানীকে ভুল বুঝিয়ে উক্ত জমি তাদের নামে কবলা দলিল করে নেন। এরপর চেয়ারম্যান তার প্রভাব খাটিয়ে সীতা রানীকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করে তার সম্পত্তি দখলে নেন। এমনকি পরবর্তীতে ওই বৃদ্ধাকে আটক রেখে ভারতে পাঠিয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। বর্তমানে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান ও তার সহযোগী উক্ত ১১ শতক সরকারি খাস জমি নিজেদের নামে নামজারির জন্য ভূমি অফিসে প্রভাব খাটাচ্ছেন। অথচ উক্ত জমি মূলত খাস খতিয়ানের রাস্তার আওতাভুক্ত, যা কোনোভাবেই ব্যক্তিমালিকানায় নামজারি বা কবলা হওয়া আইনত অবৈধ। অভিযোগকারী মিজানুর তার অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন যে, অসহায় এক বৃদ্ধার আশ্রয় কেড়ে নেওয়া মানবিক ও আইনি উভয় দিক থেকেই অন্যায়। প্রশাসনের কাছে ন্যায়বিচার ও খাস জমি রক্ষার আবেদন জানান তিনি। এ বিষয়ে কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুজা মণ্ডল বলেন, অভিযোগটির তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি)-কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

অক্টোবর ২৬, ২০২৫ 0
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে পুলিশের বিশেষ অভিযানে চুরি মামলার পলাতক আসামি গ্রেফতার

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে পুলিশের বিশেষ অভিযানে চুরি মামলার পলাতক আসামি গ্রেফতার

সাতক্ষীরা কালিগঞ্জে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ।

সাতক্ষীরা কালিগঞ্জে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ।

পতিত জমিতে মাল্টা চাষ করে, যুবকদের উদ্দ্যেক্তা করে তুলছেন - রনি মিত্র

0 মন্তব্য