ইসলামে নারীদের মর্যাদা ও সম্মান রক্ষা করার জন্য কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যা সমাজে ধর্ষণ ও অনাচার কমাতে সহায়ক হতে পারে। কুরআন ও হাদিসে নারীদের চলাফেরা ও পোশাক সম্পর্কে বিশেষ কিছু আদেশ দেওয়া হয়েছে, যা অনুসরণ করলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হতে পারে।
ইসলামে নারীদের পর্দা করতে বলা হয়েছে, যাতে তারা অহেতুক পুরুষদের দৃষ্টি আকর্ষণ না করেন। আল্লাহ তাআলা বলেন—
📖 "হে নবী! তুমি তোমার স্ত্রীগণ, কন্যাগণ এবং মুসলিম নারীদের বলে দাও, তারা যেন তাদের জিলবাব (বড় চাদর) দিয়ে নিজেদের ঢেকে রাখে। এতে তাদেরকে চেনা সহজ হবে এবং তারা কষ্ট দেওয়া থেকে রক্ষা পাবে।"
📌 (সূরা আহযাব: ৫৯)
নারীদেরকে সংযতভাবে কথা বলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে তাদের কণ্ঠস্বর দ্বারা কোনো খারাপ মানুষের খারাপ চিন্তার উদ্রেক না হয়।
📖 "হে নারীগণ! তোমরা নরম স্বরে কথা বলো না, যাতে অন্তরে ব্যাধিগ্রস্ত ব্যক্তি লালসা না করে।"
📌 (সূরা আহযাব: ৩২)
ইসলামে নারীদের অহেতুক বাইরে ঘোরাঘুরি করতে নিষেধ করা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া তারা যেন ঘরে অবস্থান করেন।
📖 "তোমরা নিজ গৃহে অবস্থান কর এবং জাহেলি যুগের নারীদের মত নিজেকে প্রদর্শন করো না।"
📌 (সূরা আহযাব: ৩৩)
ইসলাম নারী ও পুরুষের মধ্যে অবাধ মেলামেশা নিষিদ্ধ করেছে, যাতে ফিতনা সৃষ্টি না হয়। রাসূল (ﷺ) বলেছেন—
📖 "কোনো পুরুষ যেন কোনো নারীর সঙ্গে নির্জনে একত্রে অবস্থান না করে, কারণ তৃতীয়জন হবে শয়তান।"
📌 (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৩০০৬)
নারীদের উচিত চলাফেরার সময় সতর্ক থাকা এবং এমন পরিবেশ এড়িয়ে চলা, যেখানে বিপদ হতে পারে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন—
📖 "যে ব্যক্তি ফিতনা থেকে দূরে থাকে, সে নিরাপদ থাকে।"
📌 (সহিহ মুসলিম: ৬৪৯৬)
নারীদের মাহরাম (স্বামী বা নিকট আত্মীয়) ছাড়া দীর্ঘ ভ্রমণ করতে নিষেধ করা হয়েছে, যাতে তারা নিরাপদ থাকেন।
📖 "কোনো নারী যেন মাহরাম ছাড়া একদিন বা এক রাতের পথ পাড়ি না দেয়।"
📌 (সহিহ বুখারি: ১০৮৮)
নারীদের উচিত আল্লাহর ওপর ভরসা করা এবং তাঁর কাছে নিরাপত্তা ও রক্ষা কামনা করা।
ইসলামের এসব বিধান নারীদের সম্মান ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য। যদি সমাজের সবাই ইসলামের এই নিয়ম মেনে চলে, তাহলে ধর্ষণ ও যৌন হয়রানি অনেক কমে আসবে ইনশাআল্লাহ।